মো. হুমায়ূন কবীর, ঢাকা

আগামী ডিসেম্বরে ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন আয়োজনের প্রস্তুতি নিচ্ছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। ভোটার তালিকা হালনাগাদ কার্যক্রম প্রায় শেষ। অক্টোবরে তফসিল ঘোষণা করতে আগস্টের মধ্যে সব ধরনের প্রস্তুতি রাখতে চায় কমিশন। আরও কিছু বিষয় প্রক্রিয়াধীন। তবে আইন সংশোধন না হওয়ায় ইসি অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ কাজ সীমানা পুনর্নির্ধারণ শুরু করতে পারছে না। এ জন্য সরকারের দিকে তাকিয়ে আছে সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানটি।
প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দিন কিছুদিন আগেই বলেছেন, সীমানা পুনর্নির্ধারণের জন্য তাঁদের কাছে অনেক আবেদন আসছে। তিনি তখন বলেন, আইন সংশোধন না করলে আবেদনগুলো নিষ্পত্তি করা যাবে না।
ইসি সূত্র জানিয়েছে, জুলাই অভ্যুত্থানের পর থেকে সীমানা পুনর্নির্ধারণের জন্য ইসিতে আবেদন আসতে শুরু করে। বেশির ভাগ আবেদন করা হয়েছে ২০০১ সালের সীমায় ফেরানোর জন্য। কারণ, ওই বছর কমবেশি ১৫০ আসনের সীমানা কাটাছেঁড়া করা হয়েছে। আসন বিলুপ্তির ঘটনাও ঘটেছে তখন। ঢাকা-১ আসন থেকে দোহার ও নবাবগঞ্জ সংসদীয় আসন (ঢাকা-১ ও ২) পুনরুদ্ধার কমিটির আবেদনে বলা হয়েছে, ২০০১ সালের নির্বাচনেও দোহার উপজেলা নিয়ে ঢাকা-১ ও নবাবগঞ্জ উপজেলা নিয়ে ঢাকা-২ আসন ছিল। কিন্তু ২০০৮ সালে আওয়ামী লীগকে ‘সুবিধা দিতে’ আসন দুটিকে এক করে ৮টি ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভা নিয়ে গঠিত দোহার উপজেলা এবং ১৪টি ইউনিয়ন নিয়ে গঠিত নবাবগঞ্জ উপজেলা নিয়ে ঢাকা-১ আসন করা হয়। এতে এই অঞ্চলের মানুষের আর্থসামাজিক অবস্থার অপূরণীয় ক্ষতি হয়েছে। আসন পুনরুদ্ধার কমিটির আবেদনে আগের মতো দোহার উপজেলা নিয়ে ঢাকা-১ ও নবাবগঞ্জ উপজেলা নিয়ে ঢাকা-২ আসন করার দাবি জানানো হয়।
ফরিদপুরের সদরপুর ও চরভদ্রাসন নিয়ে ফরিদপুর-৪ পুরোনো সংসদীয় আসনটির সীমানা পুনর্বহালের দাবিতেও ইসিতে আবেদন করা হয়েছে। ‘সদরপুর-চরভদ্রাসন সংসদীয় আসন (ফরিদপুর-৪) পুনরুদ্ধার কমিটি’ এই আবেদন করে। আবেদনে উল্লেখ করা হয়, ১৯৭৩ থেকে ২০০১ সাল পর্যন্ত (শুধু ১৯৭৯ সাল ছাড়া) প্রতিটি সংসদীয় নির্বাচনে ফরিদপুর-৪ আসন ছিল সদরপুর ও চরভদ্রাসন নিয়ে। তবে ২০০৮ সালে নির্বাচনের আগে প্রশাসনিক ও ভৌগোলিক অখণ্ডতা উপেক্ষা করে শুধু জনসংখ্যাকে গুরুত্ব দিয়ে এর সঙ্গে ভাঙ্গা উপজেলা যুক্ত করা হয়।
ইসির সিনিয়র সচিব আখতার আহমেদ বলেন, ‘৬০টি সংসদীয় আসন থেকে ৪০০-এর মতো আবেদন এসেছে। আমরা এগুলো পর্যালোচনা করছি।’
অন্য যেসব সংসদীয় আসন থেকে রদবদলের আবেদন এসেছে, তার মধ্যে রয়েছে—ঢাকা-১, ২, ৭, ১২, ১৬ ও ১৯; নারায়ণগঞ্জ-১, ২, ৩, ৪ ও ৫; গাজীপুর-৩; মানিকগঞ্জ-২ ও ৩; কিশোরগঞ্জ-২; সিরাজগঞ্জ-২ ও ৫; গাইবান্ধা-৩; ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৩ ও ৪; ফেনী-২ ও ৩; নোয়াখালী-১ ও ২; কুমিল্লা-১, ২, ৬, ৯ ও ১০; চট্টগ্রাম-৩, ৪, ৭ ও ৮; সিলেট-৩; চাঁদপুর-১, ২, ৩, ৪ ও ৫; ফরিদপুর-৪; রাজবাড়ী-১, ২ ও ৩; শরীয়তপুর-২; যশোর-২; ঝালকাঠি-২; বরগুনা-১ ও ২; পিরোজপুর-১ ও ২ ইত্যাদি।
সংসদীয় আসনের সীমানা পুনর্নির্ধারণে বিদ্যমান আইনি জটিলতা দূর করতে সংশোধিত খসড়া আইন তৈরি করা হয়েছে। সীমানা নির্ধারণে ইসির ক্ষমতা ‘সীমিত হয়ে যাওয়ায়’ ২০২১ সালে পাস হওয়া আইনটি সংশোধনের উদ্যোগ নেয় কমিশন। গত ২৭ জানুয়ারি ইসির আইন ও বিধিমালা সংস্কার কমিটির বৈঠকে খসড়াটি অনুমোদন করা হয়। ১২ ফেব্রুয়ারি তা আইন মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়।
ইসি সূত্র জানায়, মন্ত্রণালয়ে পাঠানো প্রস্তাবে বিদ্যমান আইনের ৪, ৬ ও ৮ নম্বর ধারায় সংশোধনের পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে মূল সংশোধনটি হচ্ছে ৮(৩) ধারায় উপধারা (১)-এর স্থলে উপধারা (২) করা। বিগত কাজী হাবিবুল আউয়াল কমিশন ৮(৩) উপধারায় সংশোধনীর মাধ্যমে সীমানায় বড় ধরনের রদবদলের পথ বন্ধ করেছিল। অর্থাৎ এর ফলে ইসি চাইলেও সীমানায় বড় ধরনের পরিবর্তন আনতে পারত না।
গত ২৭ ফেব্রুয়ারি মন্ত্রিপরিষদ বিভাগে ইসির প্রস্তাবিত ‘জাতীয় সংসদের নির্বাচনী এলাকার সীমানা নির্ধারণ আইন (সংশোধন) অধ্যাদেশ, ২০২৫’ খসড়ার বিষয়ে আন্তমন্ত্রণালয় কমিটির প্রথম সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় ইসির অতিরিক্ত সচিব কে এম আলী নেওয়াজ জানান, বর্তমান নির্বাচন কমিশন দায়িত্ব গ্রহণের পর থেকে সংসদীয় আসনের বিদ্যমান সীমানা পুনর্নির্ধারণের বিষয়ে প্রস্তাব পাওয়া গেছে। অন্তর্বর্তী সরকারের গঠিত নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কার কমিশনের প্রতিবেদনেও সীমানা পুনর্নির্ধারণের বিষয়টি উল্লেখ করা হয়েছে। কে এম আলী নেওয়াজ বলেন, বিদ্যমান আইনে সীমানা নির্ধারণের ক্ষেত্রে জনসংখ্যাকে অধিক গুরুত্ব দেওয়ার কারণে ঘনবসতিপূর্ণ শহর এলাকায় সংসদীয় আসন বৃদ্ধি পেয়েছে; আবার যেসব এলাকায় জনবসতি কম, সেখানে আসনসংখ্যা হ্রাস পেয়েছে। এসব বিবেচনায় নিয়ে বিদ্যমান আইনের ৪, ৬ ও ৮ নম্বর ধারা সংশোধনের প্রস্তাব করা হয়েছে।
আন্তমন্ত্রণালয় কমিটির সভায় ইসির অতিরিক্ত সচিব সীমানা নির্ধারণ-সংক্রান্ত কার্যক্রমে গতি আনতে সংশ্লিষ্টদের আইন সংশোধনের প্রস্তাবে সুপারিশ করার জন্য অনুরোধ করেন। তিনি এ সময় উল্লেখ করেন, এ পর্যন্ত ‘জাতীয় সংসদের নির্বাচনী এলাকার সীমানা নির্ধারণ আইন, ২০২১’-এর বিধিমালা প্রণয়ন করা হয়নি। সভায় আলোচনার পর পরীক্ষা-নিরীক্ষার জন্য বেশ কিছু পর্যালোচনার সুপারিশ করা হয়।
এ বিষয়ে নির্বাচন কমিশনার মো. আনোয়ারুল ইসলাম সরকার আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমাদের ধারণা ছিল জুনের মধ্যে আসন বিন্যাস শেষ করতে পারব। এটার জন্য আইনে কিছু সংশোধনসহ প্রস্তাব পাঠিয়েছিলাম। তার চূড়ান্ত কপি আমরা এখনো হাতে পাইনি। এটি সংশোধন হলে আসন পুনর্বিন্যাস করতে পারব। আর না হলে এখন যেভাবে আছে, সেভাবেই নির্বাচন করতে হবে।’

আগামী ডিসেম্বরে ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন আয়োজনের প্রস্তুতি নিচ্ছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। ভোটার তালিকা হালনাগাদ কার্যক্রম প্রায় শেষ। অক্টোবরে তফসিল ঘোষণা করতে আগস্টের মধ্যে সব ধরনের প্রস্তুতি রাখতে চায় কমিশন। আরও কিছু বিষয় প্রক্রিয়াধীন। তবে আইন সংশোধন না হওয়ায় ইসি অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ কাজ সীমানা পুনর্নির্ধারণ শুরু করতে পারছে না। এ জন্য সরকারের দিকে তাকিয়ে আছে সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানটি।
প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দিন কিছুদিন আগেই বলেছেন, সীমানা পুনর্নির্ধারণের জন্য তাঁদের কাছে অনেক আবেদন আসছে। তিনি তখন বলেন, আইন সংশোধন না করলে আবেদনগুলো নিষ্পত্তি করা যাবে না।
ইসি সূত্র জানিয়েছে, জুলাই অভ্যুত্থানের পর থেকে সীমানা পুনর্নির্ধারণের জন্য ইসিতে আবেদন আসতে শুরু করে। বেশির ভাগ আবেদন করা হয়েছে ২০০১ সালের সীমায় ফেরানোর জন্য। কারণ, ওই বছর কমবেশি ১৫০ আসনের সীমানা কাটাছেঁড়া করা হয়েছে। আসন বিলুপ্তির ঘটনাও ঘটেছে তখন। ঢাকা-১ আসন থেকে দোহার ও নবাবগঞ্জ সংসদীয় আসন (ঢাকা-১ ও ২) পুনরুদ্ধার কমিটির আবেদনে বলা হয়েছে, ২০০১ সালের নির্বাচনেও দোহার উপজেলা নিয়ে ঢাকা-১ ও নবাবগঞ্জ উপজেলা নিয়ে ঢাকা-২ আসন ছিল। কিন্তু ২০০৮ সালে আওয়ামী লীগকে ‘সুবিধা দিতে’ আসন দুটিকে এক করে ৮টি ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভা নিয়ে গঠিত দোহার উপজেলা এবং ১৪টি ইউনিয়ন নিয়ে গঠিত নবাবগঞ্জ উপজেলা নিয়ে ঢাকা-১ আসন করা হয়। এতে এই অঞ্চলের মানুষের আর্থসামাজিক অবস্থার অপূরণীয় ক্ষতি হয়েছে। আসন পুনরুদ্ধার কমিটির আবেদনে আগের মতো দোহার উপজেলা নিয়ে ঢাকা-১ ও নবাবগঞ্জ উপজেলা নিয়ে ঢাকা-২ আসন করার দাবি জানানো হয়।
ফরিদপুরের সদরপুর ও চরভদ্রাসন নিয়ে ফরিদপুর-৪ পুরোনো সংসদীয় আসনটির সীমানা পুনর্বহালের দাবিতেও ইসিতে আবেদন করা হয়েছে। ‘সদরপুর-চরভদ্রাসন সংসদীয় আসন (ফরিদপুর-৪) পুনরুদ্ধার কমিটি’ এই আবেদন করে। আবেদনে উল্লেখ করা হয়, ১৯৭৩ থেকে ২০০১ সাল পর্যন্ত (শুধু ১৯৭৯ সাল ছাড়া) প্রতিটি সংসদীয় নির্বাচনে ফরিদপুর-৪ আসন ছিল সদরপুর ও চরভদ্রাসন নিয়ে। তবে ২০০৮ সালে নির্বাচনের আগে প্রশাসনিক ও ভৌগোলিক অখণ্ডতা উপেক্ষা করে শুধু জনসংখ্যাকে গুরুত্ব দিয়ে এর সঙ্গে ভাঙ্গা উপজেলা যুক্ত করা হয়।
ইসির সিনিয়র সচিব আখতার আহমেদ বলেন, ‘৬০টি সংসদীয় আসন থেকে ৪০০-এর মতো আবেদন এসেছে। আমরা এগুলো পর্যালোচনা করছি।’
অন্য যেসব সংসদীয় আসন থেকে রদবদলের আবেদন এসেছে, তার মধ্যে রয়েছে—ঢাকা-১, ২, ৭, ১২, ১৬ ও ১৯; নারায়ণগঞ্জ-১, ২, ৩, ৪ ও ৫; গাজীপুর-৩; মানিকগঞ্জ-২ ও ৩; কিশোরগঞ্জ-২; সিরাজগঞ্জ-২ ও ৫; গাইবান্ধা-৩; ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৩ ও ৪; ফেনী-২ ও ৩; নোয়াখালী-১ ও ২; কুমিল্লা-১, ২, ৬, ৯ ও ১০; চট্টগ্রাম-৩, ৪, ৭ ও ৮; সিলেট-৩; চাঁদপুর-১, ২, ৩, ৪ ও ৫; ফরিদপুর-৪; রাজবাড়ী-১, ২ ও ৩; শরীয়তপুর-২; যশোর-২; ঝালকাঠি-২; বরগুনা-১ ও ২; পিরোজপুর-১ ও ২ ইত্যাদি।
সংসদীয় আসনের সীমানা পুনর্নির্ধারণে বিদ্যমান আইনি জটিলতা দূর করতে সংশোধিত খসড়া আইন তৈরি করা হয়েছে। সীমানা নির্ধারণে ইসির ক্ষমতা ‘সীমিত হয়ে যাওয়ায়’ ২০২১ সালে পাস হওয়া আইনটি সংশোধনের উদ্যোগ নেয় কমিশন। গত ২৭ জানুয়ারি ইসির আইন ও বিধিমালা সংস্কার কমিটির বৈঠকে খসড়াটি অনুমোদন করা হয়। ১২ ফেব্রুয়ারি তা আইন মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়।
ইসি সূত্র জানায়, মন্ত্রণালয়ে পাঠানো প্রস্তাবে বিদ্যমান আইনের ৪, ৬ ও ৮ নম্বর ধারায় সংশোধনের পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে মূল সংশোধনটি হচ্ছে ৮(৩) ধারায় উপধারা (১)-এর স্থলে উপধারা (২) করা। বিগত কাজী হাবিবুল আউয়াল কমিশন ৮(৩) উপধারায় সংশোধনীর মাধ্যমে সীমানায় বড় ধরনের রদবদলের পথ বন্ধ করেছিল। অর্থাৎ এর ফলে ইসি চাইলেও সীমানায় বড় ধরনের পরিবর্তন আনতে পারত না।
গত ২৭ ফেব্রুয়ারি মন্ত্রিপরিষদ বিভাগে ইসির প্রস্তাবিত ‘জাতীয় সংসদের নির্বাচনী এলাকার সীমানা নির্ধারণ আইন (সংশোধন) অধ্যাদেশ, ২০২৫’ খসড়ার বিষয়ে আন্তমন্ত্রণালয় কমিটির প্রথম সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় ইসির অতিরিক্ত সচিব কে এম আলী নেওয়াজ জানান, বর্তমান নির্বাচন কমিশন দায়িত্ব গ্রহণের পর থেকে সংসদীয় আসনের বিদ্যমান সীমানা পুনর্নির্ধারণের বিষয়ে প্রস্তাব পাওয়া গেছে। অন্তর্বর্তী সরকারের গঠিত নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কার কমিশনের প্রতিবেদনেও সীমানা পুনর্নির্ধারণের বিষয়টি উল্লেখ করা হয়েছে। কে এম আলী নেওয়াজ বলেন, বিদ্যমান আইনে সীমানা নির্ধারণের ক্ষেত্রে জনসংখ্যাকে অধিক গুরুত্ব দেওয়ার কারণে ঘনবসতিপূর্ণ শহর এলাকায় সংসদীয় আসন বৃদ্ধি পেয়েছে; আবার যেসব এলাকায় জনবসতি কম, সেখানে আসনসংখ্যা হ্রাস পেয়েছে। এসব বিবেচনায় নিয়ে বিদ্যমান আইনের ৪, ৬ ও ৮ নম্বর ধারা সংশোধনের প্রস্তাব করা হয়েছে।
আন্তমন্ত্রণালয় কমিটির সভায় ইসির অতিরিক্ত সচিব সীমানা নির্ধারণ-সংক্রান্ত কার্যক্রমে গতি আনতে সংশ্লিষ্টদের আইন সংশোধনের প্রস্তাবে সুপারিশ করার জন্য অনুরোধ করেন। তিনি এ সময় উল্লেখ করেন, এ পর্যন্ত ‘জাতীয় সংসদের নির্বাচনী এলাকার সীমানা নির্ধারণ আইন, ২০২১’-এর বিধিমালা প্রণয়ন করা হয়নি। সভায় আলোচনার পর পরীক্ষা-নিরীক্ষার জন্য বেশ কিছু পর্যালোচনার সুপারিশ করা হয়।
এ বিষয়ে নির্বাচন কমিশনার মো. আনোয়ারুল ইসলাম সরকার আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমাদের ধারণা ছিল জুনের মধ্যে আসন বিন্যাস শেষ করতে পারব। এটার জন্য আইনে কিছু সংশোধনসহ প্রস্তাব পাঠিয়েছিলাম। তার চূড়ান্ত কপি আমরা এখনো হাতে পাইনি। এটি সংশোধন হলে আসন পুনর্বিন্যাস করতে পারব। আর না হলে এখন যেভাবে আছে, সেভাবেই নির্বাচন করতে হবে।’
মো. হুমায়ূন কবীর, ঢাকা

আগামী ডিসেম্বরে ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন আয়োজনের প্রস্তুতি নিচ্ছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। ভোটার তালিকা হালনাগাদ কার্যক্রম প্রায় শেষ। অক্টোবরে তফসিল ঘোষণা করতে আগস্টের মধ্যে সব ধরনের প্রস্তুতি রাখতে চায় কমিশন। আরও কিছু বিষয় প্রক্রিয়াধীন। তবে আইন সংশোধন না হওয়ায় ইসি অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ কাজ সীমানা পুনর্নির্ধারণ শুরু করতে পারছে না। এ জন্য সরকারের দিকে তাকিয়ে আছে সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানটি।
প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দিন কিছুদিন আগেই বলেছেন, সীমানা পুনর্নির্ধারণের জন্য তাঁদের কাছে অনেক আবেদন আসছে। তিনি তখন বলেন, আইন সংশোধন না করলে আবেদনগুলো নিষ্পত্তি করা যাবে না।
ইসি সূত্র জানিয়েছে, জুলাই অভ্যুত্থানের পর থেকে সীমানা পুনর্নির্ধারণের জন্য ইসিতে আবেদন আসতে শুরু করে। বেশির ভাগ আবেদন করা হয়েছে ২০০১ সালের সীমায় ফেরানোর জন্য। কারণ, ওই বছর কমবেশি ১৫০ আসনের সীমানা কাটাছেঁড়া করা হয়েছে। আসন বিলুপ্তির ঘটনাও ঘটেছে তখন। ঢাকা-১ আসন থেকে দোহার ও নবাবগঞ্জ সংসদীয় আসন (ঢাকা-১ ও ২) পুনরুদ্ধার কমিটির আবেদনে বলা হয়েছে, ২০০১ সালের নির্বাচনেও দোহার উপজেলা নিয়ে ঢাকা-১ ও নবাবগঞ্জ উপজেলা নিয়ে ঢাকা-২ আসন ছিল। কিন্তু ২০০৮ সালে আওয়ামী লীগকে ‘সুবিধা দিতে’ আসন দুটিকে এক করে ৮টি ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভা নিয়ে গঠিত দোহার উপজেলা এবং ১৪টি ইউনিয়ন নিয়ে গঠিত নবাবগঞ্জ উপজেলা নিয়ে ঢাকা-১ আসন করা হয়। এতে এই অঞ্চলের মানুষের আর্থসামাজিক অবস্থার অপূরণীয় ক্ষতি হয়েছে। আসন পুনরুদ্ধার কমিটির আবেদনে আগের মতো দোহার উপজেলা নিয়ে ঢাকা-১ ও নবাবগঞ্জ উপজেলা নিয়ে ঢাকা-২ আসন করার দাবি জানানো হয়।
ফরিদপুরের সদরপুর ও চরভদ্রাসন নিয়ে ফরিদপুর-৪ পুরোনো সংসদীয় আসনটির সীমানা পুনর্বহালের দাবিতেও ইসিতে আবেদন করা হয়েছে। ‘সদরপুর-চরভদ্রাসন সংসদীয় আসন (ফরিদপুর-৪) পুনরুদ্ধার কমিটি’ এই আবেদন করে। আবেদনে উল্লেখ করা হয়, ১৯৭৩ থেকে ২০০১ সাল পর্যন্ত (শুধু ১৯৭৯ সাল ছাড়া) প্রতিটি সংসদীয় নির্বাচনে ফরিদপুর-৪ আসন ছিল সদরপুর ও চরভদ্রাসন নিয়ে। তবে ২০০৮ সালে নির্বাচনের আগে প্রশাসনিক ও ভৌগোলিক অখণ্ডতা উপেক্ষা করে শুধু জনসংখ্যাকে গুরুত্ব দিয়ে এর সঙ্গে ভাঙ্গা উপজেলা যুক্ত করা হয়।
ইসির সিনিয়র সচিব আখতার আহমেদ বলেন, ‘৬০টি সংসদীয় আসন থেকে ৪০০-এর মতো আবেদন এসেছে। আমরা এগুলো পর্যালোচনা করছি।’
অন্য যেসব সংসদীয় আসন থেকে রদবদলের আবেদন এসেছে, তার মধ্যে রয়েছে—ঢাকা-১, ২, ৭, ১২, ১৬ ও ১৯; নারায়ণগঞ্জ-১, ২, ৩, ৪ ও ৫; গাজীপুর-৩; মানিকগঞ্জ-২ ও ৩; কিশোরগঞ্জ-২; সিরাজগঞ্জ-২ ও ৫; গাইবান্ধা-৩; ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৩ ও ৪; ফেনী-২ ও ৩; নোয়াখালী-১ ও ২; কুমিল্লা-১, ২, ৬, ৯ ও ১০; চট্টগ্রাম-৩, ৪, ৭ ও ৮; সিলেট-৩; চাঁদপুর-১, ২, ৩, ৪ ও ৫; ফরিদপুর-৪; রাজবাড়ী-১, ২ ও ৩; শরীয়তপুর-২; যশোর-২; ঝালকাঠি-২; বরগুনা-১ ও ২; পিরোজপুর-১ ও ২ ইত্যাদি।
সংসদীয় আসনের সীমানা পুনর্নির্ধারণে বিদ্যমান আইনি জটিলতা দূর করতে সংশোধিত খসড়া আইন তৈরি করা হয়েছে। সীমানা নির্ধারণে ইসির ক্ষমতা ‘সীমিত হয়ে যাওয়ায়’ ২০২১ সালে পাস হওয়া আইনটি সংশোধনের উদ্যোগ নেয় কমিশন। গত ২৭ জানুয়ারি ইসির আইন ও বিধিমালা সংস্কার কমিটির বৈঠকে খসড়াটি অনুমোদন করা হয়। ১২ ফেব্রুয়ারি তা আইন মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়।
ইসি সূত্র জানায়, মন্ত্রণালয়ে পাঠানো প্রস্তাবে বিদ্যমান আইনের ৪, ৬ ও ৮ নম্বর ধারায় সংশোধনের পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে মূল সংশোধনটি হচ্ছে ৮(৩) ধারায় উপধারা (১)-এর স্থলে উপধারা (২) করা। বিগত কাজী হাবিবুল আউয়াল কমিশন ৮(৩) উপধারায় সংশোধনীর মাধ্যমে সীমানায় বড় ধরনের রদবদলের পথ বন্ধ করেছিল। অর্থাৎ এর ফলে ইসি চাইলেও সীমানায় বড় ধরনের পরিবর্তন আনতে পারত না।
গত ২৭ ফেব্রুয়ারি মন্ত্রিপরিষদ বিভাগে ইসির প্রস্তাবিত ‘জাতীয় সংসদের নির্বাচনী এলাকার সীমানা নির্ধারণ আইন (সংশোধন) অধ্যাদেশ, ২০২৫’ খসড়ার বিষয়ে আন্তমন্ত্রণালয় কমিটির প্রথম সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় ইসির অতিরিক্ত সচিব কে এম আলী নেওয়াজ জানান, বর্তমান নির্বাচন কমিশন দায়িত্ব গ্রহণের পর থেকে সংসদীয় আসনের বিদ্যমান সীমানা পুনর্নির্ধারণের বিষয়ে প্রস্তাব পাওয়া গেছে। অন্তর্বর্তী সরকারের গঠিত নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কার কমিশনের প্রতিবেদনেও সীমানা পুনর্নির্ধারণের বিষয়টি উল্লেখ করা হয়েছে। কে এম আলী নেওয়াজ বলেন, বিদ্যমান আইনে সীমানা নির্ধারণের ক্ষেত্রে জনসংখ্যাকে অধিক গুরুত্ব দেওয়ার কারণে ঘনবসতিপূর্ণ শহর এলাকায় সংসদীয় আসন বৃদ্ধি পেয়েছে; আবার যেসব এলাকায় জনবসতি কম, সেখানে আসনসংখ্যা হ্রাস পেয়েছে। এসব বিবেচনায় নিয়ে বিদ্যমান আইনের ৪, ৬ ও ৮ নম্বর ধারা সংশোধনের প্রস্তাব করা হয়েছে।
আন্তমন্ত্রণালয় কমিটির সভায় ইসির অতিরিক্ত সচিব সীমানা নির্ধারণ-সংক্রান্ত কার্যক্রমে গতি আনতে সংশ্লিষ্টদের আইন সংশোধনের প্রস্তাবে সুপারিশ করার জন্য অনুরোধ করেন। তিনি এ সময় উল্লেখ করেন, এ পর্যন্ত ‘জাতীয় সংসদের নির্বাচনী এলাকার সীমানা নির্ধারণ আইন, ২০২১’-এর বিধিমালা প্রণয়ন করা হয়নি। সভায় আলোচনার পর পরীক্ষা-নিরীক্ষার জন্য বেশ কিছু পর্যালোচনার সুপারিশ করা হয়।
এ বিষয়ে নির্বাচন কমিশনার মো. আনোয়ারুল ইসলাম সরকার আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমাদের ধারণা ছিল জুনের মধ্যে আসন বিন্যাস শেষ করতে পারব। এটার জন্য আইনে কিছু সংশোধনসহ প্রস্তাব পাঠিয়েছিলাম। তার চূড়ান্ত কপি আমরা এখনো হাতে পাইনি। এটি সংশোধন হলে আসন পুনর্বিন্যাস করতে পারব। আর না হলে এখন যেভাবে আছে, সেভাবেই নির্বাচন করতে হবে।’

আগামী ডিসেম্বরে ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন আয়োজনের প্রস্তুতি নিচ্ছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। ভোটার তালিকা হালনাগাদ কার্যক্রম প্রায় শেষ। অক্টোবরে তফসিল ঘোষণা করতে আগস্টের মধ্যে সব ধরনের প্রস্তুতি রাখতে চায় কমিশন। আরও কিছু বিষয় প্রক্রিয়াধীন। তবে আইন সংশোধন না হওয়ায় ইসি অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ কাজ সীমানা পুনর্নির্ধারণ শুরু করতে পারছে না। এ জন্য সরকারের দিকে তাকিয়ে আছে সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানটি।
প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দিন কিছুদিন আগেই বলেছেন, সীমানা পুনর্নির্ধারণের জন্য তাঁদের কাছে অনেক আবেদন আসছে। তিনি তখন বলেন, আইন সংশোধন না করলে আবেদনগুলো নিষ্পত্তি করা যাবে না।
ইসি সূত্র জানিয়েছে, জুলাই অভ্যুত্থানের পর থেকে সীমানা পুনর্নির্ধারণের জন্য ইসিতে আবেদন আসতে শুরু করে। বেশির ভাগ আবেদন করা হয়েছে ২০০১ সালের সীমায় ফেরানোর জন্য। কারণ, ওই বছর কমবেশি ১৫০ আসনের সীমানা কাটাছেঁড়া করা হয়েছে। আসন বিলুপ্তির ঘটনাও ঘটেছে তখন। ঢাকা-১ আসন থেকে দোহার ও নবাবগঞ্জ সংসদীয় আসন (ঢাকা-১ ও ২) পুনরুদ্ধার কমিটির আবেদনে বলা হয়েছে, ২০০১ সালের নির্বাচনেও দোহার উপজেলা নিয়ে ঢাকা-১ ও নবাবগঞ্জ উপজেলা নিয়ে ঢাকা-২ আসন ছিল। কিন্তু ২০০৮ সালে আওয়ামী লীগকে ‘সুবিধা দিতে’ আসন দুটিকে এক করে ৮টি ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভা নিয়ে গঠিত দোহার উপজেলা এবং ১৪টি ইউনিয়ন নিয়ে গঠিত নবাবগঞ্জ উপজেলা নিয়ে ঢাকা-১ আসন করা হয়। এতে এই অঞ্চলের মানুষের আর্থসামাজিক অবস্থার অপূরণীয় ক্ষতি হয়েছে। আসন পুনরুদ্ধার কমিটির আবেদনে আগের মতো দোহার উপজেলা নিয়ে ঢাকা-১ ও নবাবগঞ্জ উপজেলা নিয়ে ঢাকা-২ আসন করার দাবি জানানো হয়।
ফরিদপুরের সদরপুর ও চরভদ্রাসন নিয়ে ফরিদপুর-৪ পুরোনো সংসদীয় আসনটির সীমানা পুনর্বহালের দাবিতেও ইসিতে আবেদন করা হয়েছে। ‘সদরপুর-চরভদ্রাসন সংসদীয় আসন (ফরিদপুর-৪) পুনরুদ্ধার কমিটি’ এই আবেদন করে। আবেদনে উল্লেখ করা হয়, ১৯৭৩ থেকে ২০০১ সাল পর্যন্ত (শুধু ১৯৭৯ সাল ছাড়া) প্রতিটি সংসদীয় নির্বাচনে ফরিদপুর-৪ আসন ছিল সদরপুর ও চরভদ্রাসন নিয়ে। তবে ২০০৮ সালে নির্বাচনের আগে প্রশাসনিক ও ভৌগোলিক অখণ্ডতা উপেক্ষা করে শুধু জনসংখ্যাকে গুরুত্ব দিয়ে এর সঙ্গে ভাঙ্গা উপজেলা যুক্ত করা হয়।
ইসির সিনিয়র সচিব আখতার আহমেদ বলেন, ‘৬০টি সংসদীয় আসন থেকে ৪০০-এর মতো আবেদন এসেছে। আমরা এগুলো পর্যালোচনা করছি।’
অন্য যেসব সংসদীয় আসন থেকে রদবদলের আবেদন এসেছে, তার মধ্যে রয়েছে—ঢাকা-১, ২, ৭, ১২, ১৬ ও ১৯; নারায়ণগঞ্জ-১, ২, ৩, ৪ ও ৫; গাজীপুর-৩; মানিকগঞ্জ-২ ও ৩; কিশোরগঞ্জ-২; সিরাজগঞ্জ-২ ও ৫; গাইবান্ধা-৩; ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৩ ও ৪; ফেনী-২ ও ৩; নোয়াখালী-১ ও ২; কুমিল্লা-১, ২, ৬, ৯ ও ১০; চট্টগ্রাম-৩, ৪, ৭ ও ৮; সিলেট-৩; চাঁদপুর-১, ২, ৩, ৪ ও ৫; ফরিদপুর-৪; রাজবাড়ী-১, ২ ও ৩; শরীয়তপুর-২; যশোর-২; ঝালকাঠি-২; বরগুনা-১ ও ২; পিরোজপুর-১ ও ২ ইত্যাদি।
সংসদীয় আসনের সীমানা পুনর্নির্ধারণে বিদ্যমান আইনি জটিলতা দূর করতে সংশোধিত খসড়া আইন তৈরি করা হয়েছে। সীমানা নির্ধারণে ইসির ক্ষমতা ‘সীমিত হয়ে যাওয়ায়’ ২০২১ সালে পাস হওয়া আইনটি সংশোধনের উদ্যোগ নেয় কমিশন। গত ২৭ জানুয়ারি ইসির আইন ও বিধিমালা সংস্কার কমিটির বৈঠকে খসড়াটি অনুমোদন করা হয়। ১২ ফেব্রুয়ারি তা আইন মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়।
ইসি সূত্র জানায়, মন্ত্রণালয়ে পাঠানো প্রস্তাবে বিদ্যমান আইনের ৪, ৬ ও ৮ নম্বর ধারায় সংশোধনের পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে মূল সংশোধনটি হচ্ছে ৮(৩) ধারায় উপধারা (১)-এর স্থলে উপধারা (২) করা। বিগত কাজী হাবিবুল আউয়াল কমিশন ৮(৩) উপধারায় সংশোধনীর মাধ্যমে সীমানায় বড় ধরনের রদবদলের পথ বন্ধ করেছিল। অর্থাৎ এর ফলে ইসি চাইলেও সীমানায় বড় ধরনের পরিবর্তন আনতে পারত না।
গত ২৭ ফেব্রুয়ারি মন্ত্রিপরিষদ বিভাগে ইসির প্রস্তাবিত ‘জাতীয় সংসদের নির্বাচনী এলাকার সীমানা নির্ধারণ আইন (সংশোধন) অধ্যাদেশ, ২০২৫’ খসড়ার বিষয়ে আন্তমন্ত্রণালয় কমিটির প্রথম সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় ইসির অতিরিক্ত সচিব কে এম আলী নেওয়াজ জানান, বর্তমান নির্বাচন কমিশন দায়িত্ব গ্রহণের পর থেকে সংসদীয় আসনের বিদ্যমান সীমানা পুনর্নির্ধারণের বিষয়ে প্রস্তাব পাওয়া গেছে। অন্তর্বর্তী সরকারের গঠিত নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কার কমিশনের প্রতিবেদনেও সীমানা পুনর্নির্ধারণের বিষয়টি উল্লেখ করা হয়েছে। কে এম আলী নেওয়াজ বলেন, বিদ্যমান আইনে সীমানা নির্ধারণের ক্ষেত্রে জনসংখ্যাকে অধিক গুরুত্ব দেওয়ার কারণে ঘনবসতিপূর্ণ শহর এলাকায় সংসদীয় আসন বৃদ্ধি পেয়েছে; আবার যেসব এলাকায় জনবসতি কম, সেখানে আসনসংখ্যা হ্রাস পেয়েছে। এসব বিবেচনায় নিয়ে বিদ্যমান আইনের ৪, ৬ ও ৮ নম্বর ধারা সংশোধনের প্রস্তাব করা হয়েছে।
আন্তমন্ত্রণালয় কমিটির সভায় ইসির অতিরিক্ত সচিব সীমানা নির্ধারণ-সংক্রান্ত কার্যক্রমে গতি আনতে সংশ্লিষ্টদের আইন সংশোধনের প্রস্তাবে সুপারিশ করার জন্য অনুরোধ করেন। তিনি এ সময় উল্লেখ করেন, এ পর্যন্ত ‘জাতীয় সংসদের নির্বাচনী এলাকার সীমানা নির্ধারণ আইন, ২০২১’-এর বিধিমালা প্রণয়ন করা হয়নি। সভায় আলোচনার পর পরীক্ষা-নিরীক্ষার জন্য বেশ কিছু পর্যালোচনার সুপারিশ করা হয়।
এ বিষয়ে নির্বাচন কমিশনার মো. আনোয়ারুল ইসলাম সরকার আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমাদের ধারণা ছিল জুনের মধ্যে আসন বিন্যাস শেষ করতে পারব। এটার জন্য আইনে কিছু সংশোধনসহ প্রস্তাব পাঠিয়েছিলাম। তার চূড়ান্ত কপি আমরা এখনো হাতে পাইনি। এটি সংশোধন হলে আসন পুনর্বিন্যাস করতে পারব। আর না হলে এখন যেভাবে আছে, সেভাবেই নির্বাচন করতে হবে।’

সন্ন জাতীয় নির্বাচন উপলক্ষে সার্বিক প্রস্তুতি, সারাদেশে আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি ও অভিযান পরিচালনা এবং সহিংসতা সৃষ্টিকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণসহ বিভিন্ন বিষয়ে নিয়ে বৈঠকে বসছে আইন-শৃঙ্খলা সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটি।
৩ ঘণ্টা আগে
আগামী জাতীয় সংসদ নিয়মিত সংসদের পাশাপাশি সংবিধান সংস্কার পরিষদ হিসেবে ২৭০ দিনের (৯ মাস) মধ্যে জুলাই সনদের সংবিধানসংক্রান্ত বিষয়গুলো সংবিধানে যুক্ত করবে বলে মতৈক্য হয়েছে। তবে নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে তা সম্পন্ন করার বিষয়টি কীভাবে নিশ্চিত হবে, গতকাল শনিবার পর্যন্ত তার কিনারা করতে পারেনি...
৯ ঘণ্টা আগে
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ (আরপিও) সংশোধন, ২০২৫-এর খসড়া নীতিগত ও চূড়ান্ত অনুমোদন করেছে উপদেষ্টা পরিষদ। গত বৃহস্পতিবার সংশোধিত আরপিও প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের সভাপতিত্বে পরিষদে অনুমোদন দেওয়া হয়।
১২ ঘণ্টা আগে
বিচারকদের উদ্দেশে তিনি বলেন, গুমের বিচার বাস্তবায়নে বিচারকদের সাহসী ও ন্যায্য ভূমিকা রাখা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। বিচার বিভাগের নিরপেক্ষতা ও দৃঢ় অবস্থানই একদিন বাংলাদেশ থেকে গুমের সংস্কৃতি নির্মূল করবে।
১৬ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

সন্ন জাতীয় নির্বাচন উপলক্ষে সার্বিক প্রস্তুতি, সারাদেশে আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি ও অভিযান পরিচালনা এবং সহিংসতা সৃষ্টিকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণসহ বিভিন্ন বিষয়ে নিয়ে বৈঠকে বসছে আইন-শৃঙ্খলা সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটি।
আজ রোববার সকাল ১১টায় সচিবালয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে।
আইন-শৃঙ্খলা সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটির ১৫তম বৈঠকে সভাপতিত্ব করবেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সূত্রে এই তথ্য জানা গেছে।
আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে এই বৈঠকের আলোচিত বিষয়গুলোর মধ্যে রয়েছে—
১. দেশব্যাপী চুরি, ছিনতাই, চাঁদাবাজি, দখলবাজি, সংঘবদ্ধ দুষ্কৃতিকারীদের কর্মকাণ্ড রোধে ব্যবস্থা গ্রহণ।
২. জুলাই হত্যাকাণ্ডের শহীদদের মামলার রেকর্ড, তদন্ত ও অগ্রগতি বিষয়ক আলোচনা, দেশে অস্থিরতা সৃষ্টিকারী উসকানিমূলক সাইবার প্রচারণার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ।
৩. নারী ও শিশু নির্যাতন এবং ধর্ষণের বিরুদ্ধে আইনগত ও সামাজিক প্রতিরোধ গড়ে তোলা।
৪. মাদকের অপব্যবহার রোধে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ সম্পর্কিত আলোচনা।
৫. শীর্ষ সন্ত্রাসীদের জামিন পরবর্তী সন্ত্রাসী কার্যক্রম ও প্রতিরোধ, নির্মূল ও নিয়ন্ত্রণ এবং নিষিদ্ধ ঘোষিত সংগঠনসমূহের অপতৎপরতা রোধে ব্যবস্থা গ্রহণ।
৬. গার্মেন্টস বা শিল্পকারখানার শ্রমিকদের বেতন-বোনাস পরিশোধ নিশ্চিত করা।
৭. গার্মেন্টস কারখানা, ঔষধ শিল্পসহ বিভিন্ন শিল্পপ্রতিষ্ঠানে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির তৎপরতা বিষয়ে আলোচনা।
৮. অস্ত্র জমা ও অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার অভিযান পরিচালনা সংক্রান্ত আলোচনা।
৯. সীমান্ত ও পার্বত্যাঞ্চল পরিস্থিতি বিষয়ক আলোচনা।
১০. রোহিঙ্গা ক্যাম্পের আইন-শৃঙ্খলাসহ সার্বিক পরিস্থিতি বিষয়ক আলোচনা।
১১. মা ইলিশ সংরক্ষণ সংক্রান্ত আলোচনা।
জানা গেছে, বৈঠকে উপস্থিত থাকবেন আইন বিচার ও সংসদ বিষয়ক এবং প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান বিষয়ক উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল, শিল্প-ও গৃহায়ণ মন্ত্রণালয় বিষয়ক উপদেষ্টা আদিলুর রহমান, খাদ্য ও ভূমি বিষয়ক উপদেষ্টা আলী ইমাম মজুমদার, বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ এবং সড়ক পরিবহন ও সেতু এবং রেলপথ উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান, যুব ও ক্রীড়া এবং স্থানীয় সরকার উপদেষ্ট আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া, মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা শারমীন এস মুরশিদ, ধর্ম বিষয়ক উপদেষ্টা আ ফ ম খালিদ হোসেন, পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক উপদেষ্টা সুপ্রদীপ চাকমাসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা এবং বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের প্রতিনিধিরা।

সন্ন জাতীয় নির্বাচন উপলক্ষে সার্বিক প্রস্তুতি, সারাদেশে আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি ও অভিযান পরিচালনা এবং সহিংসতা সৃষ্টিকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণসহ বিভিন্ন বিষয়ে নিয়ে বৈঠকে বসছে আইন-শৃঙ্খলা সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটি।
আজ রোববার সকাল ১১টায় সচিবালয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে।
আইন-শৃঙ্খলা সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটির ১৫তম বৈঠকে সভাপতিত্ব করবেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সূত্রে এই তথ্য জানা গেছে।
আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে এই বৈঠকের আলোচিত বিষয়গুলোর মধ্যে রয়েছে—
১. দেশব্যাপী চুরি, ছিনতাই, চাঁদাবাজি, দখলবাজি, সংঘবদ্ধ দুষ্কৃতিকারীদের কর্মকাণ্ড রোধে ব্যবস্থা গ্রহণ।
২. জুলাই হত্যাকাণ্ডের শহীদদের মামলার রেকর্ড, তদন্ত ও অগ্রগতি বিষয়ক আলোচনা, দেশে অস্থিরতা সৃষ্টিকারী উসকানিমূলক সাইবার প্রচারণার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ।
৩. নারী ও শিশু নির্যাতন এবং ধর্ষণের বিরুদ্ধে আইনগত ও সামাজিক প্রতিরোধ গড়ে তোলা।
৪. মাদকের অপব্যবহার রোধে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ সম্পর্কিত আলোচনা।
৫. শীর্ষ সন্ত্রাসীদের জামিন পরবর্তী সন্ত্রাসী কার্যক্রম ও প্রতিরোধ, নির্মূল ও নিয়ন্ত্রণ এবং নিষিদ্ধ ঘোষিত সংগঠনসমূহের অপতৎপরতা রোধে ব্যবস্থা গ্রহণ।
৬. গার্মেন্টস বা শিল্পকারখানার শ্রমিকদের বেতন-বোনাস পরিশোধ নিশ্চিত করা।
৭. গার্মেন্টস কারখানা, ঔষধ শিল্পসহ বিভিন্ন শিল্পপ্রতিষ্ঠানে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির তৎপরতা বিষয়ে আলোচনা।
৮. অস্ত্র জমা ও অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার অভিযান পরিচালনা সংক্রান্ত আলোচনা।
৯. সীমান্ত ও পার্বত্যাঞ্চল পরিস্থিতি বিষয়ক আলোচনা।
১০. রোহিঙ্গা ক্যাম্পের আইন-শৃঙ্খলাসহ সার্বিক পরিস্থিতি বিষয়ক আলোচনা।
১১. মা ইলিশ সংরক্ষণ সংক্রান্ত আলোচনা।
জানা গেছে, বৈঠকে উপস্থিত থাকবেন আইন বিচার ও সংসদ বিষয়ক এবং প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান বিষয়ক উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল, শিল্প-ও গৃহায়ণ মন্ত্রণালয় বিষয়ক উপদেষ্টা আদিলুর রহমান, খাদ্য ও ভূমি বিষয়ক উপদেষ্টা আলী ইমাম মজুমদার, বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ এবং সড়ক পরিবহন ও সেতু এবং রেলপথ উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান, যুব ও ক্রীড়া এবং স্থানীয় সরকার উপদেষ্ট আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া, মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা শারমীন এস মুরশিদ, ধর্ম বিষয়ক উপদেষ্টা আ ফ ম খালিদ হোসেন, পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক উপদেষ্টা সুপ্রদীপ চাকমাসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা এবং বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের প্রতিনিধিরা।

আগামী ডিসেম্বরে ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন আয়োজনের প্রস্তুতি নিচ্ছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। ভোটার তালিকা হালনাগাদ কার্যক্রম প্রায় শেষ। অক্টোবরে তফসিল ঘোষণা করতে আগস্টের মধ্যে সব ধরনের প্রস্তুতি রাখতে চায় কমিশন। আরও কিছু বিষয় প্রক্রিয়াধীন। তবে আইন সংশোধন না হওয়ায় ইসি অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ কাজ সীমানা...
০৩ এপ্রিল ২০২৫
আগামী জাতীয় সংসদ নিয়মিত সংসদের পাশাপাশি সংবিধান সংস্কার পরিষদ হিসেবে ২৭০ দিনের (৯ মাস) মধ্যে জুলাই সনদের সংবিধানসংক্রান্ত বিষয়গুলো সংবিধানে যুক্ত করবে বলে মতৈক্য হয়েছে। তবে নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে তা সম্পন্ন করার বিষয়টি কীভাবে নিশ্চিত হবে, গতকাল শনিবার পর্যন্ত তার কিনারা করতে পারেনি...
৯ ঘণ্টা আগে
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ (আরপিও) সংশোধন, ২০২৫-এর খসড়া নীতিগত ও চূড়ান্ত অনুমোদন করেছে উপদেষ্টা পরিষদ। গত বৃহস্পতিবার সংশোধিত আরপিও প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের সভাপতিত্বে পরিষদে অনুমোদন দেওয়া হয়।
১২ ঘণ্টা আগে
বিচারকদের উদ্দেশে তিনি বলেন, গুমের বিচার বাস্তবায়নে বিচারকদের সাহসী ও ন্যায্য ভূমিকা রাখা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। বিচার বিভাগের নিরপেক্ষতা ও দৃঢ় অবস্থানই একদিন বাংলাদেশ থেকে গুমের সংস্কৃতি নির্মূল করবে।
১৬ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

আগামী জাতীয় সংসদ নিয়মিত সংসদের পাশাপাশি সংবিধান সংস্কার পরিষদ হিসেবে ২৭০ দিনের (৯ মাস) মধ্যে জুলাই সনদের সংবিধানসংক্রান্ত বিষয়গুলো সংবিধানে যুক্ত করবে বলে মতৈক্য হয়েছে। তবে নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে তা সম্পন্ন করার বিষয়টি কীভাবে নিশ্চিত হবে, গতকাল শনিবার পর্যন্ত তার কিনারা করতে পারেনি জাতীয় ঐকমত্য কমিশন। বৃহস্পতিবারের পর ঐকমত্য কমিশন গতকালও বিশেষজ্ঞদের নিয়ে বৈঠক করলেও কোনো সমাধান মেলেনি। এমন প্রেক্ষাপটে আজ রোববার কমিশন আবার নিজেরা বৈঠক করবে এবং প্রয়োজনে বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে আবার বসবে।
ঐকমত্য কমিশনের জাতীয় সংসদ ভবনের কার্যালয়ে গতকাল বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে বৈঠকটি বেলা দেড়টার পর শুরু হয়ে সন্ধ্যা ৬টার পরে শেষ হয়। প্রায় চার ঘণ্টার বৈঠকেও সংবিধান নিয়ে সময়সীমার মধ্যে কাজ শেষ করার উপায় বের হয়নি।
সূত্র জানায়, এখন পর্যন্ত জুলাই সনদ বাস্তবায়নে কমিশনের সিদ্ধান্ত হলো, গণ-অভ্যুত্থানকে ভিত্তি ধরে প্রথমে ‘জুলাই সনদ বাস্তবায়ন (সংবিধান সংস্কার) আদেশ’ নামে একটি আদেশ জারি করা হবে। তার অধীনে জারি হবে গণভোট-বিষয়ক একটি অধ্যাদেশ। এর ভিত্তিতেই হবে গণভোট। একটি নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত (২৭০ দিন বা প্রথম ৯ মাস) আগামী সংসদ কাজ করবে সংবিধান সংস্কার পরিষদ হিসেবে। এ সময়ের মধ্যেই সংবিধান-সংক্রান্ত সংস্কার প্রস্তাবগুলো সংসদে অনুমোদন করা হবে। প্রসঙ্গত, একই সময় এ পরিষদ নিয়মিত সংসদ হিসেবেও কাজ করবে। সাধারণ সংখ্যাগরিষ্ঠতায়ই সংবিধান সংস্কার হবে।
গতকালের আলোচনা বিষয়ে একজন বিশেষজ্ঞ বলেন, ‘সংসদ সদস্যরা ২৭০ দিনের মধ্যে বাস্তবায়ন না করলে সনদে থাকা বিষয়গুলো কী হবে—সেখানেই আটকে যাচ্ছে আলোচনা। কারণ আমরা তেমন সমাধান দিতে পারছি না। দেশে অতীতে এ-সংক্রান্ত কোনো উদাহরণ নেই। দেশের বাইরেও এ ধরনের উদাহরণ পাইনি।’
কোনো দল আগামী নির্বাচনে সরকার গঠনে প্রয়োজনীয় দুই-তৃতীয়াংশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা না পেলে সংবিধান সংস্কার কীভাবে হবে, এ প্রশ্নও আছে। বিষয়টি তখন মূলত নির্ভর করবে বেশি আসন পাওয়া কয়েকটি দলের সদিচ্ছার ওপর। কিন্তু কমিশন চাইছে এ অনিশ্চয়তার অবকাশ না রেখে এমন কোনো বিধান করা, যা সনদ বাস্তবায়নের নিশ্চয়তা দেবে।
গতকালের বৈঠকে বিশেষজ্ঞরা একাধিক মত দিয়ে বলেছেন, সেগুলো আইনগত ও রাজনৈতিকভাবে পুরোপুরি গ্রহণযোগ্য বলে মনে করেন না তাঁ। একটি মত হলো,নির্ধারিত সময়ে সংস্কার বাস্তবায়ন করা না হলে সংসদ বিলুপ্ত হয়ে যাবে। এটি আইনগতভাবে ঠিক হলেও রাজনৈতিকভাবে গ্রহণযোগ্য হবে না বলে বিশেষজ্ঞদের ধারণা। সংসদ এভাবে বিলুপ্ত হলে নতুন সংকট তৈরি হতে পারে বলে মনে করেন তাঁরা।
আরও যে কয়েকটি মত গতকাল এসেছে তার মধ্যে রয়েছে, প্রথমত, পরিষদে নির্ধারিত সময়ের মধ্যে সনদের বিষয়গুলো বাস্তবায়ন না হলে তা স্বয়ংক্রিয়ভাবে সংবিধানে যুক্ত হয়ে যাওয়া এবং দ্বিতীয়ত, আগে সংবিধান সংস্কার পরিষদ বৈঠকে বসে সনদের সংযুক্তি বাস্তবায়ন করবে এবং তারপর সংসদ বসবে। কিন্তু এগুলোও কার্যকর বা বাস্তবসম্মত মনে করেননি বিশেষজ্ঞদের সবাই।
একজন বিশেষজ্ঞ বলেন, সময়সীমার মধ্যে না সম্পন্ন করলে আপনা থেকেই সংবিধানে বিষয়গুলো যুক্ত হওয়ার ধারণা বাস্তবসম্মত না। কারণ বিলগুলোর খসড়া তৈরি করা নেই। এটা করা বিশেষজ্ঞদের কাজ না। সংসদে আলোচনা করে নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিরাই এ সিদ্ধান্ত নেবেন। তিনি আরও বলেন, সনদের একটি বিধান হচ্ছে, মৌলিক অধিকার সম্প্রসারণ করা হবে। কিন্তু কোন মৌলিক অধিকারটি সম্প্রসারণ করা হবে, তা বলা নেই। সংসদ সদস্যদের আলোচনা করে এ সিদ্ধান্ত নিতে হবে। ওই বিশেষজ্ঞ বলেন, ‘এসব কারণে আমরা সিদ্ধান্ত দিতে পারিনি। কমিশন জানিয়েছে, বিষয়টি নিয়ে তাঁরা বৈঠক করবেন, প্রয়োজনে আমাদের সহযোগিতা নেবেন।’
গতকালের বৈঠকে আগে সংবিধান সংস্কার পরিষদ বসে বিষয়গুলো বাস্তবায়ন করার যে প্রস্তাব আসে তার পক্ষে বলা হয়, এতে নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিরা দ্রুত সনদ বাস্তবায়নে কাজ করবেন। কারণ তাঁরা বিলম্ব না করে সংসদ সদস্য হিসেবে শপথ নিতে চাইবেন। একজন বিশেষজ্ঞ বলেন, প্রস্তাবটি নিয়ে আলোচনা হলেও বেশির ভাগের মত, এটিও বাস্তবসম্মত নয়। কারণ জনপ্রতিনিধিদের শপথের মাধ্যমে সংসদ গঠিত না হওয়া পর্যন্ত অন্তর্বর্তী সরকারকে দায়িত্বে থেকে যেতে হবে। এটা প্রধান উপদেষ্টাই মানবেন না।
এ অবস্থায় সমাধান কী হতে পারে, এমন প্রশ্নের জবাবে ওই বিশেষজ্ঞ বলেন, ‘আমরা আদৌ কোনো বাধ্যবাধকতা তৈরি করে দিতে পারব কি না, তা নিয়ে সন্দেহ আছে। কারণ এমন আইনি ও রাজনৈতিক গ্রহণযোগ্য সমাধান পাইনি। তাই বিষয়টি আমাদের সুপারিশে না-ও থাকতে পারে।’
সনদ-বিষয়ক আদেশের খুঁটিনাটি নিয়েও আলোচনা হয়েছে। গণভোটের দিনক্ষণ সরকারের ওপর ছেড়ে দেওয়ার বিষয়ে মত দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা।
কমিশন সূত্র জানায়, আজ সকালে নিজেরা বৈঠক করার পর প্রয়োজন হলে বিশেষজ্ঞদের সঙ্গেও আবার বৈঠক করা হবে। ৩১ অক্টোবরের মেয়াদের মধ্যেই সনদ বাস্তবায়নের উপায় নিয়ে সুপারিশ চূড়ান্ত করতে চায় কমিশন।
এনসিপির সঙ্গে বৈঠক
গতকাল বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে বসার আগে কমিশনের সদস্যরা জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) সঙ্গে বৈঠক করেন। ১৭ অক্টোবর জুলাই সনদের স্বাক্ষর অনুষ্ঠান হলেও দলটি সই করেনি। এনসিপি বলেছিল, বাস্তবায়নের আদেশের চূড়ান্ত খসড়া না দেখে তারা স্বাক্ষর করবে না।
কমিশনের সহসভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ বলেছেন, গতকালের বৈঠকে এনসিপির প্রতিনিধিরা ‘স্পষ্টভাবে’ জানিয়েছেন যে তাঁরা স্বাক্ষর করতে চান। তাঁরা কিছু প্রস্তাব দিয়েছেন, যা কমিশন আইনি বিশেষজ্ঞদের কাছে পাঠিয়েছে। এনসিপির প্রস্তাবে ইতিবাচক ও নেতিবাচক দুই দিকই আছে। সেই বিষয়গুলো বিবেচনা করে কমিশন এগোচ্ছে। মূল লক্ষ্য হচ্ছে, যেন সবাই স্বাক্ষরের দিকে আসে।
বিশেষজ্ঞ হিসেবে বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি এম এ মতিন, সুপ্রিম কোর্টের জ্যেষ্ঠ আইনজীবী ড. শরিফ ভূইয়া, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন অনুষদের ডিন মোহাম্মদ ইকরামুল হক, ব্যারিস্টার ইমরান সিদ্দিক ও ব্যারিস্টার তানিম হোসেইন শাওন।
আলোচনায় কমিশনের পক্ষে অংশ নেন সহসভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ, সদস্য ড. বদিউল আলম মজুমদার, বিচারপতি মো. এমদাদুল হক, ড. ইফতেখারুজ্জামান ও ড. মোহাম্মদ আইয়ুব মিয়া। প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী মনির হায়দারও এ সময় উপস্থিত ছিলেন।

আগামী জাতীয় সংসদ নিয়মিত সংসদের পাশাপাশি সংবিধান সংস্কার পরিষদ হিসেবে ২৭০ দিনের (৯ মাস) মধ্যে জুলাই সনদের সংবিধানসংক্রান্ত বিষয়গুলো সংবিধানে যুক্ত করবে বলে মতৈক্য হয়েছে। তবে নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে তা সম্পন্ন করার বিষয়টি কীভাবে নিশ্চিত হবে, গতকাল শনিবার পর্যন্ত তার কিনারা করতে পারেনি জাতীয় ঐকমত্য কমিশন। বৃহস্পতিবারের পর ঐকমত্য কমিশন গতকালও বিশেষজ্ঞদের নিয়ে বৈঠক করলেও কোনো সমাধান মেলেনি। এমন প্রেক্ষাপটে আজ রোববার কমিশন আবার নিজেরা বৈঠক করবে এবং প্রয়োজনে বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে আবার বসবে।
ঐকমত্য কমিশনের জাতীয় সংসদ ভবনের কার্যালয়ে গতকাল বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে বৈঠকটি বেলা দেড়টার পর শুরু হয়ে সন্ধ্যা ৬টার পরে শেষ হয়। প্রায় চার ঘণ্টার বৈঠকেও সংবিধান নিয়ে সময়সীমার মধ্যে কাজ শেষ করার উপায় বের হয়নি।
সূত্র জানায়, এখন পর্যন্ত জুলাই সনদ বাস্তবায়নে কমিশনের সিদ্ধান্ত হলো, গণ-অভ্যুত্থানকে ভিত্তি ধরে প্রথমে ‘জুলাই সনদ বাস্তবায়ন (সংবিধান সংস্কার) আদেশ’ নামে একটি আদেশ জারি করা হবে। তার অধীনে জারি হবে গণভোট-বিষয়ক একটি অধ্যাদেশ। এর ভিত্তিতেই হবে গণভোট। একটি নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত (২৭০ দিন বা প্রথম ৯ মাস) আগামী সংসদ কাজ করবে সংবিধান সংস্কার পরিষদ হিসেবে। এ সময়ের মধ্যেই সংবিধান-সংক্রান্ত সংস্কার প্রস্তাবগুলো সংসদে অনুমোদন করা হবে। প্রসঙ্গত, একই সময় এ পরিষদ নিয়মিত সংসদ হিসেবেও কাজ করবে। সাধারণ সংখ্যাগরিষ্ঠতায়ই সংবিধান সংস্কার হবে।
গতকালের আলোচনা বিষয়ে একজন বিশেষজ্ঞ বলেন, ‘সংসদ সদস্যরা ২৭০ দিনের মধ্যে বাস্তবায়ন না করলে সনদে থাকা বিষয়গুলো কী হবে—সেখানেই আটকে যাচ্ছে আলোচনা। কারণ আমরা তেমন সমাধান দিতে পারছি না। দেশে অতীতে এ-সংক্রান্ত কোনো উদাহরণ নেই। দেশের বাইরেও এ ধরনের উদাহরণ পাইনি।’
কোনো দল আগামী নির্বাচনে সরকার গঠনে প্রয়োজনীয় দুই-তৃতীয়াংশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা না পেলে সংবিধান সংস্কার কীভাবে হবে, এ প্রশ্নও আছে। বিষয়টি তখন মূলত নির্ভর করবে বেশি আসন পাওয়া কয়েকটি দলের সদিচ্ছার ওপর। কিন্তু কমিশন চাইছে এ অনিশ্চয়তার অবকাশ না রেখে এমন কোনো বিধান করা, যা সনদ বাস্তবায়নের নিশ্চয়তা দেবে।
গতকালের বৈঠকে বিশেষজ্ঞরা একাধিক মত দিয়ে বলেছেন, সেগুলো আইনগত ও রাজনৈতিকভাবে পুরোপুরি গ্রহণযোগ্য বলে মনে করেন না তাঁ। একটি মত হলো,নির্ধারিত সময়ে সংস্কার বাস্তবায়ন করা না হলে সংসদ বিলুপ্ত হয়ে যাবে। এটি আইনগতভাবে ঠিক হলেও রাজনৈতিকভাবে গ্রহণযোগ্য হবে না বলে বিশেষজ্ঞদের ধারণা। সংসদ এভাবে বিলুপ্ত হলে নতুন সংকট তৈরি হতে পারে বলে মনে করেন তাঁরা।
আরও যে কয়েকটি মত গতকাল এসেছে তার মধ্যে রয়েছে, প্রথমত, পরিষদে নির্ধারিত সময়ের মধ্যে সনদের বিষয়গুলো বাস্তবায়ন না হলে তা স্বয়ংক্রিয়ভাবে সংবিধানে যুক্ত হয়ে যাওয়া এবং দ্বিতীয়ত, আগে সংবিধান সংস্কার পরিষদ বৈঠকে বসে সনদের সংযুক্তি বাস্তবায়ন করবে এবং তারপর সংসদ বসবে। কিন্তু এগুলোও কার্যকর বা বাস্তবসম্মত মনে করেননি বিশেষজ্ঞদের সবাই।
একজন বিশেষজ্ঞ বলেন, সময়সীমার মধ্যে না সম্পন্ন করলে আপনা থেকেই সংবিধানে বিষয়গুলো যুক্ত হওয়ার ধারণা বাস্তবসম্মত না। কারণ বিলগুলোর খসড়া তৈরি করা নেই। এটা করা বিশেষজ্ঞদের কাজ না। সংসদে আলোচনা করে নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিরাই এ সিদ্ধান্ত নেবেন। তিনি আরও বলেন, সনদের একটি বিধান হচ্ছে, মৌলিক অধিকার সম্প্রসারণ করা হবে। কিন্তু কোন মৌলিক অধিকারটি সম্প্রসারণ করা হবে, তা বলা নেই। সংসদ সদস্যদের আলোচনা করে এ সিদ্ধান্ত নিতে হবে। ওই বিশেষজ্ঞ বলেন, ‘এসব কারণে আমরা সিদ্ধান্ত দিতে পারিনি। কমিশন জানিয়েছে, বিষয়টি নিয়ে তাঁরা বৈঠক করবেন, প্রয়োজনে আমাদের সহযোগিতা নেবেন।’
গতকালের বৈঠকে আগে সংবিধান সংস্কার পরিষদ বসে বিষয়গুলো বাস্তবায়ন করার যে প্রস্তাব আসে তার পক্ষে বলা হয়, এতে নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিরা দ্রুত সনদ বাস্তবায়নে কাজ করবেন। কারণ তাঁরা বিলম্ব না করে সংসদ সদস্য হিসেবে শপথ নিতে চাইবেন। একজন বিশেষজ্ঞ বলেন, প্রস্তাবটি নিয়ে আলোচনা হলেও বেশির ভাগের মত, এটিও বাস্তবসম্মত নয়। কারণ জনপ্রতিনিধিদের শপথের মাধ্যমে সংসদ গঠিত না হওয়া পর্যন্ত অন্তর্বর্তী সরকারকে দায়িত্বে থেকে যেতে হবে। এটা প্রধান উপদেষ্টাই মানবেন না।
এ অবস্থায় সমাধান কী হতে পারে, এমন প্রশ্নের জবাবে ওই বিশেষজ্ঞ বলেন, ‘আমরা আদৌ কোনো বাধ্যবাধকতা তৈরি করে দিতে পারব কি না, তা নিয়ে সন্দেহ আছে। কারণ এমন আইনি ও রাজনৈতিক গ্রহণযোগ্য সমাধান পাইনি। তাই বিষয়টি আমাদের সুপারিশে না-ও থাকতে পারে।’
সনদ-বিষয়ক আদেশের খুঁটিনাটি নিয়েও আলোচনা হয়েছে। গণভোটের দিনক্ষণ সরকারের ওপর ছেড়ে দেওয়ার বিষয়ে মত দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা।
কমিশন সূত্র জানায়, আজ সকালে নিজেরা বৈঠক করার পর প্রয়োজন হলে বিশেষজ্ঞদের সঙ্গেও আবার বৈঠক করা হবে। ৩১ অক্টোবরের মেয়াদের মধ্যেই সনদ বাস্তবায়নের উপায় নিয়ে সুপারিশ চূড়ান্ত করতে চায় কমিশন।
এনসিপির সঙ্গে বৈঠক
গতকাল বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে বসার আগে কমিশনের সদস্যরা জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) সঙ্গে বৈঠক করেন। ১৭ অক্টোবর জুলাই সনদের স্বাক্ষর অনুষ্ঠান হলেও দলটি সই করেনি। এনসিপি বলেছিল, বাস্তবায়নের আদেশের চূড়ান্ত খসড়া না দেখে তারা স্বাক্ষর করবে না।
কমিশনের সহসভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ বলেছেন, গতকালের বৈঠকে এনসিপির প্রতিনিধিরা ‘স্পষ্টভাবে’ জানিয়েছেন যে তাঁরা স্বাক্ষর করতে চান। তাঁরা কিছু প্রস্তাব দিয়েছেন, যা কমিশন আইনি বিশেষজ্ঞদের কাছে পাঠিয়েছে। এনসিপির প্রস্তাবে ইতিবাচক ও নেতিবাচক দুই দিকই আছে। সেই বিষয়গুলো বিবেচনা করে কমিশন এগোচ্ছে। মূল লক্ষ্য হচ্ছে, যেন সবাই স্বাক্ষরের দিকে আসে।
বিশেষজ্ঞ হিসেবে বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি এম এ মতিন, সুপ্রিম কোর্টের জ্যেষ্ঠ আইনজীবী ড. শরিফ ভূইয়া, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন অনুষদের ডিন মোহাম্মদ ইকরামুল হক, ব্যারিস্টার ইমরান সিদ্দিক ও ব্যারিস্টার তানিম হোসেইন শাওন।
আলোচনায় কমিশনের পক্ষে অংশ নেন সহসভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ, সদস্য ড. বদিউল আলম মজুমদার, বিচারপতি মো. এমদাদুল হক, ড. ইফতেখারুজ্জামান ও ড. মোহাম্মদ আইয়ুব মিয়া। প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী মনির হায়দারও এ সময় উপস্থিত ছিলেন।

আগামী ডিসেম্বরে ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন আয়োজনের প্রস্তুতি নিচ্ছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। ভোটার তালিকা হালনাগাদ কার্যক্রম প্রায় শেষ। অক্টোবরে তফসিল ঘোষণা করতে আগস্টের মধ্যে সব ধরনের প্রস্তুতি রাখতে চায় কমিশন। আরও কিছু বিষয় প্রক্রিয়াধীন। তবে আইন সংশোধন না হওয়ায় ইসি অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ কাজ সীমানা...
০৩ এপ্রিল ২০২৫
সন্ন জাতীয় নির্বাচন উপলক্ষে সার্বিক প্রস্তুতি, সারাদেশে আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি ও অভিযান পরিচালনা এবং সহিংসতা সৃষ্টিকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণসহ বিভিন্ন বিষয়ে নিয়ে বৈঠকে বসছে আইন-শৃঙ্খলা সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটি।
৩ ঘণ্টা আগে
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ (আরপিও) সংশোধন, ২০২৫-এর খসড়া নীতিগত ও চূড়ান্ত অনুমোদন করেছে উপদেষ্টা পরিষদ। গত বৃহস্পতিবার সংশোধিত আরপিও প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের সভাপতিত্বে পরিষদে অনুমোদন দেওয়া হয়।
১২ ঘণ্টা আগে
বিচারকদের উদ্দেশে তিনি বলেন, গুমের বিচার বাস্তবায়নে বিচারকদের সাহসী ও ন্যায্য ভূমিকা রাখা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। বিচার বিভাগের নিরপেক্ষতা ও দৃঢ় অবস্থানই একদিন বাংলাদেশ থেকে গুমের সংস্কৃতি নির্মূল করবে।
১৬ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ (আরপিও) সংশোধন, ২০২৫-এর খসড়া নীতিগত ও চূড়ান্ত অনুমোদন করেছে উপদেষ্টা পরিষদ। গত বৃহস্পতিবার সংশোধিত আরপিও প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের সভাপতিত্বে পরিষদে অনুমোদন দেওয়া হয়। এতে বেশ কিছু বিষয়ে পরিবর্তন আনা হয়েছে, যুক্ত করা হয়েছে নতুন বিধান, আবার কিছু কিছু বিধান আরপিও থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে।
সেগুলোর মধ্যে রয়েছে—ইভিএম ব্যবহার বাতিল, ‘না ভোট’ পুনর্বহাল, প্রার্থীদের দেশি-বিদেশি আয় ও সম্পত্তির বিবরণ প্রকাশের বাধ্যবাধকতা এবং পলাতক আসামিদের নির্বাচনে অংশগ্রহণ নিষিদ্ধ করা।
সংশোধিত আরপিওর গুরুত্বপূর্ণ কিছু অংশ তুলে ধরা হলো:
আদালত কর্তৃক ফেরারি বা পলাতক আসামি নির্বাচনে অংশ নিতে না পারার বিধান যুক্ত করা হয়েছে।
কোনো আসনে একক প্রার্থী থাকলে তাঁকে না ভোটের সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে হবে। নির্বাচনে না ভোট বেশি হলে সেখানে পুনরায় তফসিল ঘোষণা করে নির্বাচন হবে। তবে দ্বিতীয়বারও একক প্রার্থী হলে সেই প্রার্থীর মনোনয়নপত্র বৈধ হলে তাঁকে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় বিজয়ী ঘোষণা করা হবে।
ভোট গণনার সময় সাংবাদিকদের উপস্থিত থাকার বিধানটিও যুক্ত করা হয়েছে। তবে ভোট গণনার শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত সেখানে থাকতে হবে।
আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সংজ্ঞায় সেনাবাহিনী, নৌবাহিনী, বিমানবাহিনী তথা প্রতিরক্ষা কর্ম বিভাগ অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। জেলাভিত্তিক নির্বাচন অফিসগুলোতে দায়িত্ব পালন করবেন জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা। প্রার্থীদের দেশি ও বিদেশি উৎস থেকে আয় ও সম্পত্তির বিবরণ হলফনামায় দিতে হবে, যা নির্বাচন কমিশনের ওয়েবসাইটে উন্মুক্তভাবে প্রকাশ করা হবে।
আগে দলগুলো জোটবদ্ধ হয়ে জোটের যেকোনো দলের প্রতীক ব্যবহার করতে পারত। সেটি সংশোধন করা হয়েছে। জোটভুক্ত হলেও প্রার্থীকে নিজ নিজ দলের প্রতীকে ভোট করার বিধান যুক্ত করা হয়েছে। ভোটের সময় অনেকে জোটভুক্ত হলে জনপ্রিয় বা বড় দলের মার্কায় ভোট করতেন। এখন আর সে সুযোগ থাকছে না।
প্রবাসী বাংলাদেশি, নির্বাচনী কাজে নিয়োজিত ব্যক্তিদের জন্য পোস্টাল ব্যালটে ভোটের বিধানটি আরপিওতে যুক্ত করা হয়েছে। এবার আইটি সাপোর্টেড পোস্টাল ভোটিং চালু করা হচ্ছে। সে ক্ষেত্রে প্রবাসী বাংলাদেশি ভোটারদের পাশাপাশি আইনি হেফাজতে থাকা, সরকারি কর্মকর্তা, ভোট গ্রহণ কর্মকর্তারা ভোট দিতে পারবেন।
প্রার্থীর জামানত বাড়ানো হয়েছে। আগে ২০ হাজার টাকা ছিল, তা বাড়িয়ে ৫০ হাজার করা হয়েছে। কোনো ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান কোনো রাজনৈতিক দলকে ৫০ হাজার টাকার বেশি অনুদান দিতে চাইলে ব্যাংকিং চ্যানেলের মাধ্যমে দেওয়ার বিধান করা হয়েছে। যিনি অনুদান দেবেন, তাঁর ট্যাক্স রিটার্নও দিতে হবে।
কাজী হাবিবুল আউয়াল কমিশন পুরো আসনের ভোট বন্ধ করার ক্ষমতা কমিয়েছিল। সংশোধিত আরপিওতে শুধু ভোটকেন্দ্র নয়, অনিয়ম হলে ইসি পুরো আসনের ভোট বন্ধ করতে পারবে, সেই ক্ষমতা ফিরিয়ে দেওয়া হয়েছে।
প্রার্থীর হলফনামায় আগে শুধু দেশের সম্পদের হিসাব দেওয়া হতো। সংশোধিত আরপিওতে শুধু দেশের নয়, বিদেশের আয়ের উৎস, সম্পত্তির বিবরণ দিতে হবে।
এ ছাড়া ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম)-সংক্রান্ত বিধানটি সংশোধিত আরপিও থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে।

ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ (আরপিও) সংশোধন, ২০২৫-এর খসড়া নীতিগত ও চূড়ান্ত অনুমোদন করেছে উপদেষ্টা পরিষদ। গত বৃহস্পতিবার সংশোধিত আরপিও প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের সভাপতিত্বে পরিষদে অনুমোদন দেওয়া হয়। এতে বেশ কিছু বিষয়ে পরিবর্তন আনা হয়েছে, যুক্ত করা হয়েছে নতুন বিধান, আবার কিছু কিছু বিধান আরপিও থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে।
সেগুলোর মধ্যে রয়েছে—ইভিএম ব্যবহার বাতিল, ‘না ভোট’ পুনর্বহাল, প্রার্থীদের দেশি-বিদেশি আয় ও সম্পত্তির বিবরণ প্রকাশের বাধ্যবাধকতা এবং পলাতক আসামিদের নির্বাচনে অংশগ্রহণ নিষিদ্ধ করা।
সংশোধিত আরপিওর গুরুত্বপূর্ণ কিছু অংশ তুলে ধরা হলো:
আদালত কর্তৃক ফেরারি বা পলাতক আসামি নির্বাচনে অংশ নিতে না পারার বিধান যুক্ত করা হয়েছে।
কোনো আসনে একক প্রার্থী থাকলে তাঁকে না ভোটের সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে হবে। নির্বাচনে না ভোট বেশি হলে সেখানে পুনরায় তফসিল ঘোষণা করে নির্বাচন হবে। তবে দ্বিতীয়বারও একক প্রার্থী হলে সেই প্রার্থীর মনোনয়নপত্র বৈধ হলে তাঁকে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় বিজয়ী ঘোষণা করা হবে।
ভোট গণনার সময় সাংবাদিকদের উপস্থিত থাকার বিধানটিও যুক্ত করা হয়েছে। তবে ভোট গণনার শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত সেখানে থাকতে হবে।
আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সংজ্ঞায় সেনাবাহিনী, নৌবাহিনী, বিমানবাহিনী তথা প্রতিরক্ষা কর্ম বিভাগ অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। জেলাভিত্তিক নির্বাচন অফিসগুলোতে দায়িত্ব পালন করবেন জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা। প্রার্থীদের দেশি ও বিদেশি উৎস থেকে আয় ও সম্পত্তির বিবরণ হলফনামায় দিতে হবে, যা নির্বাচন কমিশনের ওয়েবসাইটে উন্মুক্তভাবে প্রকাশ করা হবে।
আগে দলগুলো জোটবদ্ধ হয়ে জোটের যেকোনো দলের প্রতীক ব্যবহার করতে পারত। সেটি সংশোধন করা হয়েছে। জোটভুক্ত হলেও প্রার্থীকে নিজ নিজ দলের প্রতীকে ভোট করার বিধান যুক্ত করা হয়েছে। ভোটের সময় অনেকে জোটভুক্ত হলে জনপ্রিয় বা বড় দলের মার্কায় ভোট করতেন। এখন আর সে সুযোগ থাকছে না।
প্রবাসী বাংলাদেশি, নির্বাচনী কাজে নিয়োজিত ব্যক্তিদের জন্য পোস্টাল ব্যালটে ভোটের বিধানটি আরপিওতে যুক্ত করা হয়েছে। এবার আইটি সাপোর্টেড পোস্টাল ভোটিং চালু করা হচ্ছে। সে ক্ষেত্রে প্রবাসী বাংলাদেশি ভোটারদের পাশাপাশি আইনি হেফাজতে থাকা, সরকারি কর্মকর্তা, ভোট গ্রহণ কর্মকর্তারা ভোট দিতে পারবেন।
প্রার্থীর জামানত বাড়ানো হয়েছে। আগে ২০ হাজার টাকা ছিল, তা বাড়িয়ে ৫০ হাজার করা হয়েছে। কোনো ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান কোনো রাজনৈতিক দলকে ৫০ হাজার টাকার বেশি অনুদান দিতে চাইলে ব্যাংকিং চ্যানেলের মাধ্যমে দেওয়ার বিধান করা হয়েছে। যিনি অনুদান দেবেন, তাঁর ট্যাক্স রিটার্নও দিতে হবে।
কাজী হাবিবুল আউয়াল কমিশন পুরো আসনের ভোট বন্ধ করার ক্ষমতা কমিয়েছিল। সংশোধিত আরপিওতে শুধু ভোটকেন্দ্র নয়, অনিয়ম হলে ইসি পুরো আসনের ভোট বন্ধ করতে পারবে, সেই ক্ষমতা ফিরিয়ে দেওয়া হয়েছে।
প্রার্থীর হলফনামায় আগে শুধু দেশের সম্পদের হিসাব দেওয়া হতো। সংশোধিত আরপিওতে শুধু দেশের নয়, বিদেশের আয়ের উৎস, সম্পত্তির বিবরণ দিতে হবে।
এ ছাড়া ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম)-সংক্রান্ত বিধানটি সংশোধিত আরপিও থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে।

আগামী ডিসেম্বরে ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন আয়োজনের প্রস্তুতি নিচ্ছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। ভোটার তালিকা হালনাগাদ কার্যক্রম প্রায় শেষ। অক্টোবরে তফসিল ঘোষণা করতে আগস্টের মধ্যে সব ধরনের প্রস্তুতি রাখতে চায় কমিশন। আরও কিছু বিষয় প্রক্রিয়াধীন। তবে আইন সংশোধন না হওয়ায় ইসি অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ কাজ সীমানা...
০৩ এপ্রিল ২০২৫
সন্ন জাতীয় নির্বাচন উপলক্ষে সার্বিক প্রস্তুতি, সারাদেশে আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি ও অভিযান পরিচালনা এবং সহিংসতা সৃষ্টিকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণসহ বিভিন্ন বিষয়ে নিয়ে বৈঠকে বসছে আইন-শৃঙ্খলা সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটি।
৩ ঘণ্টা আগে
আগামী জাতীয় সংসদ নিয়মিত সংসদের পাশাপাশি সংবিধান সংস্কার পরিষদ হিসেবে ২৭০ দিনের (৯ মাস) মধ্যে জুলাই সনদের সংবিধানসংক্রান্ত বিষয়গুলো সংবিধানে যুক্ত করবে বলে মতৈক্য হয়েছে। তবে নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে তা সম্পন্ন করার বিষয়টি কীভাবে নিশ্চিত হবে, গতকাল শনিবার পর্যন্ত তার কিনারা করতে পারেনি...
৯ ঘণ্টা আগে
বিচারকদের উদ্দেশে তিনি বলেন, গুমের বিচার বাস্তবায়নে বিচারকদের সাহসী ও ন্যায্য ভূমিকা রাখা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। বিচার বিভাগের নিরপেক্ষতা ও দৃঢ় অবস্থানই একদিন বাংলাদেশ থেকে গুমের সংস্কৃতি নির্মূল করবে।
১৬ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল বলেছেন, গুম হত্যার চেয়েও নিকৃষ্টতম অপরাধ। গুম প্রতিরোধে শুধু আইনগত সংস্কার নয়, প্রয়োজন প্রাতিষ্ঠানিক সংস্কারও।
আজ শনিবার রাজধানীর গুলশানে হোটেল আমারিতে অনুষ্ঠিত ‘Ensuring Justice: The Role of the Judiciary in Addressing Enforced Disappearances’ শীর্ষক দিনব্যাপী কর্মশালার উদ্বোধনী পর্বে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। গুম-সংক্রান্ত কমিশন অব ইনকোয়ারির উদ্যোগে এবং ঢাকায় জাতিসংঘের মানবাধিকার-বিষয়ক হাইকমিশনারের কার্যালয়ের সহযোগিতায় এই কর্মশালার আয়োজন করা হয়।
কর্মশালায় আসিফ নজরুল বলেন, ‘অনেক প্রাণ ও ত্যাগের বিনিময়ে আমরা আজ একটি পরিবর্তিত পরিবেশে অবস্থান করছি। এই পরিবর্তন স্থায়ী করতে হলে গুমের বিচার নিশ্চিত করা অপরিহার্য।’
বিচারকদের উদ্দেশে তিনি বলেন, গুমের বিচার বাস্তবায়নে বিচারকদের সাহসী ও ন্যায্য ভূমিকা রাখা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। বিচার বিভাগের নিরপেক্ষতা ও দৃঢ় অবস্থানই একদিন বাংলাদেশ থেকে গুমের সংস্কৃতি নির্মূল করবে।
কর্মশালায় মূল প্রবন্ধ উপস্থাপনকালে কমিশনের সভাপতি বিচারপতি মইনুল ইসলাম চৌধুরী বলেন, রায় লেখা একটি সৃজনশীল শিল্প। তাই বিচারকেরা হলেন সৃজনশীল শিল্পী। তাঁদের শিল্পকর্মই তাঁদের রায়।
তিনি বলেন, গুম প্রতিরোধে বিচার বিভাগ, আইনপ্রয়োগকারী সংস্থা ও মানবাধিকার কাঠামোর মধ্যে সমন্বিত সহযোগিতা অপরিহার্য। আন্তর্জাতিক মানবাধিকার আইন, সাক্ষ্য-প্রমাণ বিশ্লেষণ ও আধুনিক প্রযুক্তির যথাযথ প্রয়োগের মাধ্যমে বিচার বিভাগ ও তদন্ত সংস্থার সক্ষমতা বৃদ্ধি গুমের বিচার নিশ্চিতের মূল চাবিকাঠি।
কমিশনের সদস্য বিচারপতি মো. ফরিদ আহমেদ শিবলী বলেন, গুম-সংক্রান্ত মামলাগুলোর কার্যকর তদন্ত ও বিচার নিশ্চিত করতে প্রাতিষ্ঠানিক সংস্কার এখন সময়ের দাবি। কমিশন এরই মধ্যে বিদ্যমান আইনি কাঠামো পর্যালোচনা করে গুম-সংক্রান্ত মামলার দ্রুত নিষ্পত্তি, সাক্ষী সুরক্ষা ও ভুক্তভোগী পরিবারের আইনি সহায়তা নিশ্চিত করতে প্রয়োজনীয় আইন সংশোধনের প্রস্তাব প্রস্তুত করছে।
কর্মশালায় আরও বক্তব্য দেন আইন ও বিচার বিভাগের সচিব লিয়াকত আলী মোল্লা এবং ঢাকায় জাতিসংঘের আবাসিক সমন্বয়কারীর কার্যালয়ের জ্যেষ্ঠ মানবাধিকার-বিষয়ক উপদেষ্টা হুমা খান।

আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল বলেছেন, গুম হত্যার চেয়েও নিকৃষ্টতম অপরাধ। গুম প্রতিরোধে শুধু আইনগত সংস্কার নয়, প্রয়োজন প্রাতিষ্ঠানিক সংস্কারও।
আজ শনিবার রাজধানীর গুলশানে হোটেল আমারিতে অনুষ্ঠিত ‘Ensuring Justice: The Role of the Judiciary in Addressing Enforced Disappearances’ শীর্ষক দিনব্যাপী কর্মশালার উদ্বোধনী পর্বে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। গুম-সংক্রান্ত কমিশন অব ইনকোয়ারির উদ্যোগে এবং ঢাকায় জাতিসংঘের মানবাধিকার-বিষয়ক হাইকমিশনারের কার্যালয়ের সহযোগিতায় এই কর্মশালার আয়োজন করা হয়।
কর্মশালায় আসিফ নজরুল বলেন, ‘অনেক প্রাণ ও ত্যাগের বিনিময়ে আমরা আজ একটি পরিবর্তিত পরিবেশে অবস্থান করছি। এই পরিবর্তন স্থায়ী করতে হলে গুমের বিচার নিশ্চিত করা অপরিহার্য।’
বিচারকদের উদ্দেশে তিনি বলেন, গুমের বিচার বাস্তবায়নে বিচারকদের সাহসী ও ন্যায্য ভূমিকা রাখা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। বিচার বিভাগের নিরপেক্ষতা ও দৃঢ় অবস্থানই একদিন বাংলাদেশ থেকে গুমের সংস্কৃতি নির্মূল করবে।
কর্মশালায় মূল প্রবন্ধ উপস্থাপনকালে কমিশনের সভাপতি বিচারপতি মইনুল ইসলাম চৌধুরী বলেন, রায় লেখা একটি সৃজনশীল শিল্প। তাই বিচারকেরা হলেন সৃজনশীল শিল্পী। তাঁদের শিল্পকর্মই তাঁদের রায়।
তিনি বলেন, গুম প্রতিরোধে বিচার বিভাগ, আইনপ্রয়োগকারী সংস্থা ও মানবাধিকার কাঠামোর মধ্যে সমন্বিত সহযোগিতা অপরিহার্য। আন্তর্জাতিক মানবাধিকার আইন, সাক্ষ্য-প্রমাণ বিশ্লেষণ ও আধুনিক প্রযুক্তির যথাযথ প্রয়োগের মাধ্যমে বিচার বিভাগ ও তদন্ত সংস্থার সক্ষমতা বৃদ্ধি গুমের বিচার নিশ্চিতের মূল চাবিকাঠি।
কমিশনের সদস্য বিচারপতি মো. ফরিদ আহমেদ শিবলী বলেন, গুম-সংক্রান্ত মামলাগুলোর কার্যকর তদন্ত ও বিচার নিশ্চিত করতে প্রাতিষ্ঠানিক সংস্কার এখন সময়ের দাবি। কমিশন এরই মধ্যে বিদ্যমান আইনি কাঠামো পর্যালোচনা করে গুম-সংক্রান্ত মামলার দ্রুত নিষ্পত্তি, সাক্ষী সুরক্ষা ও ভুক্তভোগী পরিবারের আইনি সহায়তা নিশ্চিত করতে প্রয়োজনীয় আইন সংশোধনের প্রস্তাব প্রস্তুত করছে।
কর্মশালায় আরও বক্তব্য দেন আইন ও বিচার বিভাগের সচিব লিয়াকত আলী মোল্লা এবং ঢাকায় জাতিসংঘের আবাসিক সমন্বয়কারীর কার্যালয়ের জ্যেষ্ঠ মানবাধিকার-বিষয়ক উপদেষ্টা হুমা খান।

আগামী ডিসেম্বরে ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন আয়োজনের প্রস্তুতি নিচ্ছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। ভোটার তালিকা হালনাগাদ কার্যক্রম প্রায় শেষ। অক্টোবরে তফসিল ঘোষণা করতে আগস্টের মধ্যে সব ধরনের প্রস্তুতি রাখতে চায় কমিশন। আরও কিছু বিষয় প্রক্রিয়াধীন। তবে আইন সংশোধন না হওয়ায় ইসি অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ কাজ সীমানা...
০৩ এপ্রিল ২০২৫
সন্ন জাতীয় নির্বাচন উপলক্ষে সার্বিক প্রস্তুতি, সারাদেশে আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি ও অভিযান পরিচালনা এবং সহিংসতা সৃষ্টিকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণসহ বিভিন্ন বিষয়ে নিয়ে বৈঠকে বসছে আইন-শৃঙ্খলা সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটি।
৩ ঘণ্টা আগে
আগামী জাতীয় সংসদ নিয়মিত সংসদের পাশাপাশি সংবিধান সংস্কার পরিষদ হিসেবে ২৭০ দিনের (৯ মাস) মধ্যে জুলাই সনদের সংবিধানসংক্রান্ত বিষয়গুলো সংবিধানে যুক্ত করবে বলে মতৈক্য হয়েছে। তবে নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে তা সম্পন্ন করার বিষয়টি কীভাবে নিশ্চিত হবে, গতকাল শনিবার পর্যন্ত তার কিনারা করতে পারেনি...
৯ ঘণ্টা আগে
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ (আরপিও) সংশোধন, ২০২৫-এর খসড়া নীতিগত ও চূড়ান্ত অনুমোদন করেছে উপদেষ্টা পরিষদ। গত বৃহস্পতিবার সংশোধিত আরপিও প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের সভাপতিত্বে পরিষদে অনুমোদন দেওয়া হয়।
১২ ঘণ্টা আগে