নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর দায়িত্ব নেওয়া অন্তর্বর্তী সরকার ৯ মাস পার করল; কিন্তু গুরুত্বপূর্ণ বিভিন্ন ইস্যুতে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে মতানৈক্য এবং রাজপথে প্রতিদিনের আন্দোলনে এখনো সুস্থির হতে পারছে না। এর মধ্যেই সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস পদত্যাগের চিন্তা করছেন—এমন খবর ব্যাপক আলোড়ন সৃষ্টি করেছে। সরকার ও রাজনৈতিক অঙ্গনের অস্থিরতা আরও বেড়েছে। এই অবস্থায় আলোচনায় উঠে এসেছে জাতীয় সরকার গঠনের বিষয়টি।
প্রধান উপদেষ্টার পদত্যাগ ভাবনার খবর এমন এক সময়ে ছড়াল, যখন কয়েকজন উপদেষ্টাকে অপসারণের দাবিতে সরকারের ওপর চাপ সৃষ্টি করছে বিভিন্ন শক্তি। সেই সঙ্গে নির্বাচন নিয়ে সেনাপ্রধান ওয়াকার-উজ-জামানের মন্তব্য যেন নতুন মাত্রা যোগ করেছে এতে।
রাজনৈতিক বিশ্লেষকেরা মনে করছেন, নির্বাচনসহ নানা ইস্যুতে চতুর্মুখী চাপের কারণে বিরক্ত হয়েই পদত্যাগের কথা ভাবছেন প্রধান উপদেষ্টা। বিষয়টিকে রাজনৈতিক মহলের ওপর পাল্টা চাপ হিসেবেই দেখছেন তাঁরা। ড. ইউনূসের পদত্যাগের সম্ভাবনা সত্যি হলে অন্তর্বর্তী সরকারের ভবিষ্যৎ নিয়ে নতুন করে অনিশ্চয়তা তৈরি হবে। এতে দেশের সামগ্রিক পরিস্থিতি আরও জটিল হতে পারে।
প্রধান উপদেষ্টার পদত্যাগের গুঞ্জন ও উপদেষ্টাদের নিয়ে চলমান বিতর্কের মধ্যে জাতীয় সরকারের বিষয়টি আবার আলোচনায় উঠে এসেছে। এ বিষয়ে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ বলেছেন, ‘নির্বাচনী রোডম্যাপ ঘোষণার পরিবর্তে যদি তিনি (ড. ইউনূস) পদত্যাগ করতে চান বা দায়িত্ব ছেড়ে দিতে চান, সেটি তাঁর ব্যক্তিগত বিষয় হতে পারে। আমরা তাঁর পদত্যাগ দাবি করিনি। আর একান্তই যদি উনি ব্যক্তিগতভাবে দায়িত্ব পালনে অপারগ হন, তাহলে রাষ্ট্র তো বসে থাকবে না। রাষ্ট্র তো একটা বিকল্প ব্যবস্থা খুঁজে নেবে।’
এদিকে গণতান্ত্রিক রূপান্তরকে বাধাগ্রস্ত করে আরেকটা এক-এগারোর বন্দোবস্ত করার পাঁয়তারা চলছে বলে উল্লেখ করেছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম। গতকাল শুক্রবার রাতে এক ফেসবুক পোস্টে এসব কথা বলেছেন তিনি।
এর আগে গত বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন নাহিদ। এ সময় সেখানে উপস্থিত ছিলেন অন্তর্বর্তী সরকারের দুই গুরুত্বপূর্ণ উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ ও মাহফুজ আলম। এ তিনজনই জুলাই অভ্যুত্থানের পরপর গঠিত অন্তর্বর্তী সরকারের কুশীলব হিসেবে পরিচিত।
প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে সাক্ষাৎ করে নাহিদ ইসলাম সাংবাদিকদের জানান, ‘আমি খবর পেয়েছি যে ড. ইউনূস পদত্যাগের কথা ভাবছেন। বিষয়টি নিশ্চিত হওয়ার জন্যই আজ সাক্ষাৎ করতে এসেছিলাম।’
নাহিদ এই মন্তব্যের পরপরই নড়েচড়ে বসেছে সব মহল। সাধারণ মানুষের মধ্যেও তৈরি হয়েছে নানা আলোচনা-সমালোচনা। রাজনৈতিক দলগুলো থেকেও প্রতিক্রিয়া আসতে শুরু করেছে।
জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান এক বিবৃতিতে প্রধান উপদেষ্টার প্রতি সর্বদলীয় বৈঠক ডাকার আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি বলেন, দেশ সংকটে আছে। এই মুহূর্তে জাতীয় ঐক্যের কোনো বিকল্প নেই।
প্রধান উপদেষ্টার পদত্যাগের গুঞ্জন নিয়ে সৃষ্ট পরিস্থিতিতে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমির মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করীমের ডাকে গত বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতেই রাজধানীর পুরানা পল্টনে দলটির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে জরুরি বৈঠক বসে। এতে অংশ নেয় জাতীয় নাগরিক পার্টিসহ আরও পাঁচটি রাজনৈতিক দল। বৈঠকে দেশের বর্তমান পরিস্থিতি এবং একটি সম্মিলিত কর্মসূচি নেওয়ার বিষয়ে আলোচনা হয়।
এবি পার্টির চেয়ারম্যান মজিবুর রহমান মঞ্জু সম্ভাব্য রাজনৈতিক সংকট ও জটিল পরিস্থিতিতে প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূসকে পদত্যাগ নয়, বরং আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে সব পক্ষকে সমঝোতামূলক সমাধানে পৌঁছানোর আহ্বান জানিয়েছেন।
আবার একই সঙ্গে হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের যুগ্ম মহাসচিব মামুনুল হক আলটিমেটাম না দিয়ে রাজনৈতিক দলগুলোকে সহনশীল আচরণ করার আহ্বান জানিয়েছেন।
এর মধ্যে গতকাল শুক্রবার দুপুরে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রধান উপদেষ্টার ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তিবিষয়ক বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব লেখেন, ‘অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস পদত্যাগ করবেন না। তাঁর ক্ষমতার প্রয়োজন নেই। কিন্তু বাংলাদেশের জন্য, বাংলাদেশের শান্তিপূর্ণ গণতান্ত্রিক উত্তরণের জন্য অধ্যাপক ইউনূসের দরকার আছে।’ এরপর বিকেল পৌনে ৪টার দিকে তিনি পোস্টটি মুছে দিয়ে আরেকটি পোস্ট দেন। সেখানে তিনি লেখেন, ‘মাননীয় প্রধান উপদেষ্টা স্যারের বিষয়ে দেওয়া স্ট্যাটাসটি আমার ব্যক্তিগত মতামত।’
সরকারের দায়িত্বশীল একটি সূত্র বলছে, সরকারের কয়েকজন উপদেষ্টা এবং বাইরের কয়েকজন গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তির মন্তব্যের কারণে জাতীয় নির্বাচন নিয়ে অস্পষ্টতা তৈরি হয়েছে। অনেকে বলছেন, সরকারের সঙ্গে সেনাবাহিনীর মতপার্থক্যের সুযোগেই এমন পরিস্থিতি দানা বাঁধছে।
এ অবস্থায় গতকাল পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন এবং পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেছেন, শুধু নির্বাচন করার জন্যই তাঁরা দায়িত্ব নেননি। তাঁদের তিনটি দায়িত্ব। এর একটি সংস্কার, অন্যটি বিচার, আরেকটি নির্বাচন। রিজওয়ানা হাসানের এই বক্তব্যের পরও নানা আলোচনা শুরু হয়েছে।
একাধিক সূত্র বলছে, বর্তমান পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে ‘ডিসেম্বরের মধ্যেই জাতীয় নির্বাচন হওয়া উচিত’—সেনাবাহিনীর প্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামানের এমন বক্তব্যের পর। সেনাপ্রধানের এই বক্তব্যের পরই সরকারের সঙ্গে সেনাবাহিনীর মতপার্থক্যের বিষয়টি সামনে চলে আসে, যা সরকারকে অস্বস্তিতে ফেলে দেয়।
এর বাইরে সরকারের একজন উপদেষ্টার নানা কর্মকাণ্ড নিয়েও সরকারের সঙ্গে সেনাবাহিনীর টানাপোড়েন শুরু হয়; যা ধীরে ধীরে জটিল হয়ে যায়। সেই সঙ্গে বিএনপি ও অন্যান্য রাজনৈতিক দলের পক্ষ থেকে সরকারের উপদেষ্টা মাহফুজ আলম ও আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া ও ড. খলিলুর রহমানের পদত্যাগ এবং নির্বাচনী রোডম্যাপ ঘোষণার দাবি এবং ঢাকা দক্ষিণ সিটির মেয়র হিসেবে ইশরাক হোসেনের শপথ গ্রহণকে কেন্দ্র করে উদ্ভূত পরিস্থিতি নিয়ে বেকায়দায় পড়ে সরকার।
রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের অনেকেই মনে করছেন, এমন নাজুক পরিস্থিতি থেকে উত্তরণের জন্যই প্রধান উপদেষ্টার পদত্যাগের বিষয়টিকে সামনে আনা হয়; যাতে করে বিএনপি পাল্টা চাপে পড়ে। এ নিয়ে অবশ্য পাল্টাপাল্টি বক্তব্যও দিয়েছেন এনসিপি ও বিএনপির নেতারা।
এনসিপির উত্তরাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম গতকাল বলেছেন, বিএনপির আন্দোলনের চাপে প্রধান উপদেষ্টার পদত্যাগের ভাবনা এসেছিল।
তবে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ বলেছেন, বিএনপি প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূসের পদত্যাগ চায় না। তবে আবেগের বশে থাকতে না চাইলে বিকল্প বেছে নেবে দেশের জনগণ।
দেশের এই জটিল পরিস্থিতির ব্যাপারে জানতে চাইলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞানের সহযোগী অধ্যাপক মাহবুবুর রহমান বলেন, ড. ইউনূসের মুখ থেকে না শোনা পর্যন্ত এ ধরনের বক্তব্য বিশ্বাস করা ঠিক হবে না। বিএনপি কিন্তু প্রধান উপদেষ্টার পদত্যাগের কথা কিছুই বলেনি। সরকারের সমস্যা হলো সরকার রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে পর্যায়ক্রমে বসছে না, ফলে ভুল-বোঝাবুঝি তৈরি হচ্ছে।
সূত্র বলছে, গত বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় এনসিপির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে দেখা করার আগে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহসভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ যমুনায় তাঁর সঙ্গে দেখা করেন। তিনি এক উপদেষ্টাকে তাঁর বর্তমান কর্মকাণ্ড থেকে সরিয়ে দেওয়া অথবা দায়িত্ব পুনর্বণ্টন এবং রাজনৈতিক দলগুলো এবং সেনাপ্রধানের সঙ্গে আলাদা সভা করার পরামর্শ দেন।
জানতে চাইলে প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে সাক্ষাতের বিষয়টি গতকাল আজকের পত্রিকাকে নিশ্চিত করেন আলী রীয়াজ।
আলী রীয়াজ চলে আসার পরই নাহিদ ইসলাম যান প্রধান উপদেষ্টার বাসভবন যমুনায়। সেখানে প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে বৈঠক করেন নাহিদ ইসলাম, সঙ্গে ছিলেন তথ্য উপদেষ্টা মাহফুজ আলম, আরেক উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া।
বৈঠকের পর নাহিদ ইসলাম বিবিসি বাংলাকে বলেছেন, ‘হ্যাঁ, যদি কাজ করতে না পারেন, থাকবেন না, থেকে কী লাভ?’ তিনি বলেন, ‘উনি বলেছেন, উনি এ বিষয়ে ভাবতেছেন। ওনার কাছে মনে হয়েছে পরিস্থিতি এ রকম যে তিনি কাজ করতে পারবেন না। এখন রাজনৈতিক দল তার পদত্যাগ চায়...সে আস্থার জায়গা, আশ্বাসের জায়গা না পেলে উনি থাকবেন কেন?’
এদিকে চলমান এই গুমট রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে রাজধানীর রমনা এলাকার একটি বাসায় গত বৃহস্পতিবার মধ্যরাতে বিএনপি, জামায়াতে ইসলামী ও এনসিপির মধ্যে উচ্চপর্যায়ের একটি বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৈঠকে বিএনপি ও জামায়াত নির্বাচন অনুষ্ঠানের বিষয়ে ঐকমত্য পৌঁছেছে বলে জানা গেছে। অবশ্য বৈঠকের বিষয়টি কোনো দলের পক্ষ থেকে কেউই নিশ্চিত করেনি।
বিএনপির একাধিক নেতা জানান, তাঁরা মনে করছেন, মেয়র হিসেবে ইশরাক হোসেনের শপথের দাবিতে ১৪ থেকে ২২ মে পর্যন্ত ৯ দিন রাজধানীতে কর্মী-সমর্থকদের টানা উপস্থিতির মাধ্যমে মাঠের রাজনীতিতে শক্তি দেখাতে পেরেছে। এর মাধ্যমে অন্তর্বর্তী সরকারকে আরও বেশি চাপে ফেলা সম্ভব হয়েছে। এ ছাড়া ইশরাককে মেয়র পদে শপথের পক্ষে উচ্চ আদালতের রায়কেও ‘জয়’ হিসেবে দেখছেন বিএনপির নেতারা। তাঁরা এবার আগামী ডিসেম্বরে জাতীয় নির্বাচন আদায়ের লক্ষ্যে ঈদুল আজহার পর রাজপথে কর্মসূচি অব্যাহত রাখতে চান।

শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর দায়িত্ব নেওয়া অন্তর্বর্তী সরকার ৯ মাস পার করল; কিন্তু গুরুত্বপূর্ণ বিভিন্ন ইস্যুতে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে মতানৈক্য এবং রাজপথে প্রতিদিনের আন্দোলনে এখনো সুস্থির হতে পারছে না। এর মধ্যেই সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস পদত্যাগের চিন্তা করছেন—এমন খবর ব্যাপক আলোড়ন সৃষ্টি করেছে। সরকার ও রাজনৈতিক অঙ্গনের অস্থিরতা আরও বেড়েছে। এই অবস্থায় আলোচনায় উঠে এসেছে জাতীয় সরকার গঠনের বিষয়টি।
প্রধান উপদেষ্টার পদত্যাগ ভাবনার খবর এমন এক সময়ে ছড়াল, যখন কয়েকজন উপদেষ্টাকে অপসারণের দাবিতে সরকারের ওপর চাপ সৃষ্টি করছে বিভিন্ন শক্তি। সেই সঙ্গে নির্বাচন নিয়ে সেনাপ্রধান ওয়াকার-উজ-জামানের মন্তব্য যেন নতুন মাত্রা যোগ করেছে এতে।
রাজনৈতিক বিশ্লেষকেরা মনে করছেন, নির্বাচনসহ নানা ইস্যুতে চতুর্মুখী চাপের কারণে বিরক্ত হয়েই পদত্যাগের কথা ভাবছেন প্রধান উপদেষ্টা। বিষয়টিকে রাজনৈতিক মহলের ওপর পাল্টা চাপ হিসেবেই দেখছেন তাঁরা। ড. ইউনূসের পদত্যাগের সম্ভাবনা সত্যি হলে অন্তর্বর্তী সরকারের ভবিষ্যৎ নিয়ে নতুন করে অনিশ্চয়তা তৈরি হবে। এতে দেশের সামগ্রিক পরিস্থিতি আরও জটিল হতে পারে।
প্রধান উপদেষ্টার পদত্যাগের গুঞ্জন ও উপদেষ্টাদের নিয়ে চলমান বিতর্কের মধ্যে জাতীয় সরকারের বিষয়টি আবার আলোচনায় উঠে এসেছে। এ বিষয়ে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ বলেছেন, ‘নির্বাচনী রোডম্যাপ ঘোষণার পরিবর্তে যদি তিনি (ড. ইউনূস) পদত্যাগ করতে চান বা দায়িত্ব ছেড়ে দিতে চান, সেটি তাঁর ব্যক্তিগত বিষয় হতে পারে। আমরা তাঁর পদত্যাগ দাবি করিনি। আর একান্তই যদি উনি ব্যক্তিগতভাবে দায়িত্ব পালনে অপারগ হন, তাহলে রাষ্ট্র তো বসে থাকবে না। রাষ্ট্র তো একটা বিকল্প ব্যবস্থা খুঁজে নেবে।’
এদিকে গণতান্ত্রিক রূপান্তরকে বাধাগ্রস্ত করে আরেকটা এক-এগারোর বন্দোবস্ত করার পাঁয়তারা চলছে বলে উল্লেখ করেছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম। গতকাল শুক্রবার রাতে এক ফেসবুক পোস্টে এসব কথা বলেছেন তিনি।
এর আগে গত বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন নাহিদ। এ সময় সেখানে উপস্থিত ছিলেন অন্তর্বর্তী সরকারের দুই গুরুত্বপূর্ণ উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ ও মাহফুজ আলম। এ তিনজনই জুলাই অভ্যুত্থানের পরপর গঠিত অন্তর্বর্তী সরকারের কুশীলব হিসেবে পরিচিত।
প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে সাক্ষাৎ করে নাহিদ ইসলাম সাংবাদিকদের জানান, ‘আমি খবর পেয়েছি যে ড. ইউনূস পদত্যাগের কথা ভাবছেন। বিষয়টি নিশ্চিত হওয়ার জন্যই আজ সাক্ষাৎ করতে এসেছিলাম।’
নাহিদ এই মন্তব্যের পরপরই নড়েচড়ে বসেছে সব মহল। সাধারণ মানুষের মধ্যেও তৈরি হয়েছে নানা আলোচনা-সমালোচনা। রাজনৈতিক দলগুলো থেকেও প্রতিক্রিয়া আসতে শুরু করেছে।
জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান এক বিবৃতিতে প্রধান উপদেষ্টার প্রতি সর্বদলীয় বৈঠক ডাকার আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি বলেন, দেশ সংকটে আছে। এই মুহূর্তে জাতীয় ঐক্যের কোনো বিকল্প নেই।
প্রধান উপদেষ্টার পদত্যাগের গুঞ্জন নিয়ে সৃষ্ট পরিস্থিতিতে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমির মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করীমের ডাকে গত বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতেই রাজধানীর পুরানা পল্টনে দলটির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে জরুরি বৈঠক বসে। এতে অংশ নেয় জাতীয় নাগরিক পার্টিসহ আরও পাঁচটি রাজনৈতিক দল। বৈঠকে দেশের বর্তমান পরিস্থিতি এবং একটি সম্মিলিত কর্মসূচি নেওয়ার বিষয়ে আলোচনা হয়।
এবি পার্টির চেয়ারম্যান মজিবুর রহমান মঞ্জু সম্ভাব্য রাজনৈতিক সংকট ও জটিল পরিস্থিতিতে প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূসকে পদত্যাগ নয়, বরং আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে সব পক্ষকে সমঝোতামূলক সমাধানে পৌঁছানোর আহ্বান জানিয়েছেন।
আবার একই সঙ্গে হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের যুগ্ম মহাসচিব মামুনুল হক আলটিমেটাম না দিয়ে রাজনৈতিক দলগুলোকে সহনশীল আচরণ করার আহ্বান জানিয়েছেন।
এর মধ্যে গতকাল শুক্রবার দুপুরে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রধান উপদেষ্টার ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তিবিষয়ক বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব লেখেন, ‘অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস পদত্যাগ করবেন না। তাঁর ক্ষমতার প্রয়োজন নেই। কিন্তু বাংলাদেশের জন্য, বাংলাদেশের শান্তিপূর্ণ গণতান্ত্রিক উত্তরণের জন্য অধ্যাপক ইউনূসের দরকার আছে।’ এরপর বিকেল পৌনে ৪টার দিকে তিনি পোস্টটি মুছে দিয়ে আরেকটি পোস্ট দেন। সেখানে তিনি লেখেন, ‘মাননীয় প্রধান উপদেষ্টা স্যারের বিষয়ে দেওয়া স্ট্যাটাসটি আমার ব্যক্তিগত মতামত।’
সরকারের দায়িত্বশীল একটি সূত্র বলছে, সরকারের কয়েকজন উপদেষ্টা এবং বাইরের কয়েকজন গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তির মন্তব্যের কারণে জাতীয় নির্বাচন নিয়ে অস্পষ্টতা তৈরি হয়েছে। অনেকে বলছেন, সরকারের সঙ্গে সেনাবাহিনীর মতপার্থক্যের সুযোগেই এমন পরিস্থিতি দানা বাঁধছে।
এ অবস্থায় গতকাল পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন এবং পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেছেন, শুধু নির্বাচন করার জন্যই তাঁরা দায়িত্ব নেননি। তাঁদের তিনটি দায়িত্ব। এর একটি সংস্কার, অন্যটি বিচার, আরেকটি নির্বাচন। রিজওয়ানা হাসানের এই বক্তব্যের পরও নানা আলোচনা শুরু হয়েছে।
একাধিক সূত্র বলছে, বর্তমান পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে ‘ডিসেম্বরের মধ্যেই জাতীয় নির্বাচন হওয়া উচিত’—সেনাবাহিনীর প্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামানের এমন বক্তব্যের পর। সেনাপ্রধানের এই বক্তব্যের পরই সরকারের সঙ্গে সেনাবাহিনীর মতপার্থক্যের বিষয়টি সামনে চলে আসে, যা সরকারকে অস্বস্তিতে ফেলে দেয়।
এর বাইরে সরকারের একজন উপদেষ্টার নানা কর্মকাণ্ড নিয়েও সরকারের সঙ্গে সেনাবাহিনীর টানাপোড়েন শুরু হয়; যা ধীরে ধীরে জটিল হয়ে যায়। সেই সঙ্গে বিএনপি ও অন্যান্য রাজনৈতিক দলের পক্ষ থেকে সরকারের উপদেষ্টা মাহফুজ আলম ও আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া ও ড. খলিলুর রহমানের পদত্যাগ এবং নির্বাচনী রোডম্যাপ ঘোষণার দাবি এবং ঢাকা দক্ষিণ সিটির মেয়র হিসেবে ইশরাক হোসেনের শপথ গ্রহণকে কেন্দ্র করে উদ্ভূত পরিস্থিতি নিয়ে বেকায়দায় পড়ে সরকার।
রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের অনেকেই মনে করছেন, এমন নাজুক পরিস্থিতি থেকে উত্তরণের জন্যই প্রধান উপদেষ্টার পদত্যাগের বিষয়টিকে সামনে আনা হয়; যাতে করে বিএনপি পাল্টা চাপে পড়ে। এ নিয়ে অবশ্য পাল্টাপাল্টি বক্তব্যও দিয়েছেন এনসিপি ও বিএনপির নেতারা।
এনসিপির উত্তরাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম গতকাল বলেছেন, বিএনপির আন্দোলনের চাপে প্রধান উপদেষ্টার পদত্যাগের ভাবনা এসেছিল।
তবে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ বলেছেন, বিএনপি প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূসের পদত্যাগ চায় না। তবে আবেগের বশে থাকতে না চাইলে বিকল্প বেছে নেবে দেশের জনগণ।
দেশের এই জটিল পরিস্থিতির ব্যাপারে জানতে চাইলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞানের সহযোগী অধ্যাপক মাহবুবুর রহমান বলেন, ড. ইউনূসের মুখ থেকে না শোনা পর্যন্ত এ ধরনের বক্তব্য বিশ্বাস করা ঠিক হবে না। বিএনপি কিন্তু প্রধান উপদেষ্টার পদত্যাগের কথা কিছুই বলেনি। সরকারের সমস্যা হলো সরকার রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে পর্যায়ক্রমে বসছে না, ফলে ভুল-বোঝাবুঝি তৈরি হচ্ছে।
সূত্র বলছে, গত বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় এনসিপির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে দেখা করার আগে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহসভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ যমুনায় তাঁর সঙ্গে দেখা করেন। তিনি এক উপদেষ্টাকে তাঁর বর্তমান কর্মকাণ্ড থেকে সরিয়ে দেওয়া অথবা দায়িত্ব পুনর্বণ্টন এবং রাজনৈতিক দলগুলো এবং সেনাপ্রধানের সঙ্গে আলাদা সভা করার পরামর্শ দেন।
জানতে চাইলে প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে সাক্ষাতের বিষয়টি গতকাল আজকের পত্রিকাকে নিশ্চিত করেন আলী রীয়াজ।
আলী রীয়াজ চলে আসার পরই নাহিদ ইসলাম যান প্রধান উপদেষ্টার বাসভবন যমুনায়। সেখানে প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে বৈঠক করেন নাহিদ ইসলাম, সঙ্গে ছিলেন তথ্য উপদেষ্টা মাহফুজ আলম, আরেক উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া।
বৈঠকের পর নাহিদ ইসলাম বিবিসি বাংলাকে বলেছেন, ‘হ্যাঁ, যদি কাজ করতে না পারেন, থাকবেন না, থেকে কী লাভ?’ তিনি বলেন, ‘উনি বলেছেন, উনি এ বিষয়ে ভাবতেছেন। ওনার কাছে মনে হয়েছে পরিস্থিতি এ রকম যে তিনি কাজ করতে পারবেন না। এখন রাজনৈতিক দল তার পদত্যাগ চায়...সে আস্থার জায়গা, আশ্বাসের জায়গা না পেলে উনি থাকবেন কেন?’
এদিকে চলমান এই গুমট রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে রাজধানীর রমনা এলাকার একটি বাসায় গত বৃহস্পতিবার মধ্যরাতে বিএনপি, জামায়াতে ইসলামী ও এনসিপির মধ্যে উচ্চপর্যায়ের একটি বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৈঠকে বিএনপি ও জামায়াত নির্বাচন অনুষ্ঠানের বিষয়ে ঐকমত্য পৌঁছেছে বলে জানা গেছে। অবশ্য বৈঠকের বিষয়টি কোনো দলের পক্ষ থেকে কেউই নিশ্চিত করেনি।
বিএনপির একাধিক নেতা জানান, তাঁরা মনে করছেন, মেয়র হিসেবে ইশরাক হোসেনের শপথের দাবিতে ১৪ থেকে ২২ মে পর্যন্ত ৯ দিন রাজধানীতে কর্মী-সমর্থকদের টানা উপস্থিতির মাধ্যমে মাঠের রাজনীতিতে শক্তি দেখাতে পেরেছে। এর মাধ্যমে অন্তর্বর্তী সরকারকে আরও বেশি চাপে ফেলা সম্ভব হয়েছে। এ ছাড়া ইশরাককে মেয়র পদে শপথের পক্ষে উচ্চ আদালতের রায়কেও ‘জয়’ হিসেবে দেখছেন বিএনপির নেতারা। তাঁরা এবার আগামী ডিসেম্বরে জাতীয় নির্বাচন আদায়ের লক্ষ্যে ঈদুল আজহার পর রাজপথে কর্মসূচি অব্যাহত রাখতে চান।
নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর দায়িত্ব নেওয়া অন্তর্বর্তী সরকার ৯ মাস পার করল; কিন্তু গুরুত্বপূর্ণ বিভিন্ন ইস্যুতে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে মতানৈক্য এবং রাজপথে প্রতিদিনের আন্দোলনে এখনো সুস্থির হতে পারছে না। এর মধ্যেই সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস পদত্যাগের চিন্তা করছেন—এমন খবর ব্যাপক আলোড়ন সৃষ্টি করেছে। সরকার ও রাজনৈতিক অঙ্গনের অস্থিরতা আরও বেড়েছে। এই অবস্থায় আলোচনায় উঠে এসেছে জাতীয় সরকার গঠনের বিষয়টি।
প্রধান উপদেষ্টার পদত্যাগ ভাবনার খবর এমন এক সময়ে ছড়াল, যখন কয়েকজন উপদেষ্টাকে অপসারণের দাবিতে সরকারের ওপর চাপ সৃষ্টি করছে বিভিন্ন শক্তি। সেই সঙ্গে নির্বাচন নিয়ে সেনাপ্রধান ওয়াকার-উজ-জামানের মন্তব্য যেন নতুন মাত্রা যোগ করেছে এতে।
রাজনৈতিক বিশ্লেষকেরা মনে করছেন, নির্বাচনসহ নানা ইস্যুতে চতুর্মুখী চাপের কারণে বিরক্ত হয়েই পদত্যাগের কথা ভাবছেন প্রধান উপদেষ্টা। বিষয়টিকে রাজনৈতিক মহলের ওপর পাল্টা চাপ হিসেবেই দেখছেন তাঁরা। ড. ইউনূসের পদত্যাগের সম্ভাবনা সত্যি হলে অন্তর্বর্তী সরকারের ভবিষ্যৎ নিয়ে নতুন করে অনিশ্চয়তা তৈরি হবে। এতে দেশের সামগ্রিক পরিস্থিতি আরও জটিল হতে পারে।
প্রধান উপদেষ্টার পদত্যাগের গুঞ্জন ও উপদেষ্টাদের নিয়ে চলমান বিতর্কের মধ্যে জাতীয় সরকারের বিষয়টি আবার আলোচনায় উঠে এসেছে। এ বিষয়ে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ বলেছেন, ‘নির্বাচনী রোডম্যাপ ঘোষণার পরিবর্তে যদি তিনি (ড. ইউনূস) পদত্যাগ করতে চান বা দায়িত্ব ছেড়ে দিতে চান, সেটি তাঁর ব্যক্তিগত বিষয় হতে পারে। আমরা তাঁর পদত্যাগ দাবি করিনি। আর একান্তই যদি উনি ব্যক্তিগতভাবে দায়িত্ব পালনে অপারগ হন, তাহলে রাষ্ট্র তো বসে থাকবে না। রাষ্ট্র তো একটা বিকল্প ব্যবস্থা খুঁজে নেবে।’
এদিকে গণতান্ত্রিক রূপান্তরকে বাধাগ্রস্ত করে আরেকটা এক-এগারোর বন্দোবস্ত করার পাঁয়তারা চলছে বলে উল্লেখ করেছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম। গতকাল শুক্রবার রাতে এক ফেসবুক পোস্টে এসব কথা বলেছেন তিনি।
এর আগে গত বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন নাহিদ। এ সময় সেখানে উপস্থিত ছিলেন অন্তর্বর্তী সরকারের দুই গুরুত্বপূর্ণ উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ ও মাহফুজ আলম। এ তিনজনই জুলাই অভ্যুত্থানের পরপর গঠিত অন্তর্বর্তী সরকারের কুশীলব হিসেবে পরিচিত।
প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে সাক্ষাৎ করে নাহিদ ইসলাম সাংবাদিকদের জানান, ‘আমি খবর পেয়েছি যে ড. ইউনূস পদত্যাগের কথা ভাবছেন। বিষয়টি নিশ্চিত হওয়ার জন্যই আজ সাক্ষাৎ করতে এসেছিলাম।’
নাহিদ এই মন্তব্যের পরপরই নড়েচড়ে বসেছে সব মহল। সাধারণ মানুষের মধ্যেও তৈরি হয়েছে নানা আলোচনা-সমালোচনা। রাজনৈতিক দলগুলো থেকেও প্রতিক্রিয়া আসতে শুরু করেছে।
জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান এক বিবৃতিতে প্রধান উপদেষ্টার প্রতি সর্বদলীয় বৈঠক ডাকার আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি বলেন, দেশ সংকটে আছে। এই মুহূর্তে জাতীয় ঐক্যের কোনো বিকল্প নেই।
প্রধান উপদেষ্টার পদত্যাগের গুঞ্জন নিয়ে সৃষ্ট পরিস্থিতিতে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমির মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করীমের ডাকে গত বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতেই রাজধানীর পুরানা পল্টনে দলটির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে জরুরি বৈঠক বসে। এতে অংশ নেয় জাতীয় নাগরিক পার্টিসহ আরও পাঁচটি রাজনৈতিক দল। বৈঠকে দেশের বর্তমান পরিস্থিতি এবং একটি সম্মিলিত কর্মসূচি নেওয়ার বিষয়ে আলোচনা হয়।
এবি পার্টির চেয়ারম্যান মজিবুর রহমান মঞ্জু সম্ভাব্য রাজনৈতিক সংকট ও জটিল পরিস্থিতিতে প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূসকে পদত্যাগ নয়, বরং আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে সব পক্ষকে সমঝোতামূলক সমাধানে পৌঁছানোর আহ্বান জানিয়েছেন।
আবার একই সঙ্গে হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের যুগ্ম মহাসচিব মামুনুল হক আলটিমেটাম না দিয়ে রাজনৈতিক দলগুলোকে সহনশীল আচরণ করার আহ্বান জানিয়েছেন।
এর মধ্যে গতকাল শুক্রবার দুপুরে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রধান উপদেষ্টার ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তিবিষয়ক বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব লেখেন, ‘অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস পদত্যাগ করবেন না। তাঁর ক্ষমতার প্রয়োজন নেই। কিন্তু বাংলাদেশের জন্য, বাংলাদেশের শান্তিপূর্ণ গণতান্ত্রিক উত্তরণের জন্য অধ্যাপক ইউনূসের দরকার আছে।’ এরপর বিকেল পৌনে ৪টার দিকে তিনি পোস্টটি মুছে দিয়ে আরেকটি পোস্ট দেন। সেখানে তিনি লেখেন, ‘মাননীয় প্রধান উপদেষ্টা স্যারের বিষয়ে দেওয়া স্ট্যাটাসটি আমার ব্যক্তিগত মতামত।’
সরকারের দায়িত্বশীল একটি সূত্র বলছে, সরকারের কয়েকজন উপদেষ্টা এবং বাইরের কয়েকজন গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তির মন্তব্যের কারণে জাতীয় নির্বাচন নিয়ে অস্পষ্টতা তৈরি হয়েছে। অনেকে বলছেন, সরকারের সঙ্গে সেনাবাহিনীর মতপার্থক্যের সুযোগেই এমন পরিস্থিতি দানা বাঁধছে।
এ অবস্থায় গতকাল পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন এবং পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেছেন, শুধু নির্বাচন করার জন্যই তাঁরা দায়িত্ব নেননি। তাঁদের তিনটি দায়িত্ব। এর একটি সংস্কার, অন্যটি বিচার, আরেকটি নির্বাচন। রিজওয়ানা হাসানের এই বক্তব্যের পরও নানা আলোচনা শুরু হয়েছে।
একাধিক সূত্র বলছে, বর্তমান পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে ‘ডিসেম্বরের মধ্যেই জাতীয় নির্বাচন হওয়া উচিত’—সেনাবাহিনীর প্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামানের এমন বক্তব্যের পর। সেনাপ্রধানের এই বক্তব্যের পরই সরকারের সঙ্গে সেনাবাহিনীর মতপার্থক্যের বিষয়টি সামনে চলে আসে, যা সরকারকে অস্বস্তিতে ফেলে দেয়।
এর বাইরে সরকারের একজন উপদেষ্টার নানা কর্মকাণ্ড নিয়েও সরকারের সঙ্গে সেনাবাহিনীর টানাপোড়েন শুরু হয়; যা ধীরে ধীরে জটিল হয়ে যায়। সেই সঙ্গে বিএনপি ও অন্যান্য রাজনৈতিক দলের পক্ষ থেকে সরকারের উপদেষ্টা মাহফুজ আলম ও আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া ও ড. খলিলুর রহমানের পদত্যাগ এবং নির্বাচনী রোডম্যাপ ঘোষণার দাবি এবং ঢাকা দক্ষিণ সিটির মেয়র হিসেবে ইশরাক হোসেনের শপথ গ্রহণকে কেন্দ্র করে উদ্ভূত পরিস্থিতি নিয়ে বেকায়দায় পড়ে সরকার।
রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের অনেকেই মনে করছেন, এমন নাজুক পরিস্থিতি থেকে উত্তরণের জন্যই প্রধান উপদেষ্টার পদত্যাগের বিষয়টিকে সামনে আনা হয়; যাতে করে বিএনপি পাল্টা চাপে পড়ে। এ নিয়ে অবশ্য পাল্টাপাল্টি বক্তব্যও দিয়েছেন এনসিপি ও বিএনপির নেতারা।
এনসিপির উত্তরাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম গতকাল বলেছেন, বিএনপির আন্দোলনের চাপে প্রধান উপদেষ্টার পদত্যাগের ভাবনা এসেছিল।
তবে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ বলেছেন, বিএনপি প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূসের পদত্যাগ চায় না। তবে আবেগের বশে থাকতে না চাইলে বিকল্প বেছে নেবে দেশের জনগণ।
দেশের এই জটিল পরিস্থিতির ব্যাপারে জানতে চাইলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞানের সহযোগী অধ্যাপক মাহবুবুর রহমান বলেন, ড. ইউনূসের মুখ থেকে না শোনা পর্যন্ত এ ধরনের বক্তব্য বিশ্বাস করা ঠিক হবে না। বিএনপি কিন্তু প্রধান উপদেষ্টার পদত্যাগের কথা কিছুই বলেনি। সরকারের সমস্যা হলো সরকার রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে পর্যায়ক্রমে বসছে না, ফলে ভুল-বোঝাবুঝি তৈরি হচ্ছে।
সূত্র বলছে, গত বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় এনসিপির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে দেখা করার আগে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহসভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ যমুনায় তাঁর সঙ্গে দেখা করেন। তিনি এক উপদেষ্টাকে তাঁর বর্তমান কর্মকাণ্ড থেকে সরিয়ে দেওয়া অথবা দায়িত্ব পুনর্বণ্টন এবং রাজনৈতিক দলগুলো এবং সেনাপ্রধানের সঙ্গে আলাদা সভা করার পরামর্শ দেন।
জানতে চাইলে প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে সাক্ষাতের বিষয়টি গতকাল আজকের পত্রিকাকে নিশ্চিত করেন আলী রীয়াজ।
আলী রীয়াজ চলে আসার পরই নাহিদ ইসলাম যান প্রধান উপদেষ্টার বাসভবন যমুনায়। সেখানে প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে বৈঠক করেন নাহিদ ইসলাম, সঙ্গে ছিলেন তথ্য উপদেষ্টা মাহফুজ আলম, আরেক উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া।
বৈঠকের পর নাহিদ ইসলাম বিবিসি বাংলাকে বলেছেন, ‘হ্যাঁ, যদি কাজ করতে না পারেন, থাকবেন না, থেকে কী লাভ?’ তিনি বলেন, ‘উনি বলেছেন, উনি এ বিষয়ে ভাবতেছেন। ওনার কাছে মনে হয়েছে পরিস্থিতি এ রকম যে তিনি কাজ করতে পারবেন না। এখন রাজনৈতিক দল তার পদত্যাগ চায়...সে আস্থার জায়গা, আশ্বাসের জায়গা না পেলে উনি থাকবেন কেন?’
এদিকে চলমান এই গুমট রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে রাজধানীর রমনা এলাকার একটি বাসায় গত বৃহস্পতিবার মধ্যরাতে বিএনপি, জামায়াতে ইসলামী ও এনসিপির মধ্যে উচ্চপর্যায়ের একটি বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৈঠকে বিএনপি ও জামায়াত নির্বাচন অনুষ্ঠানের বিষয়ে ঐকমত্য পৌঁছেছে বলে জানা গেছে। অবশ্য বৈঠকের বিষয়টি কোনো দলের পক্ষ থেকে কেউই নিশ্চিত করেনি।
বিএনপির একাধিক নেতা জানান, তাঁরা মনে করছেন, মেয়র হিসেবে ইশরাক হোসেনের শপথের দাবিতে ১৪ থেকে ২২ মে পর্যন্ত ৯ দিন রাজধানীতে কর্মী-সমর্থকদের টানা উপস্থিতির মাধ্যমে মাঠের রাজনীতিতে শক্তি দেখাতে পেরেছে। এর মাধ্যমে অন্তর্বর্তী সরকারকে আরও বেশি চাপে ফেলা সম্ভব হয়েছে। এ ছাড়া ইশরাককে মেয়র পদে শপথের পক্ষে উচ্চ আদালতের রায়কেও ‘জয়’ হিসেবে দেখছেন বিএনপির নেতারা। তাঁরা এবার আগামী ডিসেম্বরে জাতীয় নির্বাচন আদায়ের লক্ষ্যে ঈদুল আজহার পর রাজপথে কর্মসূচি অব্যাহত রাখতে চান।

শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর দায়িত্ব নেওয়া অন্তর্বর্তী সরকার ৯ মাস পার করল; কিন্তু গুরুত্বপূর্ণ বিভিন্ন ইস্যুতে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে মতানৈক্য এবং রাজপথে প্রতিদিনের আন্দোলনে এখনো সুস্থির হতে পারছে না। এর মধ্যেই সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস পদত্যাগের চিন্তা করছেন—এমন খবর ব্যাপক আলোড়ন সৃষ্টি করেছে। সরকার ও রাজনৈতিক অঙ্গনের অস্থিরতা আরও বেড়েছে। এই অবস্থায় আলোচনায় উঠে এসেছে জাতীয় সরকার গঠনের বিষয়টি।
প্রধান উপদেষ্টার পদত্যাগ ভাবনার খবর এমন এক সময়ে ছড়াল, যখন কয়েকজন উপদেষ্টাকে অপসারণের দাবিতে সরকারের ওপর চাপ সৃষ্টি করছে বিভিন্ন শক্তি। সেই সঙ্গে নির্বাচন নিয়ে সেনাপ্রধান ওয়াকার-উজ-জামানের মন্তব্য যেন নতুন মাত্রা যোগ করেছে এতে।
রাজনৈতিক বিশ্লেষকেরা মনে করছেন, নির্বাচনসহ নানা ইস্যুতে চতুর্মুখী চাপের কারণে বিরক্ত হয়েই পদত্যাগের কথা ভাবছেন প্রধান উপদেষ্টা। বিষয়টিকে রাজনৈতিক মহলের ওপর পাল্টা চাপ হিসেবেই দেখছেন তাঁরা। ড. ইউনূসের পদত্যাগের সম্ভাবনা সত্যি হলে অন্তর্বর্তী সরকারের ভবিষ্যৎ নিয়ে নতুন করে অনিশ্চয়তা তৈরি হবে। এতে দেশের সামগ্রিক পরিস্থিতি আরও জটিল হতে পারে।
প্রধান উপদেষ্টার পদত্যাগের গুঞ্জন ও উপদেষ্টাদের নিয়ে চলমান বিতর্কের মধ্যে জাতীয় সরকারের বিষয়টি আবার আলোচনায় উঠে এসেছে। এ বিষয়ে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ বলেছেন, ‘নির্বাচনী রোডম্যাপ ঘোষণার পরিবর্তে যদি তিনি (ড. ইউনূস) পদত্যাগ করতে চান বা দায়িত্ব ছেড়ে দিতে চান, সেটি তাঁর ব্যক্তিগত বিষয় হতে পারে। আমরা তাঁর পদত্যাগ দাবি করিনি। আর একান্তই যদি উনি ব্যক্তিগতভাবে দায়িত্ব পালনে অপারগ হন, তাহলে রাষ্ট্র তো বসে থাকবে না। রাষ্ট্র তো একটা বিকল্প ব্যবস্থা খুঁজে নেবে।’
এদিকে গণতান্ত্রিক রূপান্তরকে বাধাগ্রস্ত করে আরেকটা এক-এগারোর বন্দোবস্ত করার পাঁয়তারা চলছে বলে উল্লেখ করেছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম। গতকাল শুক্রবার রাতে এক ফেসবুক পোস্টে এসব কথা বলেছেন তিনি।
এর আগে গত বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন নাহিদ। এ সময় সেখানে উপস্থিত ছিলেন অন্তর্বর্তী সরকারের দুই গুরুত্বপূর্ণ উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ ও মাহফুজ আলম। এ তিনজনই জুলাই অভ্যুত্থানের পরপর গঠিত অন্তর্বর্তী সরকারের কুশীলব হিসেবে পরিচিত।
প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে সাক্ষাৎ করে নাহিদ ইসলাম সাংবাদিকদের জানান, ‘আমি খবর পেয়েছি যে ড. ইউনূস পদত্যাগের কথা ভাবছেন। বিষয়টি নিশ্চিত হওয়ার জন্যই আজ সাক্ষাৎ করতে এসেছিলাম।’
নাহিদ এই মন্তব্যের পরপরই নড়েচড়ে বসেছে সব মহল। সাধারণ মানুষের মধ্যেও তৈরি হয়েছে নানা আলোচনা-সমালোচনা। রাজনৈতিক দলগুলো থেকেও প্রতিক্রিয়া আসতে শুরু করেছে।
জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান এক বিবৃতিতে প্রধান উপদেষ্টার প্রতি সর্বদলীয় বৈঠক ডাকার আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি বলেন, দেশ সংকটে আছে। এই মুহূর্তে জাতীয় ঐক্যের কোনো বিকল্প নেই।
প্রধান উপদেষ্টার পদত্যাগের গুঞ্জন নিয়ে সৃষ্ট পরিস্থিতিতে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমির মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করীমের ডাকে গত বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতেই রাজধানীর পুরানা পল্টনে দলটির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে জরুরি বৈঠক বসে। এতে অংশ নেয় জাতীয় নাগরিক পার্টিসহ আরও পাঁচটি রাজনৈতিক দল। বৈঠকে দেশের বর্তমান পরিস্থিতি এবং একটি সম্মিলিত কর্মসূচি নেওয়ার বিষয়ে আলোচনা হয়।
এবি পার্টির চেয়ারম্যান মজিবুর রহমান মঞ্জু সম্ভাব্য রাজনৈতিক সংকট ও জটিল পরিস্থিতিতে প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূসকে পদত্যাগ নয়, বরং আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে সব পক্ষকে সমঝোতামূলক সমাধানে পৌঁছানোর আহ্বান জানিয়েছেন।
আবার একই সঙ্গে হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের যুগ্ম মহাসচিব মামুনুল হক আলটিমেটাম না দিয়ে রাজনৈতিক দলগুলোকে সহনশীল আচরণ করার আহ্বান জানিয়েছেন।
এর মধ্যে গতকাল শুক্রবার দুপুরে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রধান উপদেষ্টার ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তিবিষয়ক বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব লেখেন, ‘অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস পদত্যাগ করবেন না। তাঁর ক্ষমতার প্রয়োজন নেই। কিন্তু বাংলাদেশের জন্য, বাংলাদেশের শান্তিপূর্ণ গণতান্ত্রিক উত্তরণের জন্য অধ্যাপক ইউনূসের দরকার আছে।’ এরপর বিকেল পৌনে ৪টার দিকে তিনি পোস্টটি মুছে দিয়ে আরেকটি পোস্ট দেন। সেখানে তিনি লেখেন, ‘মাননীয় প্রধান উপদেষ্টা স্যারের বিষয়ে দেওয়া স্ট্যাটাসটি আমার ব্যক্তিগত মতামত।’
সরকারের দায়িত্বশীল একটি সূত্র বলছে, সরকারের কয়েকজন উপদেষ্টা এবং বাইরের কয়েকজন গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তির মন্তব্যের কারণে জাতীয় নির্বাচন নিয়ে অস্পষ্টতা তৈরি হয়েছে। অনেকে বলছেন, সরকারের সঙ্গে সেনাবাহিনীর মতপার্থক্যের সুযোগেই এমন পরিস্থিতি দানা বাঁধছে।
এ অবস্থায় গতকাল পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন এবং পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেছেন, শুধু নির্বাচন করার জন্যই তাঁরা দায়িত্ব নেননি। তাঁদের তিনটি দায়িত্ব। এর একটি সংস্কার, অন্যটি বিচার, আরেকটি নির্বাচন। রিজওয়ানা হাসানের এই বক্তব্যের পরও নানা আলোচনা শুরু হয়েছে।
একাধিক সূত্র বলছে, বর্তমান পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে ‘ডিসেম্বরের মধ্যেই জাতীয় নির্বাচন হওয়া উচিত’—সেনাবাহিনীর প্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামানের এমন বক্তব্যের পর। সেনাপ্রধানের এই বক্তব্যের পরই সরকারের সঙ্গে সেনাবাহিনীর মতপার্থক্যের বিষয়টি সামনে চলে আসে, যা সরকারকে অস্বস্তিতে ফেলে দেয়।
এর বাইরে সরকারের একজন উপদেষ্টার নানা কর্মকাণ্ড নিয়েও সরকারের সঙ্গে সেনাবাহিনীর টানাপোড়েন শুরু হয়; যা ধীরে ধীরে জটিল হয়ে যায়। সেই সঙ্গে বিএনপি ও অন্যান্য রাজনৈতিক দলের পক্ষ থেকে সরকারের উপদেষ্টা মাহফুজ আলম ও আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া ও ড. খলিলুর রহমানের পদত্যাগ এবং নির্বাচনী রোডম্যাপ ঘোষণার দাবি এবং ঢাকা দক্ষিণ সিটির মেয়র হিসেবে ইশরাক হোসেনের শপথ গ্রহণকে কেন্দ্র করে উদ্ভূত পরিস্থিতি নিয়ে বেকায়দায় পড়ে সরকার।
রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের অনেকেই মনে করছেন, এমন নাজুক পরিস্থিতি থেকে উত্তরণের জন্যই প্রধান উপদেষ্টার পদত্যাগের বিষয়টিকে সামনে আনা হয়; যাতে করে বিএনপি পাল্টা চাপে পড়ে। এ নিয়ে অবশ্য পাল্টাপাল্টি বক্তব্যও দিয়েছেন এনসিপি ও বিএনপির নেতারা।
এনসিপির উত্তরাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম গতকাল বলেছেন, বিএনপির আন্দোলনের চাপে প্রধান উপদেষ্টার পদত্যাগের ভাবনা এসেছিল।
তবে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ বলেছেন, বিএনপি প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূসের পদত্যাগ চায় না। তবে আবেগের বশে থাকতে না চাইলে বিকল্প বেছে নেবে দেশের জনগণ।
দেশের এই জটিল পরিস্থিতির ব্যাপারে জানতে চাইলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞানের সহযোগী অধ্যাপক মাহবুবুর রহমান বলেন, ড. ইউনূসের মুখ থেকে না শোনা পর্যন্ত এ ধরনের বক্তব্য বিশ্বাস করা ঠিক হবে না। বিএনপি কিন্তু প্রধান উপদেষ্টার পদত্যাগের কথা কিছুই বলেনি। সরকারের সমস্যা হলো সরকার রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে পর্যায়ক্রমে বসছে না, ফলে ভুল-বোঝাবুঝি তৈরি হচ্ছে।
সূত্র বলছে, গত বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় এনসিপির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে দেখা করার আগে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহসভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ যমুনায় তাঁর সঙ্গে দেখা করেন। তিনি এক উপদেষ্টাকে তাঁর বর্তমান কর্মকাণ্ড থেকে সরিয়ে দেওয়া অথবা দায়িত্ব পুনর্বণ্টন এবং রাজনৈতিক দলগুলো এবং সেনাপ্রধানের সঙ্গে আলাদা সভা করার পরামর্শ দেন।
জানতে চাইলে প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে সাক্ষাতের বিষয়টি গতকাল আজকের পত্রিকাকে নিশ্চিত করেন আলী রীয়াজ।
আলী রীয়াজ চলে আসার পরই নাহিদ ইসলাম যান প্রধান উপদেষ্টার বাসভবন যমুনায়। সেখানে প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে বৈঠক করেন নাহিদ ইসলাম, সঙ্গে ছিলেন তথ্য উপদেষ্টা মাহফুজ আলম, আরেক উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া।
বৈঠকের পর নাহিদ ইসলাম বিবিসি বাংলাকে বলেছেন, ‘হ্যাঁ, যদি কাজ করতে না পারেন, থাকবেন না, থেকে কী লাভ?’ তিনি বলেন, ‘উনি বলেছেন, উনি এ বিষয়ে ভাবতেছেন। ওনার কাছে মনে হয়েছে পরিস্থিতি এ রকম যে তিনি কাজ করতে পারবেন না। এখন রাজনৈতিক দল তার পদত্যাগ চায়...সে আস্থার জায়গা, আশ্বাসের জায়গা না পেলে উনি থাকবেন কেন?’
এদিকে চলমান এই গুমট রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে রাজধানীর রমনা এলাকার একটি বাসায় গত বৃহস্পতিবার মধ্যরাতে বিএনপি, জামায়াতে ইসলামী ও এনসিপির মধ্যে উচ্চপর্যায়ের একটি বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৈঠকে বিএনপি ও জামায়াত নির্বাচন অনুষ্ঠানের বিষয়ে ঐকমত্য পৌঁছেছে বলে জানা গেছে। অবশ্য বৈঠকের বিষয়টি কোনো দলের পক্ষ থেকে কেউই নিশ্চিত করেনি।
বিএনপির একাধিক নেতা জানান, তাঁরা মনে করছেন, মেয়র হিসেবে ইশরাক হোসেনের শপথের দাবিতে ১৪ থেকে ২২ মে পর্যন্ত ৯ দিন রাজধানীতে কর্মী-সমর্থকদের টানা উপস্থিতির মাধ্যমে মাঠের রাজনীতিতে শক্তি দেখাতে পেরেছে। এর মাধ্যমে অন্তর্বর্তী সরকারকে আরও বেশি চাপে ফেলা সম্ভব হয়েছে। এ ছাড়া ইশরাককে মেয়র পদে শপথের পক্ষে উচ্চ আদালতের রায়কেও ‘জয়’ হিসেবে দেখছেন বিএনপির নেতারা। তাঁরা এবার আগামী ডিসেম্বরে জাতীয় নির্বাচন আদায়ের লক্ষ্যে ঈদুল আজহার পর রাজপথে কর্মসূচি অব্যাহত রাখতে চান।

পুলিশের প্রায় দেড় লাখ সদস্য আগামী সংসদ নির্বাচনে মাঠ পর্যায়ে দায়িত্ব পালন করবেন। তাঁদের প্রত্যেকের কর্মকাণ্ড জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে নিরীক্ষিত হবে। প্রশিক্ষণের মাধ্যমে প্রত্যেক পুলিশ সদস্যকে দক্ষ ও সুশৃঙ্খল হিসেবে গড়ে তোলাই নির্বাচনী প্রশিক্ষণের মূল লক্ষ্য।
১ ঘণ্টা আগে
গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ (আরপিও) সংশোধন করে সরকার অধ্যাদেশ জারি করেছে। আজ মঙ্গলবার (৪ নভেম্বর) সকালে আইন মন্ত্রণালয় সূত্রে এই তথ্য জানা গেছে। আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের লেজিসলেটিভ ও সংসদবিষয়ক বিভাগ থেকে গতকাল সোমবার অধ্যাদেশ জারি করা হয়।
৫ ঘণ্টা আগে
আইন মন্ত্রণালয় থেকে সম্প্রতি ১১ শতাধিক বিচার বিভাগীয় কর্মকর্তাকে পদোন্নতির প্যানেলভুক্ত করার প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে। প্রস্তাবটি অনুমোদনের জন্য আজ মঙ্গলবার সুপ্রিম কোর্টের ফুলকোর্ট সভায় উঠছে। এ সভায় বিষয়টি অনুমোদিত হলে তা আবারও পাঠানো হবে আইন মন্ত্রণালয়ে। এরপর সময়ে সময়ে ওই প্যানেল থেকে পদোন্নতি দেওয়া
১১ ঘণ্টা আগে
জুলাই জাতীয় সনদ বাস্তবায়ন প্রশ্নে গণভোট এবং নোট অব ডিসেন্ট (আপত্তি) নিয়ে সৃষ্টি হওয়া সংকট সমাধানের ভার রাজনৈতিক দলগুলোর ওপর ছেড়ে দিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার। আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে দলগুলো ঐক্যবদ্ধ সিদ্ধান্ত দিতে না পারলে সরকার নিজেদের মতো করে সিদ্ধান্ত দেবে। গতকাল সোমবার প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউ
১১ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে পুলিশ বাহিনীর ৪৮ হাজার ১৩৪ সদস্য তাঁদের নির্বাচনী প্রশিক্ষণ সম্পন্ন করেছেন। নির্বাচনে পেশাদারত্বের সঙ্গে দায়িত্ব পালনের লক্ষ্যে পুলিশ সদস্যদের দক্ষতা ও সক্ষমতা বাড়ানোর জন্য তাঁদের এই প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়।
আজ মঙ্গলবার পুলিশ সদর দপ্তর থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
নির্বাচনী প্রশিক্ষণ কার্যক্রম চলমান রয়েছে উল্লেখ করে সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, বাংলাদেশ পুলিশের ৪৮ হাজার ১৩৪ জন সদস্য এ পর্যন্ত নির্বাচনী প্রশিক্ষণ গ্রহণ করেছেন। এর আগে গত ৩১ আগস্ট থেকে ২ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত এ প্রশিক্ষণের ওপর ট্রেনিং অব ট্রেইনার্স কোর্স অনুষ্ঠিত হয়েছে।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আরও জানানো হয়, পুলিশের প্রায় দেড় লাখ সদস্য আগামী সংসদ নির্বাচনে মাঠ পর্যায়ে দায়িত্ব পালন করবেন। তাঁদের প্রত্যেকের কর্মকাণ্ড জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে নিরীক্ষিত হবে। প্রশিক্ষণের মাধ্যমে প্রত্যেক পুলিশ সদস্যকে দক্ষ ও সুশৃঙ্খল হিসেবে গড়ে তোলাই নির্বাচনী প্রশিক্ষণের মূল লক্ষ্য।
পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি), বাংলাদেশ পুলিশের চলমান নির্বাচনী প্রশিক্ষণ নিবিড় তদারকির মাধ্যমে পরিচালনার জন্য পুলিশের সকল ইউনিট প্রধানকে বিশেষ নির্দেশনা প্রদান করেছেন। পুলিশ হেডকোয়ার্টার্স থেকে প্রশিক্ষণ কার্যক্রম যথাযথভাবে মনিটর করা হচ্ছে।
আইজিপি মাঠপর্যায়ে নির্বাচনী প্রশিক্ষণ কার্যক্রম সরেজমিনে পরিদর্শনের জন্য গত বোরবার (২ নভেম্বর) রাজশাহী ও বগুড়া সফর করেছেন। তিনি নির্বাচনী প্রশিক্ষণ কর্মশালায় প্রশিক্ষণার্থী পুলিশ সদস্যদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন এবং প্রয়োজনীয় দিক নির্দেশনা প্রদান করেন।
এর আগে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লে. জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী গত ৭ সেপ্টেম্বর রাজারবাগ পুলিশ লাইনসে বাংলাদেশ এই নির্বাচনী প্রশিক্ষণ কার্যক্রম উদ্বোধন করেন। চলমান নির্বাচনী প্রশিক্ষণ আগামী মধ্য জানুয়ারি পর্যন্ত চলবে। জাতীয় নির্বাচনকে ঘিরে পুলিশ সদস্যদের এ ধরনের প্রশিক্ষণ আয়োজন এবারই প্রথম।
পুলিশ সদর দপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, দেশজুড়ে বাংলাদেশ পুলিশের ১৩০টি ছোট ও চারটি বড় প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে পুলিশ সদস্যদের নির্বাচনী দায়িত্ব পালনের জন্য প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে।
সম্প্রতি স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা জানিয়েছেন, সরকার ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন আয়োজনের জন্য সম্পূর্ণ প্রস্তুত। নির্বাচন প্রস্তুতির অংশ হিসেবে মোট ৭ লাখ ৬৮ হাজার আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য—পুলিশ, বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) এবং আনসার ও ভিডিপি সদস্য নিরপেক্ষ ও দক্ষভাবে দায়িত্ব পালনের লক্ষ্যে বিশেষ নির্বাচন-সংক্রান্ত প্রশিক্ষণ নিচ্ছেন।
এর মধ্যে ১ লাখ ৫০ হাজার পুলিশ সদস্যকে আইন ও নির্বাচন বিশেষজ্ঞদের পরামর্শে পুলিশ সদর দপ্তরের মানবসম্পদ বিভাগ প্রণীত নয়টি প্রশিক্ষণ মডিউলের আওতায় প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে।
এ ছাড়া দেশের ৪৫ হাজার ভোটকেন্দ্রে নিয়োগের লক্ষ্যে ৫ লাখ ৮৫ হাজার আনসার ও ভিডিপি সদস্য প্রশিক্ষণ নিচ্ছেন। যার মধ্যে ১ লাখ ৩৫ হাজার সশস্ত্র এবং ৪ লাখ ৫০ হাজার নিরস্ত্র সদস্য রয়েছেন। প্রতিটি ভোটকেন্দ্রে গড়ে ১৩ জন নিরাপত্তা সদস্য দায়িত্ব পালন করবেন।
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা আরও জানান, বিজিবির ৩৩ হাজার সদস্য (১ হাজার ১০০ প্লাটুন) নির্বাচনে দায়িত্ব পালনের জন্য প্রশিক্ষণ সম্পন্ন করছেন, যা ডিসেম্বরের ৩১ তারিখের মধ্যে শেষ হবে বলে আশা করা হচ্ছে। ২০২৬ সালের ১৫ জানুয়ারির মধ্যে সব প্রশিক্ষণ সম্পন্ন হবে। এ ছাড়া সংসদ নির্বাচনের সময় আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় ৮০ হাজার সশস্ত্র বাহিনীর সদস্য ‘স্ট্রাইকিং ফোর্স’ হিসেবে মাঠে থাকবে।
জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী জানান, নির্বাচনকালীন সমন্বয়ের জন্য পুলিশ সদর দপ্তর এবং প্রতিটি জেলায় নির্বাচন কন্ট্রোল রুম স্থাপন করা হবে। ভোটকেন্দ্রগুলোতে স্বচ্ছতা নিশ্চিত করতে সিসিটিভি ক্যামেরা ও বডি ওর্ন ক্যামেরা ব্যবহার করা হবে।
তিনি বলেন, নির্বাচন চলাকালে মোবাইল টিম ও স্ট্রাইকিং ফোর্স সারা দেশে প্রস্তুত থাকবে যাতে কোনো নিরাপত্তাজনিত সমস্যা দেখা দিলে দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছাতে পারে। এ ছাড়া নির্বাচন দায়িত্ব পালনের জন্য ১০ হাজার ২৬৪ পুলিশ সদস্য, ২ হাজার ১৪৫ আনসার ও ভিডিপি সদস্য, ৫ হাজার ৫১৩ বিজিবি সদস্য এবং ৬৩৪ কোস্ট গার্ড সদস্য নতুন করে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।

আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে পুলিশ বাহিনীর ৪৮ হাজার ১৩৪ সদস্য তাঁদের নির্বাচনী প্রশিক্ষণ সম্পন্ন করেছেন। নির্বাচনে পেশাদারত্বের সঙ্গে দায়িত্ব পালনের লক্ষ্যে পুলিশ সদস্যদের দক্ষতা ও সক্ষমতা বাড়ানোর জন্য তাঁদের এই প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়।
আজ মঙ্গলবার পুলিশ সদর দপ্তর থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
নির্বাচনী প্রশিক্ষণ কার্যক্রম চলমান রয়েছে উল্লেখ করে সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, বাংলাদেশ পুলিশের ৪৮ হাজার ১৩৪ জন সদস্য এ পর্যন্ত নির্বাচনী প্রশিক্ষণ গ্রহণ করেছেন। এর আগে গত ৩১ আগস্ট থেকে ২ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত এ প্রশিক্ষণের ওপর ট্রেনিং অব ট্রেইনার্স কোর্স অনুষ্ঠিত হয়েছে।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আরও জানানো হয়, পুলিশের প্রায় দেড় লাখ সদস্য আগামী সংসদ নির্বাচনে মাঠ পর্যায়ে দায়িত্ব পালন করবেন। তাঁদের প্রত্যেকের কর্মকাণ্ড জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে নিরীক্ষিত হবে। প্রশিক্ষণের মাধ্যমে প্রত্যেক পুলিশ সদস্যকে দক্ষ ও সুশৃঙ্খল হিসেবে গড়ে তোলাই নির্বাচনী প্রশিক্ষণের মূল লক্ষ্য।
পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি), বাংলাদেশ পুলিশের চলমান নির্বাচনী প্রশিক্ষণ নিবিড় তদারকির মাধ্যমে পরিচালনার জন্য পুলিশের সকল ইউনিট প্রধানকে বিশেষ নির্দেশনা প্রদান করেছেন। পুলিশ হেডকোয়ার্টার্স থেকে প্রশিক্ষণ কার্যক্রম যথাযথভাবে মনিটর করা হচ্ছে।
আইজিপি মাঠপর্যায়ে নির্বাচনী প্রশিক্ষণ কার্যক্রম সরেজমিনে পরিদর্শনের জন্য গত বোরবার (২ নভেম্বর) রাজশাহী ও বগুড়া সফর করেছেন। তিনি নির্বাচনী প্রশিক্ষণ কর্মশালায় প্রশিক্ষণার্থী পুলিশ সদস্যদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন এবং প্রয়োজনীয় দিক নির্দেশনা প্রদান করেন।
এর আগে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লে. জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী গত ৭ সেপ্টেম্বর রাজারবাগ পুলিশ লাইনসে বাংলাদেশ এই নির্বাচনী প্রশিক্ষণ কার্যক্রম উদ্বোধন করেন। চলমান নির্বাচনী প্রশিক্ষণ আগামী মধ্য জানুয়ারি পর্যন্ত চলবে। জাতীয় নির্বাচনকে ঘিরে পুলিশ সদস্যদের এ ধরনের প্রশিক্ষণ আয়োজন এবারই প্রথম।
পুলিশ সদর দপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, দেশজুড়ে বাংলাদেশ পুলিশের ১৩০টি ছোট ও চারটি বড় প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে পুলিশ সদস্যদের নির্বাচনী দায়িত্ব পালনের জন্য প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে।
সম্প্রতি স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা জানিয়েছেন, সরকার ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন আয়োজনের জন্য সম্পূর্ণ প্রস্তুত। নির্বাচন প্রস্তুতির অংশ হিসেবে মোট ৭ লাখ ৬৮ হাজার আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য—পুলিশ, বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) এবং আনসার ও ভিডিপি সদস্য নিরপেক্ষ ও দক্ষভাবে দায়িত্ব পালনের লক্ষ্যে বিশেষ নির্বাচন-সংক্রান্ত প্রশিক্ষণ নিচ্ছেন।
এর মধ্যে ১ লাখ ৫০ হাজার পুলিশ সদস্যকে আইন ও নির্বাচন বিশেষজ্ঞদের পরামর্শে পুলিশ সদর দপ্তরের মানবসম্পদ বিভাগ প্রণীত নয়টি প্রশিক্ষণ মডিউলের আওতায় প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে।
এ ছাড়া দেশের ৪৫ হাজার ভোটকেন্দ্রে নিয়োগের লক্ষ্যে ৫ লাখ ৮৫ হাজার আনসার ও ভিডিপি সদস্য প্রশিক্ষণ নিচ্ছেন। যার মধ্যে ১ লাখ ৩৫ হাজার সশস্ত্র এবং ৪ লাখ ৫০ হাজার নিরস্ত্র সদস্য রয়েছেন। প্রতিটি ভোটকেন্দ্রে গড়ে ১৩ জন নিরাপত্তা সদস্য দায়িত্ব পালন করবেন।
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা আরও জানান, বিজিবির ৩৩ হাজার সদস্য (১ হাজার ১০০ প্লাটুন) নির্বাচনে দায়িত্ব পালনের জন্য প্রশিক্ষণ সম্পন্ন করছেন, যা ডিসেম্বরের ৩১ তারিখের মধ্যে শেষ হবে বলে আশা করা হচ্ছে। ২০২৬ সালের ১৫ জানুয়ারির মধ্যে সব প্রশিক্ষণ সম্পন্ন হবে। এ ছাড়া সংসদ নির্বাচনের সময় আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় ৮০ হাজার সশস্ত্র বাহিনীর সদস্য ‘স্ট্রাইকিং ফোর্স’ হিসেবে মাঠে থাকবে।
জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী জানান, নির্বাচনকালীন সমন্বয়ের জন্য পুলিশ সদর দপ্তর এবং প্রতিটি জেলায় নির্বাচন কন্ট্রোল রুম স্থাপন করা হবে। ভোটকেন্দ্রগুলোতে স্বচ্ছতা নিশ্চিত করতে সিসিটিভি ক্যামেরা ও বডি ওর্ন ক্যামেরা ব্যবহার করা হবে।
তিনি বলেন, নির্বাচন চলাকালে মোবাইল টিম ও স্ট্রাইকিং ফোর্স সারা দেশে প্রস্তুত থাকবে যাতে কোনো নিরাপত্তাজনিত সমস্যা দেখা দিলে দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছাতে পারে। এ ছাড়া নির্বাচন দায়িত্ব পালনের জন্য ১০ হাজার ২৬৪ পুলিশ সদস্য, ২ হাজার ১৪৫ আনসার ও ভিডিপি সদস্য, ৫ হাজার ৫১৩ বিজিবি সদস্য এবং ৬৩৪ কোস্ট গার্ড সদস্য নতুন করে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।

শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর দায়িত্ব নেওয়া অন্তর্বর্তী সরকার ৯ মাস পার করল; কিন্তু গুরুত্বপূর্ণ বিভিন্ন ইস্যুতে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে মতানৈক্য এবং রাজপথে প্রতিদিনের আন্দোলনে এখনো সুস্থির হতে পারছে না।
২৪ মে ২০২৫
গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ (আরপিও) সংশোধন করে সরকার অধ্যাদেশ জারি করেছে। আজ মঙ্গলবার (৪ নভেম্বর) সকালে আইন মন্ত্রণালয় সূত্রে এই তথ্য জানা গেছে। আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের লেজিসলেটিভ ও সংসদবিষয়ক বিভাগ থেকে গতকাল সোমবার অধ্যাদেশ জারি করা হয়।
৫ ঘণ্টা আগে
আইন মন্ত্রণালয় থেকে সম্প্রতি ১১ শতাধিক বিচার বিভাগীয় কর্মকর্তাকে পদোন্নতির প্যানেলভুক্ত করার প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে। প্রস্তাবটি অনুমোদনের জন্য আজ মঙ্গলবার সুপ্রিম কোর্টের ফুলকোর্ট সভায় উঠছে। এ সভায় বিষয়টি অনুমোদিত হলে তা আবারও পাঠানো হবে আইন মন্ত্রণালয়ে। এরপর সময়ে সময়ে ওই প্যানেল থেকে পদোন্নতি দেওয়া
১১ ঘণ্টা আগে
জুলাই জাতীয় সনদ বাস্তবায়ন প্রশ্নে গণভোট এবং নোট অব ডিসেন্ট (আপত্তি) নিয়ে সৃষ্টি হওয়া সংকট সমাধানের ভার রাজনৈতিক দলগুলোর ওপর ছেড়ে দিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার। আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে দলগুলো ঐক্যবদ্ধ সিদ্ধান্ত দিতে না পারলে সরকার নিজেদের মতো করে সিদ্ধান্ত দেবে। গতকাল সোমবার প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউ
১১ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ (আরপিও) সংশোধন করে সরকার অধ্যাদেশ জারি করেছে। আজ মঙ্গলবার (৪ নভেম্বর) সকালে আইন মন্ত্রণালয় সূত্রে এই তথ্য জানা গেছে। তবে আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের লেজিসলেটিভ ও সংসদবিষয়ক বিভাগ থেকে গতকাল সোমবার অধ্যাদেশ জারি করা হয়।
সংশোধিত আরপিওতে জোটবদ্ধ নির্বাচনের ক্ষেত্রে প্রতীক পছন্দের বিষয়ে বলা হয়েছে, দুই বা ততোধিক নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলের সমন্বয়ের ক্ষেত্রে যারা নির্বাচনে যৌথ প্রার্থী মনোনীত করতে সম্মত হয়েছে, তারা প্রার্থী যে দলের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট, সেই রাজনৈতিক দলের জন্য সংরক্ষিত প্রতীক বরাদ্দ করবে।
প্রস্তাবিত আরপিওতে জোট প্রার্থীর নিজস্ব দলীয় প্রতীকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার বাধ্যবাধকতা রাখা হয়েছিল। এ বিষয়টি নিয়ে বিএনপি তীব্র আপত্তি জানায়। এটি সংশোধনের আবেদন জানিয়ে আনুষ্ঠানিক চিঠিও দিয়েছিল তারা। তবে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) ও জামায়াতে ইসলামী বিধানটি রাখার পক্ষে।
আরপিওতে এবার ‘না’ ভোটের বিধানও যুক্ত করা হয়েছে। এতে বলা হয়েছে, যাচাই-বাছাই বা পর্যালোচনার পর একটি আসন থেকে সদস্য হিসেবে নির্বাচনের জন্য মাত্র একজন ব্যক্তি বৈধভাবে মনোনীত থাকেন অথবা প্রার্থিতা প্রত্যাহারের পর মাত্র একজন প্রার্থী অবশিষ্ট থাকেন, সে ক্ষেত্রে নির্বাচনটি একক প্রার্থী এবং 'না ভোট' (No Vote) বিকল্পের মধ্যে অনুষ্ঠিত হবে।
যদি প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী কর্তৃক প্রাপ্ত ভোটের সংখ্যা 'না ভোট'-এর সংখ্যা অপেক্ষা বেশি হয়, তাহলে রিটার্নিং কর্মকর্তা জনবিজ্ঞপ্তি দ্বারা ওই প্রার্থীকে নির্বাচিত বলে ঘোষণা করবেন।
যদি 'না ভোট'-এর সংখ্যা প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী কর্তৃক প্রাপ্ত ভোটের সংখ্যা অপেক্ষা বেশি হয়, তবে নতুন সময়সূচি ঘোষণা করে সেই নির্বাচনী এলাকায় নতুন নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।

গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ (আরপিও) সংশোধন করে সরকার অধ্যাদেশ জারি করেছে। আজ মঙ্গলবার (৪ নভেম্বর) সকালে আইন মন্ত্রণালয় সূত্রে এই তথ্য জানা গেছে। তবে আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের লেজিসলেটিভ ও সংসদবিষয়ক বিভাগ থেকে গতকাল সোমবার অধ্যাদেশ জারি করা হয়।
সংশোধিত আরপিওতে জোটবদ্ধ নির্বাচনের ক্ষেত্রে প্রতীক পছন্দের বিষয়ে বলা হয়েছে, দুই বা ততোধিক নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলের সমন্বয়ের ক্ষেত্রে যারা নির্বাচনে যৌথ প্রার্থী মনোনীত করতে সম্মত হয়েছে, তারা প্রার্থী যে দলের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট, সেই রাজনৈতিক দলের জন্য সংরক্ষিত প্রতীক বরাদ্দ করবে।
প্রস্তাবিত আরপিওতে জোট প্রার্থীর নিজস্ব দলীয় প্রতীকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার বাধ্যবাধকতা রাখা হয়েছিল। এ বিষয়টি নিয়ে বিএনপি তীব্র আপত্তি জানায়। এটি সংশোধনের আবেদন জানিয়ে আনুষ্ঠানিক চিঠিও দিয়েছিল তারা। তবে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) ও জামায়াতে ইসলামী বিধানটি রাখার পক্ষে।
আরপিওতে এবার ‘না’ ভোটের বিধানও যুক্ত করা হয়েছে। এতে বলা হয়েছে, যাচাই-বাছাই বা পর্যালোচনার পর একটি আসন থেকে সদস্য হিসেবে নির্বাচনের জন্য মাত্র একজন ব্যক্তি বৈধভাবে মনোনীত থাকেন অথবা প্রার্থিতা প্রত্যাহারের পর মাত্র একজন প্রার্থী অবশিষ্ট থাকেন, সে ক্ষেত্রে নির্বাচনটি একক প্রার্থী এবং 'না ভোট' (No Vote) বিকল্পের মধ্যে অনুষ্ঠিত হবে।
যদি প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী কর্তৃক প্রাপ্ত ভোটের সংখ্যা 'না ভোট'-এর সংখ্যা অপেক্ষা বেশি হয়, তাহলে রিটার্নিং কর্মকর্তা জনবিজ্ঞপ্তি দ্বারা ওই প্রার্থীকে নির্বাচিত বলে ঘোষণা করবেন।
যদি 'না ভোট'-এর সংখ্যা প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী কর্তৃক প্রাপ্ত ভোটের সংখ্যা অপেক্ষা বেশি হয়, তবে নতুন সময়সূচি ঘোষণা করে সেই নির্বাচনী এলাকায় নতুন নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।

শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর দায়িত্ব নেওয়া অন্তর্বর্তী সরকার ৯ মাস পার করল; কিন্তু গুরুত্বপূর্ণ বিভিন্ন ইস্যুতে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে মতানৈক্য এবং রাজপথে প্রতিদিনের আন্দোলনে এখনো সুস্থির হতে পারছে না।
২৪ মে ২০২৫
পুলিশের প্রায় দেড় লাখ সদস্য আগামী সংসদ নির্বাচনে মাঠ পর্যায়ে দায়িত্ব পালন করবেন। তাঁদের প্রত্যেকের কর্মকাণ্ড জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে নিরীক্ষিত হবে। প্রশিক্ষণের মাধ্যমে প্রত্যেক পুলিশ সদস্যকে দক্ষ ও সুশৃঙ্খল হিসেবে গড়ে তোলাই নির্বাচনী প্রশিক্ষণের মূল লক্ষ্য।
১ ঘণ্টা আগে
আইন মন্ত্রণালয় থেকে সম্প্রতি ১১ শতাধিক বিচার বিভাগীয় কর্মকর্তাকে পদোন্নতির প্যানেলভুক্ত করার প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে। প্রস্তাবটি অনুমোদনের জন্য আজ মঙ্গলবার সুপ্রিম কোর্টের ফুলকোর্ট সভায় উঠছে। এ সভায় বিষয়টি অনুমোদিত হলে তা আবারও পাঠানো হবে আইন মন্ত্রণালয়ে। এরপর সময়ে সময়ে ওই প্যানেল থেকে পদোন্নতি দেওয়া
১১ ঘণ্টা আগে
জুলাই জাতীয় সনদ বাস্তবায়ন প্রশ্নে গণভোট এবং নোট অব ডিসেন্ট (আপত্তি) নিয়ে সৃষ্টি হওয়া সংকট সমাধানের ভার রাজনৈতিক দলগুলোর ওপর ছেড়ে দিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার। আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে দলগুলো ঐক্যবদ্ধ সিদ্ধান্ত দিতে না পারলে সরকার নিজেদের মতো করে সিদ্ধান্ত দেবে। গতকাল সোমবার প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউ
১১ ঘণ্টা আগেএস এম নূর মোহাম্মদ, ঢাকা

আইন মন্ত্রণালয় থেকে সম্প্রতি ১১ শতাধিক বিচার বিভাগীয় কর্মকর্তাকে পদোন্নতির প্যানেলভুক্ত করার প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে। প্রস্তাবটি অনুমোদনের জন্য আজ মঙ্গলবার সুপ্রিম কোর্টের ফুলকোর্ট সভায় উঠছে। এ সভায় বিষয়টি অনুমোদিত হলে তা আবারও পাঠানো হবে আইন মন্ত্রণালয়ে। এরপর সময়ে সময়ে ওই প্যানেল থেকে পদোন্নতি দেওয়া হবে।
বিচার বিভাগীয় কর্মকর্তাদের পদোন্নতির জন্য প্যানেল তৈরি করে রাখা হয়। পদ খালি হলে পর্যায়ক্রমে শূন্য পদে পদোন্নতি দেওয়া হয় ওই প্যানেল থেকে। সুপ্রিম কোর্টের আপিল ও হাইকোর্ট বিভাগের সব বিচারপতির অংশগ্রহণে আজ ফুলকোর্ট সভা ডেকেছেন প্রধান বিচারপতি ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদ। বেলা ৩টায় সুপ্রিম কোর্টের কনফারেন্স রুমে এই সভা অনুষ্ঠিত হবে।
সুপ্রিম কোর্টে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, পদোন্নতির জন্য প্যানেলে রয়েছেন অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ থেকে জেলা ও দায়রা জজ পদের জন্য ৩৪৫ জন, যুগ্ম জেলা ও দায়রা জজ থেকে অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ পদে ২০৭ জন, সিনিয়র সহকারী জজ থেকে যুগ্ম জেলা ও দায়রা জজ পদে ৫৫১ জন। সব মিলিয়ে এবারের পদোন্নতির প্যানেলে ১ হাজার ১০৩ জন বিচারিক কর্মকর্তার নাম রয়েছে।
এবারের পদোন্নতির প্যানেলে কয়েকজন বিতর্কিত বিচার বিভাগীয় কর্মকর্তার নাম রয়েছে বলে জানিয়েছে একটি সূত্র। ওই কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশনে অনুসন্ধান চলমান রয়েছে। তাঁদের পদোন্নতির বিষয়ে অবশ্য চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবেন ফুলকোর্ট সভা। ফুলকোর্ট সভার মতামত অনুযায়ী পদোন্নতির বিষয়ে পদক্ষেপ নেবে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়।
এবারের মতো এত বেশিসংখ্যক কর্মকর্তার নাম কখনো একসঙ্গে পদোন্নতির প্যানেলে পাঠানো হয়নি বলে জানিয়েছেন একাধিক বিচার বিভাগীয় কর্মকর্তা। এই বিষয়ে জানতে চাইলে বাংলাদেশ জুডিশিয়াল সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মো. আমিরুল ইসলাম আজকের পত্রিকাকে বলেন, সম্প্রতি ১৯১টি জেলা জজের পদ সৃষ্টি হয়েছে। এ ছাড়া দেওয়ানি ও ফৌজদারি আদালত পৃথক করায় নতুন আদালত সৃষ্টি হয়েছে। এ কারণেই একসঙ্গে এত বিচারকের পদোন্নতির জন্য প্যানেল করে রাখতে হচ্ছে।
এ নিয়ে জানতে চাইলে সুপ্রিম কোর্টের স্পেশাল অফিসার মো. মোয়াজ্জেম হোছাইনও কিছুটা অনুরূপ জবাব দেন। তিনি আজকের পত্রিকাকে বলেন, এবারের ফুলকোর্টে ২০২৬ সালের ক্যালেন্ডার ও পদোন্নতি-সংক্রান্ত কিছু বিষয় অনুমোদনের জন্য রয়েছে। ...আড়াই শর মতো নতুন পদ সৃষ্টি হয়েছে। এ ছাড়া বিভিন্ন ব্যাচের একসঙ্গে পদোন্নতির জন্য প্রস্তাব এসেছে। এ কারণে সংখ্যাটা বেশি মনে হচ্ছে। তবে এটি স্বাভাবিক।’
সব মন্ত্রণালয়ে পদোন্নতির জন্য ডিপিসি (বিভাগীয় পদোন্নতি কমিটি) থাকে। এ কমিটি পদোন্নতির প্যানেল চূড়ান্ত করার পর তা প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় হয়ে রাষ্ট্রপতির দপ্তরে যায়। রাষ্ট্রপতি অনুমোদন দিলে এক দিনেই প্যানেলের সবার পদোন্নতির আদেশ জারি করা হয়। তবে বিচারকদের ক্ষেত্রে প্যানেল চূড়ান্ত করার পর তা সুপ্রিম কোর্টে পাঠানো হয়। বাছাই কমিটির মাধ্যমে বিষয়টি সুপ্রিম কোর্টের ফুলকোর্ট সভায় ওঠে। সভায় অনুমোদন দেওয়ার পর তা আবার মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়। মন্ত্রণালয় থেকে তা প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় হয়ে রাষ্ট্রপতির দপ্তরে যায়। রাষ্ট্রপতি অনুমোদন দিলে ওই প্যানেল আইন মন্ত্রণালয়ে সংরক্ষিত থাকে। এরপর পদ খালি হওয়া সাপেক্ষে সময়ে সময়ে আদেশ জারি করা হয়।
বাংলাদেশ জুডিশিয়াল সার্ভিস বিধিমালা ২০০৭ অনুযায়ী সিনিয়র সহকারী জজ পদে পদোন্নতির জন্য সহকারী জজদের এই পদে চার বছর দায়িত্ব পালনের শর্ত পূরণ করতে হয়। সিনিয়র সহকারী জজদের যুগ্ম জেলা জজ পদে পদোন্নতির জন্য দুই বছর, যুগ্ম জেলা জজ থেকে অতিরিক্ত জেলা জজ পদে পদোন্নতির জন্য দুই বছর এবং অতিরিক্ত জেলা জজ থেকে জেলা জজ পদে পদোন্নতির জন্য দুই বছরের শর্ত পূরণ করতে হয়। তবে বিচার বিভাগীয় কর্মকর্তাদের পদোন্নতির ক্ষেত্রে অনেক সময় এই নিয়ম মানা হয় না। অনেকেই প্যানেলভুক্ত হয়ে থাকেন বছরের পর বছর।

আইন মন্ত্রণালয় থেকে সম্প্রতি ১১ শতাধিক বিচার বিভাগীয় কর্মকর্তাকে পদোন্নতির প্যানেলভুক্ত করার প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে। প্রস্তাবটি অনুমোদনের জন্য আজ মঙ্গলবার সুপ্রিম কোর্টের ফুলকোর্ট সভায় উঠছে। এ সভায় বিষয়টি অনুমোদিত হলে তা আবারও পাঠানো হবে আইন মন্ত্রণালয়ে। এরপর সময়ে সময়ে ওই প্যানেল থেকে পদোন্নতি দেওয়া হবে।
বিচার বিভাগীয় কর্মকর্তাদের পদোন্নতির জন্য প্যানেল তৈরি করে রাখা হয়। পদ খালি হলে পর্যায়ক্রমে শূন্য পদে পদোন্নতি দেওয়া হয় ওই প্যানেল থেকে। সুপ্রিম কোর্টের আপিল ও হাইকোর্ট বিভাগের সব বিচারপতির অংশগ্রহণে আজ ফুলকোর্ট সভা ডেকেছেন প্রধান বিচারপতি ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদ। বেলা ৩টায় সুপ্রিম কোর্টের কনফারেন্স রুমে এই সভা অনুষ্ঠিত হবে।
সুপ্রিম কোর্টে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, পদোন্নতির জন্য প্যানেলে রয়েছেন অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ থেকে জেলা ও দায়রা জজ পদের জন্য ৩৪৫ জন, যুগ্ম জেলা ও দায়রা জজ থেকে অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ পদে ২০৭ জন, সিনিয়র সহকারী জজ থেকে যুগ্ম জেলা ও দায়রা জজ পদে ৫৫১ জন। সব মিলিয়ে এবারের পদোন্নতির প্যানেলে ১ হাজার ১০৩ জন বিচারিক কর্মকর্তার নাম রয়েছে।
এবারের পদোন্নতির প্যানেলে কয়েকজন বিতর্কিত বিচার বিভাগীয় কর্মকর্তার নাম রয়েছে বলে জানিয়েছে একটি সূত্র। ওই কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশনে অনুসন্ধান চলমান রয়েছে। তাঁদের পদোন্নতির বিষয়ে অবশ্য চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবেন ফুলকোর্ট সভা। ফুলকোর্ট সভার মতামত অনুযায়ী পদোন্নতির বিষয়ে পদক্ষেপ নেবে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়।
এবারের মতো এত বেশিসংখ্যক কর্মকর্তার নাম কখনো একসঙ্গে পদোন্নতির প্যানেলে পাঠানো হয়নি বলে জানিয়েছেন একাধিক বিচার বিভাগীয় কর্মকর্তা। এই বিষয়ে জানতে চাইলে বাংলাদেশ জুডিশিয়াল সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মো. আমিরুল ইসলাম আজকের পত্রিকাকে বলেন, সম্প্রতি ১৯১টি জেলা জজের পদ সৃষ্টি হয়েছে। এ ছাড়া দেওয়ানি ও ফৌজদারি আদালত পৃথক করায় নতুন আদালত সৃষ্টি হয়েছে। এ কারণেই একসঙ্গে এত বিচারকের পদোন্নতির জন্য প্যানেল করে রাখতে হচ্ছে।
এ নিয়ে জানতে চাইলে সুপ্রিম কোর্টের স্পেশাল অফিসার মো. মোয়াজ্জেম হোছাইনও কিছুটা অনুরূপ জবাব দেন। তিনি আজকের পত্রিকাকে বলেন, এবারের ফুলকোর্টে ২০২৬ সালের ক্যালেন্ডার ও পদোন্নতি-সংক্রান্ত কিছু বিষয় অনুমোদনের জন্য রয়েছে। ...আড়াই শর মতো নতুন পদ সৃষ্টি হয়েছে। এ ছাড়া বিভিন্ন ব্যাচের একসঙ্গে পদোন্নতির জন্য প্রস্তাব এসেছে। এ কারণে সংখ্যাটা বেশি মনে হচ্ছে। তবে এটি স্বাভাবিক।’
সব মন্ত্রণালয়ে পদোন্নতির জন্য ডিপিসি (বিভাগীয় পদোন্নতি কমিটি) থাকে। এ কমিটি পদোন্নতির প্যানেল চূড়ান্ত করার পর তা প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় হয়ে রাষ্ট্রপতির দপ্তরে যায়। রাষ্ট্রপতি অনুমোদন দিলে এক দিনেই প্যানেলের সবার পদোন্নতির আদেশ জারি করা হয়। তবে বিচারকদের ক্ষেত্রে প্যানেল চূড়ান্ত করার পর তা সুপ্রিম কোর্টে পাঠানো হয়। বাছাই কমিটির মাধ্যমে বিষয়টি সুপ্রিম কোর্টের ফুলকোর্ট সভায় ওঠে। সভায় অনুমোদন দেওয়ার পর তা আবার মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়। মন্ত্রণালয় থেকে তা প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় হয়ে রাষ্ট্রপতির দপ্তরে যায়। রাষ্ট্রপতি অনুমোদন দিলে ওই প্যানেল আইন মন্ত্রণালয়ে সংরক্ষিত থাকে। এরপর পদ খালি হওয়া সাপেক্ষে সময়ে সময়ে আদেশ জারি করা হয়।
বাংলাদেশ জুডিশিয়াল সার্ভিস বিধিমালা ২০০৭ অনুযায়ী সিনিয়র সহকারী জজ পদে পদোন্নতির জন্য সহকারী জজদের এই পদে চার বছর দায়িত্ব পালনের শর্ত পূরণ করতে হয়। সিনিয়র সহকারী জজদের যুগ্ম জেলা জজ পদে পদোন্নতির জন্য দুই বছর, যুগ্ম জেলা জজ থেকে অতিরিক্ত জেলা জজ পদে পদোন্নতির জন্য দুই বছর এবং অতিরিক্ত জেলা জজ থেকে জেলা জজ পদে পদোন্নতির জন্য দুই বছরের শর্ত পূরণ করতে হয়। তবে বিচার বিভাগীয় কর্মকর্তাদের পদোন্নতির ক্ষেত্রে অনেক সময় এই নিয়ম মানা হয় না। অনেকেই প্যানেলভুক্ত হয়ে থাকেন বছরের পর বছর।

শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর দায়িত্ব নেওয়া অন্তর্বর্তী সরকার ৯ মাস পার করল; কিন্তু গুরুত্বপূর্ণ বিভিন্ন ইস্যুতে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে মতানৈক্য এবং রাজপথে প্রতিদিনের আন্দোলনে এখনো সুস্থির হতে পারছে না।
২৪ মে ২০২৫
পুলিশের প্রায় দেড় লাখ সদস্য আগামী সংসদ নির্বাচনে মাঠ পর্যায়ে দায়িত্ব পালন করবেন। তাঁদের প্রত্যেকের কর্মকাণ্ড জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে নিরীক্ষিত হবে। প্রশিক্ষণের মাধ্যমে প্রত্যেক পুলিশ সদস্যকে দক্ষ ও সুশৃঙ্খল হিসেবে গড়ে তোলাই নির্বাচনী প্রশিক্ষণের মূল লক্ষ্য।
১ ঘণ্টা আগে
গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ (আরপিও) সংশোধন করে সরকার অধ্যাদেশ জারি করেছে। আজ মঙ্গলবার (৪ নভেম্বর) সকালে আইন মন্ত্রণালয় সূত্রে এই তথ্য জানা গেছে। আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের লেজিসলেটিভ ও সংসদবিষয়ক বিভাগ থেকে গতকাল সোমবার অধ্যাদেশ জারি করা হয়।
৫ ঘণ্টা আগে
জুলাই জাতীয় সনদ বাস্তবায়ন প্রশ্নে গণভোট এবং নোট অব ডিসেন্ট (আপত্তি) নিয়ে সৃষ্টি হওয়া সংকট সমাধানের ভার রাজনৈতিক দলগুলোর ওপর ছেড়ে দিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার। আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে দলগুলো ঐক্যবদ্ধ সিদ্ধান্ত দিতে না পারলে সরকার নিজেদের মতো করে সিদ্ধান্ত দেবে। গতকাল সোমবার প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউ
১১ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

জুলাই জাতীয় সনদ বাস্তবায়ন প্রশ্নে গণভোট এবং নোট অব ডিসেন্ট (আপত্তি) নিয়ে সৃষ্টি হওয়া সংকট সমাধানের ভার রাজনৈতিক দলগুলোর ওপর ছেড়ে দিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার। আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে দলগুলো ঐক্যবদ্ধ সিদ্ধান্ত দিতে না পারলে সরকার নিজেদের মতো করে সিদ্ধান্ত দেবে। গতকাল সোমবার প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সভাপতিত্বে উপদেষ্টা পরিষদের বিশেষ বৈঠকে এমন সিদ্ধান্ত হয়।
প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে সকাল সাড়ে ৯টা থেকে শুরু হওয়া বৈঠক চলে প্রায় ২ ঘণ্টা। পরে বৈঠকের বিষয় নিয়ে আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল সংবাদ সম্মেলন করেন। তিনি জানান, জুলাই সনদের গুরুত্ব প্রস্তাবে ও গণভোটের দিনক্ষণ নিয়ে দলগুলোর মতভিন্নতায় উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়েছে।
সংকট সমাধানে ফ্যাসিবাদবিরোধী আন্দোলনের সহযোগী দলগুলোকে নিজেদের উদ্যোগে বৈঠক করার আহ্বান জানিয়েছে উপদেষ্টা পরিষদ। আসিফ নজরুল বলেন, ‘দলগুলোকে স্বীয় উদ্যোগে নিজেদের মধ্যে আলাপ-আলোচনা করে দ্রুততম সময়ে (সম্ভব হলে আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে) সরকারকে ঐক্যবদ্ধ দিকনির্দেশনা প্রদান করার আহ্বান জানানো হয়েছে। এমন নির্দেশনা পেলে সরকারের পক্ষে সিদ্ধান্ত গ্রহণ অনেক সহজ হবে। বর্তমান পরিস্থিতিতে কালক্ষেপণের যে কোনো সুযোগ নেই, তা-ও আমাদের সবার বিবেচনায় রাখা প্রয়োজন।’
আদেশ কবে জারি হতে পারে—এমন প্রশ্নের জবাবে আসিফ নজরুল বলেন, ‘ফ্যাসিবাদবিরোধী আন্দোলনে রাজনৈতিক দলগুলো ঐক্যবদ্ধ আন্দোলন করেছে। তাঁদের কিছু সময় দিতে চায় সরকার। যেসব বিষয় উল্লেখ করেছি, সেগুলোতে তারা আলোচনা করে একমত হতে পারে কি না, আমরা দেখি।’
দলগুলো একমত না হলে সরকার কী করবে, এমন প্রশ্নের জবাবে আসিফ নজরুল বলেন, ‘আমরা অপেক্ষা করব, তারপর অবশ্যই সরকার সরকারের মতো সিদ্ধান্ত (অ্যাক্ট) নেবে।’
রাজনৈতিক দলগুলোকে আলোচনার আয়োজন সরকার করে দেবে না কি, এমন প্রশ্নের জবাবে আসিফ নজরুল বলেন, ‘সরকারের আয়োজনে বহু আলোচনা হয়েছে। সরকার আর কোনো আয়োজন করতে যাচ্ছে না। ফ্যাসিবাদ- বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলো গত ১৫ বছর নিজেরা নিজেরা আলোচনা করে বহু গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নিয়েছে। তাঁরা অত্যন্ত প্রতিকূল সময়ে একসঙ্গে আন্দোলন করেছেন, নির্যাতনের শিকার হয়েছেন।
এখন তাঁরা নিজ উদ্যোগে আলোচনা করে ঐক্যবদ্ধ সিদ্ধান্ত নেবেন, এ প্রত্যাশা করছি। আমি কালকেই দেখলাম একটি দলের পক্ষ থেকে আলোচনার আহ্বান জানানো হয়েছে—আমরা এটাকে স্বাগত জানাই।’
জাতীয় ঐকমত্য কমিশন গত ২৭ অক্টোবর অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টার কাছে জুলাই জাতীয় সনদ বাস্তবায়ন বিষয়ে সুপারিশ জমা দেয়। যেখানে জুলাই জাতীয় সনদ (সংবিধান সংস্কার) বাস্তবায়ন আদেশ জারির কথা বলা হয়। পাশাপাশি সনদ বাস্তবায়নে দুটি বিকল্প প্রস্তাব দেওয়া হয়। প্রথম প্রস্তাবে বলা হয়েছে, গণভোটের আগে সরকার জাতীয় সনদের ভিত্তিতে একটি খসড়া বিল প্রস্তুত করবে, যা গণভোটে উপস্থাপন করা হবে। ফল ইতিবাচক হলে নবনির্বাচিত সংসদ সদস্যরা একই সঙ্গে এমপি ও সংবিধান সংস্কার পরিষদের সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন। তাঁরা প্রথম অধিবেশন থেকে ২৭০ দিনের মধ্যে সংস্কার সম্পন্ন করবেন। নির্ধারিত সময় পার হলে বিলটি স্বয়ংক্রিয়ভাবে কার্যকর হবে।
দ্বিতীয় প্রস্তাবে বিলের কথা বলা নেই। এক্ষেত্রে সংবিধান সংস্কার পরিষদকে গাঠনিক ক্ষমতা দেওয়া হয়। তবে তারা প্রথম অধিবেশন শুরুর ২৭০ দিনের মধ্যে জুলাই সনদ অনুসারে সংবিধান সংস্কার শেষ করবে এবং এরপর পরিষদের কার্যক্রম শেষ হবে। বাকি ধারাগুলো একই আছে। দুটি প্রস্তাবেই পরিষদের কার্যক্রম শেষ হওয়ার ৪৫ দিনের মধ্যে পিআরের ভিত্তিতে উচ্চকক্ষ গঠনের কথা বলা হয়েছে।
বাস্তবায়নের সুপারিশে নোট অব ডিসেন্ট না থাকায় এর সমালোচনা করছে বিএনপি। দলটি আপত্তির বিষয়টি সনদে যুক্ত করার দাবি জানিয়েছে। জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) বলেছে, প্রধান উপদেষ্টার মাধ্যমে আদেশ জারি করতে হবে, দলটি গণভোটের প্রশ্নে ছাড় দিতে চায়।
গত সপ্তাহে গণপ্রতিনিধিত্ব অধ্যাদেশ (আরপিও) সংশোধন করা হয়। সেখানে বলা হয়, জোটভুক্ত দলগুলোকে নিজ দলের প্রতীকেই ভোট করতে হবে। বিষয়টিতেও রয়েছে আপত্তি বিএনপির। এটি সংশোধনে দলের পক্ষ থেকে আইন উপদেষ্টা ও প্রধান নির্বাচন কমিশনারের কাছে চিঠি দেওয়া হয়। জামায়াত ও এনসিপি জোটভুক্ত দলগুলোকে নিজ দলের প্রতীকে নির্বাচন করার পক্ষে, যা নিয়ে এক সপ্তাহ ধরে দেশের রাজনীতিতে নতুন সংকট সৃষ্টি হয়েছে।
সংকট সমাধানে গত সপ্তাহ থেকে সরকারের চার উপদেষ্টা বিএনপি, জামায়াত, এনসিপিসহ একাধিক দলের সঙ্গে অনানুষ্ঠানিক বৈঠক করেছে। সেখানে আলোচনা হয়, পিআর পদ্ধতিতে উচ্চকক্ষ ও তত্ত্বাবধায়ক সরকার নিয়ে বিএনপি আপত্তি প্রত্যাহার করলেই তারা ভোটের দিন গণভোট মেনে নেবে জামায়াত। এনসিপিও পিআরে উচ্চকক্ষের দাবি করে আসছে। অন্যদিকে বিএনপির দাবি অনুযায়ী, আরপিও সংশোধন করবে সরকার। তবে পিআরে উচ্চকক্ষ ও তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা ছাড়া সনদে থাকা বিএনপির বাকি আপত্তিগুলোর কী হবে, সেটি নিয়ে সমাধান হয়নি। কমিশনের দ্বিতীয় প্রস্তাব অনুযায়ী, ২৭০ দিনের সময়সীমা উঠিয়ে দিয়ে আদেশ জারির পরিকল্পনা সরকার নিয়েছিল। কিন্তু উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে সে সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসে সরকার। আদেশ জারির পর নতুন সংকট সৃষ্টির পথ বন্ধ করতে দলগুলোকে নিজেদের মধ্যে আলোচনা করতে এক সপ্তাহ সময় দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়। এক্ষেত্রে দলগুলো একমত না হলে আগামী সপ্তাহে সরকার আদেশ জারি করবে বলে একাধিক সূত্রে জানা গেছে।

জুলাই জাতীয় সনদ বাস্তবায়ন প্রশ্নে গণভোট এবং নোট অব ডিসেন্ট (আপত্তি) নিয়ে সৃষ্টি হওয়া সংকট সমাধানের ভার রাজনৈতিক দলগুলোর ওপর ছেড়ে দিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার। আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে দলগুলো ঐক্যবদ্ধ সিদ্ধান্ত দিতে না পারলে সরকার নিজেদের মতো করে সিদ্ধান্ত দেবে। গতকাল সোমবার প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সভাপতিত্বে উপদেষ্টা পরিষদের বিশেষ বৈঠকে এমন সিদ্ধান্ত হয়।
প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে সকাল সাড়ে ৯টা থেকে শুরু হওয়া বৈঠক চলে প্রায় ২ ঘণ্টা। পরে বৈঠকের বিষয় নিয়ে আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল সংবাদ সম্মেলন করেন। তিনি জানান, জুলাই সনদের গুরুত্ব প্রস্তাবে ও গণভোটের দিনক্ষণ নিয়ে দলগুলোর মতভিন্নতায় উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়েছে।
সংকট সমাধানে ফ্যাসিবাদবিরোধী আন্দোলনের সহযোগী দলগুলোকে নিজেদের উদ্যোগে বৈঠক করার আহ্বান জানিয়েছে উপদেষ্টা পরিষদ। আসিফ নজরুল বলেন, ‘দলগুলোকে স্বীয় উদ্যোগে নিজেদের মধ্যে আলাপ-আলোচনা করে দ্রুততম সময়ে (সম্ভব হলে আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে) সরকারকে ঐক্যবদ্ধ দিকনির্দেশনা প্রদান করার আহ্বান জানানো হয়েছে। এমন নির্দেশনা পেলে সরকারের পক্ষে সিদ্ধান্ত গ্রহণ অনেক সহজ হবে। বর্তমান পরিস্থিতিতে কালক্ষেপণের যে কোনো সুযোগ নেই, তা-ও আমাদের সবার বিবেচনায় রাখা প্রয়োজন।’
আদেশ কবে জারি হতে পারে—এমন প্রশ্নের জবাবে আসিফ নজরুল বলেন, ‘ফ্যাসিবাদবিরোধী আন্দোলনে রাজনৈতিক দলগুলো ঐক্যবদ্ধ আন্দোলন করেছে। তাঁদের কিছু সময় দিতে চায় সরকার। যেসব বিষয় উল্লেখ করেছি, সেগুলোতে তারা আলোচনা করে একমত হতে পারে কি না, আমরা দেখি।’
দলগুলো একমত না হলে সরকার কী করবে, এমন প্রশ্নের জবাবে আসিফ নজরুল বলেন, ‘আমরা অপেক্ষা করব, তারপর অবশ্যই সরকার সরকারের মতো সিদ্ধান্ত (অ্যাক্ট) নেবে।’
রাজনৈতিক দলগুলোকে আলোচনার আয়োজন সরকার করে দেবে না কি, এমন প্রশ্নের জবাবে আসিফ নজরুল বলেন, ‘সরকারের আয়োজনে বহু আলোচনা হয়েছে। সরকার আর কোনো আয়োজন করতে যাচ্ছে না। ফ্যাসিবাদ- বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলো গত ১৫ বছর নিজেরা নিজেরা আলোচনা করে বহু গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নিয়েছে। তাঁরা অত্যন্ত প্রতিকূল সময়ে একসঙ্গে আন্দোলন করেছেন, নির্যাতনের শিকার হয়েছেন।
এখন তাঁরা নিজ উদ্যোগে আলোচনা করে ঐক্যবদ্ধ সিদ্ধান্ত নেবেন, এ প্রত্যাশা করছি। আমি কালকেই দেখলাম একটি দলের পক্ষ থেকে আলোচনার আহ্বান জানানো হয়েছে—আমরা এটাকে স্বাগত জানাই।’
জাতীয় ঐকমত্য কমিশন গত ২৭ অক্টোবর অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টার কাছে জুলাই জাতীয় সনদ বাস্তবায়ন বিষয়ে সুপারিশ জমা দেয়। যেখানে জুলাই জাতীয় সনদ (সংবিধান সংস্কার) বাস্তবায়ন আদেশ জারির কথা বলা হয়। পাশাপাশি সনদ বাস্তবায়নে দুটি বিকল্প প্রস্তাব দেওয়া হয়। প্রথম প্রস্তাবে বলা হয়েছে, গণভোটের আগে সরকার জাতীয় সনদের ভিত্তিতে একটি খসড়া বিল প্রস্তুত করবে, যা গণভোটে উপস্থাপন করা হবে। ফল ইতিবাচক হলে নবনির্বাচিত সংসদ সদস্যরা একই সঙ্গে এমপি ও সংবিধান সংস্কার পরিষদের সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন। তাঁরা প্রথম অধিবেশন থেকে ২৭০ দিনের মধ্যে সংস্কার সম্পন্ন করবেন। নির্ধারিত সময় পার হলে বিলটি স্বয়ংক্রিয়ভাবে কার্যকর হবে।
দ্বিতীয় প্রস্তাবে বিলের কথা বলা নেই। এক্ষেত্রে সংবিধান সংস্কার পরিষদকে গাঠনিক ক্ষমতা দেওয়া হয়। তবে তারা প্রথম অধিবেশন শুরুর ২৭০ দিনের মধ্যে জুলাই সনদ অনুসারে সংবিধান সংস্কার শেষ করবে এবং এরপর পরিষদের কার্যক্রম শেষ হবে। বাকি ধারাগুলো একই আছে। দুটি প্রস্তাবেই পরিষদের কার্যক্রম শেষ হওয়ার ৪৫ দিনের মধ্যে পিআরের ভিত্তিতে উচ্চকক্ষ গঠনের কথা বলা হয়েছে।
বাস্তবায়নের সুপারিশে নোট অব ডিসেন্ট না থাকায় এর সমালোচনা করছে বিএনপি। দলটি আপত্তির বিষয়টি সনদে যুক্ত করার দাবি জানিয়েছে। জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) বলেছে, প্রধান উপদেষ্টার মাধ্যমে আদেশ জারি করতে হবে, দলটি গণভোটের প্রশ্নে ছাড় দিতে চায়।
গত সপ্তাহে গণপ্রতিনিধিত্ব অধ্যাদেশ (আরপিও) সংশোধন করা হয়। সেখানে বলা হয়, জোটভুক্ত দলগুলোকে নিজ দলের প্রতীকেই ভোট করতে হবে। বিষয়টিতেও রয়েছে আপত্তি বিএনপির। এটি সংশোধনে দলের পক্ষ থেকে আইন উপদেষ্টা ও প্রধান নির্বাচন কমিশনারের কাছে চিঠি দেওয়া হয়। জামায়াত ও এনসিপি জোটভুক্ত দলগুলোকে নিজ দলের প্রতীকে নির্বাচন করার পক্ষে, যা নিয়ে এক সপ্তাহ ধরে দেশের রাজনীতিতে নতুন সংকট সৃষ্টি হয়েছে।
সংকট সমাধানে গত সপ্তাহ থেকে সরকারের চার উপদেষ্টা বিএনপি, জামায়াত, এনসিপিসহ একাধিক দলের সঙ্গে অনানুষ্ঠানিক বৈঠক করেছে। সেখানে আলোচনা হয়, পিআর পদ্ধতিতে উচ্চকক্ষ ও তত্ত্বাবধায়ক সরকার নিয়ে বিএনপি আপত্তি প্রত্যাহার করলেই তারা ভোটের দিন গণভোট মেনে নেবে জামায়াত। এনসিপিও পিআরে উচ্চকক্ষের দাবি করে আসছে। অন্যদিকে বিএনপির দাবি অনুযায়ী, আরপিও সংশোধন করবে সরকার। তবে পিআরে উচ্চকক্ষ ও তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা ছাড়া সনদে থাকা বিএনপির বাকি আপত্তিগুলোর কী হবে, সেটি নিয়ে সমাধান হয়নি। কমিশনের দ্বিতীয় প্রস্তাব অনুযায়ী, ২৭০ দিনের সময়সীমা উঠিয়ে দিয়ে আদেশ জারির পরিকল্পনা সরকার নিয়েছিল। কিন্তু উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে সে সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসে সরকার। আদেশ জারির পর নতুন সংকট সৃষ্টির পথ বন্ধ করতে দলগুলোকে নিজেদের মধ্যে আলোচনা করতে এক সপ্তাহ সময় দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়। এক্ষেত্রে দলগুলো একমত না হলে আগামী সপ্তাহে সরকার আদেশ জারি করবে বলে একাধিক সূত্রে জানা গেছে।

শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর দায়িত্ব নেওয়া অন্তর্বর্তী সরকার ৯ মাস পার করল; কিন্তু গুরুত্বপূর্ণ বিভিন্ন ইস্যুতে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে মতানৈক্য এবং রাজপথে প্রতিদিনের আন্দোলনে এখনো সুস্থির হতে পারছে না।
২৪ মে ২০২৫
পুলিশের প্রায় দেড় লাখ সদস্য আগামী সংসদ নির্বাচনে মাঠ পর্যায়ে দায়িত্ব পালন করবেন। তাঁদের প্রত্যেকের কর্মকাণ্ড জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে নিরীক্ষিত হবে। প্রশিক্ষণের মাধ্যমে প্রত্যেক পুলিশ সদস্যকে দক্ষ ও সুশৃঙ্খল হিসেবে গড়ে তোলাই নির্বাচনী প্রশিক্ষণের মূল লক্ষ্য।
১ ঘণ্টা আগে
গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ (আরপিও) সংশোধন করে সরকার অধ্যাদেশ জারি করেছে। আজ মঙ্গলবার (৪ নভেম্বর) সকালে আইন মন্ত্রণালয় সূত্রে এই তথ্য জানা গেছে। আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের লেজিসলেটিভ ও সংসদবিষয়ক বিভাগ থেকে গতকাল সোমবার অধ্যাদেশ জারি করা হয়।
৫ ঘণ্টা আগে
আইন মন্ত্রণালয় থেকে সম্প্রতি ১১ শতাধিক বিচার বিভাগীয় কর্মকর্তাকে পদোন্নতির প্যানেলভুক্ত করার প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে। প্রস্তাবটি অনুমোদনের জন্য আজ মঙ্গলবার সুপ্রিম কোর্টের ফুলকোর্ট সভায় উঠছে। এ সভায় বিষয়টি অনুমোদিত হলে তা আবারও পাঠানো হবে আইন মন্ত্রণালয়ে। এরপর সময়ে সময়ে ওই প্যানেল থেকে পদোন্নতি দেওয়া
১১ ঘণ্টা আগে