Ajker Patrika

বিরোধী দলের এমপিদের চতুর্থ ডোজ টিকা দেওয়া হবে: সংসদে স্বাস্থ্যমন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
বিরোধী দলের এমপিদের চতুর্থ ডোজ টিকা দেওয়া হবে: সংসদে স্বাস্থ্যমন্ত্রী

জাতীয় সংসদে বিরোধী দলের সংসদ সদস্যদের বিনামূল্যে করোনাভাইরাসের চতুর্থ ডোজের টিকা দেওয়ার ব্যবস্থা করা হবে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক। 

আজ সোমবার জাতীয় সংসদে ২০২১–২০২২ অর্থ বছরের সম্পূরক বাজেটের স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের মঞ্জুরি দাবি ও ছাটাই প্রস্তাবের আলোচনায় কিছুটা হাস্যরস করে স্বাস্থ্যমন্ত্রী এ কথা বলেন।

স্বাস্থ্যমন্ত্রীর বক্তব্যের শেষ পর্যায়ে সরকারি দলের এমপিদের কয়েকজনকে মন্তব্য করতে দেখা যায়। পরে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেন, ‘বিরোধী দল অনেক সাহায্য সহযোগিতা করেন। সংসদ সদস্যরা অনুরোধ করছেন, বিরোধী দলের সদস্যদের করোনার আরেকটি ডোজ টিকা দেওয়া হোক। তৃতীয় ডোজের টিকা দেওয়া হয়েছে। তাঁদের বিনামূল্যে চতুর্থ ডোজের টিকারও ব্যবস্থা করা হবে।’

বক্তব্যে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ মোকাবিলা ও টিকার ব্যবস্থা নিয়ে সরকারের বিভিন্ন উদ্যোগ বিস্তারিত তুলে ধরেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘করোনা কীভাবে নিয়ন্ত্রণ করা হলো তা কেউ জানতে চান না। এ বিষয়ে প্রশংসার বাণী কখনো পাইনি।’

বিএনপির উদ্দেশে মন্ত্রী বলেন, ‘স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়কে ব্যর্থ দেখাতে পারলে সরকারকে ব্যর্থ দেখাতে পারবেন, এটাই তাঁদের লক্ষ্য।’

এর আগে স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের ছাটাই প্রস্তাবের আলোচনায় অংশ নিয়ে কোভিড টিকার ব্যবস্থা করায় সরকারকে ধন্যবাদ জানিয়ে জাতীয় পার্টির সংসদ সদস্য পীর ফজলুর রহমান বলেন, স্বাস্থ্যখাতের মিঠু সিন্ডিকেটের বিরুদ্ধে কী ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে তা তিনি জানেন না।

এই বক্তব্যের জবাবে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেন, তিনি অনেক দিন ধরে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ে কাজ করছেন। কিন্তু মিঠু নামে কোনো লোককে দেখেননি।

বিএনপির সংসদ সদস্য হারুনুর রশীদ বলেন, গত ১৩ বছরে বিভিন্ন জেলা উপজেলা হাসপাতালের জন্য হাজার কোটি টাকার যন্ত্রপাতি কেনা হয়েছে। কিন্তু সেগুলোর ব্যবহার হয়নি। নষ্ট হয়ে গেছে। এ বিষয়টি খতিয়ে দেখতে তিনি একটি সংসদীয় কমিটি গঠন করার দাবি জানান। তাঁকে ওই কমিটির সদস্য করা হলে একমাসের মধ্যে এসব তথ্য বের করতে পারবেন বলেও জানান।

চিকিৎসা ব্যবস্থার সমালোচনা করে বিএনপির সংরক্ষিত নারী আসনের সংসদ সদস্য রুমিন ফারহানা বলেন, ‘সরকারের ভৌত অবকাঠামোতে মনযোগ বেশি। কারণ রাজস্ব বাজেটে খুব বেশি দুর্নীতি করার সুযোগ নেই। অবকাঠামোতে দুর্নীতি করা যায় আর ভৌত উন্নয়নও দেখানো যায়।’

গণফোরামের মোকাব্বির খান বলেন, ‘সিন্ডিকেট করে স্বাসস্থ্যখাতে বিপুল অঙ্কের টাকা হাতিয়ে নেওয়া হচ্ছে। এই দুর্নীতির কারণে মানুষ সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। এই খাতে সুশাসনের ঘাটতি আছে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত