নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম বলেছেন, ‘অনেকেই মব নিয়ে কথা বলেন। আমি আবারও বলব, যেগুলো লেজিটিমেট প্রোটেস্ট, সেগুলোকে প্রোটেস্টই বলা উচিত। আর যেটা আসলেই মব, তাকে মবই বলতে হবে। কিন্তু যদি প্রোটেস্ট হয়, সেটাকে যদি মব বলতে চান, তাহলে তার প্রোটেস্ট করার অধিকারটা কেড়ে নেওয়া হয়। এখন অনেকেই এ ধরনের আলাপগুলো দিচ্ছেন। যেকোনো প্রোটেস্টকেই মব বলে চালিয়ে তাঁর প্রোটেস্ট করার অধিকারটা কেড়ে নিতে চাচ্ছে—এ বিষয়টিতে সচেতন থাকতে হবে সবাইকে। যাঁরা এখন এ ধরনের আলাপগুলো তুলছেন, তাঁরা ১৫ বছর ধরে যত মব হয়েছে, তার একটা শব্দও কিন্তু করেননি।’
আজ শনিবার বিকেলে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির (ডিআরইউ) শফিকুল কবির মিলনায়তনে ‘গণমাধ্যম সংস্কার কমিশনের সুপারিশ পর্যালোচনা ও করণীয়’ শীর্ষক গোলটেবিল আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
বাংলাদেশ সংবাদ সংস্থা বাসস প্রসঙ্গে প্রেস সচিব বলেন, ‘হাসিনা আমলে এসব প্রতিষ্ঠানে কাদের চাকরি দেওয়া হয়েছে? দেখা গেছে, কোথাও কাজ পাচ্ছে না এর নাতি, তার আত্মীয়দের বসিয়ে দেওয়া হয়েছে। ফলে যোগ্যরা বঞ্চিত হয়েছেন। বাংলাদেশের মানুষের ট্যাক্সের প্রতিষ্ঠানে কাকে চাকরি দেওয়া হয়েছে, সেটা দেখা উচিত। সে বিষয়ে হাইকোর্ট বিভাগের একজন বিচারককে প্রধান করে তদন্ত করা উচিত।’
সংবাদপত্রের ওয়েজ বোর্ডের বিষয়ে প্রেস সচিব বলেন, ‘“নো ওয়েজ বোর্ড, নো মিডিয়া”—এটার সঙ্গে আমি একমত। যেসব প্রতিষ্ঠান ওয়েজ বোর্ড দেবে, তাদেরকে আমরা সুরক্ষা দেব। টেলিভিশন, অনলাইন এবং সংবাদপত্রের লাইসেন্সটা সস্তা করে ফেলা হয়েছে।’
সাংবাদিক ইউনিয়ন সম্পর্কে তিনি বলেন, ‘কোনো ইউনিয়নের লিডার থেকে কোনো পত্রিকার সম্পাদক হওয়া উচিত নয়। যখন সম্পাদকের দায়িত্ব থাকবে না, তখন আবার ইউনিয়নের লিডারের পদে আসবেন। এ বিষয়গুলো ভাববার সময় এসেছে।’
সোশ্যাল মিডিয়ানির্ভর সাংবাদিকতা প্রসঙ্গে প্রেস সচিব বলেন, ‘অনেক বড় সাংবাদিক সোশ্যাল মিডিয়ায় আর ইউটিউবে কনটেন্ট তৈরি করে খবর প্রচার করছেন। এগুলো একটু রেগুলেটরির আওতায় আনা উচিত। রেস্পন্সিভ জার্নালিজম করতে হবে।’
‘মাইলস্টোনের আগুন লাগার ঘটনায় দেখবেন, ফেসবুকে দেওয়া হলো ২০০ লাশ খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। পরদিন কিন্তু এ রকম বিষয়টি পাওয়া যায়নি। এই যে, এ ধরনের তথ্য ছাড়ানো হচ্ছে, হাজার হাজার মানুষ দেখছে। প্রতিদিন ইউটিউবে সস্তা বস্তাপচা কনটেন্ট দেওয়া হয়। পৃথিবীর কোন দেশে এগুলো করা যায় বলুন তো? পাকিস্তান, ভারত কোথাও করা যায় না।’
সাংবাদিক সুরক্ষা আইনের বিষয়ে তিনি বলেন, ‘সাংবাদিক সুরক্ষা আইনটা সাংবাদিকদের জন্য অবশ্যই ভালো। এটার একটা খসড়া তৈরি হয়েছে। এই আইনে সাংবাদিকদের সুরক্ষায় অনেক ভালো ভালো বিষয় রাখা হয়েছে।’
এর আগে আলোচনা সভায় জার্নালিস্ট কমিউনিটি অব বাংলাদেশের সদস্যসচিব মো. মিয়া হোসেন তাঁর প্রবন্ধ উপস্থাপনায় বলেন, ‘সরকার গণমাধ্যম সংস্কারে কিছু উদ্যোগ নিয়েছে। তবে কার্যকর সংস্কারের জন্য সাংবাদিকতার সব সেক্টরের প্রতিনিধিসহ টাস্কফোর্স গঠন জরুরি। ‘নো ওয়েজ বোর্ড নো মিডিয়া’ নীতি বাস্তবায়ন করে বেতন-ভাতা বকেয়া থাকা প্রতিষ্ঠানগুলোকে লিস্ট থেকে বাদ দিতে হবে।
‘এ ছাড়া ইলেকট্রনিক ও অনলাইন গণমাধ্যমেও ওয়েজ বোর্ড কার্যকর, বেতন-ভাতা তদারকি ও শ্রম আদালতের মামলা দ্রুত নিষ্পত্তি প্রয়োজন। ভুয়া সাংবাদিকতা ঠেকাতে নিবন্ধন ও প্রেস আইডি চালু করা জরুরি।
‘পাশাপাশি সাংবাদিকতা সুরক্ষা আইনসহ সব খসড়া আইন উন্মুক্ত আলোচনার মাধ্যমে পর্যালোচনা করতে হবে। সংবাদপত্রের মতো ইলেকট্রনিক ও অনলাইন গণমাধ্যমের জন্য আলাদা ডিক্লারেশন আইন এবং গণমাধ্যমকর্মী আইন পাস না করে স্বাধীন গণমাধ্যম কমিশন গঠন করে বেতন-ভাতা ও বিরোধ নিষ্পত্তির ব্যবস্থা নিতে হবে।’
সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সভাপতি আবু সালেহ আকন, সাধারণ সম্পাদক মাইনুল হাসান সোহেল প্রমুখ।
প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম বলেছেন, ‘অনেকেই মব নিয়ে কথা বলেন। আমি আবারও বলব, যেগুলো লেজিটিমেট প্রোটেস্ট, সেগুলোকে প্রোটেস্টই বলা উচিত। আর যেটা আসলেই মব, তাকে মবই বলতে হবে। কিন্তু যদি প্রোটেস্ট হয়, সেটাকে যদি মব বলতে চান, তাহলে তার প্রোটেস্ট করার অধিকারটা কেড়ে নেওয়া হয়। এখন অনেকেই এ ধরনের আলাপগুলো দিচ্ছেন। যেকোনো প্রোটেস্টকেই মব বলে চালিয়ে তাঁর প্রোটেস্ট করার অধিকারটা কেড়ে নিতে চাচ্ছে—এ বিষয়টিতে সচেতন থাকতে হবে সবাইকে। যাঁরা এখন এ ধরনের আলাপগুলো তুলছেন, তাঁরা ১৫ বছর ধরে যত মব হয়েছে, তার একটা শব্দও কিন্তু করেননি।’
আজ শনিবার বিকেলে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির (ডিআরইউ) শফিকুল কবির মিলনায়তনে ‘গণমাধ্যম সংস্কার কমিশনের সুপারিশ পর্যালোচনা ও করণীয়’ শীর্ষক গোলটেবিল আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
বাংলাদেশ সংবাদ সংস্থা বাসস প্রসঙ্গে প্রেস সচিব বলেন, ‘হাসিনা আমলে এসব প্রতিষ্ঠানে কাদের চাকরি দেওয়া হয়েছে? দেখা গেছে, কোথাও কাজ পাচ্ছে না এর নাতি, তার আত্মীয়দের বসিয়ে দেওয়া হয়েছে। ফলে যোগ্যরা বঞ্চিত হয়েছেন। বাংলাদেশের মানুষের ট্যাক্সের প্রতিষ্ঠানে কাকে চাকরি দেওয়া হয়েছে, সেটা দেখা উচিত। সে বিষয়ে হাইকোর্ট বিভাগের একজন বিচারককে প্রধান করে তদন্ত করা উচিত।’
সংবাদপত্রের ওয়েজ বোর্ডের বিষয়ে প্রেস সচিব বলেন, ‘“নো ওয়েজ বোর্ড, নো মিডিয়া”—এটার সঙ্গে আমি একমত। যেসব প্রতিষ্ঠান ওয়েজ বোর্ড দেবে, তাদেরকে আমরা সুরক্ষা দেব। টেলিভিশন, অনলাইন এবং সংবাদপত্রের লাইসেন্সটা সস্তা করে ফেলা হয়েছে।’
সাংবাদিক ইউনিয়ন সম্পর্কে তিনি বলেন, ‘কোনো ইউনিয়নের লিডার থেকে কোনো পত্রিকার সম্পাদক হওয়া উচিত নয়। যখন সম্পাদকের দায়িত্ব থাকবে না, তখন আবার ইউনিয়নের লিডারের পদে আসবেন। এ বিষয়গুলো ভাববার সময় এসেছে।’
সোশ্যাল মিডিয়ানির্ভর সাংবাদিকতা প্রসঙ্গে প্রেস সচিব বলেন, ‘অনেক বড় সাংবাদিক সোশ্যাল মিডিয়ায় আর ইউটিউবে কনটেন্ট তৈরি করে খবর প্রচার করছেন। এগুলো একটু রেগুলেটরির আওতায় আনা উচিত। রেস্পন্সিভ জার্নালিজম করতে হবে।’
