নিজস্ব প্রতিবেদক
ঢাকা: এ বছরের ঈদযাত্রায় গত ছয় বছরের তুলনায় সর্বোচ্চ সড়ক দুর্ঘটনা ঘটেছে। আজ রোববার সকালে রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতি এ তথ্য জানিয়েছে।
সংগঠনটির পক্ষ থেকে বলা হয়, চলতি বছর গত ৭ মে থেকে ২১ মে পর্যন্ত অর্থাৎ ১৫ দিন সময়কালকে ঈদযাত্রার সময় ধরা হয়েছে। যদিও আগের বছরগুলোতে বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতি ঈদের আগে এবং পরে মিলিয়ে ১৩ থেকে ১৪ দিনকে ঈদযাত্রার সময় হিসেবে ধরত । এ সময়ে ৩১৮টি সড়ক দুর্ঘটনায় ৩২৩ জন নিহত এবং ৬২২ জন আহত হয়েছেন।
বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এবারের ঈদে দূরপাল্লার বাস বন্ধ থাকায় অন্যান্য যানবাহনে ঢাকা ছেড়েছেন মানুষ। ফলে এবারও দুর্ঘটনা শীর্ষে রয়েছে মোটরসাইকেল। এবারের ঈদে ১৪৪ টি মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় ১৩৯ জন নিহত ও ১৯৯ জন আহত হয়েছেন। যা মোট দুর্ঘটনার ৪৫.২৮ শতাংশ।
এ প্রতিবেদনের বিষয়ে সংগঠনটির মহাসচিব মোজাম্মেল হক চৌধুরী বলেন, গত ছয় বছরের তুলনায় এবার ঈদে সড়ক দুর্ঘটনা বেড়েছে। তা ছাড়া গত বছরের তুলনায় এবার ঈদে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ও আহতের সংখ্যা বেড়েছে। সড়কে নিরাপত্তার দায়িত্বরত প্রতিষ্ঠানগুলো কোনো পদক্ষেপ গ্রহণ না করার ফলে। মাত্র ৮ থেকে ১০ শতাংশ মানুষের যাতায়াতে এত বেশি সড়ক দুর্ঘটনা ও প্রাণহানি ঘটেছে। তাই সড়ক দুর্ঘটনা মহামারি হিসেবে চিহ্নিত করে সরকারের ব্যবস্থা নেওয়া উচিত। না হলে সড়কে দুর্ঘটনা ভয়াবহ আকারে রূপ নেবে'।
সংগঠনটির হিসাবে, ২০১৬ সালে ঈদযাত্রায় সড়ক দুর্ঘটনা ঘটেছিল ১২১টি। এতে নিহত হয়েছিলেন ১৮৬ জন ও আহত হয়েছিলেন ৭৪৬ জন। ২০১৭ সালে সড়ক দুর্ঘটনা ঘটেছিল ২০৫টি। এতে নিহত হয়েছিলেন ২৭৪ জন ও আহত হয়েছিলেন ৮৪৮ জন। ২০১৮ সালে সড়ক দুর্ঘটনা ঘটেছিল ২৭৭টি। এতে নিহত হয়েছিলেন ৩৩৯ জন ও আহত হয়েছিলেন ১২৬৫ জন। ২০১৯ সালে সড়ক দুর্ঘটনা ঘটেছিল ২৩২টি। এতে নিহত হয়েছিলেন ২৭৩ জন ও আহত হয়েছিলেন ৮৪৯ জন। ২০২০ সালে সড়ক দুর্ঘটনা ঘটেছিল ১৪৯টি। এতে নিহত হয়েছিলেন ১৬৮ জন ও আহত হয়েছিলেন ২৮৩ জন।
সংবাদ সম্মেলনে সড়ক দুর্ঘটনার কারণ হিসেবে পরিবহন বিশেষজ্ঞ ও এফবিসিসিআইয়ের পরিচালক আবদুল হক বলেন , বাংলাদেশের সড়ক নির্মাণে অনেক টাকা খরচ হয়। কিন্তু বাস্তবে মানসম্মত সড়ক নির্মাণ করা হচ্ছে না। সড়কে শৃঙ্খলার দায়িত্বে থাকা সরকারের সংস্থা বিআরটিএ'র ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন আছে। একই সঙ্গে দক্ষ চালক তৈরিতে নেই কোণ উদ্যোগ। যে কাউকেই দিয়ে দেওয়া হয় গাড়ি চালানোর লাইসেন্স। ফলে সড়কে দুর্ঘটনা বাড়ছে।
সড়কে দুর্ঘটনা রোধ করার বিষয়ে বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় বুয়েটের অ্যাক্সিডেন্ট রিসার্চ ইনস্টিটিউটের (এআরআই) সহকারী অধ্যাপক কাজী মো. সাইফুন নেওয়াজ আজকের পত্রিকাকে বলেন,' মহাসড়কে ছোট যানবাহন চালাচল বন্ধ করতে হবে। মহাসড়কে একাধিক লেন রাখতে হবে।
সড়কে গাড়ি চালানোর ক্ষেত্রে বেপরোয়া মনোভাব দূর করতে হবে চালকদের। পাশাপাশি দুর্ঘটনা কমাতে হলে পথচারীদের রাস্তা পার হওয়ার ক্ষেত্রে আরও সচেতন করে তুলতে হবে'।
ঢাকা: এ বছরের ঈদযাত্রায় গত ছয় বছরের তুলনায় সর্বোচ্চ সড়ক দুর্ঘটনা ঘটেছে। আজ রোববার সকালে রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতি এ তথ্য জানিয়েছে।
সংগঠনটির পক্ষ থেকে বলা হয়, চলতি বছর গত ৭ মে থেকে ২১ মে পর্যন্ত অর্থাৎ ১৫ দিন সময়কালকে ঈদযাত্রার সময় ধরা হয়েছে। যদিও আগের বছরগুলোতে বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতি ঈদের আগে এবং পরে মিলিয়ে ১৩ থেকে ১৪ দিনকে ঈদযাত্রার সময় হিসেবে ধরত । এ সময়ে ৩১৮টি সড়ক দুর্ঘটনায় ৩২৩ জন নিহত এবং ৬২২ জন আহত হয়েছেন।
বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এবারের ঈদে দূরপাল্লার বাস বন্ধ থাকায় অন্যান্য যানবাহনে ঢাকা ছেড়েছেন মানুষ। ফলে এবারও দুর্ঘটনা শীর্ষে রয়েছে মোটরসাইকেল। এবারের ঈদে ১৪৪ টি মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় ১৩৯ জন নিহত ও ১৯৯ জন আহত হয়েছেন। যা মোট দুর্ঘটনার ৪৫.২৮ শতাংশ।
এ প্রতিবেদনের বিষয়ে সংগঠনটির মহাসচিব মোজাম্মেল হক চৌধুরী বলেন, গত ছয় বছরের তুলনায় এবার ঈদে সড়ক দুর্ঘটনা বেড়েছে। তা ছাড়া গত বছরের তুলনায় এবার ঈদে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ও আহতের সংখ্যা বেড়েছে। সড়কে নিরাপত্তার দায়িত্বরত প্রতিষ্ঠানগুলো কোনো পদক্ষেপ গ্রহণ না করার ফলে। মাত্র ৮ থেকে ১০ শতাংশ মানুষের যাতায়াতে এত বেশি সড়ক দুর্ঘটনা ও প্রাণহানি ঘটেছে। তাই সড়ক দুর্ঘটনা মহামারি হিসেবে চিহ্নিত করে সরকারের ব্যবস্থা নেওয়া উচিত। না হলে সড়কে দুর্ঘটনা ভয়াবহ আকারে রূপ নেবে'।
সংগঠনটির হিসাবে, ২০১৬ সালে ঈদযাত্রায় সড়ক দুর্ঘটনা ঘটেছিল ১২১টি। এতে নিহত হয়েছিলেন ১৮৬ জন ও আহত হয়েছিলেন ৭৪৬ জন। ২০১৭ সালে সড়ক দুর্ঘটনা ঘটেছিল ২০৫টি। এতে নিহত হয়েছিলেন ২৭৪ জন ও আহত হয়েছিলেন ৮৪৮ জন। ২০১৮ সালে সড়ক দুর্ঘটনা ঘটেছিল ২৭৭টি। এতে নিহত হয়েছিলেন ৩৩৯ জন ও আহত হয়েছিলেন ১২৬৫ জন। ২০১৯ সালে সড়ক দুর্ঘটনা ঘটেছিল ২৩২টি। এতে নিহত হয়েছিলেন ২৭৩ জন ও আহত হয়েছিলেন ৮৪৯ জন। ২০২০ সালে সড়ক দুর্ঘটনা ঘটেছিল ১৪৯টি। এতে নিহত হয়েছিলেন ১৬৮ জন ও আহত হয়েছিলেন ২৮৩ জন।
সংবাদ সম্মেলনে সড়ক দুর্ঘটনার কারণ হিসেবে পরিবহন বিশেষজ্ঞ ও এফবিসিসিআইয়ের পরিচালক আবদুল হক বলেন , বাংলাদেশের সড়ক নির্মাণে অনেক টাকা খরচ হয়। কিন্তু বাস্তবে মানসম্মত সড়ক নির্মাণ করা হচ্ছে না। সড়কে শৃঙ্খলার দায়িত্বে থাকা সরকারের সংস্থা বিআরটিএ'র ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন আছে। একই সঙ্গে দক্ষ চালক তৈরিতে নেই কোণ উদ্যোগ। যে কাউকেই দিয়ে দেওয়া হয় গাড়ি চালানোর লাইসেন্স। ফলে সড়কে দুর্ঘটনা বাড়ছে।
সড়কে দুর্ঘটনা রোধ করার বিষয়ে বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় বুয়েটের অ্যাক্সিডেন্ট রিসার্চ ইনস্টিটিউটের (এআরআই) সহকারী অধ্যাপক কাজী মো. সাইফুন নেওয়াজ আজকের পত্রিকাকে বলেন,' মহাসড়কে ছোট যানবাহন চালাচল বন্ধ করতে হবে। মহাসড়কে একাধিক লেন রাখতে হবে।
সড়কে গাড়ি চালানোর ক্ষেত্রে বেপরোয়া মনোভাব দূর করতে হবে চালকদের। পাশাপাশি দুর্ঘটনা কমাতে হলে পথচারীদের রাস্তা পার হওয়ার ক্ষেত্রে আরও সচেতন করে তুলতে হবে'।
ঢাকার উত্তরায় মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজে বিমান বিধ্বস্তে আহতদের উন্নত চিকিৎসা সেবা দিতে সিঙ্গাপুর ও চীন থেকে দুটি বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক দল বাংলাদেশে পৌঁছেছে।
৬ ঘণ্টা আগেগোপালগঞ্জ জেলায় জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)-এর রাজনৈতিক সমাবেশে স্থানীয় আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মী এবং সমর্থকদের হামলার পর সংঘর্ষ ও গুলিতে ৫ জন নিহত এবং অনেকে আহত হয়েছেন। এই ঘটনায় আইন ও সালিশ কেন্দ্র (আসক) একটি প্রাথমিক তথ্যানুসন্ধান চালিয়েছে। পরিস্থিতি সামলাতে সেখানে গুরুতর...
৭ ঘণ্টা আগেদীর্ঘ ১৪ বছর পর চট্টগ্রাম ওয়াসার ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) পদে নিয়োগের জন্য প্রথমবারের মতো বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়। এর আগে এই পদে কোনো প্রতিযোগিতা বা বিজ্ঞপ্তি ছাড়াই নিয়োগ দেওয়া হতো। তা নিয়ে ছিল নানা বিতর্ক।
৯ ঘণ্টা আগেগণ-অভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার আগে গত ১৫ বছরে ছাত্রলীগসহ আওয়ামী লীগের অন্যান্য সংগঠনের সন্ত্রাসীদের হামলা ও তৎকালীন সরকারের নির্দেশে রাষ্ট্রীয় বাহিনীর হাতে নিহত ব্যক্তিদের তালিকা করার নির্দেশ দিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। ছাত্রলীগের সন্ত্রাসীদের নির্যাতনে নিহত বুয়েট...
১৬ ঘণ্টা আগে