নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
ডেলটা ও ওমিক্রনের ভয়াবহতা সামলে বাংলাদেশসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশ যখন নিম্নমুখী সংক্রমণে স্বস্তির দিন পার করছে, তখন নতুন করে শঙ্কার বার্তা দিচ্ছে নতুন ধরন এক্সই।
সম্প্রতি ভারতের মুম্বাইয়ে এই নতুন ধরনের অস্তিত্ব মিলেছে। এ নিয়ে সবাইকে সতর্ক হওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) উপাচার্য অধ্যাপক ডা. মো. শারফুদ্দিন আহমেদ।
করোনার নতুন এই ধরন নিয়ে সতর্কবার্তা দিয়ে তিনি বলেন, ‘সম্প্রতি ভারতে প্রথম শনাক্ত হয়েছে করোনার নতুন ধরন এক্সই। মুম্বাইয়ের একজনের শরীরে এটির উপস্থিতি পাওয়া গেছে।’
আজ শুক্রবার বিকেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ ডা. মিল্টন হলে বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় পরিষদের স্ট্যান্ডিং কমিটির ২৭১তম সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপাচার্য এ তথ্য জানান।
শারফুদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘করোনাভাইরাসের এই এক্সই রূপটি ওমিক্রনের বিএ ২ উপপ্রজাতির তুলনায় ১০ শতাংশ বেশি সংক্রামক। প্রকাশিত গবেষণা প্রতিবেদন অনুযায়ী, ওমিক্রন রূপের বিএ ১ এবং বিএ ২ উপপ্রজাতির সংমিশ্রণ বা রিকম্বিন্যান্ট মিউটেশনের ফলেই পরিব্যক্ত এক্সই ধরনটি সৃষ্টি হয়েছে।’
বিএসএমএমইউ উপাচার্য বলেন, ‘ক্রমেই অবনতির দিকে যাচ্ছে চীনের সবচেয়ে বড় বাণিজ্যিক নগরী সাংহাইয়ের করোনা পরিস্থিতি। লকডাউন দিয়েও পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে হিমশিম খাচ্ছে স্থানীয় কর্তৃপক্ষ। হংকং তাইওয়ানের অবস্থা তেমন ভালো না। চিকিৎসক হিসেবে সবাইকে সতর্ক থাকার আহ্বান জানাচ্ছি।’
এদিকে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানিয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় (বৃহস্পতিবার সকাল ৮টা থেকে আজ শুক্রবার সকাল ৮টা পর্যন্ত) দেশে নতুন করে ৪৮ জনের দেহে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। এ নিয়ে টানা ১৪ দিন শনাক্তের সংখ্যা শতকের নিচে থাকল। সর্বশেষ গত ২৫ মার্চ রোগী শনাক্তের সংখ্যা ১০০ জনের বেশি ছিল। সেদিন দেশে ১০২ জনের দেহে ভাইরাসটি উপস্থিতি পাওয়া যায়। এদিন শনাক্তের হার ছিল শূন্য দশমিক ৭৭ শতাংশ। সব মিলিয়ে দেশে কোভিড রোগীর সংখ্যা বেড়ে এখন ১৯ লাখ ৫১ হাজার ৯৯৫ জনে দাঁড়িয়েছে।
এ ছাড়া গত ২৪ ঘণ্টায় দেশের কোথাও করোনায় মৃত্যুর খবর পাওয়া যায়নি বলে সরকারের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে। এ নিয়ে টানা চার দিন মৃত্যুহীন দিন দেখল দেশ। ফলে মৃতের সংখ্যা আগের মতই ২৯ হাজার ১২৩ জন রয়ে গেছে।
২০১৯ সালের ডিসেম্বরে চীনের উহানে করোনার প্রকোপ শুরু হয়। বাংলাদেশে যা শনাক্ত হয় ২০২০ সালের ৮ মার্চ। এরপর ধীরে ধীরে সংক্রমণ বাড়তে থাকে। প্রথম ঢেউ নিয়ন্ত্রণে আসে ২০২১ সালের ফেব্রুয়ারিতে। একই বছরের মার্চে ডেলটা ধরনে ভর করে করোনার দ্বিতীয় ঢেউ আঘাত হানে। জুন থেকে আগস্ট পর্যন্ত তিন মাসে সর্বোচ্চ রোগী শনাক্ত ও মৃত্যু দেখে বাংলাদেশ। এরপর থেকে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হতে থাকে।
তবে গত বছরের ১১ ডিসেম্বর শুরু হয় আফ্রিকার ধরন ওমিক্রনের তীব্রতা। অন্যান্য ধরনের চেয়ে কয়েকগুণ বেশি সংক্রমণশীল এই ধরন অল্প সময়ে দেশের সব জেলায় ছড়িয়ে পড়ে। তবে, ডেলটার মতো প্রাণঘাতী ছিল না।
ডেলটা ও ওমিক্রনের ভয়াবহতা সামলে বাংলাদেশসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশ যখন নিম্নমুখী সংক্রমণে স্বস্তির দিন পার করছে, তখন নতুন করে শঙ্কার বার্তা দিচ্ছে নতুন ধরন এক্সই।
সম্প্রতি ভারতের মুম্বাইয়ে এই নতুন ধরনের অস্তিত্ব মিলেছে। এ নিয়ে সবাইকে সতর্ক হওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) উপাচার্য অধ্যাপক ডা. মো. শারফুদ্দিন আহমেদ।
করোনার নতুন এই ধরন নিয়ে সতর্কবার্তা দিয়ে তিনি বলেন, ‘সম্প্রতি ভারতে প্রথম শনাক্ত হয়েছে করোনার নতুন ধরন এক্সই। মুম্বাইয়ের একজনের শরীরে এটির উপস্থিতি পাওয়া গেছে।’
আজ শুক্রবার বিকেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ ডা. মিল্টন হলে বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় পরিষদের স্ট্যান্ডিং কমিটির ২৭১তম সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপাচার্য এ তথ্য জানান।
শারফুদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘করোনাভাইরাসের এই এক্সই রূপটি ওমিক্রনের বিএ ২ উপপ্রজাতির তুলনায় ১০ শতাংশ বেশি সংক্রামক। প্রকাশিত গবেষণা প্রতিবেদন অনুযায়ী, ওমিক্রন রূপের বিএ ১ এবং বিএ ২ উপপ্রজাতির সংমিশ্রণ বা রিকম্বিন্যান্ট মিউটেশনের ফলেই পরিব্যক্ত এক্সই ধরনটি সৃষ্টি হয়েছে।’
বিএসএমএমইউ উপাচার্য বলেন, ‘ক্রমেই অবনতির দিকে যাচ্ছে চীনের সবচেয়ে বড় বাণিজ্যিক নগরী সাংহাইয়ের করোনা পরিস্থিতি। লকডাউন দিয়েও পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে হিমশিম খাচ্ছে স্থানীয় কর্তৃপক্ষ। হংকং তাইওয়ানের অবস্থা তেমন ভালো না। চিকিৎসক হিসেবে সবাইকে সতর্ক থাকার আহ্বান জানাচ্ছি।’
এদিকে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানিয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় (বৃহস্পতিবার সকাল ৮টা থেকে আজ শুক্রবার সকাল ৮টা পর্যন্ত) দেশে নতুন করে ৪৮ জনের দেহে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। এ নিয়ে টানা ১৪ দিন শনাক্তের সংখ্যা শতকের নিচে থাকল। সর্বশেষ গত ২৫ মার্চ রোগী শনাক্তের সংখ্যা ১০০ জনের বেশি ছিল। সেদিন দেশে ১০২ জনের দেহে ভাইরাসটি উপস্থিতি পাওয়া যায়। এদিন শনাক্তের হার ছিল শূন্য দশমিক ৭৭ শতাংশ। সব মিলিয়ে দেশে কোভিড রোগীর সংখ্যা বেড়ে এখন ১৯ লাখ ৫১ হাজার ৯৯৫ জনে দাঁড়িয়েছে।
এ ছাড়া গত ২৪ ঘণ্টায় দেশের কোথাও করোনায় মৃত্যুর খবর পাওয়া যায়নি বলে সরকারের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে। এ নিয়ে টানা চার দিন মৃত্যুহীন দিন দেখল দেশ। ফলে মৃতের সংখ্যা আগের মতই ২৯ হাজার ১২৩ জন রয়ে গেছে।
২০১৯ সালের ডিসেম্বরে চীনের উহানে করোনার প্রকোপ শুরু হয়। বাংলাদেশে যা শনাক্ত হয় ২০২০ সালের ৮ মার্চ। এরপর ধীরে ধীরে সংক্রমণ বাড়তে থাকে। প্রথম ঢেউ নিয়ন্ত্রণে আসে ২০২১ সালের ফেব্রুয়ারিতে। একই বছরের মার্চে ডেলটা ধরনে ভর করে করোনার দ্বিতীয় ঢেউ আঘাত হানে। জুন থেকে আগস্ট পর্যন্ত তিন মাসে সর্বোচ্চ রোগী শনাক্ত ও মৃত্যু দেখে বাংলাদেশ। এরপর থেকে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হতে থাকে।
তবে গত বছরের ১১ ডিসেম্বর শুরু হয় আফ্রিকার ধরন ওমিক্রনের তীব্রতা। অন্যান্য ধরনের চেয়ে কয়েকগুণ বেশি সংক্রমণশীল এই ধরন অল্প সময়ে দেশের সব জেলায় ছড়িয়ে পড়ে। তবে, ডেলটার মতো প্রাণঘাতী ছিল না।
জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহসভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ বলেছেন, সংস্কার কমিশনগুলোর উদ্দেশ্য বাংলাদেশ যেন এমন একটা ব্যবস্থা তৈরি করা, যাতে করে পুনরায় কোন অবস্থাতে ফ্যাসিবাদী শাসন প্রতিষ্ঠিত হতে না পারে।
১ মিনিট আগেপ্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস চার দিনের সরকারি সফরে কাতার যাচ্ছেন। আজ সোমবার সন্ধ্যায় কাতারের রাজধানী দোহার উদ্দেশে রওনা দেবেন তিনি। সেখানে তিনি ‘আর্থনা সামিট-২০২৫’–এ যোগ দেবেন।
৩০ মিনিট আগেপ্রধান উপদেষ্টার সম্প্রতি চীন সফরের ফলাফল পর্যালোচনা এবং বাংলাদেশ-চীন সহযোগিতা দ্রুততর করতে চীনা রাষ্ট্রদূত ইয়াও ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন। আজ রোববার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় তাঁরা এ সাক্ষাৎ করেন।
১১ ঘণ্টা আগেএজেন্সিগুলোর গাফিলতির কারণে চলতি বছর প্রায় সাড়ে ১০ হাজার ব্যক্তির হজ পালন নিয়ে অনিশ্চয়তা দেখা দিয়েছিল। এ নিয়ে ধর্ম উপদেষ্টার হুঁশিয়ারির পর তৎপরতা বাড়িয়েছে এজেন্সিগুলো। এতে অনিশ্চয়তা প্রায় কেটে গেছে। হজযাত্রীদের ভিসাপ্রক্রিয়াও প্রায় শেষ পর্যায়ে রয়েছে।
১২ ঘণ্টা আগে