‘মাইলস্টোনের আগুন লাগার ঘটনায় দেখবেন, ফেসবুকে দেওয়া হলো ২০০ লাশ খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। পরদিন কিন্তু এ রকম বিষয়টি পাওয়া যায়নি। এই যে, এ ধরনের তথ্য ছাড়ানো হচ্ছে, হাজার হাজার মানুষ দেখছে। প্রতিদিন ইউটিউবে সস্তা বস্তাপচা কনটেন্ট দেওয়া হয়। পৃথিবীর কোন দেশে এগুলো করা যায় বলুন তো? পাকিস্তান, ভারত কোথাও করা যায় না।’
সাংবাদিক সুরক্ষা আইনের বিষয়ে তিনি বলেন, ‘সাংবাদিক সুরক্ষা আইনটা সাংবাদিকদের জন্য অবশ্যই ভালো। এটার একটা খসড়া তৈরি হয়েছে। এই আইনে সাংবাদিকদের সুরক্ষায় অনেক ভালো ভালো বিষয় রাখা হয়েছে।’
এর আগে আলোচনা সভায় জার্নালিস্ট কমিউনিটি অব বাংলাদেশের সদস্যসচিব মো. মিয়া হোসেন তাঁর প্রবন্ধ উপস্থাপনায় বলেন, ‘সরকার গণমাধ্যম সংস্কারে কিছু উদ্যোগ নিয়েছে। তবে কার্যকর সংস্কারের জন্য সাংবাদিকতার সব সেক্টরের প্রতিনিধিসহ টাস্কফোর্স গঠন জরুরি। ‘নো ওয়েজ বোর্ড নো মিডিয়া’ নীতি বাস্তবায়ন করে বেতন-ভাতা বকেয়া থাকা প্রতিষ্ঠানগুলোকে লিস্ট থেকে বাদ দিতে হবে।
‘এ ছাড়া ইলেকট্রনিক ও অনলাইন গণমাধ্যমেও ওয়েজ বোর্ড কার্যকর, বেতন-ভাতা তদারকি ও শ্রম আদালতের মামলা দ্রুত নিষ্পত্তি প্রয়োজন। ভুয়া সাংবাদিকতা ঠেকাতে নিবন্ধন ও প্রেস আইডি চালু করা জরুরি।
‘পাশাপাশি সাংবাদিকতা সুরক্ষা আইনসহ সব খসড়া আইন উন্মুক্ত আলোচনার মাধ্যমে পর্যালোচনা করতে হবে। সংবাদপত্রের মতো ইলেকট্রনিক ও অনলাইন গণমাধ্যমের জন্য আলাদা ডিক্লারেশন আইন এবং গণমাধ্যমকর্মী আইন পাস না করে স্বাধীন গণমাধ্যম কমিশন গঠন করে বেতন-ভাতা ও বিরোধ নিষ্পত্তির ব্যবস্থা নিতে হবে।’
সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সভাপতি আবু সালেহ আকন, সাধারণ সম্পাদক মাইনুল হাসান সোহেল প্রমুখ।
মামলার এজাহারে বলা হয়, আসামিরা পরস্পর যোগসাজশে ক্ষমতার অপব্যবহার করে ভুয়া প্রতিষ্ঠান মেসার্স এ এম ট্রেডিংয়ের নামে জাল কাগজপত্র তৈরি করে ঋণের নামে ৩৪ কোটি টাকা ঋণ সুবিধা গ্রহণ করেন, যা সুদে-আসলে দাঁড়ায় ১০৪ কোটি ২০ লাখ ৭৭ হাজার ৭০৮ টাকা।
৬ মিনিট আগেতিনি বলেন, ‘আমরা লক্ষ করেছি, গতকাল মঙ্গলবার ও আজকে কিছু তথ্য এদিক-সেদিক করে প্রচারিত হয়েছে। অনেক রাজনৈতিক দলের নেতা ও সাংবাদিক আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ করেছেন। তবে আমি জাতীয় কমিশনের পক্ষ থেকে স্পষ্টভাবে বলতে চাই, আমাদের প্রস্তুতি সম্পূর্ণ এবং আপনাদের সহযোগিতায় আমরা আশাবাদী, প্রতিকূল পরিস্থিতি সত্ত্বেও
১ ঘণ্টা আগেবিচার বিভাগের জন্য পৃথক সচিবালয় গঠনের প্রস্তাব কয়েক সপ্তাহের মধ্যে উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে উত্থাপন করা হবে বলে জানিয়েছেন আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল। আজ বুধবার সচিবালয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ তথ্য জানান।
১ ঘণ্টা আগেচট্টগ্রাম, চাঁপাইনবাবগঞ্জ, ফেনী ও মাদারীপুরে নতুন জেলা প্রশাসক (ডিসি) নিয়োগ দিয়েছে সরকার। এর মধ্যে একজন ডিসির দপ্তর বদল করা হয়েছে। আর নতুন করে তিনজনকে ডিসি নিয়োগ দিয়ে আজ বুধবার প্রজ্ঞাপন জারি করেছে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়।
২ ঘণ্টা আগে