বিশেষজ্ঞ মত
ইকবাল হাবিব

আজকের (শুক্রবার) ভূমিকম্প হঠাৎ করেই ঝুঁকি জানান দিয়েছে, বিষয়টা কিন্তু এমন নয়। ভূমিকম্পপ্রবণ দেশ হিসেবে আমরা অনেক আগে থেকে ঝুঁকিপূর্ণ। গত ৩৪ বছরই বলা হচ্ছে, একটা ভয়ংকর ভূমিকম্প অত্যাসন্ন। কারণ বাংলাদেশের অবস্থান ইন্ডিয়ান, ইউরেশিয়ান ও বার্মা—এই তিন টেকটোনিক প্লেটের সংযোগস্থলে। বাংলাদেশের ভেতরে ও বাইরে টেকটোনিকে বড় ফল্ট আছে। সিলেটের ডাওকিতে যে ফল্ট আছে, সেটি সিলেট হয়ে পার্বত চট্টগ্রামের দিকে চলে গেছে। ভূমিকম্প প্রতিনিয়ত আমাদের তা জানান দিচ্ছিল। তবে এবারই বেশ জোরেশোরে আমরা ভূমিকম্প অনুভব করলাম। কিন্তু সমস্যাটা হচ্ছে, আমরা সেই বিপদ থেকে উত্তরণের কোনো উদ্যোগ গ্রহণ করিনি।
আমরা প্রথম পরিকল্পিত নগরায়ণের নকশা তৈরি করতে পেরেছি ২০১০ সালে। এটি তৈরির সময় সমীক্ষায় বলা হয়েছে, ঢাকা শহর ঝুঁকিতে আছে। এই যে এত ভবন নির্মাণ করা হয়েছে, সেই ভবনগুলোর ৯৪ শতাংশ কোনো না কোনোভাবে অবৈধ ও অনুমোদনহীন। রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (রাজউক) এই সমীক্ষার পরও কোনো উদ্যোগ নেয়নি। রাষ্ট্রপতি স্বাক্ষরিত ডকুমেন্টে সুস্পষ্টভাবে বলা ছিল, একটি নীতিমালা তৈরি করে সমীক্ষার মাধ্যমে প্রত্যেকটা ভবনকে নিরাপদ করার উদ্যোগ যেন নেওয়া হয়। কিন্তু এটা বাস্তবায়ন হয়নি।
একটি নীতিমালার মধ্য দিয়ে প্রত্যেকটি ভবন পরীক্ষা করে সেগুলো নিরাপদ করার একটি সরকারি নির্দেশনা থাকা সত্ত্বেও মন্ত্রণালয় সেটি বাস্তবায়ন করছে না। সেই নীতিমালা পেশাজীবী সংগঠনগুলো নিজ নিজ ক্ষেত্র থেকে পরিশ্রম করে স্বপ্রণোদিতভাবে বানিয়ে দিয়েছে। তা সত্ত্বেও সরকার রাজনৈতিক কারণে এটি বাস্তবায়নে বিমুখ।
আমরা সারা দেশে অনুমোদনপূর্ণ ভবন বানানোর জন্য যে বাংলাদেশ বিল্ডিং রেগুলেটরি অথরিটি (বিবিআরএ), বাংলাদেশ ন্যাশনাল বিল্ডিং কোড—এসব আজ পর্যন্ত তৈরি করতে পারিনি। এক্ষুনি নবায়নযোগ্য সার্টিফিকেশনের প্রবর্তন করে প্রত্যেকটি ভবনের সুরক্ষা নিশ্চিতের উদ্যোগ নিতে হবে। অর্থাৎ পরিষ্কার নির্দেশনা অনুযায়ী প্রত্যেকটি ভবন পরীক্ষা করে তার সুরক্ষা নিশ্চিত করার নীতিমালার বাস্তবায়ন করা হোক।
ইকবাল হাবিব, নগর পরিকল্পনাবিদ

আজকের (শুক্রবার) ভূমিকম্প হঠাৎ করেই ঝুঁকি জানান দিয়েছে, বিষয়টা কিন্তু এমন নয়। ভূমিকম্পপ্রবণ দেশ হিসেবে আমরা অনেক আগে থেকে ঝুঁকিপূর্ণ। গত ৩৪ বছরই বলা হচ্ছে, একটা ভয়ংকর ভূমিকম্প অত্যাসন্ন। কারণ বাংলাদেশের অবস্থান ইন্ডিয়ান, ইউরেশিয়ান ও বার্মা—এই তিন টেকটোনিক প্লেটের সংযোগস্থলে। বাংলাদেশের ভেতরে ও বাইরে টেকটোনিকে বড় ফল্ট আছে। সিলেটের ডাওকিতে যে ফল্ট আছে, সেটি সিলেট হয়ে পার্বত চট্টগ্রামের দিকে চলে গেছে। ভূমিকম্প প্রতিনিয়ত আমাদের তা জানান দিচ্ছিল। তবে এবারই বেশ জোরেশোরে আমরা ভূমিকম্প অনুভব করলাম। কিন্তু সমস্যাটা হচ্ছে, আমরা সেই বিপদ থেকে উত্তরণের কোনো উদ্যোগ গ্রহণ করিনি।
আমরা প্রথম পরিকল্পিত নগরায়ণের নকশা তৈরি করতে পেরেছি ২০১০ সালে। এটি তৈরির সময় সমীক্ষায় বলা হয়েছে, ঢাকা শহর ঝুঁকিতে আছে। এই যে এত ভবন নির্মাণ করা হয়েছে, সেই ভবনগুলোর ৯৪ শতাংশ কোনো না কোনোভাবে অবৈধ ও অনুমোদনহীন। রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (রাজউক) এই সমীক্ষার পরও কোনো উদ্যোগ নেয়নি। রাষ্ট্রপতি স্বাক্ষরিত ডকুমেন্টে সুস্পষ্টভাবে বলা ছিল, একটি নীতিমালা তৈরি করে সমীক্ষার মাধ্যমে প্রত্যেকটা ভবনকে নিরাপদ করার উদ্যোগ যেন নেওয়া হয়। কিন্তু এটা বাস্তবায়ন হয়নি।
একটি নীতিমালার মধ্য দিয়ে প্রত্যেকটি ভবন পরীক্ষা করে সেগুলো নিরাপদ করার একটি সরকারি নির্দেশনা থাকা সত্ত্বেও মন্ত্রণালয় সেটি বাস্তবায়ন করছে না। সেই নীতিমালা পেশাজীবী সংগঠনগুলো নিজ নিজ ক্ষেত্র থেকে পরিশ্রম করে স্বপ্রণোদিতভাবে বানিয়ে দিয়েছে। তা সত্ত্বেও সরকার রাজনৈতিক কারণে এটি বাস্তবায়নে বিমুখ।
আমরা সারা দেশে অনুমোদনপূর্ণ ভবন বানানোর জন্য যে বাংলাদেশ বিল্ডিং রেগুলেটরি অথরিটি (বিবিআরএ), বাংলাদেশ ন্যাশনাল বিল্ডিং কোড—এসব আজ পর্যন্ত তৈরি করতে পারিনি। এক্ষুনি নবায়নযোগ্য সার্টিফিকেশনের প্রবর্তন করে প্রত্যেকটি ভবনের সুরক্ষা নিশ্চিতের উদ্যোগ নিতে হবে। অর্থাৎ পরিষ্কার নির্দেশনা অনুযায়ী প্রত্যেকটি ভবন পরীক্ষা করে তার সুরক্ষা নিশ্চিত করার নীতিমালার বাস্তবায়ন করা হোক।
ইকবাল হাবিব, নগর পরিকল্পনাবিদ
বিশেষজ্ঞ মত
ইকবাল হাবিব

আজকের (শুক্রবার) ভূমিকম্প হঠাৎ করেই ঝুঁকি জানান দিয়েছে, বিষয়টা কিন্তু এমন নয়। ভূমিকম্পপ্রবণ দেশ হিসেবে আমরা অনেক আগে থেকে ঝুঁকিপূর্ণ। গত ৩৪ বছরই বলা হচ্ছে, একটা ভয়ংকর ভূমিকম্প অত্যাসন্ন। কারণ বাংলাদেশের অবস্থান ইন্ডিয়ান, ইউরেশিয়ান ও বার্মা—এই তিন টেকটোনিক প্লেটের সংযোগস্থলে। বাংলাদেশের ভেতরে ও বাইরে টেকটোনিকে বড় ফল্ট আছে। সিলেটের ডাওকিতে যে ফল্ট আছে, সেটি সিলেট হয়ে পার্বত চট্টগ্রামের দিকে চলে গেছে। ভূমিকম্প প্রতিনিয়ত আমাদের তা জানান দিচ্ছিল। তবে এবারই বেশ জোরেশোরে আমরা ভূমিকম্প অনুভব করলাম। কিন্তু সমস্যাটা হচ্ছে, আমরা সেই বিপদ থেকে উত্তরণের কোনো উদ্যোগ গ্রহণ করিনি।
আমরা প্রথম পরিকল্পিত নগরায়ণের নকশা তৈরি করতে পেরেছি ২০১০ সালে। এটি তৈরির সময় সমীক্ষায় বলা হয়েছে, ঢাকা শহর ঝুঁকিতে আছে। এই যে এত ভবন নির্মাণ করা হয়েছে, সেই ভবনগুলোর ৯৪ শতাংশ কোনো না কোনোভাবে অবৈধ ও অনুমোদনহীন। রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (রাজউক) এই সমীক্ষার পরও কোনো উদ্যোগ নেয়নি। রাষ্ট্রপতি স্বাক্ষরিত ডকুমেন্টে সুস্পষ্টভাবে বলা ছিল, একটি নীতিমালা তৈরি করে সমীক্ষার মাধ্যমে প্রত্যেকটা ভবনকে নিরাপদ করার উদ্যোগ যেন নেওয়া হয়। কিন্তু এটা বাস্তবায়ন হয়নি।
একটি নীতিমালার মধ্য দিয়ে প্রত্যেকটি ভবন পরীক্ষা করে সেগুলো নিরাপদ করার একটি সরকারি নির্দেশনা থাকা সত্ত্বেও মন্ত্রণালয় সেটি বাস্তবায়ন করছে না। সেই নীতিমালা পেশাজীবী সংগঠনগুলো নিজ নিজ ক্ষেত্র থেকে পরিশ্রম করে স্বপ্রণোদিতভাবে বানিয়ে দিয়েছে। তা সত্ত্বেও সরকার রাজনৈতিক কারণে এটি বাস্তবায়নে বিমুখ।
আমরা সারা দেশে অনুমোদনপূর্ণ ভবন বানানোর জন্য যে বাংলাদেশ বিল্ডিং রেগুলেটরি অথরিটি (বিবিআরএ), বাংলাদেশ ন্যাশনাল বিল্ডিং কোড—এসব আজ পর্যন্ত তৈরি করতে পারিনি। এক্ষুনি নবায়নযোগ্য সার্টিফিকেশনের প্রবর্তন করে প্রত্যেকটি ভবনের সুরক্ষা নিশ্চিতের উদ্যোগ নিতে হবে। অর্থাৎ পরিষ্কার নির্দেশনা অনুযায়ী প্রত্যেকটি ভবন পরীক্ষা করে তার সুরক্ষা নিশ্চিত করার নীতিমালার বাস্তবায়ন করা হোক।
ইকবাল হাবিব, নগর পরিকল্পনাবিদ

আজকের (শুক্রবার) ভূমিকম্প হঠাৎ করেই ঝুঁকি জানান দিয়েছে, বিষয়টা কিন্তু এমন নয়। ভূমিকম্পপ্রবণ দেশ হিসেবে আমরা অনেক আগে থেকে ঝুঁকিপূর্ণ। গত ৩৪ বছরই বলা হচ্ছে, একটা ভয়ংকর ভূমিকম্প অত্যাসন্ন। কারণ বাংলাদেশের অবস্থান ইন্ডিয়ান, ইউরেশিয়ান ও বার্মা—এই তিন টেকটোনিক প্লেটের সংযোগস্থলে। বাংলাদেশের ভেতরে ও বাইরে টেকটোনিকে বড় ফল্ট আছে। সিলেটের ডাওকিতে যে ফল্ট আছে, সেটি সিলেট হয়ে পার্বত চট্টগ্রামের দিকে চলে গেছে। ভূমিকম্প প্রতিনিয়ত আমাদের তা জানান দিচ্ছিল। তবে এবারই বেশ জোরেশোরে আমরা ভূমিকম্প অনুভব করলাম। কিন্তু সমস্যাটা হচ্ছে, আমরা সেই বিপদ থেকে উত্তরণের কোনো উদ্যোগ গ্রহণ করিনি।
আমরা প্রথম পরিকল্পিত নগরায়ণের নকশা তৈরি করতে পেরেছি ২০১০ সালে। এটি তৈরির সময় সমীক্ষায় বলা হয়েছে, ঢাকা শহর ঝুঁকিতে আছে। এই যে এত ভবন নির্মাণ করা হয়েছে, সেই ভবনগুলোর ৯৪ শতাংশ কোনো না কোনোভাবে অবৈধ ও অনুমোদনহীন। রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (রাজউক) এই সমীক্ষার পরও কোনো উদ্যোগ নেয়নি। রাষ্ট্রপতি স্বাক্ষরিত ডকুমেন্টে সুস্পষ্টভাবে বলা ছিল, একটি নীতিমালা তৈরি করে সমীক্ষার মাধ্যমে প্রত্যেকটা ভবনকে নিরাপদ করার উদ্যোগ যেন নেওয়া হয়। কিন্তু এটা বাস্তবায়ন হয়নি।
একটি নীতিমালার মধ্য দিয়ে প্রত্যেকটি ভবন পরীক্ষা করে সেগুলো নিরাপদ করার একটি সরকারি নির্দেশনা থাকা সত্ত্বেও মন্ত্রণালয় সেটি বাস্তবায়ন করছে না। সেই নীতিমালা পেশাজীবী সংগঠনগুলো নিজ নিজ ক্ষেত্র থেকে পরিশ্রম করে স্বপ্রণোদিতভাবে বানিয়ে দিয়েছে। তা সত্ত্বেও সরকার রাজনৈতিক কারণে এটি বাস্তবায়নে বিমুখ।
আমরা সারা দেশে অনুমোদনপূর্ণ ভবন বানানোর জন্য যে বাংলাদেশ বিল্ডিং রেগুলেটরি অথরিটি (বিবিআরএ), বাংলাদেশ ন্যাশনাল বিল্ডিং কোড—এসব আজ পর্যন্ত তৈরি করতে পারিনি। এক্ষুনি নবায়নযোগ্য সার্টিফিকেশনের প্রবর্তন করে প্রত্যেকটি ভবনের সুরক্ষা নিশ্চিতের উদ্যোগ নিতে হবে। অর্থাৎ পরিষ্কার নির্দেশনা অনুযায়ী প্রত্যেকটি ভবন পরীক্ষা করে তার সুরক্ষা নিশ্চিত করার নীতিমালার বাস্তবায়ন করা হোক।
ইকবাল হাবিব, নগর পরিকল্পনাবিদ

ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে নির্বাচন কমিশন (ইসি) গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশে (আরপিও) যে সংশোধনী এনেছে, তাতে জোট করলে রাজনৈতিক দলগুলোকে নিজ নিজ প্রতীকে নির্বাচনে অংশ নেওয়া বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। এতে জোটভুক্ত অন্য দলের প্রতীকে ভোট করার সুযোগে ‘তালা’ পড়েছে।
৪ ঘণ্টা আগে
অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, ‘২৭ মার্চ চট্টগ্রামের কালুরঘাট বেতার কেন্দ্র থেকে তৎকালীন মেজর এবং পরবর্তীতে রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান বাংলাদেশের স্বাধীনতার ঘোষণা করেছিলেন। একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধে আমাদের সশস্ত্র বাহিনীর অবদান বাংলাদেশের ইতিহাসের স্বর্ণাক্ষরে লেখা থাকবে।’
৭ ঘণ্টা আগে
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক উত্তরণে আসন্ন জাতীয় নির্বাচন একটি গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায় হিসেবে বিবেচিত হবে। একটি নির্বিঘ্ন ও উৎসবমুখর নির্বাচন আয়োজনে সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যদের দক্ষতা ও পেশাদারির সঙ্গে দায়িত্ব পালনের আহ্বান জানাচ্ছি।’
১১ ঘণ্টা আগে
সশস্ত্র বাহিনী দিবস উপলক্ষে আজ শুক্রবার সেনাকুঞ্জে আয়োজিত সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে যোগ দিয়েছেন বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া। এ সময় বেগম জিয়ার সঙ্গে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূস একটি একান্ত বৈঠকে মিলিত হন।
১৩ ঘণ্টা আগেমো. হুমায়ূন কবীর, ঢাকা

ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে নির্বাচন কমিশন (ইসি) গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশে (আরপিও) যে সংশোধনী এনেছে, তাতে জোট করলে রাজনৈতিক দলগুলোকে নিজ নিজ প্রতীকে নির্বাচনে অংশ নেওয়া বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। এতে জোটভুক্ত অন্য দলের প্রতীকে ভোট করার সুযোগে ‘তালা’ পড়েছে। ডিগবাজি দিয়ে এক দল থেকে অন্য দলে গিয়ে ভোট করার পথ আগের মতোই খোলা রেখেছে ইসি।
সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকার আমলে আইন সংশোধন করে কোনো রাজনৈতিক দলের প্রার্থী হতে হলে অন্তত তিন বছর সংশ্লিষ্ট দলের সদস্য থাকার বাধ্যবাধকতার বিধান যোগ করা হয়েছিল। পরবর্তী সময়ে দশম সংসদ নির্বাচনের আগে আরপিওর ওই অংশটি বিলুপ্তির সুপারিশ করে সংসদে উত্থাপিত হলে তা কণ্ঠভোটে পাস হয়। এতে তিন বছর সংশ্লিষ্ট দলের সদস্য থাকার বাধ্যবাধকতার বিধান বাদ পড়ে, যা এখনো বহাল আছে।
এ বিষয়ে কথা হলে সুশাসনের জন্য নাগরিকের (সুজন) সম্পাদক ড. বদিউল আলম মজুমদার বলেন, ‘সুজনের পক্ষ থেকেই এই প্রস্তাব করেছিলাম যে দলীয় মনোনয়নের ক্ষেত্রে তিন বছর সদস্য থাকতে হবে। আমাদের উদ্যোগেই ২০০৮-০৯ সালে আরপিও সংশোধন হয়েছিল। পরবর্তী সময়ে তা বাতিল করা হয়েছে। বসন্তের কোকিল যেন এসে নির্বাচনে অংশ না নিতে পারে, এগুলোর জন্যই এটা করা হয়েছিল।’
বদিউল আলম মজুমদার অন্তর্বর্তী সরকারের গঠিত নির্বাচনব্যবস্থা সংস্কার কমিশনের প্রধান এবং পরে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সদস্য হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছেন। তাঁর নেতৃত্বে গঠিত নির্বাচনব্যবস্থা সংস্কার কমিশনও রাজনৈতিক দলের মনোনয়নের ক্ষেত্রে তিন বছর সদস্য থাকার বিধান যুক্ত করার সুপারিশ করেছিল। কিন্তু আরপিও সংশোধনে সেই সুপারিশ রাখেনি নির্বাচন কমিশন।
এ বিষয়ে নির্বাচনব্যবস্থা সংস্কার কমিশনের সদস্য ও নির্বাচন বিশেষজ্ঞ ড. মো. আব্দুল আলীম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘রাজনৈতিক দলের মনোনয়নের ক্ষেত্রে তিন বছর সদস্য থাকতে হবে, এটি আমাদের সুপারিশে ছিল। নির্বাচন কমিশন সংস্কার কমিশনের অনেক সুপারিশই রাখেনি। তার মধ্যে এটি একটি।’
জোটের অন্য দলের প্রতীকে ভোটের পথ বন্ধ আরপিও সংশোধনীর পর যে বিষয়টি নিয়ে সবচেয়ে বেশি বিতর্ক চলছে তা হলো, জোট করলে রাজনৈতিক দলগুলোকে নিজ নিজ প্রতীকে নির্বাচনে অংশ নিতে বাধ্য করা। বিষয়টি নিয়ে আপত্তি জানিয়েছে বিএনপি ও সমমনা দলগুলো। তবে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী, জাতীয় নাগরিক পার্টিসহ (এনসিপি) কয়েকটি দল এই বিধানকে সমর্থন করেছে।
রাজনৈতিক দলের সঙ্গে ইসির সংলাপেও জোটের ভোটে নিজ নিজ দলের প্রতীক ব্যবহারের পক্ষে-বিপক্ষে সুপারিশ আসে। সংলাপে কেউ কেউ বলেছেন, জোটের ভোটে নিজ দলের প্রতীক ব্যবহার বাধ্যতামূলক হওয়ায় নিবন্ধিত দলগুলো বঞ্চিত হচ্ছে। অনিবন্ধিত দলগুলোর এই সুবিধা নিতে বাধা নেই। এটি বৈষম্যমূলক আচরণ।
জোট করলেও ভোটে নিজ দলের প্রতীকে ভোট করার বাধ্যবাধকতা বাদ দেওয়া হবে কি না, জানতে চাইলে নির্বাচন কমিশনার মো. আনোয়ারুল ইসলাম সরকার আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘অনেকেই এই বিধানের পক্ষে বলেছেন, আমাদের ধন্যবাদ দিয়েছেন। আবার কেউ কেউ বলেছেন, এটাতে গণতান্ত্রিক অধিকার হরণ করা হয়েছে। এগুলোর মাপকাঠি নির্ধারণ করা কঠিন। এটি সংশোধন করা হবে না।’

ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে নির্বাচন কমিশন (ইসি) গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশে (আরপিও) যে সংশোধনী এনেছে, তাতে জোট করলে রাজনৈতিক দলগুলোকে নিজ নিজ প্রতীকে নির্বাচনে অংশ নেওয়া বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। এতে জোটভুক্ত অন্য দলের প্রতীকে ভোট করার সুযোগে ‘তালা’ পড়েছে। ডিগবাজি দিয়ে এক দল থেকে অন্য দলে গিয়ে ভোট করার পথ আগের মতোই খোলা রেখেছে ইসি।
সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকার আমলে আইন সংশোধন করে কোনো রাজনৈতিক দলের প্রার্থী হতে হলে অন্তত তিন বছর সংশ্লিষ্ট দলের সদস্য থাকার বাধ্যবাধকতার বিধান যোগ করা হয়েছিল। পরবর্তী সময়ে দশম সংসদ নির্বাচনের আগে আরপিওর ওই অংশটি বিলুপ্তির সুপারিশ করে সংসদে উত্থাপিত হলে তা কণ্ঠভোটে পাস হয়। এতে তিন বছর সংশ্লিষ্ট দলের সদস্য থাকার বাধ্যবাধকতার বিধান বাদ পড়ে, যা এখনো বহাল আছে।
এ বিষয়ে কথা হলে সুশাসনের জন্য নাগরিকের (সুজন) সম্পাদক ড. বদিউল আলম মজুমদার বলেন, ‘সুজনের পক্ষ থেকেই এই প্রস্তাব করেছিলাম যে দলীয় মনোনয়নের ক্ষেত্রে তিন বছর সদস্য থাকতে হবে। আমাদের উদ্যোগেই ২০০৮-০৯ সালে আরপিও সংশোধন হয়েছিল। পরবর্তী সময়ে তা বাতিল করা হয়েছে। বসন্তের কোকিল যেন এসে নির্বাচনে অংশ না নিতে পারে, এগুলোর জন্যই এটা করা হয়েছিল।’
বদিউল আলম মজুমদার অন্তর্বর্তী সরকারের গঠিত নির্বাচনব্যবস্থা সংস্কার কমিশনের প্রধান এবং পরে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সদস্য হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছেন। তাঁর নেতৃত্বে গঠিত নির্বাচনব্যবস্থা সংস্কার কমিশনও রাজনৈতিক দলের মনোনয়নের ক্ষেত্রে তিন বছর সদস্য থাকার বিধান যুক্ত করার সুপারিশ করেছিল। কিন্তু আরপিও সংশোধনে সেই সুপারিশ রাখেনি নির্বাচন কমিশন।
এ বিষয়ে নির্বাচনব্যবস্থা সংস্কার কমিশনের সদস্য ও নির্বাচন বিশেষজ্ঞ ড. মো. আব্দুল আলীম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘রাজনৈতিক দলের মনোনয়নের ক্ষেত্রে তিন বছর সদস্য থাকতে হবে, এটি আমাদের সুপারিশে ছিল। নির্বাচন কমিশন সংস্কার কমিশনের অনেক সুপারিশই রাখেনি। তার মধ্যে এটি একটি।’
জোটের অন্য দলের প্রতীকে ভোটের পথ বন্ধ আরপিও সংশোধনীর পর যে বিষয়টি নিয়ে সবচেয়ে বেশি বিতর্ক চলছে তা হলো, জোট করলে রাজনৈতিক দলগুলোকে নিজ নিজ প্রতীকে নির্বাচনে অংশ নিতে বাধ্য করা। বিষয়টি নিয়ে আপত্তি জানিয়েছে বিএনপি ও সমমনা দলগুলো। তবে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী, জাতীয় নাগরিক পার্টিসহ (এনসিপি) কয়েকটি দল এই বিধানকে সমর্থন করেছে।
রাজনৈতিক দলের সঙ্গে ইসির সংলাপেও জোটের ভোটে নিজ নিজ দলের প্রতীক ব্যবহারের পক্ষে-বিপক্ষে সুপারিশ আসে। সংলাপে কেউ কেউ বলেছেন, জোটের ভোটে নিজ দলের প্রতীক ব্যবহার বাধ্যতামূলক হওয়ায় নিবন্ধিত দলগুলো বঞ্চিত হচ্ছে। অনিবন্ধিত দলগুলোর এই সুবিধা নিতে বাধা নেই। এটি বৈষম্যমূলক আচরণ।
জোট করলেও ভোটে নিজ দলের প্রতীকে ভোট করার বাধ্যবাধকতা বাদ দেওয়া হবে কি না, জানতে চাইলে নির্বাচন কমিশনার মো. আনোয়ারুল ইসলাম সরকার আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘অনেকেই এই বিধানের পক্ষে বলেছেন, আমাদের ধন্যবাদ দিয়েছেন। আবার কেউ কেউ বলেছেন, এটাতে গণতান্ত্রিক অধিকার হরণ করা হয়েছে। এগুলোর মাপকাঠি নির্ধারণ করা কঠিন। এটি সংশোধন করা হবে না।’

আজকের (শুক্রবার) ভূমিকম্প হঠাৎ করেই ঝুঁকি জানান দিয়েছে, বিষয়টা কিন্তু এমন নয়। ভূমিকম্পপ্রবণ দেশ হিসেবে আমরা অনেক আগে থেকে ঝুঁকিপূর্ণ। গত ৩৪ বছরই বলা হচ্ছে, একটা ভয়ংকর ভূমিকম্প অত্যাসন্ন। কারণ বাংলাদেশের অবস্থান ইন্ডিয়ান, ইউরেশিয়ান ও বার্মা—এই তিন টেকটোনিক প্লেটের সংযোগস্থলে।
৩ ঘণ্টা আগে
অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, ‘২৭ মার্চ চট্টগ্রামের কালুরঘাট বেতার কেন্দ্র থেকে তৎকালীন মেজর এবং পরবর্তীতে রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান বাংলাদেশের স্বাধীনতার ঘোষণা করেছিলেন। একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধে আমাদের সশস্ত্র বাহিনীর অবদান বাংলাদেশের ইতিহাসের স্বর্ণাক্ষরে লেখা থাকবে।’
৭ ঘণ্টা আগে
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক উত্তরণে আসন্ন জাতীয় নির্বাচন একটি গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায় হিসেবে বিবেচিত হবে। একটি নির্বিঘ্ন ও উৎসবমুখর নির্বাচন আয়োজনে সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যদের দক্ষতা ও পেশাদারির সঙ্গে দায়িত্ব পালনের আহ্বান জানাচ্ছি।’
১১ ঘণ্টা আগে
সশস্ত্র বাহিনী দিবস উপলক্ষে আজ শুক্রবার সেনাকুঞ্জে আয়োজিত সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে যোগ দিয়েছেন বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া। এ সময় বেগম জিয়ার সঙ্গে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূস একটি একান্ত বৈঠকে মিলিত হন।
১৩ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, ‘২৭ মার্চ চট্টগ্রামের কালুরঘাট বেতার কেন্দ্র থেকে তৎকালীন মেজর এবং পরবর্তী সময়ে রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান বাংলাদেশের স্বাধীনতার ঘোষণা করেছিলেন। একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধে আমাদের সশস্ত্র বাহিনীর অবদান বাংলাদেশের ইতিহাসের স্বর্ণাক্ষরে লেখা থাকবে।’
মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, ‘সশস্ত্র বাহিনী দিবস উদ্যাপন উপলক্ষে আয়োজিত আজকের এই সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে আপনাদের সবাইকে স্বাগত জানাই। আজকের এই বিশেষ দিনে আমি সশ্রদ্ধচিত্তে স্মরণ করছি মহান মুক্তিযুদ্ধের সকল শহীদ, যুদ্ধাহত এবং অন্যান্য সকল বীর মুক্তিযোদ্ধাদের, যাদের আত্মত্যাগের বিনিময়ে অর্জিত হয়েছে আমাদের স্বাধীনতা।
একই সঙ্গে আমি শ্রদ্ধা জানাচ্ছি ২০২৪ সালের জুলাই-আগস্ট মাসে ছাত্র-জনতার গণ-অভ্যুত্থানের সকল শহীদ, আহত এবং অংশগ্রহণকারী সর্বস্তরের মানুষের প্রতি; যাদের দুঃসাহসিক আত্মত্যাগ আমাদের দেশ পুনর্গঠনের একটি নতুন সুযোগ সৃষ্টি করে দিয়েছে।’
আজ শুক্রবার (২১ নভেম্বর) বিকেলে রাজধানীর সেনাকুঞ্জে সশস্ত্র বাহিনী দিবস উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন প্রধান উপদেষ্টা। এ সময় সেনাপ্রধান জেনারেল ওয়াকার‑উজ‑জামান, নৌবাহিনীর প্রধান অ্যাডমিরাল এম নাজমুল হাসান এবং বিমানবাহিনীর প্রধান এয়ার চিফ মার্শাল হাসান মাহমুদ খাঁনসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
এ সময় আসন্ন নির্বাচন নির্বিঘ্ন ও উৎসবমুখর করতে সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যদের দক্ষতা ও পেশাদারির সঙ্গে দায়িত্ব পালনের আহ্বান জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা।
মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, গণতান্ত্রিক এবং নিয়মতান্ত্রিক নেতৃত্বের প্রতি অনুগত বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনী তাদের পেশাগত দক্ষতা ও দেশপ্রেমের সমন্বয়ে দেশের জন্য ত্যাগ ও তৎপরতার ধারাবাহিকতা অক্ষুণ্ন রাখবে। বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক উত্তরণে আসন্ন নির্বাচন একটি গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায় হিসেবে বিবেচিত হবে। নির্বিঘ্ন ও উৎসবমুখর নির্বাচন আয়োজনে সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যদের দক্ষতা ও পেশাদারির সঙ্গে দায়িত্ব পালনের আহ্বান জানান তিনি।
মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষার পাশাপাশি ও জাতীয় দুর্যোগ মোকাবিলায় সশস্ত্র বাহিনী সর্বদাই জনগণের পাশে থেকে কাজ করে যাচ্ছে।
২০২৪-এর ছাত্র-জনতার গণ-অভ্যুত্থান, চলমান দেশ পুনর্গঠন ও সংস্কারকাজেও সশস্ত্র বাহিনী বরাবরের মতোই মানুষের পাশে দাঁড়িয়ে অব্যাহতভাবে দেশের মানুষের আস্থার প্রতিদান দিয়ে যাচ্ছে।
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘আজকের এই বিশেষ দিনে আমি সশ্রদ্ধচিত্তে স্মরণ করছি মহান মুক্তিযুদ্ধের সব শহীদ, যুদ্ধাহত ও অন্যান্য সব বীর মুক্তিযোদ্ধাদের, যাঁদের আত্মত্যাগের বিনিময়ে অর্জিত হয়েছে আমাদের স্বাধীনতা। একই সঙ্গে আমি শ্রদ্ধা জানাচ্ছি, ২০২৪-এর জুলাই-আগস্ট মাসে ছাত্র-জনতার গণ-অভ্যুত্থানের সব শহীদ, আহত এবং অংশগ্রহণকারী সর্বস্তরের মানুষের প্রতি, যাদের দুঃসাহসিক আত্মত্যাগ আমাদের জন্য দেশ পুনর্গঠনের একটি নতুন সুযোগ সৃষ্টি করে দিয়েছে।’
মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, ‘বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনীর জন্ম ১৯৭১ সালের রণক্ষেত্রে। ১৯৭১ সালের ২১ নভেম্বর সেনাবাহিনীর সঙ্গে নৌ ও বিমানবাহিনী সম্মিলিতভাবে পাকিস্তানি বাহিনীর বিরুদ্ধে লড়েছিল বলে ২১ নভেম্বরকে মুক্তিযুদ্ধের একটি মাইলফলক হিসেবে গৌরবের সঙ্গে পালন করা হয়। তবে মুক্তিযুদ্ধে সশস্ত্র বাহিনীর সংগ্রামের সূচনা ঘটে ২৫ মার্চের রাত থেকেই। আমরা যদি বিজয় অর্জন না করতাম, তাহলে এই বীর সেনাদের মৃত্যুদণ্ড ছিল অনিবার্য। অসহনীয় হয়ে যেত তাঁদের পরিবারের সব সদস্যের জীবন।’
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, মুক্তিকামী সেনা, নৌ ও বিমানবাহিনীর অকুতোভয় বীর সেনানীরা জীবনের পরোয়া না করে, পরিবারের ভবিষ্যতের কথা চিন্তা না করে এ দেশের স্বাধীনতাযুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়েছিলেন। তাঁরাই এ দেশের আপামর জনসাধারণকে সাহস জুগিয়েছেন।
মানুষের সঙ্গে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে জল-স্থল ও আকাশপথে সম্মিলিতভাবে প্রতিরোধ গড়ে তুলে দেশমাতৃকাকে পরাধীনতার শৃঙ্খল থেকে মুক্ত করে এনেছেন। যুদ্ধ বেগবান ও সুসংগঠিত করার লক্ষ্যে তখন বাংলাদেশ ফোর্সেস গঠন করা হয়েছিল। যার অধীনে ১১টি সেক্টরে দেশের বিভিন্ন অংশ থেকে আসা মুক্তিযোদ্ধাদের সামরিক প্রশিক্ষণের পাশাপাশি গেরিলা প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়।
মুহাম্মদ ইউনূস আরও বলেন, ‘এরই চূড়ান্ত রূপ আমরা দেখি ১৯৭১ সালের ২১ নভেম্বর সেনাবাহিনী, নৌবাহিনী ও বিমানবাহিনীর সম্মিলিত অভিযানে। পাকিস্তানি সৈন্যদের বিরুদ্ধে এই যৌথ অভিযানই ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর বাংলাদেশের স্বাধীনতাসংগ্রামের চূড়ান্ত বিজয় এনে দিয়েছিল। একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধে আমাদের সশস্ত্র বাহিনীর অবদান বাংলাদেশের ইতিহাসে স্বর্ণাক্ষরে লেখা থাকবে।’
মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, ‘একটি শান্তিপ্রিয় জাতি হিসেবে আমরা সব বন্ধুরাষ্ট্রের সঙ্গে সম্মানজনক সহাবস্থানে বিশ্বাসী। তথাপি, যেকোনো আগ্রাসী বহিঃশত্রুর আক্রমণ থেকে দেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষার জন্য আমাদের সদা প্রস্তুত এবং সংকল্পবদ্ধ থাকতে হবে। এ লক্ষ্যে আমাদের সেনা, নৌ ও বিমানবাহিনীর আধুনিকায়ন, উন্নত প্রশিক্ষণ এবং উন্নত বিশ্বের সঙ্গে তাল মিলিয়ে বাহিনীগুলোতে যুগোপযোগী প্রযুক্তি সংযোজনের প্রয়াস অব্যাহত রয়েছে।’
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘বিগত ৩৭ বছরে জাতিসংঘে আমাদের শান্তিরক্ষীরা সফলতার সঙ্গে ৪৩টি দেশে ৬৩টি মিশন সম্পন্ন করেছেন। বর্তমানেও বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে ১০টি মিশনে আমাদের শান্তিরক্ষীরা নিয়োজিত আছেন। বাংলাদেশ বর্তমানে অন্যতম বৃহৎ নারী শান্তিরক্ষী প্রেরণকারী দেশ হিসেবেও বিশ্বে পরিচিতি লাভ করেছে।’
মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, ‘বিশ্বশান্তি ও নিরাপত্তার বৈশ্বিক প্রচেষ্টায় বাংলাদেশ আজ একটি দায়িত্বশীল ও নির্ভরযোগ্য নাম। এ জন্য আমি সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যদের আন্তরিক ধন্যবাদ জানাই। বাংলাদেশি শান্তিরক্ষীরা যাতে বিশ্বের চ্যালেঞ্জিং এবং বিপজ্জনক অঞ্চলসমূহে সৃষ্ট পরিস্থিতি মোকাবিলা করতে পারেন, সে জন্য তাঁদের সময়োপযোগী প্রশিক্ষণ দিয়ে প্রয়োজনীয় সরঞ্জাম সরবরাহের প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখতে হবে।’

অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, ‘২৭ মার্চ চট্টগ্রামের কালুরঘাট বেতার কেন্দ্র থেকে তৎকালীন মেজর এবং পরবর্তী সময়ে রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান বাংলাদেশের স্বাধীনতার ঘোষণা করেছিলেন। একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধে আমাদের সশস্ত্র বাহিনীর অবদান বাংলাদেশের ইতিহাসের স্বর্ণাক্ষরে লেখা থাকবে।’
মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, ‘সশস্ত্র বাহিনী দিবস উদ্যাপন উপলক্ষে আয়োজিত আজকের এই সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে আপনাদের সবাইকে স্বাগত জানাই। আজকের এই বিশেষ দিনে আমি সশ্রদ্ধচিত্তে স্মরণ করছি মহান মুক্তিযুদ্ধের সকল শহীদ, যুদ্ধাহত এবং অন্যান্য সকল বীর মুক্তিযোদ্ধাদের, যাদের আত্মত্যাগের বিনিময়ে অর্জিত হয়েছে আমাদের স্বাধীনতা।
একই সঙ্গে আমি শ্রদ্ধা জানাচ্ছি ২০২৪ সালের জুলাই-আগস্ট মাসে ছাত্র-জনতার গণ-অভ্যুত্থানের সকল শহীদ, আহত এবং অংশগ্রহণকারী সর্বস্তরের মানুষের প্রতি; যাদের দুঃসাহসিক আত্মত্যাগ আমাদের দেশ পুনর্গঠনের একটি নতুন সুযোগ সৃষ্টি করে দিয়েছে।’
আজ শুক্রবার (২১ নভেম্বর) বিকেলে রাজধানীর সেনাকুঞ্জে সশস্ত্র বাহিনী দিবস উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন প্রধান উপদেষ্টা। এ সময় সেনাপ্রধান জেনারেল ওয়াকার‑উজ‑জামান, নৌবাহিনীর প্রধান অ্যাডমিরাল এম নাজমুল হাসান এবং বিমানবাহিনীর প্রধান এয়ার চিফ মার্শাল হাসান মাহমুদ খাঁনসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
এ সময় আসন্ন নির্বাচন নির্বিঘ্ন ও উৎসবমুখর করতে সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যদের দক্ষতা ও পেশাদারির সঙ্গে দায়িত্ব পালনের আহ্বান জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা।
মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, গণতান্ত্রিক এবং নিয়মতান্ত্রিক নেতৃত্বের প্রতি অনুগত বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনী তাদের পেশাগত দক্ষতা ও দেশপ্রেমের সমন্বয়ে দেশের জন্য ত্যাগ ও তৎপরতার ধারাবাহিকতা অক্ষুণ্ন রাখবে। বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক উত্তরণে আসন্ন নির্বাচন একটি গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায় হিসেবে বিবেচিত হবে। নির্বিঘ্ন ও উৎসবমুখর নির্বাচন আয়োজনে সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যদের দক্ষতা ও পেশাদারির সঙ্গে দায়িত্ব পালনের আহ্বান জানান তিনি।
মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষার পাশাপাশি ও জাতীয় দুর্যোগ মোকাবিলায় সশস্ত্র বাহিনী সর্বদাই জনগণের পাশে থেকে কাজ করে যাচ্ছে।
২০২৪-এর ছাত্র-জনতার গণ-অভ্যুত্থান, চলমান দেশ পুনর্গঠন ও সংস্কারকাজেও সশস্ত্র বাহিনী বরাবরের মতোই মানুষের পাশে দাঁড়িয়ে অব্যাহতভাবে দেশের মানুষের আস্থার প্রতিদান দিয়ে যাচ্ছে।
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘আজকের এই বিশেষ দিনে আমি সশ্রদ্ধচিত্তে স্মরণ করছি মহান মুক্তিযুদ্ধের সব শহীদ, যুদ্ধাহত ও অন্যান্য সব বীর মুক্তিযোদ্ধাদের, যাঁদের আত্মত্যাগের বিনিময়ে অর্জিত হয়েছে আমাদের স্বাধীনতা। একই সঙ্গে আমি শ্রদ্ধা জানাচ্ছি, ২০২৪-এর জুলাই-আগস্ট মাসে ছাত্র-জনতার গণ-অভ্যুত্থানের সব শহীদ, আহত এবং অংশগ্রহণকারী সর্বস্তরের মানুষের প্রতি, যাদের দুঃসাহসিক আত্মত্যাগ আমাদের জন্য দেশ পুনর্গঠনের একটি নতুন সুযোগ সৃষ্টি করে দিয়েছে।’
মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, ‘বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনীর জন্ম ১৯৭১ সালের রণক্ষেত্রে। ১৯৭১ সালের ২১ নভেম্বর সেনাবাহিনীর সঙ্গে নৌ ও বিমানবাহিনী সম্মিলিতভাবে পাকিস্তানি বাহিনীর বিরুদ্ধে লড়েছিল বলে ২১ নভেম্বরকে মুক্তিযুদ্ধের একটি মাইলফলক হিসেবে গৌরবের সঙ্গে পালন করা হয়। তবে মুক্তিযুদ্ধে সশস্ত্র বাহিনীর সংগ্রামের সূচনা ঘটে ২৫ মার্চের রাত থেকেই। আমরা যদি বিজয় অর্জন না করতাম, তাহলে এই বীর সেনাদের মৃত্যুদণ্ড ছিল অনিবার্য। অসহনীয় হয়ে যেত তাঁদের পরিবারের সব সদস্যের জীবন।’
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, মুক্তিকামী সেনা, নৌ ও বিমানবাহিনীর অকুতোভয় বীর সেনানীরা জীবনের পরোয়া না করে, পরিবারের ভবিষ্যতের কথা চিন্তা না করে এ দেশের স্বাধীনতাযুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়েছিলেন। তাঁরাই এ দেশের আপামর জনসাধারণকে সাহস জুগিয়েছেন।
মানুষের সঙ্গে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে জল-স্থল ও আকাশপথে সম্মিলিতভাবে প্রতিরোধ গড়ে তুলে দেশমাতৃকাকে পরাধীনতার শৃঙ্খল থেকে মুক্ত করে এনেছেন। যুদ্ধ বেগবান ও সুসংগঠিত করার লক্ষ্যে তখন বাংলাদেশ ফোর্সেস গঠন করা হয়েছিল। যার অধীনে ১১টি সেক্টরে দেশের বিভিন্ন অংশ থেকে আসা মুক্তিযোদ্ধাদের সামরিক প্রশিক্ষণের পাশাপাশি গেরিলা প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়।
মুহাম্মদ ইউনূস আরও বলেন, ‘এরই চূড়ান্ত রূপ আমরা দেখি ১৯৭১ সালের ২১ নভেম্বর সেনাবাহিনী, নৌবাহিনী ও বিমানবাহিনীর সম্মিলিত অভিযানে। পাকিস্তানি সৈন্যদের বিরুদ্ধে এই যৌথ অভিযানই ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর বাংলাদেশের স্বাধীনতাসংগ্রামের চূড়ান্ত বিজয় এনে দিয়েছিল। একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধে আমাদের সশস্ত্র বাহিনীর অবদান বাংলাদেশের ইতিহাসে স্বর্ণাক্ষরে লেখা থাকবে।’
মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, ‘একটি শান্তিপ্রিয় জাতি হিসেবে আমরা সব বন্ধুরাষ্ট্রের সঙ্গে সম্মানজনক সহাবস্থানে বিশ্বাসী। তথাপি, যেকোনো আগ্রাসী বহিঃশত্রুর আক্রমণ থেকে দেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষার জন্য আমাদের সদা প্রস্তুত এবং সংকল্পবদ্ধ থাকতে হবে। এ লক্ষ্যে আমাদের সেনা, নৌ ও বিমানবাহিনীর আধুনিকায়ন, উন্নত প্রশিক্ষণ এবং উন্নত বিশ্বের সঙ্গে তাল মিলিয়ে বাহিনীগুলোতে যুগোপযোগী প্রযুক্তি সংযোজনের প্রয়াস অব্যাহত রয়েছে।’
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘বিগত ৩৭ বছরে জাতিসংঘে আমাদের শান্তিরক্ষীরা সফলতার সঙ্গে ৪৩টি দেশে ৬৩টি মিশন সম্পন্ন করেছেন। বর্তমানেও বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে ১০টি মিশনে আমাদের শান্তিরক্ষীরা নিয়োজিত আছেন। বাংলাদেশ বর্তমানে অন্যতম বৃহৎ নারী শান্তিরক্ষী প্রেরণকারী দেশ হিসেবেও বিশ্বে পরিচিতি লাভ করেছে।’
মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, ‘বিশ্বশান্তি ও নিরাপত্তার বৈশ্বিক প্রচেষ্টায় বাংলাদেশ আজ একটি দায়িত্বশীল ও নির্ভরযোগ্য নাম। এ জন্য আমি সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যদের আন্তরিক ধন্যবাদ জানাই। বাংলাদেশি শান্তিরক্ষীরা যাতে বিশ্বের চ্যালেঞ্জিং এবং বিপজ্জনক অঞ্চলসমূহে সৃষ্ট পরিস্থিতি মোকাবিলা করতে পারেন, সে জন্য তাঁদের সময়োপযোগী প্রশিক্ষণ দিয়ে প্রয়োজনীয় সরঞ্জাম সরবরাহের প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখতে হবে।’

আজকের (শুক্রবার) ভূমিকম্প হঠাৎ করেই ঝুঁকি জানান দিয়েছে, বিষয়টা কিন্তু এমন নয়। ভূমিকম্পপ্রবণ দেশ হিসেবে আমরা অনেক আগে থেকে ঝুঁকিপূর্ণ। গত ৩৪ বছরই বলা হচ্ছে, একটা ভয়ংকর ভূমিকম্প অত্যাসন্ন। কারণ বাংলাদেশের অবস্থান ইন্ডিয়ান, ইউরেশিয়ান ও বার্মা—এই তিন টেকটোনিক প্লেটের সংযোগস্থলে।
৩ ঘণ্টা আগে
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে নির্বাচন কমিশন (ইসি) গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশে (আরপিও) যে সংশোধনী এনেছে, তাতে জোট করলে রাজনৈতিক দলগুলোকে নিজ নিজ প্রতীকে নির্বাচনে অংশ নেওয়া বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। এতে জোটভুক্ত অন্য দলের প্রতীকে ভোট করার সুযোগে ‘তালা’ পড়েছে।
৪ ঘণ্টা আগে
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক উত্তরণে আসন্ন জাতীয় নির্বাচন একটি গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায় হিসেবে বিবেচিত হবে। একটি নির্বিঘ্ন ও উৎসবমুখর নির্বাচন আয়োজনে সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যদের দক্ষতা ও পেশাদারির সঙ্গে দায়িত্ব পালনের আহ্বান জানাচ্ছি।’
১১ ঘণ্টা আগে
সশস্ত্র বাহিনী দিবস উপলক্ষে আজ শুক্রবার সেনাকুঞ্জে আয়োজিত সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে যোগ দিয়েছেন বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া। এ সময় বেগম জিয়ার সঙ্গে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূস একটি একান্ত বৈঠকে মিলিত হন।
১৩ ঘণ্টা আগেবাসস, ঢাকা

নির্বিঘ্ন ও উৎসবমুখর নির্বাচন আয়োজনে সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যদের দক্ষতা ও পেশাদারির সঙ্গে দায়িত্ব পালনের আহ্বান জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
আজ শুক্রবার সশস্ত্র বাহিনী দিবস ২০২৫ উপলক্ষে সেনাকুঞ্জে আয়োজিত সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে তিনি এ আহ্বান জানান।
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক উত্তরণে আসন্ন জাতীয় নির্বাচন একটি গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায় হিসেবে বিবেচিত হবে। একটি নির্বিঘ্ন ও উৎসবমুখর নির্বাচন আয়োজনে সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যদের দক্ষতা ও পেশাদারির সঙ্গে দায়িত্ব পালনের আহ্বান জানাচ্ছি।’
প্রধান উপদেষ্টা তাঁর বক্তব্যে মহান মুক্তিযুদ্ধের সব শহীদ, যুদ্ধাহত এবং অন্য বীর মুক্তিযোদ্ধাদের স্মরণ করেন এবং ২০২৪-এর জুলাই-আগস্ট মাসে ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের সব শহীদ, আহত এবং অংশগ্রহণকারী সর্বস্তরের জনগণের প্রতি শ্রদ্ধা জানান।
তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনীর জন্ম ১৯৭১ সালে রণক্ষেত্রে। সে সময় ২১ নভেম্বর সেনাবাহিনীর সঙ্গে নৌ ও বিমানবাহিনী সম্মিলিতভাবে পাকিস্তানি বাহিনীর বিরুদ্ধে লড়েছিল বলে ২১ নভেম্বরকে মুক্তিযুদ্ধের একটি মাইলফলক হিসেবে গৌরবের সঙ্গে পালন করা হয়। তবে মুক্তিযুদ্ধে সশস্ত্র বাহিনীর সংগ্রামের সূচনা ঘটে ২৫ মার্চের রাত থেকেই। আমরা যদি বিজয় অর্জন না করতাম, তাহলে এই বীর সেনাদের মৃত্যুদণ্ড ছিল অনিবার্য। অসহনীয় হয়ে যেত তাঁদের পরিবারের সব সদস্যের জীবন।’
ড. ইউনূস আরও বলেন, মুক্তিকামী সেনা, নৌ ও বিমানবাহিনীর অকুতোভয় বীর সেনানীরা জীবনের পরোয়া না করে, পরিবারের ভবিষ্যতের কথা চিন্তা না করে এ দেশের স্বাধীনতাযুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়েছিলেন। তাঁরাই এ দেশের আপামর জনসাধারণকে সাহস জুগিয়েছেন, সাধারণ মানুষের সঙ্গে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে জল, স্থল ও আকাশপথে সম্মিলিতভাবে প্রতিরোধ গড়ে তুলে দেশমাতৃকাকে পরাধীনতার শৃঙ্খল থেকে মুক্ত করে এনেছেন। যুদ্ধ বেগবান ও সুসংগঠিত করার লক্ষ্যে তখন বাংলাদেশ ফোর্সেস গঠন করা হয়েছিল, যার অধীনে ১১টি সেক্টরে দেশের বিভিন্ন অংশ থেকে আসা মুক্তিযোদ্ধাদের সামরিক প্রশিক্ষণের পাশাপাশি গেরিলা প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়।
‘এরই চূড়ান্ত রূপ আমরা দেখি ১৯৭১ সালের ২১ নভেম্বর সেনাবাহিনী, নৌবাহিনী ও বিমানবাহিনীর সম্মিলিত অভিযানে। পাকিস্তানি সৈন্যদের বিরুদ্ধে এই যৌথ অভিযানই ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামের চূড়ান্ত বিজয় এনে দিয়েছিল,’ যোগ করেন তিনি।
একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধে সশস্ত্র বাহিনীর অবদান বাংলাদেশের ইতিহাসে স্বর্ণাক্ষরে লেখা থাকবে বলে উল্লেখ করেন প্রধান উপদেষ্টা।
তিনি বলেন, দেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব রক্ষাসহ জাতীয় দুর্যোগ মোকাবিলায় সশস্ত্র বাহিনী সব সময় জনগণের পাশে থেকে কাজ করে যাচ্ছে এবং ২০২৪-এর ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থান ও চলমান দেশ পুনর্গঠনের কাজে সশস্ত্র বাহিনী মানুষের পাশে দাঁড়িয়ে আস্থার প্রতিদান দিয়েছে।
তিনি গণতান্ত্রিক এবং সাংবিধানিক নেতৃত্বের প্রতি অনুগত থেকে বাহিনীর পেশাগত দক্ষতা ও দেশপ্রেমের সমন্বয়ে এই ধারাবাহিকতা অক্ষুণ্ন থাকবে বলে প্রত্যাশা ব্যক্ত করেন।
ড. ইউনূস বলেন, ‘একটি শান্তিপ্রিয় জাতি হিসেবে আমরা সব বন্ধু রাষ্ট্রের সঙ্গে সম্মানজনক সহাবস্থানে বিশ্বাসী। তথাপি, যেকোনো আগ্রাসী বহিঃশত্রুর আক্রমণ থেকে দেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষার জন্য আমাদের সদা প্রস্তুত এবং সংকল্পবদ্ধ থাকতে হবে। এ লক্ষ্যে আমাদের সেনা, নৌ ও বিমানবাহিনীর আধুনিকায়ন, উন্নত প্রশিক্ষণ এবং উন্নত বিশ্বের সঙ্গে তাল মিলিয়ে বাহিনীগুলোতে যুগোপযোগী প্রযুক্তি সংযোজনের প্রয়াস অব্যাহত রয়েছে।’
প্রধান উপদেষ্টা আরও বলেন, বিগত ৩৭ বছরে জাতিসংঘে বাংলাদেশের শান্তিরক্ষীরা ৪৩টি দেশে ৬৩টি মিশন সম্পন্ন করেছে এবং বর্তমানে বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে ১০টি মিশনে অংশগ্রহণকারী রয়েছে।
শান্তিরক্ষীদের সাফল্যের জন্য সশস্ত্র বাহিনীর প্রতি ধন্যবাদ জানিয়ে তিনি বলেন, বাংলাদেশের শান্তিরক্ষীরা যাতে বিশ্বের চ্যালেঞ্জিং ও বিপজ্জনক অঞ্চলসমূহে সৃষ্ট পরিস্থিতি মোকাবিলা করতে পারে, সে জন্য তাদের সময়োপযোগী প্রশিক্ষণ ও প্রয়োজনীয় সরঞ্জাম প্রাপ্তির চেষ্টা অব্যাহত রাখতে হবে।

নির্বিঘ্ন ও উৎসবমুখর নির্বাচন আয়োজনে সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যদের দক্ষতা ও পেশাদারির সঙ্গে দায়িত্ব পালনের আহ্বান জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
আজ শুক্রবার সশস্ত্র বাহিনী দিবস ২০২৫ উপলক্ষে সেনাকুঞ্জে আয়োজিত সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে তিনি এ আহ্বান জানান।
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক উত্তরণে আসন্ন জাতীয় নির্বাচন একটি গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায় হিসেবে বিবেচিত হবে। একটি নির্বিঘ্ন ও উৎসবমুখর নির্বাচন আয়োজনে সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যদের দক্ষতা ও পেশাদারির সঙ্গে দায়িত্ব পালনের আহ্বান জানাচ্ছি।’
প্রধান উপদেষ্টা তাঁর বক্তব্যে মহান মুক্তিযুদ্ধের সব শহীদ, যুদ্ধাহত এবং অন্য বীর মুক্তিযোদ্ধাদের স্মরণ করেন এবং ২০২৪-এর জুলাই-আগস্ট মাসে ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের সব শহীদ, আহত এবং অংশগ্রহণকারী সর্বস্তরের জনগণের প্রতি শ্রদ্ধা জানান।
তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনীর জন্ম ১৯৭১ সালে রণক্ষেত্রে। সে সময় ২১ নভেম্বর সেনাবাহিনীর সঙ্গে নৌ ও বিমানবাহিনী সম্মিলিতভাবে পাকিস্তানি বাহিনীর বিরুদ্ধে লড়েছিল বলে ২১ নভেম্বরকে মুক্তিযুদ্ধের একটি মাইলফলক হিসেবে গৌরবের সঙ্গে পালন করা হয়। তবে মুক্তিযুদ্ধে সশস্ত্র বাহিনীর সংগ্রামের সূচনা ঘটে ২৫ মার্চের রাত থেকেই। আমরা যদি বিজয় অর্জন না করতাম, তাহলে এই বীর সেনাদের মৃত্যুদণ্ড ছিল অনিবার্য। অসহনীয় হয়ে যেত তাঁদের পরিবারের সব সদস্যের জীবন।’
ড. ইউনূস আরও বলেন, মুক্তিকামী সেনা, নৌ ও বিমানবাহিনীর অকুতোভয় বীর সেনানীরা জীবনের পরোয়া না করে, পরিবারের ভবিষ্যতের কথা চিন্তা না করে এ দেশের স্বাধীনতাযুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়েছিলেন। তাঁরাই এ দেশের আপামর জনসাধারণকে সাহস জুগিয়েছেন, সাধারণ মানুষের সঙ্গে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে জল, স্থল ও আকাশপথে সম্মিলিতভাবে প্রতিরোধ গড়ে তুলে দেশমাতৃকাকে পরাধীনতার শৃঙ্খল থেকে মুক্ত করে এনেছেন। যুদ্ধ বেগবান ও সুসংগঠিত করার লক্ষ্যে তখন বাংলাদেশ ফোর্সেস গঠন করা হয়েছিল, যার অধীনে ১১টি সেক্টরে দেশের বিভিন্ন অংশ থেকে আসা মুক্তিযোদ্ধাদের সামরিক প্রশিক্ষণের পাশাপাশি গেরিলা প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়।
‘এরই চূড়ান্ত রূপ আমরা দেখি ১৯৭১ সালের ২১ নভেম্বর সেনাবাহিনী, নৌবাহিনী ও বিমানবাহিনীর সম্মিলিত অভিযানে। পাকিস্তানি সৈন্যদের বিরুদ্ধে এই যৌথ অভিযানই ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামের চূড়ান্ত বিজয় এনে দিয়েছিল,’ যোগ করেন তিনি।
একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধে সশস্ত্র বাহিনীর অবদান বাংলাদেশের ইতিহাসে স্বর্ণাক্ষরে লেখা থাকবে বলে উল্লেখ করেন প্রধান উপদেষ্টা।
তিনি বলেন, দেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব রক্ষাসহ জাতীয় দুর্যোগ মোকাবিলায় সশস্ত্র বাহিনী সব সময় জনগণের পাশে থেকে কাজ করে যাচ্ছে এবং ২০২৪-এর ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থান ও চলমান দেশ পুনর্গঠনের কাজে সশস্ত্র বাহিনী মানুষের পাশে দাঁড়িয়ে আস্থার প্রতিদান দিয়েছে।
তিনি গণতান্ত্রিক এবং সাংবিধানিক নেতৃত্বের প্রতি অনুগত থেকে বাহিনীর পেশাগত দক্ষতা ও দেশপ্রেমের সমন্বয়ে এই ধারাবাহিকতা অক্ষুণ্ন থাকবে বলে প্রত্যাশা ব্যক্ত করেন।
ড. ইউনূস বলেন, ‘একটি শান্তিপ্রিয় জাতি হিসেবে আমরা সব বন্ধু রাষ্ট্রের সঙ্গে সম্মানজনক সহাবস্থানে বিশ্বাসী। তথাপি, যেকোনো আগ্রাসী বহিঃশত্রুর আক্রমণ থেকে দেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষার জন্য আমাদের সদা প্রস্তুত এবং সংকল্পবদ্ধ থাকতে হবে। এ লক্ষ্যে আমাদের সেনা, নৌ ও বিমানবাহিনীর আধুনিকায়ন, উন্নত প্রশিক্ষণ এবং উন্নত বিশ্বের সঙ্গে তাল মিলিয়ে বাহিনীগুলোতে যুগোপযোগী প্রযুক্তি সংযোজনের প্রয়াস অব্যাহত রয়েছে।’
প্রধান উপদেষ্টা আরও বলেন, বিগত ৩৭ বছরে জাতিসংঘে বাংলাদেশের শান্তিরক্ষীরা ৪৩টি দেশে ৬৩টি মিশন সম্পন্ন করেছে এবং বর্তমানে বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে ১০টি মিশনে অংশগ্রহণকারী রয়েছে।
শান্তিরক্ষীদের সাফল্যের জন্য সশস্ত্র বাহিনীর প্রতি ধন্যবাদ জানিয়ে তিনি বলেন, বাংলাদেশের শান্তিরক্ষীরা যাতে বিশ্বের চ্যালেঞ্জিং ও বিপজ্জনক অঞ্চলসমূহে সৃষ্ট পরিস্থিতি মোকাবিলা করতে পারে, সে জন্য তাদের সময়োপযোগী প্রশিক্ষণ ও প্রয়োজনীয় সরঞ্জাম প্রাপ্তির চেষ্টা অব্যাহত রাখতে হবে।

আজকের (শুক্রবার) ভূমিকম্প হঠাৎ করেই ঝুঁকি জানান দিয়েছে, বিষয়টা কিন্তু এমন নয়। ভূমিকম্পপ্রবণ দেশ হিসেবে আমরা অনেক আগে থেকে ঝুঁকিপূর্ণ। গত ৩৪ বছরই বলা হচ্ছে, একটা ভয়ংকর ভূমিকম্প অত্যাসন্ন। কারণ বাংলাদেশের অবস্থান ইন্ডিয়ান, ইউরেশিয়ান ও বার্মা—এই তিন টেকটোনিক প্লেটের সংযোগস্থলে।
৩ ঘণ্টা আগে
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে নির্বাচন কমিশন (ইসি) গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশে (আরপিও) যে সংশোধনী এনেছে, তাতে জোট করলে রাজনৈতিক দলগুলোকে নিজ নিজ প্রতীকে নির্বাচনে অংশ নেওয়া বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। এতে জোটভুক্ত অন্য দলের প্রতীকে ভোট করার সুযোগে ‘তালা’ পড়েছে।
৪ ঘণ্টা আগে
অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, ‘২৭ মার্চ চট্টগ্রামের কালুরঘাট বেতার কেন্দ্র থেকে তৎকালীন মেজর এবং পরবর্তীতে রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান বাংলাদেশের স্বাধীনতার ঘোষণা করেছিলেন। একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধে আমাদের সশস্ত্র বাহিনীর অবদান বাংলাদেশের ইতিহাসের স্বর্ণাক্ষরে লেখা থাকবে।’
৭ ঘণ্টা আগে
সশস্ত্র বাহিনী দিবস উপলক্ষে আজ শুক্রবার সেনাকুঞ্জে আয়োজিত সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে যোগ দিয়েছেন বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া। এ সময় বেগম জিয়ার সঙ্গে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূস একটি একান্ত বৈঠকে মিলিত হন।
১৩ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

সশস্ত্র বাহিনী দিবস উপলক্ষে আজ শুক্রবার সেনাকুঞ্জে আয়োজিত সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে যোগ দিয়েছেন বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া। এ সময় বেগম জিয়ার সঙ্গে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূস একটি একান্ত বৈঠকে মিলিত হন।
এর আগে বিএনপি চেয়ারপারসন বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে সেনাকুঞ্জে পৌঁছান। অনুষ্ঠান শুরুর ঠিক আগে দুই শীর্ষ ব্যক্তিত্বের মধ্যে এই গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিগত আলাপচারিতা হয়।
বৈঠকে আলোচনার বিষয়বস্তু তাৎক্ষণিকভাবে জানা যায়নি। তবে চলমান রাজনৈতিক ও জাতীয় নিরাপত্তা সংক্রান্ত গুরুত্বপূর্ণ প্রেক্ষাপটে দেশের এই দুই শীর্ষ ব্যক্তিত্বের একান্ত সাক্ষাৎ বিশেষ তাৎপর্য বহন করছে।
খালেদা জিয়ার সঙ্গে এই অনুষ্ঠানে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সহ দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য এবং পরিবারের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
উল্লেখ্য, প্রতি বছর ২১ নভেম্বর যথাযথ মর্যাদায় সশস্ত্র বাহিনী দিবস উদ্যাপন করা হয়। এই উপলক্ষে সেনাকুঞ্জে আয়োজিত সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে দেশের সামরিক ও রাজনৈতিক উচ্চপদস্থ ব্যক্তিরা উপস্থিত হন।

সশস্ত্র বাহিনী দিবস উপলক্ষে আজ শুক্রবার সেনাকুঞ্জে আয়োজিত সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে যোগ দিয়েছেন বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া। এ সময় বেগম জিয়ার সঙ্গে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূস একটি একান্ত বৈঠকে মিলিত হন।
এর আগে বিএনপি চেয়ারপারসন বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে সেনাকুঞ্জে পৌঁছান। অনুষ্ঠান শুরুর ঠিক আগে দুই শীর্ষ ব্যক্তিত্বের মধ্যে এই গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিগত আলাপচারিতা হয়।
বৈঠকে আলোচনার বিষয়বস্তু তাৎক্ষণিকভাবে জানা যায়নি। তবে চলমান রাজনৈতিক ও জাতীয় নিরাপত্তা সংক্রান্ত গুরুত্বপূর্ণ প্রেক্ষাপটে দেশের এই দুই শীর্ষ ব্যক্তিত্বের একান্ত সাক্ষাৎ বিশেষ তাৎপর্য বহন করছে।
খালেদা জিয়ার সঙ্গে এই অনুষ্ঠানে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সহ দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য এবং পরিবারের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
উল্লেখ্য, প্রতি বছর ২১ নভেম্বর যথাযথ মর্যাদায় সশস্ত্র বাহিনী দিবস উদ্যাপন করা হয়। এই উপলক্ষে সেনাকুঞ্জে আয়োজিত সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে দেশের সামরিক ও রাজনৈতিক উচ্চপদস্থ ব্যক্তিরা উপস্থিত হন।

আজকের (শুক্রবার) ভূমিকম্প হঠাৎ করেই ঝুঁকি জানান দিয়েছে, বিষয়টা কিন্তু এমন নয়। ভূমিকম্পপ্রবণ দেশ হিসেবে আমরা অনেক আগে থেকে ঝুঁকিপূর্ণ। গত ৩৪ বছরই বলা হচ্ছে, একটা ভয়ংকর ভূমিকম্প অত্যাসন্ন। কারণ বাংলাদেশের অবস্থান ইন্ডিয়ান, ইউরেশিয়ান ও বার্মা—এই তিন টেকটোনিক প্লেটের সংযোগস্থলে।
৩ ঘণ্টা আগে
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে নির্বাচন কমিশন (ইসি) গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশে (আরপিও) যে সংশোধনী এনেছে, তাতে জোট করলে রাজনৈতিক দলগুলোকে নিজ নিজ প্রতীকে নির্বাচনে অংশ নেওয়া বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। এতে জোটভুক্ত অন্য দলের প্রতীকে ভোট করার সুযোগে ‘তালা’ পড়েছে।
৪ ঘণ্টা আগে
অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, ‘২৭ মার্চ চট্টগ্রামের কালুরঘাট বেতার কেন্দ্র থেকে তৎকালীন মেজর এবং পরবর্তীতে রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান বাংলাদেশের স্বাধীনতার ঘোষণা করেছিলেন। একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধে আমাদের সশস্ত্র বাহিনীর অবদান বাংলাদেশের ইতিহাসের স্বর্ণাক্ষরে লেখা থাকবে।’
৭ ঘণ্টা আগে
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক উত্তরণে আসন্ন জাতীয় নির্বাচন একটি গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায় হিসেবে বিবেচিত হবে। একটি নির্বিঘ্ন ও উৎসবমুখর নির্বাচন আয়োজনে সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যদের দক্ষতা ও পেশাদারির সঙ্গে দায়িত্ব পালনের আহ্বান জানাচ্ছি।’
১১ ঘণ্টা আগে