Ajker Patrika

নারীরা শুধু কাজ করেন, স্বীকৃতি পান না: স্পিকার

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
আপডেট : ১৯ নভেম্বর ২০২২, ২০: ৩৮
Thumbnail image

আমাদের সামাজিক প্রেক্ষাপটে নারীরা শুধু কাজ করেই যান, কিন্তু এর সঠিক স্বীকৃতি পান না বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী। তিনি বলেন, দেশের সামগ্রিক উন্নয়নের স্বার্থে নারীরা তাঁদের কাজের পরিপ্রেক্ষিতে কতটুকু স্বীকৃতি পান, সেটা ভেবে দেখতে হবে।

আজ শনিবার বাংলা একাডেমিতে ‘অনন্যা শীর্ষ দশ ২০২১’ সম্মাননা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন স্পিকার।

স্পিকার বলেন, ‘একজন মা, একজন বোন, একজন নারীকে যখন সামান্যতম স্থান দিই; তাঁর যতখানি অবদান সমাজ বিনির্মাণে, পরিবার গঠনে, জাতি গঠনে সে তুলনায় কিছুই না। কিন্তু যতটুকুই সম্মান আমরা জানাতে পারি, সেটা আমাদের জন্য গৌরবের।’

শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেন, পাক্ষিক অনন্যা ‘নারীর কথা বলে’ স্লোগান সামনে রেখে দীর্ঘ ৩৫ বছর অতিক্রম করেছে। তাদের এই পথচলা এবং এ পথচলার মাঝে প্রায় ৩০০ জন কৃতী নারীকে সম্মানিত করেছে। তিনি বলেন, ‘আমরা আজকে এখানে ১০ জন নারীকে দেখেছি, যাঁরা আমাদের বাংলাদেশের জন্য সমাজের বিভিন্ন অবস্থানে থেকে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখে যাচ্ছেন এবং নিজেদের পেশায় শীর্ষে অবস্থান করছেন।

স্পিকার বলেন, ‘বাংলাদেশের সকল নারীর অদম্য শক্তি, স্পৃহা এবং এগিয়ে যাওয়ার যে নিজস্ব একটা চেষ্টা, সেই জায়গা থেকে বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে। নারীর শক্তিতে বাংলাদেশ এগিয়ে যাবে, সেটাই আমরা বিশ্বাস করছি।’

অনুষ্ঠানে বর্ষব্যাপী আলোচিত ও আলোকিত ১০ কৃতী নারী পেয়েছেন ‘অনন্যা শীর্ষ দশ ২০২১’ সম্মাননা। আলোকচিত্রশিল্পী ক্যাটাগরিতে শাহরিয়ার ফারজানা, বাংলাদেশের প্রথম ফিফা নারী রেফারি হিসেবে জয়া চাকমা, বিজ্ঞানী হিসেবে সালমা সুলতানা, প্রযুক্তি ক্যাটাগরিতে রুদমীলা নওশীন, মার্শাল আর্ট প্রশিক্ষক ক্যাটাগরিতে সান্ত্বনা রানী রায়, অর্থনীতিবিদ ক্যাটাগরিতে নাজনীন আহমেদ, উদ্যোক্তা ক্যাটাগরিতে মোছা. ইছমাত আরা, করপোরেট ব্যক্তিত্ব ক্যাটাগরিতে বিটপী দাশ চৌধুরী, অভিনয়শিল্পী ও নির্দেশক ক্যাটাগরিতে ত্রপা মজুমদার এবং অদম্য সাহসী ক্যাটাগরিতে শাহিনুর আক্তার পেয়েছেন এবারের এ সম্মাননা।

এ ছাড়া বিশেষ কাজের স্বীকৃতিস্বরূপ কারুশিল্পী সরত মালা চাকমা পেয়েছেন আজীবন সম্মাননা। বিজয়ীদের হাতে স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরী এবং পাক্ষিক অনন্যা ও দৈনিক ইত্তেফাকের সম্পাদক তাসমিমা হোসেন পুরস্কার তুলে দেন। অনুষ্ঠানে সম্মাননা জয়ী নারীদের জীবনী নিয়ে লেখক-সাংবাদিক-নির্মাতা তাপস কুমার দত্তের নির্মাণে বিশেষ প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শন করা হয়। পুরস্কার প্রদান শেষে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান হয়।

সভাপতির বক্তব্যে তাসমিমা হোসেন বলেন, নারীর নিজের কণ্ঠস্বর প্রকাশের প্রবল আগ্রহ থেকেই ১৯৮৮ সালে পাক্ষিক ‘অনন্যা’ প্রকাশের উদ্যোগ গ্রহণ করি। লক্ষ্য ছিল এমন একটি প্ল্যাটফর্ম গড়ে তোলার, যেখানে নারীর চোখে মানুষ বিশ্বটাকে দেখবে। 

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত