নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
গুরুতর অবস্থা কাটিয়ে হৃদ্রোগের জটিলতা বর্তমানে অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে আছে বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার। তবে কিডনি, ফুসফুস ও লিভার সিরোসিসসহ আরও কিছু জটিলতা এখনো রয়ে গেছে। এই অবস্থায় খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থাকে ‘ঝুঁকিপূর্ণ’ হিসেবেই বিবেচনা করছেন চিকিৎসকেরা। এর পরেও বর্তমান করোনা পরিস্থিতিতে সংক্রমণের ঝুঁকি এড়াতে তাঁকে হাসপাতাল থেকে বাসায় নেওয়ার হচ্ছে।
আজ শুক্রবার বিকেলে রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে সংবাদ সম্মেলন করে এমনটাই জানিয়েছেন খালেদা জিয়ার চিকিৎসায় গঠিত মেডিকেল বোর্ডের সদস্যরা। হার্টের সমস্যা নিয়ে গত ১১ জুন থেকে এই হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন খালেদা জিয়া। হাসপাতালে ভর্তির পর এনজিওগ্রাম করলে তাঁর হার্টে তিনটি ব্লক ধরা পড়ে। এরই মধ্যে রিং পরিয়ে একটি ব্লক অপসারণ করা হয়।
সংবাদ সম্মেলনে মেডিকেল বোর্ডের প্রধান শাহাবুদ্দিন তালুকদার বলেন, ‘শি ইজ ডুইং ফাইন। কিন্তু এই মুহূর্তে তিনি (খালেদা জিয়া) কোভিডে আক্রান্ত হলে ক্রিটিক্যাল সিচুয়েশনে চলে যেতে পারেন। তাই তাঁকে আমরা বাসায় রেখে চিকিৎসা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।’ প্রয়োজন হলে আবারও খালেদা জিয়াকে হাসপাতালে ভর্তি করানো হবে বলে জানান তিনি।
শাহাবুদ্দিন তালুকদার আরও বলেন, ‘খালেদা জিয়ার খাদ্যনালির যে সমস্যা ছিল, সেটি এখন কী অবস্থায় আছে, তা দেখা সম্ভব হয়নি। কারণ সেই ধরনের পরীক্ষা করার মতো তাঁর শারীরিক অবস্থা নেই এই মুহূর্তে।’
খালেদা জিয়ার মেডিকেল বোর্ডের আরেকজন চিকিৎসক ডা. এফ এম সিদ্দিকী বলেন, ‘খালেদা জিয়ার ফুসফুসে পানি চলে এসেছিল। পরে ইনজেকশন দিয়ে সেই পানি সরানো হয়। এখন তাঁর হার্টে পানি নেই।’
সিদ্দিকী আরও বলেন, ‘আমরা দেখেছি রোগীকে (খালেদা জিয়া) এক থেকে দেড় ঘণ্টার মধ্যে বাসা থেকে হাসপাতালে স্থানান্তর করতে পারছি। আর বাসায় প্রতিদিনই আমাদের মেডিকেল বোর্ডের একজন চিকিৎসক তাঁকে মনিটরিং করে। সবকিছু বিবেচনায় নিয়ে তাঁকে বাসায় নিয়ে যাওয়া হচ্ছে।’
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে এফ এম সিদ্দিকী বলেন, ‘খালেদা জিয়া এখনো ঝুঁকিতে আছেন। তাঁকে চিকিৎসার জন্য বাইরে নেওয়ার সুযোগ এখনো মোটামুটিভাবে আছে। এখন পর্যন্ত বিমানে ভ্রমণ করার শারীরিক সক্ষমতা আছে। ওনার সবগুলো জটিলতার চিকিৎসা করতে হলে বা সুস্থ করতে হলে যা করার দরকার তা দেশে আমরা পুরোপুরি করতে পারছি না। সেই সক্ষমতা, ব্যবস্থা আমাদের এখানে নেই। তাঁর সুষ্ঠু চিকিৎসা বাংলাদেশে সম্ভব নয়। এ জন্য আমরা আগেও বলেছি, এখনো বলছি, তাঁর সুষ্ঠু চিকিৎসার জন্য দেশের বাইরে উন্নত চিকিৎসাকেন্দ্রে নেওয়া দরকার।’
সিদ্দিকী বলেন, করোনাভাইরাসের ধরন ওমিক্রন ভয়াবহ না হলেও খালেদা জিয়ার জন্য ঝুঁকিপূর্ণ। তার আগের যে লিভার সিরোসিস, ফুসফুসের সমস্যা, সেটি এখনো আছে। তার কোনো চিকিৎসা হয়নি। আমরা যে রক্তক্ষরণ বন্ধ করে রেখেছিলাম, সেটা এখন কী অবস্থায়, তা জানি না। কারণ গত ছয় মাসে সেটার ফলোআপ করতে পারিনি। এখনো তাঁর হৃদ্রোগের সমস্যার কারণে এন্ডোস্কোপি করা সম্ভব হয়নি।
গুরুতর অবস্থা কাটিয়ে হৃদ্রোগের জটিলতা বর্তমানে অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে আছে বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার। তবে কিডনি, ফুসফুস ও লিভার সিরোসিসসহ আরও কিছু জটিলতা এখনো রয়ে গেছে। এই অবস্থায় খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থাকে ‘ঝুঁকিপূর্ণ’ হিসেবেই বিবেচনা করছেন চিকিৎসকেরা। এর পরেও বর্তমান করোনা পরিস্থিতিতে সংক্রমণের ঝুঁকি এড়াতে তাঁকে হাসপাতাল থেকে বাসায় নেওয়ার হচ্ছে।
আজ শুক্রবার বিকেলে রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে সংবাদ সম্মেলন করে এমনটাই জানিয়েছেন খালেদা জিয়ার চিকিৎসায় গঠিত মেডিকেল বোর্ডের সদস্যরা। হার্টের সমস্যা নিয়ে গত ১১ জুন থেকে এই হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন খালেদা জিয়া। হাসপাতালে ভর্তির পর এনজিওগ্রাম করলে তাঁর হার্টে তিনটি ব্লক ধরা পড়ে। এরই মধ্যে রিং পরিয়ে একটি ব্লক অপসারণ করা হয়।
সংবাদ সম্মেলনে মেডিকেল বোর্ডের প্রধান শাহাবুদ্দিন তালুকদার বলেন, ‘শি ইজ ডুইং ফাইন। কিন্তু এই মুহূর্তে তিনি (খালেদা জিয়া) কোভিডে আক্রান্ত হলে ক্রিটিক্যাল সিচুয়েশনে চলে যেতে পারেন। তাই তাঁকে আমরা বাসায় রেখে চিকিৎসা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।’ প্রয়োজন হলে আবারও খালেদা জিয়াকে হাসপাতালে ভর্তি করানো হবে বলে জানান তিনি।
শাহাবুদ্দিন তালুকদার আরও বলেন, ‘খালেদা জিয়ার খাদ্যনালির যে সমস্যা ছিল, সেটি এখন কী অবস্থায় আছে, তা দেখা সম্ভব হয়নি। কারণ সেই ধরনের পরীক্ষা করার মতো তাঁর শারীরিক অবস্থা নেই এই মুহূর্তে।’
খালেদা জিয়ার মেডিকেল বোর্ডের আরেকজন চিকিৎসক ডা. এফ এম সিদ্দিকী বলেন, ‘খালেদা জিয়ার ফুসফুসে পানি চলে এসেছিল। পরে ইনজেকশন দিয়ে সেই পানি সরানো হয়। এখন তাঁর হার্টে পানি নেই।’
সিদ্দিকী আরও বলেন, ‘আমরা দেখেছি রোগীকে (খালেদা জিয়া) এক থেকে দেড় ঘণ্টার মধ্যে বাসা থেকে হাসপাতালে স্থানান্তর করতে পারছি। আর বাসায় প্রতিদিনই আমাদের মেডিকেল বোর্ডের একজন চিকিৎসক তাঁকে মনিটরিং করে। সবকিছু বিবেচনায় নিয়ে তাঁকে বাসায় নিয়ে যাওয়া হচ্ছে।’
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে এফ এম সিদ্দিকী বলেন, ‘খালেদা জিয়া এখনো ঝুঁকিতে আছেন। তাঁকে চিকিৎসার জন্য বাইরে নেওয়ার সুযোগ এখনো মোটামুটিভাবে আছে। এখন পর্যন্ত বিমানে ভ্রমণ করার শারীরিক সক্ষমতা আছে। ওনার সবগুলো জটিলতার চিকিৎসা করতে হলে বা সুস্থ করতে হলে যা করার দরকার তা দেশে আমরা পুরোপুরি করতে পারছি না। সেই সক্ষমতা, ব্যবস্থা আমাদের এখানে নেই। তাঁর সুষ্ঠু চিকিৎসা বাংলাদেশে সম্ভব নয়। এ জন্য আমরা আগেও বলেছি, এখনো বলছি, তাঁর সুষ্ঠু চিকিৎসার জন্য দেশের বাইরে উন্নত চিকিৎসাকেন্দ্রে নেওয়া দরকার।’
সিদ্দিকী বলেন, করোনাভাইরাসের ধরন ওমিক্রন ভয়াবহ না হলেও খালেদা জিয়ার জন্য ঝুঁকিপূর্ণ। তার আগের যে লিভার সিরোসিস, ফুসফুসের সমস্যা, সেটি এখনো আছে। তার কোনো চিকিৎসা হয়নি। আমরা যে রক্তক্ষরণ বন্ধ করে রেখেছিলাম, সেটা এখন কী অবস্থায়, তা জানি না। কারণ গত ছয় মাসে সেটার ফলোআপ করতে পারিনি। এখনো তাঁর হৃদ্রোগের সমস্যার কারণে এন্ডোস্কোপি করা সম্ভব হয়নি।
নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ ও বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে মধ্যাহ্নভোজ বা বিকেলের চায়ের আমন্ত্রণ জানিয়েছেন যুক্তরাজ্যের সাবেক মন্ত্রী ও ব্রিটিশ এমপি টিউলিপ সিদ্দিক। ড. ইউনূসের লন্ডন সফরকালে এই সাক্ষাৎ চান টিউলিপ, যেখানে তিনি ‘ভুল বোঝাবুঝি’ নিরসনের আশায় ব্যক্তিগত
১২ মিনিট আগেঅন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের যুক্তরাজ্য সফরকালে তাঁর সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে চেয়ে চিঠি দিয়েছেন বাংলাদেশের সাবেক ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভাগনি সাবেক ব্রিটিশ মন্ত্রী টিউলিপ সিদ্দিক। দুর্নীতির অভিযোগে সৃষ্ট ‘ভুল বোঝাবুঝি’ মেটাতে টিউলিপ এ সাক্ষাৎ চান বলে দ্য গার্ডিয়ান
৫ ঘণ্টা আগেসম্প্রতি কোভিড-১৯ সংক্রমণ হারের ঊর্ধ্বগতি বিবেচনা করে জনসমাগমপূর্ণ এলাকায় সকলকে মাস্ক পরার জন্য অনুরোধ জানিয়েছে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়। বিশেষত বয়স্ক ও অসুস্থ ব্যক্তিদের স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে এ ধরনের স্থান এড়িয়ে চলার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
৮ ঘণ্টা আগেজুলাই-আগস্টে ছাত্র জনতার গণ-অভ্যুত্থানে সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচার শুরু হয়েছে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে। ক্ষমতাচ্যুত সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে নির্দেশদাতা উল্লেখ করে তার বিরুদ্ধে আনা ৫টি অভিযোগ আমলে নিয়েছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল।
১ দিন আগে