নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
দেশের বড় বড় অপরাধী যখন-তখন বিদেশে যেতে পারেন। কিন্তু একজন লাল পাসপোর্টধারী হিসেবে দেশের বাইরে যাওয়ার সময় এবং আসার সময় বারবার হেনস্তার শিকার হয়েছেন বলে দাবি করেছেন বিএনপির দলীয় সংসদ সদস্য রুমিন ফারহানা। আজ শনিবার একাদশ জাতীয় সংসদের চতুর্দশ অধিবেশনে অনির্ধারিত আলোচনায় অংশ নিয়ে তিনি স্পিকারের দৃষ্টি আকর্ষণ করে এ কথা বলেন।
রুমিন ফারহানা বলেন, `সংসদ সদস্য হওয়ার পরে একটা লাল পাসপোর্ট পেয়েছিলাম। এরপর পৃথিবীর বহু দেশের বিমানবন্দরে যথেষ্ট সম্মান আমি পেয়েছি। শুধু বাংলাদেশ আসা-যাওয়ার সময় হেনস্তার শিকার হতে হয়েছে।' এ সময় স্পিকার তাঁকে উদ্দেশ করে বলেন, `আপনার পয়েন্টটা নোটেড।'
রুমিন ফারহানা বলেন, `সংবিধান রাষ্ট্রের সঙ্গে তাঁর নাগরিকের চুক্তি। এতে নাগরিক অধিকার ও দায়িত্ব সম্পর্কে বলা আছে। নাগরিক হিসেবে কী মৌলিক অধিকার পাব সেটা বলা আছে। আমার দুর্ভাগ্য গত সাত-আট বছর ধরে যতবারই আমি দেশের বাইরে যাওয়ার চেষ্টা করেছি। আমার পাসপোর্ট, ভিসা, টিকিট থাকা সত্ত্বেও আমাকে বাইরে যেতে দেওয়া হয়নি। যদিও বা দুই একবার সুযোগ পেয়েছি। আমাকে তার আগে দুই থেকে আড়াই ঘণ্টা বিমানবন্দর থানায় আটকে রাখা হয়েছে। আমার পাসপোর্ট নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। আড়াই-তিন ঘণ্টা পরে ফিরে আসার পরে ফ্লাইটের সময় থাকলে যেতে পেরেছি। না হলে পারি নাই। বাংলাদেশে আসবার সময়ও এক ধরনের হেনস্তার শিকার গত সাত আট বছর ধরে হচ্ছি।'
বিএনপির এই সংসদ সদস্য বলেন, ২০১৭ সালে আমার করা এক রিটের পরিপ্রেক্ষিতে মাননীয় সুপ্রিম কোর্ট পরিষ্কার নির্দেশনা দিয়ে বলেছিলেন, আমাকে কোনো রকমের বাধা দেওয়া যাবে না। স্পষ্টত নির্দেশনা থাকা সত্ত্বেও আজ অবধি যখনই আমি বিদেশে যাওয়া চেষ্টা করি, তখন একইভাবে বাধা দেওয়া হচ্ছে। কার নির্দেশে, কোন অধিদপ্তরের কারণে? তা আমাকে কোনোদিন দেখানো হয়নি।
রুমিন বলেন, আমাদের রাষ্ট্রের তিনটি অঙ্গ। আইন, বিচার ও নির্বাহী বিভাগ। আমাদের সংবিধান এমনভাবে লিখিত যেখানে আইন বিভাগের সঙ্গে নির্বাহী বিভাগের একটা ওভারল্যাপ হবেই। ৭০ ধারা যত দিন আছে, তত দিন কোনো কার্যকর আইন বিভাগ পাব এই আশা করি না। সরকারে যেই থাকুক না কেন? এই সংবিধান অনুযায়ী ক্ষমতা এক ব্যক্তির হাতে ন্যস্ত। সেই অবস্থায় বিচার বিভাগ স্বচ্ছতা ও স্বাধীনভাবে কাজ করতে না পারলে রাষ্ট্রের নাগরিকদের টিকে থাকা প্রায়ই অসম্ভব। বাংলাদেশের বিচার ব্যবস্থা নিয়ে বিচার বিভাগের অনেক প্রশ্ন রয়েছে।
কিছু ক্ষেত্রে বিচার বিভাগ খুব স্পষ্ট রায় দেয় উল্লেখ করে তিনি বলেন, ন্যায়ের পক্ষে রায় দেয়। সেই জায়গায় বিচার বিভাগের রায়কে প্রশাসন একেবারে অগ্রাহ্য করলে রাষ্ট্র টিকে থাকবে কি করে? নাগরিকেরা তাদের অধিকার কি করে ভোগ করবে? বহু বড় বড় অপরাধী যখন খুশি তখন দেশ থেকে চলে যান। তারা দেশে ফিরে আসেন। তাদের নামে মামলা হয়। তারা পালিয়ে যান। আদালত খুঁজে পায় না। তাঁরা কিন্তু ঠিকই বিদেশে চলে যান। তাদের ক্ষেত্রে তো কোনো বাধা দেখি না। বিরোধী দলে একজন কর্মীর ক্ষেত্রে কেন এই ধরনের বাধার মুখোমুখি বারবার হতে হয় জানতে চান এই সংসদ সদস্য।
দেশের বড় বড় অপরাধী যখন-তখন বিদেশে যেতে পারেন। কিন্তু একজন লাল পাসপোর্টধারী হিসেবে দেশের বাইরে যাওয়ার সময় এবং আসার সময় বারবার হেনস্তার শিকার হয়েছেন বলে দাবি করেছেন বিএনপির দলীয় সংসদ সদস্য রুমিন ফারহানা। আজ শনিবার একাদশ জাতীয় সংসদের চতুর্দশ অধিবেশনে অনির্ধারিত আলোচনায় অংশ নিয়ে তিনি স্পিকারের দৃষ্টি আকর্ষণ করে এ কথা বলেন।
রুমিন ফারহানা বলেন, `সংসদ সদস্য হওয়ার পরে একটা লাল পাসপোর্ট পেয়েছিলাম। এরপর পৃথিবীর বহু দেশের বিমানবন্দরে যথেষ্ট সম্মান আমি পেয়েছি। শুধু বাংলাদেশ আসা-যাওয়ার সময় হেনস্তার শিকার হতে হয়েছে।' এ সময় স্পিকার তাঁকে উদ্দেশ করে বলেন, `আপনার পয়েন্টটা নোটেড।'
রুমিন ফারহানা বলেন, `সংবিধান রাষ্ট্রের সঙ্গে তাঁর নাগরিকের চুক্তি। এতে নাগরিক অধিকার ও দায়িত্ব সম্পর্কে বলা আছে। নাগরিক হিসেবে কী মৌলিক অধিকার পাব সেটা বলা আছে। আমার দুর্ভাগ্য গত সাত-আট বছর ধরে যতবারই আমি দেশের বাইরে যাওয়ার চেষ্টা করেছি। আমার পাসপোর্ট, ভিসা, টিকিট থাকা সত্ত্বেও আমাকে বাইরে যেতে দেওয়া হয়নি। যদিও বা দুই একবার সুযোগ পেয়েছি। আমাকে তার আগে দুই থেকে আড়াই ঘণ্টা বিমানবন্দর থানায় আটকে রাখা হয়েছে। আমার পাসপোর্ট নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। আড়াই-তিন ঘণ্টা পরে ফিরে আসার পরে ফ্লাইটের সময় থাকলে যেতে পেরেছি। না হলে পারি নাই। বাংলাদেশে আসবার সময়ও এক ধরনের হেনস্তার শিকার গত সাত আট বছর ধরে হচ্ছি।'
বিএনপির এই সংসদ সদস্য বলেন, ২০১৭ সালে আমার করা এক রিটের পরিপ্রেক্ষিতে মাননীয় সুপ্রিম কোর্ট পরিষ্কার নির্দেশনা দিয়ে বলেছিলেন, আমাকে কোনো রকমের বাধা দেওয়া যাবে না। স্পষ্টত নির্দেশনা থাকা সত্ত্বেও আজ অবধি যখনই আমি বিদেশে যাওয়া চেষ্টা করি, তখন একইভাবে বাধা দেওয়া হচ্ছে। কার নির্দেশে, কোন অধিদপ্তরের কারণে? তা আমাকে কোনোদিন দেখানো হয়নি।
রুমিন বলেন, আমাদের রাষ্ট্রের তিনটি অঙ্গ। আইন, বিচার ও নির্বাহী বিভাগ। আমাদের সংবিধান এমনভাবে লিখিত যেখানে আইন বিভাগের সঙ্গে নির্বাহী বিভাগের একটা ওভারল্যাপ হবেই। ৭০ ধারা যত দিন আছে, তত দিন কোনো কার্যকর আইন বিভাগ পাব এই আশা করি না। সরকারে যেই থাকুক না কেন? এই সংবিধান অনুযায়ী ক্ষমতা এক ব্যক্তির হাতে ন্যস্ত। সেই অবস্থায় বিচার বিভাগ স্বচ্ছতা ও স্বাধীনভাবে কাজ করতে না পারলে রাষ্ট্রের নাগরিকদের টিকে থাকা প্রায়ই অসম্ভব। বাংলাদেশের বিচার ব্যবস্থা নিয়ে বিচার বিভাগের অনেক প্রশ্ন রয়েছে।
কিছু ক্ষেত্রে বিচার বিভাগ খুব স্পষ্ট রায় দেয় উল্লেখ করে তিনি বলেন, ন্যায়ের পক্ষে রায় দেয়। সেই জায়গায় বিচার বিভাগের রায়কে প্রশাসন একেবারে অগ্রাহ্য করলে রাষ্ট্র টিকে থাকবে কি করে? নাগরিকেরা তাদের অধিকার কি করে ভোগ করবে? বহু বড় বড় অপরাধী যখন খুশি তখন দেশ থেকে চলে যান। তারা দেশে ফিরে আসেন। তাদের নামে মামলা হয়। তারা পালিয়ে যান। আদালত খুঁজে পায় না। তাঁরা কিন্তু ঠিকই বিদেশে চলে যান। তাদের ক্ষেত্রে তো কোনো বাধা দেখি না। বিরোধী দলে একজন কর্মীর ক্ষেত্রে কেন এই ধরনের বাধার মুখোমুখি বারবার হতে হয় জানতে চান এই সংসদ সদস্য।
প্রধান উপদেষ্টার সম্প্রতি চীন সফরের ফলাফল পর্যালোচনা এবং বাংলাদেশ-চীন সহযোগিতা দ্রুততর করতে চীনা রাষ্ট্রদূত ইয়াও ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন। আজ রোববার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় তাঁরা এ সাক্ষাৎ করেন।
৭ ঘণ্টা আগেএজেন্সিগুলোর গাফিলতির কারণে চলতি বছর প্রায় সাড়ে ১০ হাজার ব্যক্তির হজ পালন নিয়ে অনিশ্চয়তা দেখা দিয়েছিল। এ নিয়ে ধর্ম উপদেষ্টার হুঁশিয়ারির পর তৎপরতা বাড়িয়েছে এজেন্সিগুলো। এতে অনিশ্চয়তা প্রায় কেটে গেছে। হজযাত্রীদের ভিসাপ্রক্রিয়াও প্রায় শেষ পর্যায়ে রয়েছে।
৮ ঘণ্টা আগেজাতিসংঘের শিক্ষা, বিজ্ঞান ও সংস্কৃতি সংস্থা ইউনেসকোর মহাপরিচালক পদে (২০২৫-২৯) মেক্সিকোর প্রার্থী গ্যাব্রিয়েলা রামোস পাটিনা প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেছেন। আজ রোববার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে তিনি এ সাক্ষাৎ করেন। এ সময় মেক্সিকোর অনাবাসিক
৮ ঘণ্টা আগেজুনিয়র ইনস্ট্রাক্টর পদে ক্র্যাফট ইনস্ট্রাক্টরদের পদোন্নতি–সংক্রান্ত হাইকোর্টের রায় স্থগিত করা হয়েছে। কারিগরি শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালকের করা আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আজ রোববার আপিল বিভাগের চেম্বার বিচারপতি মো. রেজাউল হক এই আদেশ দেন। একই সঙ্গে আবেদনটি আগামী ১৮ মে আপিল বিভাগের নিয়মিত বেঞ্চে শুনানির...
১০ ঘণ্টা আগে