তৌফিকুল ইসলাম, ঢাকা

পদ্মার ওপর সেতু হয়েছে, দক্ষিণের মানুষের আর চিন্তা কিসের? যমুনায় সেতুর পরও ভোগাচ্ছিল সরু রাস্তা। সেটাও এখন চওড়া হয়েছে, উত্তরের মানুষ আর ভুগবে কেন? ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক তো অনেক আগে থেকেও প্রশস্ত। তবু সেখানে আটকে যাচ্ছে যান।
সেতু হওয়ায় এবং রাস্তার অবস্থা মোটামুটি ভালো থাকায় অনেকেই আশা করেছিলেন এবারের ঈদযাত্রায় শুধু স্বপ্নই বাড়ি যাবে, ভোগান্তি আর সঙ্গী হবে না। কিন্তু তা আর হলো না। ঈদের আগের দুই দিন হুট করে যেন থমকে গিয়েছিল বড় বড় মহাসড়ক। পথের ক্লান্তি নিয়ে ঈদের আগে বাড়ি ফিরেছে মানুষ। এখন তারা দুশ্চিন্তায় পড়েছে ফিরতি যাত্রা নিয়ে।
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, রাস্তাঘাট ভালো থাকলেও এবারের ভোগান্তি অব্যবস্থাপনার কারণে। প্রথমত, ঈদের আগে ছুটি কম ছিল। বৃহস্পতিবার অফিস করে পথে বেরিয়েছে মানুষ। শুক্র ও শনিবার সেই চাপ। হুট করে মহাসড়কে বন্ধ করে দেওয়া হলো মোটরসাইকেল। আগের ঈদেও ঘরমুখী মানুষের একটি বড় অংশ ফিরেছিল মোটরসাইকেলে। এবার সেটা সম্ভব হয়নি, তবে শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত আশায় ছিলেন অনেকে। সরকার হয়তো নিষেধাজ্ঞা তুলে নেবে। সে জন্য এই মানুষগুলো আগেভাগে বাস-ট্রেনের টিকিট কেটে রাখেননি। ফলে পরিবহন না পেয়ে ঢাকা শহরের ছোট বাস ভাড়া করে গন্তব্যে গেছে মানুষ। তাতে লক্কড়ঝক্কড় বাস যেখানে-সেখানে নষ্ট হয়েছে, যানজট তৈরি হয়েছে সড়কে। অনেক জায়গায় রাস্তার ওপর ছিল হাট। টোল প্লাজায় ধীরগতি। সব মিলিয়ে রাস্তা ঠিক থাকলেও ব্যবস্থাপনার অদক্ষতার কারণে ভুগেছে মানুষ।
সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরও বিষয়টি একার্থে স্বীকার করেছেন। গতকাল তিনি সচিবালয়ে সাংবাদিকদের বলেন, যানজট যেখানে হয়েছে সেটা ব্যবস্থাপনার কিছু ত্রুটির কারণে। সমন্বয়ের অভাব। হাইওয়ে পুলিশ, জেলা প্রশাসন সব পক্ষেরই দায় রয়েছে এবারের যানজটের পেছেন।
তবে সেটা আবার মানতে চান না পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের সচিব এ বি এম আমিন উল্লাহ নুরী। তিনি গতকাল আজকের পত্রিকাকে বলেন, সড়কের ব্যবস্থাপনায় কোনো ধরনের ঘাটতি ছিল না। কিন্তু বঙ্গবন্ধু সেতুতে এক দিনে ৪৩টা গাড়ি নষ্ট হয়েছে। সেটা নিয়ন্ত্রণের বাইরে। ঈদের সময় খারাপ গাড়ি সড়কে চলতে গিয়ে নষ্ট হয় এবং যানজট তৈরি হয়।
উত্তরের পথে ভোগান্তি বেশি
প্রতি ঈদে জট লাগে ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কে। কয়েক বছর ধরে এই রাস্তাটিতে কাজ করা হচ্ছে। দুই লেনের সড়ক এখন চার লেন হয়েছে। এত দিন রাস্তার কাজের কারণে জট লাগলেও এবার সেটি হবে না বলে আশা করেছিল এ পথের মানুষ। কিন্তু সেই আশা সত্যি হলো না। ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কে যানজট শুরু হয় গত বৃহস্পতিবার রাত থেকে। সেই জট চলতে থাকে ঈদের আগের দিন পর্যন্ত। একই অবস্থা ছিল ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কেও। এ পথে টোল প্লাজায় ধীরগতির কারণে ছিল যানজট। ঢাকা থেকে বের হওয়ার পথেও ছিল জট। যাত্রাপথের দুর্ভোগ ভোগান্তি সইতে না পেরে অনেক যাত্রী সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন।
ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কের দুর্ভোগ নিয়ে একজন লিখেছেন, ‘গত ৮ জুলাই রাত ১০টায় গাবতলী থেকে বাসে উঠেছিলাম। ভেবেছিলাম পরদিন সকাল ১০টা নাগাদ বাড়িতে পৌঁছাব। কিন্তু বাসেই ৩৫ ