তৌফিকুল ইসলাম, ঢাকা

দীর্ঘ ১২ বছর চরম দুর্ভোগ দেওয়া বাস র্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) প্রকল্প আপাতত অসমাপ্তই থাকছে। ঢাকার বিমানবন্দর থেকে গাজীপুর পর্যন্ত বিশেষ বাস চলাচলের জন্য নির্মাণ করা বিশেষ এই করিডর হয়ে যাচ্ছে সাধারণ যানবাহনের জন্য চার লেনের সড়ক। অথচ ইতিমধ্যে এই প্রকল্পে সড়ক, উড়ালসড়ক, স্টেশনসহ বিভিন্ন অবকাঠামো নির্মাণে খরচ হয়ে গেছে ৪ হাজার কোটি টাকা। সঙ্গে মানুষকে পোহাতে হয়েছে অবর্ণনীয় দুর্ভোগ।
প্রকল্প দপ্তর সূত্র বলছে, বিআরটি প্রকল্প সম্পন্ন করতে অতিরিক্ত ৩ হাজার কোটি টাকা ব্যয় বাড়ানোর ও মেয়াদ আরও চার বছর বাড়িয়ে ২০২৯ সাল পর্যন্ত করার প্রস্তাব ফেরত দিয়েছে পরিকল্পনা কমিশন। ফলে অন্তর্বর্তী সরকার বিআরটি করিডরে বিশেষ ইলেকট্রিক (বিদ্যুৎ-চালিত) বাস চলাচলের ধারণা বাতিল করে প্রকল্পের আওতায় নির্মিত চার লেনের সড়কটি সাধারণ যানবাহনের জন্য খুলে দেওয়ার পরিকল্পনা নিয়েছে। সেই প্রস্তুতিই চলছে।
পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের অধীন পরিবীক্ষণ ও মূল্যায়ন বিভাগের (আইএমইডি) সাম্প্রতিক এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বিআরটি প্রকল্প চালু হলেও যানজট নিরসন সম্ভব নয়। বিশেষায়িত লেনে শুধু বিআরটি বাস চললে অন্য লেনে যানজট আরও বাড়বে। ফলে সামগ্রিকভাবে পরিবহন পরিস্থিতির উন্নতি হবে না।
জানতে চাইলে প্রধান উপদেষ্টার সড়ক পরিবহন ও সেতুবিষয়ক বিশেষ সহকারী শেখ মইনউদ্দিন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমরা এখন যে পরিকল্পনা নিচ্ছি, সেটি হয়তো বিআরটি আকারে আর খোলা হবে না। গাজীপুর অংশে যে কাজ বাকি আছে, তা শেষ করে স্বাভাবিক চার লেনের সড়ক হিসেবে খুলে দেওয়া হবে। এতে সব ধরনের যানবাহন চলাচল করতে পারবে।’ তিনি বলেন, এ মুহূর্তে নতুন করে আড়াই-তিন হাজার কোটি টাকা খরচ করা যৌক্তিক হবে না। প্রকল্পের মেয়াদ ২০২৯ পর্যন্ত বাড়ানোর প্রস্তাবে পরিকল্পনা কমিশন রাজি হয়নি। ফলে বিআরটি হিসেবে প্রকল্পটি শেষ করা যাচ্ছে না। বাকি কাজগুলো শেষ করে সড়কটি চলাচলযোগ্য করা হবে।
জুলাই অভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে ২০১২ সালের ডিসেম্বরে বিআরটি প্রকল্প শুরু হয়েছিল। বলা হয়েছিল, ২০ দশমিক ৫ কিলোমিটার দীর্ঘ এই প্রকল্পের উদ্দেশ্য দ্রুত, নিরাপদ ও পরিবেশবান্ধব পরিবহনব্যবস্থা গড়ে তোলা। শুরুতে ব্যয় ধরা হয়েছিল ২ হাজার ৪০ কোটি টাকা, যা পরবর্তী সময়ে বেড়ে দাঁড়ায় ৪ হাজার ২৬৮ কোটি টাকা। অন্তর্বর্তী সরকারের সময়ে নতুন প্রস্তাবে আরও ৩ হাজার কোটি টাকা চাওয়া হলে পরিকল্পনা কমিশন ফেরত পাঠায়।
প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করছে সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগ, স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি) ও বাংলাদেশ সেতু কর্তৃপক্ষ। অর্থায়ন করছে এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক (এডিবি), ফরাসি উন্নয়ন সংস্থা (এএফডি) ও গ্লোবাল এনভায়রনমেন্ট ফ্যাসিলিটি (জিইএফ)।
প্রকল্প সূত্র বলছে, ৯৭ শতাংশ কাজ সম্পন্ন হলেও প্রকল্প এলাকা পুরোপুরি চলাচলযোগ্য নয়। স্টেশনগুলোর ফিনিশিং কাজ, গাজীপুর অংশে ময়মনসিংহ রোডের অসম্পূর্ণ অংশ, ফুটপাত ও এসকেলেটর স্থাপনসহ কিছু কাজ এখনো বাকি। এ ছাড়া ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট বিভিন্ন স্টেশনের ক্ষতিগ্রস্ত অংশও মেরামত করতে হবে।
চার লেনের সড়ক হিসেবে চালু হলেও প্রকল্পে ব্যয় বাড়বে কি না—এমন প্রশ্নে প্রকল্পের কর্মকর্তারা জানান, এখনো ঠিকাদারের কিছু দাবি আছে। সেগুলো মেটাতে গিয়ে বোঝা যাবে খরচ বাড়বে কি না। টাকা বাড়বে না, বাড়লেও খুব সামান্য।
প্রকল্পের আওতায় মোট ২০ দশমিক ২০ কিলোমিটার বিআরটি করিডর নির্মাণ করা হচ্ছে। এর মধ্যে ১৫ দশমিক শূন্য ৭ কিলোমিটার ভূমিতে এবং ৪ দশমিক ৫০ কিলোমিটার এলিভেটেড অংশ। নির্মাণ করা হচ্ছে ২৫টি স্টেশন, একটি বাস ডিপো (গাজীপুরে) এবং দুটি টার্মিনাল (একটি বিমানবন্দরে ও অন্যটি গাজীপুরে)। এ ছাড়া ছয়টি উড়ালসড়ক (ফ্লাইওভার) নির্মাণ হচ্ছে বিমানবন্দর, জসীমউদদীন, কুনিয়া, উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়, ভোগরা এবং জয়দেবপুর চৌরাস্তা এলাকায়। টঙ্গী ব্রিজকে ১০ লেনে উন্নীত করা হয়েছে। রয়েছে আটটি অ্যাকসেস রোড, ১১৩টি (প্রায় ৫৬ কিলোমিটার) নর্দমা এবং উভয় পাশে মোট ২৪ কিলোমিটার দীর্ঘ ফুটপাত।
বিআরটি করিডরের পরিবর্তে সাধারণ সড়ক চালুর প্রস্তুতির কারণে বিশেষ বাস লেনের ধারণাটি আপাতত বাস্তবায়ন হচ্ছে না। অবশ্য প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী শেখ মইনউদ্দিন বলেন, ‘পরের নতুন সরকার যদি মনে করে বিআরটি হিসেবে চালু করবে, তাহলে সেটি করা সম্ভব। প্রয়োজন শুধু কিছু বাস কেনা ও কাউন্টারগুলো চালু করা।’
এই প্রকল্পের নির্মাণকাজের জন্য বিমানবন্দর-গাজীপুর রুটে দীর্ঘ ১২ বছর ধরে মানুষ ভোগান্তি পোহাচ্ছে। বিশেষায়িত লেন না থাকায় সাধারণ সড়কে যানজট বেড়ে গেছে, পথচারীর চলাচল ও পারাপারে অসুবিধা হচ্ছে এবং ধুলা ও শব্দদূষণও বেড়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন স্থানীয় ব্যবসায়ীরাও। ৬ অক্টোবর গাজীপুরে ‘গাজীপুরের সর্বস্তরের জনগণ’-এর ব্যানারে মানববন্ধনও হয়েছে। ওই কর্মসূচিতে অংশগ্রহণকারীরা বলেন, এক যুগের বেশি সময় ধরে প্রকল্পের কাজ চলায় জনদুর্ভোগ চরমে পৌঁছেছে। তাঁরা দ্রুত কাজ শেষ করা, পথচারী পারাপারের নিরাপদ ব্যবস্থা, ফুটওভার ব্রিজ, জেব্রা ক্রসিং, সিসিটিভি ক্যামেরা স্থাপনসহ ৯ দফা দাবি জানান।
দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে যোগাযোগ বিশেষজ্ঞ ও বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) পুরকৌশল বিভাগের অধ্যাপক মো. হাদিউজ্জামান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘১২ বছর পর এসে করিডর ধারণা বাতিল করা বড় ধরনের অর্থনৈতিক ও নীতিগত ব্যর্থতা। এ প্রকল্পের জন্য বিপুল পরিমাণ অর্থ ও জনসম্পদ ব্যয় হয়েছে। সাধারণ যানবাহনের জন্য উন্মুক্ত করা অস্থায়ীভাবে স্বস্তি দিতে পারে, কিন্তু দীর্ঘ মেয়াদে নগর পরিবহনব্যবস্থায় কাঙ্ক্ষিত সুফল মিলবে না।’

দীর্ঘ ১২ বছর চরম দুর্ভোগ দেওয়া বাস র্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) প্রকল্প আপাতত অসমাপ্তই থাকছে। ঢাকার বিমানবন্দর থেকে গাজীপুর পর্যন্ত বিশেষ বাস চলাচলের জন্য নির্মাণ করা বিশেষ এই করিডর হয়ে যাচ্ছে সাধারণ যানবাহনের জন্য চার লেনের সড়ক। অথচ ইতিমধ্যে এই প্রকল্পে সড়ক, উড়ালসড়ক, স্টেশনসহ বিভিন্ন অবকাঠামো নির্মাণে খরচ হয়ে গেছে ৪ হাজার কোটি টাকা। সঙ্গে মানুষকে পোহাতে হয়েছে অবর্ণনীয় দুর্ভোগ।
প্রকল্প দপ্তর সূত্র বলছে, বিআরটি প্রকল্প সম্পন্ন করতে অতিরিক্ত ৩ হাজার কোটি টাকা ব্যয় বাড়ানোর ও মেয়াদ আরও চার বছর বাড়িয়ে ২০২৯ সাল পর্যন্ত করার প্রস্তাব ফেরত দিয়েছে পরিকল্পনা কমিশন। ফলে অন্তর্বর্তী সরকার বিআরটি করিডরে বিশেষ ইলেকট্রিক (বিদ্যুৎ-চালিত) বাস চলাচলের ধারণা বাতিল করে প্রকল্পের আওতায় নির্মিত চার লেনের সড়কটি সাধারণ যানবাহনের জন্য খুলে দেওয়ার পরিকল্পনা নিয়েছে। সেই প্রস্তুতিই চলছে।
পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের অধীন পরিবীক্ষণ ও মূল্যায়ন বিভাগের (আইএমইডি) সাম্প্রতিক এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বিআরটি প্রকল্প চালু হলেও যানজট নিরসন সম্ভব নয়। বিশেষায়িত লেনে শুধু বিআরটি বাস চললে অন্য লেনে যানজট আরও বাড়বে। ফলে সামগ্রিকভাবে পরিবহন পরিস্থিতির উন্নতি হবে না।
জানতে চাইলে প্রধান উপদেষ্টার সড়ক পরিবহন ও সেতুবিষয়ক বিশেষ সহকারী শেখ মইনউদ্দিন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমরা এখন যে পরিকল্পনা নিচ্ছি, সেটি হয়তো বিআরটি আকারে আর খোলা হবে না। গাজীপুর অংশে যে কাজ বাকি আছে, তা শেষ করে স্বাভাবিক চার লেনের সড়ক হিসেবে খুলে দেওয়া হবে। এতে সব ধরনের যানবাহন চলাচল করতে পারবে।’ তিনি বলেন, এ মুহূর্তে নতুন করে আড়াই-তিন হাজার কোটি টাকা খরচ করা যৌক্তিক হবে না। প্রকল্পের মেয়াদ ২০২৯ পর্যন্ত বাড়ানোর প্রস্তাবে পরিকল্পনা কমিশন রাজি হয়নি। ফলে বিআরটি হিসেবে প্রকল্পটি শেষ করা যাচ্ছে না। বাকি কাজগুলো শেষ করে সড়কটি চলাচলযোগ্য করা হবে।
জুলাই অভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে ২০১২ সালের ডিসেম্বরে বিআরটি প্রকল্প শুরু হয়েছিল। বলা হয়েছিল, ২০ দশমিক ৫ কিলোমিটার দীর্ঘ এই প্রকল্পের উদ্দেশ্য দ্রুত, নিরাপদ ও পরিবেশবান্ধব পরিবহনব্যবস্থা গড়ে তোলা। শুরুতে ব্যয় ধরা হয়েছিল ২ হাজার ৪০ কোটি টাকা, যা পরবর্তী সময়ে বেড়ে দাঁড়ায় ৪ হাজার ২৬৮ কোটি টাকা। অন্তর্বর্তী সরকারের সময়ে নতুন প্রস্তাবে আরও ৩ হাজার কোটি টাকা চাওয়া হলে পরিকল্পনা কমিশন ফেরত পাঠায়।
প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করছে সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগ, স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি) ও বাংলাদেশ সেতু কর্তৃপক্ষ। অর্থায়ন করছে এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক (এডিবি), ফরাসি উন্নয়ন সংস্থা (এএফডি) ও গ্লোবাল এনভায়রনমেন্ট ফ্যাসিলিটি (জিইএফ)।
প্রকল্প সূত্র বলছে, ৯৭ শতাংশ কাজ সম্পন্ন হলেও প্রকল্প এলাকা পুরোপুরি চলাচলযোগ্য নয়। স্টেশনগুলোর ফিনিশিং কাজ, গাজীপুর অংশে ময়মনসিংহ রোডের অসম্পূর্ণ অংশ, ফুটপাত ও এসকেলেটর স্থাপনসহ কিছু কাজ এখনো বাকি। এ ছাড়া ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট বিভিন্ন স্টেশনের ক্ষতিগ্রস্ত অংশও মেরামত করতে হবে।
চার লেনের সড়ক হিসেবে চালু হলেও প্রকল্পে ব্যয় বাড়বে কি না—এমন প্রশ্নে প্রকল্পের কর্মকর্তারা জানান, এখনো ঠিকাদারের কিছু দাবি আছে। সেগুলো মেটাতে গিয়ে বোঝা যাবে খরচ বাড়বে কি না। টাকা বাড়বে না, বাড়লেও খুব সামান্য।
প্রকল্পের আওতায় মোট ২০ দশমিক ২০ কিলোমিটার বিআরটি করিডর নির্মাণ করা হচ্ছে। এর মধ্যে ১৫ দশমিক শূন্য ৭ কিলোমিটার ভূমিতে এবং ৪ দশমিক ৫০ কিলোমিটার এলিভেটেড অংশ। নির্মাণ করা হচ্ছে ২৫টি স্টেশন, একটি বাস ডিপো (গাজীপুরে) এবং দুটি টার্মিনাল (একটি বিমানবন্দরে ও অন্যটি গাজীপুরে)। এ ছাড়া ছয়টি উড়ালসড়ক (ফ্লাইওভার) নির্মাণ হচ্ছে বিমানবন্দর, জসীমউদদীন, কুনিয়া, উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়, ভোগরা এবং জয়দেবপুর চৌরাস্তা এলাকায়। টঙ্গী ব্রিজকে ১০ লেনে উন্নীত করা হয়েছে। রয়েছে আটটি অ্যাকসেস রোড, ১১৩টি (প্রায় ৫৬ কিলোমিটার) নর্দমা এবং উভয় পাশে মোট ২৪ কিলোমিটার দীর্ঘ ফুটপাত।
বিআরটি করিডরের পরিবর্তে সাধারণ সড়ক চালুর প্রস্তুতির কারণে বিশেষ বাস লেনের ধারণাটি আপাতত বাস্তবায়ন হচ্ছে না। অবশ্য প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী শেখ মইনউদ্দিন বলেন, ‘পরের নতুন সরকার যদি মনে করে বিআরটি হিসেবে চালু করবে, তাহলে সেটি করা সম্ভব। প্রয়োজন শুধু কিছু বাস কেনা ও কাউন্টারগুলো চালু করা।’
এই প্রকল্পের নির্মাণকাজের জন্য বিমানবন্দর-গাজীপুর রুটে দীর্ঘ ১২ বছর ধরে মানুষ ভোগান্তি পোহাচ্ছে। বিশেষায়িত লেন না থাকায় সাধারণ সড়কে যানজট বেড়ে গেছে, পথচারীর চলাচল ও পারাপারে অসুবিধা হচ্ছে এবং ধুলা ও শব্দদূষণও বেড়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন স্থানীয় ব্যবসায়ীরাও। ৬ অক্টোবর গাজীপুরে ‘গাজীপুরের সর্বস্তরের জনগণ’-এর ব্যানারে মানববন্ধনও হয়েছে। ওই কর্মসূচিতে অংশগ্রহণকারীরা বলেন, এক যুগের বেশি সময় ধরে প্রকল্পের কাজ চলায় জনদুর্ভোগ চরমে পৌঁছেছে। তাঁরা দ্রুত কাজ শেষ করা, পথচারী পারাপারের নিরাপদ ব্যবস্থা, ফুটওভার ব্রিজ, জেব্রা ক্রসিং, সিসিটিভি ক্যামেরা স্থাপনসহ ৯ দফা দাবি জানান।
দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে যোগাযোগ বিশেষজ্ঞ ও বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) পুরকৌশল বিভাগের অধ্যাপক মো. হাদিউজ্জামান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘১২ বছর পর এসে করিডর ধারণা বাতিল করা বড় ধরনের অর্থনৈতিক ও নীতিগত ব্যর্থতা। এ প্রকল্পের জন্য বিপুল পরিমাণ অর্থ ও জনসম্পদ ব্যয় হয়েছে। সাধারণ যানবাহনের জন্য উন্মুক্ত করা অস্থায়ীভাবে স্বস্তি দিতে পারে, কিন্তু দীর্ঘ মেয়াদে নগর পরিবহনব্যবস্থায় কাঙ্ক্ষিত সুফল মিলবে না।’
তৌফিকুল ইসলাম, ঢাকা

