নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
দেশপ্রেম এখন বড় একটা অস্ত্র হয়েছে। রাষ্ট্র আধিপত্যবাদী তত্ত্ব দিচ্ছে। সেটা না মানলে দেশপ্রেম নিয়ে প্রশ্ন করা হয়। আজ শনিবার সন্ধ্যায় ঢাকার প্যান প্যাসিফিক সোনারগাঁও হোটেলে ‘সাংস্কৃতিক যুদ্ধ সীমান্ত পেরিয়ে’ শীর্ষক অধিবেশনে যুক্তরাষ্ট্রের ইলিনয় স্টেট বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজনীতি ও সরকার বিভাগের অধ্যাপক আলী রীয়াজ এ কথা বলেছেন।
সংস্কৃতি, গণতন্ত্র, জাতীয়তাবাদ ও দেশপ্রেম নিয়ে অধিবেশনে আলোচনা হয়। সেন্টার ফর গভর্নেন্স স্টাডিজ (সিজিএস) আয়োজিত তিন দিনব্যাপী (শনিবার থেকে সোমবার) বে অব বেঙ্গল সম্মেলন অনুষ্ঠিত হচ্ছে।
অধিবেশনে আলী রীয়াজ বলেন, দেশপ্রেম এখন বড় একটি অস্ত্র হয়েছে। এটা শুধু আমেরিকা বা জার্মান নয় এমনকি বাংলাদেশেও হতে পারে। কারণ দেশপ্রেমকে এখন প্রশ্নের সম্মুখীন করা যায়। যদি তাদের (রাষ্ট্রের) আধিপত্যবাদ তত্ত্ব (হেজিমোনিক) না মেনে চলা হয়। সাধারণত সমাজে বিভিন্ন ধারণা থাকে। তবে এখন রাষ্ট্র এটার অংশ হয় ও তত্ত্ব যুক্ত করে।
তিনি বলেন, ‘এখনকার বড় সমস্যা হলো প্রতিটি সমাজে কিছু আলাদা আলাদা হেজিমোনিক তত্ত্ব আছে। আর সেগুলো অনুসরণ না করলেই দেশপ্রেম নিয়ে প্রশ্ন করা যায়। কিন্তু এটা একটা ফাঁদ যে আমাকে তাদের মতো করে চিন্তা করতে বাধ্য করে।’
একটা গণতান্ত্রিক দেশে ধর্ম কখনো বড় ইস্যু হতে পারে না উল্লেখ করে আলী রিয়াজ বলেন, সংখ্যালঘুদের রক্ষা করাই গণতান্ত্রিক দেশের কাজ। ভাবাদর্শগত পক্ষপাত বা যেকোনো একটি গ্রুপ বা সম্প্রদায়কে অনুসরণ করা ঠিক না।
আলী রীয়াজ বলেন, যুদ্ধ বিষয়টি একটি বড় সমস্যা। প্রথমে একটা গ্রুপকে টার্গেট করা হয় তারপর তাদের ধ্বংস করতে চাওয়া হয়। দুই পক্ষই তখন একটি প্রক্রিয়ার মধ্যে প্রবেশ করে।
অধিবেশনে জর্জ টাউন বিশ্ববিদ্যালয়ের সিকিউরিটি স্টাডিজ বিভাগের অধ্যাপক সি. ক্রিশ্চিন ফেয়ারের কথায় উঠে আসে ‘সংস্কৃতির লড়াই’ প্রসঙ্গটি একটি কৃত্রিম ব্যাপার। মূলত এটি দেশের সংবিধানের এবং আইনের দুর্বলতা। মানুষের যখন ভোটের অধিকার থাকে না তখন তাঁরা সমগোত্রীয় হয়ে যায় বলে উল্লেখ করেন তিনি।
তবে সুইডেনের তুরিবা ইউনিভার্সিটির কমিউনিকেশন সায়েন্স বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক গ্রেগোরি সিমনস সাংস্কৃতিক লড়াই নিয়ে ভিন্ন মত জানান। তিনি বলেন, পুলিশ, সেনাবাহিনীর হস্তক্ষেপ ছাড়াও যুদ্ধক্ষেত্র তৈরি হতে পারে। বিভিন্নরকম অধরা (ইনটেনজিবল) উপাদান থেকেই শুরু হতে পারে সাংস্কৃতিক সহিংসতা। এটা নির্ভর করে মানুষ বা একটি গোষ্ঠী তাঁর ভাবাদর্শ কেমন করে প্রতিষ্ঠিত করতে চায় এর ওপর।
‘সীমান্ত ছাড়িয়ে সংস্কৃতির লড়াই’ শীর্ষক অধিবেশন সঞ্চালনা করেন কানাডায় আফগানিস্তান সিকিউরিটি ইনস্টিটিউটের প্রতিষ্ঠাতা ইরফান ইয়ার। সাংস্কৃতিক লড়াই কী, এর সংজ্ঞা এবং সাংস্কৃতিক লড়াই হ্রাসের উপায় নিয়ে তিনি প্রশ্ন করেন প্যানেলিস্টদের।
এটি সিজিএসের দ্বিতীয় সম্মেলন। এবারের সম্মেলনে দেশীয় রাজনৈতিক ও বিরোধী দলের কোনো বক্তা থাকবেন না। বিশ্বের ৭৫টি দেশের গবেষক, শিক্ষক, লেখক, সাংবাদিক, ব্যবসায়ী ও রাজনৈতিকসহ বিভিন্ন পেশার ২০০ জন গুরুত্বপূর্ণ বক্তা উপস্থিত থাকবেন। তিন দিনে সম্মেলনে ৫০টি অধিবেশন অনুষ্ঠিত হবে। এবারের আলোচ্য বিষয় ইন্দো প্যাসেফিক ইস্যু ও ভূ-রাজনীতি।
দেশপ্রেম এখন বড় একটা অস্ত্র হয়েছে। রাষ্ট্র আধিপত্যবাদী তত্ত্ব দিচ্ছে। সেটা না মানলে দেশপ্রেম নিয়ে প্রশ্ন করা হয়। আজ শনিবার সন্ধ্যায় ঢাকার প্যান প্যাসিফিক সোনারগাঁও হোটেলে ‘সাংস্কৃতিক যুদ্ধ সীমান্ত পেরিয়ে’ শীর্ষক অধিবেশনে যুক্তরাষ্ট্রের ইলিনয় স্টেট বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজনীতি ও সরকার বিভাগের অধ্যাপক আলী রীয়াজ এ কথা বলেছেন।
সংস্কৃতি, গণতন্ত্র, জাতীয়তাবাদ ও দেশপ্রেম নিয়ে অধিবেশনে আলোচনা হয়। সেন্টার ফর গভর্নেন্স স্টাডিজ (সিজিএস) আয়োজিত তিন দিনব্যাপী (শনিবার থেকে সোমবার) বে অব বেঙ্গল সম্মেলন অনুষ্ঠিত হচ্ছে।
অধিবেশনে আলী রীয়াজ বলেন, দেশপ্রেম এখন বড় একটি অস্ত্র হয়েছে। এটা শুধু আমেরিকা বা জার্মান নয় এমনকি বাংলাদেশেও হতে পারে। কারণ দেশপ্রেমকে এখন প্রশ্নের সম্মুখীন করা যায়। যদি তাদের (রাষ্ট্রের) আধিপত্যবাদ তত্ত্ব (হেজিমোনিক) না মেনে চলা হয়। সাধারণত সমাজে বিভিন্ন ধারণা থাকে। তবে এখন রাষ্ট্র এটার অংশ হয় ও তত্ত্ব যুক্ত করে।
তিনি বলেন, ‘এখনকার বড় সমস্যা হলো প্রতিটি সমাজে কিছু আলাদা আলাদা হেজিমোনিক তত্ত্ব আছে। আর সেগুলো অনুসরণ না করলেই দেশপ্রেম নিয়ে প্রশ্ন করা যায়। কিন্তু এটা একটা ফাঁদ যে আমাকে তাদের মতো করে চিন্তা করতে বাধ্য করে।’
একটা গণতান্ত্রিক দেশে ধর্ম কখনো বড় ইস্যু হতে পারে না উল্লেখ করে আলী রিয়াজ বলেন, সংখ্যালঘুদের রক্ষা করাই গণতান্ত্রিক দেশের কাজ। ভাবাদর্শগত পক্ষপাত বা যেকোনো একটি গ্রুপ বা সম্প্রদায়কে অনুসরণ করা ঠিক না।
আলী রীয়াজ বলেন, যুদ্ধ বিষয়টি একটি বড় সমস্যা। প্রথমে একটা গ্রুপকে টার্গেট করা হয় তারপর তাদের ধ্বংস করতে চাওয়া হয়। দুই পক্ষই তখন একটি প্রক্রিয়ার মধ্যে প্রবেশ করে।
অধিবেশনে জর্জ টাউন বিশ্ববিদ্যালয়ের সিকিউরিটি স্টাডিজ বিভাগের অধ্যাপক সি. ক্রিশ্চিন ফেয়ারের কথায় উঠে আসে ‘সংস্কৃতির লড়াই’ প্রসঙ্গটি একটি কৃত্রিম ব্যাপার। মূলত এটি দেশের সংবিধানের এবং আইনের দুর্বলতা। মানুষের যখন ভোটের অধিকার থাকে না তখন তাঁরা সমগোত্রীয় হয়ে যায় বলে উল্লেখ করেন তিনি।
তবে সুইডেনের তুরিবা ইউনিভার্সিটির কমিউনিকেশন সায়েন্স বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক গ্রেগোরি সিমনস সাংস্কৃতিক লড়াই নিয়ে ভিন্ন মত জানান। তিনি বলেন, পুলিশ, সেনাবাহিনীর হস্তক্ষেপ ছাড়াও যুদ্ধক্ষেত্র তৈরি হতে পারে। বিভিন্নরকম অধরা (ইনটেনজিবল) উপাদান থেকেই শুরু হতে পারে সাংস্কৃতিক সহিংসতা। এটা নির্ভর করে মানুষ বা একটি গোষ্ঠী তাঁর ভাবাদর্শ কেমন করে প্রতিষ্ঠিত করতে চায় এর ওপর।
‘সীমান্ত ছাড়িয়ে সংস্কৃতির লড়াই’ শীর্ষক অধিবেশন সঞ্চালনা করেন কানাডায় আফগানিস্তান সিকিউরিটি ইনস্টিটিউটের প্রতিষ্ঠাতা ইরফান ইয়ার। সাংস্কৃতিক লড়াই কী, এর সংজ্ঞা এবং সাংস্কৃতিক লড়াই হ্রাসের উপায় নিয়ে তিনি প্রশ্ন করেন প্যানেলিস্টদের।
এটি সিজিএসের দ্বিতীয় সম্মেলন। এবারের সম্মেলনে দেশীয় রাজনৈতিক ও বিরোধী দলের কোনো বক্তা থাকবেন না। বিশ্বের ৭৫টি দেশের গবেষক, শিক্ষক, লেখক, সাংবাদিক, ব্যবসায়ী ও রাজনৈতিকসহ বিভিন্ন পেশার ২০০ জন গুরুত্বপূর্ণ বক্তা উপস্থিত থাকবেন। তিন দিনে সম্মেলনে ৫০টি অধিবেশন অনুষ্ঠিত হবে। এবারের আলোচ্য বিষয় ইন্দো প্যাসেফিক ইস্যু ও ভূ-রাজনীতি।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে আহত রোগীদের চিকিৎসায় বিদেশ থেকে চিকিৎসক আনা হচ্ছে। এ জন্য নির্দিষ্ট বরাদ্দ দিয়েছে সরকার। বরাদ্দের সিংহভাগ অর্থ যাতে চিকিৎসার কাজে ব্যয় করা যায়, তার জন্য বিদেশি বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের কর মওকুফ চায় সরকার। গত ২৮ জানুয়ারি জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) কাছে এ দাবি জানিয়েছে মুক্তি
১৯ মিনিট আগেচলতি বছর বাংলা একাডেমি সাহিত্য পুরস্কারের তালিকা ঘোষণার পর কয়েকটি নাম নিয়ে ব্যাপার সমালোচনা হয়। পরে তিনজনের নাম বাদ দিয়ে চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশ করে কর্তৃপক্ষ। এ নিয়ে আজ শনিবার জাতীয় কবিতা উৎসবের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে কথা বলেছেন সংস্কৃতি উপদেষ্টা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী। অনুষ্ঠানে তিনি প্রধান অতিথি ছিলেন।
২ ঘণ্টা আগেদুই দিনব্যাপী জাতীয় কবিতা উৎসবের উদ্বোধন হলো। আজ শনিবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় লাইব্রেরি চত্বরে উৎসবের উদ্বোধন করেন শহীদ আবু সাঈদের মা মনোয়ারা বেগম। ‘স্বাধীনতা সাম্য সম্প্রীতির জন্য কবিতা’ স্লোগানে শুরু হলো কবিদের এই মিলনমেলা।
৩ ঘণ্টা আগেশনিবার বিচার বিভাগের স্বাধীনতা নিশ্চিতকরণসহ বিচার সেবা প্রদানে দক্ষতা বৃদ্ধিতে করণীয় নিয়ে আয়োজিত সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন প্রধান বিচারপতি। সুপ্রিম কোর্ট থেকে পাঠানো বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি জানানো হয়।
৩ ঘণ্টা আগে