Ajker Patrika

সংস্কার হবে অধ্যাদেশে, পরে সংবিধান সংশোধন

  • মন্ত্রণালয়-বিভাগ পর্যায়ে ১২১টি সংস্কার প্রস্তাব আশু বাস্তবায়নের সিদ্ধান্ত।
  • সংবিধান সংশোধন করে বাস্তবায়নযোগ্য দুই প্রস্তাবও অধ্যাদেশ দিয়ে বাস্তবায়ন।
  • এভাবে অধ্যাদেশ জারির বিষয়টি ভবিষ্যতে প্রশ্নের মুখে পড়বে বলে মনে করেন আইন বিশেষজ্ঞরা।
শহীদুল ইসলাম, ঢাকা
আপডেট : ২৫ মার্চ ২০২৫, ১০: ৪৮
ফাইল ছবি
ফাইল ছবি

পাঁচটি সংস্কার কমিশনের দেওয়া সুপারিশগুলোর মধ্য থেকে ১২১টি প্রস্তাব আশু বাস্তবায়নের জন্য চিহ্নিত করেছে অন্তর্বর্তী সরকার। এর মধ্যে দুটি বিষয় রয়েছে, যেগুলো বাস্তবায়নের জন্য সংবিধান সংশোধনের প্রয়োজন পড়বে। কিন্তু সরকার এ দুটি বিষয়ও অধ্যাদেশ জারির মাধ্যমে বাস্তবায়নের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এর একটি নিয়ে ইতিমধ্যে অধ্যাদেশ জারি করা হয়েছে। পরবর্তী সময়ে সংবিধান সংশোধন করে ওই বিষয়গুলো নতুন অনুচ্ছেদের মাধ্যমে সংবিধানে সংযোজন করা হবে বলে জানা গেছে।

সংবিধান সংশোধন করে বাস্তবায়নযোগ্য বিষয়ে অধ্যাদেশ জারির বিষয়টি ভবিষ্যতে প্রশ্নের মুখে পড়বে বলে মনে করেন আইন বিশেষজ্ঞরা। তাঁরা বলছেন, গণ-অভ্যুত্থান-পরবর্তী বিশেষ পরিস্থিতিতে অন্তর্বর্তী সরকার গঠিত হয়েছে। এ সরকারের নিজেরই সাংবিধানিক বৈধতা নেই। এখন সংবিধান সংশোধন করতে হবে, এমন সিদ্ধান্ত অধ্যাদেশের মাধ্যমে বাস্তবায়ন হলে প্রশ্ন দেখা দিতে পারে।

অন্তর্বর্তী সরকারের প্রতিশ্রুত সংস্কার কার্যক্রমের অংশ হিসেবে পাঁচটি সংস্কার কমিশনের সুপারিশ করা ১৬৬টি প্রস্তাব নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে সংলাপ করছে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন। এর বাইরে সংলাপ ছাড়াই ১২১টি প্রস্তাব আশু বাস্তবায়নের জন্য চিহ্নিত করেছে অন্তর্বর্তী সরকার। সংসদ কার্যকর না থাকায় অধ্যাদেশ জারি করে ওই প্রস্তাবগুলো বাস্তবায়নের নির্দেশনা দিয়েছে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ। কোন মন্ত্রণালয়, বিভাগ বা সরকারি দপ্তরকে কমিশনের এসব সুপারিশ বাস্তবায়ন করতে হবে, তা নির্ধারণ করে সেগুলো বাস্তবায়নের দিকনির্দেশনা দিয়ে ১৯ মার্চ সংশ্লিষ্ট দপ্তরে চিঠিও পাঠিয়েছে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ। এর মধ্যে বিচার বিভাগ সংস্কার কমিশনের দুটি প্রস্তাব সংবিধান সংশোধন করে বাস্তবায়ন করার কথা। এই দুটি প্রস্তাবের ক্ষেত্রে পরে সংবিধান সংশোধনের বিষয়ে পদক্ষেপ নিতে বলা হয়েছে।

প্রধান বিচারপতি ছাড়া অন্যান্য বিচারক নিয়োগের জন্য স্বাধীন ও স্বতন্ত্র কমিশন গঠনের সুপারিশ করেছে সংস্কার কমিশন। এই সুপারিশ আশু বাস্তবায়নের তালিকায় রেখে আইন ও বিচার বিভাগ, সুপ্রিম কোর্ট, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়, সংসদ এবং অর্থ বিভাগকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। এক্ষেত্রে করণীয় হিসেবে নতুন অধ্যাদেশ জারি ও কমিশন গঠন এবং পরবর্তী সময়ে সংবিধান সংশোধনের কথা বলা হয়েছে। গত ২১ জানুয়ারি সুপ্রিম কোর্টের বিচারক নিয়োগ অধ্যাদেশ জারি করেছে সরকার।

তবে এ সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নকারী সরকারি দপ্তরগুলোকে এ বিষয়ে সংবিধানের ৯৫(ক) অনুচ্ছেদ সংযোজন করার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। সংবিধানের ৯৫ অনুচ্ছেদে সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি এবং অন্যান্য বিচারপতি নিয়োগের বিষয়ে বলা আছে।

অন্যদিকে সরকারি আইন কর্মকর্তা নিয়োগে অস্থায়ী ব্যবস্থার পরিবর্তে একটি স্থায়ী জাতীয় অ্যাটর্নি সার্ভিস প্রতিষ্ঠার সিদ্ধান্ত আশু বাস্তবায়নের তালিকায় রাখা হয়েছে। এটি বাস্তবায়নের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে আইন ও বিচার বিভাগ, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় এবং অর্থ বিভাগকে। এসব সরকারি দপ্তরের করণীয়তে বলা হয়েছে, অ্যাটর্নি সার্ভিস-সংক্রান্ত সংবিধানে একটি নতুন অনুচ্ছেদ ৬৪(ক) সংযোজন, জাতীয় অ্যাটর্নি সার্ভিস প্রতিষ্ঠাকরণের উদ্দেশ্যে অধ্যাদেশ প্রণয়ন, অধ্যাদেশ প্রণয়নের প্রয়োজনীয় বিধি প্রণয়ন, সংশোধিত সংবিধান অনুসারে ফৌজদারি কার্যবিধি সংশোধন, দ্য বাংলাদেশ ল অফিসার্স অর্ডার, ১৯৭২ রহিতকরণ...।

উল্লেখ্য, সংবিধানের ৬৪ অনুচ্ছেদে অ্যাটর্নি জেনারেল নিয়োগের বিষয়ে বিস্তারিত বলা আছে। একটি স্থায়ী জাতীয় অ্যাটর্নি সার্ভিস প্রতিষ্ঠার এই অনুচ্ছেদের সঙ্গে নতুন করে ৬৪(ক) অনুচ্ছেদ সংযোজন করতে হবে।

সংবিধান সংশোধন করে বাস্তবায়নযোগ্য বিষয় অধ্যাদেশের মাধ্যমে বাস্তবায়ন হলে তা নিয়ে ভবিষ্যতে প্রশ্ন উঠবে বলে মনে করেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী জ্যোতির্ময় বড়ুয়া। তিনি আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘এগুলোর লিগ্যালিটি নিয়ে পরে প্রশ্ন উঠবে। অধ্যাদেশ জারির ক্ষেত্রে যে যুক্তিগুলো আসছে, সবকিছুই তো ডকট্রিন অব নেসেসিটিকে ধরে সংবিধানের ১০৬ অনুচ্ছেদের আলোকেই হচ্ছে। তখন হয়তো সংবিধানের সংশোধনীকে অর্ডিনেন্সের মাধ্যমে করাকেও জাস্টিফাই করার চেষ্টা করবে। এগুলো ভবিষ্যতে আসলে কতটুকু টিকবে বা টিকবে না, তা এখনই একবাক্যে বলে দেওয়া মুশকিল।’

জ্যোতির্ময় বড়ুয়া বলেন, ‘বিদ্যমান সংবিধান অনুযায়ী সরকারেরই তো বৈধতা নেই, সেটিকে তো রেকটিফাই করার প্রয়োজনীয়তা আছে। এই সরকারের কর্মকাণ্ড বৈধ কি অবৈধ, তা তুলতে গেলে ওই মৌলিক প্রশ্নও আসে। আমরা তো এ সরকারকে বিশেষ পরিস্থিতির কারণে মেনে নিয়েছি। তাহলে তাঁদের অধ্যাদেশ কেন মেনে নেব না? বিচার বিভাগ সংস্কারের জন্য অ্যাটর্নি জেনারেল সার্ভিস তৈরি করার কথা বলছে, সেটা আমি সমর্থন করি। কিন্তু বিচারক নিয়োগের ক্ষেত্রে যে আইন পাস করেছে, সেটি আসলে খুবই প্রবলেম্যাটিক। এটা বিচার বিভাগকে ভবিষ্যতে নানা ধরনের প্রশ্নের মধ্যে ফেলবে। একটা পর্যায়ে গিয়ে এগুলো সব চ্যালেঞ্জের মধ্যে পড়বে।

সংসদ ভেঙে যাওয়া অবস্থায় সংবিধানের ৯৩ অনুচ্ছেদে রাষ্ট্রপতিকে অধ্যাদেশ প্রণয়নের ক্ষমতা দেওয়া আছে। সেখানে বলা হয়েছে, রাষ্ট্রপতির কাছে আশু ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য প্রয়োজন মনে হলে তিনি অধ্যাদেশ জারি করতে পারবেন। তবে ওই অধ্যাদেশের কারণে সংবিধানের কোনো বিধানের পরিবর্তন বা রহিত হয় এমন অধ্যাদেশ জারি করা যাবে না—এমনটিই বলা আছে সংবিধানে।

তবে ১০ মার্চ জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহসভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ সংবাদ সম্মেলনে বলেছিলেন, অধ্যাদেশের মাধ্যমে সংবিধান সংশোধন সম্ভব।

আশু বাস্তবায়ন হচ্ছে যেসব সংস্কার প্রস্তাব

আশু বাস্তবায়নযোগ্য ১২১টি সংস্কার প্রস্তাবের মধ্যে দুদক সংস্কার কমিশনের ৪৩টি সুপারিশ রয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে রাষ্ট্রীয় ও আইনি ক্ষমতার অপব্যবহার রোধে স্বার্থের দ্বন্দ্ব নিরসন ও প্রতিরোধ-সংক্রান্ত আইন প্রণয়ন, দুদক আইন সংশোধন করে কমিশনারের সংখ্যা পাঁচজনে উন্নীতকরণ, দুদক কমিশনারের মেয়াদ পাঁচ বছর করা, আয়কর আইনের একটি ধারা সংশোধন করে দুদককে কোনো তথ্য বা দলিল দেওয়ার ক্ষেত্রে প্রতিবন্ধকতা দূরীকরণের পদক্ষেপ গ্রহণ।

এ ছাড়া দুদকের নিজস্ব বেতন কাঠামো, যেসব জেলায় দুদকের কার্যালয় রয়েছে, সেখানে বিশেষ জজ আদালত প্রতিষ্ঠা, বেসরকারি খাতের ঘুষ লেনদেনকে শাস্তির আওতায় আনা, দুদক আইনের ৩২ক ধারা বাতিল, উচ্চমাত্রার দুর্নীতি তদন্তে বিভিন্ন এজেন্সির সমন্বয়ে আলাদা টাস্কফোর্স গঠন, পর্যায়ক্রমে সব জেলায় দুদকের জেলা কার্যালয় প্রতিষ্ঠা এবং স্থায়ী প্রসিকিউশন ইউনিট গঠনের সুপারিশ বাস্তবায়ন করা হবে।

বিচার বিভাগ সংস্কার কমিশনের ৩৮টি প্রস্তাব আশু বাস্তবায়নের তালিকায় রাখা হয়েছে। এর মধ্যে নিম্ন আদালতের বিচারকদের বদলি নীতিমালা প্রণয়ন, বিচার বিভাগের কর্মকর্তাদের জন্য আচরণ বিধিমালা জারি, স্বতন্ত্র ফৌজদারি তদন্ত সার্ভিস প্রতিষ্ঠা, বাণিজ্যিক আদালত প্রতিষ্ঠা, আইনজীবীর বিরুদ্ধে করা মামলায় অন্য পক্ষে অন্য আইনজীবী নিয়োগে প্রতিবন্ধকতা দূর করতে সার্কুলার জারি করা হবে।

জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশনের ১৮টি সুপারিশের মধ্যে স্থায়ী জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশন গঠন, তথ্য অধিকার আইন সংশোধন, পুলিশ ভেরিফিকেশন ছাড়া পাসপোর্ট দেওয়া, পুলিশের হাতে থাকা ফৌজদারি মামলার আসামিদের তালিকা অনলাইনে সহজলভ্য রাখা, অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগ পুনর্গঠন, উপজেলা পরিষদ শক্তিশালী করার কথা বলা হয়েছে। এ ছাড়া কোনো কর্মচারী পদোন্নতির সর্বোচ্চ ধাপে পৌঁছে যাওয়ার পর ইনক্রিমেন্ট না পেলে তিনি যদি বিভাগীয় মামলায় গুরুদণ্ডে দণ্ডিত না হন, তবে তাকে দুই বছর পর পরবর্তী বেতন স্কেলে দেওয়া, সুপিরিয়র এক্সিকিউটিভ সার্ভিসের বাইরে ৫ শতাংশ পদে পার্শ্ব নিয়োগ এবং অতীতে যেসব সরকারি কর্মকর্তা ভোট জালিয়াতি, অর্থ পাচার, দুর্নীতি এবং জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে গণহত্যার সঙ্গে জড়িত তাঁদের বিরুদ্ধে তদন্তের জন্য স্বাধীন তদন্ত কমিশন গঠনের সুপারিশ আশু বাস্তবায়নের তালিকায় রয়েছে।

পুলিশ সংস্কার কমিশনের ১৩টি প্রস্তাবের মধ্যে উচ্ছৃঙ্খল জনতাকে ছত্রভঙ্গ করতে পাঁচ ধাপে বলপ্রয়োগে পুলিশের পরিকল্পনা বাস্তবায়ন, পুলিশ কমিশন ও পুলিশের জন্য পরিপূর্ণ মেডিকেল সার্ভিস গঠন; রাতে কারও বাসায় তল্লাশির সময় নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট, স্থানীয় সরকারের প্রতিনিধি বা স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিদের উপস্থিতি নিশ্চিতকরণ; এফআইআরবহির্ভূত আসামি গ্রেপ্তার না করা, ভুক্তভোগী ও সাক্ষী সুরক্ষার জন্য সুরক্ষা আইন প্রণয়ন, জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের সময় ছাত্র-জনতাকে হত্যা ও আহত করার জন্য দোষী পুলিশ সদস্যদের চিহ্নিত করে তাঁদের বিরুদ্ধে আইনিপ্রক্রিয়ায় শাস্তি নিশ্চিতের পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে।

আশু বাস্তবায়নের তালিকায় থাকা নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কার কমিশনের ৯টি সুপারিশ হলো গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ সংশোধন, নির্বাচন কমিশন সচিবালয় আইন সংশোধন, নির্বাচন কর্মকর্তা (বিশেষ বিধান) আইন সংশোধন, নির্বাচন পর্যবেক্ষণ ও গণমাধ্যম নীতিমালা সংশোধন, রাজনৈতিক দল ও প্রার্থীর আচরণ বিধিমালা সংশোধন, হলফনামার খসড়া, ভোটার তালিকা হালনাগাদ এবং পোস্টাল ব্যালট পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা।

আরও খবর পড়ুন:

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

বাংলাদেশের তিস্তা প্রকল্পে ভারত কেন বেজার

রাশিয়ার ১৬২ বিলিয়ন ডলার ইউক্রেনকে অস্ত্র কিনতে ঋণ দেওয়ার সিদ্ধান্তে বিভক্ত ইউরোপ

মব সৃষ্টি করে নারীর টাকা-চেইন ছিনিয়ে নেওয়ার অভিযোগ ছাত্রদল নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে

পুতিন যুদ্ধ বন্ধে ‘অস্বীকৃতি জানানোয়’ রাশিয়ার ওপর ট্রাম্পের ‘প্রথম’ নিষেধাজ্ঞা

মোহাম্মদপুরে জেনেভা ক্যাম্পে ককটেল বিস্ফোরণে যুবক নিহত

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

আসামিদের কোনো অনুশোচনা হয়নি, উল্টো সেনাবাহিনীকে রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে উসকানি দিয়েছে: চিফ প্রসিকিউটর

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
আপডেট : ২৩ অক্টোবর ২০২৫, ১৬: ৪২
আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চিফ প্রসিকিউটর মো. তাজুল ইসলাম। ফাইল ছবি
আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চিফ প্রসিকিউটর মো. তাজুল ইসলাম। ফাইল ছবি

আসামিদের কোনো অনুশোচনা হয়নি, তাঁরা উল্টো সেনাবাহিনীকে রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে যেতে উসকানি দিয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় সারাদেশে সংঘটিত হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় শেখ হাসিনাসহ তিনজনের বিরুদ্ধে করা মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় আজ বৃহস্পতিবার যুক্তিতর্ক উপস্থাপনের সময় এ কথা বলেন তিনি।

যুক্তিতর্ক শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়ের সময় এ কথা জানান তিনি।

তাজুল ইসলাম বলেন, সবকিছু অকাট্যভাবে প্রমাণ করা হয়েছে। পৃথিবীর যে কোনো আদালতে এগুলো অকাট্য হিসেবে প্রমাণিত হবে। যাঁদের এখানে আসামি করা হয়েছে, তাঁদের মধ্যে কোনো অনুশোচনা হয়নি। উল্টো কদিন আগে সেনাবাহিনীকে রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে যেতে উসকানি দিয়েছে। তবে সেনাবাহিনী সে ফাঁদে পা দেয়নি।

আইনের প্রসঙ্গে চিফ প্রসিকিউটর তাজুল ইসলাম বলেন, ‘এটি বিশেষ আইন। এটাকে সুরক্ষা দেওয়া হয়েছে সংবিধান দ্বারা। আন্তর্জাতিক আদালতের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে এই আইন সংশোধন করা হয়েছে।’

তাজুল ইসলাম বলেন, ভবিষ্যতে কোনো শাসক যদি জনগণকে হত্যা করার চেষ্টা করে এই বিচার তাদের জন্য প্রতিষেধক হিসেবে কাজ করবে।

ছাত্র–জনতার অভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান ছাড়া এই মামলার অপর আসামি সাবেক আইজিপি চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল-মামুন। তিনি দায় স্বীকার করে রাজসাক্ষী হয়েছেন।

শেখ হাসিনাসহ তিন আসামির বিরুদ্ধে মামলায় আজকে যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষ হয়েছে। আগামী ১৩ নভেম্বর রায়ের দিন নির্ধারণ করবেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল।

এছাড়া শেষ দিনে যুক্তিতর্ক উপস্থাপনের সময় শেখ হাসিনা ও আসাদুজ্জামান খান কামালের পক্ষে রাষ্ট্র নিযুক্ত আইনজীবী আমির হোসেন বলেন, শেখ হাসিনা পালিয়ে যাননি। তাঁকে যেতে বাধ্য করা হয়েছে। আর সাবেক আইজিপি নিজে বাঁচার জন্য অন্যের ওপর দায় চাপানোর চেষ্টা করেছেন। তাঁর বক্তব্য গ্রহণযোগ্য নয়।

আমির হোসেন মনে করেন, ন্যায়বিচার হলে আসামিরা খালাস পাবেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

বাংলাদেশের তিস্তা প্রকল্পে ভারত কেন বেজার

রাশিয়ার ১৬২ বিলিয়ন ডলার ইউক্রেনকে অস্ত্র কিনতে ঋণ দেওয়ার সিদ্ধান্তে বিভক্ত ইউরোপ

মব সৃষ্টি করে নারীর টাকা-চেইন ছিনিয়ে নেওয়ার অভিযোগ ছাত্রদল নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে

পুতিন যুদ্ধ বন্ধে ‘অস্বীকৃতি জানানোয়’ রাশিয়ার ওপর ট্রাম্পের ‘প্রথম’ নিষেধাজ্ঞা

মোহাম্মদপুরে জেনেভা ক্যাম্পে ককটেল বিস্ফোরণে যুবক নিহত

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

হাসিনা-কামালের সর্বোচ্চ সাজা না হলে আবু সাঈদরা আবার মারা যাবে: অ্যাটর্নি জেনারেল

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
আপডেট : ২৩ অক্টোবর ২০২৫, ১৫: ৩১
অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান। ফাইল ছবি
অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান। ফাইল ছবি

ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালের সর্বোচ্চ সাজা চেয়েছেন অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান। তিনি বলেছেন, ‘এই আসামিদের সর্বোচ্চ সাজা না হলে তাদের হাতে বাংলাদেশের নিরপরাধ মানুষ গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যাবে, পাঁচ বছরের শিশু মারা যাবে, আনাসরা মারা যাবে, পানি বিতরণ করতে গিয়ে মুগ্ধ মারা যাবে, বুক চিতিয়ে আবার রাজপথে দাঁড়িয়ে আবু সাঈদরা মারা যাবে। আমরা যদি ন্যায়বিচার নিশ্চিত করতে না পারি, এই দুজনের বিচার যদি ব্যাহত হয়, এই দুজনের যদি শাস্তি না হয়, তাহলে বাংলাদেশের মানুষ ইতিহাসের আস্তাকুঁড়ে ভীরু-কাপুরুষের উপমা হয়ে রয়ে যাবে। সে কারণে আমরা মনে করি, আমরা যা উপস্থাপন করেছি, তা সন্দেহাতীত।’

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় সারা দেশে সংঘটিত হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় শেখ হাসিনাসহ তিনজনের বিরুদ্ধে করা মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় আজ বৃহস্পতিবার যুক্তি উপস্থাপনের সময় তিনি এসব কথা বলেন।

শেখ হাসিনা, আসাদুজ্জামান খান কামাল ছাড়া এই মামলার অপর আসামি সাবেক আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন। তিনি দায় স্বীকার করে রাজসাক্ষী হয়েছেন।

শেখ হাসিনা ও আসাদুজ্জামান খান কামালের বিরুদ্ধে যুক্তি উপস্থাপনকালে অ্যাটর্নি জেনারেল বলেন, ‘আসামিদের সর্বোচ্চ সাজা প্রত্যাশা করছি। বিচার যত কঠিনই হোক, বাধার প্রাচীর ভেঙে যদি ন্যায়বিচার নিশ্চিত করা সম্ভব না হয়, তাহলে জাতি হিসেবে আমরা আগামী দিনে এগোতে পারব না। এই আসামিদের মৃত্যুদণ্ড হওয়া, মৃত্যুদণ্ডের মাধ্যমে ন্যায়বিচার নিশ্চিত করা একটি বড় ঘটনা হিসেবে অনেকেই দেখবেন। এই আসামিদের যদি শাস্তি নিশ্চিত করতে না পারি, তাহলে তাদের হাতে বাংলাদেশের অসংখ্য মানুষের জীবন বিপন্ন হবে।’

মো. আসাদুজ্জামান বলেন, ‘ন্যায়বিচারের সাক্ষী হতে এসেছি। ১ হাজার ৪০০ লোক মারা গেছে। ৩০ হাজার পঙ্গুত্ব বরণ করেছে। রাষ্ট্রপক্ষ দেখিয়েছে—কে নির্দেশ দিয়েছে, কাকে দিয়েছে, কে পালন করেছে, কীভাবে বাস্তবায়ন হয়েছে। এই খুনের পর গোটা জাতি জেগে উঠেছে। অপরাধীরা পালিয়ে গেছে। তারা বিচারকাজ প্রতিহত করতে নানা রকম নির্দেশনা দিচ্ছে। আমাদের বক্তব্য হচ্ছে, প্রসিকিউশন তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণ করতে সক্ষম হয়েছে। যে সাক্ষ্যপ্রমাণ এসেছে, তা যেকোনো দেশে, যেকোনো আদালতে উপস্থাপন করলে আসামিদের সাজা ছাড়া বিকল্প কিছু হবে না।’

মানবতাবিরোধী অপরাধে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রপ্রধানদের মৃত্যুদণ্ড কার্যকরের উদাহরণ এ সময় তুলে ধরেন অ্যাটর্নি জেনারেল।

তিনি বলেন, ‘এটা দিবালোকের ন্যায় সত্য, এখানে গণহত্যার মতো ঘটনা ঘটেছে। এখানে মানবতাবিরোধী অপরাধ সংঘটিত হয়েছে। কারা ঘটিয়েছে, কীভাবে ঘটিয়েছে, তা আমরা প্রমাণ করেছি। আমরা মনে করি, এই আদালতে যদি আসামিদের শাস্তি না হয়, তাহলে এ দেশের খুন হওয়া মানুষ, পঙ্গুত্ব বরণ করা মানুষ, এই রাষ্ট্র অবিচারের শিকার হবে। আমরা দাঁড়িয়েছি ইতিহাসের দায় পরিশোধ করার জন্য। আপনারা ন্যায়বিচার করলে গোটা বিশ্ব দেখবে—এই দেশে ন্যায়বিচার হয়।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

বাংলাদেশের তিস্তা প্রকল্পে ভারত কেন বেজার

রাশিয়ার ১৬২ বিলিয়ন ডলার ইউক্রেনকে অস্ত্র কিনতে ঋণ দেওয়ার সিদ্ধান্তে বিভক্ত ইউরোপ

মব সৃষ্টি করে নারীর টাকা-চেইন ছিনিয়ে নেওয়ার অভিযোগ ছাত্রদল নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে

পুতিন যুদ্ধ বন্ধে ‘অস্বীকৃতি জানানোয়’ রাশিয়ার ওপর ট্রাম্পের ‘প্রথম’ নিষেধাজ্ঞা

মোহাম্মদপুরে জেনেভা ক্যাম্পে ককটেল বিস্ফোরণে যুবক নিহত

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

চাকরিপ্রত্যাশী দৃষ্টিপ্রতিবন্ধীদের থালাবাটি নিয়ে ভুখা মিছিল

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্য থেকে বৃহস্পতিবার ভুখা মিছিল বের করেন চাকরিপ্রত্যাশী দৃষ্টিপ্রতিবন্ধীরা। ছবি: আজকের পত্রিকা
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্য থেকে বৃহস্পতিবার ভুখা মিছিল বের করেন চাকরিপ্রত্যাশী দৃষ্টিপ্রতিবন্ধীরা। ছবি: আজকের পত্রিকা

সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা বাড়ানো, বিশেষ নিয়োগ ব্যবস্থা, স্বতন্ত্র কোটা সংরক্ষণসহ পাঁচ দফা দাবিতে থালাবাটি নিয়ে যমুনা অভিমুখে ভুখা মিছিল করেছেন দৃষ্টিপ্রতিবন্ধীরা। যমুনায় পৌঁছার আগেই অবশ্য তাঁদের মিছিল শাহবাগ মোড়ে আটকে দেওয়া হয়। .

আজ বৃহস্পতিবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্য থেকে মিছিল শুরু করেন আন্দোলনকারীরা। যমুনার দিকে অগ্রসর হলে শাহবাগ মোড়ে পুলিশ তা আটকে দেয়। দৃষ্টিপ্রতিবন্ধীরা পরে শাহবাগ থানার সামনে বিক্ষোভ করলে পুলিশ সেখান থেকে তাঁদের সরিয়ে দেয়।

গত মঙ্গলবার থেকে পাঁচ দফা দাবিতে আন্দোলন শুরু করা চাকরিপ্রত্যাশী দৃষ্টিপ্রতিবন্ধীদের ভাষ্য, শিক্ষিত, যোগ্য ও কর্মক্ষম যুব প্রতিবন্ধীরা দীর্ঘদিন ধরে কর্মসংস্থান থেকে বঞ্চিত। ২০১৮ সাল থেকে ধারাবাহিকভাবে ন্যায্য অধিকারের দাবি জানিয়ে আসছেন তাঁরা। তবে এখনো কর্মসংস্থানে অন্তর্ভুক্তি এবং প্রতিবন্ধী কোটা যথাযথভাবে বাস্তবায়ন করা হয়নি।

চাকরিপ্রত্যাশী দৃষ্টিপ্রতিবন্ধীদের দাবিগুলোর মধ্যে রয়েছে—

১. প্রতিবন্ধিতার ধরন অনুযায়ী বেকার, শিক্ষিত প্রতিবন্ধীদের জন্য প্রধান উপদেষ্টার নির্বাহী আদেশে বিশেষ নিয়োগ দিতে হবে।

‎‎২. প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণিতে ২ শতাংশ এবং তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণিতে ৫ শতাংশ স্বতন্ত্র প্রতিবন্ধী কোটা সংরক্ষণ ও বাস্তবায়ন করতে হবে।

‎৩. দৃষ্টি বা শারীরিক প্রতিবন্ধীরা নিজেদের পছন্দমতো শ্রুতি লেখক (বিকল্প সহকারী) মনোনয়নের স্বাধীনতা পাবে, এমনভাবে নীতিমালা হালনাগাদ করতে হবে ।

৪. সমাজসেবা অধিদপ্তর এবং সংশ্লিষ্ট শিক্ষা ও প্রশিক্ষণ প্রতিষ্ঠানে দৃষ্টিপ্রতিবন্ধীদের জন্য নির্দিষ্ট পদসংখ্যায় নিশ্চিত নিয়োগ দিতে হবে।

‎৫. প্রতিবন্ধী প্রার্থীদের সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা ৩৫ বছরে উন্নীত করতে হবে। সাধারণ প্রার্থীদের ক্ষেত্রে ৩৫ হলে তা ৩৭ বছর করতে হবে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

বাংলাদেশের তিস্তা প্রকল্পে ভারত কেন বেজার

রাশিয়ার ১৬২ বিলিয়ন ডলার ইউক্রেনকে অস্ত্র কিনতে ঋণ দেওয়ার সিদ্ধান্তে বিভক্ত ইউরোপ

মব সৃষ্টি করে নারীর টাকা-চেইন ছিনিয়ে নেওয়ার অভিযোগ ছাত্রদল নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে

পুতিন যুদ্ধ বন্ধে ‘অস্বীকৃতি জানানোয়’ রাশিয়ার ওপর ট্রাম্পের ‘প্রথম’ নিষেধাজ্ঞা

মোহাম্মদপুরে জেনেভা ক্যাম্পে ককটেল বিস্ফোরণে যুবক নিহত

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

মানবতাবিরোধী অপরাধ

শেখ হাসিনা ও কামালসহ তিনজনের বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় রায়ের দিন নির্ধারণ ১৩ নভেম্বর

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
আপডেট : ২৩ অক্টোবর ২০২৫, ১৪: ২৬
সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল। ছবি: সংগৃহীত
সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল। ছবি: সংগৃহীত

জুলাই-আগস্ট আন্দোলনে সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালসহ তিনজনের বিরুদ্ধে আগামী ১৩ নভেম্বর রায়ের দিন নির্ধারণ করবেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল।

আজ বৃহস্পতিবার দুপুর সোয়া ১২টায় বিচারপতি মো. গোলাম মর্তূজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১ এ আদেশ দেন।

আজ আসামিদের সাজা চেয়ে রাষ্ট্রপক্ষে শেষবারের মতো যুক্তি উপস্থাপন করেন অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান ও চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম।

শেখ হাসিনা ও আসাদুজ্জামান খান কামালের খালাস চেয়ে যুক্তি উপস্থাপন করেন তাঁদের পক্ষে রাষ্ট্রনিযুক্ত আইনজীবী আমির হোসেন।

এই মামলায় রাজসাক্ষী হয়ে জবানবন্দি দিয়েছেন পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন। শুনানির সময় ট্রাইব্যুনালে তিনি উপস্থিত ছিলেন।

এর আগে বুধবার বিকেলে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল প্রাঙ্গণে এক সংবাদ সম্মেলনে প্রসিকিউটর মিজানুল ইসলাম জানান, শেখ হাসিনাসহ তিন আসামির বিরুদ্ধে জুলাই আন্দোলন দমনে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় আসামিপক্ষের আইনজীবীদের যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষ হয়েছে। বৃহস্পতিবার রাষ্ট্রপক্ষের বক্তব্য শেষে রায়ের দিন জানাতে পারেন আদালত। অথবা পরেও জানানো হতে পারেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

বাংলাদেশের তিস্তা প্রকল্পে ভারত কেন বেজার

রাশিয়ার ১৬২ বিলিয়ন ডলার ইউক্রেনকে অস্ত্র কিনতে ঋণ দেওয়ার সিদ্ধান্তে বিভক্ত ইউরোপ

মব সৃষ্টি করে নারীর টাকা-চেইন ছিনিয়ে নেওয়ার অভিযোগ ছাত্রদল নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে

পুতিন যুদ্ধ বন্ধে ‘অস্বীকৃতি জানানোয়’ রাশিয়ার ওপর ট্রাম্পের ‘প্রথম’ নিষেধাজ্ঞা

মোহাম্মদপুরে জেনেভা ক্যাম্পে ককটেল বিস্ফোরণে যুবক নিহত

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত