নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে একটি চিঠি পাঠিয়েছেন। চিঠিতে তিনি বাংলাদেশি পণ্যের ওপর আরোপিত পাল্টা শুল্ক পুনর্বিবেচনার অনুরোধ জানিয়েছেন। তিনি যুক্তরাষ্ট্রকে বাংলাদেশি পণ্যে শুল্ক আরোপের সিদ্ধান্তটি অন্তত ৯০ দিন স্থগিত রাখার অনুরোধ জানান, যাতে উভয় দেশের বাণিজ্য সুবিধা নিশ্চিত হয়।
আজ সোমবার প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয় এই তথ্য নিশ্চিত করেছে। অধ্যাপক ইউনূস তাঁর চিঠিতে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পকে নিশ্চিত করেছেন, বাংলাদেশ যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্যিক লক্ষ্যপূরণে সর্বাত্মক সহযোগিতা করতে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ।
গত শনিবার বাংলাদেশসহ বিভিন্ন অঞ্চল ও দেশে পাল্টা শুল্ক ঘোষণা করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। গত শনিবার থেকেই সব আমদানি পণ্যে ১০ শতাংশ বেসলাইন শুল্ক কার্যকর করেছে যুক্তরাষ্ট্র। পাল্টা শুল্ক আগামী বুধবার থেকে কার্যকর করার কথা রয়েছে।
বাংলাদেশের পণ্যে পাল্টা ৩৭ শতাংশ শুল্ক আলোপ করেছেন ট্রাম্প। যেখানে যুক্তরাষ্ট্রে বর্তমানে ১৫ শতাংশের বেশি শুল্ক দেয় বাংলাদেশ।
তিনি চিঠিতে উল্লেখ করেন, প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প দায়িত্ব গ্রহণের পরপরই তিনি একজন উচ্চপর্যায়ের প্রতিনিধিকে ওয়াশিংটন ডিসিতে পাঠিয়েছিলেন। এর উদ্দেশ্য ছিল, যুক্তরাষ্ট্রের পণ্যের জন্য ১৭ কোটি মানুষের ক্রমবর্ধমান বাংলাদেশি বাজারে রপ্তানি বৃদ্ধির আগ্রহের কথা জানানো। বাংলাদেশই প্রথম দেশ হিসেবে এই ধরনের ইতিবাচক পদক্ষেপ নিয়েছিল।
অধ্যাপক ইউনূস আরও জানান, বাংলাদেশই প্রথম যুক্তরাষ্ট্র থেকে তরল প্রাকৃতিক গ্যাস (এলএনজি) আমদানির জন্য দীর্ঘমেয়াদি চুক্তিতে আবদ্ধ হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্র এলএনজি রপ্তানির ওপর নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়ার পর থেকে বাংলাদেশ এই খাতে আরও সহযোগিতার পথ খুঁজছে।
তিনি বলেন, তখন থেকেই বাংলাদেশের কর্মকর্তারা যুক্তরাষ্ট্রের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের সঙ্গে মিলে মার্কিন পণ্যের রপ্তানি দ্রুত বাড়ানোর জন্য সুনির্দিষ্ট পদক্ষেপ গ্রহণে কাজ করে যাচ্ছেন। এ-সংক্রান্ত বিস্তারিত কর্মপরিকল্পনা নিয়ে বাংলাদেশের বাণিজ্য উপদেষ্টা যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্য প্রতিনিধি অফিসের সঙ্গে সমন্বয় করবেন।
অধ্যাপক ইউনূস চিঠিতে উল্লেখ করেন, তাঁদের প্রধান লক্ষ্যগুলোর মধ্যে একটি হলো যুক্তরাষ্ট্র থেকে কৃষিপণ্য—বিশেষ করে তুলা, গম, ভুট্টা ও সয়াবিন আমদানি উল্লেখযোগ্য হারে বাড়ানো, যা মার্কিন কৃষকদের আয় ও জীবিকার জন্য সহায়ক হবে। যুক্তরাষ্ট্রের তুলা দ্রুত বাজারে আনার লক্ষ্যে বাংলাদেশে একটি বিশেষ শুল্কমুক্ত সংরক্ষণাগার (বন্ডেড ওয়্যারহাউস) চালু করার কাজ চলছে।
তিনি আরও জানান, দক্ষিণ এশিয়ার মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রের অধিকাংশ পণ্যের ওপর বাংলাদেশে শুল্কহার সবচেয়ে কম। উপর্যুক্ত কৃষিপণ্য এবং স্ক্র্যাপ ধাতুর ওপর শুল্ক শূন্য রাখার অঙ্গীকারও পুনর্ব্যক্ত করেন তিনি। পাশাপাশি গ্যাস টারবাইন, সেমিকন্ডাক্টর এবং চিকিৎসা সরঞ্জামের মতো শীর্ষ মার্কিন রপ্তানি পণ্যের ওপর শুল্ক ৫০ শতাংশ কমানোর কাজ চলছে।
অধ্যাপক ইউনূস বিভিন্ন অশুল্ক বাধা দূর করার জন্য বাংলাদেশ সরকারের নেওয়া পদক্ষেপগুলোর কথাও উল্লেখ করেন। এগুলোর মধ্যে রয়েছে কিছু পরীক্ষার বাধ্যবাধকতা তুলে দেওয়া, প্যাকেজিং, লেবেলিং ও সনদ-সংক্রান্ত নিয়ম সহজতর করা এবং কাস্টমস ও মান নিয়ন্ত্রণসংক্রান্ত প্রক্রিয়া আরও সহজ করা।
তিনি জানান, বাংলাদেশে স্টারলিংক চালুর জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ ইতিমধ্যে সম্পন্ন হয়েছে। এই অগ্রগতি অব্যাহত থাকলে যুক্তরাষ্ট্রের ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানগুলো বাংলাদেশের অ্যাডভান্সড টেকনোলজি, সিভিল এভিয়েশন, প্রতিরক্ষা খাতসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে নতুন সুযোগ তৈরি করতে পারবে।
অধ্যাপক ইউনূস প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পকে আশ্বস্ত করেন যে এই উদ্যোগগুলোর বাস্তবায়ন চলতি ত্রৈমাসিকের মধ্যেই সম্পন্ন করা হবে। এই গুরুত্বপূর্ণ কাজগুলো যুক্তরাষ্ট্রের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সঙ্গে সমন্বয় করে সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করার জন্য তিনি সামান্য সময় প্রার্থনা করেন। তাই তিনি বিনীতভাবে বাংলাদেশি পণ্যের ওপর যুক্তরাষ্ট্রে পাল্টা শুল্ক আরোপের সিদ্ধান্তটি তিন মাসের জন্য স্থগিত রাখার অনুরোধ জানান।
চিঠির শেষে অধ্যাপক ইউনূস প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের সদয় সম্মতি প্রত্যাশা করেন এবং তাঁর প্রতি সর্বোচ্চ শ্রদ্ধা ও কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করেন।
প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে একটি চিঠি পাঠিয়েছেন। চিঠিতে তিনি বাংলাদেশি পণ্যের ওপর আরোপিত পাল্টা শুল্ক পুনর্বিবেচনার অনুরোধ জানিয়েছেন। তিনি যুক্তরাষ্ট্রকে বাংলাদেশি পণ্যে শুল্ক আরোপের সিদ্ধান্তটি অন্তত ৯০ দিন স্থগিত রাখার অনুরোধ জানান, যাতে উভয় দেশের বাণিজ্য সুবিধা নিশ্চিত হয়।
আজ সোমবার প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয় এই তথ্য নিশ্চিত করেছে। অধ্যাপক ইউনূস তাঁর চিঠিতে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পকে নিশ্চিত করেছেন, বাংলাদেশ যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্যিক লক্ষ্যপূরণে সর্বাত্মক সহযোগিতা করতে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ।
গত শনিবার বাংলাদেশসহ বিভিন্ন অঞ্চল ও দেশে পাল্টা শুল্ক ঘোষণা করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। গত শনিবার থেকেই সব আমদানি পণ্যে ১০ শতাংশ বেসলাইন শুল্ক কার্যকর করেছে যুক্তরাষ্ট্র। পাল্টা শুল্ক আগামী বুধবার থেকে কার্যকর করার কথা রয়েছে।
বাংলাদেশের পণ্যে পাল্টা ৩৭ শতাংশ শুল্ক আলোপ করেছেন ট্রাম্প। যেখানে যুক্তরাষ্ট্রে বর্তমানে ১৫ শতাংশের বেশি শুল্ক দেয় বাংলাদেশ।
তিনি চিঠিতে উল্লেখ করেন, প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প দায়িত্ব গ্রহণের পরপরই তিনি একজন উচ্চপর্যায়ের প্রতিনিধিকে ওয়াশিংটন ডিসিতে পাঠিয়েছিলেন। এর উদ্দেশ্য ছিল, যুক্তরাষ্ট্রের পণ্যের জন্য ১৭ কোটি মানুষের ক্রমবর্ধমান বাংলাদেশি বাজারে রপ্তানি বৃদ্ধির আগ্রহের কথা জানানো। বাংলাদেশই প্রথম দেশ হিসেবে এই ধরনের ইতিবাচক পদক্ষেপ নিয়েছিল।
অধ্যাপক ইউনূস আরও জানান, বাংলাদেশই প্রথম যুক্তরাষ্ট্র থেকে তরল প্রাকৃতিক গ্যাস (এলএনজি) আমদানির জন্য দীর্ঘমেয়াদি চুক্তিতে আবদ্ধ হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্র এলএনজি রপ্তানির ওপর নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়ার পর থেকে বাংলাদেশ এই খাতে আরও সহযোগিতার পথ খুঁজছে।
তিনি বলেন, তখন থেকেই বাংলাদেশের কর্মকর্তারা যুক্তরাষ্ট্রের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের সঙ্গে মিলে মার্কিন পণ্যের রপ্তানি দ্রুত বাড়ানোর জন্য সুনির্দিষ্ট পদক্ষেপ গ্রহণে কাজ করে যাচ্ছেন। এ-সংক্রান্ত বিস্তারিত কর্মপরিকল্পনা নিয়ে বাংলাদেশের বাণিজ্য উপদেষ্টা যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্য প্রতিনিধি অফিসের সঙ্গে সমন্বয় করবেন।
অধ্যাপক ইউনূস চিঠিতে উল্লেখ করেন, তাঁদের প্রধান লক্ষ্যগুলোর মধ্যে একটি হলো যুক্তরাষ্ট্র থেকে কৃষিপণ্য—বিশেষ করে তুলা, গম, ভুট্টা ও সয়াবিন আমদানি উল্লেখযোগ্য হারে বাড়ানো, যা মার্কিন কৃষকদের আয় ও জীবিকার জন্য সহায়ক হবে। যুক্তরাষ্ট্রের তুলা দ্রুত বাজারে আনার লক্ষ্যে বাংলাদেশে একটি বিশেষ শুল্কমুক্ত সংরক্ষণাগার (বন্ডেড ওয়্যারহাউস) চালু করার কাজ চলছে।
তিনি আরও জানান, দক্ষিণ এশিয়ার মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রের অধিকাংশ পণ্যের ওপর বাংলাদেশে শুল্কহার সবচেয়ে কম। উপর্যুক্ত কৃষিপণ্য এবং স্ক্র্যাপ ধাতুর ওপর শুল্ক শূন্য রাখার অঙ্গীকারও পুনর্ব্যক্ত করেন তিনি। পাশাপাশি গ্যাস টারবাইন, সেমিকন্ডাক্টর এবং চিকিৎসা সরঞ্জামের মতো শীর্ষ মার্কিন রপ্তানি পণ্যের ওপর শুল্ক ৫০ শতাংশ কমানোর কাজ চলছে।
অধ্যাপক ইউনূস বিভিন্ন অশুল্ক বাধা দূর করার জন্য বাংলাদেশ সরকারের নেওয়া পদক্ষেপগুলোর কথাও উল্লেখ করেন। এগুলোর মধ্যে রয়েছে কিছু পরীক্ষার বাধ্যবাধকতা তুলে দেওয়া, প্যাকেজিং, লেবেলিং ও সনদ-সংক্রান্ত নিয়ম সহজতর করা এবং কাস্টমস ও মান নিয়ন্ত্রণসংক্রান্ত প্রক্রিয়া আরও সহজ করা।
তিনি জানান, বাংলাদেশে স্টারলিংক চালুর জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ ইতিমধ্যে সম্পন্ন হয়েছে। এই অগ্রগতি অব্যাহত থাকলে যুক্তরাষ্ট্রের ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানগুলো বাংলাদেশের অ্যাডভান্সড টেকনোলজি, সিভিল এভিয়েশন, প্রতিরক্ষা খাতসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে নতুন সুযোগ তৈরি করতে পারবে।
অধ্যাপক ইউনূস প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পকে আশ্বস্ত করেন যে এই উদ্যোগগুলোর বাস্তবায়ন চলতি ত্রৈমাসিকের মধ্যেই সম্পন্ন করা হবে। এই গুরুত্বপূর্ণ কাজগুলো যুক্তরাষ্ট্রের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সঙ্গে সমন্বয় করে সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করার জন্য তিনি সামান্য সময় প্রার্থনা করেন। তাই তিনি বিনীতভাবে বাংলাদেশি পণ্যের ওপর যুক্তরাষ্ট্রে পাল্টা শুল্ক আরোপের সিদ্ধান্তটি তিন মাসের জন্য স্থগিত রাখার অনুরোধ জানান।
চিঠির শেষে অধ্যাপক ইউনূস প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের সদয় সম্মতি প্রত্যাশা করেন এবং তাঁর প্রতি সর্বোচ্চ শ্রদ্ধা ও কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করেন।
এবারের নববর্ষের শোভাযাত্রা রাজনৈতিক নয় মন্তব্য করে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের সংস্কৃতি উপদেষ্টা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী বলেছেন, বিগত সময়ে একটি নির্দিষ্ট রাজনৈতিক দল এ শোভাযাত্রাকে প্রতিপক্ষকে ঘায়েল করার জন্য ব্যবহার করেছে। এবার আমরা শুধু ফ্যাসিবাদের মুখাবয়ব ব্যবহার করেছি। এখানে ফ্যাসিস্ট অশুভ শক্তি...
২ ঘণ্টা আগেভোর সোয়া ৬টায় রমনা বটমূলে শিল্পী সুপ্রিয়া দাশের কণ্ঠে ভৈরবী রাগ আলাপের মাধ্যমে ছায়ানটের বর্ষবরণ অনুষ্ঠান শুরু হয়। জাতীয় সংগীত পরিবেশনের মাধ্যমে অনুষ্ঠান শেষ হয় সকাল সাড়ে ৮টার দিকে। অনুষ্ঠান শেষ করার আগে ‘নববর্ষের কথন’ বিষয়ে বক্তব্য দেন ছায়ানটের নির্বাহী সভাপতি সারওয়ার আলী।
৪ ঘণ্টা আগেভোরের নতুন সূর্য ওঠার মাধ্যমে শুরু হয়েছে বাংলা নববর্ষ ১৪৩২। ‘নববর্ষের ঐকতান, ফ্যাসিবাদের অবসান’ প্রতিপাদ্য নিয়ে বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রার মধ্য দিয়ে নববর্ষকে বরণ করে নেওয়া হলো।
৫ ঘণ্টা আগেবাংলা নববর্ষ ১৪৩২ বা পয়লা বৈশাখ উপলক্ষে দেশবাসীর উদ্দেশে শুভেচ্ছা বার্তা দিয়েছেন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস। বার্তায় তিনি বলেছেন, ‘চব্বিশের গণ-অভ্যুত্থান আমাদের সামনে বৈষম্যহীন বাংলাদেশ গড়ে তোলার সুযোগ এনে দিয়েছে। এ সুযোগ যেন আমরা না হারাই...
৬ ঘণ্টা আগে