কূটনৈতিক প্রতিবেদক, ঢাকা
বাংলাদেশে দায়িত্ব পালনকারী যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক কূটনীতিক জন এফ ড্যানিলোভিচ মনে করেন, ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের সময় ও ২০০৭ সালে সেনা–নিয়ন্ত্রিত সরকারের সময় বাংলাদেশের ক্ষেত্রে দেশটির নীতি ভুল ছিল। এখানে স্থিতিশীলতার জন্য নির্বাচনের মাধ্যমে জনগণের ভোটে নিয়মতান্ত্রিক উপায়ে ক্ষমতার পালাবদলের ওপর গুরুত্ব আরোপ করেন তিনি।
সাবেক মার্কিন কূটনীতিক জন এফ ড্যানিলোভিচ আজ শনিবার গণ-অভ্যুত্থান পরবর্তী বাংলাদেশ-যুক্তরাষ্ট্র সম্পর্কের নতুন গতিপথ শীর্ষক এক সংলাপে এসব কথা বলেন। যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক রাষ্ট্রদূত উইলিয়াম বি মাইলামও এই সংলাপে অংশ নেন।
সেন্টার ফর গভর্ন্যান্স স্টাডিজ (সিজিএস) রাজধানীর বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ইন্টারন্যাশনাল অ্যান্ড স্ট্র্যাটেজিক স্টাডিজ (বিআইআইএসএস) মিলনায়তনে এ সংলাপের আয়োজন করে।
২০০৭-২০০৮ সালে ঢাকায় মার্কিন দূতাবাসে ড্যান ডব্লিউ মজিনার সহকারী কূটনীতিক হিসেবে দায়িত্ব পালন করা ড্যানিলোভিচ বলেন, ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের সময় যুক্তরাষ্ট্র ভুল পক্ষে ছিল। বাংলাদেশে ওয়ান-ইলেভেনের ঘটনায় হস্তক্ষেপ করে যুক্তরাষ্ট্র ভুল করেছিল। সে সময় মার্কিন সরকার প্রাতিষ্ঠানিক সংস্কারে যথেষ্ট মনোযোগ দেয়নি। সেনা কর্মকর্তাদের বক্তব্যের ওপর অতিরিক্ত গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। বাংলাদেশের বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকার জনগণের সমর্থন নিয়ে সে ভুল থেকে শিক্ষা গ্রহণ করছে।
শাসক দলের জবাবদিহির অভাব এখানকার রাজনৈতিক ক্ষেত্রে কঠিন চ্যালেঞ্জগুলোর একটি উল্লেখ করে ড্যানিলোভিচ বলেন, বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকার জনগণের সমর্থন নিয়ে সেই সময়কার ভুল থেকে শিক্ষা গ্রহণ করছে। বাংলাদেশের জন্য যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপীয় ইউনিয়ন অর্থায়ন নীতি এখানকার চলমান সংস্কারের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ হওয়া উচিত। গত ১৭ বছরে বিদেশে পাচার হওয়া সম্পদ পুনরুদ্ধার করে সুশাসন ও সংস্কারের জন্য ব্যবহার করা উচিত। এক্ষেত্রে নাগরিক সমাজকে আরও সক্রিয় ভূমিকা নিতে হবে।
সেনাবাহিনী বাংলাদেশে অভ্যন্তরীণ বিষয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে উল্লেখ করে এই মার্কিন কূটনীতিক বলেন, গণতন্ত্রকে বিকশিত করতে হলে একটি শক্তিশালী সামরিক-বেসামরিক সম্পর্ক অপরিহার্য।
যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক রাষ্ট্রদূত উইলিয়াম বি মাইলাম বলেন, শেখ হাসিনা ২০১৪ সাল থেকে ধীরে ধীরে গণতন্ত্র কেড়ে নিতে শুরু করেন। কিন্তু এখানে স্থিতিশীলতার জন্য মানুষ পরিবর্তন চায়। এ ক্ষেত্রে নির্বাচনের মাধ্যমে জনগণের রায় নিয়ে পরবর্তী সরকারের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর করা দরকার।
আরও খবর পড়ুন:
বাংলাদেশে দায়িত্ব পালনকারী যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক কূটনীতিক জন এফ ড্যানিলোভিচ মনে করেন, ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের সময় ও ২০০৭ সালে সেনা–নিয়ন্ত্রিত সরকারের সময় বাংলাদেশের ক্ষেত্রে দেশটির নীতি ভুল ছিল। এখানে স্থিতিশীলতার জন্য নির্বাচনের মাধ্যমে জনগণের ভোটে নিয়মতান্ত্রিক উপায়ে ক্ষমতার পালাবদলের ওপর গুরুত্ব আরোপ করেন তিনি।
সাবেক মার্কিন কূটনীতিক জন এফ ড্যানিলোভিচ আজ শনিবার গণ-অভ্যুত্থান পরবর্তী বাংলাদেশ-যুক্তরাষ্ট্র সম্পর্কের নতুন গতিপথ শীর্ষক এক সংলাপে এসব কথা বলেন। যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক রাষ্ট্রদূত উইলিয়াম বি মাইলামও এই সংলাপে অংশ নেন।
সেন্টার ফর গভর্ন্যান্স স্টাডিজ (সিজিএস) রাজধানীর বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ইন্টারন্যাশনাল অ্যান্ড স্ট্র্যাটেজিক স্টাডিজ (বিআইআইএসএস) মিলনায়তনে এ সংলাপের আয়োজন করে।
২০০৭-২০০৮ সালে ঢাকায় মার্কিন দূতাবাসে ড্যান ডব্লিউ মজিনার সহকারী কূটনীতিক হিসেবে দায়িত্ব পালন করা ড্যানিলোভিচ বলেন, ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের সময় যুক্তরাষ্ট্র ভুল পক্ষে ছিল। বাংলাদেশে ওয়ান-ইলেভেনের ঘটনায় হস্তক্ষেপ করে যুক্তরাষ্ট্র ভুল করেছিল। সে সময় মার্কিন সরকার প্রাতিষ্ঠানিক সংস্কারে যথেষ্ট মনোযোগ দেয়নি। সেনা কর্মকর্তাদের বক্তব্যের ওপর অতিরিক্ত গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। বাংলাদেশের বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকার জনগণের সমর্থন নিয়ে সে ভুল থেকে শিক্ষা গ্রহণ করছে।
শাসক দলের জবাবদিহির অভাব এখানকার রাজনৈতিক ক্ষেত্রে কঠিন চ্যালেঞ্জগুলোর একটি উল্লেখ করে ড্যানিলোভিচ বলেন, বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকার জনগণের সমর্থন নিয়ে সেই সময়কার ভুল থেকে শিক্ষা গ্রহণ করছে। বাংলাদেশের জন্য যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপীয় ইউনিয়ন অর্থায়ন নীতি এখানকার চলমান সংস্কারের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ হওয়া উচিত। গত ১৭ বছরে বিদেশে পাচার হওয়া সম্পদ পুনরুদ্ধার করে সুশাসন ও সংস্কারের জন্য ব্যবহার করা উচিত। এক্ষেত্রে নাগরিক সমাজকে আরও সক্রিয় ভূমিকা নিতে হবে।
সেনাবাহিনী বাংলাদেশে অভ্যন্তরীণ বিষয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে উল্লেখ করে এই মার্কিন কূটনীতিক বলেন, গণতন্ত্রকে বিকশিত করতে হলে একটি শক্তিশালী সামরিক-বেসামরিক সম্পর্ক অপরিহার্য।
যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক রাষ্ট্রদূত উইলিয়াম বি মাইলাম বলেন, শেখ হাসিনা ২০১৪ সাল থেকে ধীরে ধীরে গণতন্ত্র কেড়ে নিতে শুরু করেন। কিন্তু এখানে স্থিতিশীলতার জন্য মানুষ পরিবর্তন চায়। এ ক্ষেত্রে নির্বাচনের মাধ্যমে জনগণের রায় নিয়ে পরবর্তী সরকারের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর করা দরকার।
আরও খবর পড়ুন:
‘অন্তর্বর্তী সরকারের পক্ষ থেকে আমি প্রধান নির্বাচন কমিশনারের কাছে চিঠি পাঠাব, যেন নির্বাচন কমিশন আগামী রমজানের আগে ২০২৬ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।’
৪২ মিনিট আগেআলোচনা সভায় বক্তারা জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের ঐতিহাসিক প্রেক্ষাপট ও তাৎপর্য তুলে ধরে বলেন, এই আন্দোলনের মধ্য দিয়েই দেশে স্বৈরাচারের পতন ঘটিয়ে গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠিত হয়। তরুণ প্রজন্মের সাহসিকতা ও দৃঢ় অবস্থান এই আন্দোলনকে সাফল্যমণ্ডিত করেছে।
১ ঘণ্টা আগে২০২৪ সালের ঐতিহাসিক জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের গুরুত্বপূর্ণ দলিল জুলাই ঘোষণাপত্র পাঠ করলেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। এই সনদে জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের রাষ্ট্রীয়, সাংবিধানিক স্বীকৃতিসহ নানা অঙ্গীকার তুলে ধরা হয়েছে।
৩ ঘণ্টা আগে‘জুলাই গণঅভ্যুত্থান দিবস’ উপলক্ষে আজ মঙ্গলবার গণভবনে নির্মাণাধীন ‘জুলাই গণঅভ্যুত্থান স্মৃতি জাদুঘর’-এর নির্মাণকাজের অগ্রগতি পর্যবেক্ষণ করেছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূস।
৩ ঘণ্টা আগে