দীর্ঘ ১২ বছর চরম দুর্ভোগ দেওয়া বাস র্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) প্রকল্প আপাতত অসমাপ্তই থাকছে। ঢাকার বিমানবন্দর থেকে গাজীপুর পর্যন্ত বিশেষ বাস চলাচলের জন্য নির্মাণ করা বিশেষ এই করিডর হয়ে যাচ্ছে সাধারণ যানবাহনের জন্য চার লেনের সড়ক। অথচ ইতিমধ্যে এই প্রকল্পে সড়ক, উড়ালসড়ক, স্টেশনসহ বিভিন্ন অবকাঠামো নির্মাণে খরচ হয়ে গেছে ৪ হাজার কোটি টাকা। সঙ্গে মানুষকে পোহাতে হয়েছে অবর্ণনীয় দুর্ভোগ।
প্রকল্প দপ্তর সূত্র বলছে, বিআরটি প্রকল্প সম্পন্ন করতে অতিরিক্ত ৩ হাজার কোটি টাকা ব্যয় বাড়ানোর ও মেয়াদ আরও চার বছর বাড়িয়ে ২০২৯ সাল পর্যন্ত করার প্রস্তাব ফেরত দিয়েছে পরিকল্পনা কমিশন। ফলে অন্তর্বর্তী সরকার বিআরটি করিডরে বিশেষ ইলেকট্রিক (বিদ্যুৎ-চালিত) বাস চলাচলের ধারণা বাতিল করে প্রকল্পের আওতায় নির্মিত চার লেনের সড়কটি সাধারণ যানবাহনের জন্য খুলে দেওয়ার পরিকল্পনা নিয়েছে। সেই প্রস্তুতিই চলছে।
পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের অধীন পরিবীক্ষণ ও মূল্যায়ন বিভাগের (আইএমইডি) সাম্প্রতিক এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বিআরটি প্রকল্প চালু হলেও যানজট নিরসন সম্ভব নয়। বিশেষায়িত লেনে শুধু বিআরটি বাস চললে অন্য লেনে যানজট আরও বাড়বে। ফলে সামগ্রিকভাবে পরিবহন পরিস্থিতির উন্নতি হবে না।
জানতে চাইলে প্রধান উপদেষ্টার সড়ক পরিবহন ও সেতুবিষয়ক বিশেষ সহকারী শেখ মইনউদ্দিন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমরা এখন যে পরিকল্পনা নিচ্ছি, সেটি হয়তো বিআরটি আকারে আর খোলা হবে না। গাজীপুর অংশে যে কাজ বাকি আছে, তা শেষ করে স্বাভাবিক চার লেনের সড়ক হিসেবে খুলে দেওয়া হবে। এতে সব ধরনের যানবাহন চলাচল করতে পারবে।’ তিনি বলেন, এ মুহূর্তে নতুন করে আড়াই-তিন হাজার কোটি টাকা খরচ করা যৌক্তিক হবে না। প্রকল্পের মেয়াদ ২০২৯ পর্যন্ত বাড়ানোর প্রস্তাবে পরিকল্পনা কমিশন রাজি হয়নি। ফলে বিআরটি হিসেবে প্রকল্পটি শেষ করা যাচ্ছে না। বাকি কাজগুলো শেষ করে সড়কটি চলাচলযোগ্য করা হবে।
জুলাই অভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে ২০১২ সালের ডিসেম্বরে বিআরটি প্রকল্প শুরু হয়েছিল। বলা হয়েছিল, ২০ দশমিক ৫ কিলোমিটার দীর্ঘ এই প্রকল্পের উদ্দেশ্য দ্রুত, নিরাপদ ও পরিবেশবান্ধব পরিবহনব্যবস্থা গড়ে তোলা। শুরুতে ব্যয় ধরা হয়েছিল ২ হাজার ৪০ কোটি টাকা, যা পরবর্তী সময়ে বেড়ে দাঁড়ায় ৪ হাজার ২৬৮ কোটি টাকা। অন্তর্বর্তী সরকারের সময়ে নতুন প্রস্তাবে আরও ৩ হাজার কোটি টাকা চাওয়া হলে পরিকল্পনা কমিশন ফেরত পাঠায়।
প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করছে সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগ, স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি) ও বাংলাদেশ সেতু কর্তৃপক্ষ। অর্থায়ন করছে এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক (এডিবি), ফরাসি উন্নয়ন সংস্থা (এএফডি) ও গ্লোবাল এনভায়রনমেন্ট ফ্যাসিলিটি (জিইএফ)।
প্রকল্প সূত্র বলছে, ৯৭ শতাংশ কাজ সম্পন্ন হলেও প্রকল্প এলাকা পুরোপুরি চলাচলযোগ্য নয়। স্টেশনগুলোর ফিনিশিং কাজ, গাজীপুর অংশে ময়মনসিংহ রোডের অসম্পূর্ণ অংশ, ফুটপাত ও এসকেলেটর স্থাপনসহ কিছু কাজ এখনো বাকি। এ ছাড়া ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট বিভিন্ন স্টেশনের ক্ষতিগ্রস্ত অংশও মেরামত করতে হবে।
চার লেনের সড়ক হিসেবে চালু হলেও প্রকল্পে ব্যয় বাড়বে কি না—এমন প্রশ্নে প্রকল্পের কর্মকর্তারা জানান, এখনো ঠিকাদারের কিছু দাবি আছে। সেগুলো মেটাতে গিয়ে বোঝা যাবে খরচ বাড়বে কি না। টাকা বাড়বে না, বাড়লেও খুব সামান্য।
প্রকল্পের আওতায় মোট ২০ দশমিক ২০ কিলোমিটার বিআরটি করিডর নির্মাণ করা হচ্ছে। এর মধ্যে ১৫ দশমিক শূন্য ৭ কিলোমিটার ভূমিতে এবং ৪ দশমিক ৫০ কিলোমিটার এলিভেটেড অংশ। নির্মাণ করা হচ্ছে ২৫টি স্টেশন, একটি বাস ডিপো (গাজীপুরে) এবং দুটি টার্মিনাল (একটি বিমানবন্দরে ও অন্যটি গাজীপুরে)। এ ছাড়া ছয়টি উড়ালসড়ক (ফ্লাইওভার) নির্মাণ হচ্ছে বিমানবন্দর, জসীমউদদীন, কুনিয়া, উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়, ভোগরা এবং জয়দেবপুর চৌরাস্তা এলাকায়। টঙ্গী ব্রিজকে ১০ লেনে উন্নীত করা হয়েছে। রয়েছে আটটি অ্যাকসেস রোড, ১১৩টি (প্রায় ৫৬ কিলোমিটার) নর্দমা এবং উভয় পাশে মোট ২৪ কিলোমিটার দীর্ঘ ফুটপাত।
বিআরটি করিডরের পরিবর্তে সাধারণ সড়ক চালুর প্রস্তুতির কারণে বিশেষ বাস লেনের ধারণাটি আপাতত বাস্তবায়ন হচ্ছে না। অবশ্য প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী শেখ মইনউদ্দিন বলেন, ‘পরের নতুন সরকার যদি মনে করে বিআরটি হিসেবে চালু করবে, তাহলে সেটি করা সম্ভব। প্রয়োজন শুধু কিছু বাস কেনা ও কাউন্টারগুলো চালু করা।’
এই প্রকল্পের নির্মাণকাজের জন্য বিমানবন্দর-গাজীপুর রুটে দীর্ঘ ১২ বছর ধরে মানুষ ভোগান্তি পোহাচ্ছে। বিশেষায়িত লেন না থাকায় সাধারণ সড়কে যানজট বেড়ে গেছে, পথচারীর চলাচল ও পারাপারে অসুবিধা হচ্ছে এবং ধুলা ও শব্দদূষণও বেড়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন স্থানীয় ব্যবসায়ীরাও। ৬ অক্টোবর গাজীপুরে ‘গাজীপুরের সর্বস্তরের জনগণ’-এর ব্যানারে মানববন্ধনও হয়েছে। ওই কর্মসূচিতে অংশগ্রহণকারীরা বলেন, এক যুগের বেশি সময় ধরে প্রকল্পের কাজ চলায় জনদুর্ভোগ চরমে পৌঁছেছে। তাঁরা দ্রুত কাজ শেষ করা, পথচারী পারাপারের নিরাপদ ব্যবস্থা, ফুটওভার ব্রিজ, জেব্রা ক্রসিং, সিসিটিভি ক্যামেরা স্থাপনসহ ৯ দফা দাবি জানান।
দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে যোগাযোগ বিশেষজ্ঞ ও বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) পুরকৌশল বিভাগের অধ্যাপক মো. হাদিউজ্জামান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘১২ বছর পর এসে করিডর ধারণা বাতিল করা বড় ধরনের অর্থনৈতিক ও নীতিগত ব্যর্থতা। এ প্রকল্পের জন্য বিপুল পরিমাণ অর্থ ও জনসম্পদ ব্যয় হয়েছে। সাধারণ যানবাহনের জন্য উন্মুক্ত করা অস্থায়ীভাবে স্বস্তি দিতে পারে, কিন্তু দীর্ঘ মেয়াদে নগর পরিবহনব্যবস্থায় কাঙ্ক্ষিত সুফল মিলবে না।’

দীর্ঘ ১২ বছর চরম দুর্ভোগ দেওয়া বাস র্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) প্রকল্প আপাতত অসমাপ্তই থাকছে। ঢাকার বিমানবন্দর থেকে গাজীপুর পর্যন্ত বিশেষ বাস চলাচলের জন্য নির্মাণ করা বিশেষ এই করিডর হয়ে যাচ্ছে সাধারণ যানবাহনের জন্য চার লেনের সড়ক। অথচ ইতিমধ্যে এই প্রকল্পে সড়ক, উড়ালসড়ক, স্টেশনসহ বিভিন্ন অবকাঠামো নির্মাণে খরচ হয়ে গেছে ৪ হাজার কোটি টাকা। সঙ্গে মানুষকে পোহাতে হয়েছে অবর্ণনীয় দুর্ভোগ।
প্রকল্প দপ্তর সূত্র বলছে, বিআরটি প্রকল্প সম্পন্ন করতে অতিরিক্ত ৩ হাজার কোটি টাকা ব্যয় বাড়ানোর ও মেয়াদ আরও চার বছর বাড়িয়ে ২০২৯ সাল পর্যন্ত করার প্রস্তাব ফেরত দিয়েছে পরিকল্পনা কমিশন। ফলে অন্তর্বর্তী সরকার বিআরটি করিডরে বিশেষ ইলেকট্রিক (বিদ্যুৎ-চালিত) বাস চলাচলের ধারণা বাতিল করে প্রকল্পের আওতায় নির্মিত চার লেনের সড়কটি সাধারণ যানবাহনের জন্য খুলে দেওয়ার পরিকল্পনা নিয়েছে। সেই প্রস্তুতিই চলছে।
পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের অধীন পরিবীক্ষণ ও মূল্যায়ন বিভাগের (আইএমইডি) সাম্প্রতিক এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বিআরটি প্রকল্প চালু হলেও যানজট নিরসন সম্ভব নয়। বিশেষায়িত লেনে শুধু বিআরটি বাস চললে অন্য লেনে যানজট আরও বাড়বে। ফলে সামগ্রিকভাবে পরিবহন পরিস্থিতির উন্নতি হবে না।
জানতে চাইলে প্রধান উপদেষ্টার সড়ক পরিবহন ও সেতুবিষয়ক বিশেষ সহকারী শেখ মইনউদ্দিন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমরা এখন যে পরিকল্পনা নিচ্ছি, সেটি হয়তো বিআরটি আকারে আর খোলা হবে না। গাজীপুর অংশে যে কাজ বাকি আছে, তা শেষ করে স্বাভাবিক চার লেনের সড়ক হিসেবে খুলে দেওয়া হবে। এতে সব ধরনের যানবাহন চলাচল করতে পারবে।’ তিনি বলেন, এ মুহূর্তে নতুন করে আড়াই-তিন হাজার কোটি টাকা খরচ করা যৌক্তিক হবে না। প্রকল্পের মেয়াদ ২০২৯ পর্যন্ত বাড়ানোর প্রস্তাবে পরিকল্পনা কমিশন রাজি হয়নি। ফলে বিআরটি হিসেবে প্রকল্পটি শেষ করা যাচ্ছে না। বাকি কাজগুলো শেষ করে সড়কটি চলাচলযোগ্য করা হবে।
জুলাই অভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে ২০১২ সালের ডিসেম্বরে বিআরটি প্রকল্প শুরু হয়েছিল। বলা হয়েছিল, ২০ দশমিক ৫ কিলোমিটার দীর্ঘ এই প্রকল্পের উদ্দেশ্য দ্রুত, নিরাপদ ও পরিবেশবান্ধব পরিবহনব্যবস্থা গড়ে তোলা। শুরুতে ব্যয় ধরা হয়েছিল ২ হাজার ৪০ কোটি টাকা, যা পরবর্তী সময়ে বেড়ে দাঁড়ায় ৪ হাজার ২৬৮ কোটি টাকা। অন্তর্বর্তী সরকারের সময়ে নতুন প্রস্তাবে আরও ৩ হাজার কোটি টাকা চাওয়া হলে পরিকল্পনা কমিশন ফেরত পাঠায়।
প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করছে সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগ, স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি) ও বাংলাদেশ সেতু কর্তৃপক্ষ। অর্থায়ন করছে এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক (এডিবি), ফরাসি উন্নয়ন সংস্থা (এএফডি) ও গ্লোবাল এনভায়রনমেন্ট ফ্যাসিলিটি (জিইএফ)।
প্রকল্প সূত্র বলছে, ৯৭ শতাংশ কাজ সম্পন্ন হলেও প্রকল্প এলাকা পুরোপুরি চলাচলযোগ্য নয়। স্টেশনগুলোর ফিনিশিং কাজ, গাজীপুর অংশে ময়মনসিংহ রোডের অসম্পূর্ণ অংশ, ফুটপাত ও এসকেলেটর স্থাপনসহ কিছু কাজ এখনো বাকি। এ ছাড়া ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট বিভিন্ন স্টেশনের ক্ষতিগ্রস্ত অংশও মেরামত করতে হবে।
চার লেনের সড়ক হিসেবে চালু হলেও প্রকল্পে ব্যয় বাড়বে কি না—এমন প্রশ্নে প্রকল্পের কর্মকর্তারা জানান, এখনো ঠিকাদারের কিছু দাবি আছে। সেগুলো মেটাতে গিয়ে বোঝা যাবে খরচ বাড়বে কি না। টাকা বাড়বে না, বাড়লেও খুব সামান্য।
প্রকল্পের আওতায় মোট ২০ দশমিক ২০ কিলোমিটার বিআরটি করিডর নির্মাণ করা হচ্ছে। এর মধ্যে ১৫ দশমিক শূন্য ৭ কিলোমিটার ভূমিতে এবং ৪ দশমিক ৫০ কিলোমিটার এলিভেটেড অংশ। নির্মাণ করা হচ্ছে ২৫টি স্টেশন, একটি বাস ডিপো (গাজীপুরে) এবং দুটি টার্মিনাল (একটি বিমানবন্দরে ও অন্যটি গাজীপুরে)। এ ছাড়া ছয়টি উড়ালসড়ক (ফ্লাইওভার) নির্মাণ হচ্ছে বিমানবন্দর, জসীমউদদীন, কুনিয়া, উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়, ভোগরা এবং জয়দেবপুর চৌরাস্তা এলাকায়। টঙ্গী ব্রিজকে ১০ লেনে উন্নীত করা হয়েছে। রয়েছে আটটি অ্যাকসেস রোড, ১১৩টি (প্রায় ৫৬ কিলোমিটার) নর্দমা এবং উভয় পাশে মোট ২৪ কিলোমিটার দীর্ঘ ফুটপাত।
বিআরটি করিডরের পরিবর্তে সাধারণ সড়ক চালুর প্রস্তুতির কারণে বিশেষ বাস লেনের ধারণাটি আপাতত বাস্তবায়ন হচ্ছে না। অবশ্য প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী শেখ মইনউদ্দিন বলেন, ‘পরের নতুন সরকার যদি মনে করে বিআরটি হিসেবে চালু করবে, তাহলে সেটি করা সম্ভব। প্রয়োজন শুধু কিছু বাস কেনা ও কাউন্টারগুলো চালু করা।’
এই প্রকল্পের নির্মাণকাজের জন্য বিমানবন্দর-গাজীপুর রুটে দীর্ঘ ১২ বছর ধরে মানুষ ভোগান্তি পোহাচ্ছে। বিশেষায়িত লেন না থাকায় সাধারণ সড়কে যানজট বেড়ে গেছে, পথচারীর চলাচল ও পারাপারে অসুবিধা হচ্ছে এবং ধুলা ও শব্দদূষণও বেড়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন স্থানীয় ব্যবসায়ীরাও। ৬ অক্টোবর গাজীপুরে ‘গাজীপুরের সর্বস্তরের জনগণ’-এর ব্যানারে মানববন্ধনও হয়েছে। ওই কর্মসূচিতে অংশগ্রহণকারীরা বলেন, এক যুগের বেশি সময় ধরে প্রকল্পের কাজ চলায় জনদুর্ভোগ চরমে পৌঁছেছে। তাঁরা দ্রুত কাজ শেষ করা, পথচারী পারাপারের নিরাপদ ব্যবস্থা, ফুটওভার ব্রিজ, জেব্রা ক্রসিং, সিসিটিভি ক্যামেরা স্থাপনসহ ৯ দফা দাবি জানান।
দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে যোগাযোগ বিশেষজ্ঞ ও বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) পুরকৌশল বিভাগের অধ্যাপক মো. হাদিউজ্জামান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘১২ বছর পর এসে করিডর ধারণা বাতিল করা বড় ধরনের অর্থনৈতিক ও নীতিগত ব্যর্থতা। এ প্রকল্পের জন্য বিপুল পরিমাণ অর্থ ও জনসম্পদ ব্যয় হয়েছে। সাধারণ যানবাহনের জন্য উন্মুক্ত করা অস্থায়ীভাবে স্বস্তি দিতে পারে, কিন্তু দীর্ঘ মেয়াদে নগর পরিবহনব্যবস্থায় কাঙ্ক্ষিত সুফল মিলবে না।’

প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস এবং অন্তর্বর্তী সরকারের প্রতি বাংলাদেশের মানুষ ব্যাপক আস্থা প্রকাশ করেছেন। মার্কিন ফেডারেল সরকারের অর্থায়নে রিপাবলিকান পার্টি-ঘনিষ্ঠ অলাভজনক প্রতিষ্ঠান ইন্টারন্যাশনাল রিপাবলিকান ইনস্টিটিউট (আইআরআই) এক জরিপের ভিত্তিতে এই তথ্য জানিয়েছে।
১ ঘণ্টা আগে
আগামী সপ্তাহে জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হলে ৩০ শতাংশ ভোটার বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল-বিএনপিকে ভোট দেবেন। জামায়াতে ইসলামীকে ভোট দেবেন ২৬ শতাংশ ভোটার। অর্থাৎ দুই দলের মধ্যে ব্যবধান মাত্র ৪ শতাংশ। মার্কিন ফেডারেল সরকারের অর্থায়নে রিপাবলিকান পার্টি-ঘনিষ্ঠ অলাভজনক প্রতিষ্ঠান
১ ঘণ্টা আগে
দেশের অন্তর্বর্তী সরকার এবং প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের কার্যক্রম নিয়ে একটি জরিপ চালিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক বেসরকারি সংস্থা ইন্টারন্যাশনাল রিপাবলিকান ইনস্টিটিউটের (আইআরআই) সেন্টার ফর রাইটস। এই জরিপে উঠে এসেছে, ৬৯ শতাংশ মানুষ প্রধান উপদেষ্টার কাজে সন্তুষ্ট।
৮ ঘণ্টা আগে
১৯৯৭ সালের ২ ডিসেম্বর স্বাক্ষরিত হয় পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তি। সেই চুক্তির বয়স ২৮ বছর হলেও আজও পূর্ণভাবে বাস্তবায়িত হয়নি চুক্তিটি। চুক্তি অনুযায়ী রাঙামাটি, খাগড়াছড়ি, বান্দরবান জেলা পরিচালিত হবে পার্বত্য চুক্তির আলোকে। চুক্তির আলোকে গঠিত হয় পার্বত্য চট্টগ্রামবিষয়ক মন্ত্রণালয় ও পার্বত্য চট্টগ্রাম আঞ্চ
৮ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস এবং অন্তর্বর্তী সরকারের প্রতি বাংলাদেশের মানুষ ব্যাপক আস্থা প্রকাশ করেছেন। মার্কিন ফেডারেল সরকারের অর্থায়নে রিপাবলিকান পার্টি-ঘনিষ্ঠ অলাভজনক প্রতিষ্ঠান ইন্টারন্যাশনাল রিপাবলিকান ইনস্টিটিউট (আইআরআই) এক জরিপের ভিত্তিতে এই তথ্য জানিয়েছে।
ইন্টারন্যাশনাল রিপাবলিকান ইনস্টিটিউটের সেন্টার ফর ইনসাইটস ইন সার্ভে রিসার্চের পক্ষে জরিপটি পরিচালনা করেছে একটি স্থানীয় গবেষণা প্রতিষ্ঠান। ২০২৫ সালের ১৩ সেপ্টেম্বর থেকে ১২ অক্টোবর পর্যন্ত তথ্য সংগ্রহ করা হয়। সাক্ষাৎকার নেওয়া হয় সিএপিআই পদ্ধতিতে সরাসরি উপস্থিত হয়ে।
এই জরিপে ৪ হাজার ৯৮৫ জনের সাক্ষাৎকার নেওয়া হয়, যাঁদের বয়স ১৮ বছর বা তার বেশি। বাংলাদেশের আটটি বিভাগের ৬৪ জেলার মধ্যে ৬৩ জেলা থেকে সংগ্রহ করা হয়। রাঙামাটি জেলা থেকে কোনো নমুনা বাছাই করা হয়নি। জরিপকারীদের দাবি, এই জরিপের আস্থার পরিমাণ ৯৫ শতাংশ। তবে আরও নিশ্চয়তার ভিত্তিতে ১ দশমিক ৪ শতাংশ এদিক-সেদিক হতে পারে।
এই জরিপে অংশগ্রহণকারীদের ৬৯ শতাংশ বলেছেন, ড. ইউনূস ভালো কাজ করছেন। আর ৭০ শতাংশ জানিয়েছেন, তাঁরা অন্তর্বর্তী সরকারের কর্মকাণ্ডে সন্তুষ্ট।
আইআরআই এশিয়া-প্যাসিফিক অঞ্চলের সিনিয়র পরিচালক জোহান্না কাও বলেন, ‘স্পষ্টভাবে বোঝা যাচ্ছে ড. ইউনূসের নেতৃত্বে মানুষ অগ্রগতির সম্ভাবনা দেখছেন। তাঁর এবং অন্তর্বর্তী সরকারের প্রতি জনগণের এই আস্থা স্থিতিশীলতা, জবাবদিহি ও সংস্কারের ব্যাপক প্রত্যাশা তুলে ধরে।’
জরিপে দেখা যায়, আসন্ন জাতীয় নির্বাচন নিয়ে ভোটারদের আগ্রহও অনেক। ভোট দিতে খুবই আগ্রহী বলে জানিয়েছে ৬৬ শতাংশ ভোটার। আর ২৩ শতাংশ ‘কিছুটা আগ্রহী’ বলে জানিয়েছেন। এ ছাড়া নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠু হবে বলে বিশ্বাস করেন জরিপে অংশ নেওয়া ৮০ শতাংশ লোক।
কাও আরও বলেন, ‘বাংলাদেশিদের এই উৎসাহ-উদ্দীপনা প্রমাণ করে সংস্কার প্রক্রিয়া ধরে রাখা এবং নির্বাচনকে বিশ্বাসযোগ্য ও শান্তিপূর্ণ করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আইআরআই নিয়মিতভাবে বাংলাদেশে জনমত জরিপ পরিচালনা করে। নীতিমালা, রাজনীতি ও শাসনব্যবস্থা সম্পর্কে জনগণের দৃষ্টিভঙ্গি বোঝার জন্য সংস্থাটি থেকে এই জরিপ করা হয়।
আসন্ন নির্বাচন ঘিরে প্রতিষ্ঠানটি দায়িত্বশীল ও ইস্যুভিত্তিক রাজনৈতিক সম্পৃক্ততা বাড়ানোর কাজ করছে।

প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস এবং অন্তর্বর্তী সরকারের প্রতি বাংলাদেশের মানুষ ব্যাপক আস্থা প্রকাশ করেছেন। মার্কিন ফেডারেল সরকারের অর্থায়নে রিপাবলিকান পার্টি-ঘনিষ্ঠ অলাভজনক প্রতিষ্ঠান ইন্টারন্যাশনাল রিপাবলিকান ইনস্টিটিউট (আইআরআই) এক জরিপের ভিত্তিতে এই তথ্য জানিয়েছে।
ইন্টারন্যাশনাল রিপাবলিকান ইনস্টিটিউটের সেন্টার ফর ইনসাইটস ইন সার্ভে রিসার্চের পক্ষে জরিপটি পরিচালনা করেছে একটি স্থানীয় গবেষণা প্রতিষ্ঠান। ২০২৫ সালের ১৩ সেপ্টেম্বর থেকে ১২ অক্টোবর পর্যন্ত তথ্য সংগ্রহ করা হয়। সাক্ষাৎকার নেওয়া হয় সিএপিআই পদ্ধতিতে সরাসরি উপস্থিত হয়ে।
এই জরিপে ৪ হাজার ৯৮৫ জনের সাক্ষাৎকার নেওয়া হয়, যাঁদের বয়স ১৮ বছর বা তার বেশি। বাংলাদেশের আটটি বিভাগের ৬৪ জেলার মধ্যে ৬৩ জেলা থেকে সংগ্রহ করা হয়। রাঙামাটি জেলা থেকে কোনো নমুনা বাছাই করা হয়নি। জরিপকারীদের দাবি, এই জরিপের আস্থার পরিমাণ ৯৫ শতাংশ। তবে আরও নিশ্চয়তার ভিত্তিতে ১ দশমিক ৪ শতাংশ এদিক-সেদিক হতে পারে।
এই জরিপে অংশগ্রহণকারীদের ৬৯ শতাংশ বলেছেন, ড. ইউনূস ভালো কাজ করছেন। আর ৭০ শতাংশ জানিয়েছেন, তাঁরা অন্তর্বর্তী সরকারের কর্মকাণ্ডে সন্তুষ্ট।
আইআরআই এশিয়া-প্যাসিফিক অঞ্চলের সিনিয়র পরিচালক জোহান্না কাও বলেন, ‘স্পষ্টভাবে বোঝা যাচ্ছে ড. ইউনূসের নেতৃত্বে মানুষ অগ্রগতির সম্ভাবনা দেখছেন। তাঁর এবং অন্তর্বর্তী সরকারের প্রতি জনগণের এই আস্থা স্থিতিশীলতা, জবাবদিহি ও সংস্কারের ব্যাপক প্রত্যাশা তুলে ধরে।’
জরিপে দেখা যায়, আসন্ন জাতীয় নির্বাচন নিয়ে ভোটারদের আগ্রহও অনেক। ভোট দিতে খুবই আগ্রহী বলে জানিয়েছে ৬৬ শতাংশ ভোটার। আর ২৩ শতাংশ ‘কিছুটা আগ্রহী’ বলে জানিয়েছেন। এ ছাড়া নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠু হবে বলে বিশ্বাস করেন জরিপে অংশ নেওয়া ৮০ শতাংশ লোক।
কাও আরও বলেন, ‘বাংলাদেশিদের এই উৎসাহ-উদ্দীপনা প্রমাণ করে সংস্কার প্রক্রিয়া ধরে রাখা এবং নির্বাচনকে বিশ্বাসযোগ্য ও শান্তিপূর্ণ করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আইআরআই নিয়মিতভাবে বাংলাদেশে জনমত জরিপ পরিচালনা করে। নীতিমালা, রাজনীতি ও শাসনব্যবস্থা সম্পর্কে জনগণের দৃষ্টিভঙ্গি বোঝার জন্য সংস্থাটি থেকে এই জরিপ করা হয়।
আসন্ন নির্বাচন ঘিরে প্রতিষ্ঠানটি দায়িত্বশীল ও ইস্যুভিত্তিক রাজনৈতিক সম্পৃক্ততা বাড়ানোর কাজ করছে।

দীর্ঘ ১২ বছর চরম দুর্ভোগ দেওয়া বাস র্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) প্রকল্প আপাতত অসমাপ্তই থাকছে। ঢাকার বিমানবন্দর থেকে গাজীপুর পর্যন্ত বিশেষ বাস চলাচলের জন্য নির্মাণ করা বিশেষ এই করিডর হয়ে যাচ্ছে সাধারণ যানবাহনের জন্য চার লেনের সড়ক।
১২ অক্টোবর ২০২৫
আগামী সপ্তাহে জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হলে ৩০ শতাংশ ভোটার বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল-বিএনপিকে ভোট দেবেন। জামায়াতে ইসলামীকে ভোট দেবেন ২৬ শতাংশ ভোটার। অর্থাৎ দুই দলের মধ্যে ব্যবধান মাত্র ৪ শতাংশ। মার্কিন ফেডারেল সরকারের অর্থায়নে রিপাবলিকান পার্টি-ঘনিষ্ঠ অলাভজনক প্রতিষ্ঠান
১ ঘণ্টা আগে
দেশের অন্তর্বর্তী সরকার এবং প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের কার্যক্রম নিয়ে একটি জরিপ চালিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক বেসরকারি সংস্থা ইন্টারন্যাশনাল রিপাবলিকান ইনস্টিটিউটের (আইআরআই) সেন্টার ফর রাইটস। এই জরিপে উঠে এসেছে, ৬৯ শতাংশ মানুষ প্রধান উপদেষ্টার কাজে সন্তুষ্ট।
৮ ঘণ্টা আগে
১৯৯৭ সালের ২ ডিসেম্বর স্বাক্ষরিত হয় পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তি। সেই চুক্তির বয়স ২৮ বছর হলেও আজও পূর্ণভাবে বাস্তবায়িত হয়নি চুক্তিটি। চুক্তি অনুযায়ী রাঙামাটি, খাগড়াছড়ি, বান্দরবান জেলা পরিচালিত হবে পার্বত্য চুক্তির আলোকে। চুক্তির আলোকে গঠিত হয় পার্বত্য চট্টগ্রামবিষয়ক মন্ত্রণালয় ও পার্বত্য চট্টগ্রাম আঞ্চ
৮ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

আগামী সপ্তাহে জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হলে ৩০ শতাংশ ভোটার বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল-বিএনপিকে ভোট দেবেন। জামায়াতে ইসলামীকে ভোট দেবেন ২৬ শতাংশ ভোটার। অর্থাৎ দুই দলের মধ্যে ব্যবধান মাত্র ৪ শতাংশ। মার্কিন ফেডারেল সরকারের অর্থায়নে রিপাবলিকান পার্টি-ঘনিষ্ঠ অলাভজনক প্রতিষ্ঠান ইন্টারন্যাশনাল রিপাবলিকান ইনস্টিটিউটের (আইআরআই) এক জরিপের ভিত্তিতে এই তথ্য জানিয়েছে।
ইন্টারন্যাশনাল রিপাবলিকান ইনস্টিটিউটের সেন্টার ফর ইনসাইটস ইন সার্ভে রিসার্চের পক্ষে জরিপটি পরিচালনা করেছে একটি স্থানীয় গবেষণা প্রতিষ্ঠান। ২০২৫ সালের ১৩ সেপ্টেম্বর থেকে ১২ অক্টোবর পর্যন্ত তথ্য সংগ্রহ করা হয়। সাক্ষাৎকার নেওয়া হয় সিএপিআই পদ্ধতিতে সরাসরি উপস্থিত হয়ে।
এই জরিপে ৪ হাজার ৯৮৫ জনের সাক্ষাৎকার নেওয়া হয়, যাঁদের বয়স ১৮ বছর বা তার বেশি। বাংলাদেশের আটটি বিভাগের ৬৪ জেলার মধ্যে ৬৩ জেলা থেকে নমুনা সংগ্রহ করা হয়। রাঙামাটি জেলা থেকে কোনো নমুনা বাছাই করা হয়নি। জরিপকারীদের দাবি, এই জরিপের আস্থার পরিমাণ ৯৫ শতাংশ। তবে আরও নিশ্চয়তার ভিত্তিতে ১ দশমিক ৪ শতাংশ এদিক-সেদিক হতে পারে।
জরিপ অনুসারে, একই শর্তে, অর্থাৎ আগামী সপ্তাহে জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হলে জাতীয় নাগরিক পার্টিকে (এনসিপি) ভোট দেবেন ৬ শতাংশ ভোটার। জাতীয় পার্টিকে ভোট দেবেন ৫ শতাংশ ভোটার এবং ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশকে ভোট দেবেন ৪ শতাংশ ভোটার। এবং অন্যান্য দলকে ভোট দেবেন ৮ শতাংশ ভোটার।
বিশ্লেষকেরা বলছেন, জরিপ অনুসারে সমর্থন বিচারে প্রধান দুই দল বিএনপি এবং জামায়াতে ইসলামীর মধ্যে ব্যবধান কম থাকায় ছোট দলগুলো ‘গেম চেঞ্জার’ হিসেবে আবির্ভূত হতে পারে। বিশেষ করে এনসিপি, জাতীয় পার্টি এবং ইসলামী আন্দোলনের পক্ষে যেকোনো একদিকে নির্বাচনী জোটের পাল্লা ভারী করে দেওয়ার সুযোগ আছে। তবে ফার্স্ট পাস্ট দ্য পোস্ট সিস্টেম, অর্থাৎ যে বেশি ভোট পাবে সে জিতবে পদ্ধতিতে নির্বাচন হওয়ায় অনেক সময় জনসমর্থন কাছাকাছি হলেও কোনো একটি দল নির্বাচনে বেশি আসন লাভ করতে পারে।

আগামী সপ্তাহে জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হলে ৩০ শতাংশ ভোটার বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল-বিএনপিকে ভোট দেবেন। জামায়াতে ইসলামীকে ভোট দেবেন ২৬ শতাংশ ভোটার। অর্থাৎ দুই দলের মধ্যে ব্যবধান মাত্র ৪ শতাংশ। মার্কিন ফেডারেল সরকারের অর্থায়নে রিপাবলিকান পার্টি-ঘনিষ্ঠ অলাভজনক প্রতিষ্ঠান ইন্টারন্যাশনাল রিপাবলিকান ইনস্টিটিউটের (আইআরআই) এক জরিপের ভিত্তিতে এই তথ্য জানিয়েছে।
ইন্টারন্যাশনাল রিপাবলিকান ইনস্টিটিউটের সেন্টার ফর ইনসাইটস ইন সার্ভে রিসার্চের পক্ষে জরিপটি পরিচালনা করেছে একটি স্থানীয় গবেষণা প্রতিষ্ঠান। ২০২৫ সালের ১৩ সেপ্টেম্বর থেকে ১২ অক্টোবর পর্যন্ত তথ্য সংগ্রহ করা হয়। সাক্ষাৎকার নেওয়া হয় সিএপিআই পদ্ধতিতে সরাসরি উপস্থিত হয়ে।
এই জরিপে ৪ হাজার ৯৮৫ জনের সাক্ষাৎকার নেওয়া হয়, যাঁদের বয়স ১৮ বছর বা তার বেশি। বাংলাদেশের আটটি বিভাগের ৬৪ জেলার মধ্যে ৬৩ জেলা থেকে নমুনা সংগ্রহ করা হয়। রাঙামাটি জেলা থেকে কোনো নমুনা বাছাই করা হয়নি। জরিপকারীদের দাবি, এই জরিপের আস্থার পরিমাণ ৯৫ শতাংশ। তবে আরও নিশ্চয়তার ভিত্তিতে ১ দশমিক ৪ শতাংশ এদিক-সেদিক হতে পারে।
জরিপ অনুসারে, একই শর্তে, অর্থাৎ আগামী সপ্তাহে জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হলে জাতীয় নাগরিক পার্টিকে (এনসিপি) ভোট দেবেন ৬ শতাংশ ভোটার। জাতীয় পার্টিকে ভোট দেবেন ৫ শতাংশ ভোটার এবং ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশকে ভোট দেবেন ৪ শতাংশ ভোটার। এবং অন্যান্য দলকে ভোট দেবেন ৮ শতাংশ ভোটার।
বিশ্লেষকেরা বলছেন, জরিপ অনুসারে সমর্থন বিচারে প্রধান দুই দল বিএনপি এবং জামায়াতে ইসলামীর মধ্যে ব্যবধান কম থাকায় ছোট দলগুলো ‘গেম চেঞ্জার’ হিসেবে আবির্ভূত হতে পারে। বিশেষ করে এনসিপি, জাতীয় পার্টি এবং ইসলামী আন্দোলনের পক্ষে যেকোনো একদিকে নির্বাচনী জোটের পাল্লা ভারী করে দেওয়ার সুযোগ আছে। তবে ফার্স্ট পাস্ট দ্য পোস্ট সিস্টেম, অর্থাৎ যে বেশি ভোট পাবে সে জিতবে পদ্ধতিতে নির্বাচন হওয়ায় অনেক সময় জনসমর্থন কাছাকাছি হলেও কোনো একটি দল নির্বাচনে বেশি আসন লাভ করতে পারে।

দীর্ঘ ১২ বছর চরম দুর্ভোগ দেওয়া বাস র্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) প্রকল্প আপাতত অসমাপ্তই থাকছে। ঢাকার বিমানবন্দর থেকে গাজীপুর পর্যন্ত বিশেষ বাস চলাচলের জন্য নির্মাণ করা বিশেষ এই করিডর হয়ে যাচ্ছে সাধারণ যানবাহনের জন্য চার লেনের সড়ক।
১২ অক্টোবর ২০২৫
প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস এবং অন্তর্বর্তী সরকারের প্রতি বাংলাদেশের মানুষ ব্যাপক আস্থা প্রকাশ করেছেন। মার্কিন ফেডারেল সরকারের অর্থায়নে রিপাবলিকান পার্টি-ঘনিষ্ঠ অলাভজনক প্রতিষ্ঠান ইন্টারন্যাশনাল রিপাবলিকান ইনস্টিটিউট (আইআরআই) এক জরিপের ভিত্তিতে এই তথ্য জানিয়েছে।
১ ঘণ্টা আগে
দেশের অন্তর্বর্তী সরকার এবং প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের কার্যক্রম নিয়ে একটি জরিপ চালিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক বেসরকারি সংস্থা ইন্টারন্যাশনাল রিপাবলিকান ইনস্টিটিউটের (আইআরআই) সেন্টার ফর রাইটস। এই জরিপে উঠে এসেছে, ৬৯ শতাংশ মানুষ প্রধান উপদেষ্টার কাজে সন্তুষ্ট।
৮ ঘণ্টা আগে
১৯৯৭ সালের ২ ডিসেম্বর স্বাক্ষরিত হয় পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তি। সেই চুক্তির বয়স ২৮ বছর হলেও আজও পূর্ণভাবে বাস্তবায়িত হয়নি চুক্তিটি। চুক্তি অনুযায়ী রাঙামাটি, খাগড়াছড়ি, বান্দরবান জেলা পরিচালিত হবে পার্বত্য চুক্তির আলোকে। চুক্তির আলোকে গঠিত হয় পার্বত্য চট্টগ্রামবিষয়ক মন্ত্রণালয় ও পার্বত্য চট্টগ্রাম আঞ্চ
৮ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

দেশের অন্তর্বর্তী সরকার এবং প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের কার্যক্রম নিয়ে একটি জরিপ চালিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক বেসরকারি সংস্থা ইন্টারন্যাশনাল রিপাবলিকান ইনস্টিটিউটের (আইআরআই) সেন্টার ফর রাইটস। এই জরিপে উঠে এসেছে, ৬৯ শতাংশ মানুষ প্রধান উপদেষ্টার কাজে সন্তুষ্ট। আর ৭০ শতাংশ মানুষ অন্তর্বর্তী সরকারের কাজে সন্তুষ্ট।
গতকাল সোমবার এই নিয়ে একটি প্রতিবেদন আইআরআইয়ের ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হয়েছে। আইআরআইয়ের চালানো এই জরিপে আরও বেশ কিছু বিষয় উঠে এসেছে। এতে বলা হয়েছে, বাংলাদেশের মানুষ আসন্ন জাতীয় নির্বাচনের জন্য আগ্রহ নিয়ে করছেন। ৬৬ নাগরিক জানিয়েছেন, তাঁরা এই নির্বাচনে ভোট দেওয়ার বিষয়ে বেশি আগ্রহী। ২৩ শতাংশ নাগরিকের ভোট দেওয়ার খানিকটা আগ্রহ রয়েছে। আর ৮০ শতাংশ মানুষ মনে করছেন, এবারের নির্বাচন সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ হবে।
এ প্রসঙ্গে আইআরআইয়ের এশিয়া-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের পরিচালক জোহান্না খাও বলেন, এটা পরিষ্কার যে ড. ইউনূসের নেতৃত্বে বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে। তাঁর এবং অন্তর্বর্তী সরকারের প্রতি জনগণের আস্থা দেশের স্থিতিশীলতা, জবাবদিহি ও সংস্কারের জন্য ব্যাপক আকাঙ্ক্ষারই প্রতিফলন।
আইআরআই জানিয়েছে, গত ১৩ সেপ্টেম্বর থেকে ১২ অক্টোবর পর্যন্ত এই জরিপ চালানো হয়েছে। রাঙামাটি বাদে অর্থাৎ ৬৩ জেলায় এই জরিপ চালানো হয়েছে। ৪ হাজার ৯৮৫ জন প্রাপ্তবয়স্ক এই জরিপে অংশ নিয়েছেন। জরিপে অংশ নেওয়াদের মধ্যে ২ হাজার ৪১০ জন পুরুষ এবং ২ হাজার ৫৭৫ জন নারী। জরিপে শহর ও নগর এলাকার ১ হাজার ৫৭৭ জন এবং প্রান্তিক এলাকার ৩ হাজার ৪০৮ জন অংশ নিয়েছেন।

দেশের অন্তর্বর্তী সরকার এবং প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের কার্যক্রম নিয়ে একটি জরিপ চালিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক বেসরকারি সংস্থা ইন্টারন্যাশনাল রিপাবলিকান ইনস্টিটিউটের (আইআরআই) সেন্টার ফর রাইটস। এই জরিপে উঠে এসেছে, ৬৯ শতাংশ মানুষ প্রধান উপদেষ্টার কাজে সন্তুষ্ট। আর ৭০ শতাংশ মানুষ অন্তর্বর্তী সরকারের কাজে সন্তুষ্ট।
গতকাল সোমবার এই নিয়ে একটি প্রতিবেদন আইআরআইয়ের ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হয়েছে। আইআরআইয়ের চালানো এই জরিপে আরও বেশ কিছু বিষয় উঠে এসেছে। এতে বলা হয়েছে, বাংলাদেশের মানুষ আসন্ন জাতীয় নির্বাচনের জন্য আগ্রহ নিয়ে করছেন। ৬৬ নাগরিক জানিয়েছেন, তাঁরা এই নির্বাচনে ভোট দেওয়ার বিষয়ে বেশি আগ্রহী। ২৩ শতাংশ নাগরিকের ভোট দেওয়ার খানিকটা আগ্রহ রয়েছে। আর ৮০ শতাংশ মানুষ মনে করছেন, এবারের নির্বাচন সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ হবে।
এ প্রসঙ্গে আইআরআইয়ের এশিয়া-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের পরিচালক জোহান্না খাও বলেন, এটা পরিষ্কার যে ড. ইউনূসের নেতৃত্বে বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে। তাঁর এবং অন্তর্বর্তী সরকারের প্রতি জনগণের আস্থা দেশের স্থিতিশীলতা, জবাবদিহি ও সংস্কারের জন্য ব্যাপক আকাঙ্ক্ষারই প্রতিফলন।
আইআরআই জানিয়েছে, গত ১৩ সেপ্টেম্বর থেকে ১২ অক্টোবর পর্যন্ত এই জরিপ চালানো হয়েছে। রাঙামাটি বাদে অর্থাৎ ৬৩ জেলায় এই জরিপ চালানো হয়েছে। ৪ হাজার ৯৮৫ জন প্রাপ্তবয়স্ক এই জরিপে অংশ নিয়েছেন। জরিপে অংশ নেওয়াদের মধ্যে ২ হাজার ৪১০ জন পুরুষ এবং ২ হাজার ৫৭৫ জন নারী। জরিপে শহর ও নগর এলাকার ১ হাজার ৫৭৭ জন এবং প্রান্তিক এলাকার ৩ হাজার ৪০৮ জন অংশ নিয়েছেন।

দীর্ঘ ১২ বছর চরম দুর্ভোগ দেওয়া বাস র্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) প্রকল্প আপাতত অসমাপ্তই থাকছে। ঢাকার বিমানবন্দর থেকে গাজীপুর পর্যন্ত বিশেষ বাস চলাচলের জন্য নির্মাণ করা বিশেষ এই করিডর হয়ে যাচ্ছে সাধারণ যানবাহনের জন্য চার লেনের সড়ক।
১২ অক্টোবর ২০২৫
প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস এবং অন্তর্বর্তী সরকারের প্রতি বাংলাদেশের মানুষ ব্যাপক আস্থা প্রকাশ করেছেন। মার্কিন ফেডারেল সরকারের অর্থায়নে রিপাবলিকান পার্টি-ঘনিষ্ঠ অলাভজনক প্রতিষ্ঠান ইন্টারন্যাশনাল রিপাবলিকান ইনস্টিটিউট (আইআরআই) এক জরিপের ভিত্তিতে এই তথ্য জানিয়েছে।
১ ঘণ্টা আগে
আগামী সপ্তাহে জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হলে ৩০ শতাংশ ভোটার বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল-বিএনপিকে ভোট দেবেন। জামায়াতে ইসলামীকে ভোট দেবেন ২৬ শতাংশ ভোটার। অর্থাৎ দুই দলের মধ্যে ব্যবধান মাত্র ৪ শতাংশ। মার্কিন ফেডারেল সরকারের অর্থায়নে রিপাবলিকান পার্টি-ঘনিষ্ঠ অলাভজনক প্রতিষ্ঠান
১ ঘণ্টা আগে
১৯৯৭ সালের ২ ডিসেম্বর স্বাক্ষরিত হয় পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তি। সেই চুক্তির বয়স ২৮ বছর হলেও আজও পূর্ণভাবে বাস্তবায়িত হয়নি চুক্তিটি। চুক্তি অনুযায়ী রাঙামাটি, খাগড়াছড়ি, বান্দরবান জেলা পরিচালিত হবে পার্বত্য চুক্তির আলোকে। চুক্তির আলোকে গঠিত হয় পার্বত্য চট্টগ্রামবিষয়ক মন্ত্রণালয় ও পার্বত্য চট্টগ্রাম আঞ্চ
৮ ঘণ্টা আগেহিমেল চাকমা, রাঙামাটি

১৯৯৭ সালের ২ ডিসেম্বর স্বাক্ষরিত হয় পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তি। সেই চুক্তির বয়স ২৮ বছর হলেও আজও পূর্ণভাবে বাস্তবায়িত হয়নি চুক্তিটি। চুক্তি অনুযায়ী রাঙামাটি, খাগড়াছড়ি, বান্দরবান জেলা পরিচালিত হবে পার্বত্য চুক্তির আলোকে। চুক্তির আলোকে গঠিত হয় পার্বত্য চট্টগ্রামবিষয়ক মন্ত্রণালয় ও পার্বত্য চট্টগ্রাম আঞ্চলিক পরিষদ। সংশোধন করা হয় তিন পার্বত্য (রাঙামাটি, খাগড়াছড়ি, বান্দরবান) জেলা পরিষদ।
চুক্তিতে উল্লেখ আছে, তিন পার্বত্য জেলার স্থায়ী বাসিন্দাদের প্রত্যক্ষ ভোটে নির্বাচিত হবেন তিন পার্বত্য জেলা পরিষদের একজন করে চেয়ারম্যান এবং ৩৩ জন করে সদস্য। নির্বাচিত জেলা পরিষদের সদস্যদের প্রত্যক্ষ ভোটে নির্বাচিত হবেন পার্বত্য চট্টগ্রাম আঞ্চলিক পরিষদের একজন চেয়ারম্যান এবং ২২ জন সদস্য। ২৫ সদস্যের আঞ্চলিক পরিষদে পদাধিকারবলে সদস্য হবেন তিন পার্বত্য জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান।
পার্বত্য জেলা পরিষদগুলোর সব কার্যক্রম সমন্বয় করে পার্বত্য চট্টগ্রামবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে সমন্বয় করবে আঞ্চলিক পরিষদ। জেলা ও আঞ্চলিক পরিষদের পক্ষ হয়ে অন্যান্য মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে সমন্বয় করবে পার্বত্য মন্ত্রণালয়। পার্বত্য চুক্তির আলোকে তিন পার্বত্য জেলা পরিষদের কাছে শিক্ষা, স্বাস্থ্য, কৃষি, মৎস্য, প্রাণিসম্পদ, সমবায়, ক্রীড়া, সংস্কৃতি ইত্যাদি ২৮টির বেশি দপ্তর হস্তান্তর করা হয়। যেগুলো আগে জেলা প্রশাসকের নিয়ন্ত্রণে ছিল।
পার্বত্য চুক্তিমতে, জেলা পুলিশ এবং ভূমি দপ্তরটি জেলা পরিষদে হস্তান্তরের কথা থাকলেও এখনো তা হয়নি। স্থানীয় বাসিন্দাদের ভোটার তালিকা চূড়ান্ত করে পার্বত্য জেলা পরিষদগুলোর নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা থাকলেও চুক্তির ২৮ বছরে তা করা হয়নি। যে সরকার আসে, সেই সরকারের মনোনীত ব্যক্তিদের দিয়ে চালানো হচ্ছে অন্তর্বর্তীকালীন জেলা পরিষদ। ফলে এসব সদস্যের কাছে সাধারণ মানুষের দাবিদাওয়ার চেয়ে দলীয় দাবিদাওয়া গুরুত্বপূর্ণ হয়ে যায়।
রাঙামাটি জেলা পরিষদের সদস্য হাবিব আজম বলেন, ‘জেলা পরিষদগুলো শক্তিশালী নয়। শক্তিশালী করতে হলে নির্বাচনটা জরুরি। ৩৪ সদস্য কাঠামোর জেলা পরিষদ চলছে মাত্র ১৫ জন দিয়ে। এটি যথেষ্ট নয়। আমরা নির্বাচিত সদস্য না হওয়ায় সিদ্ধান্ত নিতে অনেক কিছু ভাবতে হয়। পাহাড়ের সমস্যা সমাধানে আমাদের ভাবতে হবে।’
পার্বত্য চট্টগ্রামের রাজনৈতিক বিশ্লেষক ও গবেষক তনয় দেওয়ান বলেন, ‘শিক্ষিত ও মধ্যবিত্ত শ্রেণির ক্ষমতার দ্বন্দ্বে পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তির বিভিন্ন সংকট বিরাজমান রয়েছে। প্রকৃত বঞ্চিত অংশকে ক্ষমতায়ন করা হলে পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তির সুফল পাওয়া যাবে। না হলে এই সংকট যুগ যুগ ধরে চলমান থাকবে।’
এদিকে চুক্তি বাস্তবায়নে দেরি হওয়ায় এর অস্তিত্ব নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন অনেকে। পার্বত্য চুক্তির বৈধতার চ্যালেঞ্জ করে ২০০০ সালে মো. বদিউজ্জামান এবং ২০০৭ সালে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মো. তাজুল ইসলাম পৃথক রিট আবেদন করেন। এ দুটি রিট আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ২০১০ সালে ১২ ও ১৩ এপ্রিল হাইকোর্ট পার্বত্য চট্টগ্রাম আঞ্চলিক পরিষদ আইনকে অসাংবিধানিক ঘোষণা করেন। পরে হাইকোর্টের এ রায়ের বিরুদ্ধে সরকার ২০১০ সালেই আপিলের জন্য আবেদন করলে আপিল বিভাগ ২০১১ সালের ৩ মার্চ আপিল বিভাগ সরকারের আপিলের অনুমতি গ্রহণ করেন। এরপর থেকে এটি আপিল বিভাগে বিচারাধীন।
সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী নিকোলাস চাকমা বলেন, ‘হাইকোর্ট চুক্তিকে বৈধ বলেছেন, অপরদিকে আঞ্চলিক পরিষদকে সংবিধানের সঙ্গে সাংঘর্ষিক বলেছেন। এ রায় আমাদের ভাবিয়ে তুলেছে। হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে সরকার আপিল করেছে। এখন আপিল বিভাগ যেকোনো সময় রায় দিতে পারেন। এটি চুক্তির পক্ষে বা বিপক্ষেও যেতে পারে। এই অবস্থায় ভবিষ্যতে পার্বত্য চুক্তি কোথায় গিয়ে দাঁড়ায়, সেটা দেখার বিষয়।’
১৯৯৮ সালে পার্বত্য জেলা পরিষদ ৫ সদস্যবিশিষ্ট থাকলেও ২০১৫ সালে এর পরিধি বাড়িয়ে করা হয় ১৫ সদস্য; যা বর্তমানেও বিদ্যমান রয়েছে।
১৯৭৫ পরবর্তী বিভিন্ন সময় সরকার সমতল অঞ্চল থেকে বাঙালি এনে বসতি নির্মাণের কারণে যে ভূমি বিরোধ সৃষ্টি হয়, তা নিরসনে করা হয় পার্বত্য চট্টগ্রাম ভূমি বিরোধ নিষ্পত্তি কমিশন আইন, ২০০১। পরে ২০১৬ সালে এটি সংশোধন করা হলেও এই কমিশন নিষ্পত্তি করতে পারেনি কোনো ভূমি বিরোধ।
পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতির কেন্দ্রীয় সহসভাপতি ঊষাতন তালুকদার বলেন, ‘চুক্তি পরবর্তী ২টি দলীয় সরকার এবং দুটি তত্ত্বাবধায়ক সরকার দায়িত্ব পালন করলেও কোনো সরকার রাজনৈতিক সদিচ্ছা নিয়ে এগিয়ে আসেনি। এই সরকার এবং আগামী সরকারের কাছে আমাদের দাবি থাকবে, তারা পার্বত্য চুক্তি বাস্তবায়নে যেন এগিয়ে আসে।’

১৯৯৭ সালের ২ ডিসেম্বর স্বাক্ষরিত হয় পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তি। সেই চুক্তির বয়স ২৮ বছর হলেও আজও পূর্ণভাবে বাস্তবায়িত হয়নি চুক্তিটি। চুক্তি অনুযায়ী রাঙামাটি, খাগড়াছড়ি, বান্দরবান জেলা পরিচালিত হবে পার্বত্য চুক্তির আলোকে। চুক্তির আলোকে গঠিত হয় পার্বত্য চট্টগ্রামবিষয়ক মন্ত্রণালয় ও পার্বত্য চট্টগ্রাম আঞ্চলিক পরিষদ। সংশোধন করা হয় তিন পার্বত্য (রাঙামাটি, খাগড়াছড়ি, বান্দরবান) জেলা পরিষদ।
চুক্তিতে উল্লেখ আছে, তিন পার্বত্য জেলার স্থায়ী বাসিন্দাদের প্রত্যক্ষ ভোটে নির্বাচিত হবেন তিন পার্বত্য জেলা পরিষদের একজন করে চেয়ারম্যান এবং ৩৩ জন করে সদস্য। নির্বাচিত জেলা পরিষদের সদস্যদের প্রত্যক্ষ ভোটে নির্বাচিত হবেন পার্বত্য চট্টগ্রাম আঞ্চলিক পরিষদের একজন চেয়ারম্যান এবং ২২ জন সদস্য। ২৫ সদস্যের আঞ্চলিক পরিষদে পদাধিকারবলে সদস্য হবেন তিন পার্বত্য জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান।
পার্বত্য জেলা পরিষদগুলোর সব কার্যক্রম সমন্বয় করে পার্বত্য চট্টগ্রামবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে সমন্বয় করবে আঞ্চলিক পরিষদ। জেলা ও আঞ্চলিক পরিষদের পক্ষ হয়ে অন্যান্য মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে সমন্বয় করবে পার্বত্য মন্ত্রণালয়। পার্বত্য চুক্তির আলোকে তিন পার্বত্য জেলা পরিষদের কাছে শিক্ষা, স্বাস্থ্য, কৃষি, মৎস্য, প্রাণিসম্পদ, সমবায়, ক্রীড়া, সংস্কৃতি ইত্যাদি ২৮টির বেশি দপ্তর হস্তান্তর করা হয়। যেগুলো আগে জেলা প্রশাসকের নিয়ন্ত্রণে ছিল।
পার্বত্য চুক্তিমতে, জেলা পুলিশ এবং ভূমি দপ্তরটি জেলা পরিষদে হস্তান্তরের কথা থাকলেও এখনো তা হয়নি। স্থানীয় বাসিন্দাদের ভোটার তালিকা চূড়ান্ত করে পার্বত্য জেলা পরিষদগুলোর নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা থাকলেও চুক্তির ২৮ বছরে তা করা হয়নি। যে সরকার আসে, সেই সরকারের মনোনীত ব্যক্তিদের দিয়ে চালানো হচ্ছে অন্তর্বর্তীকালীন জেলা পরিষদ। ফলে এসব সদস্যের কাছে সাধারণ মানুষের দাবিদাওয়ার চেয়ে দলীয় দাবিদাওয়া গুরুত্বপূর্ণ হয়ে যায়।
রাঙামাটি জেলা পরিষদের সদস্য হাবিব আজম বলেন, ‘জেলা পরিষদগুলো শক্তিশালী নয়। শক্তিশালী করতে হলে নির্বাচনটা জরুরি। ৩৪ সদস্য কাঠামোর জেলা পরিষদ চলছে মাত্র ১৫ জন দিয়ে। এটি যথেষ্ট নয়। আমরা নির্বাচিত সদস্য না হওয়ায় সিদ্ধান্ত নিতে অনেক কিছু ভাবতে হয়। পাহাড়ের সমস্যা সমাধানে আমাদের ভাবতে হবে।’
পার্বত্য চট্টগ্রামের রাজনৈতিক বিশ্লেষক ও গবেষক তনয় দেওয়ান বলেন, ‘শিক্ষিত ও মধ্যবিত্ত শ্রেণির ক্ষমতার দ্বন্দ্বে পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তির বিভিন্ন সংকট বিরাজমান রয়েছে। প্রকৃত বঞ্চিত অংশকে ক্ষমতায়ন করা হলে পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তির সুফল পাওয়া যাবে। না হলে এই সংকট যুগ যুগ ধরে চলমান থাকবে।’
এদিকে চুক্তি বাস্তবায়নে দেরি হওয়ায় এর অস্তিত্ব নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন অনেকে। পার্বত্য চুক্তির বৈধতার চ্যালেঞ্জ করে ২০০০ সালে মো. বদিউজ্জামান এবং ২০০৭ সালে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মো. তাজুল ইসলাম পৃথক রিট আবেদন করেন। এ দুটি রিট আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ২০১০ সালে ১২ ও ১৩ এপ্রিল হাইকোর্ট পার্বত্য চট্টগ্রাম আঞ্চলিক পরিষদ আইনকে অসাংবিধানিক ঘোষণা করেন। পরে হাইকোর্টের এ রায়ের বিরুদ্ধে সরকার ২০১০ সালেই আপিলের জন্য আবেদন করলে আপিল বিভাগ ২০১১ সালের ৩ মার্চ আপিল বিভাগ সরকারের আপিলের অনুমতি গ্রহণ করেন। এরপর থেকে এটি আপিল বিভাগে বিচারাধীন।
সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী নিকোলাস চাকমা বলেন, ‘হাইকোর্ট চুক্তিকে বৈধ বলেছেন, অপরদিকে আঞ্চলিক পরিষদকে সংবিধানের সঙ্গে সাংঘর্ষিক বলেছেন। এ রায় আমাদের ভাবিয়ে তুলেছে। হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে সরকার আপিল করেছে। এখন আপিল বিভাগ যেকোনো সময় রায় দিতে পারেন। এটি চুক্তির পক্ষে বা বিপক্ষেও যেতে পারে। এই অবস্থায় ভবিষ্যতে পার্বত্য চুক্তি কোথায় গিয়ে দাঁড়ায়, সেটা দেখার বিষয়।’
১৯৯৮ সালে পার্বত্য জেলা পরিষদ ৫ সদস্যবিশিষ্ট থাকলেও ২০১৫ সালে এর পরিধি বাড়িয়ে করা হয় ১৫ সদস্য; যা বর্তমানেও বিদ্যমান রয়েছে।
১৯৭৫ পরবর্তী বিভিন্ন সময় সরকার সমতল অঞ্চল থেকে বাঙালি এনে বসতি নির্মাণের কারণে যে ভূমি বিরোধ সৃষ্টি হয়, তা নিরসনে করা হয় পার্বত্য চট্টগ্রাম ভূমি বিরোধ নিষ্পত্তি কমিশন আইন, ২০০১। পরে ২০১৬ সালে এটি সংশোধন করা হলেও এই কমিশন নিষ্পত্তি করতে পারেনি কোনো ভূমি বিরোধ।
পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতির কেন্দ্রীয় সহসভাপতি ঊষাতন তালুকদার বলেন, ‘চুক্তি পরবর্তী ২টি দলীয় সরকার এবং দুটি তত্ত্বাবধায়ক সরকার দায়িত্ব পালন করলেও কোনো সরকার রাজনৈতিক সদিচ্ছা নিয়ে এগিয়ে আসেনি। এই সরকার এবং আগামী সরকারের কাছে আমাদের দাবি থাকবে, তারা পার্বত্য চুক্তি বাস্তবায়নে যেন এগিয়ে আসে।’

দীর্ঘ ১২ বছর চরম দুর্ভোগ দেওয়া বাস র্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) প্রকল্প আপাতত অসমাপ্তই থাকছে। ঢাকার বিমানবন্দর থেকে গাজীপুর পর্যন্ত বিশেষ বাস চলাচলের জন্য নির্মাণ করা বিশেষ এই করিডর হয়ে যাচ্ছে সাধারণ যানবাহনের জন্য চার লেনের সড়ক।
১২ অক্টোবর ২০২৫
প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস এবং অন্তর্বর্তী সরকারের প্রতি বাংলাদেশের মানুষ ব্যাপক আস্থা প্রকাশ করেছেন। মার্কিন ফেডারেল সরকারের অর্থায়নে রিপাবলিকান পার্টি-ঘনিষ্ঠ অলাভজনক প্রতিষ্ঠান ইন্টারন্যাশনাল রিপাবলিকান ইনস্টিটিউট (আইআরআই) এক জরিপের ভিত্তিতে এই তথ্য জানিয়েছে।
১ ঘণ্টা আগে
আগামী সপ্তাহে জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হলে ৩০ শতাংশ ভোটার বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল-বিএনপিকে ভোট দেবেন। জামায়াতে ইসলামীকে ভোট দেবেন ২৬ শতাংশ ভোটার। অর্থাৎ দুই দলের মধ্যে ব্যবধান মাত্র ৪ শতাংশ। মার্কিন ফেডারেল সরকারের অর্থায়নে রিপাবলিকান পার্টি-ঘনিষ্ঠ অলাভজনক প্রতিষ্ঠান
১ ঘণ্টা আগে
দেশের অন্তর্বর্তী সরকার এবং প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের কার্যক্রম নিয়ে একটি জরিপ চালিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক বেসরকারি সংস্থা ইন্টারন্যাশনাল রিপাবলিকান ইনস্টিটিউটের (আইআরআই) সেন্টার ফর রাইটস। এই জরিপে উঠে এসেছে, ৬৯ শতাংশ মানুষ প্রধান উপদেষ্টার কাজে সন্তুষ্ট।
৮ ঘণ্টা আগে