নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
দেশের মোট জনগোষ্ঠীর এক-পঞ্চমাংশ বা ২০ শতাংশ তরুণ ও যুব গোষ্ঠী হলেও এদের মধ্যে বেকারত্বের হার জাতীয় পর্যায়ের হারের দ্বিগুণ। এমন বাস্তবতায় বিপুল এই জনগোষ্ঠীকে কার্যকরভাবে দেশের অগ্রযাত্রায় কাজে লাগাতে উপযুক্ত রাজনৈতিক পরিবেশ তৈরির আহ্বান জানিয়েছে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি)। আজ শুক্রবার আন্তর্জাতিক যুব দিবসে তরুণ ও যুব জনগোষ্ঠীর জন্য শিক্ষা ও কর্মসংস্থানসহ নয় দফা সুপারিশ করেছে সংস্থাটি।
টেকসই উন্নয়ন, সুশাসিত ও দুর্নীতিমুক্ত সমাজ নির্মাণে তরুণদের অগ্রণী ভূমিকা নিশ্চিতে শিক্ষা ও কর্মসংস্থানের ব্যবস্থাসহ নয় দফা সুপারিশ করেছে টিআইবি। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য সুপারিশগুলো হলো—আন্তর্জাতিক শ্রমবাজারের চাহিদা অনুযায়ী তরুণ জনগোষ্ঠীকে কারিগরিভাবে দক্ষ করে তোলা; আর্থিকভাবে অসচ্ছল ও নারী শিক্ষার্থীদের বিশেষ প্রণোদনার মাধ্যমে নিরবচ্ছিন্ন শিক্ষাগ্রহণ নিশ্চিত করা; প্রতিবন্ধী, আদিবাসী ও সামাজিকভাবে পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীর জন্য বিশেষ ব্যবস্থা নেওয়া; মধ্যম ও দীর্ঘমেয়াদি সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনার মাধ্যমে তরুণদের জন্য কর্মসংস্থান সৃষ্টি; তরুণ উদ্যোক্তাদের জন্য প্রণোদনার ব্যবস্থা করা; বিকল্প পেশার জন্য কর্মহীন তরুণ ও নতুন গ্র্যাজুয়েটদের প্রস্তুত করা; সকল নিয়োগ প্রক্রিয়ায় দুর্নীতিমুক্ত এবং মেধা ও যোগ্যতার ভিত্তিতে সমান প্রতিযোগিতা নিশ্চিত করা। এ ছাড়া কোভিডের কারণে ঝরে পড়া শিক্ষার্থীদের শ্রেণিকক্ষে ফিরিয়ে আনতে সরকারিভাবে বিশেষ উদ্যোগ নেওয়া এবং তরুণ সমাজসহ সকল নাগরিকের ব্যক্তিগত গোপনীয়তা ও স্বাধীন মতপ্রকাশের সুযোগ নিশ্চিত করার ওপরও গুরুত্ব দিয়েছে টিআইবি।
আন্তর্জাতিক যুব দিবস উপলক্ষে টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ইফতেখারুজ্জামান বলেছেন, ‘সম্প্রতি প্রকাশিত জনশুমারিকে বিবেচনায় নিলে তরুণ-যুব জনগোষ্ঠীর হাত ধরে দারুণ এক জনমিতিক সম্ভাবনা রয়েছে বাংলাদেশের সামনে। যদিও সেই সম্ভাবনার পুরোটাই নির্ভর করে এই বিপুলসংখ্যক তরুণকে কতটা কার্যকরভাবে দক্ষ করে তাদের কাজের সুযোগ তৈরি করে দেওয়া যাচ্ছে তার ওপর। এ ক্ষেত্রে বাংলাদেশ যে সুখকর অবস্থায় নেই, তার বড় প্রমাণ আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থা (আইএলও) প্রকাশিত “দ্য গ্লোবাল এমপ্লয়মেন্ট ট্রেন্ডস ফর ইয়ুথ-২০২২ ”-এর তথ্য। প্রতিবেদন অনুসারে বাংলাদেশের তরুণদের মধ্যে বেকারত্বের হার ১০ দশমিক ৬ শতাংশ। যেখানে জাতীয় পর্যায়ে বেকারত্বের হার মাত্র ৪ দশমিক ২ শতাংশ।’
শুক্রবার গণমাধ্যমে পাঠানো এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ কথা বলেন ইফতেখারুজ্জামান। তাঁর মতে, গত দুই বছরেরও বেশি সময় ধরে করোনা অতিমারির প্রভাবে সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত জনগোষ্ঠীর বড় অংশই তরুণ। কিন্তু বিপুল এই তরুণ জনগোষ্ঠীকে দক্ষ করে কর্ম উপযোগী করার বিষয়ে এখনো কোনো সমন্বিত উদ্যোগ দেখা যাচ্ছে না, যা সত্যিই হতাশার। দেশের ভবিষ্যৎ বিবেচনায় এ উদ্যোগ নেওয়া সবচেয়ে জরুরি।
দেশে প্রচলিত শিক্ষা কর্মোপযোগী দক্ষতা তৈরিতে ব্যর্থ হচ্ছে—এমন বাস্তবতার কথা স্মরণ করিয়ে দিয়ে ইফতেখারুজ্জামান বলেন, সম্প্রতি প্রকাশিত এক জরিপ বলছে, দেশে ৪৭ শতাংশ শিক্ষিতই বেকার। এর বড় কারণ হচ্ছে কাজে যোগ দেওয়ার জন্য প্রয়োজনীয় দক্ষতা অর্জন করা যাচ্ছে না প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা থেকে অর্জিত জ্ঞান দিয়ে। এই সমস্যাটি ধীরে ধীরে প্রকট হয়ে উঠলেও তা সমাধানে সমন্বিত কোনো উদ্যোগ এখনো দেখা যায়নি, যা সত্যিই উদ্বেগের। সবচেয়ে আতঙ্কজনক বিষয়টি সম্ভবত দেশের যুব জনগোষ্ঠীর মধ্যে বেকারের প্রকৃত সংখ্যাকে অস্বীকার করা বা প্রকাশ না করার প্রচেষ্টা।
টিআইবির নির্বাহী পরিচালক বলেন, শিক্ষাজীবন থেকে শুরু করে জাতীয় পর্যায়ে বাক্স্বাধীনতা নিশ্চিত করার মাধ্যমে ভয়ডরহীনভাবে তরুণদের মতপ্রকাশের উপযোগী পরিবেশ তৈরি করতে হবে। তাদের জন্য সামাজিক ন্যায়বিচার নিশ্চিত করা এবং রাজনৈতিক অংশগ্রহণের পরিবেশ তৈরিও জরুরি।
দেশের মোট জনগোষ্ঠীর এক-পঞ্চমাংশ বা ২০ শতাংশ তরুণ ও যুব গোষ্ঠী হলেও এদের মধ্যে বেকারত্বের হার জাতীয় পর্যায়ের হারের দ্বিগুণ। এমন বাস্তবতায় বিপুল এই জনগোষ্ঠীকে কার্যকরভাবে দেশের অগ্রযাত্রায় কাজে লাগাতে উপযুক্ত রাজনৈতিক পরিবেশ তৈরির আহ্বান জানিয়েছে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি)। আজ শুক্রবার আন্তর্জাতিক যুব দিবসে তরুণ ও যুব জনগোষ্ঠীর জন্য শিক্ষা ও কর্মসংস্থানসহ নয় দফা সুপারিশ করেছে সংস্থাটি।
টেকসই উন্নয়ন, সুশাসিত ও দুর্নীতিমুক্ত সমাজ নির্মাণে তরুণদের অগ্রণী ভূমিকা নিশ্চিতে শিক্ষা ও কর্মসংস্থানের ব্যবস্থাসহ নয় দফা সুপারিশ করেছে টিআইবি। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য সুপারিশগুলো হলো—আন্তর্জাতিক শ্রমবাজারের চাহিদা অনুযায়ী তরুণ জনগোষ্ঠীকে কারিগরিভাবে দক্ষ করে তোলা; আর্থিকভাবে অসচ্ছল ও নারী শিক্ষার্থীদের বিশেষ প্রণোদনার মাধ্যমে নিরবচ্ছিন্ন শিক্ষাগ্রহণ নিশ্চিত করা; প্রতিবন্ধী, আদিবাসী ও সামাজিকভাবে পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীর জন্য বিশেষ ব্যবস্থা নেওয়া; মধ্যম ও দীর্ঘমেয়াদি সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনার মাধ্যমে তরুণদের জন্য কর্মসংস্থান সৃষ্টি; তরুণ উদ্যোক্তাদের জন্য প্রণোদনার ব্যবস্থা করা; বিকল্প পেশার জন্য কর্মহীন তরুণ ও নতুন গ্র্যাজুয়েটদের প্রস্তুত করা; সকল নিয়োগ প্রক্রিয়ায় দুর্নীতিমুক্ত এবং মেধা ও যোগ্যতার ভিত্তিতে সমান প্রতিযোগিতা নিশ্চিত করা। এ ছাড়া কোভিডের কারণে ঝরে পড়া শিক্ষার্থীদের শ্রেণিকক্ষে ফিরিয়ে আনতে সরকারিভাবে বিশেষ উদ্যোগ নেওয়া এবং তরুণ সমাজসহ সকল নাগরিকের ব্যক্তিগত গোপনীয়তা ও স্বাধীন মতপ্রকাশের সুযোগ নিশ্চিত করার ওপরও গুরুত্ব দিয়েছে টিআইবি।
আন্তর্জাতিক যুব দিবস উপলক্ষে টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ইফতেখারুজ্জামান বলেছেন, ‘সম্প্রতি প্রকাশিত জনশুমারিকে বিবেচনায় নিলে তরুণ-যুব জনগোষ্ঠীর হাত ধরে দারুণ এক জনমিতিক সম্ভাবনা রয়েছে বাংলাদেশের সামনে। যদিও সেই সম্ভাবনার পুরোটাই নির্ভর করে এই বিপুলসংখ্যক তরুণকে কতটা কার্যকরভাবে দক্ষ করে তাদের কাজের সুযোগ তৈরি করে দেওয়া যাচ্ছে তার ওপর। এ ক্ষেত্রে বাংলাদেশ যে সুখকর অবস্থায় নেই, তার বড় প্রমাণ আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থা (আইএলও) প্রকাশিত “দ্য গ্লোবাল এমপ্লয়মেন্ট ট্রেন্ডস ফর ইয়ুথ-২০২২ ”-এর তথ্য। প্রতিবেদন অনুসারে বাংলাদেশের তরুণদের মধ্যে বেকারত্বের হার ১০ দশমিক ৬ শতাংশ। যেখানে জাতীয় পর্যায়ে বেকারত্বের হার মাত্র ৪ দশমিক ২ শতাংশ।’
শুক্রবার গণমাধ্যমে পাঠানো এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ কথা বলেন ইফতেখারুজ্জামান। তাঁর মতে, গত দুই বছরেরও বেশি সময় ধরে করোনা অতিমারির প্রভাবে সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত জনগোষ্ঠীর বড় অংশই তরুণ। কিন্তু বিপুল এই তরুণ জনগোষ্ঠীকে দক্ষ করে কর্ম উপযোগী করার বিষয়ে এখনো কোনো সমন্বিত উদ্যোগ দেখা যাচ্ছে না, যা সত্যিই হতাশার। দেশের ভবিষ্যৎ বিবেচনায় এ উদ্যোগ নেওয়া সবচেয়ে জরুরি।
দেশে প্রচলিত শিক্ষা কর্মোপযোগী দক্ষতা তৈরিতে ব্যর্থ হচ্ছে—এমন বাস্তবতার কথা স্মরণ করিয়ে দিয়ে ইফতেখারুজ্জামান বলেন, সম্প্রতি প্রকাশিত এক জরিপ বলছে, দেশে ৪৭ শতাংশ শিক্ষিতই বেকার। এর বড় কারণ হচ্ছে কাজে যোগ দেওয়ার জন্য প্রয়োজনীয় দক্ষতা অর্জন করা যাচ্ছে না প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা থেকে অর্জিত জ্ঞান দিয়ে। এই সমস্যাটি ধীরে ধীরে প্রকট হয়ে উঠলেও তা সমাধানে সমন্বিত কোনো উদ্যোগ এখনো দেখা যায়নি, যা সত্যিই উদ্বেগের। সবচেয়ে আতঙ্কজনক বিষয়টি সম্ভবত দেশের যুব জনগোষ্ঠীর মধ্যে বেকারের প্রকৃত সংখ্যাকে অস্বীকার করা বা প্রকাশ না করার প্রচেষ্টা।
টিআইবির নির্বাহী পরিচালক বলেন, শিক্ষাজীবন থেকে শুরু করে জাতীয় পর্যায়ে বাক্স্বাধীনতা নিশ্চিত করার মাধ্যমে ভয়ডরহীনভাবে তরুণদের মতপ্রকাশের উপযোগী পরিবেশ তৈরি করতে হবে। তাদের জন্য সামাজিক ন্যায়বিচার নিশ্চিত করা এবং রাজনৈতিক অংশগ্রহণের পরিবেশ তৈরিও জরুরি।
পবিত্র ঈদুল আজহা উপলক্ষে আজ শনিবার দুপুরে রাষ্ট্রীয় অতিথিভবন যমুনায় প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে সস্ত্রীক সাক্ষাৎ করেছেন সেনাপ্রধান ওয়াকার-উজ-জামান।
১ ঘণ্টা আগেমুসলমানদের অন্যতম প্রধান ধর্মীয় উৎসবের মধ্যে একটি হলো ঈদুল আজহা। যথাযোগ্য মর্যাদা, ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্য এবং ত্যাগের মহিমায় সারা দেশে এবারের ঈদ উদযাপিত হচ্ছে। বাংলাদেশে এটি কোরবানির ঈদ নামেও পরিচিত। যুগ যুগ ধরে এই ঈদ ধর্মপ্রাণ মুসলমানদের ত্যাগের আদর্শে উদ্ভাসিত করে আসছে।
৩ ঘণ্টা আগে‘পশু নয়, কোরবানি হোক অহংকার, হিংসা ও অবিচারের।’ ঈদুল আজহা উপলক্ষে নিজের ভেরিফাইড ফেসবুকে দেওয়া এক পোস্টে এ কথা বলেন স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় এবং যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া।
৩ ঘণ্টা আগেদেশের সার্বিক আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক ও স্থিতিশীল রাখতে পবিত্র ঈদ-উল-আজহা উপলক্ষে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী দেশব্যাপী কঠোর নিরাপত্তামূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে। জনসাধারণের জানমাল রক্ষা এবং ঈদের ছুটি চলাকালীন যেকোনো অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা প্রতিরোধে সেনাবাহিনীর অভিযান অব্যাহত রয়েছে। একই সঙ্গে সেনাবাহিনীর সঙ
১১ ঘণ্টা আগে