নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জন, ভোগদখল ও পাচারের অভিযোগে দুদকের করা মামলায় আত্মসমর্পণের পর সাবেক নৌ-পরিবহন অধিদপ্তরের চিফ ইঞ্জিনিয়ার অ্যান্ড শিপ সার্ভেয়ার ড. এস এম নাজমুল হক ও তার স্ত্রী সাহেলা নাজমুলকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। আজ মঙ্গলবার ঢাকা মহানগর দায়রা জজ ও সিনিয়র বিশেষ জজ আদালতের বিচারক মোহাম্মদ আসসামছ জগলুল হোসেন তাদের কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন। তারা আত্মসমর্পণ করে জামিনের আবেদন করেন। শুনানি শেষে আদালত জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
দুর্নীতি দমন কমিশনের দুদক বিশেষ পিপি মাহমুদ হোসেন জাহাঙ্গীর বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
এর আগে ২০২৩ সালের ৩০ জুলাই দুদকের উপপরিচালক মো. হাফিজুল ইসলাম বাদী হয়ে এ মামলা করেন। ওইদিনই আদালত তাদের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা জারি করেন।
নাজমুল হকের স্ত্রী সাহেলা নাজমুল ২০১৯ সালের ১৭ এপ্রিল সম্পদ বিবরণীতে ১ কোটি ১০ লাখ ২৫ হাজার টাকার স্থাবর সম্পদ এবং ৮০ লাখ ২২ হাজার ২৫৩ টাকার অস্থাবর সম্পদ অর্জনের ঘোষণা দিয়েছেন। সম্পদের মধ্যে রয়েছে খুলনার ৩৭/১, রায়পাড়া রোড ২ কাঠা জমিতে তিন তলা বাড়ি, ঢাকা জেলার বাড্ডা থানার বড়ুয়া মৌজায় ৫ কাঠা জমি, সিদ্ধেশ্বরীতে ২য় তলায় ৭০০ বর্গফুটের একটি দোকান, তুরাগ থানার ভাটুলিয়া মৌজায় ৩৩ শতাংশ জমি, উত্তরার ১৮ নম্বর সেক্টরের উত্তরা প্রকল্পে ফ্ল্যাট ও পূর্বাচলে ১০ কাঠা জমির প্লট।
সব মিলিয়ে দুদকের অনুসন্ধানে ১ কোটি ৫৬ লাখ ৪৬ হাজার ২৫০ টাকার স্থাবর সম্পদ পাওয়া যায়। আর সম্পদ বিবরণী যাচাইকালে আসামি সাহেলা নাজমুলের নামে ২ কোটি ৫০ লাখ ৬২ হাজার ২৫৩ টাকার অস্থাবর সম্পদ পাওয়া যায়। যার মধ্যে স্বামীর ৭০ লাখ টাকাও রয়েছে।
অনুসন্ধানকালে সাহেলা নাজমুল ঘোষণাকৃত সম্পদ বাদ দিলে ৪৬ লাখ ২১ হাজার ২৫০ টাকার স্থাবর সম্পদ এবং ১ কোটি ৭০ লাখ ৪০ হাজার টাকার অস্থাবর সম্পদ গোপন করার তথ্য পাওয়া যায়। স্থাবর ও অস্থাবর সম্পদ মিলিয়ে যার পরিমাণ ২ কোটি ১৬ লাখ ৬১ হাজার ২৫০ টাকা।
মামলার এজাহারে আরও বলা হয়, অনুসন্ধানে ২ কোটি ৬৪ লাখ ৭১ হাজার ১৩১ টাকার জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের প্রমাণ পাওয়া গেছে। যা নাজমুল হক ঘুষ ও দুর্নীতির মাধ্যমে অর্জন করে বৈধ করতে স্ত্রীর নামে গড়েছেন। যে কারণে স্ত্রীকে প্রধান আসামি এবং স্বামী নাজমুলকে সহযোগী আসামি করা হয়েছে।
আসামিদের বিরুদ্ধে দণ্ডবিধির ১০৯ ও মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইন, ২০১২ এর ৪ (২) ও ৪ (৩) ধারায় এবং দুদক আইন ২০০৪ এর ২৬ (২), ২৭ (১) ধারায় অভিযোগ আনা হয়েছে।
উল্লেখ্য, ২০১৮ সালের ১২ এপ্রিল নাজমুলকে রাজধানীর সেগুনবাগিচায় সেগুন রেস্তোরাঁ থেকে ঘুষের পাঁচ লাখ টাকাসহ হাতেনাতে গ্রেপ্তার করে দুদকের পরিচালক নাসিম আনোয়ারের নেতৃত্বাধীন একটি দল।
ওই ঘটনায় তার বিরুদ্ধে মামলা হয়। মামলার অভিযোগে বলা হয়, মেসার্স সৈয়দ শিপিং লাইনসের এমভি প্রিন্স অব সোহাগ নামীয় যাত্রীবাহী নৌযানের রিসিভ নকশা অনুমোদন এবং নতুন নৌযানের নামকরণের অনাপত্তিপত্রের জন্য নাজমুল হক ১৫ লাখ টাকা ঘুষ দাবি করেন। বিষয়টি দুর্নীতি দমন কমিশনকে অবহিত করা হলে দুদক সব বিধি-বিধান অনুসরণ করে কমিশনের ঢাকা বিভাগীয় কার্যালয়ের পরিচালক নাসিম আনোয়ারে নেতৃত্বে ফাঁদ মামলা পরিচালনার অনুমতি দেয়।
এর অংশ হিসেবে ২০১৮ সালের ১২ এপ্রিল সন্ধ্যা ৬টায় ঘুষের টাকার কিস্তি বাবদ পাঁচ লাখ টাকা রাজধানীর সেগুন হোটেলে বসে যখন নাজমুল হক গ্রহণ করছিলেন, ঠিক তখনই ওঁৎ পেতে থাকা দুদকের বিশেষ দলের সদস্যরা ঘুষের টাকাসহ তাকে হাতেনাতে গ্রেপ্তার করেন। এরপর রাজধানীর রমনা মডেল থানায় দুদকের সমন্বিত জেলা কার্যালয় ঢাকা-১-এর সহকারী পরিচালক আবদুল ওয়াদুদ বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেন। ওই মামলাটি সাক্ষ্য গ্রহণ শেষ হয়েছে। বর্তমানে ঢাকার বিশেষ জজ আদালত -১০ এ যুক্তি তর্ক শুনানির জন্য দিন ধার্য আছে।
জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জন, ভোগদখল ও পাচারের অভিযোগে দুদকের করা মামলায় আত্মসমর্পণের পর সাবেক নৌ-পরিবহন অধিদপ্তরের চিফ ইঞ্জিনিয়ার অ্যান্ড শিপ সার্ভেয়ার ড. এস এম নাজমুল হক ও তার স্ত্রী সাহেলা নাজমুলকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। আজ মঙ্গলবার ঢাকা মহানগর দায়রা জজ ও সিনিয়র বিশেষ জজ আদালতের বিচারক মোহাম্মদ আসসামছ জগলুল হোসেন তাদের কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন। তারা আত্মসমর্পণ করে জামিনের আবেদন করেন। শুনানি শেষে আদালত জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
দুর্নীতি দমন কমিশনের দুদক বিশেষ পিপি মাহমুদ হোসেন জাহাঙ্গীর বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
এর আগে ২০২৩ সালের ৩০ জুলাই দুদকের উপপরিচালক মো. হাফিজুল ইসলাম বাদী হয়ে এ মামলা করেন। ওইদিনই আদালত তাদের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা জারি করেন।
নাজমুল হকের স্ত্রী সাহেলা নাজমুল ২০১৯ সালের ১৭ এপ্রিল সম্পদ বিবরণীতে ১ কোটি ১০ লাখ ২৫ হাজার টাকার স্থাবর সম্পদ এবং ৮০ লাখ ২২ হাজার ২৫৩ টাকার অস্থাবর সম্পদ অর্জনের ঘোষণা দিয়েছেন। সম্পদের মধ্যে রয়েছে খুলনার ৩৭/১, রায়পাড়া রোড ২ কাঠা জমিতে তিন তলা বাড়ি, ঢাকা জেলার বাড্ডা থানার বড়ুয়া মৌজায় ৫ কাঠা জমি, সিদ্ধেশ্বরীতে ২য় তলায় ৭০০ বর্গফুটের একটি দোকান, তুরাগ থানার ভাটুলিয়া মৌজায় ৩৩ শতাংশ জমি, উত্তরার ১৮ নম্বর সেক্টরের উত্তরা প্রকল্পে ফ্ল্যাট ও পূর্বাচলে ১০ কাঠা জমির প্লট।
সব মিলিয়ে দুদকের অনুসন্ধানে ১ কোটি ৫৬ লাখ ৪৬ হাজার ২৫০ টাকার স্থাবর সম্পদ পাওয়া যায়। আর সম্পদ বিবরণী যাচাইকালে আসামি সাহেলা নাজমুলের নামে ২ কোটি ৫০ লাখ ৬২ হাজার ২৫৩ টাকার অস্থাবর সম্পদ পাওয়া যায়। যার মধ্যে স্বামীর ৭০ লাখ টাকাও রয়েছে।
অনুসন্ধানকালে সাহেলা নাজমুল ঘোষণাকৃত সম্পদ বাদ দিলে ৪৬ লাখ ২১ হাজার ২৫০ টাকার স্থাবর সম্পদ এবং ১ কোটি ৭০ লাখ ৪০ হাজার টাকার অস্থাবর সম্পদ গোপন করার তথ্য পাওয়া যায়। স্থাবর ও অস্থাবর সম্পদ মিলিয়ে যার পরিমাণ ২ কোটি ১৬ লাখ ৬১ হাজার ২৫০ টাকা।
মামলার এজাহারে আরও বলা হয়, অনুসন্ধানে ২ কোটি ৬৪ লাখ ৭১ হাজার ১৩১ টাকার জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের প্রমাণ পাওয়া গেছে। যা নাজমুল হক ঘুষ ও দুর্নীতির মাধ্যমে অর্জন করে বৈধ করতে স্ত্রীর নামে গড়েছেন। যে কারণে স্ত্রীকে প্রধান আসামি এবং স্বামী নাজমুলকে সহযোগী আসামি করা হয়েছে।
আসামিদের বিরুদ্ধে দণ্ডবিধির ১০৯ ও মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইন, ২০১২ এর ৪ (২) ও ৪ (৩) ধারায় এবং দুদক আইন ২০০৪ এর ২৬ (২), ২৭ (১) ধারায় অভিযোগ আনা হয়েছে।
উল্লেখ্য, ২০১৮ সালের ১২ এপ্রিল নাজমুলকে রাজধানীর সেগুনবাগিচায় সেগুন রেস্তোরাঁ থেকে ঘুষের পাঁচ লাখ টাকাসহ হাতেনাতে গ্রেপ্তার করে দুদকের পরিচালক নাসিম আনোয়ারের নেতৃত্বাধীন একটি দল।
ওই ঘটনায় তার বিরুদ্ধে মামলা হয়। মামলার অভিযোগে বলা হয়, মেসার্স সৈয়দ শিপিং লাইনসের এমভি প্রিন্স অব সোহাগ নামীয় যাত্রীবাহী নৌযানের রিসিভ নকশা অনুমোদন এবং নতুন নৌযানের নামকরণের অনাপত্তিপত্রের জন্য নাজমুল হক ১৫ লাখ টাকা ঘুষ দাবি করেন। বিষয়টি দুর্নীতি দমন কমিশনকে অবহিত করা হলে দুদক সব বিধি-বিধান অনুসরণ করে কমিশনের ঢাকা বিভাগীয় কার্যালয়ের পরিচালক নাসিম আনোয়ারে নেতৃত্বে ফাঁদ মামলা পরিচালনার অনুমতি দেয়।
এর অংশ হিসেবে ২০১৮ সালের ১২ এপ্রিল সন্ধ্যা ৬টায় ঘুষের টাকার কিস্তি বাবদ পাঁচ লাখ টাকা রাজধানীর সেগুন হোটেলে বসে যখন নাজমুল হক গ্রহণ করছিলেন, ঠিক তখনই ওঁৎ পেতে থাকা দুদকের বিশেষ দলের সদস্যরা ঘুষের টাকাসহ তাকে হাতেনাতে গ্রেপ্তার করেন। এরপর রাজধানীর রমনা মডেল থানায় দুদকের সমন্বিত জেলা কার্যালয় ঢাকা-১-এর সহকারী পরিচালক আবদুল ওয়াদুদ বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেন। ওই মামলাটি সাক্ষ্য গ্রহণ শেষ হয়েছে। বর্তমানে ঢাকার বিশেষ জজ আদালত -১০ এ যুক্তি তর্ক শুনানির জন্য দিন ধার্য আছে।
ছবিতে দেখা যায়, সেনাপ্রধান ও তাঁর স্ত্রী সারাহনাজ কমলিকা রহমানকে উষ্ণ অভ্যর্থনা জানান রাষ্ট্রপতি সাহাবুদ্দিন ও বঙ্গবভনের কর্মকর্তারা। তাঁরা শুভেচ্ছা বিনিময় করেন। সেনাপ্রধান রাষ্ট্রপতির সঙ্গে করমর্দন ও উষ্ণ আলিঙ্গন করেন।
৪৩ মিনিট আগেস্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী (অব.) তাঁর মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন বিভিন্ন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের সঙ্গে পবিত্র ঈদুল আজহার শুভেচ্ছা বিনিময় করেছেন।
১ ঘণ্টা আগেমিয়ানমারকে করিডোর দেওয়ার খবরটি ‘চিলে কান নিয়ে যাওয়ার গল্প’ বলে উল্লেখ করেছেন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূস। গতকাল শুক্রবার (৬ জুন) সন্ধ্যায় জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে তিনি এ কথা বলেন।
৩ ঘণ্টা আগেকোরবানির ঈদ উপলক্ষে সীমান্তপথে কুরবানির পশুর চামড়া পাচারের আশঙ্কায় কড়া অবস্থান নিয়েছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)। সীমান্তের নিরাপত্তা বিধান ও দেশের অভ্যন্তরীণ আইনশৃঙ্খলা রক্ষার পাশাপাশি এবার বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে চামড়া পাচার প্রতিরোধে।
৪ ঘণ্টা আগে