সৌগত বসু, ঢাকা

বছরের পর বছর তীব্র যানজটের ভোগান্তি দিয়ে অবশেষে জোড়াতালি দিয়ে চালু হচ্ছে ঢাকা-গাজীপুর বাস র্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) প্রকল্প। তবে ১২ বছর বয়সী প্রকল্পটির কাজ এখনো শেষ হয়নি। এ পথে চলাচলের জন্য নির্ধারিত বিশেষায়িত বাসও কেনা হয়নি। তাই শুরুতে বিআরটিসির বাসই চলবে। প্রস্তুতিতে নানা ঘাটতি নিয়েই ৬ ডিসেম্বর শুরু হয়েছে পরীক্ষামূলক চলাচল। ১৬ ডিসেম্বর এটি উদ্বোধনের কথা রয়েছে।
৪ হাজার ২৬৭ কোটি টাকার বিআরটি প্রকল্পের শেষ দিকে ধরা পড়েছে নির্মাণ ত্রুটিও। দফায় দফায় কাজের মেয়াদ বৃদ্ধি এবং পরিকল্পনায় বড় ত্রুটির কারণে প্রকল্পসংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারাই এটিকে রুগ্ণ প্রকল্প আখ্যা দিয়েছেন। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এত ভোগান্তি, বিপুল অর্থ ও সময় ব্যয়ের পর জোড়াতালি দিয়ে চালু করে বিআরটি প্রকল্পের লক্ষ্য পূরণ হবে না।
অভিযোগ রয়েছে, দরপত্রে অনিয়মের কারণে দুই বছরেও কেনা যায়নি বিশেষায়িত ১৩৭টি বাস। কারসাজির কারণে সাবেক সড়ক পরিবহনমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের ও সাবেক সড়ক সচিব এ বি এম আমিন উল্লাহ নূরীর ‘পছন্দের’ প্রতিষ্ঠান বাদ পড়ায় ‘কার্যকর প্রতিযোগিতা’ হয়নি—এমন অজুহাতে একটি দরপত্র বাতিল করা হয়।
জানতে চাইলে অন্তর্বর্তী সরকারের সড়ক পরিবহন ও সেতু উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান ৮ ডিসেম্বর আজকের পত্রিকাকে বলেন, বিশেষায়িত বাসের দরপত্র আহ্বান করা হয়েছে। বাস আসতে সময় লাগবে। এই বাস চলাচলের জন্য যে সফটওয়্যার লাগবে, তা এখনো করা হয়নি। তিনি বলেন, এত বড় বিনিয়োগে এখনো মানুষ কিছু পাচ্ছে না। এই রাস্তা বন্ধ থাকায় পাশের রাস্তায় যানজট হচ্ছে। এগুলো ভেবে বিআরটিসির বাস চালু হচ্ছে। এই লাইনে ব্যক্তিগত গাড়িও চলবে।
ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে সড়ক খাতে নেওয়া বড় প্রকল্পগুলোর একটি বাস র্যাপিড ট্রানজিট বা বিআরটি। দ্রুততম সময়ে বিশেষায়িত বাসে নিরবচ্ছিন্ন সেবা দেওয়ার উদ্দেশ্য নিয়ে রাজধানীর বিমানবন্দর থেকে গাজীপুরের শিববাড়ি পর্যন্ত মূল সড়কের মাঝখানে ২০ দশমিক ৫ কিলোমিটার দীর্ঘ বিশেষ এই সড়ক নির্মাণের প্রকল্প নেওয়া হয়। বিশেষ এই সড়কে চলবে ‘ঢাকা লাইন’ নামে বিশেষায়িত বাস। শুরুতে এই প্রকল্পের ব্যয় ছিল ২ হাজার ৩৯৮ কোটি টাকা। পরে দফায় দফায় খরচ বেড়ে ব্যয় দাঁড়ায় ৪ হাজার ২৬৮ কোটি টাকা। ২০১২ সালে প্রকল্প নেওয়া হলেও কাজ শুরু হয় ২০১৭ সালে। কাজে ধীরগতির কারণে ইতিমধ্যে ছয় দফা মেয়াদ বাড়ানো হয়েছে। সর্বশেষ বাড়ানো মেয়াদ শেষ হচ্ছে চলতি ডিসেম্বরে। কিন্তু কাজ শেষ হচ্ছে না। বিআরটি প্রকল্পে ঋণ সহায়তা দিচ্ছে এডিবি, এএফডি ও জিইএফ। প্রকল্পের ঠিকাদার চায়না গ্যাজুবা গ্রুপ করপোরেশন (সিজিজিসি)।
বিশ্বের বিভিন্ন শহরে বিআরটি ব্যবস্থা যাত্রী চলাচলে ভালো ভূমিকা রাখছে। দেশে বিআরটি প্রকল্পের শুরুতেও এমন আশা দেখানো হয়েছে। তবে প্রকল্পের শুরু থেকেই বিমানবন্দর থেকে গাজীপুর পর্যন্ত তীব্র যানজটে পড়ে ভুগতে হয়েছে মানুষকে। নির্মাণকাজে গাফিলতির কারণে এ পর্যন্ত প্রাণ গেছে ১০ জনের।
প্রকল্প সূত্র জানায়, বিমানবন্দর থেকে গাজীপুরের শিববাড়ি টার্মিনাল পর্যন্ত সড়কের ডান দিকে ২৫টি বিআরটি স্টেশন থাকবে। কেবল স্টেশনেই বাসে ওঠা-নামা করতে পারবেন যাত্রীরা। শুরুতে এ পথে আর্টিকুলেটেড বাস চালানোর কথা থাকলেও পরে তা পরিবর্তন করে স্ট্যান্ডার্ড বাস বা বিশেষায়িত বাস চলবে বলে সিদ্ধান্ত হয়। এসব বাসের দরজা থাকবে ডান দিকে। স্টেশনে ঢোকার আগেই যাত্রীকে টিকিট নিতে হবে। ভাড়া নেওয়া হবে ইলেকট্রনিক পদ্ধতিতে। বাসগুলো স্টেশনের প্ল্যাটফর্মের সমতলে থামিয়ে যাত্রীদের ওঠানো-নামানো হবে। বাসগুলো প্রতি ঘণ্টায় একমুখী যাতায়াতে ১০ হাজার যাত্রী পরিবহন করতে পারবে।
তবে বিশেষায়িত বাস না কেনায় বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন করপোরেশনের (বিআরটিসি) ১০টি শীতাতপ বাস শুরুতে চলবে। ৬ ডিসেম্বর পরীক্ষামূলক চলাচল শুরু হয়েছে। উদ্বোধনের তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছে ১৬ ডিসেম্বর। বিআরটিসি বলেছে, যাত্রী চাহিদা বাড়লে বাসের সংখ্যা বাড়ানো হবে। গুলিস্তান থেকে এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে হয়ে শিববাড়ি পর্যন্ত বিআরটিসি বাসের ভাড়া নির্ধারণ করা হয়েছে ১৪০ টাকা।
প্রকল্পসংশ্লিষ্ট সূত্র বলছে, বাস কেনা নিয়ে সময়ক্ষেপণ হয়েছে। যত দিন বাস না আসবে তত দিন বিআরটিসির বাস চলবে। আগের দরপত্রে অংশ নেওয়া ছয়টি প্রতিষ্ঠান ছিল চীনের। এবারের দরপত্রে অংশ নিয়েছে দুটি ভিন্ন দেশের প্রতিষ্ঠান। এগুলোর আর্থিক মূল্যায়ন চলছে। মূল্যায়ন চূড়ান্ত হলে সর্বনিম্ন দরদাতা প্রতিষ্ঠানকে কার্যাদেশ দেওয়া হবে।
সূত্রটি আরও বলেছে, প্রকল্পের ১৩৭টি বাস কিনতে ঋণ সহায়তা দিচ্ছে ফ্রান্স। বাস কেনার প্রক্রিয়া দুই বছরেও শেষ হয়নি। ২০২৩ সালের ১৮ এপ্রিল মূল্যায়ন কমিটি চীনের হাইগার বাস কোম্পানি লিমিটেডকে সর্বনিম্ন দরদাতা হিসেবে সুপারিশ করে। তবে একই ব্যবসায়ী গ্রুপের আরও একটি প্রতিষ্ঠান দরপত্রে অংশ নেওয়ায় বেআইনি হওয়ায় দুই প্রতিষ্ঠানকেই অযোগ্য ঘোষণা করা হয়। ওই দরপত্র বাতিলের পর চলতি বছরের ১৮ এপ্রিল আবার দরপত্র আহ্বান করা হয়।
অভিযোগ রয়েছে, সাবেক সড়ক পরিবহনমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের এবং সাবেক সড়ক সচিব এ বি এম আমিন উল্লাহ নূরী বাস কেনার জন্য ‘পছন্দের’ প্রতিষ্ঠান দিয়ে দরপত্র আহ্বান করিয়েছিলেন। সেই দরপত্রে কারসাজি ধরা পড়লে তাঁদের পছন্দের প্রতিষ্ঠান বাদ পড়ে। এতে ‘কার্যকর প্রতিযোগিতা’ না হওয়ার কারণ দেখিয়ে দরপত্র বাতিল করা হয়। নতুন করে দরপত্র আহ্বান করা হয়। প্রথমবার ছয়টি প্রতিষ্ঠান অংশ নিলেও দ্বিতীয়বার অংশ নেয় দুটি প্রতিষ্ঠান।
বিআরটি প্রকল্প উদ্বোধনের দিন ঘনিয়ে এলেও প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়নি। বুধবার সরেজমিনে দেখা যায়, বাসের স্টেশনগুলোর কাজ পুরোপুরি শেষ হয়নি। সব স্টেশনে ময়লার স্তূপ। ইলেকট্রিক সিঁড়ি দেওয়া হলেও সেগুলো বিকল অবস্থায় আছে। বিআরটি লাইনে গণপরিবহনের পাশাপাশি সব ধরনের যানবাহন চলছে।
দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) পুরকৌশল বিভাগের অধ্যাপক ও যোগাযোগ খাতে বিশেষজ্ঞ ড. হাদিউজ্জামান আজকের পত্রিকাকে বলেন, শুরুতে আর্টিকুলেটেড বাস চলার কথা ছিল, যে বাসে ১৪০ জন করে যাত্রী বহন করা যায়। এখন স্ট্যান্ডার্ড রুটের বাস চলার কথা বলা হচ্ছে। সেটার প্রস্তুতিতেও ঘাটতি হয়েছে। এখন বিআরটিসির বাস দিয়ে পরীক্ষামূলক চলাচল করছে। তবে যে ধরনের বাস চলার কথা বলা হয়েছিল মূলত সেভাবেই পরীক্ষা করতে হবে। এভাবে জোড়াতালি দিয়ে এই পরীক্ষা চালিয়ে বিআরটি করার লক্ষ্য পূরণ হচ্ছে না।
অভিযোগের সুরাহা হয়নি
বিআরটি প্রকল্প নিয়ে চলতি বছরের ২৭ মার্চ গাজীপুরে গণশুনানিতে নানা অভিযোগ ও অসংগতি তুলে ধরেন এলাকাবাসী। তাঁরা বলেন, ভোগড়ায় ফ্লাইওভারের উচ্চতা কম, সরু ড্রেনের কারণে মহাসড়কের পানি সরে না। বিআরটি স্টেশনে যাতায়াতের জন্য নির্মিত ৭২ ফুট উঁচু সিঁড়ি বয়স্ক মানুষ, মহিলা ও শিশুদের দুর্ভোগে ফেলবে। আগে সড়ক ও জনপথের মহাসড়কের প্রশস্ততা ছিল ১০০ ফুট। ওই মহাসড়ক দিয়ে দেশের উত্তর ও উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলের যানবাহন চলে। কিন্তু এখন মহাসড়ক খুব সরু হয়ে পড়েছে। প্রকল্পটির চান্দনা চৌরাস্তা থেকে শিববাড়ি মোড় পর্যন্ত ৭ কিলোমিটার সড়কের কোথাও ফুটপাত রাখা হয়নি, কোনো ইউটার্নও নেই।
এসব সমস্যা সমাধানে মন্ত্রণালয়ে চিঠি পাঠানো হয়েছে বলে জানানো হলেও সমাধান হয়নি।
স্থানীয়রা বলছেন, শুনানির পর শুধু কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট থেকে শিববাড়ি পর্যন্ত এক থেকে দেড় ফুট প্রস্থের ফুটপাত বানানো হয়েছে।
বিআরটি প্রকল্পের এক কর্মকর্তা বলেন, মন্ত্রণালয়ে যেসব সমস্যা জানানো হয়েছে, সেগুলো ধাপে ধাপে সমাধান করা হবে। ট্রাফিক বিভাগ থেকেও কিছু পরামর্শ এসেছে। সেগুলো নিয়েও কাজ করা হবে।
এসব বিষয়ে জানতে ঢাকা বিআরটি কোম্পানি লিমিটেডের মহাব্যবস্থাপক মো. মহিউদ্দিনের সঙ্গে মোবাইলে যোগাযোগ করা হলে তিনি মন্তব্য করতে অপারগতা জানান।
তবে প্রতিষ্ঠানটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক ড. মো. মনিরুজ্জামান শনিবার আজকের পত্রিকাকে বলেন, বাস কেনার দরপত্রের নোটিফিকেশন অব অ্যাওয়ার্ড (কাজ পাওয়ার নিশ্চিতকরণপত্র) এখনো পাঠানো হয়নি। এটি পাঠানোর পাঁচ থেকে ছয় মাস পর বাস আসতে পারে। প্রকল্পের কাজ এখনো চলমান। যেহেতু বাস আসতে সময় লাগছে তাই এই রুট খালি রাখা হচ্ছে না।
বিআরটি প্রকল্প কবে শেষ হবে সে বিষয়ে নির্দিষ্ট করে কিছু জানাননি সড়ক পরিবহন ও সেতু উপদেষ্টা। তিনি বলেন, গত ৫ আগস্টের আগে প্রকল্পের যেসব জিনিস ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে সেগুলো ঠিক করতে হবে। আগের সরকারের সময় বাস কেনার কথা থাকলেও হয়নি। দুর্নীতি হয়েছে। এখন যেন ঠিকভাবে হয় তা দেখা হচ্ছে।
[তথ্য দিয়ে সহায়তা করেছেন আজকের পত্রিকার গাজীপুর প্রতিনিধি]

বছরের পর বছর তীব্র যানজটের ভোগান্তি দিয়ে অবশেষে জোড়াতালি দিয়ে চালু হচ্ছে ঢাকা-গাজীপুর বাস র্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) প্রকল্প। তবে ১২ বছর বয়সী প্রকল্পটির কাজ এখনো শেষ হয়নি। এ পথে চলাচলের জন্য নির্ধারিত বিশেষায়িত বাসও কেনা হয়নি। তাই শুরুতে বিআরটিসির বাসই চলবে। প্রস্তুতিতে নানা ঘাটতি নিয়েই ৬ ডিসেম্বর শুরু হয়েছে পরীক্ষামূলক চলাচল। ১৬ ডিসেম্বর এটি উদ্বোধনের কথা রয়েছে।
৪ হাজার ২৬৭ কোটি টাকার বিআরটি প্রকল্পের শেষ দিকে ধরা পড়েছে নির্মাণ ত্রুটিও। দফায় দফায় কাজের মেয়াদ বৃদ্ধি এবং পরিকল্পনায় বড় ত্রুটির কারণে প্রকল্পসংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারাই এটিকে রুগ্ণ প্রকল্প আখ্যা দিয়েছেন। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এত ভোগান্তি, বিপুল অর্থ ও সময় ব্যয়ের পর জোড়াতালি দিয়ে চালু করে বিআরটি প্রকল্পের লক্ষ্য পূরণ হবে না।
অভিযোগ রয়েছে, দরপত্রে অনিয়মের কারণে দুই বছরেও কেনা যায়নি বিশেষায়িত ১৩৭টি বাস। কারসাজির কারণে সাবেক সড়ক পরিবহনমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের ও সাবেক সড়ক সচিব এ বি এম আমিন উল্লাহ নূরীর ‘পছন্দের’ প্রতিষ্ঠান বাদ পড়ায় ‘কার্যকর প্রতিযোগিতা’ হয়নি—এমন অজুহাতে একটি দরপত্র বাতিল করা হয়।
জানতে চাইলে অন্তর্বর্তী সরকারের সড়ক পরিবহন ও সেতু উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান ৮ ডিসেম্বর আজকের পত্রিকাকে বলেন, বিশেষায়িত বাসের দরপত্র আহ্বান করা হয়েছে। বাস আসতে সময় লাগবে। এই বাস চলাচলের জন্য যে সফটওয়্যার লাগবে, তা এখনো করা হয়নি। তিনি বলেন, এত বড় বিনিয়োগে এখনো মানুষ কিছু পাচ্ছে না। এই রাস্তা বন্ধ থাকায় পাশের রাস্তায় যানজট হচ্ছে। এগুলো ভেবে বিআরটিসির বাস চালু হচ্ছে। এই লাইনে ব্যক্তিগত গাড়িও চলবে।
ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে সড়ক খাতে নেওয়া বড় প্রকল্পগুলোর একটি বাস র্যাপিড ট্রানজিট বা বিআরটি। দ্রুততম সময়ে বিশেষায়িত বাসে নিরবচ্ছিন্ন সেবা দেওয়ার উদ্দেশ্য নিয়ে রাজধানীর বিমানবন্দর থেকে গাজীপুরের শিববাড়ি পর্যন্ত মূল সড়কের মাঝখানে ২০ দশমিক ৫ কিলোমিটার দীর্ঘ বিশেষ এই সড়ক নির্মাণের প্রকল্প নেওয়া হয়। বিশেষ এই সড়কে চলবে ‘ঢাকা লাইন’ নামে বিশেষায়িত বাস। শুরুতে এই প্রকল্পের ব্যয় ছিল ২ হাজার ৩৯৮ কোটি টাকা। পরে দফায় দফায় খরচ বেড়ে ব্যয় দাঁড়ায় ৪ হাজার ২৬৮ কোটি টাকা। ২০১২ সালে প্রকল্প নেওয়া হলেও কাজ শুরু হয় ২০১৭ সালে। কাজে ধীরগতির কারণে ইতিমধ্যে ছয় দফা মেয়াদ বাড়ানো হয়েছে। সর্বশেষ বাড়ানো মেয়াদ শেষ হচ্ছে চলতি ডিসেম্বরে। কিন্তু কাজ শেষ হচ্ছে না। বিআরটি প্রকল্পে ঋণ সহায়তা দিচ্ছে এডিবি, এএফডি ও জিইএফ। প্রকল্পের ঠিকাদার চায়না গ্যাজুবা গ্রুপ করপোরেশন (সিজিজিসি)।
বিশ্বের বিভিন্ন শহরে বিআরটি ব্যবস্থা যাত্রী চলাচলে ভালো ভূমিকা রাখছে। দেশে বিআরটি প্রকল্পের শুরুতেও এমন আশা দেখানো হয়েছে। তবে প্রকল্পের শুরু থেকেই বিমানবন্দর থেকে গাজীপুর পর্যন্ত তীব্র যানজটে পড়ে ভুগতে হয়েছে মানুষকে। নির্মাণকাজে গাফিলতির কারণে এ পর্যন্ত প্রাণ গেছে ১০ জনের।
প্রকল্প সূত্র জানায়, বিমানবন্দর থেকে গাজীপুরের শিববাড়ি টার্মিনাল পর্যন্ত সড়কের ডান দিকে ২৫টি বিআরটি স্টেশন থাকবে। কেবল স্টেশনেই বাসে ওঠা-নামা করতে পারবেন যাত্রীরা। শুরুতে এ পথে আর্টিকুলেটেড বাস চালানোর কথা থাকলেও পরে তা পরিবর্তন করে স্ট্যান্ডার্ড বাস বা বিশেষায়িত বাস চলবে বলে সিদ্ধান্ত হয়। এসব বাসের দরজা থাকবে ডান দিকে। স্টেশনে ঢোকার আগেই যাত্রীকে টিকিট নিতে হবে। ভাড়া নেওয়া হবে ইলেকট্রনিক পদ্ধতিতে। বাসগুলো স্টেশনের প্ল্যাটফর্মের সমতলে থামিয়ে যাত্রীদের ওঠানো-নামানো হবে। বাসগুলো প্রতি ঘণ্টায় একমুখী যাতায়াতে ১০ হাজার যাত্রী পরিবহন করতে পারবে।
তবে বিশেষায়িত বাস না কেনায় বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন করপোরেশনের (বিআরটিসি) ১০টি শীতাতপ বাস শুরুতে চলবে। ৬ ডিসেম্বর পরীক্ষামূলক চলাচল শুরু হয়েছে। উদ্বোধনের তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছে ১৬ ডিসেম্বর। বিআরটিসি বলেছে, যাত্রী চাহিদা বাড়লে বাসের সংখ্যা বাড়ানো হবে। গুলিস্তান থেকে এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে হয়ে শিববাড়ি পর্যন্ত বিআরটিসি বাসের ভাড়া নির্ধারণ করা হয়েছে ১৪০ টাকা।
প্রকল্পসংশ্লিষ্ট সূত্র বলছে, বাস কেনা নিয়ে সময়ক্ষেপণ হয়েছে। যত দিন বাস না আসবে তত দিন বিআরটিসির বাস চলবে। আগের দরপত্রে অংশ নেওয়া ছয়টি প্রতিষ্ঠান ছিল চীনের। এবারের দরপত্রে অংশ নিয়েছে দুটি ভিন্ন দেশের প্রতিষ্ঠান। এগুলোর আর্থিক মূল্যায়ন চলছে। মূল্যায়ন চূড়ান্ত হলে সর্বনিম্ন দরদাতা প্রতিষ্ঠানকে কার্যাদেশ দেওয়া হবে।
সূত্রটি আরও বলেছে, প্রকল্পের ১৩৭টি বাস কিনতে ঋণ সহায়তা দিচ্ছে ফ্রান্স। বাস কেনার প্রক্রিয়া দুই বছরেও শেষ হয়নি। ২০২৩ সালের ১৮ এপ্রিল মূল্যায়ন কমিটি চীনের হাইগার বাস কোম্পানি লিমিটেডকে সর্বনিম্ন দরদাতা হিসেবে সুপারিশ করে। তবে একই ব্যবসায়ী গ্রুপের আরও একটি প্রতিষ্ঠান দরপত্রে অংশ নেওয়ায় বেআইনি হওয়ায় দুই প্রতিষ্ঠানকেই অযোগ্য ঘোষণা করা হয়। ওই দরপত্র বাতিলের পর চলতি বছরের ১৮ এপ্রিল আবার দরপত্র আহ্বান করা হয়।
অভিযোগ রয়েছে, সাবেক সড়ক পরিবহনমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের এবং সাবেক সড়ক সচিব এ বি এম আমিন উল্লাহ নূরী বাস কেনার জন্য ‘পছন্দের’ প্রতিষ্ঠান দিয়ে দরপত্র আহ্বান করিয়েছিলেন। সেই দরপত্রে কারসাজি ধরা পড়লে তাঁদের পছন্দের প্রতিষ্ঠান বাদ পড়ে। এতে ‘কার্যকর প্রতিযোগিতা’ না হওয়ার কারণ দেখিয়ে দরপত্র বাতিল করা হয়। নতুন করে দরপত্র আহ্বান করা হয়। প্রথমবার ছয়টি প্রতিষ্ঠান অংশ নিলেও দ্বিতীয়বার অংশ নেয় দুটি প্রতিষ্ঠান।
বিআরটি প্রকল্প উদ্বোধনের দিন ঘনিয়ে এলেও প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়নি। বুধবার সরেজমিনে দেখা যায়, বাসের স্টেশনগুলোর কাজ পুরোপুরি শেষ হয়নি। সব স্টেশনে ময়লার স্তূপ। ইলেকট্রিক সিঁড়ি দেওয়া হলেও সেগুলো বিকল অবস্থায় আছে। বিআরটি লাইনে গণপরিবহনের পাশাপাশি সব ধরনের যানবাহন চলছে।
দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) পুরকৌশল বিভাগের অধ্যাপক ও যোগাযোগ খাতে বিশেষজ্ঞ ড. হাদিউজ্জামান আজকের পত্রিকাকে বলেন, শুরুতে আর্টিকুলেটেড বাস চলার কথা ছিল, যে বাসে ১৪০ জন করে যাত্রী বহন করা যায়। এখন স্ট্যান্ডার্ড রুটের বাস চলার কথা বলা হচ্ছে। সেটার প্রস্তুতিতেও ঘাটতি হয়েছে। এখন বিআরটিসির বাস দিয়ে পরীক্ষামূলক চলাচল করছে। তবে যে ধরনের বাস চলার কথা বলা হয়েছিল মূলত সেভাবেই পরীক্ষা করতে হবে। এভাবে জোড়াতালি দিয়ে এই পরীক্ষা চালিয়ে বিআরটি করার লক্ষ্য পূরণ হচ্ছে না।
অভিযোগের সুরাহা হয়নি
বিআরটি প্রকল্প নিয়ে চলতি বছরের ২৭ মার্চ গাজীপুরে গণশুনানিতে নানা অভিযোগ ও অসংগতি তুলে ধরেন এলাকাবাসী। তাঁরা বলেন, ভোগড়ায় ফ্লাইওভারের উচ্চতা কম, সরু ড্রেনের কারণে মহাসড়কের পানি সরে না। বিআরটি স্টেশনে যাতায়াতের জন্য নির্মিত ৭২ ফুট উঁচু সিঁড়ি বয়স্ক মানুষ, মহিলা ও শিশুদের দুর্ভোগে ফেলবে। আগে সড়ক ও জনপথের মহাসড়কের প্রশস্ততা ছিল ১০০ ফুট। ওই মহাসড়ক দিয়ে দেশের উত্তর ও উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলের যানবাহন চলে। কিন্তু এখন মহাসড়ক খুব সরু হয়ে পড়েছে। প্রকল্পটির চান্দনা চৌরাস্তা থেকে শিববাড়ি মোড় পর্যন্ত ৭ কিলোমিটার সড়কের কোথাও ফুটপাত রাখা হয়নি, কোনো ইউটার্নও নেই।
এসব সমস্যা সমাধানে মন্ত্রণালয়ে চিঠি পাঠানো হয়েছে বলে জানানো হলেও সমাধান হয়নি।
স্থানীয়রা বলছেন, শুনানির পর শুধু কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট থেকে শিববাড়ি পর্যন্ত এক থেকে দেড় ফুট প্রস্থের ফুটপাত বানানো হয়েছে।
বিআরটি প্রকল্পের এক কর্মকর্তা বলেন, মন্ত্রণালয়ে যেসব সমস্যা জানানো হয়েছে, সেগুলো ধাপে ধাপে সমাধান করা হবে। ট্রাফিক বিভাগ থেকেও কিছু পরামর্শ এসেছে। সেগুলো নিয়েও কাজ করা হবে।
এসব বিষয়ে জানতে ঢাকা বিআরটি কোম্পানি লিমিটেডের মহাব্যবস্থাপক মো. মহিউদ্দিনের সঙ্গে মোবাইলে যোগাযোগ করা হলে তিনি মন্তব্য করতে অপারগতা জানান।
তবে প্রতিষ্ঠানটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক ড. মো. মনিরুজ্জামান শনিবার আজকের পত্রিকাকে বলেন, বাস কেনার দরপত্রের নোটিফিকেশন অব অ্যাওয়ার্ড (কাজ পাওয়ার নিশ্চিতকরণপত্র) এখনো পাঠানো হয়নি। এটি পাঠানোর পাঁচ থেকে ছয় মাস পর বাস আসতে পারে। প্রকল্পের কাজ এখনো চলমান। যেহেতু বাস আসতে সময় লাগছে তাই এই রুট খালি রাখা হচ্ছে না।
বিআরটি প্রকল্প কবে শেষ হবে সে বিষয়ে নির্দিষ্ট করে কিছু জানাননি সড়ক পরিবহন ও সেতু উপদেষ্টা। তিনি বলেন, গত ৫ আগস্টের আগে প্রকল্পের যেসব জিনিস ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে সেগুলো ঠিক করতে হবে। আগের সরকারের সময় বাস কেনার কথা থাকলেও হয়নি। দুর্নীতি হয়েছে। এখন যেন ঠিকভাবে হয় তা দেখা হচ্ছে।
[তথ্য দিয়ে সহায়তা করেছেন আজকের পত্রিকার গাজীপুর প্রতিনিধি]
সৌগত বসু, ঢাকা

বছরের পর বছর তীব্র যানজটের ভোগান্তি দিয়ে অবশেষে জোড়াতালি দিয়ে চালু হচ্ছে ঢাকা-গাজীপুর বাস র্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) প্রকল্প। তবে ১২ বছর বয়সী প্রকল্পটির কাজ এখনো শেষ হয়নি। এ পথে চলাচলের জন্য নির্ধারিত বিশেষায়িত বাসও কেনা হয়নি। তাই শুরুতে বিআরটিসির বাসই চলবে। প্রস্তুতিতে নানা ঘাটতি নিয়েই ৬ ডিসেম্বর শুরু হয়েছে পরীক্ষামূলক চলাচল। ১৬ ডিসেম্বর এটি উদ্বোধনের কথা রয়েছে।
৪ হাজার ২৬৭ কোটি টাকার বিআরটি প্রকল্পের শেষ দিকে ধরা পড়েছে নির্মাণ ত্রুটিও। দফায় দফায় কাজের মেয়াদ বৃদ্ধি এবং পরিকল্পনায় বড় ত্রুটির কারণে প্রকল্পসংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারাই এটিকে রুগ্ণ প্রকল্প আখ্যা দিয়েছেন। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এত ভোগান্তি, বিপুল অর্থ ও সময় ব্যয়ের পর জোড়াতালি দিয়ে চালু করে বিআরটি প্রকল্পের লক্ষ্য পূরণ হবে না।
অভিযোগ রয়েছে, দরপত্রে অনিয়মের কারণে দুই বছরেও কেনা যায়নি বিশেষায়িত ১৩৭টি বাস। কারসাজির কারণে সাবেক সড়ক পরিবহনমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের ও সাবেক সড়ক সচিব এ বি এম আমিন উল্লাহ নূরীর ‘পছন্দের’ প্রতিষ্ঠান বাদ পড়ায় ‘কার্যকর প্রতিযোগিতা’ হয়নি—এমন অজুহাতে একটি দরপত্র বাতিল করা হয়।
জানতে চাইলে অন্তর্বর্তী সরকারের সড়ক পরিবহন ও সেতু উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান ৮ ডিসেম্বর আজকের পত্রিকাকে বলেন, বিশেষায়িত বাসের দরপত্র আহ্বান করা হয়েছে। বাস আসতে সময় লাগবে। এই বাস চলাচলের জন্য যে সফটওয়্যার লাগবে, তা এখনো করা হয়নি। তিনি বলেন, এত বড় বিনিয়োগে এখনো মানুষ কিছু পাচ্ছে না। এই রাস্তা বন্ধ থাকায় পাশের রাস্তায় যানজট হচ্ছে। এগুলো ভেবে বিআরটিসির বাস চালু হচ্ছে। এই লাইনে ব্যক্তিগত গাড়িও চলবে।
ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে সড়ক খাতে নেওয়া বড় প্রকল্পগুলোর একটি বাস র্যাপিড ট্রানজিট বা বিআরটি। দ্রুততম সময়ে বিশেষায়িত বাসে নিরবচ্ছিন্ন সেবা দেওয়ার উদ্দেশ্য নিয়ে রাজধানীর বিমানবন্দর থেকে গাজীপুরের শিববাড়ি পর্যন্ত মূল সড়কের মাঝখানে ২০ দশমিক ৫ কিলোমিটার দীর্ঘ বিশেষ এই সড়ক নির্মাণের প্রকল্প নেওয়া হয়। বিশেষ এই সড়কে চলবে ‘ঢাকা লাইন’ নামে বিশেষায়িত বাস। শুরুতে এই প্রকল্পের ব্যয় ছিল ২ হাজার ৩৯৮ কোটি টাকা। পরে দফায় দফায় খরচ বেড়ে ব্যয় দাঁড়ায় ৪ হাজার ২৬৮ কোটি টাকা। ২০১২ সালে প্রকল্প নেওয়া হলেও কাজ শুরু হয় ২০১৭ সালে। কাজে ধীরগতির কারণে ইতিমধ্যে ছয় দফা মেয়াদ বাড়ানো হয়েছে। সর্বশেষ বাড়ানো মেয়াদ শেষ হচ্ছে চলতি ডিসেম্বরে। কিন্তু কাজ শেষ হচ্ছে না। বিআরটি প্রকল্পে ঋণ সহায়তা দিচ্ছে এডিবি, এএফডি ও জিইএফ। প্রকল্পের ঠিকাদার চায়না গ্যাজুবা গ্রুপ করপোরেশন (সিজিজিসি)।
বিশ্বের বিভিন্ন শহরে বিআরটি ব্যবস্থা যাত্রী চলাচলে ভালো ভূমিকা রাখছে। দেশে বিআরটি প্রকল্পের শুরুতেও এমন আশা দেখানো হয়েছে। তবে প্রকল্পের শুরু থেকেই বিমানবন্দর থেকে গাজীপুর পর্যন্ত তীব্র যানজটে পড়ে ভুগতে হয়েছে মানুষকে। নির্মাণকাজে গাফিলতির কারণে এ পর্যন্ত প্রাণ গেছে ১০ জনের।
প্রকল্প সূত্র জানায়, বিমানবন্দর থেকে গাজীপুরের শিববাড়ি টার্মিনাল পর্যন্ত সড়কের ডান দিকে ২৫টি বিআরটি স্টেশন থাকবে। কেবল স্টেশনেই বাসে ওঠা-নামা করতে পারবেন যাত্রীরা। শুরুতে এ পথে আর্টিকুলেটেড বাস চালানোর কথা থাকলেও পরে তা পরিবর্তন করে স্ট্যান্ডার্ড বাস বা বিশেষায়িত বাস চলবে বলে সিদ্ধান্ত হয়। এসব বাসের দরজা থাকবে ডান দিকে। স্টেশনে ঢোকার আগেই যাত্রীকে টিকিট নিতে হবে। ভাড়া নেওয়া হবে ইলেকট্রনিক পদ্ধতিতে। বাসগুলো স্টেশনের প্ল্যাটফর্মের সমতলে থামিয়ে যাত্রীদের ওঠানো-নামানো হবে। বাসগুলো প্রতি ঘণ্টায় একমুখী যাতায়াতে ১০ হাজার যাত্রী পরিবহন করতে পারবে।
তবে বিশেষায়িত বাস না কেনায় বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন করপোরেশনের (বিআরটিসি) ১০টি শীতাতপ বাস শুরুতে চলবে। ৬ ডিসেম্বর পরীক্ষামূলক চলাচল শুরু হয়েছে। উদ্বোধনের তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছে ১৬ ডিসেম্বর। বিআরটিসি বলেছে, যাত্রী চাহিদা বাড়লে বাসের সংখ্যা বাড়ানো হবে। গুলিস্তান থেকে এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে হয়ে শিববাড়ি পর্যন্ত বিআরটিসি বাসের ভাড়া নির্ধারণ করা হয়েছে ১৪০ টাকা।
প্রকল্পসংশ্লিষ্ট সূত্র বলছে, বাস কেনা নিয়ে সময়ক্ষেপণ হয়েছে। যত দিন বাস না আসবে তত দিন বিআরটিসির বাস চলবে। আগের দরপত্রে অংশ নেওয়া ছয়টি প্রতিষ্ঠান ছিল চীনের। এবারের দরপত্রে অংশ নিয়েছে দুটি ভিন্ন দেশের প্রতিষ্ঠান। এগুলোর আর্থিক মূল্যায়ন চলছে। মূল্যায়ন চূড়ান্ত হলে সর্বনিম্ন দরদাতা প্রতিষ্ঠানকে কার্যাদেশ দেওয়া হবে।
সূত্রটি আরও বলেছে, প্রকল্পের ১৩৭টি বাস কিনতে ঋণ সহায়তা দিচ্ছে ফ্রান্স। বাস কেনার প্রক্রিয়া দুই বছরেও শেষ হয়নি। ২০২৩ সালের ১৮ এপ্রিল মূল্যায়ন কমিটি চীনের হাইগার বাস কোম্পানি লিমিটেডকে সর্বনিম্ন দরদাতা হিসেবে সুপারিশ করে। তবে একই ব্যবসায়ী গ্রুপের আরও একটি প্রতিষ্ঠান দরপত্রে অংশ নেওয়ায় বেআইনি হওয়ায় দুই প্রতিষ্ঠানকেই অযোগ্য ঘোষণা করা হয়। ওই দরপত্র বাতিলের পর চলতি বছরের ১৮ এপ্রিল আবার দরপত্র আহ্বান করা হয়।
অভিযোগ রয়েছে, সাবেক সড়ক পরিবহনমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের এবং সাবেক সড়ক সচিব এ বি এম আমিন উল্লাহ নূরী বাস কেনার জন্য ‘পছন্দের’ প্রতিষ্ঠান দিয়ে দরপত্র আহ্বান করিয়েছিলেন। সেই দরপত্রে কারসাজি ধরা পড়লে তাঁদের পছন্দের প্রতিষ্ঠান বাদ পড়ে। এতে ‘কার্যকর প্রতিযোগিতা’ না হওয়ার কারণ দেখিয়ে দরপত্র বাতিল করা হয়। নতুন করে দরপত্র আহ্বান করা হয়। প্রথমবার ছয়টি প্রতিষ্ঠান অংশ নিলেও দ্বিতীয়বার অংশ নেয় দুটি প্রতিষ্ঠান।
বিআরটি প্রকল্প উদ্বোধনের দিন ঘনিয়ে এলেও প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়নি। বুধবার সরেজমিনে দেখা যায়, বাসের স্টেশনগুলোর কাজ পুরোপুরি শেষ হয়নি। সব স্টেশনে ময়লার স্তূপ। ইলেকট্রিক সিঁড়ি দেওয়া হলেও সেগুলো বিকল অবস্থায় আছে। বিআরটি লাইনে গণপরিবহনের পাশাপাশি সব ধরনের যানবাহন চলছে।
দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) পুরকৌশল বিভাগের অধ্যাপক ও যোগাযোগ খাতে বিশেষজ্ঞ ড. হাদিউজ্জামান আজকের পত্রিকাকে বলেন, শুরুতে আর্টিকুলেটেড বাস চলার কথা ছিল, যে বাসে ১৪০ জন করে যাত্রী বহন করা যায়। এখন স্ট্যান্ডার্ড রুটের বাস চলার কথা বলা হচ্ছে। সেটার প্রস্তুতিতেও ঘাটতি হয়েছে। এখন বিআরটিসির বাস দিয়ে পরীক্ষামূলক চলাচল করছে। তবে যে ধরনের বাস চলার কথা বলা হয়েছিল মূলত সেভাবেই পরীক্ষা করতে হবে। এভাবে জোড়াতালি দিয়ে এই পরীক্ষা চালিয়ে বিআরটি করার লক্ষ্য পূরণ হচ্ছে না।
অভিযোগের সুরাহা হয়নি
বিআরটি প্রকল্প নিয়ে চলতি বছরের ২৭ মার্চ গাজীপুরে গণশুনানিতে নানা অভিযোগ ও অসংগতি তুলে ধরেন এলাকাবাসী। তাঁরা বলেন, ভোগড়ায় ফ্লাইওভারের উচ্চতা কম, সরু ড্রেনের কারণে মহাসড়কের পানি সরে না। বিআরটি স্টেশনে যাতায়াতের জন্য নির্মিত ৭২ ফুট উঁচু সিঁড়ি বয়স্ক মানুষ, মহিলা ও শিশুদের দুর্ভোগে ফেলবে। আগে সড়ক ও জনপথের মহাসড়কের প্রশস্ততা ছিল ১০০ ফুট। ওই মহাসড়ক দিয়ে দেশের উত্তর ও উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলের যানবাহন চলে। কিন্তু এখন মহাসড়ক খুব সরু হয়ে পড়েছে। প্রকল্পটির চান্দনা চৌরাস্তা থেকে শিববাড়ি মোড় পর্যন্ত ৭ কিলোমিটার সড়কের কোথাও ফুটপাত রাখা হয়নি, কোনো ইউটার্নও নেই।
এসব সমস্যা সমাধানে মন্ত্রণালয়ে চিঠি পাঠানো হয়েছে বলে জানানো হলেও সমাধান হয়নি।
স্থানীয়রা বলছেন, শুনানির পর শুধু কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট থেকে শিববাড়ি পর্যন্ত এক থেকে দেড় ফুট প্রস্থের ফুটপাত বানানো হয়েছে।
বিআরটি প্রকল্পের এক কর্মকর্তা বলেন, মন্ত্রণালয়ে যেসব সমস্যা জানানো হয়েছে, সেগুলো ধাপে ধাপে সমাধান করা হবে। ট্রাফিক বিভাগ থেকেও কিছু পরামর্শ এসেছে। সেগুলো নিয়েও কাজ করা হবে।
এসব বিষয়ে জানতে ঢাকা বিআরটি কোম্পানি লিমিটেডের মহাব্যবস্থাপক মো. মহিউদ্দিনের সঙ্গে মোবাইলে যোগাযোগ করা হলে তিনি মন্তব্য করতে অপারগতা জানান।
তবে প্রতিষ্ঠানটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক ড. মো. মনিরুজ্জামান শনিবার আজকের পত্রিকাকে বলেন, বাস কেনার দরপত্রের নোটিফিকেশন অব অ্যাওয়ার্ড (কাজ পাওয়ার নিশ্চিতকরণপত্র) এখনো পাঠানো হয়নি। এটি পাঠানোর পাঁচ থেকে ছয় মাস পর বাস আসতে পারে। প্রকল্পের কাজ এখনো চলমান। যেহেতু বাস আসতে সময় লাগছে তাই এই রুট খালি রাখা হচ্ছে না।
বিআরটি প্রকল্প কবে শেষ হবে সে বিষয়ে নির্দিষ্ট করে কিছু জানাননি সড়ক পরিবহন ও সেতু উপদেষ্টা। তিনি বলেন, গত ৫ আগস্টের আগে প্রকল্পের যেসব জিনিস ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে সেগুলো ঠিক করতে হবে। আগের সরকারের সময় বাস কেনার কথা থাকলেও হয়নি। দুর্নীতি হয়েছে। এখন যেন ঠিকভাবে হয় তা দেখা হচ্ছে।
[তথ্য দিয়ে সহায়তা করেছেন আজকের পত্রিকার গাজীপুর প্রতিনিধি]

বছরের পর বছর তীব্র যানজটের ভোগান্তি দিয়ে অবশেষে জোড়াতালি দিয়ে চালু হচ্ছে ঢাকা-গাজীপুর বাস র্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) প্রকল্প। তবে ১২ বছর বয়সী প্রকল্পটির কাজ এখনো শেষ হয়নি। এ পথে চলাচলের জন্য নির্ধারিত বিশেষায়িত বাসও কেনা হয়নি। তাই শুরুতে বিআরটিসির বাসই চলবে। প্রস্তুতিতে নানা ঘাটতি নিয়েই ৬ ডিসেম্বর শুরু হয়েছে পরীক্ষামূলক চলাচল। ১৬ ডিসেম্বর এটি উদ্বোধনের কথা রয়েছে।
৪ হাজার ২৬৭ কোটি টাকার বিআরটি প্রকল্পের শেষ দিকে ধরা পড়েছে নির্মাণ ত্রুটিও। দফায় দফায় কাজের মেয়াদ বৃদ্ধি এবং পরিকল্পনায় বড় ত্রুটির কারণে প্রকল্পসংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারাই এটিকে রুগ্ণ প্রকল্প আখ্যা দিয়েছেন। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এত ভোগান্তি, বিপুল অর্থ ও সময় ব্যয়ের পর জোড়াতালি দিয়ে চালু করে বিআরটি প্রকল্পের লক্ষ্য পূরণ হবে না।
অভিযোগ রয়েছে, দরপত্রে অনিয়মের কারণে দুই বছরেও কেনা যায়নি বিশেষায়িত ১৩৭টি বাস। কারসাজির কারণে সাবেক সড়ক পরিবহনমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের ও সাবেক সড়ক সচিব এ বি এম আমিন উল্লাহ নূরীর ‘পছন্দের’ প্রতিষ্ঠান বাদ পড়ায় ‘কার্যকর প্রতিযোগিতা’ হয়নি—এমন অজুহাতে একটি দরপত্র বাতিল করা হয়।
জানতে চাইলে অন্তর্বর্তী সরকারের সড়ক পরিবহন ও সেতু উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান ৮ ডিসেম্বর আজকের পত্রিকাকে বলেন, বিশেষায়িত বাসের দরপত্র আহ্বান করা হয়েছে। বাস আসতে সময় লাগবে। এই বাস চলাচলের জন্য যে সফটওয়্যার লাগবে, তা এখনো করা হয়নি। তিনি বলেন, এত বড় বিনিয়োগে এখনো মানুষ কিছু পাচ্ছে না। এই রাস্তা বন্ধ থাকায় পাশের রাস্তায় যানজট হচ্ছে। এগুলো ভেবে বিআরটিসির বাস চালু হচ্ছে। এই লাইনে ব্যক্তিগত গাড়িও চলবে।
ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে সড়ক খাতে নেওয়া বড় প্রকল্পগুলোর একটি বাস র্যাপিড ট্রানজিট বা বিআরটি। দ্রুততম সময়ে বিশেষায়িত বাসে নিরবচ্ছিন্ন সেবা দেওয়ার উদ্দেশ্য নিয়ে রাজধানীর বিমানবন্দর থেকে গাজীপুরের শিববাড়ি পর্যন্ত মূল সড়কের মাঝখানে ২০ দশমিক ৫ কিলোমিটার দীর্ঘ বিশেষ এই সড়ক নির্মাণের প্রকল্প নেওয়া হয়। বিশেষ এই সড়কে চলবে ‘ঢাকা লাইন’ নামে বিশেষায়িত বাস। শুরুতে এই প্রকল্পের ব্যয় ছিল ২ হাজার ৩৯৮ কোটি টাকা। পরে দফায় দফায় খরচ বেড়ে ব্যয় দাঁড়ায় ৪ হাজার ২৬৮ কোটি টাকা। ২০১২ সালে প্রকল্প নেওয়া হলেও কাজ শুরু হয় ২০১৭ সালে। কাজে ধীরগতির কারণে ইতিমধ্যে ছয় দফা মেয়াদ বাড়ানো হয়েছে। সর্বশেষ বাড়ানো মেয়াদ শেষ হচ্ছে চলতি ডিসেম্বরে। কিন্তু কাজ শেষ হচ্ছে না। বিআরটি প্রকল্পে ঋণ সহায়তা দিচ্ছে এডিবি, এএফডি ও জিইএফ। প্রকল্পের ঠিকাদার চায়না গ্যাজুবা গ্রুপ করপোরেশন (সিজিজিসি)।
বিশ্বের বিভিন্ন শহরে বিআরটি ব্যবস্থা যাত্রী চলাচলে ভালো ভূমিকা রাখছে। দেশে বিআরটি প্রকল্পের শুরুতেও এমন আশা দেখানো হয়েছে। তবে প্রকল্পের শুরু থেকেই বিমানবন্দর থেকে গাজীপুর পর্যন্ত তীব্র যানজটে পড়ে ভুগতে হয়েছে মানুষকে। নির্মাণকাজে গাফিলতির কারণে এ পর্যন্ত প্রাণ গেছে ১০ জনের।
প্রকল্প সূত্র জানায়, বিমানবন্দর থেকে গাজীপুরের শিববাড়ি টার্মিনাল পর্যন্ত সড়কের ডান দিকে ২৫টি বিআরটি স্টেশন থাকবে। কেবল স্টেশনেই বাসে ওঠা-নামা করতে পারবেন যাত্রীরা। শুরুতে এ পথে আর্টিকুলেটেড বাস চালানোর কথা থাকলেও পরে তা পরিবর্তন করে স্ট্যান্ডার্ড বাস বা বিশেষায়িত বাস চলবে বলে সিদ্ধান্ত হয়। এসব বাসের দরজা থাকবে ডান দিকে। স্টেশনে ঢোকার আগেই যাত্রীকে টিকিট নিতে হবে। ভাড়া নেওয়া হবে ইলেকট্রনিক পদ্ধতিতে। বাসগুলো স্টেশনের প্ল্যাটফর্মের সমতলে থামিয়ে যাত্রীদের ওঠানো-নামানো হবে। বাসগুলো প্রতি ঘণ্টায় একমুখী যাতায়াতে ১০ হাজার যাত্রী পরিবহন করতে পারবে।
তবে বিশেষায়িত বাস না কেনায় বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন করপোরেশনের (বিআরটিসি) ১০টি শীতাতপ বাস শুরুতে চলবে। ৬ ডিসেম্বর পরীক্ষামূলক চলাচল শুরু হয়েছে। উদ্বোধনের তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছে ১৬ ডিসেম্বর। বিআরটিসি বলেছে, যাত্রী চাহিদা বাড়লে বাসের সংখ্যা বাড়ানো হবে। গুলিস্তান থেকে এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে হয়ে শিববাড়ি পর্যন্ত বিআরটিসি বাসের ভাড়া নির্ধারণ করা হয়েছে ১৪০ টাকা।
প্রকল্পসংশ্লিষ্ট সূত্র বলছে, বাস কেনা নিয়ে সময়ক্ষেপণ হয়েছে। যত দিন বাস না আসবে তত দিন বিআরটিসির বাস চলবে। আগের দরপত্রে অংশ নেওয়া ছয়টি প্রতিষ্ঠান ছিল চীনের। এবারের দরপত্রে অংশ নিয়েছে দুটি ভিন্ন দেশের প্রতিষ্ঠান। এগুলোর আর্থিক মূল্যায়ন চলছে। মূল্যায়ন চূড়ান্ত হলে সর্বনিম্ন দরদাতা প্রতিষ্ঠানকে কার্যাদেশ দেওয়া হবে।
সূত্রটি আরও বলেছে, প্রকল্পের ১৩৭টি বাস কিনতে ঋণ সহায়তা দিচ্ছে ফ্রান্স। বাস কেনার প্রক্রিয়া দুই বছরেও শেষ হয়নি। ২০২৩ সালের ১৮ এপ্রিল মূল্যায়ন কমিটি চীনের হাইগার বাস কোম্পানি লিমিটেডকে সর্বনিম্ন দরদাতা হিসেবে সুপারিশ করে। তবে একই ব্যবসায়ী গ্রুপের আরও একটি প্রতিষ্ঠান দরপত্রে অংশ নেওয়ায় বেআইনি হওয়ায় দুই প্রতিষ্ঠানকেই অযোগ্য ঘোষণা করা হয়। ওই দরপত্র বাতিলের পর চলতি বছরের ১৮ এপ্রিল আবার দরপত্র আহ্বান করা হয়।
অভিযোগ রয়েছে, সাবেক সড়ক পরিবহনমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের এবং সাবেক সড়ক সচিব এ বি এম আমিন উল্লাহ নূরী বাস কেনার জন্য ‘পছন্দের’ প্রতিষ্ঠান দিয়ে দরপত্র আহ্বান করিয়েছিলেন। সেই দরপত্রে কারসাজি ধরা পড়লে তাঁদের পছন্দের প্রতিষ্ঠান বাদ পড়ে। এতে ‘কার্যকর প্রতিযোগিতা’ না হওয়ার কারণ দেখিয়ে দরপত্র বাতিল করা হয়। নতুন করে দরপত্র আহ্বান করা হয়। প্রথমবার ছয়টি প্রতিষ্ঠান অংশ নিলেও দ্বিতীয়বার অংশ নেয় দুটি প্রতিষ্ঠান।
বিআরটি প্রকল্প উদ্বোধনের দিন ঘনিয়ে এলেও প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়নি। বুধবার সরেজমিনে দেখা যায়, বাসের স্টেশনগুলোর কাজ পুরোপুরি শেষ হয়নি। সব স্টেশনে ময়লার স্তূপ। ইলেকট্রিক সিঁড়ি দেওয়া হলেও সেগুলো বিকল অবস্থায় আছে। বিআরটি লাইনে গণপরিবহনের পাশাপাশি সব ধরনের যানবাহন চলছে।
দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) পুরকৌশল বিভাগের অধ্যাপক ও যোগাযোগ খাতে বিশেষজ্ঞ ড. হাদিউজ্জামান আজকের পত্রিকাকে বলেন, শুরুতে আর্টিকুলেটেড বাস চলার কথা ছিল, যে বাসে ১৪০ জন করে যাত্রী বহন করা যায়। এখন স্ট্যান্ডার্ড রুটের বাস চলার কথা বলা হচ্ছে। সেটার প্রস্তুতিতেও ঘাটতি হয়েছে। এখন বিআরটিসির বাস দিয়ে পরীক্ষামূলক চলাচল করছে। তবে যে ধরনের বাস চলার কথা বলা হয়েছিল মূলত সেভাবেই পরীক্ষা করতে হবে। এভাবে জোড়াতালি দিয়ে এই পরীক্ষা চালিয়ে বিআরটি করার লক্ষ্য পূরণ হচ্ছে না।
অভিযোগের সুরাহা হয়নি
বিআরটি প্রকল্প নিয়ে চলতি বছরের ২৭ মার্চ গাজীপুরে গণশুনানিতে নানা অভিযোগ ও অসংগতি তুলে ধরেন এলাকাবাসী। তাঁরা বলেন, ভোগড়ায় ফ্লাইওভারের উচ্চতা কম, সরু ড্রেনের কারণে মহাসড়কের পানি সরে না। বিআরটি স্টেশনে যাতায়াতের জন্য নির্মিত ৭২ ফুট উঁচু সিঁড়ি বয়স্ক মানুষ, মহিলা ও শিশুদের দুর্ভোগে ফেলবে। আগে সড়ক ও জনপথের মহাসড়কের প্রশস্ততা ছিল ১০০ ফুট। ওই মহাসড়ক দিয়ে দেশের উত্তর ও উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলের যানবাহন চলে। কিন্তু এখন মহাসড়ক খুব সরু হয়ে পড়েছে। প্রকল্পটির চান্দনা চৌরাস্তা থেকে শিববাড়ি মোড় পর্যন্ত ৭ কিলোমিটার সড়কের কোথাও ফুটপাত রাখা হয়নি, কোনো ইউটার্নও নেই।
এসব সমস্যা সমাধানে মন্ত্রণালয়ে চিঠি পাঠানো হয়েছে বলে জানানো হলেও সমাধান হয়নি।
স্থানীয়রা বলছেন, শুনানির পর শুধু কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট থেকে শিববাড়ি পর্যন্ত এক থেকে দেড় ফুট প্রস্থের ফুটপাত বানানো হয়েছে।
বিআরটি প্রকল্পের এক কর্মকর্তা বলেন, মন্ত্রণালয়ে যেসব সমস্যা জানানো হয়েছে, সেগুলো ধাপে ধাপে সমাধান করা হবে। ট্রাফিক বিভাগ থেকেও কিছু পরামর্শ এসেছে। সেগুলো নিয়েও কাজ করা হবে।
এসব বিষয়ে জানতে ঢাকা বিআরটি কোম্পানি লিমিটেডের মহাব্যবস্থাপক মো. মহিউদ্দিনের সঙ্গে মোবাইলে যোগাযোগ করা হলে তিনি মন্তব্য করতে অপারগতা জানান।
তবে প্রতিষ্ঠানটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক ড. মো. মনিরুজ্জামান শনিবার আজকের পত্রিকাকে বলেন, বাস কেনার দরপত্রের নোটিফিকেশন অব অ্যাওয়ার্ড (কাজ পাওয়ার নিশ্চিতকরণপত্র) এখনো পাঠানো হয়নি। এটি পাঠানোর পাঁচ থেকে ছয় মাস পর বাস আসতে পারে। প্রকল্পের কাজ এখনো চলমান। যেহেতু বাস আসতে সময় লাগছে তাই এই রুট খালি রাখা হচ্ছে না।
বিআরটি প্রকল্প কবে শেষ হবে সে বিষয়ে নির্দিষ্ট করে কিছু জানাননি সড়ক পরিবহন ও সেতু উপদেষ্টা। তিনি বলেন, গত ৫ আগস্টের আগে প্রকল্পের যেসব জিনিস ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে সেগুলো ঠিক করতে হবে। আগের সরকারের সময় বাস কেনার কথা থাকলেও হয়নি। দুর্নীতি হয়েছে। এখন যেন ঠিকভাবে হয় তা দেখা হচ্ছে।
[তথ্য দিয়ে সহায়তা করেছেন আজকের পত্রিকার গাজীপুর প্রতিনিধি]

বিচারকদের উদ্দেশে তিনি বলেন, গুমের বিচার বাস্তবায়নে বিচারকদের সাহসী ও ন্যায্য ভূমিকা রাখা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। বিচার বিভাগের নিরপেক্ষতা ও দৃঢ় অবস্থানই একদিন বাংলাদেশ থেকে গুমের সংস্কৃতি নির্মূল করবে।
২ ঘণ্টা আগে
বাংলাদেশে যুক্তরাষ্ট্রের পরবর্তী রাষ্ট্রদূত হিসেবে মনোনীত ব্রেন্ট ক্রিস্টেনসেন বলেছেন, নিয়োগ পেলে চীনা কর্মকাণ্ড থেকে উদ্ভূত ঝুঁকিগুলো স্পষ্টভাবে তুলে ধরতে তিনি বাংলাদেশ সরকার ও সামরিক বাহিনীর সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করবেন। গত বৃহস্পতিবার (২৩ অক্টোবর) যুক্তরাষ্ট্র সিনেটের পররাষ্ট্রবিষয়ক কমিটিতে তাঁর
২ ঘণ্টা আগে
বিমানবন্দরের ভয়াবহ আগুন লাগার কারণ ও দায়ীদের খুঁজে বের করতে চারটি দেশ থেকে বিশেষজ্ঞ আনা হবে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী।
৯ ঘণ্টা আগে
কিশোরগঞ্জের অষ্টগ্রাম ও চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়ায় খেলা করার সময় পানিতে পড়ে ছয় শিশুর মর্মান্তিক মৃত্যু হয়েছে। আজ শুক্রবার অষ্টগ্রাম উপজেলার দেওঘর ইউনিয়ন ও রাঙ্গুনিয়ার পারুয়া ইউনিয়নে ঘটনা দুটি ঘটে। এতে ওইসব এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে।
১ দিন আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল বলেছেন, গুম হত্যার চেয়েও নিকৃষ্টতম অপরাধ। গুম প্রতিরোধে শুধু আইনগত সংস্কার নয়, প্রয়োজন প্রাতিষ্ঠানিক সংস্কারও।
আজ শনিবার রাজধানীর গুলশানে হোটেল আমারিতে অনুষ্ঠিত ‘Ensuring Justice: The Role of the Judiciary in Addressing Enforced Disappearances’ শীর্ষক দিনব্যাপী কর্মশালার উদ্বোধনী পর্বে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। গুম-সংক্রান্ত কমিশন অব ইনকোয়ারির উদ্যোগে এবং ঢাকায় জাতিসংঘের মানবাধিকার-বিষয়ক হাইকমিশনারের কার্যালয়ের সহযোগিতায় এই কর্মশালার আয়োজন করা হয়।
কর্মশালায় আসিফ নজরুল বলেন, ‘অনেক প্রাণ ও ত্যাগের বিনিময়ে আমরা আজ একটি পরিবর্তিত পরিবেশে অবস্থান করছি। এই পরিবর্তন স্থায়ী করতে হলে গুমের বিচার নিশ্চিত করা অপরিহার্য।’
বিচারকদের উদ্দেশে তিনি বলেন, গুমের বিচার বাস্তবায়নে বিচারকদের সাহসী ও ন্যায্য ভূমিকা রাখা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। বিচার বিভাগের নিরপেক্ষতা ও দৃঢ় অবস্থানই একদিন বাংলাদেশ থেকে গুমের সংস্কৃতি নির্মূল করবে।
কর্মশালায় মূল প্রবন্ধ উপস্থাপনকালে কমিশনের সভাপতি বিচারপতি মইনুল ইসলাম চৌধুরী বলেন, রায় লেখা একটি সৃজনশীল শিল্প। তাই বিচারকেরা হলেন সৃজনশীল শিল্পী। তাঁদের শিল্পকর্মই তাঁদের রায়।
তিনি বলেন, গুম প্রতিরোধে বিচার বিভাগ, আইনপ্রয়োগকারী সংস্থা ও মানবাধিকার কাঠামোর মধ্যে সমন্বিত সহযোগিতা অপরিহার্য। আন্তর্জাতিক মানবাধিকার আইন, সাক্ষ্য-প্রমাণ বিশ্লেষণ ও আধুনিক প্রযুক্তির যথাযথ প্রয়োগের মাধ্যমে বিচার বিভাগ ও তদন্ত সংস্থার সক্ষমতা বৃদ্ধি গুমের বিচার নিশ্চিতের মূল চাবিকাঠি।
কমিশনের সদস্য বিচারপতি মো. ফরিদ আহমেদ শিবলী বলেন, গুম-সংক্রান্ত মামলাগুলোর কার্যকর তদন্ত ও বিচার নিশ্চিত করতে প্রাতিষ্ঠানিক সংস্কার এখন সময়ের দাবি। কমিশন এরই মধ্যে বিদ্যমান আইনি কাঠামো পর্যালোচনা করে গুম-সংক্রান্ত মামলার দ্রুত নিষ্পত্তি, সাক্ষী সুরক্ষা ও ভুক্তভোগী পরিবারের আইনি সহায়তা নিশ্চিত করতে প্রয়োজনীয় আইন সংশোধনের প্রস্তাব প্রস্তুত করছে।
কর্মশালায় আরও বক্তব্য দেন আইন ও বিচার বিভাগের সচিব লিয়াকত আলী মোল্লা এবং ঢাকায় জাতিসংঘের আবাসিক সমন্বয়কারীর কার্যালয়ের জ্যেষ্ঠ মানবাধিকার-বিষয়ক উপদেষ্টা হুমা খান।

আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল বলেছেন, গুম হত্যার চেয়েও নিকৃষ্টতম অপরাধ। গুম প্রতিরোধে শুধু আইনগত সংস্কার নয়, প্রয়োজন প্রাতিষ্ঠানিক সংস্কারও।
আজ শনিবার রাজধানীর গুলশানে হোটেল আমারিতে অনুষ্ঠিত ‘Ensuring Justice: The Role of the Judiciary in Addressing Enforced Disappearances’ শীর্ষক দিনব্যাপী কর্মশালার উদ্বোধনী পর্বে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। গুম-সংক্রান্ত কমিশন অব ইনকোয়ারির উদ্যোগে এবং ঢাকায় জাতিসংঘের মানবাধিকার-বিষয়ক হাইকমিশনারের কার্যালয়ের সহযোগিতায় এই কর্মশালার আয়োজন করা হয়।
কর্মশালায় আসিফ নজরুল বলেন, ‘অনেক প্রাণ ও ত্যাগের বিনিময়ে আমরা আজ একটি পরিবর্তিত পরিবেশে অবস্থান করছি। এই পরিবর্তন স্থায়ী করতে হলে গুমের বিচার নিশ্চিত করা অপরিহার্য।’
বিচারকদের উদ্দেশে তিনি বলেন, গুমের বিচার বাস্তবায়নে বিচারকদের সাহসী ও ন্যায্য ভূমিকা রাখা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। বিচার বিভাগের নিরপেক্ষতা ও দৃঢ় অবস্থানই একদিন বাংলাদেশ থেকে গুমের সংস্কৃতি নির্মূল করবে।
কর্মশালায় মূল প্রবন্ধ উপস্থাপনকালে কমিশনের সভাপতি বিচারপতি মইনুল ইসলাম চৌধুরী বলেন, রায় লেখা একটি সৃজনশীল শিল্প। তাই বিচারকেরা হলেন সৃজনশীল শিল্পী। তাঁদের শিল্পকর্মই তাঁদের রায়।
তিনি বলেন, গুম প্রতিরোধে বিচার বিভাগ, আইনপ্রয়োগকারী সংস্থা ও মানবাধিকার কাঠামোর মধ্যে সমন্বিত সহযোগিতা অপরিহার্য। আন্তর্জাতিক মানবাধিকার আইন, সাক্ষ্য-প্রমাণ বিশ্লেষণ ও আধুনিক প্রযুক্তির যথাযথ প্রয়োগের মাধ্যমে বিচার বিভাগ ও তদন্ত সংস্থার সক্ষমতা বৃদ্ধি গুমের বিচার নিশ্চিতের মূল চাবিকাঠি।
কমিশনের সদস্য বিচারপতি মো. ফরিদ আহমেদ শিবলী বলেন, গুম-সংক্রান্ত মামলাগুলোর কার্যকর তদন্ত ও বিচার নিশ্চিত করতে প্রাতিষ্ঠানিক সংস্কার এখন সময়ের দাবি। কমিশন এরই মধ্যে বিদ্যমান আইনি কাঠামো পর্যালোচনা করে গুম-সংক্রান্ত মামলার দ্রুত নিষ্পত্তি, সাক্ষী সুরক্ষা ও ভুক্তভোগী পরিবারের আইনি সহায়তা নিশ্চিত করতে প্রয়োজনীয় আইন সংশোধনের প্রস্তাব প্রস্তুত করছে।
কর্মশালায় আরও বক্তব্য দেন আইন ও বিচার বিভাগের সচিব লিয়াকত আলী মোল্লা এবং ঢাকায় জাতিসংঘের আবাসিক সমন্বয়কারীর কার্যালয়ের জ্যেষ্ঠ মানবাধিকার-বিষয়ক উপদেষ্টা হুমা খান।

বছরের পর বছর তীব্র যানজটের ভোগান্তি দিয়ে অবশেষে জোড়াতালি দিয়ে চালু হচ্ছে ঢাকা-গাজীপুর বাস র্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) প্রকল্প। তবে ১২ বছর বয়সী প্রকল্পটির কাজ এখনো শেষ হয়নি। এ পথে চলাচলের জন্য নির্ধারিত বিশেষায়িত বাসও কেনা হয়নি। তাই শুরুতে বিআরটিসির বাসই চলবে। প্রস্তুতিতে নানা ঘাটতি নিয়েই ৬ ডিসেম্বর শ
১৩ ডিসেম্বর ২০২৪
বাংলাদেশে যুক্তরাষ্ট্রের পরবর্তী রাষ্ট্রদূত হিসেবে মনোনীত ব্রেন্ট ক্রিস্টেনসেন বলেছেন, নিয়োগ পেলে চীনা কর্মকাণ্ড থেকে উদ্ভূত ঝুঁকিগুলো স্পষ্টভাবে তুলে ধরতে তিনি বাংলাদেশ সরকার ও সামরিক বাহিনীর সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করবেন। গত বৃহস্পতিবার (২৩ অক্টোবর) যুক্তরাষ্ট্র সিনেটের পররাষ্ট্রবিষয়ক কমিটিতে তাঁর
২ ঘণ্টা আগে
বিমানবন্দরের ভয়াবহ আগুন লাগার কারণ ও দায়ীদের খুঁজে বের করতে চারটি দেশ থেকে বিশেষজ্ঞ আনা হবে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী।
৯ ঘণ্টা আগে
কিশোরগঞ্জের অষ্টগ্রাম ও চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়ায় খেলা করার সময় পানিতে পড়ে ছয় শিশুর মর্মান্তিক মৃত্যু হয়েছে। আজ শুক্রবার অষ্টগ্রাম উপজেলার দেওঘর ইউনিয়ন ও রাঙ্গুনিয়ার পারুয়া ইউনিয়নে ঘটনা দুটি ঘটে। এতে ওইসব এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে।
১ দিন আগেসিনেটে শুনানিতে ট্রাম্প–মনোনীত রাষ্ট্রদূত
আজকের পত্রিকা ডেস্ক

বাংলাদেশে যুক্তরাষ্ট্রের পরবর্তী রাষ্ট্রদূত হিসেবে মনোনীত ব্রেন্ট ক্রিস্টেনসেন বলেছেন, নিয়োগ পেলে চীনা কর্মকাণ্ড থেকে উদ্ভূত ঝুঁকিগুলো স্পষ্টভাবে তুলে ধরতে তিনি বাংলাদেশ সরকার ও সামরিক বাহিনীর সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করবেন। গত বৃহস্পতিবার (২৩ অক্টোবর) যুক্তরাষ্ট্র সিনেটের পররাষ্ট্রবিষয়ক কমিটিতে তাঁর মনোনয়ন নিয়ে শুনানিতে প্রশ্নোত্তর পর্বে একথা বলেন ক্রিস্টেনসেন।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের মমোনীত এই কূটনীতিক বলেন, রাষ্ট্রদূত হিসেবে নিয়োগ পেলে তিনি বাংলাদেশ সরকার ও সামরিক বাহিনীর কাছে সামরিক সহযোগিতা, সামুদ্রিক কর্মকাণ্ড এবং গুরুত্বপূর্ণ অবকাঠামোতে সম্পৃক্ততাসহ চীনা কর্মকাণ্ডের ঝুঁকি সুস্পষ্টভাবে তুলে ধরবনে। পাশাপাশি সামরিক সহযোগিতার ক্ষেত্রে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে অংশীদারত্ব ঘনিষ্ঠ করার জন্য কাজ করারও প্রতিশ্রুতি দেন ক্রিস্টেনসেন।
গত ২ সেপ্টেম্বর মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ব্রেন্ট ক্রিস্টেনসেনকে বাংলাদেশের পরবর্তী রাষ্ট্রদূত হিসেবে মনোনয়ন দেন। সিনেট কমিটির অনুমোদনের পরই তাঁর নিয়োগ চূড়ান্ত হবে। এই মনোনয়ন নিয়ে শুনানিতে চার রাষ্ট্রদূত প্রার্থী লিখিত বিবৃতি তুলে ধরেন। পরে তাঁরা সিনেট সদস্যদের প্রশ্নের জবাব দেন।
বাংলাদেশের সঙ্গে চীনের ক্রমবর্ধমান সম্পর্ক নিয়ে উদ্বেগ তুলে ধরে নেব্রাস্কার রিপাবলিকান সিনেটর জন পিটার রিকেটস শুনানিতে বলেন, ‘আমরা এখন চীনা কমিউনিস্ট পার্টির ক্রমবর্ধমান প্রভাবের মুখে। বাংলাদেশ ও চীনের সামরিক সহযোগিতা দ্রুত বাড়ছে। যুদ্ধজাহাজ ও সাবমেরিন রাখার জন্য সম্প্রতি বাংলাদেশের একটি কৌশলগত সাবমেরিন ঘাঁটি আধুনিকায়ন করেছে চীন। বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকার চীনের তৈরি ২০টি জে-১০ যুদ্ধবিমান কেনার পরিকল্পনা অনুমোদন করেছে বলে খবর পাওয়া গেছে। পাশাপাশি নতুন সারফেস-টু-এয়ার মিসাইল ও দূরপাল্লার রাডার কেনার বিষয়েও সিদ্ধান্ত হয়েছে।’
মার্কিন রাষ্ট্রদূত নিয়োগ পেলে চীনা সামরিক সরঞ্জামের ওপর বাংলাদেশের নির্ভরশীলতা কমাতে বাংলাদেশের সামরিক ও রাজনৈতিক নেতৃত্বের সঙ্গে ক্রিস্টেনসেন কীভাবে কাজ করবেন, তা জানতে চান সিনেটর রিকেটস।

জবাবে ব্রেন্ট ক্রিস্টেনসেন বলেন, ‘দক্ষিণ এশিয়ায় চীনের প্রভাব নিয়ে আপনাদের মতো উদ্বেগ আমারও। রাষ্ট্রদূত নিয়োগ আমি বাংলাদেশ সরকার ও সামরিক বাহিনীর সঙ্গে যুক্ত থেকে চীনের কার্যক্রমের ঝুঁকি ব্যাখ্যা করব। পাশাপাশি যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে গভীর অংশীদারিত্বের সম্ভাবনা তুলে ধরব, যা দুই দেশের সামরিক সম্পর্ককে আরও মজবুত করবে।’
এ সময় সিনেটর রিকেটস বলেন, ‘এই শুনানির আগের দিনই সিনেট পররাষ্ট্র কমিটি সর্বসম্মতভাবে ‘থিংক টোয়াইস অ্যাক্ট’ পাস করেছে। এই আইন যুক্তরাষ্ট্রকে পূর্ণাঙ্গ কৌশল নিতে বাধ্য করবে, যাতে বাংলাদেশসহ অন্যান্য দেশকে চীনা অস্ত্র কেনা থেকে বিরত রাখা যায়। আমরা আশা করি, আপনিও এই আইনের সহায়তা নিয়ে কাজ করবেন। তাহলে অস্ত্র বিক্রির মাধ্যমে চীনের ক্রমবর্ধমান প্রভাব বিস্তার প্রতিরোধ সম্ভব হবে।’
তাঁর এই মন্তব্যের সূত্র ধরে ব্রেন্ট ক্রিস্টেনসেন বলেন, ‘সামরিক অংশীদারিত্বের মাধ্যমে যুক্তরাষ্ট্রের উচ্চমূল্যের সামরিক সরঞ্জামের বিকল্প হিসেবে মিত্রদেশগুলোর তৈরি সাশ্রয়ী প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা সম্পর্কে আমরা বাংলাদেশকে জানাতে পারি। পাশাপাশি যৌথ সামরিক মহড়ার মাধ্যমে বাংলাদেশের প্ল্যাটফর্মগুলোকে অন্যান্য মিত্র বাহিনীর সঙ্গে আরও সমন্বিত ও কার্যকর করতে পারি।’
শুনানির শুরুতে লিখিত বিবৃতিতে ব্রেন্ট ক্রিস্টেনসেন বলেন, ‘বাংলাদেশ এখন এক সন্ধিক্ষণে দাঁড়িয়ে আছে। ২০২৪ সালের আগস্টে শিক্ষার্থীদের নেতৃত্বে যে গণআন্দোলন হয়েছিল, তা ১৫ বছর ধরে ক্ষমতায় থাকা সরকারকে পতন ঘটায়। আগামী বছর বাংলাদেশের জনগণ ভোটে যাবে, যা দেশের সাম্প্রতিক ইতিহাসে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ নির্বাচন। যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক ও উজ্জ্বল ভবিষ্যতের যাত্রায় পাশে থাকবে।”
তিনি আরও বলেন, ‘বিশ্বের অষ্টম জনবহুল দেশ হিসেবে বাংলাদেশ অনেক সময় তাঁর প্রাপ্য মনোযোগ পায় না, বড় প্রতিবেশীদের আড়ালে গুরুত্ব হারিয়ে যায়। যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রসেবায় আমার দুই দশকের অভিজ্ঞতা, যার মধ্যে ঢাকার কর্মকালও রয়েছে। তাই, আমি বাংলাদেশের কৌশলগত গুরুত্ব ও যুক্তরাষ্ট্রের স্বার্থ সম্পর্কে গভীরভাবে অবগত। ভারত মহাসাগরীয় অঞ্চলে অবস্থান বাংলাদেশকে উন্মুক্ত, নিরাপদ ও সমৃদ্ধ ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলে গুরুত্বপূর্ণ অংশীদার করে তুলেছে।’

বাংলাদেশে যুক্তরাষ্ট্রের পরবর্তী রাষ্ট্রদূত হিসেবে মনোনীত ব্রেন্ট ক্রিস্টেনসেন বলেছেন, নিয়োগ পেলে চীনা কর্মকাণ্ড থেকে উদ্ভূত ঝুঁকিগুলো স্পষ্টভাবে তুলে ধরতে তিনি বাংলাদেশ সরকার ও সামরিক বাহিনীর সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করবেন। গত বৃহস্পতিবার (২৩ অক্টোবর) যুক্তরাষ্ট্র সিনেটের পররাষ্ট্রবিষয়ক কমিটিতে তাঁর মনোনয়ন নিয়ে শুনানিতে প্রশ্নোত্তর পর্বে একথা বলেন ক্রিস্টেনসেন।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের মমোনীত এই কূটনীতিক বলেন, রাষ্ট্রদূত হিসেবে নিয়োগ পেলে তিনি বাংলাদেশ সরকার ও সামরিক বাহিনীর কাছে সামরিক সহযোগিতা, সামুদ্রিক কর্মকাণ্ড এবং গুরুত্বপূর্ণ অবকাঠামোতে সম্পৃক্ততাসহ চীনা কর্মকাণ্ডের ঝুঁকি সুস্পষ্টভাবে তুলে ধরবনে। পাশাপাশি সামরিক সহযোগিতার ক্ষেত্রে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে অংশীদারত্ব ঘনিষ্ঠ করার জন্য কাজ করারও প্রতিশ্রুতি দেন ক্রিস্টেনসেন।
গত ২ সেপ্টেম্বর মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ব্রেন্ট ক্রিস্টেনসেনকে বাংলাদেশের পরবর্তী রাষ্ট্রদূত হিসেবে মনোনয়ন দেন। সিনেট কমিটির অনুমোদনের পরই তাঁর নিয়োগ চূড়ান্ত হবে। এই মনোনয়ন নিয়ে শুনানিতে চার রাষ্ট্রদূত প্রার্থী লিখিত বিবৃতি তুলে ধরেন। পরে তাঁরা সিনেট সদস্যদের প্রশ্নের জবাব দেন।
বাংলাদেশের সঙ্গে চীনের ক্রমবর্ধমান সম্পর্ক নিয়ে উদ্বেগ তুলে ধরে নেব্রাস্কার রিপাবলিকান সিনেটর জন পিটার রিকেটস শুনানিতে বলেন, ‘আমরা এখন চীনা কমিউনিস্ট পার্টির ক্রমবর্ধমান প্রভাবের মুখে। বাংলাদেশ ও চীনের সামরিক সহযোগিতা দ্রুত বাড়ছে। যুদ্ধজাহাজ ও সাবমেরিন রাখার জন্য সম্প্রতি বাংলাদেশের একটি কৌশলগত সাবমেরিন ঘাঁটি আধুনিকায়ন করেছে চীন। বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকার চীনের তৈরি ২০টি জে-১০ যুদ্ধবিমান কেনার পরিকল্পনা অনুমোদন করেছে বলে খবর পাওয়া গেছে। পাশাপাশি নতুন সারফেস-টু-এয়ার মিসাইল ও দূরপাল্লার রাডার কেনার বিষয়েও সিদ্ধান্ত হয়েছে।’
মার্কিন রাষ্ট্রদূত নিয়োগ পেলে চীনা সামরিক সরঞ্জামের ওপর বাংলাদেশের নির্ভরশীলতা কমাতে বাংলাদেশের সামরিক ও রাজনৈতিক নেতৃত্বের সঙ্গে ক্রিস্টেনসেন কীভাবে কাজ করবেন, তা জানতে চান সিনেটর রিকেটস।

জবাবে ব্রেন্ট ক্রিস্টেনসেন বলেন, ‘দক্ষিণ এশিয়ায় চীনের প্রভাব নিয়ে আপনাদের মতো উদ্বেগ আমারও। রাষ্ট্রদূত নিয়োগ আমি বাংলাদেশ সরকার ও সামরিক বাহিনীর সঙ্গে যুক্ত থেকে চীনের কার্যক্রমের ঝুঁকি ব্যাখ্যা করব। পাশাপাশি যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে গভীর অংশীদারিত্বের সম্ভাবনা তুলে ধরব, যা দুই দেশের সামরিক সম্পর্ককে আরও মজবুত করবে।’
এ সময় সিনেটর রিকেটস বলেন, ‘এই শুনানির আগের দিনই সিনেট পররাষ্ট্র কমিটি সর্বসম্মতভাবে ‘থিংক টোয়াইস অ্যাক্ট’ পাস করেছে। এই আইন যুক্তরাষ্ট্রকে পূর্ণাঙ্গ কৌশল নিতে বাধ্য করবে, যাতে বাংলাদেশসহ অন্যান্য দেশকে চীনা অস্ত্র কেনা থেকে বিরত রাখা যায়। আমরা আশা করি, আপনিও এই আইনের সহায়তা নিয়ে কাজ করবেন। তাহলে অস্ত্র বিক্রির মাধ্যমে চীনের ক্রমবর্ধমান প্রভাব বিস্তার প্রতিরোধ সম্ভব হবে।’
তাঁর এই মন্তব্যের সূত্র ধরে ব্রেন্ট ক্রিস্টেনসেন বলেন, ‘সামরিক অংশীদারিত্বের মাধ্যমে যুক্তরাষ্ট্রের উচ্চমূল্যের সামরিক সরঞ্জামের বিকল্প হিসেবে মিত্রদেশগুলোর তৈরি সাশ্রয়ী প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা সম্পর্কে আমরা বাংলাদেশকে জানাতে পারি। পাশাপাশি যৌথ সামরিক মহড়ার মাধ্যমে বাংলাদেশের প্ল্যাটফর্মগুলোকে অন্যান্য মিত্র বাহিনীর সঙ্গে আরও সমন্বিত ও কার্যকর করতে পারি।’
শুনানির শুরুতে লিখিত বিবৃতিতে ব্রেন্ট ক্রিস্টেনসেন বলেন, ‘বাংলাদেশ এখন এক সন্ধিক্ষণে দাঁড়িয়ে আছে। ২০২৪ সালের আগস্টে শিক্ষার্থীদের নেতৃত্বে যে গণআন্দোলন হয়েছিল, তা ১৫ বছর ধরে ক্ষমতায় থাকা সরকারকে পতন ঘটায়। আগামী বছর বাংলাদেশের জনগণ ভোটে যাবে, যা দেশের সাম্প্রতিক ইতিহাসে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ নির্বাচন। যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক ও উজ্জ্বল ভবিষ্যতের যাত্রায় পাশে থাকবে।”
তিনি আরও বলেন, ‘বিশ্বের অষ্টম জনবহুল দেশ হিসেবে বাংলাদেশ অনেক সময় তাঁর প্রাপ্য মনোযোগ পায় না, বড় প্রতিবেশীদের আড়ালে গুরুত্ব হারিয়ে যায়। যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রসেবায় আমার দুই দশকের অভিজ্ঞতা, যার মধ্যে ঢাকার কর্মকালও রয়েছে। তাই, আমি বাংলাদেশের কৌশলগত গুরুত্ব ও যুক্তরাষ্ট্রের স্বার্থ সম্পর্কে গভীরভাবে অবগত। ভারত মহাসাগরীয় অঞ্চলে অবস্থান বাংলাদেশকে উন্মুক্ত, নিরাপদ ও সমৃদ্ধ ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলে গুরুত্বপূর্ণ অংশীদার করে তুলেছে।’

বছরের পর বছর তীব্র যানজটের ভোগান্তি দিয়ে অবশেষে জোড়াতালি দিয়ে চালু হচ্ছে ঢাকা-গাজীপুর বাস র্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) প্রকল্প। তবে ১২ বছর বয়সী প্রকল্পটির কাজ এখনো শেষ হয়নি। এ পথে চলাচলের জন্য নির্ধারিত বিশেষায়িত বাসও কেনা হয়নি। তাই শুরুতে বিআরটিসির বাসই চলবে। প্রস্তুতিতে নানা ঘাটতি নিয়েই ৬ ডিসেম্বর শ
১৩ ডিসেম্বর ২০২৪
বিচারকদের উদ্দেশে তিনি বলেন, গুমের বিচার বাস্তবায়নে বিচারকদের সাহসী ও ন্যায্য ভূমিকা রাখা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। বিচার বিভাগের নিরপেক্ষতা ও দৃঢ় অবস্থানই একদিন বাংলাদেশ থেকে গুমের সংস্কৃতি নির্মূল করবে।
২ ঘণ্টা আগে
বিমানবন্দরের ভয়াবহ আগুন লাগার কারণ ও দায়ীদের খুঁজে বের করতে চারটি দেশ থেকে বিশেষজ্ঞ আনা হবে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী।
৯ ঘণ্টা আগে
কিশোরগঞ্জের অষ্টগ্রাম ও চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়ায় খেলা করার সময় পানিতে পড়ে ছয় শিশুর মর্মান্তিক মৃত্যু হয়েছে। আজ শুক্রবার অষ্টগ্রাম উপজেলার দেওঘর ইউনিয়ন ও রাঙ্গুনিয়ার পারুয়া ইউনিয়নে ঘটনা দুটি ঘটে। এতে ওইসব এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে।
১ দিন আগেউত্তরা-বিমানবন্দর (ঢাকা) প্রতিনিধি

বিমানবন্দরের ভয়াবহ আগুন লাগার কারণ ও দায়ীদের খুঁজে বের করতে চারটি দেশ থেকে বিশেষজ্ঞ আনা হবে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী।
আজ শনিবার (২৫ অক্টোবর) দুপুরে বিমানবন্দরে অগ্নিকাণ্ডের ক্ষতিগ্রস্ত কার্গো ভিলেজ ও ই-গেট পরিদর্শন শেষে বিমানবন্দরের অ্যারাইভাল গেটে সাংবাদিকদের তিনি এই তথ্য জানান।
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, ‘অব্যবস্থাপনার বিষয়টি তদন্তের জন্য আমরা চারটি দেশকে ইনভাইট করেছি। ইংল্যান্ড, অস্ট্রেলিয়া, চীন ও তুরস্ককে আসতে বলেছি। তাদের স্পেশালিস্ট আমরা আনতে চাচ্ছি। তারা তদন্ত করে কারণটা কী এবং কে দায়ী বের করবে।’
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, ‘বিমানবন্দরের ভেতরে চারটি ইউনিট আছে। চারটি ইউনিটই কাজ করছে। আমরা আশা করছিলাম তাড়াতাড়ি কন্ট্রোলে আসবে। কন্ট্রোলে আসতে একটু সময় লাগছে। যেহেতু বিভিন্ন পারিপার্শ্বিক অবস্থা চিন্তা করতে হয়। যেহেতু দাহ্য পদার্থ খুব বেশি ছিল। অনেক সময় বাতাস থাকলে নেভাতে সময় লাগে।’
কার্গো ভিলেজে বিশেষায়িত ফায়ার সার্ভিস ইউনিট কেন ছিল না—এই প্রশ্নের জবাবে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, ‘আগুন নেভানোর জন্য বিমানে যে ইউনিট থাকে, সেটা কার্গো ভিলেজেও কাজ করতে পারে। এটিতে কোনো অসুবিধা নাই।’
জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী আরও বলেন, ‘আগুন নেভাতে কেউ ফেল করেনি। কিন্তু সময় লাগছে। ফেল করলে সব জ্বলে যেত। ওই দিন রাত ৯টার সময় বিমানবন্দর চালু করে দিয়েছে।’
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, ‘বিমানবন্দর অথরিটির চারটি ফায়ার সার্ভিস ইউনিট আছে। সেগুলো ৩০ সেকেন্ডের ভেতরে চলে আসছিল। ফায়ার সার্ভিসের যে ইউনিটগুলো আছে, তার একটি দিয়াবাড়ির মেট্রোরেলের ওখানে, আরেকটি কুর্মিটোলায়। সেগুলো ২০ মিনিটের ভেতরে চলে আসছে।’
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা আরও বলেন, ‘যেখানে আগুন ধরেছে, সেখানে কেমিক্যাল ও গার্মেন্টস ম্যাটেরিয়াল ছিল। দাহ্য পদার্থ খুব বেশি ছিল। যার কারণে আগুনটা ছড়িয়ে গেছে তাড়াতাড়ি। কন্ট্রোল করতে সময় নিয়েছে।’
১৮ অক্টোবর বেলা আড়াইটার দিকে বিমানবন্দরের ৮ নম্বর গেট-সংলগ্ন আমদানি কার্গো ভিলেজে আগুন লাগে। ফায়ার সার্ভিসের ১৩টি স্টেশনের ৩৭টি ইউনিটের চেষ্টায় রাতে আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। কিন্তু পুরোপুরি নির্বাপণ হয় ২৬ ঘণ্টা পর ১৯ অক্টোবর বিকেল ৫টার দিকে।
আরও খবর পড়ুন:

বিমানবন্দরের ভয়াবহ আগুন লাগার কারণ ও দায়ীদের খুঁজে বের করতে চারটি দেশ থেকে বিশেষজ্ঞ আনা হবে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী।
আজ শনিবার (২৫ অক্টোবর) দুপুরে বিমানবন্দরে অগ্নিকাণ্ডের ক্ষতিগ্রস্ত কার্গো ভিলেজ ও ই-গেট পরিদর্শন শেষে বিমানবন্দরের অ্যারাইভাল গেটে সাংবাদিকদের তিনি এই তথ্য জানান।
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, ‘অব্যবস্থাপনার বিষয়টি তদন্তের জন্য আমরা চারটি দেশকে ইনভাইট করেছি। ইংল্যান্ড, অস্ট্রেলিয়া, চীন ও তুরস্ককে আসতে বলেছি। তাদের স্পেশালিস্ট আমরা আনতে চাচ্ছি। তারা তদন্ত করে কারণটা কী এবং কে দায়ী বের করবে।’
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, ‘বিমানবন্দরের ভেতরে চারটি ইউনিট আছে। চারটি ইউনিটই কাজ করছে। আমরা আশা করছিলাম তাড়াতাড়ি কন্ট্রোলে আসবে। কন্ট্রোলে আসতে একটু সময় লাগছে। যেহেতু বিভিন্ন পারিপার্শ্বিক অবস্থা চিন্তা করতে হয়। যেহেতু দাহ্য পদার্থ খুব বেশি ছিল। অনেক সময় বাতাস থাকলে নেভাতে সময় লাগে।’
কার্গো ভিলেজে বিশেষায়িত ফায়ার সার্ভিস ইউনিট কেন ছিল না—এই প্রশ্নের জবাবে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, ‘আগুন নেভানোর জন্য বিমানে যে ইউনিট থাকে, সেটা কার্গো ভিলেজেও কাজ করতে পারে। এটিতে কোনো অসুবিধা নাই।’
জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী আরও বলেন, ‘আগুন নেভাতে কেউ ফেল করেনি। কিন্তু সময় লাগছে। ফেল করলে সব জ্বলে যেত। ওই দিন রাত ৯টার সময় বিমানবন্দর চালু করে দিয়েছে।’
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, ‘বিমানবন্দর অথরিটির চারটি ফায়ার সার্ভিস ইউনিট আছে। সেগুলো ৩০ সেকেন্ডের ভেতরে চলে আসছিল। ফায়ার সার্ভিসের যে ইউনিটগুলো আছে, তার একটি দিয়াবাড়ির মেট্রোরেলের ওখানে, আরেকটি কুর্মিটোলায়। সেগুলো ২০ মিনিটের ভেতরে চলে আসছে।’
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা আরও বলেন, ‘যেখানে আগুন ধরেছে, সেখানে কেমিক্যাল ও গার্মেন্টস ম্যাটেরিয়াল ছিল। দাহ্য পদার্থ খুব বেশি ছিল। যার কারণে আগুনটা ছড়িয়ে গেছে তাড়াতাড়ি। কন্ট্রোল করতে সময় নিয়েছে।’
১৮ অক্টোবর বেলা আড়াইটার দিকে বিমানবন্দরের ৮ নম্বর গেট-সংলগ্ন আমদানি কার্গো ভিলেজে আগুন লাগে। ফায়ার সার্ভিসের ১৩টি স্টেশনের ৩৭টি ইউনিটের চেষ্টায় রাতে আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। কিন্তু পুরোপুরি নির্বাপণ হয় ২৬ ঘণ্টা পর ১৯ অক্টোবর বিকেল ৫টার দিকে।
আরও খবর পড়ুন:

বছরের পর বছর তীব্র যানজটের ভোগান্তি দিয়ে অবশেষে জোড়াতালি দিয়ে চালু হচ্ছে ঢাকা-গাজীপুর বাস র্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) প্রকল্প। তবে ১২ বছর বয়সী প্রকল্পটির কাজ এখনো শেষ হয়নি। এ পথে চলাচলের জন্য নির্ধারিত বিশেষায়িত বাসও কেনা হয়নি। তাই শুরুতে বিআরটিসির বাসই চলবে। প্রস্তুতিতে নানা ঘাটতি নিয়েই ৬ ডিসেম্বর শ
১৩ ডিসেম্বর ২০২৪
বিচারকদের উদ্দেশে তিনি বলেন, গুমের বিচার বাস্তবায়নে বিচারকদের সাহসী ও ন্যায্য ভূমিকা রাখা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। বিচার বিভাগের নিরপেক্ষতা ও দৃঢ় অবস্থানই একদিন বাংলাদেশ থেকে গুমের সংস্কৃতি নির্মূল করবে।
২ ঘণ্টা আগে
বাংলাদেশে যুক্তরাষ্ট্রের পরবর্তী রাষ্ট্রদূত হিসেবে মনোনীত ব্রেন্ট ক্রিস্টেনসেন বলেছেন, নিয়োগ পেলে চীনা কর্মকাণ্ড থেকে উদ্ভূত ঝুঁকিগুলো স্পষ্টভাবে তুলে ধরতে তিনি বাংলাদেশ সরকার ও সামরিক বাহিনীর সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করবেন। গত বৃহস্পতিবার (২৩ অক্টোবর) যুক্তরাষ্ট্র সিনেটের পররাষ্ট্রবিষয়ক কমিটিতে তাঁর
২ ঘণ্টা আগে
কিশোরগঞ্জের অষ্টগ্রাম ও চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়ায় খেলা করার সময় পানিতে পড়ে ছয় শিশুর মর্মান্তিক মৃত্যু হয়েছে। আজ শুক্রবার অষ্টগ্রাম উপজেলার দেওঘর ইউনিয়ন ও রাঙ্গুনিয়ার পারুয়া ইউনিয়নে ঘটনা দুটি ঘটে। এতে ওইসব এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে।
১ দিন আগেঅষ্টগ্রাম (কিশোরগঞ্জ) ও রাঙ্গুনিয়া (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি

কিশোরগঞ্জের অষ্টগ্রাম ও চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়ায় খেলা করার সময় পানিতে পড়ে ছয় শিশুর মর্মান্তিক মৃত্যু হয়েছে। আজ শুক্রবার অষ্টগ্রাম উপজেলার দেওঘর ইউনিয়ন ও রাঙ্গুনিয়ার পারুয়া ইউনিয়নে ঘটনা দুটি ঘটে। এতে ওইসব এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে।
আজ বিকেলে অষ্টগ্রাম উপজেলার দেওঘর ইউনিয়নের পশ্চিম আলীনগর এলাকায় বাড়িসংলগ্ন বিলের পাশে খেলা করছিল মিশকাত (৫), মাহিন (৬) ও সাত্তার তানিল মিয়া (৫)। হঠাৎ সবার অজান্তে তিন শিশু বিলে পড়ে ডুবে যায়।
খোঁজাখুঁজির একপর্যায়ে বিল থেকে মিশকাত ও মাহিনকে উদ্ধার করা হয়। পরে অষ্টগ্রাম উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে দায়িত্বরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। সন্ধ্যা ৭টার দিকে খবর পেয়ে অষ্টগ্রাম ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা গিয়ে ঘটনাস্থল থেকে অপর শিশু তানিলের মরদেহ উদ্ধার করে।
এ বিষয়ে মাহিনের চাচা মোবারক হোসেন বলেন, প্রতিদিনের মতো তিন শিশু খেলাধুলা করছিল। কিন্তু কখন যে বিলের পানিতে ডুবে গেল, কেউ বোঝেনি। পরে তাদের দেখতে না পেয়ে খোঁজাখুঁজি করে পানিতে প্রথমে দুজন, পরে অন্যজনকে পাওয়া যায়।
এ বিষয়ে দেওঘর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান মো. আক্তার হোসেন বলেন, দুঃখজনক খবর, একই বাড়ির তিনটা শিশুর মৃত্যুতে এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে।
অপর দিকে রাঙ্গুনিয়া উপজেলার পারুয়া ইউনিয়নে একই দিন বিকেলে উত্তর পারুয়া গ্রামের একটি পুকুরে পড়ে মারা যায় তিন শিশু। তারা হলো সুমাইয়া আক্তার (৫), হাবীবা আক্তার (৬) ও জান্নাত আক্তার (৫)।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, বিকেলে খেলার ছলে তারা তিনজনই বাড়ির পাশে পুকুরে যায়। কিছুক্ষণ পর না পেয়ে পরিবারের লোকজন খোঁজাখুঁজি শুরু করে। পরে পুকুরে ভাসমান অবস্থায় তাদের মরদেহ উদ্ধার করে স্থানীয় স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
এ বিষয়ে পারুয়া ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান একতেহার হোসেন বলেন, ‘তিনটি নিষ্পাপ শিশুর এমন মৃত্যুর ঘটনা আমাদের সবাইকে স্তব্ধ করে দিয়েছে। পুরো এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে।’

কিশোরগঞ্জের অষ্টগ্রাম ও চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়ায় খেলা করার সময় পানিতে পড়ে ছয় শিশুর মর্মান্তিক মৃত্যু হয়েছে। আজ শুক্রবার অষ্টগ্রাম উপজেলার দেওঘর ইউনিয়ন ও রাঙ্গুনিয়ার পারুয়া ইউনিয়নে ঘটনা দুটি ঘটে। এতে ওইসব এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে।
আজ বিকেলে অষ্টগ্রাম উপজেলার দেওঘর ইউনিয়নের পশ্চিম আলীনগর এলাকায় বাড়িসংলগ্ন বিলের পাশে খেলা করছিল মিশকাত (৫), মাহিন (৬) ও সাত্তার তানিল মিয়া (৫)। হঠাৎ সবার অজান্তে তিন শিশু বিলে পড়ে ডুবে যায়।
খোঁজাখুঁজির একপর্যায়ে বিল থেকে মিশকাত ও মাহিনকে উদ্ধার করা হয়। পরে অষ্টগ্রাম উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে দায়িত্বরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। সন্ধ্যা ৭টার দিকে খবর পেয়ে অষ্টগ্রাম ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা গিয়ে ঘটনাস্থল থেকে অপর শিশু তানিলের মরদেহ উদ্ধার করে।
এ বিষয়ে মাহিনের চাচা মোবারক হোসেন বলেন, প্রতিদিনের মতো তিন শিশু খেলাধুলা করছিল। কিন্তু কখন যে বিলের পানিতে ডুবে গেল, কেউ বোঝেনি। পরে তাদের দেখতে না পেয়ে খোঁজাখুঁজি করে পানিতে প্রথমে দুজন, পরে অন্যজনকে পাওয়া যায়।
এ বিষয়ে দেওঘর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান মো. আক্তার হোসেন বলেন, দুঃখজনক খবর, একই বাড়ির তিনটা শিশুর মৃত্যুতে এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে।
অপর দিকে রাঙ্গুনিয়া উপজেলার পারুয়া ইউনিয়নে একই দিন বিকেলে উত্তর পারুয়া গ্রামের একটি পুকুরে পড়ে মারা যায় তিন শিশু। তারা হলো সুমাইয়া আক্তার (৫), হাবীবা আক্তার (৬) ও জান্নাত আক্তার (৫)।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, বিকেলে খেলার ছলে তারা তিনজনই বাড়ির পাশে পুকুরে যায়। কিছুক্ষণ পর না পেয়ে পরিবারের লোকজন খোঁজাখুঁজি শুরু করে। পরে পুকুরে ভাসমান অবস্থায় তাদের মরদেহ উদ্ধার করে স্থানীয় স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
এ বিষয়ে পারুয়া ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান একতেহার হোসেন বলেন, ‘তিনটি নিষ্পাপ শিশুর এমন মৃত্যুর ঘটনা আমাদের সবাইকে স্তব্ধ করে দিয়েছে। পুরো এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে।’

বছরের পর বছর তীব্র যানজটের ভোগান্তি দিয়ে অবশেষে জোড়াতালি দিয়ে চালু হচ্ছে ঢাকা-গাজীপুর বাস র্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) প্রকল্প। তবে ১২ বছর বয়সী প্রকল্পটির কাজ এখনো শেষ হয়নি। এ পথে চলাচলের জন্য নির্ধারিত বিশেষায়িত বাসও কেনা হয়নি। তাই শুরুতে বিআরটিসির বাসই চলবে। প্রস্তুতিতে নানা ঘাটতি নিয়েই ৬ ডিসেম্বর শ
১৩ ডিসেম্বর ২০২৪
বিচারকদের উদ্দেশে তিনি বলেন, গুমের বিচার বাস্তবায়নে বিচারকদের সাহসী ও ন্যায্য ভূমিকা রাখা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। বিচার বিভাগের নিরপেক্ষতা ও দৃঢ় অবস্থানই একদিন বাংলাদেশ থেকে গুমের সংস্কৃতি নির্মূল করবে।
২ ঘণ্টা আগে
বাংলাদেশে যুক্তরাষ্ট্রের পরবর্তী রাষ্ট্রদূত হিসেবে মনোনীত ব্রেন্ট ক্রিস্টেনসেন বলেছেন, নিয়োগ পেলে চীনা কর্মকাণ্ড থেকে উদ্ভূত ঝুঁকিগুলো স্পষ্টভাবে তুলে ধরতে তিনি বাংলাদেশ সরকার ও সামরিক বাহিনীর সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করবেন। গত বৃহস্পতিবার (২৩ অক্টোবর) যুক্তরাষ্ট্র সিনেটের পররাষ্ট্রবিষয়ক কমিটিতে তাঁর
২ ঘণ্টা আগে
বিমানবন্দরের ভয়াবহ আগুন লাগার কারণ ও দায়ীদের খুঁজে বের করতে চারটি দেশ থেকে বিশেষজ্ঞ আনা হবে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী।
৯ ঘণ্টা আগে