শহীদুল ইসলাম, ঢাকা

এক যুগ আগে ৩০২টি কমিটির সভাপতির দায়িত্বে থাকার সুযোগ ছিল একজন জেলা প্রশাসকের (ডিসি)। এরপর জেলায় জেলায় আরও অন্তত ২০০ কমিটি হয়েছে। এসব কমিটির কয়টি একজন ডিসিকে সামলাতে হচ্ছে, সেই তালিকা হালনাগাদ করতে যাচ্ছে সরকার।
অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব নেওয়ার পর স্থানীয় সরকারের নির্বাচিত প্রতিনিধিদের বরখাস্ত করে সেখানেও সরকারি কর্মকর্তাদের বসানো হয়েছে। এ ছাড়া শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোর পরিচালনা পর্ষদের সভাপতির দায়িত্বেও অন্য সরকারি কর্মকর্তাদের সঙ্গে ডিসিদের রাখা হয়েছে। ডিসিরা প্রশাসন ক্যাডারের কর্মকর্তা।
প্রশাসন ক্যাডার ছাড়া বাকি ২৫টি ক্যাডারের কর্মকর্তাদের অভিযোগ, একজন ডিসিকে এত কমিটির সঙ্গে যুক্ত রাখায় বেশির ভাগ কমিটি ভালোমতো কাজ করছে না। কমিটিতে সংশ্লিষ্ট বিষয়ের কর্মকর্তাদের সভাপতির দায়িত্ব দেওয়ার দাবি জানিয়েছেন তাঁরা।
ডিসিদের এত কমিটির দায়িত্ব দিয়ে রাখায় অনেক ক্ষেত্রে মানুষ ঠিকমতো সরকারি সেবা পাচ্ছেন না বলে দাবি করেছেন আন্তক্যাডার বৈষম্য নিরসন পরিষদের সমন্বয়ক মুহম্মদ মফিজুর রহমান। তাঁর মতে, এ জন্য যে কাজে যিনি অভিজ্ঞ, তাঁর অধীনেই ওই কমিটি রাখা উচিত।
বর্তমানে প্রশাসন ক্যাডারের ৭৫ শতাংশ এবং অন্য সব ক্যাডারের ২৫ শতাংশ কর্মকর্তাদের উপসচিব পদে পদায়ন করা হয়। প্রশাসন ক্যাডারের উপসচিব পদমর্যাদার কর্মকর্তাদের ডিসি এবং সিনিয়র সহকারী সচিব পদমর্যাদার কর্মকর্তাদের ইউএনও হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়।
মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের ২০১১ সালের তালিকা অনুযায়ী, জেলায় সর্বোচ্চ ৩০২টি কমিটির সভাপতি পদে থাকতে পারেন একজন ডিসি। কর্মকর্তারা জানান, এক যুগের বেশি সময়ে ডিসিদের সভাপতি করা হয়, জেলায় জেলায় এমন অন্তত আরও ২০০ কমিটি হয়েছে। ফলে এখন পাঁচ শর বেশি কমিটিতে সভাপতি হিসেবে ডিসিদের থাকার সুযোগ রয়েছে।
ডিসিরা সভাপতি থাকা কমিটিগুলোর হালনাগাদ তথ্য পাঠাতে ১৮ ডিসেম্বর সব ডিসিকে চিঠি পাঠিয়েছে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ। ওই চিঠির সঙ্গে ডিসিরা যে ৩০২টি কমিটির সভাপতি পদে থাকতে পারেন, সেই তালিকাও পাঠানো হয়েছে। তালিকার বাইরে অন্য কোন কোন কমিটিতে ডিসিরা প্রধান হিসেবে রয়েছেন, চিঠিতে তা জানাতে বলা হয়েছে।
এ বিষয়ে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের জেলা ও মাঠ প্রশাসন অনুবিভাগের অতিরিক্ত সচিব মোহাম্মদ খালেদ রহীম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমাদের তালিকার বাইরেও অনেক মন্ত্রণালয়ের অনেক কমিটিতে ডিসিদের সভাপতি হিসেবে রাখা হয়েছে, এ জন্য আমরা তালিকা হালনাগাদ করব।’
মাঠ প্রশাসনের কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, যত ছোট জেলাই হোক না কেন, একজন ডিসিকে কমপক্ষে ১২০টি কমিটির সভাপতির দায়িত্বে থাকতে হয়। বড় জেলায় একজন ডিসিকে আড়াই শর বেশি কমিটিতে সভাপতির পদে থাকতে হয়। অঞ্চলভেদে বেশ কিছু আঞ্চলিক কমিটিতেও ডিসিদের সভাপতি করে রাখা হয়েছে।
নওগাঁর ডিসি মোহাম্মদ আব্দুল আউয়াল আজকের পত্রিকাকে জানান, ১২০টি কমিটির সভাপতি তিনি। এর বাইরে পদাধিকারবলে এখন সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সভাপতিও তিনি। এত কমিটির সভাপতি হওয়ায় জটিলতায় পড়তে হয় কি না, এ প্রশ্নে তিনি বলেন, ‘প্রতি জেলায় কমপক্ষে চারজন এডিসি আছেন। বড় জেলায় আরও বেশি এডিসি রয়েছেন। সভা করতে বেগ পাওয়ার সুযোগ নেই। সংশ্লিষ্ট এডিসিরা এসব দেখেন। সভার আগে আমাদের ভালোমতো ব্রিফ করেন। এটি নিয়ে হিমশিম খাওয়ার সুযোগ নেই। মাল্টিটাস্কিং কাজে যাঁরা অভ্যস্ত, তাঁদেরই ডিসি করা হয়। আমরা জেনে-বুঝেই এসেছি যে এ কাজগুলো আমাদের করতে হবে।’
যে কাজে যিনি অভিজ্ঞ, তাঁর অধীনেই ওই কমিটি রাখা উচিত। মুহম্মদ মফিজুর রহমান, সমন্বয়ক, আন্তক্যাডার বৈষম্য নিরসন পরিষদ
নওগাঁর ডিসি বলেন, জেলা প্রশাসনের কর্মকর্তাদের সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত অফিস হলেও তাঁরা কমপক্ষে ১৮ ঘণ্টা অফিস করেন এবং ২৪ ঘণ্টা অফিস নিয়ে ভাবেন।
তবে নাম প্রকাশ না করার শর্তে একজন ডিসি বলেন, অনেক কমিটিতে ডিসিদের সভাপতি না করলেও চলে। কিন্তু অনেক আগে থেকে এসব কমিটিতে ডিসিদের সভাপতি করে রাখা হয়েছে। কয়েক যুগেও এখানে সংস্কার হয়নি।
সাবেক একজন ডিসি আজকের পত্রিকাকে বলেন, একজন ডিসিকে মাসে ৩৫-৪০টি সভায় সভাপতিত্ব করতে হয়। কিছু সভায় এডিসিকে পাঠানো হয়। এটা ঠিক যে অনেক কমিটির প্রধানের পদে ডিসিকে না রাখলেও চলত। তবে কে কী মনে করেন, এই ভয়ে কেউ এসব নিয়ে কথা বলেন না। তিনি বলেন, অনেক সময় রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত নিয়ে সরকার তড়িঘড়ি করে অনেক পদক্ষেপ নেয়। সরকারের সেসব সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নের দায়িত্বও ডিসিদের ওপর পড়ে। তখন দেখা যায়, নির্ধারিত কমিটির বাইরেও আরও অনেক কমিটিতে ডিসিদের দায়িত্ব নিয়ে কাজ করতে হয়।
আন্তক্যাডার বৈষম্য নিরসন পরিষদের সমন্বয়ক মুহম্মদ মফিজুর রহমান বলেন, মাঠ প্রশাসনে বিভিন্ন ক্যাডারের সিনিয়র কর্মকর্তারা কাজ করলেও অনেক ক্ষেত্রে ডিসি ও ইউএনওরা সামনে আসেন। এতে অনেক সমস্যা তৈরি হয়। মাঠ প্রশাসনে ভারসাম্য আনতে যে অফিসের অনুষ্ঠান, সেই অফিসের সিনিয়র কর্মকর্তাকে সভাপতিত্ব করার দায়িত্ব দিলে সমস্যা হতো না। ক্যাডারভিত্তিক যিনি কাজ বোঝেন, তাঁকেই সেই কাজের দায়িত্ব দেওয়া উচিত।

এক যুগ আগে ৩০২টি কমিটির সভাপতির দায়িত্বে থাকার সুযোগ ছিল একজন জেলা প্রশাসকের (ডিসি)। এরপর জেলায় জেলায় আরও অন্তত ২০০ কমিটি হয়েছে। এসব কমিটির কয়টি একজন ডিসিকে সামলাতে হচ্ছে, সেই তালিকা হালনাগাদ করতে যাচ্ছে সরকার।
অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব নেওয়ার পর স্থানীয় সরকারের নির্বাচিত প্রতিনিধিদের বরখাস্ত করে সেখানেও সরকারি কর্মকর্তাদের বসানো হয়েছে। এ ছাড়া শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোর পরিচালনা পর্ষদের সভাপতির দায়িত্বেও অন্য সরকারি কর্মকর্তাদের সঙ্গে ডিসিদের রাখা হয়েছে। ডিসিরা প্রশাসন ক্যাডারের কর্মকর্তা।
প্রশাসন ক্যাডার ছাড়া বাকি ২৫টি ক্যাডারের কর্মকর্তাদের অভিযোগ, একজন ডিসিকে এত কমিটির সঙ্গে যুক্ত রাখায় বেশির ভাগ কমিটি ভালোমতো কাজ করছে না। কমিটিতে সংশ্লিষ্ট বিষয়ের কর্মকর্তাদের সভাপতির দায়িত্ব দেওয়ার দাবি জানিয়েছেন তাঁরা।
ডিসিদের এত কমিটির দায়িত্ব দিয়ে রাখায় অনেক ক্ষেত্রে মানুষ ঠিকমতো সরকারি সেবা পাচ্ছেন না বলে দাবি করেছেন আন্তক্যাডার বৈষম্য নিরসন পরিষদের সমন্বয়ক মুহম্মদ মফিজুর রহমান। তাঁর মতে, এ জন্য যে কাজে যিনি অভিজ্ঞ, তাঁর অধীনেই ওই কমিটি রাখা উচিত।
বর্তমানে প্রশাসন ক্যাডারের ৭৫ শতাংশ এবং অন্য সব ক্যাডারের ২৫ শতাংশ কর্মকর্তাদের উপসচিব পদে পদায়ন করা হয়। প্রশাসন ক্যাডারের উপসচিব পদমর্যাদার কর্মকর্তাদের ডিসি এবং সিনিয়র সহকারী সচিব পদমর্যাদার কর্মকর্তাদের ইউএনও হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়।
মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের ২০১১ সালের তালিকা অনুযায়ী, জেলায় সর্বোচ্চ ৩০২টি কমিটির সভাপতি পদে থাকতে পারেন একজন ডিসি। কর্মকর্তারা জানান, এক যুগের বেশি সময়ে ডিসিদের সভাপতি করা হয়, জেলায় জেলায় এমন অন্তত আরও ২০০ কমিটি হয়েছে। ফলে এখন পাঁচ শর বেশি কমিটিতে সভাপতি হিসেবে ডিসিদের থাকার সুযোগ রয়েছে।
ডিসিরা সভাপতি থাকা কমিটিগুলোর হালনাগাদ তথ্য পাঠাতে ১৮ ডিসেম্বর সব ডিসিকে চিঠি পাঠিয়েছে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ। ওই চিঠির সঙ্গে ডিসিরা যে ৩০২টি কমিটির সভাপতি পদে থাকতে পারেন, সেই তালিকাও পাঠানো হয়েছে। তালিকার বাইরে অন্য কোন কোন কমিটিতে ডিসিরা প্রধান হিসেবে রয়েছেন, চিঠিতে তা জানাতে বলা হয়েছে।
এ বিষয়ে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের জেলা ও মাঠ প্রশাসন অনুবিভাগের অতিরিক্ত সচিব মোহাম্মদ খালেদ রহীম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমাদের তালিকার বাইরেও অনেক মন্ত্রণালয়ের অনেক কমিটিতে ডিসিদের সভাপতি হিসেবে রাখা হয়েছে, এ জন্য আমরা তালিকা হালনাগাদ করব।’
মাঠ প্রশাসনের কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, যত ছোট জেলাই হোক না কেন, একজন ডিসিকে কমপক্ষে ১২০টি কমিটির সভাপতির দায়িত্বে থাকতে হয়। বড় জেলায় একজন ডিসিকে আড়াই শর বেশি কমিটিতে সভাপতির পদে থাকতে হয়। অঞ্চলভেদে বেশ কিছু আঞ্চলিক কমিটিতেও ডিসিদের সভাপতি করে রাখা হয়েছে।
নওগাঁর ডিসি মোহাম্মদ আব্দুল আউয়াল আজকের পত্রিকাকে জানান, ১২০টি কমিটির সভাপতি তিনি। এর বাইরে পদাধিকারবলে এখন সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সভাপতিও তিনি। এত কমিটির সভাপতি হওয়ায় জটিলতায় পড়তে হয় কি না, এ প্রশ্নে তিনি বলেন, ‘প্রতি জেলায় কমপক্ষে চারজন এডিসি আছেন। বড় জেলায় আরও বেশি এডিসি রয়েছেন। সভা করতে বেগ পাওয়ার সুযোগ নেই। সংশ্লিষ্ট এডিসিরা এসব দেখেন। সভার আগে আমাদের ভালোমতো ব্রিফ করেন। এটি নিয়ে হিমশিম খাওয়ার সুযোগ নেই। মাল্টিটাস্কিং কাজে যাঁরা অভ্যস্ত, তাঁদেরই ডিসি করা হয়। আমরা জেনে-বুঝেই এসেছি যে এ কাজগুলো আমাদের করতে হবে।’
যে কাজে যিনি অভিজ্ঞ, তাঁর অধীনেই ওই কমিটি রাখা উচিত। মুহম্মদ মফিজুর রহমান, সমন্বয়ক, আন্তক্যাডার বৈষম্য নিরসন পরিষদ
নওগাঁর ডিসি বলেন, জেলা প্রশাসনের কর্মকর্তাদের সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত অফিস হলেও তাঁরা কমপক্ষে ১৮ ঘণ্টা অফিস করেন এবং ২৪ ঘণ্টা অফিস নিয়ে ভাবেন।
তবে নাম প্রকাশ না করার শর্তে একজন ডিসি বলেন, অনেক কমিটিতে ডিসিদের সভাপতি না করলেও চলে। কিন্তু অনেক আগে থেকে এসব কমিটিতে ডিসিদের সভাপতি করে রাখা হয়েছে। কয়েক যুগেও এখানে সংস্কার হয়নি।
সাবেক একজন ডিসি আজকের পত্রিকাকে বলেন, একজন ডিসিকে মাসে ৩৫-৪০টি সভায় সভাপতিত্ব করতে হয়। কিছু সভায় এডিসিকে পাঠানো হয়। এটা ঠিক যে অনেক কমিটির প্রধানের পদে ডিসিকে না রাখলেও চলত। তবে কে কী মনে করেন, এই ভয়ে কেউ এসব নিয়ে কথা বলেন না। তিনি বলেন, অনেক সময় রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত নিয়ে সরকার তড়িঘড়ি করে অনেক পদক্ষেপ নেয়। সরকারের সেসব সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নের দায়িত্বও ডিসিদের ওপর পড়ে। তখন দেখা যায়, নির্ধারিত কমিটির বাইরেও আরও অনেক কমিটিতে ডিসিদের দায়িত্ব নিয়ে কাজ করতে হয়।
আন্তক্যাডার বৈষম্য নিরসন পরিষদের সমন্বয়ক মুহম্মদ মফিজুর রহমান বলেন, মাঠ প্রশাসনে বিভিন্ন ক্যাডারের সিনিয়র কর্মকর্তারা কাজ করলেও অনেক ক্ষেত্রে ডিসি ও ইউএনওরা সামনে আসেন। এতে অনেক সমস্যা তৈরি হয়। মাঠ প্রশাসনে ভারসাম্য আনতে যে অফিসের অনুষ্ঠান, সেই অফিসের সিনিয়র কর্মকর্তাকে সভাপতিত্ব করার দায়িত্ব দিলে সমস্যা হতো না। ক্যাডারভিত্তিক যিনি কাজ বোঝেন, তাঁকেই সেই কাজের দায়িত্ব দেওয়া উচিত।
শহীদুল ইসলাম, ঢাকা

এক যুগ আগে ৩০২টি কমিটির সভাপতির দায়িত্বে থাকার সুযোগ ছিল একজন জেলা প্রশাসকের (ডিসি)। এরপর জেলায় জেলায় আরও অন্তত ২০০ কমিটি হয়েছে। এসব কমিটির কয়টি একজন ডিসিকে সামলাতে হচ্ছে, সেই তালিকা হালনাগাদ করতে যাচ্ছে সরকার।
অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব নেওয়ার পর স্থানীয় সরকারের নির্বাচিত প্রতিনিধিদের বরখাস্ত করে সেখানেও সরকারি কর্মকর্তাদের বসানো হয়েছে। এ ছাড়া শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোর পরিচালনা পর্ষদের সভাপতির দায়িত্বেও অন্য সরকারি কর্মকর্তাদের সঙ্গে ডিসিদের রাখা হয়েছে। ডিসিরা প্রশাসন ক্যাডারের কর্মকর্তা।
প্রশাসন ক্যাডার ছাড়া বাকি ২৫টি ক্যাডারের কর্মকর্তাদের অভিযোগ, একজন ডিসিকে এত কমিটির সঙ্গে যুক্ত রাখায় বেশির ভাগ কমিটি ভালোমতো কাজ করছে না। কমিটিতে সংশ্লিষ্ট বিষয়ের কর্মকর্তাদের সভাপতির দায়িত্ব দেওয়ার দাবি জানিয়েছেন তাঁরা।
ডিসিদের এত কমিটির দায়িত্ব দিয়ে রাখায় অনেক ক্ষেত্রে মানুষ ঠিকমতো সরকারি সেবা পাচ্ছেন না বলে দাবি করেছেন আন্তক্যাডার বৈষম্য নিরসন পরিষদের সমন্বয়ক মুহম্মদ মফিজুর রহমান। তাঁর মতে, এ জন্য যে কাজে যিনি অভিজ্ঞ, তাঁর অধীনেই ওই কমিটি রাখা উচিত।
বর্তমানে প্রশাসন ক্যাডারের ৭৫ শতাংশ এবং অন্য সব ক্যাডারের ২৫ শতাংশ কর্মকর্তাদের উপসচিব পদে পদায়ন করা হয়। প্রশাসন ক্যাডারের উপসচিব পদমর্যাদার কর্মকর্তাদের ডিসি এবং সিনিয়র সহকারী সচিব পদমর্যাদার কর্মকর্তাদের ইউএনও হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়।
মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের ২০১১ সালের তালিকা অনুযায়ী, জেলায় সর্বোচ্চ ৩০২টি কমিটির সভাপতি পদে থাকতে পারেন একজন ডিসি। কর্মকর্তারা জানান, এক যুগের বেশি সময়ে ডিসিদের সভাপতি করা হয়, জেলায় জেলায় এমন অন্তত আরও ২০০ কমিটি হয়েছে। ফলে এখন পাঁচ শর বেশি কমিটিতে সভাপতি হিসেবে ডিসিদের থাকার সুযোগ রয়েছে।
ডিসিরা সভাপতি থাকা কমিটিগুলোর হালনাগাদ তথ্য পাঠাতে ১৮ ডিসেম্বর সব ডিসিকে চিঠি পাঠিয়েছে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ। ওই চিঠির সঙ্গে ডিসিরা যে ৩০২টি কমিটির সভাপতি পদে থাকতে পারেন, সেই তালিকাও পাঠানো হয়েছে। তালিকার বাইরে অন্য কোন কোন কমিটিতে ডিসিরা প্রধান হিসেবে রয়েছেন, চিঠিতে তা জানাতে বলা হয়েছে।
এ বিষয়ে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের জেলা ও মাঠ প্রশাসন অনুবিভাগের অতিরিক্ত সচিব মোহাম্মদ খালেদ রহীম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমাদের তালিকার বাইরেও অনেক মন্ত্রণালয়ের অনেক কমিটিতে ডিসিদের সভাপতি হিসেবে রাখা হয়েছে, এ জন্য আমরা তালিকা হালনাগাদ করব।’
মাঠ প্রশাসনের কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, যত ছোট জেলাই হোক না কেন, একজন ডিসিকে কমপক্ষে ১২০টি কমিটির সভাপতির দায়িত্বে থাকতে হয়। বড় জেলায় একজন ডিসিকে আড়াই শর বেশি কমিটিতে সভাপতির পদে থাকতে হয়। অঞ্চলভেদে বেশ কিছু আঞ্চলিক কমিটিতেও ডিসিদের সভাপতি করে রাখা হয়েছে।
নওগাঁর ডিসি মোহাম্মদ আব্দুল আউয়াল আজকের পত্রিকাকে জানান, ১২০টি কমিটির সভাপতি তিনি। এর বাইরে পদাধিকারবলে এখন সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সভাপতিও তিনি। এত কমিটির সভাপতি হওয়ায় জটিলতায় পড়তে হয় কি না, এ প্রশ্নে তিনি বলেন, ‘প্রতি জেলায় কমপক্ষে চারজন এডিসি আছেন। বড় জেলায় আরও বেশি এডিসি রয়েছেন। সভা করতে বেগ পাওয়ার সুযোগ নেই। সংশ্লিষ্ট এডিসিরা এসব দেখেন। সভার আগে আমাদের ভালোমতো ব্রিফ করেন। এটি নিয়ে হিমশিম খাওয়ার সুযোগ নেই। মাল্টিটাস্কিং কাজে যাঁরা অভ্যস্ত, তাঁদেরই ডিসি করা হয়। আমরা জেনে-বুঝেই এসেছি যে এ কাজগুলো আমাদের করতে হবে।’
যে কাজে যিনি অভিজ্ঞ, তাঁর অধীনেই ওই কমিটি রাখা উচিত। মুহম্মদ মফিজুর রহমান, সমন্বয়ক, আন্তক্যাডার বৈষম্য নিরসন পরিষদ
নওগাঁর ডিসি বলেন, জেলা প্রশাসনের কর্মকর্তাদের সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত অফিস হলেও তাঁরা কমপক্ষে ১৮ ঘণ্টা অফিস করেন এবং ২৪ ঘণ্টা অফিস নিয়ে ভাবেন।
তবে নাম প্রকাশ না করার শর্তে একজন ডিসি বলেন, অনেক কমিটিতে ডিসিদের সভাপতি না করলেও চলে। কিন্তু অনেক আগে থেকে এসব কমিটিতে ডিসিদের সভাপতি করে রাখা হয়েছে। কয়েক যুগেও এখানে সংস্কার হয়নি।
সাবেক একজন ডিসি আজকের পত্রিকাকে বলেন, একজন ডিসিকে মাসে ৩৫-৪০টি সভায় সভাপতিত্ব করতে হয়। কিছু সভায় এডিসিকে পাঠানো হয়। এটা ঠিক যে অনেক কমিটির প্রধানের পদে ডিসিকে না রাখলেও চলত। তবে কে কী মনে করেন, এই ভয়ে কেউ এসব নিয়ে কথা বলেন না। তিনি বলেন, অনেক সময় রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত নিয়ে সরকার তড়িঘড়ি করে অনেক পদক্ষেপ নেয়। সরকারের সেসব সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নের দায়িত্বও ডিসিদের ওপর পড়ে। তখন দেখা যায়, নির্ধারিত কমিটির বাইরেও আরও অনেক কমিটিতে ডিসিদের দায়িত্ব নিয়ে কাজ করতে হয়।
আন্তক্যাডার বৈষম্য নিরসন পরিষদের সমন্বয়ক মুহম্মদ মফিজুর রহমান বলেন, মাঠ প্রশাসনে বিভিন্ন ক্যাডারের সিনিয়র কর্মকর্তারা কাজ করলেও অনেক ক্ষেত্রে ডিসি ও ইউএনওরা সামনে আসেন। এতে অনেক সমস্যা তৈরি হয়। মাঠ প্রশাসনে ভারসাম্য আনতে যে অফিসের অনুষ্ঠান, সেই অফিসের সিনিয়র কর্মকর্তাকে সভাপতিত্ব করার দায়িত্ব দিলে সমস্যা হতো না। ক্যাডারভিত্তিক যিনি কাজ বোঝেন, তাঁকেই সেই কাজের দায়িত্ব দেওয়া উচিত।

এক যুগ আগে ৩০২টি কমিটির সভাপতির দায়িত্বে থাকার সুযোগ ছিল একজন জেলা প্রশাসকের (ডিসি)। এরপর জেলায় জেলায় আরও অন্তত ২০০ কমিটি হয়েছে। এসব কমিটির কয়টি একজন ডিসিকে সামলাতে হচ্ছে, সেই তালিকা হালনাগাদ করতে যাচ্ছে সরকার।
অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব নেওয়ার পর স্থানীয় সরকারের নির্বাচিত প্রতিনিধিদের বরখাস্ত করে সেখানেও সরকারি কর্মকর্তাদের বসানো হয়েছে। এ ছাড়া শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোর পরিচালনা পর্ষদের সভাপতির দায়িত্বেও অন্য সরকারি কর্মকর্তাদের সঙ্গে ডিসিদের রাখা হয়েছে। ডিসিরা প্রশাসন ক্যাডারের কর্মকর্তা।
প্রশাসন ক্যাডার ছাড়া বাকি ২৫টি ক্যাডারের কর্মকর্তাদের অভিযোগ, একজন ডিসিকে এত কমিটির সঙ্গে যুক্ত রাখায় বেশির ভাগ কমিটি ভালোমতো কাজ করছে না। কমিটিতে সংশ্লিষ্ট বিষয়ের কর্মকর্তাদের সভাপতির দায়িত্ব দেওয়ার দাবি জানিয়েছেন তাঁরা।
ডিসিদের এত কমিটির দায়িত্ব দিয়ে রাখায় অনেক ক্ষেত্রে মানুষ ঠিকমতো সরকারি সেবা পাচ্ছেন না বলে দাবি করেছেন আন্তক্যাডার বৈষম্য নিরসন পরিষদের সমন্বয়ক মুহম্মদ মফিজুর রহমান। তাঁর মতে, এ জন্য যে কাজে যিনি অভিজ্ঞ, তাঁর অধীনেই ওই কমিটি রাখা উচিত।
বর্তমানে প্রশাসন ক্যাডারের ৭৫ শতাংশ এবং অন্য সব ক্যাডারের ২৫ শতাংশ কর্মকর্তাদের উপসচিব পদে পদায়ন করা হয়। প্রশাসন ক্যাডারের উপসচিব পদমর্যাদার কর্মকর্তাদের ডিসি এবং সিনিয়র সহকারী সচিব পদমর্যাদার কর্মকর্তাদের ইউএনও হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়।
মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের ২০১১ সালের তালিকা অনুযায়ী, জেলায় সর্বোচ্চ ৩০২টি কমিটির সভাপতি পদে থাকতে পারেন একজন ডিসি। কর্মকর্তারা জানান, এক যুগের বেশি সময়ে ডিসিদের সভাপতি করা হয়, জেলায় জেলায় এমন অন্তত আরও ২০০ কমিটি হয়েছে। ফলে এখন পাঁচ শর বেশি কমিটিতে সভাপতি হিসেবে ডিসিদের থাকার সুযোগ রয়েছে।
ডিসিরা সভাপতি থাকা কমিটিগুলোর হালনাগাদ তথ্য পাঠাতে ১৮ ডিসেম্বর সব ডিসিকে চিঠি পাঠিয়েছে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ। ওই চিঠির সঙ্গে ডিসিরা যে ৩০২টি কমিটির সভাপতি পদে থাকতে পারেন, সেই তালিকাও পাঠানো হয়েছে। তালিকার বাইরে অন্য কোন কোন কমিটিতে ডিসিরা প্রধান হিসেবে রয়েছেন, চিঠিতে তা জানাতে বলা হয়েছে।
এ বিষয়ে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের জেলা ও মাঠ প্রশাসন অনুবিভাগের অতিরিক্ত সচিব মোহাম্মদ খালেদ রহীম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমাদের তালিকার বাইরেও অনেক মন্ত্রণালয়ের অনেক কমিটিতে ডিসিদের সভাপতি হিসেবে রাখা হয়েছে, এ জন্য আমরা তালিকা হালনাগাদ করব।’
মাঠ প্রশাসনের কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, যত ছোট জেলাই হোক না কেন, একজন ডিসিকে কমপক্ষে ১২০টি কমিটির সভাপতির দায়িত্বে থাকতে হয়। বড় জেলায় একজন ডিসিকে আড়াই শর বেশি কমিটিতে সভাপতির পদে থাকতে হয়। অঞ্চলভেদে বেশ কিছু আঞ্চলিক কমিটিতেও ডিসিদের সভাপতি করে রাখা হয়েছে।
নওগাঁর ডিসি মোহাম্মদ আব্দুল আউয়াল আজকের পত্রিকাকে জানান, ১২০টি কমিটির সভাপতি তিনি। এর বাইরে পদাধিকারবলে এখন সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সভাপতিও তিনি। এত কমিটির সভাপতি হওয়ায় জটিলতায় পড়তে হয় কি না, এ প্রশ্নে তিনি বলেন, ‘প্রতি জেলায় কমপক্ষে চারজন এডিসি আছেন। বড় জেলায় আরও বেশি এডিসি রয়েছেন। সভা করতে বেগ পাওয়ার সুযোগ নেই। সংশ্লিষ্ট এডিসিরা এসব দেখেন। সভার আগে আমাদের ভালোমতো ব্রিফ করেন। এটি নিয়ে হিমশিম খাওয়ার সুযোগ নেই। মাল্টিটাস্কিং কাজে যাঁরা অভ্যস্ত, তাঁদেরই ডিসি করা হয়। আমরা জেনে-বুঝেই এসেছি যে এ কাজগুলো আমাদের করতে হবে।’
যে কাজে যিনি অভিজ্ঞ, তাঁর অধীনেই ওই কমিটি রাখা উচিত। মুহম্মদ মফিজুর রহমান, সমন্বয়ক, আন্তক্যাডার বৈষম্য নিরসন পরিষদ
নওগাঁর ডিসি বলেন, জেলা প্রশাসনের কর্মকর্তাদের সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত অফিস হলেও তাঁরা কমপক্ষে ১৮ ঘণ্টা অফিস করেন এবং ২৪ ঘণ্টা অফিস নিয়ে ভাবেন।
তবে নাম প্রকাশ না করার শর্তে একজন ডিসি বলেন, অনেক কমিটিতে ডিসিদের সভাপতি না করলেও চলে। কিন্তু অনেক আগে থেকে এসব কমিটিতে ডিসিদের সভাপতি করে রাখা হয়েছে। কয়েক যুগেও এখানে সংস্কার হয়নি।
সাবেক একজন ডিসি আজকের পত্রিকাকে বলেন, একজন ডিসিকে মাসে ৩৫-৪০টি সভায় সভাপতিত্ব করতে হয়। কিছু সভায় এডিসিকে পাঠানো হয়। এটা ঠিক যে অনেক কমিটির প্রধানের পদে ডিসিকে না রাখলেও চলত। তবে কে কী মনে করেন, এই ভয়ে কেউ এসব নিয়ে কথা বলেন না। তিনি বলেন, অনেক সময় রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত নিয়ে সরকার তড়িঘড়ি করে অনেক পদক্ষেপ নেয়। সরকারের সেসব সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নের দায়িত্বও ডিসিদের ওপর পড়ে। তখন দেখা যায়, নির্ধারিত কমিটির বাইরেও আরও অনেক কমিটিতে ডিসিদের দায়িত্ব নিয়ে কাজ করতে হয়।
আন্তক্যাডার বৈষম্য নিরসন পরিষদের সমন্বয়ক মুহম্মদ মফিজুর রহমান বলেন, মাঠ প্রশাসনে বিভিন্ন ক্যাডারের সিনিয়র কর্মকর্তারা কাজ করলেও অনেক ক্ষেত্রে ডিসি ও ইউএনওরা সামনে আসেন। এতে অনেক সমস্যা তৈরি হয়। মাঠ প্রশাসনে ভারসাম্য আনতে যে অফিসের অনুষ্ঠান, সেই অফিসের সিনিয়র কর্মকর্তাকে সভাপতিত্ব করার দায়িত্ব দিলে সমস্যা হতো না। ক্যাডারভিত্তিক যিনি কাজ বোঝেন, তাঁকেই সেই কাজের দায়িত্ব দেওয়া উচিত।

আসন্ন জাতীয় ত্রয়োদশ সংসদ নির্বাচনের আগে এক ব্যক্তির নামে অনুমোদিত সিমকার্ডের সংখ্যা কমিয়ে আনা হবে। আজ রোববার সচিবালয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের আইনশৃঙ্খলা সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটির বৈঠক শেষে এ তথ্য জানান স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী।
৪৪ মিনিট আগে
সন্ন জাতীয় নির্বাচন উপলক্ষে সার্বিক প্রস্তুতি, সারাদেশে আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি ও অভিযান পরিচালনা এবং সহিংসতা সৃষ্টিকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণসহ বিভিন্ন বিষয়ে নিয়ে বৈঠকে বসছে আইন-শৃঙ্খলা সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটি।
৪ ঘণ্টা আগে
আগামী জাতীয় সংসদ নিয়মিত সংসদের পাশাপাশি সংবিধান সংস্কার পরিষদ হিসেবে ২৭০ দিনের (৯ মাস) মধ্যে জুলাই সনদের সংবিধানসংক্রান্ত বিষয়গুলো সংবিধানে যুক্ত করবে বলে মতৈক্য হয়েছে। তবে নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে তা সম্পন্ন করার বিষয়টি কীভাবে নিশ্চিত হবে, গতকাল শনিবার পর্যন্ত তার কিনারা করতে পারেনি...
১১ ঘণ্টা আগে
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ (আরপিও) সংশোধন, ২০২৫-এর খসড়া নীতিগত ও চূড়ান্ত অনুমোদন করেছে উপদেষ্টা পরিষদ। গত বৃহস্পতিবার সংশোধিত আরপিও প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের সভাপতিত্বে পরিষদে অনুমোদন দেওয়া হয়।
১৪ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

আসন্ন জাতীয় ত্রয়োদশ সংসদ নির্বাচনের আগে এক ব্যক্তির নামে অনুমোদিত সিমকার্ডের সংখ্যা কমিয়ে আনা হবে। আজ রোববার সচিবালয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের আইনশৃঙ্খলা সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটির বৈঠক শেষে এ তথ্য জানান স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী।
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, ‘একজনের সিমকার্ড ব্যবহার করে অন্যজন অপরাধ করে। এতে করে প্রকৃত দোষী ব্যক্তি অনেক সময় ধরাছোঁয়ার বাইরে থাকে। এ জন্য ব্যক্তি পর্যায়ে রেজিস্ট্রেশন করা সিমকার্ড কমিয়ে আনা হবে। কোনো ঘটনা ঘটার পর দেখা যায় সিমটি সেই ব্যক্তির নয়। নির্বাচনের আগে সিমকার্ড কমিয়ে আনা হবে। আমরা চেষ্টা করছি জাতীয় নির্বাচনের আগে একজন ব্যক্তি সর্বোচ্চ সাতটি সিমকার্ড নিজের এনআইডি দিয়ে রেজিস্ট্রেশন করতে পারবেন।’
ব্রিফিংয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব নাসিমুল গনি, পুলিশ মহাপরিদর্শক (আইজিপি) বাহারুল আলম, বিজিবি মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মোহাম্মদ আশরাফুজ্জামান সিদ্দিকী ও মেজর জেনারেল আবদুল মোতালেব সাজ্জাদ মাহমুদ।
গত মে মাসে বিটিআরসি জানায়, একজন গ্রাহক এখন থেকে নিজের নামে সর্বোচ্চ ১০টি সিম নিতে পারবেন। এর আগে জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি), ড্রাইভিং লাইসেন্স, জন্মনিবন্ধন সনদ ও পাসপোর্ট দিয়ে সব অপারেটর মিলিয়ে ১৫টি সিম নেওয়া যেত।
২০১৭ সালে বিটিআরসি একজন গ্রাহকের নামে সর্বোচ্চ ১৫টি সিম নিবন্ধন করা যাবে বলে নির্দেশনা দেয়। এরপর ২০২২ সালের অক্টোবরে বিটিআরসি আরেক নির্দেশনায় জানিয়েছিল, একজন গ্রাহক জাতীয় পরিচয়পত্র, ড্রাইভিং লাইসেন্স, জন্মনিবন্ধন সনদ ও পাসপোর্ট দিয়ে সর্বোচ্চ ১৫টি সিম নিবন্ধন করতে পারবেন।

আসন্ন জাতীয় ত্রয়োদশ সংসদ নির্বাচনের আগে এক ব্যক্তির নামে অনুমোদিত সিমকার্ডের সংখ্যা কমিয়ে আনা হবে। আজ রোববার সচিবালয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের আইনশৃঙ্খলা সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটির বৈঠক শেষে এ তথ্য জানান স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী।
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, ‘একজনের সিমকার্ড ব্যবহার করে অন্যজন অপরাধ করে। এতে করে প্রকৃত দোষী ব্যক্তি অনেক সময় ধরাছোঁয়ার বাইরে থাকে। এ জন্য ব্যক্তি পর্যায়ে রেজিস্ট্রেশন করা সিমকার্ড কমিয়ে আনা হবে। কোনো ঘটনা ঘটার পর দেখা যায় সিমটি সেই ব্যক্তির নয়। নির্বাচনের আগে সিমকার্ড কমিয়ে আনা হবে। আমরা চেষ্টা করছি জাতীয় নির্বাচনের আগে একজন ব্যক্তি সর্বোচ্চ সাতটি সিমকার্ড নিজের এনআইডি দিয়ে রেজিস্ট্রেশন করতে পারবেন।’
ব্রিফিংয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব নাসিমুল গনি, পুলিশ মহাপরিদর্শক (আইজিপি) বাহারুল আলম, বিজিবি মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মোহাম্মদ আশরাফুজ্জামান সিদ্দিকী ও মেজর জেনারেল আবদুল মোতালেব সাজ্জাদ মাহমুদ।
গত মে মাসে বিটিআরসি জানায়, একজন গ্রাহক এখন থেকে নিজের নামে সর্বোচ্চ ১০টি সিম নিতে পারবেন। এর আগে জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি), ড্রাইভিং লাইসেন্স, জন্মনিবন্ধন সনদ ও পাসপোর্ট দিয়ে সব অপারেটর মিলিয়ে ১৫টি সিম নেওয়া যেত।
২০১৭ সালে বিটিআরসি একজন গ্রাহকের নামে সর্বোচ্চ ১৫টি সিম নিবন্ধন করা যাবে বলে নির্দেশনা দেয়। এরপর ২০২২ সালের অক্টোবরে বিটিআরসি আরেক নির্দেশনায় জানিয়েছিল, একজন গ্রাহক জাতীয় পরিচয়পত্র, ড্রাইভিং লাইসেন্স, জন্মনিবন্ধন সনদ ও পাসপোর্ট দিয়ে সর্বোচ্চ ১৫টি সিম নিবন্ধন করতে পারবেন।

এক যুগ আগে ৩০২টি কমিটির সভাপতির দায়িত্বে থাকার সুযোগ ছিল একজন জেলা প্রশাসকের (ডিসি)। এরপর জেলায় জেলায় আরও অন্তত ২০০ কমিটি হয়েছে। এসব কমিটির কয়টি একজন ডিসিকে সামলাতে হচ্ছে, সেই তালিকা হালনাগাদ করতে যাচ্ছে সরকার।
২৪ ডিসেম্বর ২০২৪
সন্ন জাতীয় নির্বাচন উপলক্ষে সার্বিক প্রস্তুতি, সারাদেশে আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি ও অভিযান পরিচালনা এবং সহিংসতা সৃষ্টিকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণসহ বিভিন্ন বিষয়ে নিয়ে বৈঠকে বসছে আইন-শৃঙ্খলা সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটি।
৪ ঘণ্টা আগে
আগামী জাতীয় সংসদ নিয়মিত সংসদের পাশাপাশি সংবিধান সংস্কার পরিষদ হিসেবে ২৭০ দিনের (৯ মাস) মধ্যে জুলাই সনদের সংবিধানসংক্রান্ত বিষয়গুলো সংবিধানে যুক্ত করবে বলে মতৈক্য হয়েছে। তবে নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে তা সম্পন্ন করার বিষয়টি কীভাবে নিশ্চিত হবে, গতকাল শনিবার পর্যন্ত তার কিনারা করতে পারেনি...
১১ ঘণ্টা আগে
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ (আরপিও) সংশোধন, ২০২৫-এর খসড়া নীতিগত ও চূড়ান্ত অনুমোদন করেছে উপদেষ্টা পরিষদ। গত বৃহস্পতিবার সংশোধিত আরপিও প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের সভাপতিত্বে পরিষদে অনুমোদন দেওয়া হয়।
১৪ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

সন্ন জাতীয় নির্বাচন উপলক্ষে সার্বিক প্রস্তুতি, সারাদেশে আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি ও অভিযান পরিচালনা এবং সহিংসতা সৃষ্টিকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণসহ বিভিন্ন বিষয়ে নিয়ে বৈঠকে বসছে আইন-শৃঙ্খলা সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটি।
আজ রোববার সকাল ১১টায় সচিবালয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে।
আইন-শৃঙ্খলা সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটির ১৫তম বৈঠকে সভাপতিত্ব করবেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সূত্রে এই তথ্য জানা গেছে।
আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে এই বৈঠকের আলোচিত বিষয়গুলোর মধ্যে রয়েছে—
১. দেশব্যাপী চুরি, ছিনতাই, চাঁদাবাজি, দখলবাজি, সংঘবদ্ধ দুষ্কৃতিকারীদের কর্মকাণ্ড রোধে ব্যবস্থা গ্রহণ।
২. জুলাই হত্যাকাণ্ডের শহীদদের মামলার রেকর্ড, তদন্ত ও অগ্রগতি বিষয়ক আলোচনা, দেশে অস্থিরতা সৃষ্টিকারী উসকানিমূলক সাইবার প্রচারণার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ।
৩. নারী ও শিশু নির্যাতন এবং ধর্ষণের বিরুদ্ধে আইনগত ও সামাজিক প্রতিরোধ গড়ে তোলা।
৪. মাদকের অপব্যবহার রোধে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ সম্পর্কিত আলোচনা।
৫. শীর্ষ সন্ত্রাসীদের জামিন পরবর্তী সন্ত্রাসী কার্যক্রম ও প্রতিরোধ, নির্মূল ও নিয়ন্ত্রণ এবং নিষিদ্ধ ঘোষিত সংগঠনসমূহের অপতৎপরতা রোধে ব্যবস্থা গ্রহণ।
৬. গার্মেন্টস বা শিল্পকারখানার শ্রমিকদের বেতন-বোনাস পরিশোধ নিশ্চিত করা।
৭. গার্মেন্টস কারখানা, ঔষধ শিল্পসহ বিভিন্ন শিল্পপ্রতিষ্ঠানে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির তৎপরতা বিষয়ে আলোচনা।
৮. অস্ত্র জমা ও অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার অভিযান পরিচালনা সংক্রান্ত আলোচনা।
৯. সীমান্ত ও পার্বত্যাঞ্চল পরিস্থিতি বিষয়ক আলোচনা।
১০. রোহিঙ্গা ক্যাম্পের আইন-শৃঙ্খলাসহ সার্বিক পরিস্থিতি বিষয়ক আলোচনা।
১১. মা ইলিশ সংরক্ষণ সংক্রান্ত আলোচনা।
জানা গেছে, বৈঠকে উপস্থিত থাকবেন আইন বিচার ও সংসদ বিষয়ক এবং প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান বিষয়ক উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল, শিল্প-ও গৃহায়ণ মন্ত্রণালয় বিষয়ক উপদেষ্টা আদিলুর রহমান, খাদ্য ও ভূমি বিষয়ক উপদেষ্টা আলী ইমাম মজুমদার, বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ এবং সড়ক পরিবহন ও সেতু এবং রেলপথ উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান, যুব ও ক্রীড়া এবং স্থানীয় সরকার উপদেষ্ট আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া, মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা শারমীন এস মুরশিদ, ধর্ম বিষয়ক উপদেষ্টা আ ফ ম খালিদ হোসেন, পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক উপদেষ্টা সুপ্রদীপ চাকমাসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা এবং বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের প্রতিনিধিরা।

সন্ন জাতীয় নির্বাচন উপলক্ষে সার্বিক প্রস্তুতি, সারাদেশে আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি ও অভিযান পরিচালনা এবং সহিংসতা সৃষ্টিকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণসহ বিভিন্ন বিষয়ে নিয়ে বৈঠকে বসছে আইন-শৃঙ্খলা সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটি।
আজ রোববার সকাল ১১টায় সচিবালয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে।
আইন-শৃঙ্খলা সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটির ১৫তম বৈঠকে সভাপতিত্ব করবেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সূত্রে এই তথ্য জানা গেছে।
আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে এই বৈঠকের আলোচিত বিষয়গুলোর মধ্যে রয়েছে—
১. দেশব্যাপী চুরি, ছিনতাই, চাঁদাবাজি, দখলবাজি, সংঘবদ্ধ দুষ্কৃতিকারীদের কর্মকাণ্ড রোধে ব্যবস্থা গ্রহণ।
২. জুলাই হত্যাকাণ্ডের শহীদদের মামলার রেকর্ড, তদন্ত ও অগ্রগতি বিষয়ক আলোচনা, দেশে অস্থিরতা সৃষ্টিকারী উসকানিমূলক সাইবার প্রচারণার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ।
৩. নারী ও শিশু নির্যাতন এবং ধর্ষণের বিরুদ্ধে আইনগত ও সামাজিক প্রতিরোধ গড়ে তোলা।
৪. মাদকের অপব্যবহার রোধে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ সম্পর্কিত আলোচনা।
৫. শীর্ষ সন্ত্রাসীদের জামিন পরবর্তী সন্ত্রাসী কার্যক্রম ও প্রতিরোধ, নির্মূল ও নিয়ন্ত্রণ এবং নিষিদ্ধ ঘোষিত সংগঠনসমূহের অপতৎপরতা রোধে ব্যবস্থা গ্রহণ।
৬. গার্মেন্টস বা শিল্পকারখানার শ্রমিকদের বেতন-বোনাস পরিশোধ নিশ্চিত করা।
৭. গার্মেন্টস কারখানা, ঔষধ শিল্পসহ বিভিন্ন শিল্পপ্রতিষ্ঠানে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির তৎপরতা বিষয়ে আলোচনা।
৮. অস্ত্র জমা ও অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার অভিযান পরিচালনা সংক্রান্ত আলোচনা।
৯. সীমান্ত ও পার্বত্যাঞ্চল পরিস্থিতি বিষয়ক আলোচনা।
১০. রোহিঙ্গা ক্যাম্পের আইন-শৃঙ্খলাসহ সার্বিক পরিস্থিতি বিষয়ক আলোচনা।
১১. মা ইলিশ সংরক্ষণ সংক্রান্ত আলোচনা।
জানা গেছে, বৈঠকে উপস্থিত থাকবেন আইন বিচার ও সংসদ বিষয়ক এবং প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান বিষয়ক উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল, শিল্প-ও গৃহায়ণ মন্ত্রণালয় বিষয়ক উপদেষ্টা আদিলুর রহমান, খাদ্য ও ভূমি বিষয়ক উপদেষ্টা আলী ইমাম মজুমদার, বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ এবং সড়ক পরিবহন ও সেতু এবং রেলপথ উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান, যুব ও ক্রীড়া এবং স্থানীয় সরকার উপদেষ্ট আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া, মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা শারমীন এস মুরশিদ, ধর্ম বিষয়ক উপদেষ্টা আ ফ ম খালিদ হোসেন, পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক উপদেষ্টা সুপ্রদীপ চাকমাসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা এবং বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের প্রতিনিধিরা।

এক যুগ আগে ৩০২টি কমিটির সভাপতির দায়িত্বে থাকার সুযোগ ছিল একজন জেলা প্রশাসকের (ডিসি)। এরপর জেলায় জেলায় আরও অন্তত ২০০ কমিটি হয়েছে। এসব কমিটির কয়টি একজন ডিসিকে সামলাতে হচ্ছে, সেই তালিকা হালনাগাদ করতে যাচ্ছে সরকার।
২৪ ডিসেম্বর ২০২৪
আসন্ন জাতীয় ত্রয়োদশ সংসদ নির্বাচনের আগে এক ব্যক্তির নামে অনুমোদিত সিমকার্ডের সংখ্যা কমিয়ে আনা হবে। আজ রোববার সচিবালয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের আইনশৃঙ্খলা সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটির বৈঠক শেষে এ তথ্য জানান স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী।
৪৪ মিনিট আগে
আগামী জাতীয় সংসদ নিয়মিত সংসদের পাশাপাশি সংবিধান সংস্কার পরিষদ হিসেবে ২৭০ দিনের (৯ মাস) মধ্যে জুলাই সনদের সংবিধানসংক্রান্ত বিষয়গুলো সংবিধানে যুক্ত করবে বলে মতৈক্য হয়েছে। তবে নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে তা সম্পন্ন করার বিষয়টি কীভাবে নিশ্চিত হবে, গতকাল শনিবার পর্যন্ত তার কিনারা করতে পারেনি...
১১ ঘণ্টা আগে
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ (আরপিও) সংশোধন, ২০২৫-এর খসড়া নীতিগত ও চূড়ান্ত অনুমোদন করেছে উপদেষ্টা পরিষদ। গত বৃহস্পতিবার সংশোধিত আরপিও প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের সভাপতিত্বে পরিষদে অনুমোদন দেওয়া হয়।
১৪ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

আগামী জাতীয় সংসদ নিয়মিত সংসদের পাশাপাশি সংবিধান সংস্কার পরিষদ হিসেবে ২৭০ দিনের (৯ মাস) মধ্যে জুলাই সনদের সংবিধানসংক্রান্ত বিষয়গুলো সংবিধানে যুক্ত করবে বলে মতৈক্য হয়েছে। তবে নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে তা সম্পন্ন করার বিষয়টি কীভাবে নিশ্চিত হবে, গতকাল শনিবার পর্যন্ত তার কিনারা করতে পারেনি জাতীয় ঐকমত্য কমিশন। বৃহস্পতিবারের পর ঐকমত্য কমিশন গতকালও বিশেষজ্ঞদের নিয়ে বৈঠক করলেও কোনো সমাধান মেলেনি। এমন প্রেক্ষাপটে আজ রোববার কমিশন আবার নিজেরা বৈঠক করবে এবং প্রয়োজনে বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে আবার বসবে।
ঐকমত্য কমিশনের জাতীয় সংসদ ভবনের কার্যালয়ে গতকাল বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে বৈঠকটি বেলা দেড়টার পর শুরু হয়ে সন্ধ্যা ৬টার পরে শেষ হয়। প্রায় চার ঘণ্টার বৈঠকেও সংবিধান নিয়ে সময়সীমার মধ্যে কাজ শেষ করার উপায় বের হয়নি।
সূত্র জানায়, এখন পর্যন্ত জুলাই সনদ বাস্তবায়নে কমিশনের সিদ্ধান্ত হলো, গণ-অভ্যুত্থানকে ভিত্তি ধরে প্রথমে ‘জুলাই সনদ বাস্তবায়ন (সংবিধান সংস্কার) আদেশ’ নামে একটি আদেশ জারি করা হবে। তার অধীনে জারি হবে গণভোট-বিষয়ক একটি অধ্যাদেশ। এর ভিত্তিতেই হবে গণভোট। একটি নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত (২৭০ দিন বা প্রথম ৯ মাস) আগামী সংসদ কাজ করবে সংবিধান সংস্কার পরিষদ হিসেবে। এ সময়ের মধ্যেই সংবিধান-সংক্রান্ত সংস্কার প্রস্তাবগুলো সংসদে অনুমোদন করা হবে। প্রসঙ্গত, একই সময় এ পরিষদ নিয়মিত সংসদ হিসেবেও কাজ করবে। সাধারণ সংখ্যাগরিষ্ঠতায়ই সংবিধান সংস্কার হবে।
গতকালের আলোচনা বিষয়ে একজন বিশেষজ্ঞ বলেন, ‘সংসদ সদস্যরা ২৭০ দিনের মধ্যে বাস্তবায়ন না করলে সনদে থাকা বিষয়গুলো কী হবে—সেখানেই আটকে যাচ্ছে আলোচনা। কারণ আমরা তেমন সমাধান দিতে পারছি না। দেশে অতীতে এ-সংক্রান্ত কোনো উদাহরণ নেই। দেশের বাইরেও এ ধরনের উদাহরণ পাইনি।’
কোনো দল আগামী নির্বাচনে সরকার গঠনে প্রয়োজনীয় দুই-তৃতীয়াংশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা না পেলে সংবিধান সংস্কার কীভাবে হবে, এ প্রশ্নও আছে। বিষয়টি তখন মূলত নির্ভর করবে বেশি আসন পাওয়া কয়েকটি দলের সদিচ্ছার ওপর। কিন্তু কমিশন চাইছে এ অনিশ্চয়তার অবকাশ না রেখে এমন কোনো বিধান করা, যা সনদ বাস্তবায়নের নিশ্চয়তা দেবে।
গতকালের বৈঠকে বিশেষজ্ঞরা একাধিক মত দিয়ে বলেছেন, সেগুলো আইনগত ও রাজনৈতিকভাবে পুরোপুরি গ্রহণযোগ্য বলে মনে করেন না তাঁ। একটি মত হলো,নির্ধারিত সময়ে সংস্কার বাস্তবায়ন করা না হলে সংসদ বিলুপ্ত হয়ে যাবে। এটি আইনগতভাবে ঠিক হলেও রাজনৈতিকভাবে গ্রহণযোগ্য হবে না বলে বিশেষজ্ঞদের ধারণা। সংসদ এভাবে বিলুপ্ত হলে নতুন সংকট তৈরি হতে পারে বলে মনে করেন তাঁরা।
আরও যে কয়েকটি মত গতকাল এসেছে তার মধ্যে রয়েছে, প্রথমত, পরিষদে নির্ধারিত সময়ের মধ্যে সনদের বিষয়গুলো বাস্তবায়ন না হলে তা স্বয়ংক্রিয়ভাবে সংবিধানে যুক্ত হয়ে যাওয়া এবং দ্বিতীয়ত, আগে সংবিধান সংস্কার পরিষদ বৈঠকে বসে সনদের সংযুক্তি বাস্তবায়ন করবে এবং তারপর সংসদ বসবে। কিন্তু এগুলোও কার্যকর বা বাস্তবসম্মত মনে করেননি বিশেষজ্ঞদের সবাই।
একজন বিশেষজ্ঞ বলেন, সময়সীমার মধ্যে না সম্পন্ন করলে আপনা থেকেই সংবিধানে বিষয়গুলো যুক্ত হওয়ার ধারণা বাস্তবসম্মত না। কারণ বিলগুলোর খসড়া তৈরি করা নেই। এটা করা বিশেষজ্ঞদের কাজ না। সংসদে আলোচনা করে নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিরাই এ সিদ্ধান্ত নেবেন। তিনি আরও বলেন, সনদের একটি বিধান হচ্ছে, মৌলিক অধিকার সম্প্রসারণ করা হবে। কিন্তু কোন মৌলিক অধিকারটি সম্প্রসারণ করা হবে, তা বলা নেই। সংসদ সদস্যদের আলোচনা করে এ সিদ্ধান্ত নিতে হবে। ওই বিশেষজ্ঞ বলেন, ‘এসব কারণে আমরা সিদ্ধান্ত দিতে পারিনি। কমিশন জানিয়েছে, বিষয়টি নিয়ে তাঁরা বৈঠক করবেন, প্রয়োজনে আমাদের সহযোগিতা নেবেন।’
গতকালের বৈঠকে আগে সংবিধান সংস্কার পরিষদ বসে বিষয়গুলো বাস্তবায়ন করার যে প্রস্তাব আসে তার পক্ষে বলা হয়, এতে নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিরা দ্রুত সনদ বাস্তবায়নে কাজ করবেন। কারণ তাঁরা বিলম্ব না করে সংসদ সদস্য হিসেবে শপথ নিতে চাইবেন। একজন বিশেষজ্ঞ বলেন, প্রস্তাবটি নিয়ে আলোচনা হলেও বেশির ভাগের মত, এটিও বাস্তবসম্মত নয়। কারণ জনপ্রতিনিধিদের শপথের মাধ্যমে সংসদ গঠিত না হওয়া পর্যন্ত অন্তর্বর্তী সরকারকে দায়িত্বে থেকে যেতে হবে। এটা প্রধান উপদেষ্টাই মানবেন না।
এ অবস্থায় সমাধান কী হতে পারে, এমন প্রশ্নের জবাবে ওই বিশেষজ্ঞ বলেন, ‘আমরা আদৌ কোনো বাধ্যবাধকতা তৈরি করে দিতে পারব কি না, তা নিয়ে সন্দেহ আছে। কারণ এমন আইনি ও রাজনৈতিক গ্রহণযোগ্য সমাধান পাইনি। তাই বিষয়টি আমাদের সুপারিশে না-ও থাকতে পারে।’
সনদ-বিষয়ক আদেশের খুঁটিনাটি নিয়েও আলোচনা হয়েছে। গণভোটের দিনক্ষণ সরকারের ওপর ছেড়ে দেওয়ার বিষয়ে মত দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা।
কমিশন সূত্র জানায়, আজ সকালে নিজেরা বৈঠক করার পর প্রয়োজন হলে বিশেষজ্ঞদের সঙ্গেও আবার বৈঠক করা হবে। ৩১ অক্টোবরের মেয়াদের মধ্যেই সনদ বাস্তবায়নের উপায় নিয়ে সুপারিশ চূড়ান্ত করতে চায় কমিশন।
এনসিপির সঙ্গে বৈঠক
গতকাল বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে বসার আগে কমিশনের সদস্যরা জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) সঙ্গে বৈঠক করেন। ১৭ অক্টোবর জুলাই সনদের স্বাক্ষর অনুষ্ঠান হলেও দলটি সই করেনি। এনসিপি বলেছিল, বাস্তবায়নের আদেশের চূড়ান্ত খসড়া না দেখে তারা স্বাক্ষর করবে না।
কমিশনের সহসভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ বলেছেন, গতকালের বৈঠকে এনসিপির প্রতিনিধিরা ‘স্পষ্টভাবে’ জানিয়েছেন যে তাঁরা স্বাক্ষর করতে চান। তাঁরা কিছু প্রস্তাব দিয়েছেন, যা কমিশন আইনি বিশেষজ্ঞদের কাছে পাঠিয়েছে। এনসিপির প্রস্তাবে ইতিবাচক ও নেতিবাচক দুই দিকই আছে। সেই বিষয়গুলো বিবেচনা করে কমিশন এগোচ্ছে। মূল লক্ষ্য হচ্ছে, যেন সবাই স্বাক্ষরের দিকে আসে।
বিশেষজ্ঞ হিসেবে বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি এম এ মতিন, সুপ্রিম কোর্টের জ্যেষ্ঠ আইনজীবী ড. শরিফ ভূইয়া, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন অনুষদের ডিন মোহাম্মদ ইকরামুল হক, ব্যারিস্টার ইমরান সিদ্দিক ও ব্যারিস্টার তানিম হোসেইন শাওন।
আলোচনায় কমিশনের পক্ষে অংশ নেন সহসভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ, সদস্য ড. বদিউল আলম মজুমদার, বিচারপতি মো. এমদাদুল হক, ড. ইফতেখারুজ্জামান ও ড. মোহাম্মদ আইয়ুব মিয়া। প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী মনির হায়দারও এ সময় উপস্থিত ছিলেন।

আগামী জাতীয় সংসদ নিয়মিত সংসদের পাশাপাশি সংবিধান সংস্কার পরিষদ হিসেবে ২৭০ দিনের (৯ মাস) মধ্যে জুলাই সনদের সংবিধানসংক্রান্ত বিষয়গুলো সংবিধানে যুক্ত করবে বলে মতৈক্য হয়েছে। তবে নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে তা সম্পন্ন করার বিষয়টি কীভাবে নিশ্চিত হবে, গতকাল শনিবার পর্যন্ত তার কিনারা করতে পারেনি জাতীয় ঐকমত্য কমিশন। বৃহস্পতিবারের পর ঐকমত্য কমিশন গতকালও বিশেষজ্ঞদের নিয়ে বৈঠক করলেও কোনো সমাধান মেলেনি। এমন প্রেক্ষাপটে আজ রোববার কমিশন আবার নিজেরা বৈঠক করবে এবং প্রয়োজনে বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে আবার বসবে।
ঐকমত্য কমিশনের জাতীয় সংসদ ভবনের কার্যালয়ে গতকাল বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে বৈঠকটি বেলা দেড়টার পর শুরু হয়ে সন্ধ্যা ৬টার পরে শেষ হয়। প্রায় চার ঘণ্টার বৈঠকেও সংবিধান নিয়ে সময়সীমার মধ্যে কাজ শেষ করার উপায় বের হয়নি।
সূত্র জানায়, এখন পর্যন্ত জুলাই সনদ বাস্তবায়নে কমিশনের সিদ্ধান্ত হলো, গণ-অভ্যুত্থানকে ভিত্তি ধরে প্রথমে ‘জুলাই সনদ বাস্তবায়ন (সংবিধান সংস্কার) আদেশ’ নামে একটি আদেশ জারি করা হবে। তার অধীনে জারি হবে গণভোট-বিষয়ক একটি অধ্যাদেশ। এর ভিত্তিতেই হবে গণভোট। একটি নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত (২৭০ দিন বা প্রথম ৯ মাস) আগামী সংসদ কাজ করবে সংবিধান সংস্কার পরিষদ হিসেবে। এ সময়ের মধ্যেই সংবিধান-সংক্রান্ত সংস্কার প্রস্তাবগুলো সংসদে অনুমোদন করা হবে। প্রসঙ্গত, একই সময় এ পরিষদ নিয়মিত সংসদ হিসেবেও কাজ করবে। সাধারণ সংখ্যাগরিষ্ঠতায়ই সংবিধান সংস্কার হবে।
গতকালের আলোচনা বিষয়ে একজন বিশেষজ্ঞ বলেন, ‘সংসদ সদস্যরা ২৭০ দিনের মধ্যে বাস্তবায়ন না করলে সনদে থাকা বিষয়গুলো কী হবে—সেখানেই আটকে যাচ্ছে আলোচনা। কারণ আমরা তেমন সমাধান দিতে পারছি না। দেশে অতীতে এ-সংক্রান্ত কোনো উদাহরণ নেই। দেশের বাইরেও এ ধরনের উদাহরণ পাইনি।’
কোনো দল আগামী নির্বাচনে সরকার গঠনে প্রয়োজনীয় দুই-তৃতীয়াংশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা না পেলে সংবিধান সংস্কার কীভাবে হবে, এ প্রশ্নও আছে। বিষয়টি তখন মূলত নির্ভর করবে বেশি আসন পাওয়া কয়েকটি দলের সদিচ্ছার ওপর। কিন্তু কমিশন চাইছে এ অনিশ্চয়তার অবকাশ না রেখে এমন কোনো বিধান করা, যা সনদ বাস্তবায়নের নিশ্চয়তা দেবে।
গতকালের বৈঠকে বিশেষজ্ঞরা একাধিক মত দিয়ে বলেছেন, সেগুলো আইনগত ও রাজনৈতিকভাবে পুরোপুরি গ্রহণযোগ্য বলে মনে করেন না তাঁ। একটি মত হলো,নির্ধারিত সময়ে সংস্কার বাস্তবায়ন করা না হলে সংসদ বিলুপ্ত হয়ে যাবে। এটি আইনগতভাবে ঠিক হলেও রাজনৈতিকভাবে গ্রহণযোগ্য হবে না বলে বিশেষজ্ঞদের ধারণা। সংসদ এভাবে বিলুপ্ত হলে নতুন সংকট তৈরি হতে পারে বলে মনে করেন তাঁরা।
আরও যে কয়েকটি মত গতকাল এসেছে তার মধ্যে রয়েছে, প্রথমত, পরিষদে নির্ধারিত সময়ের মধ্যে সনদের বিষয়গুলো বাস্তবায়ন না হলে তা স্বয়ংক্রিয়ভাবে সংবিধানে যুক্ত হয়ে যাওয়া এবং দ্বিতীয়ত, আগে সংবিধান সংস্কার পরিষদ বৈঠকে বসে সনদের সংযুক্তি বাস্তবায়ন করবে এবং তারপর সংসদ বসবে। কিন্তু এগুলোও কার্যকর বা বাস্তবসম্মত মনে করেননি বিশেষজ্ঞদের সবাই।
একজন বিশেষজ্ঞ বলেন, সময়সীমার মধ্যে না সম্পন্ন করলে আপনা থেকেই সংবিধানে বিষয়গুলো যুক্ত হওয়ার ধারণা বাস্তবসম্মত না। কারণ বিলগুলোর খসড়া তৈরি করা নেই। এটা করা বিশেষজ্ঞদের কাজ না। সংসদে আলোচনা করে নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিরাই এ সিদ্ধান্ত নেবেন। তিনি আরও বলেন, সনদের একটি বিধান হচ্ছে, মৌলিক অধিকার সম্প্রসারণ করা হবে। কিন্তু কোন মৌলিক অধিকারটি সম্প্রসারণ করা হবে, তা বলা নেই। সংসদ সদস্যদের আলোচনা করে এ সিদ্ধান্ত নিতে হবে। ওই বিশেষজ্ঞ বলেন, ‘এসব কারণে আমরা সিদ্ধান্ত দিতে পারিনি। কমিশন জানিয়েছে, বিষয়টি নিয়ে তাঁরা বৈঠক করবেন, প্রয়োজনে আমাদের সহযোগিতা নেবেন।’
গতকালের বৈঠকে আগে সংবিধান সংস্কার পরিষদ বসে বিষয়গুলো বাস্তবায়ন করার যে প্রস্তাব আসে তার পক্ষে বলা হয়, এতে নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিরা দ্রুত সনদ বাস্তবায়নে কাজ করবেন। কারণ তাঁরা বিলম্ব না করে সংসদ সদস্য হিসেবে শপথ নিতে চাইবেন। একজন বিশেষজ্ঞ বলেন, প্রস্তাবটি নিয়ে আলোচনা হলেও বেশির ভাগের মত, এটিও বাস্তবসম্মত নয়। কারণ জনপ্রতিনিধিদের শপথের মাধ্যমে সংসদ গঠিত না হওয়া পর্যন্ত অন্তর্বর্তী সরকারকে দায়িত্বে থেকে যেতে হবে। এটা প্রধান উপদেষ্টাই মানবেন না।
এ অবস্থায় সমাধান কী হতে পারে, এমন প্রশ্নের জবাবে ওই বিশেষজ্ঞ বলেন, ‘আমরা আদৌ কোনো বাধ্যবাধকতা তৈরি করে দিতে পারব কি না, তা নিয়ে সন্দেহ আছে। কারণ এমন আইনি ও রাজনৈতিক গ্রহণযোগ্য সমাধান পাইনি। তাই বিষয়টি আমাদের সুপারিশে না-ও থাকতে পারে।’
সনদ-বিষয়ক আদেশের খুঁটিনাটি নিয়েও আলোচনা হয়েছে। গণভোটের দিনক্ষণ সরকারের ওপর ছেড়ে দেওয়ার বিষয়ে মত দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা।
কমিশন সূত্র জানায়, আজ সকালে নিজেরা বৈঠক করার পর প্রয়োজন হলে বিশেষজ্ঞদের সঙ্গেও আবার বৈঠক করা হবে। ৩১ অক্টোবরের মেয়াদের মধ্যেই সনদ বাস্তবায়নের উপায় নিয়ে সুপারিশ চূড়ান্ত করতে চায় কমিশন।
এনসিপির সঙ্গে বৈঠক
গতকাল বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে বসার আগে কমিশনের সদস্যরা জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) সঙ্গে বৈঠক করেন। ১৭ অক্টোবর জুলাই সনদের স্বাক্ষর অনুষ্ঠান হলেও দলটি সই করেনি। এনসিপি বলেছিল, বাস্তবায়নের আদেশের চূড়ান্ত খসড়া না দেখে তারা স্বাক্ষর করবে না।
কমিশনের সহসভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ বলেছেন, গতকালের বৈঠকে এনসিপির প্রতিনিধিরা ‘স্পষ্টভাবে’ জানিয়েছেন যে তাঁরা স্বাক্ষর করতে চান। তাঁরা কিছু প্রস্তাব দিয়েছেন, যা কমিশন আইনি বিশেষজ্ঞদের কাছে পাঠিয়েছে। এনসিপির প্রস্তাবে ইতিবাচক ও নেতিবাচক দুই দিকই আছে। সেই বিষয়গুলো বিবেচনা করে কমিশন এগোচ্ছে। মূল লক্ষ্য হচ্ছে, যেন সবাই স্বাক্ষরের দিকে আসে।
বিশেষজ্ঞ হিসেবে বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি এম এ মতিন, সুপ্রিম কোর্টের জ্যেষ্ঠ আইনজীবী ড. শরিফ ভূইয়া, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন অনুষদের ডিন মোহাম্মদ ইকরামুল হক, ব্যারিস্টার ইমরান সিদ্দিক ও ব্যারিস্টার তানিম হোসেইন শাওন।
আলোচনায় কমিশনের পক্ষে অংশ নেন সহসভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ, সদস্য ড. বদিউল আলম মজুমদার, বিচারপতি মো. এমদাদুল হক, ড. ইফতেখারুজ্জামান ও ড. মোহাম্মদ আইয়ুব মিয়া। প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী মনির হায়দারও এ সময় উপস্থিত ছিলেন।

এক যুগ আগে ৩০২টি কমিটির সভাপতির দায়িত্বে থাকার সুযোগ ছিল একজন জেলা প্রশাসকের (ডিসি)। এরপর জেলায় জেলায় আরও অন্তত ২০০ কমিটি হয়েছে। এসব কমিটির কয়টি একজন ডিসিকে সামলাতে হচ্ছে, সেই তালিকা হালনাগাদ করতে যাচ্ছে সরকার।
২৪ ডিসেম্বর ২০২৪
আসন্ন জাতীয় ত্রয়োদশ সংসদ নির্বাচনের আগে এক ব্যক্তির নামে অনুমোদিত সিমকার্ডের সংখ্যা কমিয়ে আনা হবে। আজ রোববার সচিবালয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের আইনশৃঙ্খলা সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটির বৈঠক শেষে এ তথ্য জানান স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী।
৪৪ মিনিট আগে
সন্ন জাতীয় নির্বাচন উপলক্ষে সার্বিক প্রস্তুতি, সারাদেশে আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি ও অভিযান পরিচালনা এবং সহিংসতা সৃষ্টিকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণসহ বিভিন্ন বিষয়ে নিয়ে বৈঠকে বসছে আইন-শৃঙ্খলা সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটি।
৪ ঘণ্টা আগে
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ (আরপিও) সংশোধন, ২০২৫-এর খসড়া নীতিগত ও চূড়ান্ত অনুমোদন করেছে উপদেষ্টা পরিষদ। গত বৃহস্পতিবার সংশোধিত আরপিও প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের সভাপতিত্বে পরিষদে অনুমোদন দেওয়া হয়।
১৪ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ (আরপিও) সংশোধন, ২০২৫-এর খসড়া নীতিগত ও চূড়ান্ত অনুমোদন করেছে উপদেষ্টা পরিষদ। গত বৃহস্পতিবার সংশোধিত আরপিও প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের সভাপতিত্বে পরিষদে অনুমোদন দেওয়া হয়। এতে বেশ কিছু বিষয়ে পরিবর্তন আনা হয়েছে, যুক্ত করা হয়েছে নতুন বিধান, আবার কিছু কিছু বিধান আরপিও থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে।
সেগুলোর মধ্যে রয়েছে—ইভিএম ব্যবহার বাতিল, ‘না ভোট’ পুনর্বহাল, প্রার্থীদের দেশি-বিদেশি আয় ও সম্পত্তির বিবরণ প্রকাশের বাধ্যবাধকতা এবং পলাতক আসামিদের নির্বাচনে অংশগ্রহণ নিষিদ্ধ করা।
সংশোধিত আরপিওর গুরুত্বপূর্ণ কিছু অংশ তুলে ধরা হলো:
আদালত কর্তৃক ফেরারি বা পলাতক আসামি নির্বাচনে অংশ নিতে না পারার বিধান যুক্ত করা হয়েছে।
কোনো আসনে একক প্রার্থী থাকলে তাঁকে না ভোটের সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে হবে। নির্বাচনে না ভোট বেশি হলে সেখানে পুনরায় তফসিল ঘোষণা করে নির্বাচন হবে। তবে দ্বিতীয়বারও একক প্রার্থী হলে সেই প্রার্থীর মনোনয়নপত্র বৈধ হলে তাঁকে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় বিজয়ী ঘোষণা করা হবে।
ভোট গণনার সময় সাংবাদিকদের উপস্থিত থাকার বিধানটিও যুক্ত করা হয়েছে। তবে ভোট গণনার শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত সেখানে থাকতে হবে।
আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সংজ্ঞায় সেনাবাহিনী, নৌবাহিনী, বিমানবাহিনী তথা প্রতিরক্ষা কর্ম বিভাগ অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। জেলাভিত্তিক নির্বাচন অফিসগুলোতে দায়িত্ব পালন করবেন জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা। প্রার্থীদের দেশি ও বিদেশি উৎস থেকে আয় ও সম্পত্তির বিবরণ হলফনামায় দিতে হবে, যা নির্বাচন কমিশনের ওয়েবসাইটে উন্মুক্তভাবে প্রকাশ করা হবে।
আগে দলগুলো জোটবদ্ধ হয়ে জোটের যেকোনো দলের প্রতীক ব্যবহার করতে পারত। সেটি সংশোধন করা হয়েছে। জোটভুক্ত হলেও প্রার্থীকে নিজ নিজ দলের প্রতীকে ভোট করার বিধান যুক্ত করা হয়েছে। ভোটের সময় অনেকে জোটভুক্ত হলে জনপ্রিয় বা বড় দলের মার্কায় ভোট করতেন। এখন আর সে সুযোগ থাকছে না।
প্রবাসী বাংলাদেশি, নির্বাচনী কাজে নিয়োজিত ব্যক্তিদের জন্য পোস্টাল ব্যালটে ভোটের বিধানটি আরপিওতে যুক্ত করা হয়েছে। এবার আইটি সাপোর্টেড পোস্টাল ভোটিং চালু করা হচ্ছে। সে ক্ষেত্রে প্রবাসী বাংলাদেশি ভোটারদের পাশাপাশি আইনি হেফাজতে থাকা, সরকারি কর্মকর্তা, ভোট গ্রহণ কর্মকর্তারা ভোট দিতে পারবেন।
প্রার্থীর জামানত বাড়ানো হয়েছে। আগে ২০ হাজার টাকা ছিল, তা বাড়িয়ে ৫০ হাজার করা হয়েছে। কোনো ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান কোনো রাজনৈতিক দলকে ৫০ হাজার টাকার বেশি অনুদান দিতে চাইলে ব্যাংকিং চ্যানেলের মাধ্যমে দেওয়ার বিধান করা হয়েছে। যিনি অনুদান দেবেন, তাঁর ট্যাক্স রিটার্নও দিতে হবে।
কাজী হাবিবুল আউয়াল কমিশন পুরো আসনের ভোট বন্ধ করার ক্ষমতা কমিয়েছিল। সংশোধিত আরপিওতে শুধু ভোটকেন্দ্র নয়, অনিয়ম হলে ইসি পুরো আসনের ভোট বন্ধ করতে পারবে, সেই ক্ষমতা ফিরিয়ে দেওয়া হয়েছে।
প্রার্থীর হলফনামায় আগে শুধু দেশের সম্পদের হিসাব দেওয়া হতো। সংশোধিত আরপিওতে শুধু দেশের নয়, বিদেশের আয়ের উৎস, সম্পত্তির বিবরণ দিতে হবে।
এ ছাড়া ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম)-সংক্রান্ত বিধানটি সংশোধিত আরপিও থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে।

ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ (আরপিও) সংশোধন, ২০২৫-এর খসড়া নীতিগত ও চূড়ান্ত অনুমোদন করেছে উপদেষ্টা পরিষদ। গত বৃহস্পতিবার সংশোধিত আরপিও প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের সভাপতিত্বে পরিষদে অনুমোদন দেওয়া হয়। এতে বেশ কিছু বিষয়ে পরিবর্তন আনা হয়েছে, যুক্ত করা হয়েছে নতুন বিধান, আবার কিছু কিছু বিধান আরপিও থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে।
সেগুলোর মধ্যে রয়েছে—ইভিএম ব্যবহার বাতিল, ‘না ভোট’ পুনর্বহাল, প্রার্থীদের দেশি-বিদেশি আয় ও সম্পত্তির বিবরণ প্রকাশের বাধ্যবাধকতা এবং পলাতক আসামিদের নির্বাচনে অংশগ্রহণ নিষিদ্ধ করা।
সংশোধিত আরপিওর গুরুত্বপূর্ণ কিছু অংশ তুলে ধরা হলো:
আদালত কর্তৃক ফেরারি বা পলাতক আসামি নির্বাচনে অংশ নিতে না পারার বিধান যুক্ত করা হয়েছে।
কোনো আসনে একক প্রার্থী থাকলে তাঁকে না ভোটের সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে হবে। নির্বাচনে না ভোট বেশি হলে সেখানে পুনরায় তফসিল ঘোষণা করে নির্বাচন হবে। তবে দ্বিতীয়বারও একক প্রার্থী হলে সেই প্রার্থীর মনোনয়নপত্র বৈধ হলে তাঁকে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় বিজয়ী ঘোষণা করা হবে।
ভোট গণনার সময় সাংবাদিকদের উপস্থিত থাকার বিধানটিও যুক্ত করা হয়েছে। তবে ভোট গণনার শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত সেখানে থাকতে হবে।
আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সংজ্ঞায় সেনাবাহিনী, নৌবাহিনী, বিমানবাহিনী তথা প্রতিরক্ষা কর্ম বিভাগ অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। জেলাভিত্তিক নির্বাচন অফিসগুলোতে দায়িত্ব পালন করবেন জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা। প্রার্থীদের দেশি ও বিদেশি উৎস থেকে আয় ও সম্পত্তির বিবরণ হলফনামায় দিতে হবে, যা নির্বাচন কমিশনের ওয়েবসাইটে উন্মুক্তভাবে প্রকাশ করা হবে।
আগে দলগুলো জোটবদ্ধ হয়ে জোটের যেকোনো দলের প্রতীক ব্যবহার করতে পারত। সেটি সংশোধন করা হয়েছে। জোটভুক্ত হলেও প্রার্থীকে নিজ নিজ দলের প্রতীকে ভোট করার বিধান যুক্ত করা হয়েছে। ভোটের সময় অনেকে জোটভুক্ত হলে জনপ্রিয় বা বড় দলের মার্কায় ভোট করতেন। এখন আর সে সুযোগ থাকছে না।
প্রবাসী বাংলাদেশি, নির্বাচনী কাজে নিয়োজিত ব্যক্তিদের জন্য পোস্টাল ব্যালটে ভোটের বিধানটি আরপিওতে যুক্ত করা হয়েছে। এবার আইটি সাপোর্টেড পোস্টাল ভোটিং চালু করা হচ্ছে। সে ক্ষেত্রে প্রবাসী বাংলাদেশি ভোটারদের পাশাপাশি আইনি হেফাজতে থাকা, সরকারি কর্মকর্তা, ভোট গ্রহণ কর্মকর্তারা ভোট দিতে পারবেন।
প্রার্থীর জামানত বাড়ানো হয়েছে। আগে ২০ হাজার টাকা ছিল, তা বাড়িয়ে ৫০ হাজার করা হয়েছে। কোনো ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান কোনো রাজনৈতিক দলকে ৫০ হাজার টাকার বেশি অনুদান দিতে চাইলে ব্যাংকিং চ্যানেলের মাধ্যমে দেওয়ার বিধান করা হয়েছে। যিনি অনুদান দেবেন, তাঁর ট্যাক্স রিটার্নও দিতে হবে।
কাজী হাবিবুল আউয়াল কমিশন পুরো আসনের ভোট বন্ধ করার ক্ষমতা কমিয়েছিল। সংশোধিত আরপিওতে শুধু ভোটকেন্দ্র নয়, অনিয়ম হলে ইসি পুরো আসনের ভোট বন্ধ করতে পারবে, সেই ক্ষমতা ফিরিয়ে দেওয়া হয়েছে।
প্রার্থীর হলফনামায় আগে শুধু দেশের সম্পদের হিসাব দেওয়া হতো। সংশোধিত আরপিওতে শুধু দেশের নয়, বিদেশের আয়ের উৎস, সম্পত্তির বিবরণ দিতে হবে।
এ ছাড়া ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম)-সংক্রান্ত বিধানটি সংশোধিত আরপিও থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে।

এক যুগ আগে ৩০২টি কমিটির সভাপতির দায়িত্বে থাকার সুযোগ ছিল একজন জেলা প্রশাসকের (ডিসি)। এরপর জেলায় জেলায় আরও অন্তত ২০০ কমিটি হয়েছে। এসব কমিটির কয়টি একজন ডিসিকে সামলাতে হচ্ছে, সেই তালিকা হালনাগাদ করতে যাচ্ছে সরকার।
২৪ ডিসেম্বর ২০২৪
আসন্ন জাতীয় ত্রয়োদশ সংসদ নির্বাচনের আগে এক ব্যক্তির নামে অনুমোদিত সিমকার্ডের সংখ্যা কমিয়ে আনা হবে। আজ রোববার সচিবালয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের আইনশৃঙ্খলা সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটির বৈঠক শেষে এ তথ্য জানান স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী।
৪৪ মিনিট আগে
সন্ন জাতীয় নির্বাচন উপলক্ষে সার্বিক প্রস্তুতি, সারাদেশে আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি ও অভিযান পরিচালনা এবং সহিংসতা সৃষ্টিকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণসহ বিভিন্ন বিষয়ে নিয়ে বৈঠকে বসছে আইন-শৃঙ্খলা সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটি।
৪ ঘণ্টা আগে
আগামী জাতীয় সংসদ নিয়মিত সংসদের পাশাপাশি সংবিধান সংস্কার পরিষদ হিসেবে ২৭০ দিনের (৯ মাস) মধ্যে জুলাই সনদের সংবিধানসংক্রান্ত বিষয়গুলো সংবিধানে যুক্ত করবে বলে মতৈক্য হয়েছে। তবে নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে তা সম্পন্ন করার বিষয়টি কীভাবে নিশ্চিত হবে, গতকাল শনিবার পর্যন্ত তার কিনারা করতে পারেনি...
১১ ঘণ্টা আগে