Ajker Patrika

টিকা তৈরির অনুমোদন পেল এসেনসিয়াল ড্রাগ: স্বাস্থ্যমন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
আপডেট : ৩১ মার্চ ২০২২, ২১: ২১
টিকা তৈরির অনুমোদন পেল এসেনসিয়াল ড্রাগ: স্বাস্থ্যমন্ত্রী

সরকারি ওষুধ তৈরির প্রতিষ্ঠান এসেনসিয়াল ড্রাগ কোম্পানি লিমিটেডকে (ইডিসিএল) টিকা তৈরির নীতিগত অনুমোদন দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। এ জন্য প্রয়োজনীয় অর্থ বরাদ্দ দেওয়া হচ্ছে। বৃহস্পতিবার রাজধানীর ওসমানি স্মৃতি মিলনায়তনে আয়োজিত ‘স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাতীয় পুরস্কার-২০২০’ প্রদান অনুষ্ঠানে এ কথা জানান স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক।

স্বাস্থ্যসেবায় বিশেষ অবদানের জন্য দেশের উপজেলা, জেলা, সিভিল সার্জন অফিস, টারশিয়ারি ও বিশেষায়িত স্বাস্থ্যসেবা প্রতিষ্ঠানকে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাতীয় পুরস্কার দিয়েছে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। মোট ১০টি ক্যাটাগরিতে দেশের উপজেলা, জেলা, বিভাগ, বিশেষায়িত মিলিয়ে মোট ৪৭ প্রতিষ্ঠানকে এবার পুরস্কৃত করা হয়। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী। 

করোনার টিকা কার্যক্রম সম্পর্কে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ‘রমজান মাসেও টিকা কার্যক্রম চলবে। গণটিকা কার্যক্রমের সময় আরও বাড়ানো হবে। দেশের ১২ বছরের বেশি বয়সী ৯৬ শতাংশ মানুষকে টিকা দেওয়া হয়েছে। এই মুহূর্তে ৫ কোটি ডোজ টিকা মজুত রয়েছে। আরও ৬ কোটি টিকা পাইপলাইনে রয়েছে। গত ১০-১২ দিনে দেশে আড়াই কোটি জনগণকে টিকা দেওয়া হয়েছে। দেশের ১৩ কোটি মানুষ টিকার প্রথম ডোজ পেয়েছে। আর দ্বিতীয় ডোজ পেয়েছে ১১ কোটি মানুষ।’ 

এবার বিশেষায়িত হাসপাতাল হিসেবে জাতীয় নিউরো সায়েন্স ইনস্টিটিউট পুরস্কার পেয়েছে। হাসপাতালটির পরিচালক অধ্যাপক ডা. দ্বীন মোহাম্মদ আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘স্বাস্থ্যসেবা, পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা ও সবার উপস্থিতি নিশ্চিত করায় সরকারের পক্ষ থেকে এই পুরস্কার দেওয়া হয়েছে।’ 

ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালকে বিশেষ ক্যাটাগরিতে পুরস্কৃত করা হয়েছে। এ বিষয়ে জানতে চাইলে প্রতিষ্ঠানটির পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ডা. মিজানুর রহমান বলেন, ‘ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল হচ্ছে মানুষের আস্থার জায়গা। এখান থেকে কোনো রোগীকে ফেরত দেওয়া হয় না। বিশেষায়িত হাসপাতাল থেকেও রেফার্ড রোগী এখানে চিকিৎসা নিচ্ছেন। এসব কারণে এটিকে পুরস্কারের আওতায় আনা হয়েছে।’ 

তবে এবারের পুরস্কার প্রদান অনুষ্ঠানে অব্যবস্থাপনা নিয়ে কিছু অসন্তোষ রয়েছে। এর কারণ হিসেবে তড়িঘড়ি অনুষ্ঠান আয়োজনকে কারণ হিসেবে উল্লেখ করেছেন সংশ্লিষ্ট কয়েকটি সূত্র। 

এ সম্পর্কিত একটি সূত্র জানায়, স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাতীয় পুরস্কার মূলত বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার অর্থায়ন ও কারিগরি সহায়তায় ২০১৪ সাল থেকে দেওয়া হচ্ছে। তবে এ খাতে কত কোটি টাকা বাজেট রয়েছে, সে তথ্য স্বাস্থ্য অধিদপ্তর বা স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্তাব্যক্তিদের কাছ থেকে জানা যায়নি। অনুষ্ঠানে উপস্থিত স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (জনস্বাস্থ্য ও বিশ্ব স্বাস্থ্য) কাজী জেবুন্নেসা বলেন, বাজেটের বিষয়টি তার জানা নেই।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত