Ajker Patrika

শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার মামলায় অ্যামিকাস কিউরি নিয়োগ

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ফাইল ছবি
ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ফাইল ছবি

সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জের শাকিল আকন্দ বুলবুল ওরফে মো. শাকিল আলমের বিরুদ্ধে হওয়া আদালত অবমাননার মামলায় অ্যামিকাস কিউরি নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার বিচারপতি মো. গোলাম মর্তূজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল সুপ্রিম কোর্টের জ্যেষ্ঠ আইনজীবী এওয়াই মশিউজ্জামানকে অ্যামিকাস কিউরি (আদালতকে সহায়তাকারী) হিসেবে নিয়োগ দেন।

পরে প্রসিকিউটর গাজী এমএইচ তামিম সাংবাদিকদের বলেন, পূর্ব নির্ধারিত তারিখ অনুযায়ী আজ এ মামলার চূড়ান্ত শুনানি ও আদেশের জন্য দিন ধার্য ছিল। তবে বিচারের স্বচ্ছতার স্বার্থে এ মামলায় অ্যামিকাস কিউরি নিয়োগ দিয়েছেন ট্রাইব্যুনাল। একই সঙ্গে আগামী ২৫ জুন পরবর্তী শুনানির জন্য দিন ধার্য করা হয়েছে।

ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও গাইবান্ধার আওয়ামী লীগ নেতা শাকিল আহমেদের মধ্যে কথোপকথনের অডিও ভাইরাল হলে গত ৩০ এপ্রিল তাঁদের বিষয়ে ব্যাখ্যা চান ট্রাইব্যুনাল। তাঁদের হাজির হয়ে বা আইনজীবীর মাধ্যমে কথোপকথনের বিষয়ে ব্যাখ্যা দিতে বলা হয়েছিল। ২৫ মে হাজির তাঁরা হাজির হননি কিংবা আইনজীবীর মাধ্যমেও ব্যাখ্যা দেননি। পরে দুই আসামি সশরীরে হাজির হয়ে জবাব দেওয়ার জন্য সংবাদপত্রে বিজ্ঞপ্তি দিতে নির্দেশ দেন ট্রাইব্যুনাল। পরদিন দুটি সংবাদপত্রে এই সংক্রান্ত বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হয়। এরপরও তাঁরা হাজির হননি।

এর আগে গত ৩০ এপ্রিল ট্রাইব্যুনালের চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম বলেন, শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে সারা দেশে ২২৬টি মামলা হয়েছে। শেখ হাসিনা গাইবান্ধার আওয়ামী লীগ নেতা শাকিল আহমেদের সঙ্গে কথোপকথনে বলেছেন, যারা মামলা করেছে তাদের মারার লাইসেন্স পেয়ে গেছি। এদের বাড়ি–ঘর ভাঙচুরের জন্য নির্দেশ দেন তিনি। পুলিশ কর্মকর্তাদেরও হুমকি দেন। কথোপকথনের মাধ্যমে তদন্ত সংস্থার কাছে স্পষ্ট হয়েছে এরা দুজন (শেখ হাসিনা ও শাকিল আহমেদ) সাক্ষীদের ভয়–ভীতি দেখিয়েছেন। বিচার প্রক্রিয়া বাধাগ্রস্ত করার চেষ্টা করেছেন। তদন্তকারী কর্মকর্তা মনে করেছেন এর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ না করা হলে সাক্ষীরা সাক্ষ্য দিতে ভয় পাবেন।

তাজুল ইসলাম আরও বলেন, শেখ হাসিনার অডিও সিআইডির ফরেনসিক ল্যাবে পাঠানো হয়। পরীক্ষা করে সিআইডি মতামত দেয় এই কথোপকথনটি শেখ হাসিনা ও মো. শাকিল আহমেদের মধ্যেই হয়েছে। তার প্রেক্ষিতেই আমরা তাঁদের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার অভিযোগে পদক্ষেপ গ্রহণ করার জন্য আবেদন করেছিলাম। আদালত শুনানি করে আদালত অবমাননার নোটিশ ইস্যু করেছেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত