Ajker Patrika

দেশে আনা হলো পাইলট নওশাদের মরদেহ

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
আপডেট : ০২ সেপ্টেম্বর ২০২১, ১০: ৫৫
দেশে আনা হলো পাইলট নওশাদের মরদেহ

বিমানের বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের পাইলট ক্যাপ্টেন নওশাদের মরদেহ ঢাকায় পৌঁছেছে। আজ বৃহস্পতিবার সকাল ৯টা ১০ মিনিটে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের বিজি-০২৬ ফ্লাইটে তাঁর মরদেহ ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে এসেছে। এ সময় ক্যাপ্টেন নওশাদের মরদেহে শ্রদ্ধা জানাতে বিমানবন্দরে উপস্থিত হন বেসামরিক বিমান চলাচল ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী মো. মাহবুব আলী ও সচিব মো. মোকাম্মেল হোসেন, বিমানের এমডি ও সিইও ড. আবু সালেহ মোস্তফা কামালসহ বিমান ও মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা। হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের পরিচালক এএইচএম তৌহিদ-উল আহসান আজকের পত্রিকাকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

কাতারের রাজধানী দোহা থেকে যাত্রী নিয়ে দেশে ফেরার পথে বিমানের বোয়িং ৭৩৭-৮০০ মডেলের এয়ারক্রাফট ভারতের নাগপুরে থামে। ওই ফ্লাইটে করে ক্যাপ্টেনের মরদেহ বাংলাদেশে আনা হয়েছে। 

গত ৩০ আগস্ট দুপুরে মারা যান ক্যাপ্টেন নওশাদ। পরে তাঁর মরদেহ নাগপুরের কিংসওয়ে হাসপাতালের মর্চুয়ারিতে রাখা হয়। 

বিমান সূত্র জানিয়েছে, পাইলট নওশাদের মরদেহ এখন উত্তরা পরিবারের কাছে নেওয়া হয়েছে। জোহরের পর বিমানবন্দর এলাকায় বাংলাদেশ বিমান এয়ারলাইনসের  বলাকা ভবনে জানাজা অনুষ্ঠিত হবে।

এ বিষয়ে বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন প্রতিমন্ত্রী মো. মাহবুব আলী বলেন, এই পাইলট এর আগেও বিভিন্ন দুর্যোগপূর্ণ মুহুর্তে তাঁর সক্ষমতা দেখিয়ে যাত্রীদেরকে নিরাপদে অবতরণ করিয়েছেন। উনি আজ আমাদের মধ্যে নেই, আমরা অত্যান্ত শোকাবহ।

ক্যাপ্টেন নওশাদের মরদেহে শ্রদ্ধা জানানো হচ্ছেগত শুক্রবার মধ্য আকাশে বড় ধরনের হার্ট অ্যাটাকের শিকার হন বিজি-২২ ফ্লাইটের ক্যাপ্টেন নওশাদ কাইয়ুম। হার্ট অ্যাটাকের শিকার হওয়ার পরও ফ্লাইটটিকে তিনি দক্ষতার সঙ্গে নিরাপদে জরুরি অবতরণ করাতে সক্ষম হন। বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের যাত্রীবাহী ফ্লাইটটি জরুরি ভারতের নাগপুরে ড. বাবাসাহেব আম্বেদকর আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে জরুরি অবতরণ করে। সেখান থেকে দ্রুত তাঁকে স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানেই নিবিড় পর্যবেক্ষণে (আইসিইউ) রেখে চিকিৎসা চলাকালে গত সোমবার তাঁর মৃত্যু হয়। 

ফ্লাইটে ১২৪ জন যাত্রী ছিল। ক্যাপ্টেন নওশাদের বুদ্ধিমত্তায় সবার জীবন রক্ষা পায়। 

এর আগেও ক্যাপ্টেন নওশাদ তাঁর বুদ্ধি ও কৌশল প্রয়োগ করে ১৪৯ জন যাত্রী, দুই পাইলট আর সাত ক্রুর জীবন বাঁচিয়েছিলেন। বিমান সূত্রে জানা গেছে, নওশাদ ২০১৬ সালের ২২ ডিসেম্বর বাংলাদেশ বিমানের বিজি-১২২ ফ্লাইটে ক্যাপ্টেনের দায়িত্বে ছিলেন। তখন সেই ফ্লাইট মাস্কাট বিমানবন্দর থেকে বোয়িং ৭৩৭-৮০০ উড়োজাহাজ নিয়ে চট্টগ্রামের উদ্দেশে রওনা করেছিল। টেক-অফ করার পর মাস্কাট বিমানবন্দরের কন্ট্রোল টাওয়ার থেকে ক্যাপ্টেন নওশাদকে জানানো হয়, রানওয়েতে টায়ারের কিছু অংশ পাওয়া গেছে, যা সম্ভবত বিমান এয়ারক্রাফটের। 

পাইলট নওশাদ যাত্রীদের নিরাপত্তার কথা ভেবে উড়োজাহাজটি চট্টগ্রামে অবতরণ না করে ঢাকা বিমানবন্দরে জরুরি অবতরণের সিদ্ধান্ত নেন। নওশাদ উড়োজাহাজটি রানওয়ের ওপরে ‍দুবার লো-লেভেলে ফ্লাই করেন। তখন দেখা যায়, উড়োজাহাজের পেছনের দুই নম্বর টায়ারটি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। পরে দক্ষতার সঙ্গে ক্ষতিগ্রস্ত টায়ার ও ল্যান্ডিং গিয়ারসহই নিরাপদে ফ্লাইটটি ঢাকায় অবতরণ করাতে সক্ষম হন ক্যাপ্টেন নওশাদ। 

ক্যাপ্টেন নওশাদকে ২০১৭ সালে আন্তর্জাতিক পাইলট অ্যাসোসিয়েশনের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ক্যাপ্টেন রন অ্যাবেল শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়ে প্রশংসাপত্র পাঠান। 

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

সরকারি টাকায় ব্যক্তিগত সড়ক কার্পেটিং বিচারপতি খিজির হায়াতের, প্রমাণ পেয়েছে দুদক

মামলার আসামিসহ বিএসইসির ২২ কর্মকর্তাকে বরখাস্তের সিদ্ধান্ত

অভিনেতা সিদ্দিককে মারধর করে থানায় সোপর্দ, ছিঁড়ে ফেলা হয় পরনের পোশাক

এনবিআর চেয়ারম্যানের কক্ষের সামনে কর্মকর্তাদের অবস্থান

‘ভারতে ঢুকে’ পাকিস্তানি সেনাদের গুলি, সীমান্তে সংঘাত গড়াল ষষ্ঠ দিনে

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত