আজকের পত্রিকা ডেস্ক

অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের ক্ষমতা দীর্ঘায়িত করার বিন্দুমাত্র ইচ্ছে নেই বলে জানিয়েছেন আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল। তিনি বলেছেন, ‘আপনাদের মাধ্যমে আমি নিশ্চিত করে বলতে চাই, আমাদের এই সরকারের অযথা সময়ক্ষেপণ করার, সরকারে থাকার বিন্দুমাত্র ইচ্ছে নাই। আমরা অবাধ সুষ্ঠু নির্বাচন নিশ্চিত করার জন্য, রাষ্ট্র মেরামতের ফান্ডামেন্টাল (মৌলিক) শর্ত পূরণ করার জন্য, রাজনৈতিক ঐকমত্যের ভিত্তিতে যে সংস্কারগুলো অতি জরুরি, সেগুলো করার সঙ্গে নির্বাচন প্রক্রিয়ার মাধ্যমে আমরা চলে যেতে চাই। এটা নিয়ে কোনো রকম দ্বিধাদ্বন্দ্বের অবকাশ নাই।’
আজ শনিবার রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন তিনি। পাঁচ সংস্কার কমিশনের আশু করণীয় সুপারিশ তুলে ধরেন আসিফ নজরুল। তবে সংবাদ সংস্কার কমিশন কোনো আশু করণীয় সুপারিশ করেননি। তিনি বলেন, তাদের সুপারিশের বিষয়ে রাজনৈতিক ঐকমত্য প্রয়োজন থাকায় সংবিধান সংস্কার কমিশন কোনো আশু করণীয়ের সুপারিশ করেননি।
সংস্কার কমিশনগুলোর সুপারিশ বাস্তবায়ন বিষয়ে আসিফ নজরুল বলেন, ‘সব রাজনৈতিক দলেরই সংস্কার ভাবনা আছে। কাজেই আমরা মনে করি ওনাদের মধ্যে যদি এই সংশয়টা দূর হয়, যে এই সংস্কারগুলো করা হচ্ছে আমাদের ক্ষমতায় থাকা দীর্ঘায়িত করার জন্য না। তাহলে বহু কিছুই বাস্তবায়িত হবে। দ্রুত নির্বাচন চাওয়ার অধিকার রাজনৈতিক দলগুলোর রয়েছে বলেও জানান আসিফ নজরুল।’
আশু করণীয়, মধ্যম মেয়াদি এবং দীর্ঘমেয়াদি তিন ধরনের সুপারিশ করেছে সংস্কার কমিশনগুলো। আশু করণীয় সুপারিশগুলোর মধ্যে অন্তত ৫০ শতাংশ এক মাসের মধ্যে বাস্তবায়ন করা সম্ভব বলে জানান আইন উপদেষ্টা।
এক প্রশ্নের জবাবে আইন উপদেষ্টা বলেন, ‘আমরা রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে ফেব্রুয়ারির মাঝামাঝি আলোচনা শুরু করতে চাই। ওনারা চাইলে আমরা এই আলোচনা রোজার মধ্যেও করতে চাই।’
আওয়ামী লীগের বিভিন্ন কর্মসূচি ঘোষণা বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘সরকারের সহনশীলতা, অবাধ মতপ্রকাশের পরিবেশ এবং গণতান্ত্রিক চর্চার ক্ষেত্রে সরকারের অসীম শ্রদ্ধাবোধের কারণে এগুলো হচ্ছে।’
তিনি বলেন, আশু করণীয় কিছু সুপারিশ রাজনৈতিক দলের সঙ্গে আলোচনা করতে হবে। আর কিছু সুপারিশ মামুলি যা প্রশাসনিক আদেশের মাধ্যমে করা যাবে। এর মধ্যে উচ্চ আদালতের বিচারক নিয়োগ আইন। ফেব্রুয়ারির মাঝামাঝি থেকে সংস্কারের বিষয়ে রাজনৈতিক দলের সঙ্গে সংলাপ অনুষ্ঠিত হবে বলেও জানান তিনি। আসিফ নজরুল বলেন, রাজনৈতিক ঐকমত্যের বিষয়ে সরকার দৃঢ়প্রতিজ্ঞ। যত তাড়াতাড়ি সম্ভব মতৈক্য পৌঁছানোর চেষ্টা করা হবে।
সংস্কার কমিশনের অনেক প্রস্তাব বাস্তবায়নে আইন সংশোধন প্রয়োজন বলে জানান আসিফ নজরুল। তিনি বলেন, ‘আইন করতে হলে অনেক ক্ষেত্রে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে মতৈক্য করতে হবে। কিছু ক্ষেত্রে না-ও হতে পারে। যেমন—উচ্চ আদালতের বিচারক নিয়োগ আইনের কোনো রাজনৈতিক দল বিরোধিতা করেনি। তবে আমরা রাজনৈতিক দলগুলোর আইনজীবীদের সঙ্গে আলোচনা করেছি।’
দীর্ঘমেয়াদি সুপারিশ নির্বাচিত সরকার বলে জানিয়েছেন আসিফ নজরুল। তিনি বলেন, ‘আশু করণীয় বিষয়ে আমরা আশা করছি, রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে ঐক্য সাপেক্ষে নির্বাচনের আগেই করা হবে। মধ্যম মেয়াদির বিষয়টি নির্ভর করবে রাজনৈতিক দলগুলোর ঐকমত্যের বিষয়ে।’
সংস্কারের বিষয়ে সর্বোচ্চ পর্যায়ে ঐকমত্য তৈরির প্রচেষ্টা করা হবে বলে জানিয়েছেন আসিফ নজরুল। তিনি বলেন, ‘রাজনৈতিক দলগুলো অনেক সংস্কার নিজেরাও করেছেন। গত ৫৫ বছরে তারা অনেক ভালো ভালো কাজ করেছেন, কিন্তু সমালোচনার সময় তা আমরা ভুলে যাই।’
রাষ্ট্রপতি শাসিত সরকার থেকে সংসদীয় সরকার, ভ্যাট প্রচলন, ই-প্রযুক্তিসহ অনেক কাজ করেছে বলেও জানান তিনি। আসিফ নজরুল বলেন, সংস্কার প্রস্তাবের মূল সুর হচ্ছে তিন দলীয় জোটের রূপরেখার মধ্যেও ছিল।
জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের ঘোষণাপত্রের বিষয়ে তিনি বলেন, ‘আশা করব জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের পক্ষগুলো প্রক্রিয়াটা বেগবান করার চেষ্টা করবেন। এটা আমাদের ঐক্যের দলিল, রাজনৈতিক দলিল, আইনি দলিল নয়।’
সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম, উপপ্রেস সচিব আবুল কালাম আজাদ মজুমদার।

অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের ক্ষমতা দীর্ঘায়িত করার বিন্দুমাত্র ইচ্ছে নেই বলে জানিয়েছেন আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল। তিনি বলেছেন, ‘আপনাদের মাধ্যমে আমি নিশ্চিত করে বলতে চাই, আমাদের এই সরকারের অযথা সময়ক্ষেপণ করার, সরকারে থাকার বিন্দুমাত্র ইচ্ছে নাই। আমরা অবাধ সুষ্ঠু নির্বাচন নিশ্চিত করার জন্য, রাষ্ট্র মেরামতের ফান্ডামেন্টাল (মৌলিক) শর্ত পূরণ করার জন্য, রাজনৈতিক ঐকমত্যের ভিত্তিতে যে সংস্কারগুলো অতি জরুরি, সেগুলো করার সঙ্গে নির্বাচন প্রক্রিয়ার মাধ্যমে আমরা চলে যেতে চাই। এটা নিয়ে কোনো রকম দ্বিধাদ্বন্দ্বের অবকাশ নাই।’
আজ শনিবার রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন তিনি। পাঁচ সংস্কার কমিশনের আশু করণীয় সুপারিশ তুলে ধরেন আসিফ নজরুল। তবে সংবাদ সংস্কার কমিশন কোনো আশু করণীয় সুপারিশ করেননি। তিনি বলেন, তাদের সুপারিশের বিষয়ে রাজনৈতিক ঐকমত্য প্রয়োজন থাকায় সংবিধান সংস্কার কমিশন কোনো আশু করণীয়ের সুপারিশ করেননি।
সংস্কার কমিশনগুলোর সুপারিশ বাস্তবায়ন বিষয়ে আসিফ নজরুল বলেন, ‘সব রাজনৈতিক দলেরই সংস্কার ভাবনা আছে। কাজেই আমরা মনে করি ওনাদের মধ্যে যদি এই সংশয়টা দূর হয়, যে এই সংস্কারগুলো করা হচ্ছে আমাদের ক্ষমতায় থাকা দীর্ঘায়িত করার জন্য না। তাহলে বহু কিছুই বাস্তবায়িত হবে। দ্রুত নির্বাচন চাওয়ার অধিকার রাজনৈতিক দলগুলোর রয়েছে বলেও জানান আসিফ নজরুল।’
আশু করণীয়, মধ্যম মেয়াদি এবং দীর্ঘমেয়াদি তিন ধরনের সুপারিশ করেছে সংস্কার কমিশনগুলো। আশু করণীয় সুপারিশগুলোর মধ্যে অন্তত ৫০ শতাংশ এক মাসের মধ্যে বাস্তবায়ন করা সম্ভব বলে জানান আইন উপদেষ্টা।
এক প্রশ্নের জবাবে আইন উপদেষ্টা বলেন, ‘আমরা রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে ফেব্রুয়ারির মাঝামাঝি আলোচনা শুরু করতে চাই। ওনারা চাইলে আমরা এই আলোচনা রোজার মধ্যেও করতে চাই।’
আওয়ামী লীগের বিভিন্ন কর্মসূচি ঘোষণা বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘সরকারের সহনশীলতা, অবাধ মতপ্রকাশের পরিবেশ এবং গণতান্ত্রিক চর্চার ক্ষেত্রে সরকারের অসীম শ্রদ্ধাবোধের কারণে এগুলো হচ্ছে।’
তিনি বলেন, আশু করণীয় কিছু সুপারিশ রাজনৈতিক দলের সঙ্গে আলোচনা করতে হবে। আর কিছু সুপারিশ মামুলি যা প্রশাসনিক আদেশের মাধ্যমে করা যাবে। এর মধ্যে উচ্চ আদালতের বিচারক নিয়োগ আইন। ফেব্রুয়ারির মাঝামাঝি থেকে সংস্কারের বিষয়ে রাজনৈতিক দলের সঙ্গে সংলাপ অনুষ্ঠিত হবে বলেও জানান তিনি। আসিফ নজরুল বলেন, রাজনৈতিক ঐকমত্যের বিষয়ে সরকার দৃঢ়প্রতিজ্ঞ। যত তাড়াতাড়ি সম্ভব মতৈক্য পৌঁছানোর চেষ্টা করা হবে।
সংস্কার কমিশনের অনেক প্রস্তাব বাস্তবায়নে আইন সংশোধন প্রয়োজন বলে জানান আসিফ নজরুল। তিনি বলেন, ‘আইন করতে হলে অনেক ক্ষেত্রে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে মতৈক্য করতে হবে। কিছু ক্ষেত্রে না-ও হতে পারে। যেমন—উচ্চ আদালতের বিচারক নিয়োগ আইনের কোনো রাজনৈতিক দল বিরোধিতা করেনি। তবে আমরা রাজনৈতিক দলগুলোর আইনজীবীদের সঙ্গে আলোচনা করেছি।’
দীর্ঘমেয়াদি সুপারিশ নির্বাচিত সরকার বলে জানিয়েছেন আসিফ নজরুল। তিনি বলেন, ‘আশু করণীয় বিষয়ে আমরা আশা করছি, রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে ঐক্য সাপেক্ষে নির্বাচনের আগেই করা হবে। মধ্যম মেয়াদির বিষয়টি নির্ভর করবে রাজনৈতিক দলগুলোর ঐকমত্যের বিষয়ে।’
সংস্কারের বিষয়ে সর্বোচ্চ পর্যায়ে ঐকমত্য তৈরির প্রচেষ্টা করা হবে বলে জানিয়েছেন আসিফ নজরুল। তিনি বলেন, ‘রাজনৈতিক দলগুলো অনেক সংস্কার নিজেরাও করেছেন। গত ৫৫ বছরে তারা অনেক ভালো ভালো কাজ করেছেন, কিন্তু সমালোচনার সময় তা আমরা ভুলে যাই।’
রাষ্ট্রপতি শাসিত সরকার থেকে সংসদীয় সরকার, ভ্যাট প্রচলন, ই-প্রযুক্তিসহ অনেক কাজ করেছে বলেও জানান তিনি। আসিফ নজরুল বলেন, সংস্কার প্রস্তাবের মূল সুর হচ্ছে তিন দলীয় জোটের রূপরেখার মধ্যেও ছিল।
জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের ঘোষণাপত্রের বিষয়ে তিনি বলেন, ‘আশা করব জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের পক্ষগুলো প্রক্রিয়াটা বেগবান করার চেষ্টা করবেন। এটা আমাদের ঐক্যের দলিল, রাজনৈতিক দলিল, আইনি দলিল নয়।’
সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম, উপপ্রেস সচিব আবুল কালাম আজাদ মজুমদার।
আজকের পত্রিকা ডেস্ক

অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের ক্ষমতা দীর্ঘায়িত করার বিন্দুমাত্র ইচ্ছে নেই বলে জানিয়েছেন আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল। তিনি বলেছেন, ‘আপনাদের মাধ্যমে আমি নিশ্চিত করে বলতে চাই, আমাদের এই সরকারের অযথা সময়ক্ষেপণ করার, সরকারে থাকার বিন্দুমাত্র ইচ্ছে নাই। আমরা অবাধ সুষ্ঠু নির্বাচন নিশ্চিত করার জন্য, রাষ্ট্র মেরামতের ফান্ডামেন্টাল (মৌলিক) শর্ত পূরণ করার জন্য, রাজনৈতিক ঐকমত্যের ভিত্তিতে যে সংস্কারগুলো অতি জরুরি, সেগুলো করার সঙ্গে নির্বাচন প্রক্রিয়ার মাধ্যমে আমরা চলে যেতে চাই। এটা নিয়ে কোনো রকম দ্বিধাদ্বন্দ্বের অবকাশ নাই।’
আজ শনিবার রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন তিনি। পাঁচ সংস্কার কমিশনের আশু করণীয় সুপারিশ তুলে ধরেন আসিফ নজরুল। তবে সংবাদ সংস্কার কমিশন কোনো আশু করণীয় সুপারিশ করেননি। তিনি বলেন, তাদের সুপারিশের বিষয়ে রাজনৈতিক ঐকমত্য প্রয়োজন থাকায় সংবিধান সংস্কার কমিশন কোনো আশু করণীয়ের সুপারিশ করেননি।
সংস্কার কমিশনগুলোর সুপারিশ বাস্তবায়ন বিষয়ে আসিফ নজরুল বলেন, ‘সব রাজনৈতিক দলেরই সংস্কার ভাবনা আছে। কাজেই আমরা মনে করি ওনাদের মধ্যে যদি এই সংশয়টা দূর হয়, যে এই সংস্কারগুলো করা হচ্ছে আমাদের ক্ষমতায় থাকা দীর্ঘায়িত করার জন্য না। তাহলে বহু কিছুই বাস্তবায়িত হবে। দ্রুত নির্বাচন চাওয়ার অধিকার রাজনৈতিক দলগুলোর রয়েছে বলেও জানান আসিফ নজরুল।’
আশু করণীয়, মধ্যম মেয়াদি এবং দীর্ঘমেয়াদি তিন ধরনের সুপারিশ করেছে সংস্কার কমিশনগুলো। আশু করণীয় সুপারিশগুলোর মধ্যে অন্তত ৫০ শতাংশ এক মাসের মধ্যে বাস্তবায়ন করা সম্ভব বলে জানান আইন উপদেষ্টা।
এক প্রশ্নের জবাবে আইন উপদেষ্টা বলেন, ‘আমরা রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে ফেব্রুয়ারির মাঝামাঝি আলোচনা শুরু করতে চাই। ওনারা চাইলে আমরা এই আলোচনা রোজার মধ্যেও করতে চাই।’
আওয়ামী লীগের বিভিন্ন কর্মসূচি ঘোষণা বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘সরকারের সহনশীলতা, অবাধ মতপ্রকাশের পরিবেশ এবং গণতান্ত্রিক চর্চার ক্ষেত্রে সরকারের অসীম শ্রদ্ধাবোধের কারণে এগুলো হচ্ছে।’
তিনি বলেন, আশু করণীয় কিছু সুপারিশ রাজনৈতিক দলের সঙ্গে আলোচনা করতে হবে। আর কিছু সুপারিশ মামুলি যা প্রশাসনিক আদেশের মাধ্যমে করা যাবে। এর মধ্যে উচ্চ আদালতের বিচারক নিয়োগ আইন। ফেব্রুয়ারির মাঝামাঝি থেকে সংস্কারের বিষয়ে রাজনৈতিক দলের সঙ্গে সংলাপ অনুষ্ঠিত হবে বলেও জানান তিনি। আসিফ নজরুল বলেন, রাজনৈতিক ঐকমত্যের বিষয়ে সরকার দৃঢ়প্রতিজ্ঞ। যত তাড়াতাড়ি সম্ভব মতৈক্য পৌঁছানোর চেষ্টা করা হবে।
সংস্কার কমিশনের অনেক প্রস্তাব বাস্তবায়নে আইন সংশোধন প্রয়োজন বলে জানান আসিফ নজরুল। তিনি বলেন, ‘আইন করতে হলে অনেক ক্ষেত্রে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে মতৈক্য করতে হবে। কিছু ক্ষেত্রে না-ও হতে পারে। যেমন—উচ্চ আদালতের বিচারক নিয়োগ আইনের কোনো রাজনৈতিক দল বিরোধিতা করেনি। তবে আমরা রাজনৈতিক দলগুলোর আইনজীবীদের সঙ্গে আলোচনা করেছি।’
দীর্ঘমেয়াদি সুপারিশ নির্বাচিত সরকার বলে জানিয়েছেন আসিফ নজরুল। তিনি বলেন, ‘আশু করণীয় বিষয়ে আমরা আশা করছি, রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে ঐক্য সাপেক্ষে নির্বাচনের আগেই করা হবে। মধ্যম মেয়াদির বিষয়টি নির্ভর করবে রাজনৈতিক দলগুলোর ঐকমত্যের বিষয়ে।’
সংস্কারের বিষয়ে সর্বোচ্চ পর্যায়ে ঐকমত্য তৈরির প্রচেষ্টা করা হবে বলে জানিয়েছেন আসিফ নজরুল। তিনি বলেন, ‘রাজনৈতিক দলগুলো অনেক সংস্কার নিজেরাও করেছেন। গত ৫৫ বছরে তারা অনেক ভালো ভালো কাজ করেছেন, কিন্তু সমালোচনার সময় তা আমরা ভুলে যাই।’
রাষ্ট্রপতি শাসিত সরকার থেকে সংসদীয় সরকার, ভ্যাট প্রচলন, ই-প্রযুক্তিসহ অনেক কাজ করেছে বলেও জানান তিনি। আসিফ নজরুল বলেন, সংস্কার প্রস্তাবের মূল সুর হচ্ছে তিন দলীয় জোটের রূপরেখার মধ্যেও ছিল।
জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের ঘোষণাপত্রের বিষয়ে তিনি বলেন, ‘আশা করব জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের পক্ষগুলো প্রক্রিয়াটা বেগবান করার চেষ্টা করবেন। এটা আমাদের ঐক্যের দলিল, রাজনৈতিক দলিল, আইনি দলিল নয়।’
সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম, উপপ্রেস সচিব আবুল কালাম আজাদ মজুমদার।

অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের ক্ষমতা দীর্ঘায়িত করার বিন্দুমাত্র ইচ্ছে নেই বলে জানিয়েছেন আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল। তিনি বলেছেন, ‘আপনাদের মাধ্যমে আমি নিশ্চিত করে বলতে চাই, আমাদের এই সরকারের অযথা সময়ক্ষেপণ করার, সরকারে থাকার বিন্দুমাত্র ইচ্ছে নাই। আমরা অবাধ সুষ্ঠু নির্বাচন নিশ্চিত করার জন্য, রাষ্ট্র মেরামতের ফান্ডামেন্টাল (মৌলিক) শর্ত পূরণ করার জন্য, রাজনৈতিক ঐকমত্যের ভিত্তিতে যে সংস্কারগুলো অতি জরুরি, সেগুলো করার সঙ্গে নির্বাচন প্রক্রিয়ার মাধ্যমে আমরা চলে যেতে চাই। এটা নিয়ে কোনো রকম দ্বিধাদ্বন্দ্বের অবকাশ নাই।’
আজ শনিবার রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন তিনি। পাঁচ সংস্কার কমিশনের আশু করণীয় সুপারিশ তুলে ধরেন আসিফ নজরুল। তবে সংবাদ সংস্কার কমিশন কোনো আশু করণীয় সুপারিশ করেননি। তিনি বলেন, তাদের সুপারিশের বিষয়ে রাজনৈতিক ঐকমত্য প্রয়োজন থাকায় সংবিধান সংস্কার কমিশন কোনো আশু করণীয়ের সুপারিশ করেননি।
সংস্কার কমিশনগুলোর সুপারিশ বাস্তবায়ন বিষয়ে আসিফ নজরুল বলেন, ‘সব রাজনৈতিক দলেরই সংস্কার ভাবনা আছে। কাজেই আমরা মনে করি ওনাদের মধ্যে যদি এই সংশয়টা দূর হয়, যে এই সংস্কারগুলো করা হচ্ছে আমাদের ক্ষমতায় থাকা দীর্ঘায়িত করার জন্য না। তাহলে বহু কিছুই বাস্তবায়িত হবে। দ্রুত নির্বাচন চাওয়ার অধিকার রাজনৈতিক দলগুলোর রয়েছে বলেও জানান আসিফ নজরুল।’
আশু করণীয়, মধ্যম মেয়াদি এবং দীর্ঘমেয়াদি তিন ধরনের সুপারিশ করেছে সংস্কার কমিশনগুলো। আশু করণীয় সুপারিশগুলোর মধ্যে অন্তত ৫০ শতাংশ এক মাসের মধ্যে বাস্তবায়ন করা সম্ভব বলে জানান আইন উপদেষ্টা।
এক প্রশ্নের জবাবে আইন উপদেষ্টা বলেন, ‘আমরা রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে ফেব্রুয়ারির মাঝামাঝি আলোচনা শুরু করতে চাই। ওনারা চাইলে আমরা এই আলোচনা রোজার মধ্যেও করতে চাই।’
আওয়ামী লীগের বিভিন্ন কর্মসূচি ঘোষণা বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘সরকারের সহনশীলতা, অবাধ মতপ্রকাশের পরিবেশ এবং গণতান্ত্রিক চর্চার ক্ষেত্রে সরকারের অসীম শ্রদ্ধাবোধের কারণে এগুলো হচ্ছে।’
তিনি বলেন, আশু করণীয় কিছু সুপারিশ রাজনৈতিক দলের সঙ্গে আলোচনা করতে হবে। আর কিছু সুপারিশ মামুলি যা প্রশাসনিক আদেশের মাধ্যমে করা যাবে। এর মধ্যে উচ্চ আদালতের বিচারক নিয়োগ আইন। ফেব্রুয়ারির মাঝামাঝি থেকে সংস্কারের বিষয়ে রাজনৈতিক দলের সঙ্গে সংলাপ অনুষ্ঠিত হবে বলেও জানান তিনি। আসিফ নজরুল বলেন, রাজনৈতিক ঐকমত্যের বিষয়ে সরকার দৃঢ়প্রতিজ্ঞ। যত তাড়াতাড়ি সম্ভব মতৈক্য পৌঁছানোর চেষ্টা করা হবে।
সংস্কার কমিশনের অনেক প্রস্তাব বাস্তবায়নে আইন সংশোধন প্রয়োজন বলে জানান আসিফ নজরুল। তিনি বলেন, ‘আইন করতে হলে অনেক ক্ষেত্রে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে মতৈক্য করতে হবে। কিছু ক্ষেত্রে না-ও হতে পারে। যেমন—উচ্চ আদালতের বিচারক নিয়োগ আইনের কোনো রাজনৈতিক দল বিরোধিতা করেনি। তবে আমরা রাজনৈতিক দলগুলোর আইনজীবীদের সঙ্গে আলোচনা করেছি।’
দীর্ঘমেয়াদি সুপারিশ নির্বাচিত সরকার বলে জানিয়েছেন আসিফ নজরুল। তিনি বলেন, ‘আশু করণীয় বিষয়ে আমরা আশা করছি, রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে ঐক্য সাপেক্ষে নির্বাচনের আগেই করা হবে। মধ্যম মেয়াদির বিষয়টি নির্ভর করবে রাজনৈতিক দলগুলোর ঐকমত্যের বিষয়ে।’
সংস্কারের বিষয়ে সর্বোচ্চ পর্যায়ে ঐকমত্য তৈরির প্রচেষ্টা করা হবে বলে জানিয়েছেন আসিফ নজরুল। তিনি বলেন, ‘রাজনৈতিক দলগুলো অনেক সংস্কার নিজেরাও করেছেন। গত ৫৫ বছরে তারা অনেক ভালো ভালো কাজ করেছেন, কিন্তু সমালোচনার সময় তা আমরা ভুলে যাই।’
রাষ্ট্রপতি শাসিত সরকার থেকে সংসদীয় সরকার, ভ্যাট প্রচলন, ই-প্রযুক্তিসহ অনেক কাজ করেছে বলেও জানান তিনি। আসিফ নজরুল বলেন, সংস্কার প্রস্তাবের মূল সুর হচ্ছে তিন দলীয় জোটের রূপরেখার মধ্যেও ছিল।
জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের ঘোষণাপত্রের বিষয়ে তিনি বলেন, ‘আশা করব জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের পক্ষগুলো প্রক্রিয়াটা বেগবান করার চেষ্টা করবেন। এটা আমাদের ঐক্যের দলিল, রাজনৈতিক দলিল, আইনি দলিল নয়।’
সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম, উপপ্রেস সচিব আবুল কালাম আজাদ মজুমদার।

দেশের জনগণ যেমন চায়, সেনাবাহিনীও চায় সরকার ঘোষিত রূপরেখা অনুযায়ী অবাধ, সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন অনুষ্ঠিত হোক। রূপরেখায় নির্ধারিত সময়সীমাও রয়েছে। নির্বাচন হলে দেশের স্থিতিশীলতা আরও ভালো হবে এবং আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি ধীরে ধীরে স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরবে বলে আশা করে সেনাবাহিনী।
৩ মিনিট আগে
রাজধানীর উত্তরায় মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজে যুদ্ধবিমান বিধ্বস্তের ঘটনার তদন্ত প্রতিবেদন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের কাছে জমা দেওয়া হয়েছে। প্রতিবেদনে উঠে এসেছে, পাইলটের উড্ডয়নে ত্রুটির কারণে বিমানটি বিধ্বস্ত হয়। তিনি বিমানটি উড্ডয়নের পর নিয়ন্ত্রণ করতে ব্যর্থ হন।
২০ মিনিট আগে
হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অগ্নিকাণ্ডের পর ভল্ট ভেঙে অস্ত্র লুটসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে সংঘটিত কয়েকটি ঘটনায় পুলিশের অস্ত্র ও গুলি খোয়া যাওয়ার পর পুলিশ সদর দপ্তর থেকে এই পদক্ষেপ নেওয়া হলো।
২ ঘণ্টা আগে
জুলাই জাতীয় সনদ বাস্তবায়ন আদেশ নিয়ে নিজেদের অনৈক্য-বিভেদ দূর করে সমঝোতার জন্য রাজনৈতিক দলগুলোকে এক সপ্তাহ সময় বেঁধে দিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার। এর মধ্যে আজ বুধবার কেটে যাচ্ছে দুই দিন। কিন্তু এ সংকট নিরসনে দলগুলোর মধ্যে কোনো হেলদোল আছে বলে মনে হচ্ছে না।
১২ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

দেশের জনগণ যেমন চায়, চায় সরকার ঘোষিত রূপরেখা অনুযায়ী অবাধ, সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন অনুষ্ঠিত হোক। রূপরেখায় নির্ধারিত সময়সীমাও রয়েছে। নির্বাচন হলে দেশের স্থিতিশীলতা আরও ভালো হবে এবং আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি ধীরে ধীরে স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরবে বলে আশা করে সেনাবাহিনী। পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে সেনাবাহিনীও ব্যারাকে ফিরে যেতে পারবে।
আজ বুধবার দুপুরে সেনাসদরে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে সেনা সদরের ট্রেনিং অ্যান্ড ডকট্রিন কমান্ডের লেফটেন্যান্ট জেনারেল মো. মাইনুল রহমান এসব কথা বলেন।
লেফটেন্যান্ট জেনারেল মাইনুল রহমান বলেন, ‘সরকার যে রূপরেখা ঘোষণা করেছে, সেটির ভিত্তিতেই সেনাবাহিনী প্রস্তুতি নিচ্ছে। প্রশিক্ষণ কার্যক্রম এখন সীমিত পরিসরে হলেও নির্বাচনের সময়ে সেনাবাহিনীর করণীয়কে কেন্দ্র করেই এর পরিকল্পনা করা হচ্ছে।’ তিনি বলেন, ‘শান্তিকালীন পরিস্থিতিতে সেনাবাহিনীর দায়িত্ব হলো যুদ্ধের জন্য প্রস্তুতি নেওয়া। কিন্তু গত ১৫ মাস ধরে সেনাবাহিনী মাঠে দায়িত্ব পালন করছে। প্রয়োজনে নির্বাচন ও নির্বাচনের পরবর্তী কিছু সময়েও এই দায়িত্ব অব্যাহত রাখতে হতে পারে। ফলে সেনাবাহিনীর মূল প্রশিক্ষণ কার্যক্রমে বিঘ্ন ঘটছে।’
সেনাবাহিনীর এই কর্মকর্তা আরও বলেন, ‘যে পরিস্থিতির মধ্যে দিয়ে আমরা গত ১৫ মাস দায়িত্ব পালন করেছি, তা একেবারেই সহজ ছিল না। বাংলাদেশ এ ধরনের পরিস্থিতির মুখোমুখি প্রতিদিন হয় না। তাই আমরাও চাই, একটি সুষ্ঠু নির্বাচন হোক এবং আমরা সেনানিবাসে ফিরে যাই।’
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সেনাবাহিনীকে ঘিরে প্রচারিত বিভিন্ন গুজব প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘গত ১৫ মাস সেনাবাহিনী অত্যন্ত চ্যালেঞ্জিং পরিস্থিতিতে দায়িত্ব পালন করেছে। এ সময় কিছু স্বার্থান্বেষী চক্র সেনাবাহিনীর নেতৃত্বকে প্রশ্নবিদ্ধ করার উদ্দেশ্যে মিথ্যা ও সাজানো অপপ্রচার চালিয়েছে।’ তিনি স্পষ্টভাবে বলেন, ‘আমি আপনাদের নিশ্চিত করতে চাই, সেনাবাহিনীর প্রতিটি সদস্য সেনাবাহিনীর প্রধান ও সিনিয়র লিডারশিপের প্রতি শতভাগ অনুগত। যেকোনো সময়ের তুলনায় এখন সেনাবাহিনী আরও ঐক্যবদ্ধ, সুশৃঙ্খল এবং ভ্রাতৃত্ববোধে দৃঢ়।’
লেফটেন্যান্ট জেনারেল মাইনুল রহমান বলেন, ‘সেনাবাহিনী দেশের জনগণের সেনাবাহিনী; তাই জনগণের স্থিতিশীলতা ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য প্রয়োজনীয় দায়িত্ব সেনাবাহিনী পালন করে যাবে।’
দুদিন আগে আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনের জন্য দলীয় প্রার্থীদের মনোনয়ন ঘোষণা করা হয়েছে। এর পরপরই কিছু এলাকায় উত্তেজনা ও সংঘাতের ঘটনা ঘটেছে। সংবাদ সম্মেলনের শুরুতে সেনাবাহিনীর মিলিটারি অপারেশনস অধিদপ্তরের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল দেওয়ান মোহাম্মদ মনজুর হোসেনকে সাংবাদিকেরা এ বিষয়ে প্রশ্ন করেন। জবাবে তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশ সেনাবাহিনী আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে অন্য সব আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে সহযোগিতা করছে, ভবিষ্যতেও করবে।’
নির্বাচনকালীন সরকার কিংবা নির্বাচন পেছানোর গুঞ্জনের বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মনজুর হোসেন বলেন, ‘বাংলাদেশ সেনাবাহিনী একটি অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য সরকারের ঘোষিত নির্দেশনা অনুযায়ী এবং নির্বাচন কমিশন যে পরিপত্র দেবে তার আলোকে সর্বাত্মক সহযোগিতা করবে।’
আসন্ন জাতীয় নির্বাচনে সেনাবাহিনীর ভূমিকা কী হবে সে প্রশ্নে তিনি বলেন, ‘প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে তিন বাহিনীর প্রধান সাক্ষাৎ করেছেন। আলোচনার বিষয়বস্তু ইতিমধ্যে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয় থেকে সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে। একটি সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের পূর্বশর্ত হলো স্থিতিশীল আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি। আইনশৃঙ্খলা যাতে স্বাভাবিক থাকে, সেই লক্ষ্যে আমরা কাজ করতে বদ্ধপরিকর।’
তিনি আরও বলেন, ‘নির্বাচনের সময় ৯০ হাজার থেকে ১ লাখ সেনাসদস্য মাঠে মোতায়েন থাকবে—যা এযাবৎ সর্বোচ্চ। আমাদের পরিকল্পনায় রয়েছে জেলা, উপজেলা এমনকি আসন ভিত্তিক ক্যাম্প স্থাপন করে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখা। নির্বাচন কমিশনকে সহযোগিতা করার জন্য যা যা প্রয়োজন, বাংলাদেশ সেনাবাহিনী তা করতে প্রস্তুত।’

দেশের জনগণ যেমন চায়, চায় সরকার ঘোষিত রূপরেখা অনুযায়ী অবাধ, সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন অনুষ্ঠিত হোক। রূপরেখায় নির্ধারিত সময়সীমাও রয়েছে। নির্বাচন হলে দেশের স্থিতিশীলতা আরও ভালো হবে এবং আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি ধীরে ধীরে স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরবে বলে আশা করে সেনাবাহিনী। পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে সেনাবাহিনীও ব্যারাকে ফিরে যেতে পারবে।
আজ বুধবার দুপুরে সেনাসদরে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে সেনা সদরের ট্রেনিং অ্যান্ড ডকট্রিন কমান্ডের লেফটেন্যান্ট জেনারেল মো. মাইনুল রহমান এসব কথা বলেন।
লেফটেন্যান্ট জেনারেল মাইনুল রহমান বলেন, ‘সরকার যে রূপরেখা ঘোষণা করেছে, সেটির ভিত্তিতেই সেনাবাহিনী প্রস্তুতি নিচ্ছে। প্রশিক্ষণ কার্যক্রম এখন সীমিত পরিসরে হলেও নির্বাচনের সময়ে সেনাবাহিনীর করণীয়কে কেন্দ্র করেই এর পরিকল্পনা করা হচ্ছে।’ তিনি বলেন, ‘শান্তিকালীন পরিস্থিতিতে সেনাবাহিনীর দায়িত্ব হলো যুদ্ধের জন্য প্রস্তুতি নেওয়া। কিন্তু গত ১৫ মাস ধরে সেনাবাহিনী মাঠে দায়িত্ব পালন করছে। প্রয়োজনে নির্বাচন ও নির্বাচনের পরবর্তী কিছু সময়েও এই দায়িত্ব অব্যাহত রাখতে হতে পারে। ফলে সেনাবাহিনীর মূল প্রশিক্ষণ কার্যক্রমে বিঘ্ন ঘটছে।’
সেনাবাহিনীর এই কর্মকর্তা আরও বলেন, ‘যে পরিস্থিতির মধ্যে দিয়ে আমরা গত ১৫ মাস দায়িত্ব পালন করেছি, তা একেবারেই সহজ ছিল না। বাংলাদেশ এ ধরনের পরিস্থিতির মুখোমুখি প্রতিদিন হয় না। তাই আমরাও চাই, একটি সুষ্ঠু নির্বাচন হোক এবং আমরা সেনানিবাসে ফিরে যাই।’
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সেনাবাহিনীকে ঘিরে প্রচারিত বিভিন্ন গুজব প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘গত ১৫ মাস সেনাবাহিনী অত্যন্ত চ্যালেঞ্জিং পরিস্থিতিতে দায়িত্ব পালন করেছে। এ সময় কিছু স্বার্থান্বেষী চক্র সেনাবাহিনীর নেতৃত্বকে প্রশ্নবিদ্ধ করার উদ্দেশ্যে মিথ্যা ও সাজানো অপপ্রচার চালিয়েছে।’ তিনি স্পষ্টভাবে বলেন, ‘আমি আপনাদের নিশ্চিত করতে চাই, সেনাবাহিনীর প্রতিটি সদস্য সেনাবাহিনীর প্রধান ও সিনিয়র লিডারশিপের প্রতি শতভাগ অনুগত। যেকোনো সময়ের তুলনায় এখন সেনাবাহিনী আরও ঐক্যবদ্ধ, সুশৃঙ্খল এবং ভ্রাতৃত্ববোধে দৃঢ়।’
লেফটেন্যান্ট জেনারেল মাইনুল রহমান বলেন, ‘সেনাবাহিনী দেশের জনগণের সেনাবাহিনী; তাই জনগণের স্থিতিশীলতা ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য প্রয়োজনীয় দায়িত্ব সেনাবাহিনী পালন করে যাবে।’
দুদিন আগে আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনের জন্য দলীয় প্রার্থীদের মনোনয়ন ঘোষণা করা হয়েছে। এর পরপরই কিছু এলাকায় উত্তেজনা ও সংঘাতের ঘটনা ঘটেছে। সংবাদ সম্মেলনের শুরুতে সেনাবাহিনীর মিলিটারি অপারেশনস অধিদপ্তরের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল দেওয়ান মোহাম্মদ মনজুর হোসেনকে সাংবাদিকেরা এ বিষয়ে প্রশ্ন করেন। জবাবে তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশ সেনাবাহিনী আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে অন্য সব আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে সহযোগিতা করছে, ভবিষ্যতেও করবে।’
নির্বাচনকালীন সরকার কিংবা নির্বাচন পেছানোর গুঞ্জনের বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মনজুর হোসেন বলেন, ‘বাংলাদেশ সেনাবাহিনী একটি অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য সরকারের ঘোষিত নির্দেশনা অনুযায়ী এবং নির্বাচন কমিশন যে পরিপত্র দেবে তার আলোকে সর্বাত্মক সহযোগিতা করবে।’
আসন্ন জাতীয় নির্বাচনে সেনাবাহিনীর ভূমিকা কী হবে সে প্রশ্নে তিনি বলেন, ‘প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে তিন বাহিনীর প্রধান সাক্ষাৎ করেছেন। আলোচনার বিষয়বস্তু ইতিমধ্যে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয় থেকে সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে। একটি সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের পূর্বশর্ত হলো স্থিতিশীল আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি। আইনশৃঙ্খলা যাতে স্বাভাবিক থাকে, সেই লক্ষ্যে আমরা কাজ করতে বদ্ধপরিকর।’
তিনি আরও বলেন, ‘নির্বাচনের সময় ৯০ হাজার থেকে ১ লাখ সেনাসদস্য মাঠে মোতায়েন থাকবে—যা এযাবৎ সর্বোচ্চ। আমাদের পরিকল্পনায় রয়েছে জেলা, উপজেলা এমনকি আসন ভিত্তিক ক্যাম্প স্থাপন করে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখা। নির্বাচন কমিশনকে সহযোগিতা করার জন্য যা যা প্রয়োজন, বাংলাদেশ সেনাবাহিনী তা করতে প্রস্তুত।’

অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের ক্ষমতা দীর্ঘায়িত করার বিন্দুমাত্র ইচ্ছে নেই বলে জানিয়েছেন আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল। তিনি বলেছেন, ‘আপনাদের মাধ্যমে আমি নিশ্চিত করে বলতে চাই, আমাদের এই সরকারের অযথা সময়ক্ষেপণ করার...
০৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৫
রাজধানীর উত্তরায় মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজে যুদ্ধবিমান বিধ্বস্তের ঘটনার তদন্ত প্রতিবেদন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের কাছে জমা দেওয়া হয়েছে। প্রতিবেদনে উঠে এসেছে, পাইলটের উড্ডয়নে ত্রুটির কারণে বিমানটি বিধ্বস্ত হয়। তিনি বিমানটি উড্ডয়নের পর নিয়ন্ত্রণ করতে ব্যর্থ হন।
২০ মিনিট আগে
হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অগ্নিকাণ্ডের পর ভল্ট ভেঙে অস্ত্র লুটসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে সংঘটিত কয়েকটি ঘটনায় পুলিশের অস্ত্র ও গুলি খোয়া যাওয়ার পর পুলিশ সদর দপ্তর থেকে এই পদক্ষেপ নেওয়া হলো।
২ ঘণ্টা আগে
জুলাই জাতীয় সনদ বাস্তবায়ন আদেশ নিয়ে নিজেদের অনৈক্য-বিভেদ দূর করে সমঝোতার জন্য রাজনৈতিক দলগুলোকে এক সপ্তাহ সময় বেঁধে দিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার। এর মধ্যে আজ বুধবার কেটে যাচ্ছে দুই দিন। কিন্তু এ সংকট নিরসনে দলগুলোর মধ্যে কোনো হেলদোল আছে বলে মনে হচ্ছে না।
১২ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

রাজধানীর উত্তরায় মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজে যুদ্ধবিমান বিধ্বস্তের ঘটনার তদন্ত প্রতিবেদন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের কাছে জমা দেওয়া হয়েছে। প্রতিবেদনে উঠে এসেছে, পাইলটের উড্ডয়নে ত্রুটির কারণে বিমানটি বিধ্বস্ত হয়। তিনি বিমানটি উড্ডয়নের পর নিয়ন্ত্রণ করতে ব্যর্থ হন।
আজ বুধবার (৫ নভেম্বর) প্রধান উপদেষ্টার কাছে এই তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেওয়া হয়। পরে রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম এক সংবাদ ব্রিফিংয়ে এ কথা জানান।
শফিকুল আলম জানান, জননিরাপত্তার বিষয়টি বিবেচনা করে ঢাকার বাইরে বিমানবাহিনীর প্রশিক্ষণ পরিচালনা করার সুপারিশ করাসহ ৩৩টি রিকমেন্ডেশন দিয়েছে তদন্ত কমিটি।
উল্লেখ্য, গত ২১ জুলাই দুপুরে মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজ ক্যাম্পাসের হায়দার আলী ভবনে বাংলাদেশ বিমানবাহিনীর যুদ্ধবিমান বিধ্বস্ত হয়। এ ঘটনায় বিমানের পাইলট ফ্লাইট লেফটেন্যান্ট মো. তৌকির ইসলাম ও স্কুলটির শিক্ষক, শিক্ষার্থী, আয়াসহ ৩৬ জন নিহত হয়েছেন। আহত হয় শতাধিক মানুষ।

রাজধানীর উত্তরায় মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজে যুদ্ধবিমান বিধ্বস্তের ঘটনার তদন্ত প্রতিবেদন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের কাছে জমা দেওয়া হয়েছে। প্রতিবেদনে উঠে এসেছে, পাইলটের উড্ডয়নে ত্রুটির কারণে বিমানটি বিধ্বস্ত হয়। তিনি বিমানটি উড্ডয়নের পর নিয়ন্ত্রণ করতে ব্যর্থ হন।
আজ বুধবার (৫ নভেম্বর) প্রধান উপদেষ্টার কাছে এই তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেওয়া হয়। পরে রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম এক সংবাদ ব্রিফিংয়ে এ কথা জানান।
শফিকুল আলম জানান, জননিরাপত্তার বিষয়টি বিবেচনা করে ঢাকার বাইরে বিমানবাহিনীর প্রশিক্ষণ পরিচালনা করার সুপারিশ করাসহ ৩৩টি রিকমেন্ডেশন দিয়েছে তদন্ত কমিটি।
উল্লেখ্য, গত ২১ জুলাই দুপুরে মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজ ক্যাম্পাসের হায়দার আলী ভবনে বাংলাদেশ বিমানবাহিনীর যুদ্ধবিমান বিধ্বস্ত হয়। এ ঘটনায় বিমানের পাইলট ফ্লাইট লেফটেন্যান্ট মো. তৌকির ইসলাম ও স্কুলটির শিক্ষক, শিক্ষার্থী, আয়াসহ ৩৬ জন নিহত হয়েছেন। আহত হয় শতাধিক মানুষ।

অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের ক্ষমতা দীর্ঘায়িত করার বিন্দুমাত্র ইচ্ছে নেই বলে জানিয়েছেন আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল। তিনি বলেছেন, ‘আপনাদের মাধ্যমে আমি নিশ্চিত করে বলতে চাই, আমাদের এই সরকারের অযথা সময়ক্ষেপণ করার...
০৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৫
দেশের জনগণ যেমন চায়, সেনাবাহিনীও চায় সরকার ঘোষিত রূপরেখা অনুযায়ী অবাধ, সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন অনুষ্ঠিত হোক। রূপরেখায় নির্ধারিত সময়সীমাও রয়েছে। নির্বাচন হলে দেশের স্থিতিশীলতা আরও ভালো হবে এবং আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি ধীরে ধীরে স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরবে বলে আশা করে সেনাবাহিনী।
৩ মিনিট আগে
হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অগ্নিকাণ্ডের পর ভল্ট ভেঙে অস্ত্র লুটসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে সংঘটিত কয়েকটি ঘটনায় পুলিশের অস্ত্র ও গুলি খোয়া যাওয়ার পর পুলিশ সদর দপ্তর থেকে এই পদক্ষেপ নেওয়া হলো।
২ ঘণ্টা আগে
জুলাই জাতীয় সনদ বাস্তবায়ন আদেশ নিয়ে নিজেদের অনৈক্য-বিভেদ দূর করে সমঝোতার জন্য রাজনৈতিক দলগুলোকে এক সপ্তাহ সময় বেঁধে দিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার। এর মধ্যে আজ বুধবার কেটে যাচ্ছে দুই দিন। কিন্তু এ সংকট নিরসনে দলগুলোর মধ্যে কোনো হেলদোল আছে বলে মনে হচ্ছে না।
১২ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

পুলিশের খোয়া যাওয়া অস্ত্র ও গোলাবারুদ উদ্ধারে নগদ অর্থ পুরস্কারের ঘোষণা দিয়েছে পুলিশ সদর দপ্তর। উদ্ধার করা অস্ত্রের ধরন অনুযায়ী নির্দিষ্ট পরিমাণ অর্থ দেওয়া হবে।
আজ বুধবার পুলিশ সদর দপ্তর থেকে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, এলএমজি (লাইট মেশিনগান) উদ্ধার করলে পুরস্কার হিসেবে দেওয়া হবে ৫ লাখ টাকা, এসএমজি (সাব মেশিনগান) উদ্ধারে দেড় লাখ টাকা, চায়না রাইফেল উদ্ধারে ১ লাখ টাকা এবং পিস্তল বা শটগান উদ্ধারে পুরস্কার নির্ধারণ করা হয়েছে ৫০ হাজার টাকা। এ ছাড়া উদ্ধার করা প্রতিটি গুলির জন্য পুরস্কার দেওয়া হবে ৫০০ টাকা করে।
এর আগে পুলিশ সদর দপ্তর জানায়, এসব অস্ত্র ও গোলাবারুদ উদ্ধারে যাঁরা পুলিশকে তথ্য দেবেন, তাঁদের পরিচয় ও তথ্য গোপন রাখা হবে এবং যথাযথ যাচাইয়ের পর পুরস্কার দেওয়া হবে।
সম্প্রতি হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অগ্নিকাণ্ডের পর ভল্ট ভেঙে অস্ত্র লুটসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে সংঘটিত কয়েকটি ঘটনায় পুলিশের অস্ত্র ও গুলি খোয়া যাওয়ার পর পুলিশ সদর দপ্তর থেকে এই পদক্ষেপ নেওয়া হলো।
পুলিশ কর্মকর্তারা বলছেন, পুরস্কার ঘোষণার লক্ষ্য হলো দ্রুত এসব অস্ত্র উদ্ধার এবং অস্ত্রের অপব্যবহার ঠেকানো।

পুলিশের খোয়া যাওয়া অস্ত্র ও গোলাবারুদ উদ্ধারে নগদ অর্থ পুরস্কারের ঘোষণা দিয়েছে পুলিশ সদর দপ্তর। উদ্ধার করা অস্ত্রের ধরন অনুযায়ী নির্দিষ্ট পরিমাণ অর্থ দেওয়া হবে।
আজ বুধবার পুলিশ সদর দপ্তর থেকে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, এলএমজি (লাইট মেশিনগান) উদ্ধার করলে পুরস্কার হিসেবে দেওয়া হবে ৫ লাখ টাকা, এসএমজি (সাব মেশিনগান) উদ্ধারে দেড় লাখ টাকা, চায়না রাইফেল উদ্ধারে ১ লাখ টাকা এবং পিস্তল বা শটগান উদ্ধারে পুরস্কার নির্ধারণ করা হয়েছে ৫০ হাজার টাকা। এ ছাড়া উদ্ধার করা প্রতিটি গুলির জন্য পুরস্কার দেওয়া হবে ৫০০ টাকা করে।
এর আগে পুলিশ সদর দপ্তর জানায়, এসব অস্ত্র ও গোলাবারুদ উদ্ধারে যাঁরা পুলিশকে তথ্য দেবেন, তাঁদের পরিচয় ও তথ্য গোপন রাখা হবে এবং যথাযথ যাচাইয়ের পর পুরস্কার দেওয়া হবে।
সম্প্রতি হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অগ্নিকাণ্ডের পর ভল্ট ভেঙে অস্ত্র লুটসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে সংঘটিত কয়েকটি ঘটনায় পুলিশের অস্ত্র ও গুলি খোয়া যাওয়ার পর পুলিশ সদর দপ্তর থেকে এই পদক্ষেপ নেওয়া হলো।
পুলিশ কর্মকর্তারা বলছেন, পুরস্কার ঘোষণার লক্ষ্য হলো দ্রুত এসব অস্ত্র উদ্ধার এবং অস্ত্রের অপব্যবহার ঠেকানো।

অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের ক্ষমতা দীর্ঘায়িত করার বিন্দুমাত্র ইচ্ছে নেই বলে জানিয়েছেন আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল। তিনি বলেছেন, ‘আপনাদের মাধ্যমে আমি নিশ্চিত করে বলতে চাই, আমাদের এই সরকারের অযথা সময়ক্ষেপণ করার...
০৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৫
দেশের জনগণ যেমন চায়, সেনাবাহিনীও চায় সরকার ঘোষিত রূপরেখা অনুযায়ী অবাধ, সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন অনুষ্ঠিত হোক। রূপরেখায় নির্ধারিত সময়সীমাও রয়েছে। নির্বাচন হলে দেশের স্থিতিশীলতা আরও ভালো হবে এবং আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি ধীরে ধীরে স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরবে বলে আশা করে সেনাবাহিনী।
৩ মিনিট আগে
রাজধানীর উত্তরায় মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজে যুদ্ধবিমান বিধ্বস্তের ঘটনার তদন্ত প্রতিবেদন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের কাছে জমা দেওয়া হয়েছে। প্রতিবেদনে উঠে এসেছে, পাইলটের উড্ডয়নে ত্রুটির কারণে বিমানটি বিধ্বস্ত হয়। তিনি বিমানটি উড্ডয়নের পর নিয়ন্ত্রণ করতে ব্যর্থ হন।
২০ মিনিট আগে
জুলাই জাতীয় সনদ বাস্তবায়ন আদেশ নিয়ে নিজেদের অনৈক্য-বিভেদ দূর করে সমঝোতার জন্য রাজনৈতিক দলগুলোকে এক সপ্তাহ সময় বেঁধে দিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার। এর মধ্যে আজ বুধবার কেটে যাচ্ছে দুই দিন। কিন্তু এ সংকট নিরসনে দলগুলোর মধ্যে কোনো হেলদোল আছে বলে মনে হচ্ছে না।
১২ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

জুলাই জাতীয় সনদ বাস্তবায়ন আদেশ নিয়ে নিজেদের অনৈক্য-বিভেদ দূর করে সমঝোতার জন্য রাজনৈতিক দলগুলোকে এক সপ্তাহ সময় বেঁধে দিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার। এর মধ্যে আজ বুধবার কেটে যাচ্ছে দুই দিন। কিন্তু এ সংকট নিরসনে দলগুলোর মধ্যে কোনো হেলদোল আছে বলে মনে হচ্ছে না।
দলগুলোর পক্ষ থেকে গতকাল মঙ্গলবার পর্যন্ত আলোচনার কোনো উদ্যোগ নেওয়া হয়নি। সরকারের অনুরোধের এক দিন আগে জামায়াতে ইসলামীর পক্ষ থেকে অন্য দলগুলোর প্রতি আলোচনার আহ্বান জানানো হয়েছিল মুখে মুখে। কিন্তু এ আহ্বান বাস্তবায়নে গতকাল পর্যন্ত কার্যত কোনো উদ্যোগ নেয়নি দলটি।
জামায়াত তবু আহ্বান জানিয়েছে। বিএনপি নিজের দিক থেকে কোনো কথা বলেনি, উদ্যোগও নেয়নি। বরং সরকারের আহ্বানে দলটি সাড়া দিতে চাইছে না বলে দলটির সূত্র জানিয়েছে। আর সংকট সমাধানে সরকারকে উদ্যোগ নিতে হবে বলে মনে করে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) ও গণতন্ত্র মঞ্চ।
জুলাই জাতীয় সনদ বাস্তবায়ন আদেশ নিয়ে সংকট কাটাতে গত সোমবার জরুরি বৈঠকে বসে উপদেষ্টা পরিষদ। সেই বৈঠকেই সিদ্ধান্ত হয়, এ নিয়ে সরকারের দিক থেকে আর কোনো উদ্যোগ নেওয়া হবে না। এখন রাজনৈতিক দলগুলো নিজেদের মধ্যে আলাপ-আলোচনা করে সমঝোতায় আসুক। এ জন্য দলগুলোকে এক সপ্তাহ সময় দেওয়া হয়। এর মধ্যে দলগুলো ঐক্যবদ্ধ সিদ্ধান্ত দিতে না পারলে সরকার নিজেদের মতো করে সিদ্ধান্ত দেবে।
জুলাই সনদ ইস্যুতে গত মার্চ থেকে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন আলোচনা করছে। সেখানে অনেক ইস্যুতে একমত হলেও গুরুত্বপূর্ণ কিছু বিষয়ে বিএনপিসহ বেশ কিছু দলের আপত্তি ছিল। ৩১ আগস্ট শেষ হওয়া দ্বিতীয় ধাপের সংলাপে সিদ্ধান্ত হয়েছিল, নির্বাচনে বিজয়ী হলে আপত্তি অনুযায়ী ব্যবস্থা নিতে পারবে দলগুলো। তবে সে সময় গণভোট নিয়ে আলোচনা হয়নি। বাস্তবায়ন প্রশ্নে তৃতীয় ধাপে পাঁচ দিন সংলাপ করে দলগুলো। সেখানে গণভোটের বিষয়ে একমত হয় তারা। তবে বাস্তবায়নের প্রক্রিয়া নিয়ে দলগুলো সর্বসম্মত সিদ্ধান্ত নিতে পারেনি।
গত ৮ অক্টোবর অনুষ্ঠিত সর্বশেষ সংলাপে জানানো হয়, দলগুলোর মত ও বিশেষজ্ঞদের মতামতের ভিত্তিতে সরকারের কাছে কমিশন বাস্তবায়নের উপায় জমা দেবে; যেখানে বিশেষজ্ঞরা গণভোটে আপত্তি না রাখার বিষয়ে মত দেন। তাঁদের যুক্তি ছিল, জনগণ সর্বময় ক্ষমতার অধিকারী, সেখানে আপত্তির বিধান রাখা যুক্তিযুক্ত না। ২৭ অক্টোবর সরকারের কাছে সুপারিশ জমা দেয় কমিশন। এরপর শুরু হয় নতুন বিতর্ক। ছয় মাসে যেখানে দলগুলো একমত হতে পারেনি, সেখানে এক সপ্তাহে দলগুলো আলোচনা করে ঐক্যবদ্ধ হবে, তা নিয়েও সন্দেহ প্রকাশ করেছেন অনেকে।
আলোচনার উদ্যোগ নেবে না বিএনপি
আলোচনা করে সমঝোতায় আসতে সরকারের অনুরোধে বিএনপি কোনো উদ্যোগ নেবে না বলে দলটির একাধিক সূত্র গতকাল জানিয়েছে। দলটির স্থায়ী কমিটির এক সদস্য বলছেন, বাস্তবায়ন আদেশে তাদের ওপর অনেক কিছু চাপিয়ে দেওয়ার চেষ্টা হচ্ছে। এখন আলোচনার নামে দায়ভার চাপানোর চেষ্টা করা হচ্ছে।
সরকারের এমন অনুরোধে তাদের দল সাড়া দেবে না। এ জন্য আলোচনায় বসার জন্য কোনো দলকে ডাকবে না বিএনপি। কেউ আলোচনার জন্য দাওয়াত দিলে বিবেচনা করা হবে কি না, দলীয় ফোরামে আলোচনা করে সে বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘সরকার রাজনৈতিক দলগুলোকে একসঙ্গে বসার বিষয়ে যে অনুরোধ করেছে, এ ব্যাপারে আমরা কোনো আলোচনা করতে পারিনি। সোমবার দলের প্রার্থী মনোনয়ন এবং প্রেস ব্রিফিং নিয়ে ব্যস্ত থাকায় আলোচনার সুযোগ হয়নি। আলোচনা করে তারপর জানানো হবে।’
আহ্বান জানিয়েছে জামায়াত
জুলাই জাতীয় সনদ বাস্তবায়নে অন্তর্বর্তী সরকারের আহ্বানে সাড়া দিয়ে অন্য রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনায় বসতে প্রস্তুত জামায়াতে ইসলামী। যদিও সরকারের আহ্বানের আগেই আলোচনার জন্য অন্য দলগুলোর প্রতি আহ্বান জানিয়েছে তারা। তবে দলটির অনুরোধে গতকাল পর্যন্ত কোনো দল সাড়া দেয়নি বলে জানা গেছে।
জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল হামিদুর রহমান আযাদ গতকাল বলেন, ‘সরকার রাজনৈতিক দলগুলোকে অনুরোধ জানিয়েছে একসঙ্গে বসার। সরকারের আগেই আমরা আহ্বান করেছি। এখনো কারও সাড়া পাইনি আমরা, হয়তো সামনে পাব।’
এর আগে গত রোববার রাজধানীতে সংবাদ সম্মেলনে জামায়াতের নায়েবে আমির সৈয়দ আবদুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের বলেন, ‘জামায়াতে ইসলামী বিএনপির সঙ্গে কোনো ঝগড়ায় লিপ্ত হতে চায় না। যা-ই করছেন, এবার বন্ধ করুন। আসুন, আমরা একসঙ্গে বসি। দেশের এই পরিস্থিতি নিয়ে খোলামেলা আলোচনা করি।’
আর গতকাল মঙ্গলবার বিদেশ সফর শেষে ঢাকায় ফিরে বিমানবন্দরে জামায়াতের আমির শফিকুর রহমান বলেন, ‘সরকার অনুরোধ করেছে, এক সপ্তাহ সময়ের ভেতরে রাজনৈতিক দলগুলো বসে যদি একটা ঐকমত্যে পৌঁছাতে পারে, সরকারের জন্য এটা ভালো। আমরাই সবার আগে আমাদের নায়েবে আমিরের মাধ্যমে আহ্বান জানিয়েছি যে আসুন, আমরা খোলামেলা আলোচনা করে একটা সমাধানে পৌঁছাই দেশ ও জাতির স্বার্থে। আমরা আশা করি, অন্যরা আমাদের এই আহ্বানে সাড়া দেবেন।’
সরকারের কোর্টে বল ঠেলছে এনসিপি
রাজনৈতিক দলগুলোর কোর্টে বল ঠেলে না দিয়ে সরকারকেই জুলাই সনদ আদেশ জারির উদ্যোগ নিতে হবে বলে মনে করে এনসিপি। তবে প্রয়োজনে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে জুলাই সনদ বাস্তবায়নের বিষয়ে আলোচনায় যেতে তাঁরা প্রস্তুত বলে জানিয়েছেন দলটির নেতারা। যদিও এখন পর্যন্ত এনসিপি কোনো রাজনৈতিক দলকে আলোচনায় বসার প্রস্তাব দেয়নি বলে জানা গেছে। আবার এনসিপিকেও কেউ প্রস্তাব দেয়নি।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এনসিপির একাধিক নেতা জানিয়েছেন, জুলাই সনদ বাস্তবায়ন আদেশ নিয়ে সরকার এবং রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে অনানুষ্ঠানিক আলাপ চলছে। বাস্তবায়ন আদেশ জারির জন্য সরকারের ওপর প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে চাপ প্রয়োগ করছে এনসিপি।
এনসিপির সদস্যসচিব আখতার হোসেন বলেন, ‘সংস্কার বাস্তবায়নের বিষয়ে সরকার বা ঐকমত্য কমিশনকে রেফারি করেছে অনেকে। কিন্তু আমরা দেখি, সরকার ও ঐকমত্য কমিশন সংস্কার বাস্তবায়নের ব্যাপারে রেফারি না। তারা সিদ্ধান্ত গ্রহণকারী। তাদের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করতে হবে সংস্কারের পক্ষে। যদি তারা সংস্কারের পক্ষে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করতে ব্যর্থ হয়, তাহলে তারা তাদের ম্যান্ডেট থেকে বিচ্যুত হয়ে যাবে। সরকারের এখন দায়িত্ব হলো ঐকমত্য কমিশন যে প্রস্তাব দিয়েছে, সেই প্রস্তাবে অতি দ্রুত সময়ের মধ্যে জুলাই সনদ বাস্তবায়নের আদেশ জারি করা।’
এনসিপির যুগ্ম আহ্বায়ক সারোয়ার তুষার বলেন, ‘জুলাই সনদের বিষয়ে সরকারকেই উদ্যোগ নিতে হবে। তবে প্রয়োজনে আমরা রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনা করতে প্রস্তুত আছি।’
গণতন্ত্র মঞ্চের ভাবনা
জুলাই সনদকে কেন্দ্র করে রাজনৈতিক অচলাবস্থার জন্য ড. ইউনূসের নেতৃত্বাধীন জাতীয় ঐকমত্য কমিশন এবং অন্তর্বর্তী সরকারই দায়ী বলে জানিয়েছে ৬টি রাজনৈতিক দলের জোট গণতন্ত্র মঞ্চ। মঞ্চের নেতারা বলেছেন, এই সংকট সমাধানের দায়িত্বও সরকারকেই নিতে হবে। একই সঙ্গে গণতন্ত্র মঞ্চ দলগুলোর মধ্যে ঐকমত্য তৈরির চেষ্টায় ধারাবাহিক আলোচনা চালিয়ে যাবে বলে জানিয়েছেন তাঁরা।
রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের সভাপতি হাসনাত কাইয়ুম বলেন, ‘এই সংকট সমাধানের জন্য সরকারের যে উদ্যোগ নেওয়া দরকার ছিল, তা না নিয়ে সরকার অনেকটা মান-অভিমানের মতো অবস্থান নিয়েছে। সরকারের এমন মনোভাব মানুষের মধ্যে উদ্বেগ তৈরি করেছে। সংস্কার কি হবে না? সংস্কার না হলে নির্বাচন কি হবে? যাদের আমরা পরাজিত করেছি, তারা আবার ফিরে আসবে?’
আর নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমদুর রহমান মান্না এক বিবৃতিতে বলেছেন, সরকার কোনোভাবেই দায়িত্ব এড়াতে পারে না। সরকারকেই উদ্যোগ নিতে হবে। সরকারকে রাজনৈতিক দল বিশেষ করে বিএনপি ও জামায়াতে ইসলামীর সঙ্গে আলাদাভাবে আলোচনা করে সমাধানের পথ তৈরি করতে হবে।

জুলাই জাতীয় সনদ বাস্তবায়ন আদেশ নিয়ে নিজেদের অনৈক্য-বিভেদ দূর করে সমঝোতার জন্য রাজনৈতিক দলগুলোকে এক সপ্তাহ সময় বেঁধে দিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার। এর মধ্যে আজ বুধবার কেটে যাচ্ছে দুই দিন। কিন্তু এ সংকট নিরসনে দলগুলোর মধ্যে কোনো হেলদোল আছে বলে মনে হচ্ছে না।
দলগুলোর পক্ষ থেকে গতকাল মঙ্গলবার পর্যন্ত আলোচনার কোনো উদ্যোগ নেওয়া হয়নি। সরকারের অনুরোধের এক দিন আগে জামায়াতে ইসলামীর পক্ষ থেকে অন্য দলগুলোর প্রতি আলোচনার আহ্বান জানানো হয়েছিল মুখে মুখে। কিন্তু এ আহ্বান বাস্তবায়নে গতকাল পর্যন্ত কার্যত কোনো উদ্যোগ নেয়নি দলটি।
জামায়াত তবু আহ্বান জানিয়েছে। বিএনপি নিজের দিক থেকে কোনো কথা বলেনি, উদ্যোগও নেয়নি। বরং সরকারের আহ্বানে দলটি সাড়া দিতে চাইছে না বলে দলটির সূত্র জানিয়েছে। আর সংকট সমাধানে সরকারকে উদ্যোগ নিতে হবে বলে মনে করে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) ও গণতন্ত্র মঞ্চ।
জুলাই জাতীয় সনদ বাস্তবায়ন আদেশ নিয়ে সংকট কাটাতে গত সোমবার জরুরি বৈঠকে বসে উপদেষ্টা পরিষদ। সেই বৈঠকেই সিদ্ধান্ত হয়, এ নিয়ে সরকারের দিক থেকে আর কোনো উদ্যোগ নেওয়া হবে না। এখন রাজনৈতিক দলগুলো নিজেদের মধ্যে আলাপ-আলোচনা করে সমঝোতায় আসুক। এ জন্য দলগুলোকে এক সপ্তাহ সময় দেওয়া হয়। এর মধ্যে দলগুলো ঐক্যবদ্ধ সিদ্ধান্ত দিতে না পারলে সরকার নিজেদের মতো করে সিদ্ধান্ত দেবে।
জুলাই সনদ ইস্যুতে গত মার্চ থেকে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন আলোচনা করছে। সেখানে অনেক ইস্যুতে একমত হলেও গুরুত্বপূর্ণ কিছু বিষয়ে বিএনপিসহ বেশ কিছু দলের আপত্তি ছিল। ৩১ আগস্ট শেষ হওয়া দ্বিতীয় ধাপের সংলাপে সিদ্ধান্ত হয়েছিল, নির্বাচনে বিজয়ী হলে আপত্তি অনুযায়ী ব্যবস্থা নিতে পারবে দলগুলো। তবে সে সময় গণভোট নিয়ে আলোচনা হয়নি। বাস্তবায়ন প্রশ্নে তৃতীয় ধাপে পাঁচ দিন সংলাপ করে দলগুলো। সেখানে গণভোটের বিষয়ে একমত হয় তারা। তবে বাস্তবায়নের প্রক্রিয়া নিয়ে দলগুলো সর্বসম্মত সিদ্ধান্ত নিতে পারেনি।
গত ৮ অক্টোবর অনুষ্ঠিত সর্বশেষ সংলাপে জানানো হয়, দলগুলোর মত ও বিশেষজ্ঞদের মতামতের ভিত্তিতে সরকারের কাছে কমিশন বাস্তবায়নের উপায় জমা দেবে; যেখানে বিশেষজ্ঞরা গণভোটে আপত্তি না রাখার বিষয়ে মত দেন। তাঁদের যুক্তি ছিল, জনগণ সর্বময় ক্ষমতার অধিকারী, সেখানে আপত্তির বিধান রাখা যুক্তিযুক্ত না। ২৭ অক্টোবর সরকারের কাছে সুপারিশ জমা দেয় কমিশন। এরপর শুরু হয় নতুন বিতর্ক। ছয় মাসে যেখানে দলগুলো একমত হতে পারেনি, সেখানে এক সপ্তাহে দলগুলো আলোচনা করে ঐক্যবদ্ধ হবে, তা নিয়েও সন্দেহ প্রকাশ করেছেন অনেকে।
আলোচনার উদ্যোগ নেবে না বিএনপি
আলোচনা করে সমঝোতায় আসতে সরকারের অনুরোধে বিএনপি কোনো উদ্যোগ নেবে না বলে দলটির একাধিক সূত্র গতকাল জানিয়েছে। দলটির স্থায়ী কমিটির এক সদস্য বলছেন, বাস্তবায়ন আদেশে তাদের ওপর অনেক কিছু চাপিয়ে দেওয়ার চেষ্টা হচ্ছে। এখন আলোচনার নামে দায়ভার চাপানোর চেষ্টা করা হচ্ছে।
সরকারের এমন অনুরোধে তাদের দল সাড়া দেবে না। এ জন্য আলোচনায় বসার জন্য কোনো দলকে ডাকবে না বিএনপি। কেউ আলোচনার জন্য দাওয়াত দিলে বিবেচনা করা হবে কি না, দলীয় ফোরামে আলোচনা করে সে বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘সরকার রাজনৈতিক দলগুলোকে একসঙ্গে বসার বিষয়ে যে অনুরোধ করেছে, এ ব্যাপারে আমরা কোনো আলোচনা করতে পারিনি। সোমবার দলের প্রার্থী মনোনয়ন এবং প্রেস ব্রিফিং নিয়ে ব্যস্ত থাকায় আলোচনার সুযোগ হয়নি। আলোচনা করে তারপর জানানো হবে।’
আহ্বান জানিয়েছে জামায়াত
জুলাই জাতীয় সনদ বাস্তবায়নে অন্তর্বর্তী সরকারের আহ্বানে সাড়া দিয়ে অন্য রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনায় বসতে প্রস্তুত জামায়াতে ইসলামী। যদিও সরকারের আহ্বানের আগেই আলোচনার জন্য অন্য দলগুলোর প্রতি আহ্বান জানিয়েছে তারা। তবে দলটির অনুরোধে গতকাল পর্যন্ত কোনো দল সাড়া দেয়নি বলে জানা গেছে।
জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল হামিদুর রহমান আযাদ গতকাল বলেন, ‘সরকার রাজনৈতিক দলগুলোকে অনুরোধ জানিয়েছে একসঙ্গে বসার। সরকারের আগেই আমরা আহ্বান করেছি। এখনো কারও সাড়া পাইনি আমরা, হয়তো সামনে পাব।’
এর আগে গত রোববার রাজধানীতে সংবাদ সম্মেলনে জামায়াতের নায়েবে আমির সৈয়দ আবদুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের বলেন, ‘জামায়াতে ইসলামী বিএনপির সঙ্গে কোনো ঝগড়ায় লিপ্ত হতে চায় না। যা-ই করছেন, এবার বন্ধ করুন। আসুন, আমরা একসঙ্গে বসি। দেশের এই পরিস্থিতি নিয়ে খোলামেলা আলোচনা করি।’
আর গতকাল মঙ্গলবার বিদেশ সফর শেষে ঢাকায় ফিরে বিমানবন্দরে জামায়াতের আমির শফিকুর রহমান বলেন, ‘সরকার অনুরোধ করেছে, এক সপ্তাহ সময়ের ভেতরে রাজনৈতিক দলগুলো বসে যদি একটা ঐকমত্যে পৌঁছাতে পারে, সরকারের জন্য এটা ভালো। আমরাই সবার আগে আমাদের নায়েবে আমিরের মাধ্যমে আহ্বান জানিয়েছি যে আসুন, আমরা খোলামেলা আলোচনা করে একটা সমাধানে পৌঁছাই দেশ ও জাতির স্বার্থে। আমরা আশা করি, অন্যরা আমাদের এই আহ্বানে সাড়া দেবেন।’
সরকারের কোর্টে বল ঠেলছে এনসিপি
রাজনৈতিক দলগুলোর কোর্টে বল ঠেলে না দিয়ে সরকারকেই জুলাই সনদ আদেশ জারির উদ্যোগ নিতে হবে বলে মনে করে এনসিপি। তবে প্রয়োজনে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে জুলাই সনদ বাস্তবায়নের বিষয়ে আলোচনায় যেতে তাঁরা প্রস্তুত বলে জানিয়েছেন দলটির নেতারা। যদিও এখন পর্যন্ত এনসিপি কোনো রাজনৈতিক দলকে আলোচনায় বসার প্রস্তাব দেয়নি বলে জানা গেছে। আবার এনসিপিকেও কেউ প্রস্তাব দেয়নি।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এনসিপির একাধিক নেতা জানিয়েছেন, জুলাই সনদ বাস্তবায়ন আদেশ নিয়ে সরকার এবং রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে অনানুষ্ঠানিক আলাপ চলছে। বাস্তবায়ন আদেশ জারির জন্য সরকারের ওপর প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে চাপ প্রয়োগ করছে এনসিপি।
এনসিপির সদস্যসচিব আখতার হোসেন বলেন, ‘সংস্কার বাস্তবায়নের বিষয়ে সরকার বা ঐকমত্য কমিশনকে রেফারি করেছে অনেকে। কিন্তু আমরা দেখি, সরকার ও ঐকমত্য কমিশন সংস্কার বাস্তবায়নের ব্যাপারে রেফারি না। তারা সিদ্ধান্ত গ্রহণকারী। তাদের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করতে হবে সংস্কারের পক্ষে। যদি তারা সংস্কারের পক্ষে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করতে ব্যর্থ হয়, তাহলে তারা তাদের ম্যান্ডেট থেকে বিচ্যুত হয়ে যাবে। সরকারের এখন দায়িত্ব হলো ঐকমত্য কমিশন যে প্রস্তাব দিয়েছে, সেই প্রস্তাবে অতি দ্রুত সময়ের মধ্যে জুলাই সনদ বাস্তবায়নের আদেশ জারি করা।’
এনসিপির যুগ্ম আহ্বায়ক সারোয়ার তুষার বলেন, ‘জুলাই সনদের বিষয়ে সরকারকেই উদ্যোগ নিতে হবে। তবে প্রয়োজনে আমরা রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনা করতে প্রস্তুত আছি।’
গণতন্ত্র মঞ্চের ভাবনা
জুলাই সনদকে কেন্দ্র করে রাজনৈতিক অচলাবস্থার জন্য ড. ইউনূসের নেতৃত্বাধীন জাতীয় ঐকমত্য কমিশন এবং অন্তর্বর্তী সরকারই দায়ী বলে জানিয়েছে ৬টি রাজনৈতিক দলের জোট গণতন্ত্র মঞ্চ। মঞ্চের নেতারা বলেছেন, এই সংকট সমাধানের দায়িত্বও সরকারকেই নিতে হবে। একই সঙ্গে গণতন্ত্র মঞ্চ দলগুলোর মধ্যে ঐকমত্য তৈরির চেষ্টায় ধারাবাহিক আলোচনা চালিয়ে যাবে বলে জানিয়েছেন তাঁরা।
রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের সভাপতি হাসনাত কাইয়ুম বলেন, ‘এই সংকট সমাধানের জন্য সরকারের যে উদ্যোগ নেওয়া দরকার ছিল, তা না নিয়ে সরকার অনেকটা মান-অভিমানের মতো অবস্থান নিয়েছে। সরকারের এমন মনোভাব মানুষের মধ্যে উদ্বেগ তৈরি করেছে। সংস্কার কি হবে না? সংস্কার না হলে নির্বাচন কি হবে? যাদের আমরা পরাজিত করেছি, তারা আবার ফিরে আসবে?’
আর নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমদুর রহমান মান্না এক বিবৃতিতে বলেছেন, সরকার কোনোভাবেই দায়িত্ব এড়াতে পারে না। সরকারকেই উদ্যোগ নিতে হবে। সরকারকে রাজনৈতিক দল বিশেষ করে বিএনপি ও জামায়াতে ইসলামীর সঙ্গে আলাদাভাবে আলোচনা করে সমাধানের পথ তৈরি করতে হবে।

অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের ক্ষমতা দীর্ঘায়িত করার বিন্দুমাত্র ইচ্ছে নেই বলে জানিয়েছেন আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল। তিনি বলেছেন, ‘আপনাদের মাধ্যমে আমি নিশ্চিত করে বলতে চাই, আমাদের এই সরকারের অযথা সময়ক্ষেপণ করার...
০৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৫
দেশের জনগণ যেমন চায়, সেনাবাহিনীও চায় সরকার ঘোষিত রূপরেখা অনুযায়ী অবাধ, সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন অনুষ্ঠিত হোক। রূপরেখায় নির্ধারিত সময়সীমাও রয়েছে। নির্বাচন হলে দেশের স্থিতিশীলতা আরও ভালো হবে এবং আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি ধীরে ধীরে স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরবে বলে আশা করে সেনাবাহিনী।
৩ মিনিট আগে
রাজধানীর উত্তরায় মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজে যুদ্ধবিমান বিধ্বস্তের ঘটনার তদন্ত প্রতিবেদন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের কাছে জমা দেওয়া হয়েছে। প্রতিবেদনে উঠে এসেছে, পাইলটের উড্ডয়নে ত্রুটির কারণে বিমানটি বিধ্বস্ত হয়। তিনি বিমানটি উড্ডয়নের পর নিয়ন্ত্রণ করতে ব্যর্থ হন।
২০ মিনিট আগে
হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অগ্নিকাণ্ডের পর ভল্ট ভেঙে অস্ত্র লুটসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে সংঘটিত কয়েকটি ঘটনায় পুলিশের অস্ত্র ও গুলি খোয়া যাওয়ার পর পুলিশ সদর দপ্তর থেকে এই পদক্ষেপ নেওয়া হলো।
২ ঘণ্টা আগে