নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
করোনা মহামারিতে সহস্রাধিক চিকিৎসকের বদলির আদেশ নিয়ে এবার মুখ খুলল চিকিৎসকদের সংগঠন বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশন (বিএমএ)। মহামারি চিকিৎসায় স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের ব্যর্থতা ঢাকতেই এই ব্যবস্থা বলে মন্তব্য করেছে সংগঠনটি।
গতকাল বৃহস্পতিবার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের কাছে পাঠানো বিএমএর সভাপতি ডা. মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে এই মন্তব্য করা হয়।
চিঠিতে বলা হয়েছে, প্রায় ১৫ মাসেরও অধিক সময় থেকে সরকারি ও বেসরকারি পর্যায়ে সকল চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মীগণ নিরলসভাবে তাদের দায়িত্ব পালন করার কারণে মহামারি অনেকটা নিয়ন্ত্রণে ছিল। এর মধ্যেই ১৬০ জনেরও অধিক চিকিৎসকসহ অনেক সহযোগী স্বাস্থ্যকর্মীকে আমরা হারিয়েছি। কিন্তু অত্যন্ত দুঃখের বিষয় প্রধানমন্ত্রীর সুস্পষ্ট নির্দেশনার পরেও আক্রান্ত কিংবা মৃত্যুবরণকারী চিকিৎসকদের প্রণোদনা/সম্মানী যথাযথভাবে প্রদান করা হয়নি।
সাম্প্রতিক সময়ে ডেঙ্গু রোগের প্রাদুর্ভাব মরার ওপর খাড়ার ঘা রূপে আবির্ভূত হয়েছে। এত কিছুর পরও চিকিৎসকেরা ক্লান্তিহীন মহামারিসহ সকল চিকিৎসায় নিরবে কাজ করে যাচ্ছেন। এমন অবস্থায় গত দুই দিনে আপনার মন্ত্রণালয় (স্বাস্থ্য) থেকে চিকিৎসকদের গণবদলির আদেশ সকলকে অবাক করে দিয়েছে। এই আদেশের ফলে মন্ত্রণালয়ের অস্থিরতা, বেহাল দশা ও অযোগ্যতা প্রকট আকারে পরিস্ফুটিত হয়েছে। যে মন্ত্রণালয় একটি সুনির্দিষ্ট ও কল্যাণকামী আদেশ করতে পারে না সেই মন্ত্রণালয় সারা দেশে কীভাবে মহামারি নিয়ন্ত্রণ করবে–প্রশ্ন রাখা হয় মন্ত্রীর কাছে।
চিঠিতে বলা হয়, যখনই মহামারি চিকিৎসায় মন্ত্রণালয়ের ব্যর্থতার বিষয়ে সর্বমহলে আলোচিত হয় তখনই ব্যবস্থাপনার বিষয়গুলো আড়াল করতে সুকৌশলে মন্ত্রণালয় চিকিৎসকদের ঘাড়ে সকল দায়দায়িত্ব চাপিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করে। এই আদেশে মৃত ও অবসরপ্রাপ্ত চিকিৎসকদেরকেও বদলি করে হাস্যকর পরিস্থিতির সৃষ্টি করা হয়েছে। যে সকল চিকিৎসক দীর্ঘদিন রোগী দেখেন না বিশেষ করে বেসিক সাবজেষ্ট ও রক্ত পরিসঞ্চালন বিভাগে কর্মরত চিকিৎসক, তাদেরকেও করোনা রোগী দেখার জন্য বদলি করা হয়েছে। এমনকি দন্ত চিকিৎসক, নিউরো সার্জনসহ অন্যান্য বিশেষায়িত বিভাগের বিশেষজ্ঞগণকে বদলি করা হয়েছে যারা করোনা রোগী দেখায় কিভাবে ভূমিকা রাখবে তা আমাদের বোধগম্য নয়। মাইক্রোবায়োলজি বিভাগ কিংবা করোনা ল্যাবে কর্মরত চিকিৎসকগণকে বদলি করে দেওয়ায় আরটিপিসিআর ল্যাবে করোনা পরীক্ষা কার্যক্রম মারাত্মকভাবে ব্যাহত হবে।
মহামারি নিয়ন্ত্রণ একটি সমন্বিত কার্যক্রম, যেখানে আবশ্যিকভাবে সংশ্লিষ্ট বিশেষজ্ঞের পরামর্শ অপরিহার্য। সেখানে শুধু আমলাতন্ত্র এতটা বেপরোয়া হয়ে পড়েছে যে তারা যা ইচ্ছা তাই করে যাচ্ছে। রাষ্ট্রীয় কাঠামোর অভ্যন্তরে যে ঔপনিবেশিক আমলাতন্ত্র বিরাজ করছে তারই প্রতিফলন ভিন্ন ক্যাডার দিয়ে দিগ্ভ্রান্তের মতো স্বাস্থ্য ব্যবস্থা নিয়ন্ত্রণ ও পরিচালনা করা।
এ রকম একটি হাস্যকর ও অসাড় আদেশের মাধ্যমে চিকিৎসকদের মাঝে অস্থিরতা সৃষ্টি করা ও সরকারকে বিভ্রান্ত করার জন্য স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ে ঘাপটি মেরে থাকা একটি অসাধু চক্র নিরন্তর অপতৎপরতায় লিপ্ত রয়েছে। এই আদেশের মাধ্যমে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় চিকিৎসকদের সুকৌশলে জনগণের মুখোমুখি দাঁড় করিয়ে নিজেদের ব্যর্থতার দায়ভার অন্যের ঘাড়ে চাপাতে চায় বলেও মন্তব্য করা হয় চিঠিতে।
করোনা মহামারিতে সহস্রাধিক চিকিৎসকের বদলির আদেশ নিয়ে এবার মুখ খুলল চিকিৎসকদের সংগঠন বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশন (বিএমএ)। মহামারি চিকিৎসায় স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের ব্যর্থতা ঢাকতেই এই ব্যবস্থা বলে মন্তব্য করেছে সংগঠনটি।
গতকাল বৃহস্পতিবার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের কাছে পাঠানো বিএমএর সভাপতি ডা. মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে এই মন্তব্য করা হয়।
চিঠিতে বলা হয়েছে, প্রায় ১৫ মাসেরও অধিক সময় থেকে সরকারি ও বেসরকারি পর্যায়ে সকল চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মীগণ নিরলসভাবে তাদের দায়িত্ব পালন করার কারণে মহামারি অনেকটা নিয়ন্ত্রণে ছিল। এর মধ্যেই ১৬০ জনেরও অধিক চিকিৎসকসহ অনেক সহযোগী স্বাস্থ্যকর্মীকে আমরা হারিয়েছি। কিন্তু অত্যন্ত দুঃখের বিষয় প্রধানমন্ত্রীর সুস্পষ্ট নির্দেশনার পরেও আক্রান্ত কিংবা মৃত্যুবরণকারী চিকিৎসকদের প্রণোদনা/সম্মানী যথাযথভাবে প্রদান করা হয়নি।
সাম্প্রতিক সময়ে ডেঙ্গু রোগের প্রাদুর্ভাব মরার ওপর খাড়ার ঘা রূপে আবির্ভূত হয়েছে। এত কিছুর পরও চিকিৎসকেরা ক্লান্তিহীন মহামারিসহ সকল চিকিৎসায় নিরবে কাজ করে যাচ্ছেন। এমন অবস্থায় গত দুই দিনে আপনার মন্ত্রণালয় (স্বাস্থ্য) থেকে চিকিৎসকদের গণবদলির আদেশ সকলকে অবাক করে দিয়েছে। এই আদেশের ফলে মন্ত্রণালয়ের অস্থিরতা, বেহাল দশা ও অযোগ্যতা প্রকট আকারে পরিস্ফুটিত হয়েছে। যে মন্ত্রণালয় একটি সুনির্দিষ্ট ও কল্যাণকামী আদেশ করতে পারে না সেই মন্ত্রণালয় সারা দেশে কীভাবে মহামারি নিয়ন্ত্রণ করবে–প্রশ্ন রাখা হয় মন্ত্রীর কাছে।
চিঠিতে বলা হয়, যখনই মহামারি চিকিৎসায় মন্ত্রণালয়ের ব্যর্থতার বিষয়ে সর্বমহলে আলোচিত হয় তখনই ব্যবস্থাপনার বিষয়গুলো আড়াল করতে সুকৌশলে মন্ত্রণালয় চিকিৎসকদের ঘাড়ে সকল দায়দায়িত্ব চাপিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করে। এই আদেশে মৃত ও অবসরপ্রাপ্ত চিকিৎসকদেরকেও বদলি করে হাস্যকর পরিস্থিতির সৃষ্টি করা হয়েছে। যে সকল চিকিৎসক দীর্ঘদিন রোগী দেখেন না বিশেষ করে বেসিক সাবজেষ্ট ও রক্ত পরিসঞ্চালন বিভাগে কর্মরত চিকিৎসক, তাদেরকেও করোনা রোগী দেখার জন্য বদলি করা হয়েছে। এমনকি দন্ত চিকিৎসক, নিউরো সার্জনসহ অন্যান্য বিশেষায়িত বিভাগের বিশেষজ্ঞগণকে বদলি করা হয়েছে যারা করোনা রোগী দেখায় কিভাবে ভূমিকা রাখবে তা আমাদের বোধগম্য নয়। মাইক্রোবায়োলজি বিভাগ কিংবা করোনা ল্যাবে কর্মরত চিকিৎসকগণকে বদলি করে দেওয়ায় আরটিপিসিআর ল্যাবে করোনা পরীক্ষা কার্যক্রম মারাত্মকভাবে ব্যাহত হবে।
মহামারি নিয়ন্ত্রণ একটি সমন্বিত কার্যক্রম, যেখানে আবশ্যিকভাবে সংশ্লিষ্ট বিশেষজ্ঞের পরামর্শ অপরিহার্য। সেখানে শুধু আমলাতন্ত্র এতটা বেপরোয়া হয়ে পড়েছে যে তারা যা ইচ্ছা তাই করে যাচ্ছে। রাষ্ট্রীয় কাঠামোর অভ্যন্তরে যে ঔপনিবেশিক আমলাতন্ত্র বিরাজ করছে তারই প্রতিফলন ভিন্ন ক্যাডার দিয়ে দিগ্ভ্রান্তের মতো স্বাস্থ্য ব্যবস্থা নিয়ন্ত্রণ ও পরিচালনা করা।
এ রকম একটি হাস্যকর ও অসাড় আদেশের মাধ্যমে চিকিৎসকদের মাঝে অস্থিরতা সৃষ্টি করা ও সরকারকে বিভ্রান্ত করার জন্য স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ে ঘাপটি মেরে থাকা একটি অসাধু চক্র নিরন্তর অপতৎপরতায় লিপ্ত রয়েছে। এই আদেশের মাধ্যমে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় চিকিৎসকদের সুকৌশলে জনগণের মুখোমুখি দাঁড় করিয়ে নিজেদের ব্যর্থতার দায়ভার অন্যের ঘাড়ে চাপাতে চায় বলেও মন্তব্য করা হয় চিঠিতে।
কৃষি খাতে রাষ্ট্রীয় ভর্তুকি বিতরণে স্বচ্ছতার জন্য কৃষকদের স্মার্ট কার্ডের আওতায় আনার উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে। এর জন্য কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর (ডিএই) ইতিমধ্যে পার্টনার প্রকল্পের আওতায় ‘কৃষক স্মার্ট কার্ড নীতিমালা, ২০২৫’-এর খসড়া তৈরি করেছে। গত ৩০ জানুয়ারি ছিল এ বিষয়ে অংশীজনদের মতামত জানানোর শেষ দিন।
৩ ঘণ্টা আগেহাবিব হোটেল ইন্টারন্যাশনাল ও মরিয়ম কনস্ট্রাকশনের নামে তিন ব্যাংক থেকে ঋণ নিয়েছেন আলম আহমেদ। সেই টাকায় রাজধানীর তেজগাঁওয়ে গড়ে তুলেছেন তারকা হোটেল ‘হলিডে ইন’। বছরের পর বছর হোটেল ব্যবসাও করছে, কিন্তু ব্যাংকের ঋণের টাকা পরিশোধ করেননি। তিন ব্যাংকের প্রায় দেড় হাজার কোটি টাকা পরিশোধ না করে পাড়ি...
৩ ঘণ্টা আগেগতকাল শুক্রবার ছিল ছুটির দিন। তাই রাজধানীর বাংলাবাজারের সৃজনশীল প্রকাশনীগুলো বন্ধ থাকার কথা। কিন্তু পরদিন থেকে বইমেলার শুরু; এ কারণে প্রকাশকদের ব্যস্ততার শেষ নেই। পিকআপ ও ভ্যানে ওঠানো হচ্ছে নতুন বই। ছাপা, বাঁধাইয়ের কর্মী, শ্রমিক সবাই ব্যস্ত প্রথম দিনে নতুন বই পাঠকের সামনে তুলে ধরার কাজে। গতকাল রাতভ
৮ ঘণ্টা আগেজ্বালানি তেলের দাম লিটারে এক টাকা বেড়েছে। ১ ফেব্রুয়ারি থেকে নতুন এই দাম কার্যকর হবে বলে জানিয়েছে জ্বালানি বিভাগ। বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, ভোক্তা পর্যায়ে প্রতি লিটার ১ টাকা বেড়ে ১০৫ টাকা, কেরোসিন ১০৪ টাকা থেকে ১০৫ টাকা এবং অকটেন ১২৬ টাকা ও পেট্রল ১২২ টাকায় পুনর্নির্ধারণ করা হয়েছে...
১৪ ঘণ্টা আগে