তৌফিকুল ইসলাম, ঢাকা

মহাসড়কে অতিরিক্ত পণ্য পরিবহন ঠেকাতে এক্সেল লোড বা ওজন নিয়ন্ত্রণ কেন্দ্র বসানোর উদ্যোগ নেওয়া হয়েছিল ২০১৯ সালে। দেশের গুরুত্বপূর্ণ মহাসড়কের ২৮টি স্থানে ওজন নিয়ন্ত্রণ কেন্দ্র বসানোর কথা থাকলেও গত ছয় বছরে কোনো সড়কে তা চালু হয়নি। এই অবস্থায় সড়কের ধারণক্ষমতার বেশি ওজনের যানবাহন চলাচল করছে। ফলে দ্রুত নষ্ট হচ্ছে মহাসড়ক। নির্ধারিত সময়ে কাজ শেষ না হওয়ায় প্রকল্পের মেয়াদ ২০২৬ সালের জুন পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে। বাড়তি সময়েও কাজ শেষ হবে কি না, তা নিয়ে শঙ্কা রয়েছে।
জানতে চাইলে যোগাযোগ বিশেষজ্ঞ ও বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) পুরকৌশল বিভাগের অধ্যাপক মো. হাদিউজ্জামান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ওজন নিয়ন্ত্রণ কেন্দ্রগুলো চালু করতে না পারার কারণে সড়কগুলো দ্রুত ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। শুধু তা-ই নয়, দুর্ঘটনার ঝুঁকিও বাড়ছে। সরকার নীতিমালা করেছে, অর্থ বরাদ্দ দিয়েছে, প্রকল্প হাতে নিয়েছে, কিন্তু বাস্তবায়নে গাফিলতি হচ্ছে। ফলে জনগণের টাকা নষ্ট হচ্ছে এবং মহাসড়কের স্থায়িত্বও কমে যাচ্ছে। এখনই কার্যকর ব্যবস্থা না নিলে ভবিষ্যতে সড়ক রক্ষণাবেক্ষণে আরও বিপুল অর্থ ব্যয় করতে হবে।
সড়ক ও জনপথ (সওজ) অধিদপ্তর সূত্র জানিয়েছে, অন্তর্বর্তী সরকার প্রকল্পটি কিছুটা কাটছাঁট করে ওজন নিয়ন্ত্রণ কেন্দ্র ২৮টি থেকে কমিয়ে ২৫টি করার অনুমতি দিয়েছে। একই সঙ্গে প্রকল্প ব্যয়ও ২১ কোটি টাকা কমানো হয়েছে। আগে মোট ব্যয় ধরা হয়েছিল ১ হাজার ৬৩০ কোটি টাকা, যা কমিয়ে ১ হাজার ৬০৯ কোটি টাকা করা হয়েছে। শুরুতে ওজন নিয়ন্ত্রণ কেন্দ্র নির্মাণের জন্য জমি নির্ধারণ করা হয়েছিল ৬৪ হেক্টর। বর্তমানে তা কমিয়ে ৪৩.৮৭ হেক্টর করা হয়েছে।
প্রকল্প সূত্র জানায়, ওজন নিয়ন্ত্রণ কেন্দ্রের কাজ দুটি ধাপে শেষ করার কথা ছিল। প্রথম ধাপে কেন্দ্রগুলো নির্মাণ করা এবং দ্বিতীয় ধাপে এটি পরিচালনার জন্য যন্ত্রপাতি বসানো। কিন্তু এখনো অনেক জায়গায় সিভিল ওয়ার্ক (মূল নির্মাণকাজ) শেষ হয়নি। এরই মধ্যে আগের সরকারের সময়ে ওজন নিয়ন্ত্রণ কেন্দ্রের যন্ত্রপাতি বিদেশ থেকে আনার টেন্ডার (দরপত্র) প্রক্রিয়া অন্তর্বর্তী সরকার বাতিল করেছে এবং নতুন করে দরপত্র নথি তৈরি করতে বলেছে। নতুন করে আবার টেন্ডার করতে সময় লাগবে। ফলে নির্ধারিত সময়ে কাজ শেষ করার ওপর তা প্রভাব ফেলবে।
প্রকল্প সূত্র আরও জানিয়েছে, ২৮টি ওজন নিয়ন্ত্রণ কেন্দ্রের মধ্যে দিনাজপুরের হিলি, মাদারীপুর ও গাজীপুরের কেন্দ্র বাতিল করা হয়েছে। বাকি ২৫টি কেন্দ্র নির্মাণ করা হচ্ছে দেশের বিভিন্ন মহাসড়কে। এগুলোর মধ্যে ১০টির নির্মাণকাজ শেষ পর্যায়ে, ৭টির কাজ চলমান এবং ৮টির কাজ জমি অধিগ্রহণ জটিলতায় স্থানীয় লোকজন করতে দিচ্ছে না। এখন পর্যন্ত প্রকল্পের সার্বিক অগ্রগতি ৫৫ শতাংশ।
সার্বিক বিষয়ে জানতে চাইলে সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তরের প্রধান প্রকৌশলী সৈয়দ মঈনুল হাসান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘মহাসড়কে ওজন নিয়ন্ত্রণ কেন্দ্র নির্মাণের জন্য জমি অধিগ্রহণে অনেক সময় লেগেছে। যেখানে আমরা জমি চেয়েছিলাম, সেখানে না পাওয়ায় সাইজ (আকার) পরিবর্তন হয়েছে। ফলে ডিজাইনেও (নকশা) পরিবর্তন করতে হয়েছে। এর কারণে কিছুটা দেরি হয়েছে। তবে কিছু অংশে সিভিল ওয়ার্কের কাজ এগিয়েছে। যন্ত্রপাতি বসানোর জন্য টেন্ডার হয়েছিল, কিন্তু শেষ মুহূর্তে বাতিল হয়েছে। এ মাসের শেষে আবারও টেন্ডার করা হবে।’
ওজন নিয়ন্ত্রণ কেন্দ্র নির্মাণ প্রকল্পের কর্মকর্তারা জানান, নির্ধারিত সময়ের মধ্যে কাজ শেষ করা চ্যালেঞ্জ হবে। যন্ত্রপাতি কেনা ও অপারেশনের কাজের জন্য টেন্ডার বাতিল করে নতুন করে করতে হচ্ছে। এতে আরও সময় লাগবে। এ ছাড়া স্থানীয় লোকজনের বাধা এবং জমি অধিগ্রহণ জটিলতা প্রকল্পের গতি কমিয়ে দিচ্ছে।
সরকার ২০১২ সালে অতিরিক্ত পণ্যবাহী যান চলাচল ঠেকাতে এক্সেল লোড নীতিমালা প্রণয়ন করে। কিন্তু গত ১৩ বছরেও ওই নীতিমালা অনুযায়ী জরিমানা আদায় করা যায়নি বলে সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তর সূত্র জানিয়েছে।
এক্সেল লোড নিয়ে সওজের এক পর্যালোচনায় দেখা গেছে, ঢাকা থেকে চট্টগ্রাম পথের যানবাহনগুলোর অনুমোদিত পরিমাপের চেয়ে অতিরিক্ত ওজন বহন করার প্রবণতা সবচেয়ে বেশি। অতিরিক্ত ওজন বহনের কারণে সড়ক-মহাসড়ক মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়। সওজকে ক্ষতিগ্রস্ত সড়ক মেরামতে প্রতিবছর বিপুল অর্থ ব্যয় করতে হয়। এক্সেল লোড নিয়ন্ত্রণের মাধ্যমে সড়কগুলোর রক্ষণাবেক্ষণ ব্যয় প্রায় ২০ শতাংশ কমানো সম্ভব।
সওজের তথ্য বলছে, চলতি বছরে ১০টি সড়ক বিভাগের নতুন করে প্রায় ১ হাজার ৪৭৮ কিলোমিটার সড়ক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। অর্থাৎ সড়কে খানাখন্দ বা পিচ ও পাথর উঠে বড় বড় গর্ত তৈরি হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত এসব সড়ক সংস্কারে প্রায় ২ হাজার ৯০৭ কোটি ২১ লাখ টাকা ব্যয় হবে।
বিদ্যমান এক্সেল লোড নীতিমালা অনুযায়ী, মহাসড়কে চলাচল করা ৬ চাকাবিশিষ্ট মোটরযানের সর্বোচ্চ ওজন সীমা (যানবাহন, মালামালসহ) ২২ টন, ১০ চাকাবিশিষ্ট যানবাহনের সর্বোচ্চ সীমা ৩০ টন এবং ১৪ চাকাবিশিষ্ট মোটরযানের সর্বোচ্চ সীমা ৪০ টন নির্ধারণ করা হয়েছে। নীতিমালা না মানলে ২ হাজার থেকে ১২ হাজার টাকা পর্যন্ত জরিমানার বিধান আছে।

মহাসড়কে অতিরিক্ত পণ্য পরিবহন ঠেকাতে এক্সেল লোড বা ওজন নিয়ন্ত্রণ কেন্দ্র বসানোর উদ্যোগ নেওয়া হয়েছিল ২০১৯ সালে। দেশের গুরুত্বপূর্ণ মহাসড়কের ২৮টি স্থানে ওজন নিয়ন্ত্রণ কেন্দ্র বসানোর কথা থাকলেও গত ছয় বছরে কোনো সড়কে তা চালু হয়নি। এই অবস্থায় সড়কের ধারণক্ষমতার বেশি ওজনের যানবাহন চলাচল করছে। ফলে দ্রুত নষ্ট হচ্ছে মহাসড়ক। নির্ধারিত সময়ে কাজ শেষ না হওয়ায় প্রকল্পের মেয়াদ ২০২৬ সালের জুন পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে। বাড়তি সময়েও কাজ শেষ হবে কি না, তা নিয়ে শঙ্কা রয়েছে।
জানতে চাইলে যোগাযোগ বিশেষজ্ঞ ও বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) পুরকৌশল বিভাগের অধ্যাপক মো. হাদিউজ্জামান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ওজন নিয়ন্ত্রণ কেন্দ্রগুলো চালু করতে না পারার কারণে সড়কগুলো দ্রুত ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। শুধু তা-ই নয়, দুর্ঘটনার ঝুঁকিও বাড়ছে। সরকার নীতিমালা করেছে, অর্থ বরাদ্দ দিয়েছে, প্রকল্প হাতে নিয়েছে, কিন্তু বাস্তবায়নে গাফিলতি হচ্ছে। ফলে জনগণের টাকা নষ্ট হচ্ছে এবং মহাসড়কের স্থায়িত্বও কমে যাচ্ছে। এখনই কার্যকর ব্যবস্থা না নিলে ভবিষ্যতে সড়ক রক্ষণাবেক্ষণে আরও বিপুল অর্থ ব্যয় করতে হবে।
সড়ক ও জনপথ (সওজ) অধিদপ্তর সূত্র জানিয়েছে, অন্তর্বর্তী সরকার প্রকল্পটি কিছুটা কাটছাঁট করে ওজন নিয়ন্ত্রণ কেন্দ্র ২৮টি থেকে কমিয়ে ২৫টি করার অনুমতি দিয়েছে। একই সঙ্গে প্রকল্প ব্যয়ও ২১ কোটি টাকা কমানো হয়েছে। আগে মোট ব্যয় ধরা হয়েছিল ১ হাজার ৬৩০ কোটি টাকা, যা কমিয়ে ১ হাজার ৬০৯ কোটি টাকা করা হয়েছে। শুরুতে ওজন নিয়ন্ত্রণ কেন্দ্র নির্মাণের জন্য জমি নির্ধারণ করা হয়েছিল ৬৪ হেক্টর। বর্তমানে তা কমিয়ে ৪৩.৮৭ হেক্টর করা হয়েছে।
প্রকল্প সূত্র জানায়, ওজন নিয়ন্ত্রণ কেন্দ্রের কাজ দুটি ধাপে শেষ করার কথা ছিল। প্রথম ধাপে কেন্দ্রগুলো নির্মাণ করা এবং দ্বিতীয় ধাপে এটি পরিচালনার জন্য যন্ত্রপাতি বসানো। কিন্তু এখনো অনেক জায়গায় সিভিল ওয়ার্ক (মূল নির্মাণকাজ) শেষ হয়নি। এরই মধ্যে আগের সরকারের সময়ে ওজন নিয়ন্ত্রণ কেন্দ্রের যন্ত্রপাতি বিদেশ থেকে আনার টেন্ডার (দরপত্র) প্রক্রিয়া অন্তর্বর্তী সরকার বাতিল করেছে এবং নতুন করে দরপত্র নথি তৈরি করতে বলেছে। নতুন করে আবার টেন্ডার করতে সময় লাগবে। ফলে নির্ধারিত সময়ে কাজ শেষ করার ওপর তা প্রভাব ফেলবে।
প্রকল্প সূত্র আরও জানিয়েছে, ২৮টি ওজন নিয়ন্ত্রণ কেন্দ্রের মধ্যে দিনাজপুরের হিলি, মাদারীপুর ও গাজীপুরের কেন্দ্র বাতিল করা হয়েছে। বাকি ২৫টি কেন্দ্র নির্মাণ করা হচ্ছে দেশের বিভিন্ন মহাসড়কে। এগুলোর মধ্যে ১০টির নির্মাণকাজ শেষ পর্যায়ে, ৭টির কাজ চলমান এবং ৮টির কাজ জমি অধিগ্রহণ জটিলতায় স্থানীয় লোকজন করতে দিচ্ছে না। এখন পর্যন্ত প্রকল্পের সার্বিক অগ্রগতি ৫৫ শতাংশ।
সার্বিক বিষয়ে জানতে চাইলে সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তরের প্রধান প্রকৌশলী সৈয়দ মঈনুল হাসান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘মহাসড়কে ওজন নিয়ন্ত্রণ কেন্দ্র নির্মাণের জন্য জমি অধিগ্রহণে অনেক সময় লেগেছে। যেখানে আমরা জমি চেয়েছিলাম, সেখানে না পাওয়ায় সাইজ (আকার) পরিবর্তন হয়েছে। ফলে ডিজাইনেও (নকশা) পরিবর্তন করতে হয়েছে। এর কারণে কিছুটা দেরি হয়েছে। তবে কিছু অংশে সিভিল ওয়ার্কের কাজ এগিয়েছে। যন্ত্রপাতি বসানোর জন্য টেন্ডার হয়েছিল, কিন্তু শেষ মুহূর্তে বাতিল হয়েছে। এ মাসের শেষে আবারও টেন্ডার করা হবে।’
ওজন নিয়ন্ত্রণ কেন্দ্র নির্মাণ প্রকল্পের কর্মকর্তারা জানান, নির্ধারিত সময়ের মধ্যে কাজ শেষ করা চ্যালেঞ্জ হবে। যন্ত্রপাতি কেনা ও অপারেশনের কাজের জন্য টেন্ডার বাতিল করে নতুন করে করতে হচ্ছে। এতে আরও সময় লাগবে। এ ছাড়া স্থানীয় লোকজনের বাধা এবং জমি অধিগ্রহণ জটিলতা প্রকল্পের গতি কমিয়ে দিচ্ছে।
সরকার ২০১২ সালে অতিরিক্ত পণ্যবাহী যান চলাচল ঠেকাতে এক্সেল লোড নীতিমালা প্রণয়ন করে। কিন্তু গত ১৩ বছরেও ওই নীতিমালা অনুযায়ী জরিমানা আদায় করা যায়নি বলে সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তর সূত্র জানিয়েছে।
এক্সেল লোড নিয়ে সওজের এক পর্যালোচনায় দেখা গেছে, ঢাকা থেকে চট্টগ্রাম পথের যানবাহনগুলোর অনুমোদিত পরিমাপের চেয়ে অতিরিক্ত ওজন বহন করার প্রবণতা সবচেয়ে বেশি। অতিরিক্ত ওজন বহনের কারণে সড়ক-মহাসড়ক মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়। সওজকে ক্ষতিগ্রস্ত সড়ক মেরামতে প্রতিবছর বিপুল অর্থ ব্যয় করতে হয়। এক্সেল লোড নিয়ন্ত্রণের মাধ্যমে সড়কগুলোর রক্ষণাবেক্ষণ ব্যয় প্রায় ২০ শতাংশ কমানো সম্ভব।
সওজের তথ্য বলছে, চলতি বছরে ১০টি সড়ক বিভাগের নতুন করে প্রায় ১ হাজার ৪৭৮ কিলোমিটার সড়ক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। অর্থাৎ সড়কে খানাখন্দ বা পিচ ও পাথর উঠে বড় বড় গর্ত তৈরি হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত এসব সড়ক সংস্কারে প্রায় ২ হাজার ৯০৭ কোটি ২১ লাখ টাকা ব্যয় হবে।
বিদ্যমান এক্সেল লোড নীতিমালা অনুযায়ী, মহাসড়কে চলাচল করা ৬ চাকাবিশিষ্ট মোটরযানের সর্বোচ্চ ওজন সীমা (যানবাহন, মালামালসহ) ২২ টন, ১০ চাকাবিশিষ্ট যানবাহনের সর্বোচ্চ সীমা ৩০ টন এবং ১৪ চাকাবিশিষ্ট মোটরযানের সর্বোচ্চ সীমা ৪০ টন নির্ধারণ করা হয়েছে। নীতিমালা না মানলে ২ হাজার থেকে ১২ হাজার টাকা পর্যন্ত জরিমানার বিধান আছে।
তৌফিকুল ইসলাম, ঢাকা

মহাসড়কে অতিরিক্ত পণ্য পরিবহন ঠেকাতে এক্সেল লোড বা ওজন নিয়ন্ত্রণ কেন্দ্র বসানোর উদ্যোগ নেওয়া হয়েছিল ২০১৯ সালে। দেশের গুরুত্বপূর্ণ মহাসড়কের ২৮টি স্থানে ওজন নিয়ন্ত্রণ কেন্দ্র বসানোর কথা থাকলেও গত ছয় বছরে কোনো সড়কে তা চালু হয়নি। এই অবস্থায় সড়কের ধারণক্ষমতার বেশি ওজনের যানবাহন চলাচল করছে। ফলে দ্রুত নষ্ট হচ্ছে মহাসড়ক। নির্ধারিত সময়ে কাজ শেষ না হওয়ায় প্রকল্পের মেয়াদ ২০২৬ সালের জুন পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে। বাড়তি সময়েও কাজ শেষ হবে কি না, তা নিয়ে শঙ্কা রয়েছে।
জানতে চাইলে যোগাযোগ বিশেষজ্ঞ ও বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) পুরকৌশল বিভাগের অধ্যাপক মো. হাদিউজ্জামান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ওজন নিয়ন্ত্রণ কেন্দ্রগুলো চালু করতে না পারার কারণে সড়কগুলো দ্রুত ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। শুধু তা-ই নয়, দুর্ঘটনার ঝুঁকিও বাড়ছে। সরকার নীতিমালা করেছে, অর্থ বরাদ্দ দিয়েছে, প্রকল্প হাতে নিয়েছে, কিন্তু বাস্তবায়নে গাফিলতি হচ্ছে। ফলে জনগণের টাকা নষ্ট হচ্ছে এবং মহাসড়কের স্থায়িত্বও কমে যাচ্ছে। এখনই কার্যকর ব্যবস্থা না নিলে ভবিষ্যতে সড়ক রক্ষণাবেক্ষণে আরও বিপুল অর্থ ব্যয় করতে হবে।
সড়ক ও জনপথ (সওজ) অধিদপ্তর সূত্র জানিয়েছে, অন্তর্বর্তী সরকার প্রকল্পটি কিছুটা কাটছাঁট করে ওজন নিয়ন্ত্রণ কেন্দ্র ২৮টি থেকে কমিয়ে ২৫টি করার অনুমতি দিয়েছে। একই সঙ্গে প্রকল্প ব্যয়ও ২১ কোটি টাকা কমানো হয়েছে। আগে মোট ব্যয় ধরা হয়েছিল ১ হাজার ৬৩০ কোটি টাকা, যা কমিয়ে ১ হাজার ৬০৯ কোটি টাকা করা হয়েছে। শুরুতে ওজন নিয়ন্ত্রণ কেন্দ্র নির্মাণের জন্য জমি নির্ধারণ করা হয়েছিল ৬৪ হেক্টর। বর্তমানে তা কমিয়ে ৪৩.৮৭ হেক্টর করা হয়েছে।
প্রকল্প সূত্র জানায়, ওজন নিয়ন্ত্রণ কেন্দ্রের কাজ দুটি ধাপে শেষ করার কথা ছিল। প্রথম ধাপে কেন্দ্রগুলো নির্মাণ করা এবং দ্বিতীয় ধাপে এটি পরিচালনার জন্য যন্ত্রপাতি বসানো। কিন্তু এখনো অনেক জায়গায় সিভিল ওয়ার্ক (মূল নির্মাণকাজ) শেষ হয়নি। এরই মধ্যে আগের সরকারের সময়ে ওজন নিয়ন্ত্রণ কেন্দ্রের যন্ত্রপাতি বিদেশ থেকে আনার টেন্ডার (দরপত্র) প্রক্রিয়া অন্তর্বর্তী সরকার বাতিল করেছে এবং নতুন করে দরপত্র নথি তৈরি করতে বলেছে। নতুন করে আবার টেন্ডার করতে সময় লাগবে। ফলে নির্ধারিত সময়ে কাজ শেষ করার ওপর তা প্রভাব ফেলবে।
প্রকল্প সূত্র আরও জানিয়েছে, ২৮টি ওজন নিয়ন্ত্রণ কেন্দ্রের মধ্যে দিনাজপুরের হিলি, মাদারীপুর ও গাজীপুরের কেন্দ্র বাতিল করা হয়েছে। বাকি ২৫টি কেন্দ্র নির্মাণ করা হচ্ছে দেশের বিভিন্ন মহাসড়কে। এগুলোর মধ্যে ১০টির নির্মাণকাজ শেষ পর্যায়ে, ৭টির কাজ চলমান এবং ৮টির কাজ জমি অধিগ্রহণ জটিলতায় স্থানীয় লোকজন করতে দিচ্ছে না। এখন পর্যন্ত প্রকল্পের সার্বিক অগ্রগতি ৫৫ শতাংশ।
সার্বিক বিষয়ে জানতে চাইলে সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তরের প্রধান প্রকৌশলী সৈয়দ মঈনুল হাসান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘মহাসড়কে ওজন নিয়ন্ত্রণ কেন্দ্র নির্মাণের জন্য জমি অধিগ্রহণে অনেক সময় লেগেছে। যেখানে আমরা জমি চেয়েছিলাম, সেখানে না পাওয়ায় সাইজ (আকার) পরিবর্তন হয়েছে। ফলে ডিজাইনেও (নকশা) পরিবর্তন করতে হয়েছে। এর কারণে কিছুটা দেরি হয়েছে। তবে কিছু অংশে সিভিল ওয়ার্কের কাজ এগিয়েছে। যন্ত্রপাতি বসানোর জন্য টেন্ডার হয়েছিল, কিন্তু শেষ মুহূর্তে বাতিল হয়েছে। এ মাসের শেষে আবারও টেন্ডার করা হবে।’
ওজন নিয়ন্ত্রণ কেন্দ্র নির্মাণ প্রকল্পের কর্মকর্তারা জানান, নির্ধারিত সময়ের মধ্যে কাজ শেষ করা চ্যালেঞ্জ হবে। যন্ত্রপাতি কেনা ও অপারেশনের কাজের জন্য টেন্ডার বাতিল করে নতুন করে করতে হচ্ছে। এতে আরও সময় লাগবে। এ ছাড়া স্থানীয় লোকজনের বাধা এবং জমি অধিগ্রহণ জটিলতা প্রকল্পের গতি কমিয়ে দিচ্ছে।
সরকার ২০১২ সালে অতিরিক্ত পণ্যবাহী যান চলাচল ঠেকাতে এক্সেল লোড নীতিমালা প্রণয়ন করে। কিন্তু গত ১৩ বছরেও ওই নীতিমালা অনুযায়ী জরিমানা আদায় করা যায়নি বলে সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তর সূত্র জানিয়েছে।
এক্সেল লোড নিয়ে সওজের এক পর্যালোচনায় দেখা গেছে, ঢাকা থেকে চট্টগ্রাম পথের যানবাহনগুলোর অনুমোদিত পরিমাপের চেয়ে অতিরিক্ত ওজন বহন করার প্রবণতা সবচেয়ে বেশি। অতিরিক্ত ওজন বহনের কারণে সড়ক-মহাসড়ক মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়। সওজকে ক্ষতিগ্রস্ত সড়ক মেরামতে প্রতিবছর বিপুল অর্থ ব্যয় করতে হয়। এক্সেল লোড নিয়ন্ত্রণের মাধ্যমে সড়কগুলোর রক্ষণাবেক্ষণ ব্যয় প্রায় ২০ শতাংশ কমানো সম্ভব।
সওজের তথ্য বলছে, চলতি বছরে ১০টি সড়ক বিভাগের নতুন করে প্রায় ১ হাজার ৪৭৮ কিলোমিটার সড়ক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। অর্থাৎ সড়কে খানাখন্দ বা পিচ ও পাথর উঠে বড় বড় গর্ত তৈরি হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত এসব সড়ক সংস্কারে প্রায় ২ হাজার ৯০৭ কোটি ২১ লাখ টাকা ব্যয় হবে।
বিদ্যমান এক্সেল লোড নীতিমালা অনুযায়ী, মহাসড়কে চলাচল করা ৬ চাকাবিশিষ্ট মোটরযানের সর্বোচ্চ ওজন সীমা (যানবাহন, মালামালসহ) ২২ টন, ১০ চাকাবিশিষ্ট যানবাহনের সর্বোচ্চ সীমা ৩০ টন এবং ১৪ চাকাবিশিষ্ট মোটরযানের সর্বোচ্চ সীমা ৪০ টন নির্ধারণ করা হয়েছে। নীতিমালা না মানলে ২ হাজার থেকে ১২ হাজার টাকা পর্যন্ত জরিমানার বিধান আছে।

মহাসড়কে অতিরিক্ত পণ্য পরিবহন ঠেকাতে এক্সেল লোড বা ওজন নিয়ন্ত্রণ কেন্দ্র বসানোর উদ্যোগ নেওয়া হয়েছিল ২০১৯ সালে। দেশের গুরুত্বপূর্ণ মহাসড়কের ২৮টি স্থানে ওজন নিয়ন্ত্রণ কেন্দ্র বসানোর কথা থাকলেও গত ছয় বছরে কোনো সড়কে তা চালু হয়নি। এই অবস্থায় সড়কের ধারণক্ষমতার বেশি ওজনের যানবাহন চলাচল করছে। ফলে দ্রুত নষ্ট হচ্ছে মহাসড়ক। নির্ধারিত সময়ে কাজ শেষ না হওয়ায় প্রকল্পের মেয়াদ ২০২৬ সালের জুন পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে। বাড়তি সময়েও কাজ শেষ হবে কি না, তা নিয়ে শঙ্কা রয়েছে।
জানতে চাইলে যোগাযোগ বিশেষজ্ঞ ও বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) পুরকৌশল বিভাগের অধ্যাপক মো. হাদিউজ্জামান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ওজন নিয়ন্ত্রণ কেন্দ্রগুলো চালু করতে না পারার কারণে সড়কগুলো দ্রুত ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। শুধু তা-ই নয়, দুর্ঘটনার ঝুঁকিও বাড়ছে। সরকার নীতিমালা করেছে, অর্থ বরাদ্দ দিয়েছে, প্রকল্প হাতে নিয়েছে, কিন্তু বাস্তবায়নে গাফিলতি হচ্ছে। ফলে জনগণের টাকা নষ্ট হচ্ছে এবং মহাসড়কের স্থায়িত্বও কমে যাচ্ছে। এখনই কার্যকর ব্যবস্থা না নিলে ভবিষ্যতে সড়ক রক্ষণাবেক্ষণে আরও বিপুল অর্থ ব্যয় করতে হবে।
সড়ক ও জনপথ (সওজ) অধিদপ্তর সূত্র জানিয়েছে, অন্তর্বর্তী সরকার প্রকল্পটি কিছুটা কাটছাঁট করে ওজন নিয়ন্ত্রণ কেন্দ্র ২৮টি থেকে কমিয়ে ২৫টি করার অনুমতি দিয়েছে। একই সঙ্গে প্রকল্প ব্যয়ও ২১ কোটি টাকা কমানো হয়েছে। আগে মোট ব্যয় ধরা হয়েছিল ১ হাজার ৬৩০ কোটি টাকা, যা কমিয়ে ১ হাজার ৬০৯ কোটি টাকা করা হয়েছে। শুরুতে ওজন নিয়ন্ত্রণ কেন্দ্র নির্মাণের জন্য জমি নির্ধারণ করা হয়েছিল ৬৪ হেক্টর। বর্তমানে তা কমিয়ে ৪৩.৮৭ হেক্টর করা হয়েছে।
প্রকল্প সূত্র জানায়, ওজন নিয়ন্ত্রণ কেন্দ্রের কাজ দুটি ধাপে শেষ করার কথা ছিল। প্রথম ধাপে কেন্দ্রগুলো নির্মাণ করা এবং দ্বিতীয় ধাপে এটি পরিচালনার জন্য যন্ত্রপাতি বসানো। কিন্তু এখনো অনেক জায়গায় সিভিল ওয়ার্ক (মূল নির্মাণকাজ) শেষ হয়নি। এরই মধ্যে আগের সরকারের সময়ে ওজন নিয়ন্ত্রণ কেন্দ্রের যন্ত্রপাতি বিদেশ থেকে আনার টেন্ডার (দরপত্র) প্রক্রিয়া অন্তর্বর্তী সরকার বাতিল করেছে এবং নতুন করে দরপত্র নথি তৈরি করতে বলেছে। নতুন করে আবার টেন্ডার করতে সময় লাগবে। ফলে নির্ধারিত সময়ে কাজ শেষ করার ওপর তা প্রভাব ফেলবে।
প্রকল্প সূত্র আরও জানিয়েছে, ২৮টি ওজন নিয়ন্ত্রণ কেন্দ্রের মধ্যে দিনাজপুরের হিলি, মাদারীপুর ও গাজীপুরের কেন্দ্র বাতিল করা হয়েছে। বাকি ২৫টি কেন্দ্র নির্মাণ করা হচ্ছে দেশের বিভিন্ন মহাসড়কে। এগুলোর মধ্যে ১০টির নির্মাণকাজ শেষ পর্যায়ে, ৭টির কাজ চলমান এবং ৮টির কাজ জমি অধিগ্রহণ জটিলতায় স্থানীয় লোকজন করতে দিচ্ছে না। এখন পর্যন্ত প্রকল্পের সার্বিক অগ্রগতি ৫৫ শতাংশ।
সার্বিক বিষয়ে জানতে চাইলে সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তরের প্রধান প্রকৌশলী সৈয়দ মঈনুল হাসান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘মহাসড়কে ওজন নিয়ন্ত্রণ কেন্দ্র নির্মাণের জন্য জমি অধিগ্রহণে অনেক সময় লেগেছে। যেখানে আমরা জমি চেয়েছিলাম, সেখানে না পাওয়ায় সাইজ (আকার) পরিবর্তন হয়েছে। ফলে ডিজাইনেও (নকশা) পরিবর্তন করতে হয়েছে। এর কারণে কিছুটা দেরি হয়েছে। তবে কিছু অংশে সিভিল ওয়ার্কের কাজ এগিয়েছে। যন্ত্রপাতি বসানোর জন্য টেন্ডার হয়েছিল, কিন্তু শেষ মুহূর্তে বাতিল হয়েছে। এ মাসের শেষে আবারও টেন্ডার করা হবে।’
ওজন নিয়ন্ত্রণ কেন্দ্র নির্মাণ প্রকল্পের কর্মকর্তারা জানান, নির্ধারিত সময়ের মধ্যে কাজ শেষ করা চ্যালেঞ্জ হবে। যন্ত্রপাতি কেনা ও অপারেশনের কাজের জন্য টেন্ডার বাতিল করে নতুন করে করতে হচ্ছে। এতে আরও সময় লাগবে। এ ছাড়া স্থানীয় লোকজনের বাধা এবং জমি অধিগ্রহণ জটিলতা প্রকল্পের গতি কমিয়ে দিচ্ছে।
সরকার ২০১২ সালে অতিরিক্ত পণ্যবাহী যান চলাচল ঠেকাতে এক্সেল লোড নীতিমালা প্রণয়ন করে। কিন্তু গত ১৩ বছরেও ওই নীতিমালা অনুযায়ী জরিমানা আদায় করা যায়নি বলে সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তর সূত্র জানিয়েছে।
এক্সেল লোড নিয়ে সওজের এক পর্যালোচনায় দেখা গেছে, ঢাকা থেকে চট্টগ্রাম পথের যানবাহনগুলোর অনুমোদিত পরিমাপের চেয়ে অতিরিক্ত ওজন বহন করার প্রবণতা সবচেয়ে বেশি। অতিরিক্ত ওজন বহনের কারণে সড়ক-মহাসড়ক মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়। সওজকে ক্ষতিগ্রস্ত সড়ক মেরামতে প্রতিবছর বিপুল অর্থ ব্যয় করতে হয়। এক্সেল লোড নিয়ন্ত্রণের মাধ্যমে সড়কগুলোর রক্ষণাবেক্ষণ ব্যয় প্রায় ২০ শতাংশ কমানো সম্ভব।
সওজের তথ্য বলছে, চলতি বছরে ১০টি সড়ক বিভাগের নতুন করে প্রায় ১ হাজার ৪৭৮ কিলোমিটার সড়ক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। অর্থাৎ সড়কে খানাখন্দ বা পিচ ও পাথর উঠে বড় বড় গর্ত তৈরি হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত এসব সড়ক সংস্কারে প্রায় ২ হাজার ৯০৭ কোটি ২১ লাখ টাকা ব্যয় হবে।
বিদ্যমান এক্সেল লোড নীতিমালা অনুযায়ী, মহাসড়কে চলাচল করা ৬ চাকাবিশিষ্ট মোটরযানের সর্বোচ্চ ওজন সীমা (যানবাহন, মালামালসহ) ২২ টন, ১০ চাকাবিশিষ্ট যানবাহনের সর্বোচ্চ সীমা ৩০ টন এবং ১৪ চাকাবিশিষ্ট মোটরযানের সর্বোচ্চ সীমা ৪০ টন নির্ধারণ করা হয়েছে। নীতিমালা না মানলে ২ হাজার থেকে ১২ হাজার টাকা পর্যন্ত জরিমানার বিধান আছে।

ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন এবং জুলাই জাতীয় সনদ ২০২৫ বাস্তবায়ন আদেশের ওপর গণভোটের তফসিল ঘোষণা করায় নির্বাচন কমিশনকে আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূস। আজ বৃহস্পতিবার (১১ ডিসেম্বর) এক শুভেচ্ছা বার্তায় তিনি এ কথা বলেন।
৮ মিনিট আগে
আগামীতে সুপ্রিম কোর্ট সচিবালয়, আইনের শাসন ও গণতন্ত্রের যাত্রা অটুট রাখতে রাজনৈতিক দলসহ সব অংশীজনের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদ। আজ বৃহস্পতিবার সুপ্রিম কোর্ট সচিবালয় উদ্বোধনের পর এই আহ্বান জানান তিনি।
২৫ মিনিট আগে
দুই উপদেষ্টা পদত্যাগ করার পর তাঁদের অধীনে থাকা তিনটি মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব তিনজন উপদেষ্টাকে দিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূস। আজ বৃহস্পতিবার এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করেছে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ।
৩২ মিনিট আগে
রায়ের পর আইনজীবী সাহেদুল আজম বলেন, হাইকোর্ট বলেছেন, গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশের বিধানে হস্তক্ষেপ করার মতো কোনো কিছু না পাওয়ায় রুল খারিজ করা হয়েছে।
১ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন এবং জুলাই জাতীয় সনদ ২০২৫ বাস্তবায়ন আদেশের ওপর গণভোটের তফসিল ঘোষণা করায় নির্বাচন কমিশনকে আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
আজ বৃহস্পতিবার (১১ ডিসেম্বর) এক শুভেচ্ছা বার্তায় তিনি বলেন, ‘এই তফসিল ঘোষণার মধ্য দিয়ে বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক অভিযাত্রা একটি গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক অতিক্রম করল। ঐতিহাসিক গণ-অভ্যুত্থানের পর দেশ এখন যে নতুন পথে অগ্রসর হচ্ছে—এই নির্বাচন ও গণভোট সেই পথরেখাকে দৃঢ় করবে, গণমানুষের মতকে প্রাধান্য দেবে এবং নতুন বাংলাদেশের ভিত্তি আরও সুসংহত করবে।’
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘আমি বিশ্বাস করি, নির্বাচন কমিশন তাদের সাংবিধানিক দায়িত্ব পালন করবে স্বাধীনভাবে, নিরপেক্ষভাবে এবং সর্বোচ্চ পেশাদারিত্বের সঙ্গে। নির্বাচন ও গণভোটকে উৎসবমুখর, অংশগ্রহণমূলক ও সম্পূর্ণ সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করার লক্ষ্যে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার নির্বাচন কমিশনকে সব ধরনের প্রয়োজনীয় সহায়তা প্রদান করবে।’
দেশের রাজনৈতিক দলসমূহ, প্রার্থী, গণমাধ্যম, সুশীল সমাজ এবং সর্বোপরি দেশের জনগণের প্রতি আহ্বান জানিয়ে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, এই নির্বাচন ও গণভোটকে একটি জাতীয় ঐক্যের উদ্যোগ হিসেবে গ্রহণ করুন। ভিন্নমতের প্রতি শ্রদ্ধা, শান্তিপূর্ণ পরিবেশ এবং গণতান্ত্রিক আচরণ আমাদের সামনের দিনগুলোকে আরও স্থিতিশীল করবে।
ড. ইউনূস বলেন, ‘বাংলাদেশ আজ নতুন ভবিষ্যতের দ্বারপ্রান্তে দাঁড়িয়ে। আপনাদের সকলের সক্রিয় অংশগ্রহণ ও দায়িত্বশীল আচরণের মধ্য দিয়ে আমরা একটি আধুনিক, ন্যায়ভিত্তিক ও সমৃদ্ধ রাষ্ট্র নির্মাণে সফল হব—এই আমার দৃঢ় বিশ্বাস।’

ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন এবং জুলাই জাতীয় সনদ ২০২৫ বাস্তবায়ন আদেশের ওপর গণভোটের তফসিল ঘোষণা করায় নির্বাচন কমিশনকে আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
আজ বৃহস্পতিবার (১১ ডিসেম্বর) এক শুভেচ্ছা বার্তায় তিনি বলেন, ‘এই তফসিল ঘোষণার মধ্য দিয়ে বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক অভিযাত্রা একটি গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক অতিক্রম করল। ঐতিহাসিক গণ-অভ্যুত্থানের পর দেশ এখন যে নতুন পথে অগ্রসর হচ্ছে—এই নির্বাচন ও গণভোট সেই পথরেখাকে দৃঢ় করবে, গণমানুষের মতকে প্রাধান্য দেবে এবং নতুন বাংলাদেশের ভিত্তি আরও সুসংহত করবে।’
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘আমি বিশ্বাস করি, নির্বাচন কমিশন তাদের সাংবিধানিক দায়িত্ব পালন করবে স্বাধীনভাবে, নিরপেক্ষভাবে এবং সর্বোচ্চ পেশাদারিত্বের সঙ্গে। নির্বাচন ও গণভোটকে উৎসবমুখর, অংশগ্রহণমূলক ও সম্পূর্ণ সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করার লক্ষ্যে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার নির্বাচন কমিশনকে সব ধরনের প্রয়োজনীয় সহায়তা প্রদান করবে।’
দেশের রাজনৈতিক দলসমূহ, প্রার্থী, গণমাধ্যম, সুশীল সমাজ এবং সর্বোপরি দেশের জনগণের প্রতি আহ্বান জানিয়ে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, এই নির্বাচন ও গণভোটকে একটি জাতীয় ঐক্যের উদ্যোগ হিসেবে গ্রহণ করুন। ভিন্নমতের প্রতি শ্রদ্ধা, শান্তিপূর্ণ পরিবেশ এবং গণতান্ত্রিক আচরণ আমাদের সামনের দিনগুলোকে আরও স্থিতিশীল করবে।
ড. ইউনূস বলেন, ‘বাংলাদেশ আজ নতুন ভবিষ্যতের দ্বারপ্রান্তে দাঁড়িয়ে। আপনাদের সকলের সক্রিয় অংশগ্রহণ ও দায়িত্বশীল আচরণের মধ্য দিয়ে আমরা একটি আধুনিক, ন্যায়ভিত্তিক ও সমৃদ্ধ রাষ্ট্র নির্মাণে সফল হব—এই আমার দৃঢ় বিশ্বাস।’

মহাসড়কে অতিরিক্ত পণ্য পরিবহন ঠেকাতে এক্সেল লোড বা ওজন নিয়ন্ত্রণ কেন্দ্র বসানোর উদ্যোগ নেওয়া হয়েছিল ২০১৯ সালে। দেশের গুরুত্বপূর্ণ মহাসড়কের ২৮টি স্থানে ওজন নিয়ন্ত্রণ কেন্দ্র বসানোর কথা থাকলেও গত ছয় বছরে কোনো সড়কে তা চালু হয়নি। এই অবস্থায় সড়কের ধারণক্ষমতার বেশি ওজনের যানবাহন চলাচল করছে।
০৯ অক্টোবর ২০২৫
আগামীতে সুপ্রিম কোর্ট সচিবালয়, আইনের শাসন ও গণতন্ত্রের যাত্রা অটুট রাখতে রাজনৈতিক দলসহ সব অংশীজনের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদ। আজ বৃহস্পতিবার সুপ্রিম কোর্ট সচিবালয় উদ্বোধনের পর এই আহ্বান জানান তিনি।
২৫ মিনিট আগে
দুই উপদেষ্টা পদত্যাগ করার পর তাঁদের অধীনে থাকা তিনটি মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব তিনজন উপদেষ্টাকে দিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূস। আজ বৃহস্পতিবার এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করেছে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ।
৩২ মিনিট আগে
রায়ের পর আইনজীবী সাহেদুল আজম বলেন, হাইকোর্ট বলেছেন, গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশের বিধানে হস্তক্ষেপ করার মতো কোনো কিছু না পাওয়ায় রুল খারিজ করা হয়েছে।
১ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

আগামীতে সুপ্রিম কোর্ট সচিবালয়, আইনের শাসন ও গণতন্ত্রের যাত্রা অটুট রাখতে রাজনৈতিক দলসহ সব অংশীজনের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদ। আজ বৃহস্পতিবার সুপ্রিম কোর্ট সচিবালয় উদ্বোধনের পর এই আহ্বান জানান তিনি।
প্রধান বিচারপতি দিনটিকে ঐতিহাসিক সন্ধিক্ষণ হিসেবে অভিহিত করে বলেন, এই সাফল্য সম্ভব হয়েছে সবার সমন্বিত সহযোগিতা ও প্রচেষ্টার মাধ্যমে। সচিবালয় প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে বিচারকাজ ও বিচারব্যবস্থা পরিচালনার সাংবিধানিক ক্ষমতা সুপ্রিম কোর্টের হাতে ন্যস্ত হয়েছে। আজ থেকে এর সাফল্য যেমন আমরা উপভোগ করব, তেমনি এর ব্যর্থতার দায়ভারও আমাদের ওপর বর্তাবে।
সুপ্রিম কোর্ট সচিবালয় উদ্বোধনের সময় উপস্থিত ছিলেন আপিল বিভাগের বিচারপতি, বর্তমান সরকারের আইন উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল, বাংলাদেশে নিযুক্ত বিভিন্ন দেশের দূতাবাসের রাষ্ট্রদূত, বাংলাদেশে নিযুক্ত ইইউ রাষ্ট্রদূত, ইউএনডিপির রেসিডেন্ট রিপ্রেজেনটেটিভ, অ্যাটর্নি জেনারেল, সুপ্রিম কোর্ট বারের সভাপতি ও ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক, বার কাউন্সিলের ভাইস চেয়ারম্যান, আইন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব, সুপ্রিম কোর্ট সচিবালয় ও সুপ্রিম কোর্ট রেজিস্ট্রির কর্মকর্তারা। এর আগে সুপ্রিম কোর্ট হেল্পলাইন সেন্টার উদ্বোধন করেন প্রধান বিচারপতি।

আগামীতে সুপ্রিম কোর্ট সচিবালয়, আইনের শাসন ও গণতন্ত্রের যাত্রা অটুট রাখতে রাজনৈতিক দলসহ সব অংশীজনের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদ। আজ বৃহস্পতিবার সুপ্রিম কোর্ট সচিবালয় উদ্বোধনের পর এই আহ্বান জানান তিনি।
প্রধান বিচারপতি দিনটিকে ঐতিহাসিক সন্ধিক্ষণ হিসেবে অভিহিত করে বলেন, এই সাফল্য সম্ভব হয়েছে সবার সমন্বিত সহযোগিতা ও প্রচেষ্টার মাধ্যমে। সচিবালয় প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে বিচারকাজ ও বিচারব্যবস্থা পরিচালনার সাংবিধানিক ক্ষমতা সুপ্রিম কোর্টের হাতে ন্যস্ত হয়েছে। আজ থেকে এর সাফল্য যেমন আমরা উপভোগ করব, তেমনি এর ব্যর্থতার দায়ভারও আমাদের ওপর বর্তাবে।
সুপ্রিম কোর্ট সচিবালয় উদ্বোধনের সময় উপস্থিত ছিলেন আপিল বিভাগের বিচারপতি, বর্তমান সরকারের আইন উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল, বাংলাদেশে নিযুক্ত বিভিন্ন দেশের দূতাবাসের রাষ্ট্রদূত, বাংলাদেশে নিযুক্ত ইইউ রাষ্ট্রদূত, ইউএনডিপির রেসিডেন্ট রিপ্রেজেনটেটিভ, অ্যাটর্নি জেনারেল, সুপ্রিম কোর্ট বারের সভাপতি ও ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক, বার কাউন্সিলের ভাইস চেয়ারম্যান, আইন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব, সুপ্রিম কোর্ট সচিবালয় ও সুপ্রিম কোর্ট রেজিস্ট্রির কর্মকর্তারা। এর আগে সুপ্রিম কোর্ট হেল্পলাইন সেন্টার উদ্বোধন করেন প্রধান বিচারপতি।

মহাসড়কে অতিরিক্ত পণ্য পরিবহন ঠেকাতে এক্সেল লোড বা ওজন নিয়ন্ত্রণ কেন্দ্র বসানোর উদ্যোগ নেওয়া হয়েছিল ২০১৯ সালে। দেশের গুরুত্বপূর্ণ মহাসড়কের ২৮টি স্থানে ওজন নিয়ন্ত্রণ কেন্দ্র বসানোর কথা থাকলেও গত ছয় বছরে কোনো সড়কে তা চালু হয়নি। এই অবস্থায় সড়কের ধারণক্ষমতার বেশি ওজনের যানবাহন চলাচল করছে।
০৯ অক্টোবর ২০২৫
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন এবং জুলাই জাতীয় সনদ ২০২৫ বাস্তবায়ন আদেশের ওপর গণভোটের তফসিল ঘোষণা করায় নির্বাচন কমিশনকে আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূস। আজ বৃহস্পতিবার (১১ ডিসেম্বর) এক শুভেচ্ছা বার্তায় তিনি এ কথা বলেন।
৮ মিনিট আগে
দুই উপদেষ্টা পদত্যাগ করার পর তাঁদের অধীনে থাকা তিনটি মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব তিনজন উপদেষ্টাকে দিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূস। আজ বৃহস্পতিবার এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করেছে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ।
৩২ মিনিট আগে
রায়ের পর আইনজীবী সাহেদুল আজম বলেন, হাইকোর্ট বলেছেন, গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশের বিধানে হস্তক্ষেপ করার মতো কোনো কিছু না পাওয়ায় রুল খারিজ করা হয়েছে।
১ ঘণ্টা আগেবিশেষ প্রতিনিধি, ঢাকা

দুই উপদেষ্টা পদত্যাগ করার পর তাঁদের অধীনে থাকা তিনটি মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব তিনজন উপদেষ্টাকে দিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূস।
আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুলকে যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়, শিল্প উপদেষ্টা আদিলুর রহমান খানকে স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয় এবং পরিবেশ উপদেষ্টা রিজওয়ানা হাসানকে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব দিয়ে আজ বৃহস্পতিবার প্রজ্ঞাপন জারি করেছে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ।
এই তিন উপদেষ্টা আগে যেসব মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব ছিলেন তাঁর সঙ্গে নতুন করে এসব মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব যোগ হয়েছে।
স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় এবং যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টার পদ থেকে আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া এবং তথ্য সম্প্রচার উপদেষ্টার পদ থেকে মো. মাহফুজ আলম গতকাল বুধবার পদত্যাগ করেন।
আজ বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পর তাঁদের পদত্যাগপত্র কার্যকর হয়েছে। এরপর তাঁদের অধীনে থাকা তিনটি মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব তিনজন উপদেষ্টাকে দেওয়া হলো।

দুই উপদেষ্টা পদত্যাগ করার পর তাঁদের অধীনে থাকা তিনটি মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব তিনজন উপদেষ্টাকে দিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূস।
আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুলকে যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়, শিল্প উপদেষ্টা আদিলুর রহমান খানকে স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয় এবং পরিবেশ উপদেষ্টা রিজওয়ানা হাসানকে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব দিয়ে আজ বৃহস্পতিবার প্রজ্ঞাপন জারি করেছে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ।
এই তিন উপদেষ্টা আগে যেসব মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব ছিলেন তাঁর সঙ্গে নতুন করে এসব মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব যোগ হয়েছে।
স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় এবং যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টার পদ থেকে আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া এবং তথ্য সম্প্রচার উপদেষ্টার পদ থেকে মো. মাহফুজ আলম গতকাল বুধবার পদত্যাগ করেন।
আজ বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পর তাঁদের পদত্যাগপত্র কার্যকর হয়েছে। এরপর তাঁদের অধীনে থাকা তিনটি মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব তিনজন উপদেষ্টাকে দেওয়া হলো।

মহাসড়কে অতিরিক্ত পণ্য পরিবহন ঠেকাতে এক্সেল লোড বা ওজন নিয়ন্ত্রণ কেন্দ্র বসানোর উদ্যোগ নেওয়া হয়েছিল ২০১৯ সালে। দেশের গুরুত্বপূর্ণ মহাসড়কের ২৮টি স্থানে ওজন নিয়ন্ত্রণ কেন্দ্র বসানোর কথা থাকলেও গত ছয় বছরে কোনো সড়কে তা চালু হয়নি। এই অবস্থায় সড়কের ধারণক্ষমতার বেশি ওজনের যানবাহন চলাচল করছে।
০৯ অক্টোবর ২০২৫
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন এবং জুলাই জাতীয় সনদ ২০২৫ বাস্তবায়ন আদেশের ওপর গণভোটের তফসিল ঘোষণা করায় নির্বাচন কমিশনকে আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূস। আজ বৃহস্পতিবার (১১ ডিসেম্বর) এক শুভেচ্ছা বার্তায় তিনি এ কথা বলেন।
৮ মিনিট আগে
আগামীতে সুপ্রিম কোর্ট সচিবালয়, আইনের শাসন ও গণতন্ত্রের যাত্রা অটুট রাখতে রাজনৈতিক দলসহ সব অংশীজনের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদ। আজ বৃহস্পতিবার সুপ্রিম কোর্ট সচিবালয় উদ্বোধনের পর এই আহ্বান জানান তিনি।
২৫ মিনিট আগে
রায়ের পর আইনজীবী সাহেদুল আজম বলেন, হাইকোর্ট বলেছেন, গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশের বিধানে হস্তক্ষেপ করার মতো কোনো কিছু না পাওয়ায় রুল খারিজ করা হয়েছে।
১ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

নিবন্ধিত একাধিক দল জোটভুক্ত হলেও নিজ দলের প্রতীকেই ভোট করতে হবে—গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ (আরপিও) সংশোধন অধ্যাদেশের এমন বিধান নিয়ে জারি করা রুল খারিজ করে দিয়েছেন হাইকোর্ট।
রিটের পরিপ্রেক্ষিতে শুনানি শেষে আজ বৃহস্পতিবার বিচারপতি ফাতেমা নজীব ও বিচারপতি ফাতেমা আনোয়ারের বেঞ্চ এই রায় দেন। এর ফলে জোট করলেও নিজ দলের প্রতীকে প্রার্থীদের ভোট করতে হবে বলে জানিয়েছেন আইনজীবীরা।
জাতীয়তাবাদী গণতান্ত্রিক আন্দোলনের (এনডিএম) মহাসচিব মোমিনুল আমিনের করা রিটের পরিপ্রেক্ষিতে রুল জারি করেছিলেন হাইকোর্ট।
নিবন্ধিত একাধিক দল জোটভুক্ত হলেও নিজ দলের প্রতীকে ভোট করতে হবে—গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশের এ বিধান কেন অসাংবিধানিক ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চাওয়া হয় রুলে।
রিট আবেদনকারীর পক্ষে শুনানি করেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী আহসানুল করিম। সঙ্গে ছিলেন আইনজীবী রেশাদ ইমাম ও সাহেদুল আজম। নির্বাচন কমিশনের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী কামাল হোসেন মিয়াজী। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল আখতার হোসেন মো. আবদুল ওয়াহাব।
রায়ের পর আইনজীবী সাহেদুল আজম বলেন, হাইকোর্ট বলেছেন, গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশের বিধানে হস্তক্ষেপ করার মতো কোনো কিছু না পাওয়ায় রুল খারিজ করা হয়েছে।
জোট করলেও নির্বাচনে অংশ নিতে হবে নিজ দলের প্রতীকে—এমন বিধান যুক্ত করে গত ৩ নভেম্বর আরপিও সংশোধন অধ্যাদেশ জারি করে অন্তর্বর্তী সরকার।
সে সময় এ নিয়ে আপত্তি তুলেছিল বিএনপি। নির্বাচন কমিশন ও আইন মন্ত্রণালয়ে লিখিতভাবে তারা আপত্তির কথা তুলেও ধরে।
অন্তর্বর্তী সরকার এরপর বিষয়টি বাদ দেওয়ার বিষয়ে নীতিগত সিদ্ধান্ত নেয়। তখন অবশ্য জামায়াতে ইসলামী ও জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) আরপিও সংশোধনের পক্ষে অবস্থান নেয়। পরে সেই বিধান রেখেই অধ্যাদেশ জারি করা হয়।

নিবন্ধিত একাধিক দল জোটভুক্ত হলেও নিজ দলের প্রতীকেই ভোট করতে হবে—গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ (আরপিও) সংশোধন অধ্যাদেশের এমন বিধান নিয়ে জারি করা রুল খারিজ করে দিয়েছেন হাইকোর্ট।
রিটের পরিপ্রেক্ষিতে শুনানি শেষে আজ বৃহস্পতিবার বিচারপতি ফাতেমা নজীব ও বিচারপতি ফাতেমা আনোয়ারের বেঞ্চ এই রায় দেন। এর ফলে জোট করলেও নিজ দলের প্রতীকে প্রার্থীদের ভোট করতে হবে বলে জানিয়েছেন আইনজীবীরা।
জাতীয়তাবাদী গণতান্ত্রিক আন্দোলনের (এনডিএম) মহাসচিব মোমিনুল আমিনের করা রিটের পরিপ্রেক্ষিতে রুল জারি করেছিলেন হাইকোর্ট।
নিবন্ধিত একাধিক দল জোটভুক্ত হলেও নিজ দলের প্রতীকে ভোট করতে হবে—গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশের এ বিধান কেন অসাংবিধানিক ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চাওয়া হয় রুলে।
রিট আবেদনকারীর পক্ষে শুনানি করেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী আহসানুল করিম। সঙ্গে ছিলেন আইনজীবী রেশাদ ইমাম ও সাহেদুল আজম। নির্বাচন কমিশনের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী কামাল হোসেন মিয়াজী। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল আখতার হোসেন মো. আবদুল ওয়াহাব।
রায়ের পর আইনজীবী সাহেদুল আজম বলেন, হাইকোর্ট বলেছেন, গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশের বিধানে হস্তক্ষেপ করার মতো কোনো কিছু না পাওয়ায় রুল খারিজ করা হয়েছে।
জোট করলেও নির্বাচনে অংশ নিতে হবে নিজ দলের প্রতীকে—এমন বিধান যুক্ত করে গত ৩ নভেম্বর আরপিও সংশোধন অধ্যাদেশ জারি করে অন্তর্বর্তী সরকার।
সে সময় এ নিয়ে আপত্তি তুলেছিল বিএনপি। নির্বাচন কমিশন ও আইন মন্ত্রণালয়ে লিখিতভাবে তারা আপত্তির কথা তুলেও ধরে।
অন্তর্বর্তী সরকার এরপর বিষয়টি বাদ দেওয়ার বিষয়ে নীতিগত সিদ্ধান্ত নেয়। তখন অবশ্য জামায়াতে ইসলামী ও জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) আরপিও সংশোধনের পক্ষে অবস্থান নেয়। পরে সেই বিধান রেখেই অধ্যাদেশ জারি করা হয়।

মহাসড়কে অতিরিক্ত পণ্য পরিবহন ঠেকাতে এক্সেল লোড বা ওজন নিয়ন্ত্রণ কেন্দ্র বসানোর উদ্যোগ নেওয়া হয়েছিল ২০১৯ সালে। দেশের গুরুত্বপূর্ণ মহাসড়কের ২৮টি স্থানে ওজন নিয়ন্ত্রণ কেন্দ্র বসানোর কথা থাকলেও গত ছয় বছরে কোনো সড়কে তা চালু হয়নি। এই অবস্থায় সড়কের ধারণক্ষমতার বেশি ওজনের যানবাহন চলাচল করছে।
০৯ অক্টোবর ২০২৫
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন এবং জুলাই জাতীয় সনদ ২০২৫ বাস্তবায়ন আদেশের ওপর গণভোটের তফসিল ঘোষণা করায় নির্বাচন কমিশনকে আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূস। আজ বৃহস্পতিবার (১১ ডিসেম্বর) এক শুভেচ্ছা বার্তায় তিনি এ কথা বলেন।
৮ মিনিট আগে
আগামীতে সুপ্রিম কোর্ট সচিবালয়, আইনের শাসন ও গণতন্ত্রের যাত্রা অটুট রাখতে রাজনৈতিক দলসহ সব অংশীজনের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদ। আজ বৃহস্পতিবার সুপ্রিম কোর্ট সচিবালয় উদ্বোধনের পর এই আহ্বান জানান তিনি।
২৫ মিনিট আগে
দুই উপদেষ্টা পদত্যাগ করার পর তাঁদের অধীনে থাকা তিনটি মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব তিনজন উপদেষ্টাকে দিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূস। আজ বৃহস্পতিবার এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করেছে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ।
৩২ মিনিট আগে