Ajker Patrika

পাকিস্তানি নম্বর থেকে আসে বিমানে বোমা হামলার হুমকি: বেবিচক চেয়ারম্যান

বিশেষ প্রতিনিধি, ঢাকা ­­
আপডেট : ২২ জানুয়ারি ২০২৫, ১৯: ৩১
Thumbnail image
উড়োজাহাজটি অবতরণের পরপরই ঢাকায় হজরত শাহ জালাল আর্ন্তজাতিক বিমানবন্দরে নিয়োজিত নিরাপত্তা সংস্থাগুলোর সমন্বয়ে ফ্লাইটটিকে নিরাপত্তাবেষ্টনীতে নেওয়া হয়। ছবি: ডিএমপির ফেসবুক পেজ থেকে নেওয়া

বিমানে বোমা হামলার হুমকির বার্তা (ম্যাসেজ) এসেছে হোয়াটসঅ্যাপে। এটা পাকিস্তানি নম্বর। দুইটা ব্যাগ সন্দেহ করেছিলাম। তবে কিছু পাওয়া যায়নি। আজ বুধবার (২২ জানুয়ারি) বিকেল ৪টায় পর হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে বোমা হামলা হুমকির সার্বিক বিষয় নিয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা জানান বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের (বেবিচক) চেয়ারম্যান এয়ার ভাইস মার্শাল মো. মঞ্জুর কবীর ভূঁইয়া।

বেবিচক চেয়ারম্যান বলেন, বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের একটি বিমান রোম থেকে যাত্রা করে ঢাকায় ৯টা ২০ মিনিটে অবতরণ করে। ২৫০ জন যাত্রী ছিল। ১৩ জন ক্রু ছিল। আমাদের এখানে আসার পর আমার সর্বোচ্চ প্রস্তুতি নেই। প্রতিটা সংস্থা সুন্দরভাবে কাজ করেছে। আমাদের পক্ষ থেকে প্রতিটা যাত্রী সুন্দরভাবে গেছে। যাত্রীদের দ্রুত বের করে, তিন চারটা লাইন করে, দ্রুত চেক করে টার্মিনালে নিয়ে এসেছি। তাদের জন্য খাবারের ব্যবস্থা ছিল টার্মিনালে। প্রত্যেক যাত্রী কোঅপারেশন করেছে।

তিনি আরও বলেন, এত বড় অপারেশনে কোনো ছন্দপতন হয় নাই। আমি বিমান বাহিনীর প্রধানের কাছে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করব। তাকে সংবাদটা দেওয়ার সঙ্গে সঙ্গে সবাই হাজির হয়ে গেছেন।

বেবিচকের চেয়ারম্যান বলেন, যখন আমরা তদন্ত করি তখন দুইটা ব্যাগে সন্দেহ করেছিলাম। আমরা প্রতিটা লাগেজ স্ক্যানিং করে নামিয়েছি। নীচে আবার স্ক্যানিং করেছি। টোটাল জিনিসটা খুব সুন্দর করে করা হয়েছে। সবাই সুস্থ আছেন ভালো আছেন।

বেবিচকের চেয়ারম্যান বলেন, হোয়াটসঅ্যাপে আমাদের কন্ট্রোলরুমে মেসেজটি এসেছে, সেখান থেকে চলে গেছে ইডির রুমে, সঙ্গে সঙ্গে ইউএসই টিমকে অ্যালার্ট করা হয়। আমরা দ্রুত সিদ্ধান্ত নিয়ে অ্যাকশনে নেমে পড়ি। আমরা যখন যাত্রীদের প্রাণ নিয়ে কাজ করি, একটা থ্রেড হল, আমাদের শতভাগ প্রস্তুত নিয়ে কাজ করতে হয়। কারণ আমরা তো তখন জানি না যে একটা রিয়েল নাকি আনরিয়েল।

উড়োজাহাজটি অবতরণের পরপরই ঢাকায় হজরত শাহ জালাল আর্ন্তজাতিক বিমানবন্দরে নিয়োজিত নিরাপত্তা সংস্থাগুলোর সমন্বয়ে ফ্লাইটটিকে নিরাপত্তাবেষ্টনীতে নেওয়া হয়। ছবি: ডিএমপির ফেসবুক পেজ থেকে নেওয়া
উড়োজাহাজটি অবতরণের পরপরই ঢাকায় হজরত শাহ জালাল আর্ন্তজাতিক বিমানবন্দরে নিয়োজিত নিরাপত্তা সংস্থাগুলোর সমন্বয়ে ফ্লাইটটিকে নিরাপত্তাবেষ্টনীতে নেওয়া হয়। ছবি: ডিএমপির ফেসবুক পেজ থেকে নেওয়া

তথ্যদাতার সঙ্গে একাধিকবার মেসেজ আদান-প্রদান হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, তথ্য দাতা দুজনের কথা বলেছেন। একটি লাগেজের ছবিও দিয়েছেন। এই ধরনের লাগেজ হতে পারে বলে তিনি জানিয়েছেন। উনাকে কল করা আছে কিন্তু তিনি কল রিসিভ করেন না। আমরা থ্রেট পাইলে যে প্রসেস নেওয়া দরকার আমরা সেটাই নিয়েছি। আমরাও সতর্ক ছিলাম, এটা হয়ত আমাদের দৃষ্টি এড়ানোর জন্য অন্য কোনো ঝামেলাও হতে পারতো। অ্যালার্ট জারি করেছিলাম, যাতে প্রত্যেক লাগেজ, সতর্কতার সঙ্গে চেক করা হয়।

উড়োজাহাজটি অবতরণের পরপরই ঢাকায় হজরত শাহ জালাল আর্ন্তজাতিক বিমানবন্দরে নিয়োজিত নিরাপত্তা সংস্থাগুলোর সমন্বয়ে ফ্লাইটটিকে নিরাপত্তাবেষ্টনীতে নেওয়া হয়। ছবি: ডিএমপির ফেসবুক পেজ থেকে নেওয়া
উড়োজাহাজটি অবতরণের পরপরই ঢাকায় হজরত শাহ জালাল আর্ন্তজাতিক বিমানবন্দরে নিয়োজিত নিরাপত্তা সংস্থাগুলোর সমন্বয়ে ফ্লাইটটিকে নিরাপত্তাবেষ্টনীতে নেওয়া হয়। ছবি: ডিএমপির ফেসবুক পেজ থেকে নেওয়া

এদিকে আজ বুধবার সকালে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি) এক বার্তায় জানায়, ‘আজ (২২ জানুয়ারি ২০২৫ খ্রি.) ভোর ৪:৩৭ ঘটিকায় এয়ারপোর্ট এপিবিএনের ডিউটি অফিসারের নম্বরে হোয়াটসঅ্যাপে একটি পাকিস্তানি নম্বর থেকে বোম্ব থ্রেট এর মেসেজ আসে। উক্ত মেসেজে দাবি করা হয় রোম থেকে ঢাকাগামী বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের বিজি-৫৩৬ বিমানে ৩৪ কেজি উচ্চ মাত্রার বিস্ফোরক রয়েছে। উক্ত সংবাদ পাওয়া মাত্রই সিটিটিসির বোম্ব ডিসপোজাল ইউনিট এবং ক্যানাইন ইউনিট যৌথ বাহিনীর সঙ্গে অভিযানে যোগ দেয়।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত