Ajker Patrika

সড়ক দুর্ঘটনায় কোনো ব্যবস্থা না নেওয়ায় সংসদে ক্ষোভ

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
আপডেট : ২৩ জানুয়ারি ২০২৩, ২১: ৪৫
সড়ক দুর্ঘটনায় কোনো ব্যবস্থা না নেওয়ায় সংসদে ক্ষোভ

দেশে প্রতিনিয়ত সড়ক দুর্ঘটনায় প্রাণ হারাচ্ছে অনেকেই। এতে কোনো ব্যবস্থা না নেওয়ার অভিযোগ তুলে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন জাতীয় সংসদে বিরোধী দল জাতীয় পার্টির সংসদ সদস্য কাজী ফিরোজ রশীদ। তিনি বলেন, ‘এসব বাসের মালিক পুলিশ, রাজনীতিক ও শক্তিশালী মানুষেরা। কোনো বাসের কিছু হয় না।’

আজ সোমবার জাতীয় সংসদে অনির্ধারিত আলোচনায় অংশ নিয়ে এসব কথা বলেন তিনি। 

কাজী ফিরোজ রশীদ বলেন, ‘সড়ক দুর্ঘটনায় প্রতিদিন অসংখ্য মানুষ মারা যাচ্ছে। পৃথিবীর অন্য কোথাও সড়ক দুর্ঘটনায় এত মানুষ মারা যায় কি না, জানি না। একটি মৃত্যুর ঘটনায় ওই পরিবারটি ধ্বংস হয়ে যায়। তাদের সব আশা-আকাঙ্ক্ষা বিলীন হয়ে যায়।’

সড়ক দুর্ঘটনা নিয়ে পত্রিকায় প্রকাশিত খবর তুলে ধরে জাপার এই সংসদ সদস্য বলেন, ‘এই যে বাসগুলো। এর মালিক কারা? অধিকাংশ বাসের মালিক হচ্ছেন পুলিশ কর্মকর্তা। আমাদের যারা রাজনীতি করে তারা। আর যারা শক্তিশালী আমাদের পাশে বসে আছে। আমার পেছনে বসে আছেন আমাদের দলের চিফ হুইপ। তিনি বলতে পারবেন, এসব বাসের মালিক কারা।’

দুর্ঘটনায় বাস-সংশ্লিষ্টদের কিছু হয় না বলে দাবি করে কাজী ফিরোজ রশীদ বলেন, ‘কিচ্ছু হয় না। বেপরোয়া বাস চলে। কোনো বাসের লাইসেন্স নেই। চালকের লাইসেন্স নেই। সিগন্যাল বাতি নেই। ডানে যাবে না বামে যাবে, কেউ বলতে পারে না। এসব চালককে আজ পর্যন্ত আমরা পথে আনতে পারলাম না। শিক্ষিত করতে পারলাম না।’

ফিরোজ রশীদ বলেন, ‘দেশ অনেক এগিয়ে যাচ্ছে। আমরা স্মার্ট বাংলাদেশ করব। কিন্তু এই যে অবস্থা! এ দিয়ে স্মার্ট বাংলাদেশ করব? আমরা অন্যান্য দেশের সঙ্গে যদি একটু তুলনা করি, সেখানে কি এই অবস্থা আছে? সিঙ্গাপুরে আছে? মালয়েশিয়ায় আছে?’ 

সরকার রাস্তাঘাটের অনেক উন্নয়ন করেছে জানিয়ে ফিরোজ রশীদ বলেন, ‘এসব রাস্তা দিয়ে রাতের বেলা ২০-৩০ টনের ট্রাক চলে। দেখার কেউ নেই। টাকা খেয়ে এই ট্রাকগুলোকে রাস্তায় ঢুকতে দেওয়া হয়।’ তিনি বলেন, ‘বাস ও চালকের লাইসেন্স আছে কি না, গাড়ির ফিটনেস আছে কি না, এসব যাচাই করলে এসব ঘটনা ঘটত না। মহাসড়কে কোথাও মোটরসাইকেল-ভটভটি চলে না। আমাদের দেশে চলছে। এসব ভটভটি-নছিমন-করিমনের কোনো ব্রেক নেই।’ তিনি এসব দেখার জন্য জেলা প্রশাসকদের দায়িত্ব দেওয়ার দাবি জানান। 

জাতীয় পার্টির আরেক সংসদ সদস্য পীর ফজলুর রহমান বলেন, ‘কক্সবাজার, টেকনাফ এলাকার মাদক ব্যবসায়ীদের তালিকা করা হয়েছিল। এরপর অনেকে আত্মসমর্পণ করেছিলেন। কিন্তু এখন মাদক আসা তিন গুণ বেড়েছে।’ 

পীর ফজলুর রহমান অভিযোগ করে বলেন, ‘এর সঙ্গে রোহিঙ্গারা জড়িত। অনেক জায়গা ক্যাম্পের কাঁটাতারের বেড়া কেটে বাইরে চলে যায়। তমব্রু সীমান্তে কোনাপাড়া এলাকাটি নোম্যানস ল্যান্ড। সেখানে কিছু রোহিঙ্গা আশ্রয় নিয়েছে। সেখানে সশস্ত্র গ্রুপ আছে। তারা মাদক ব্যবসার সঙ্গে জড়িত। কোনাপাড়া দিয়ে মাদক আসছে। এই মাদক ব্যবসার সঙ্গে রোহিঙ্গাদের সঙ্গে এ দেশের অনেকে জড়িত।’ 

কক্সবাজার, টেকনাফে কারা কারা মাদক কারবারের সঙ্গে জড়িত, তার নতুন তালিকা করা উচিত বলে মনে করেন পীর ফজলুর রহমান। তিনি বলেন, আর কোনাপাড়ায় যারা অবস্থান করছে, তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া উচিত। তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া না গেলে অস্থিতিশীলতা তৈরি হতে পারে বলে তিনি আশঙ্কা প্রকাশ করেন। 

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত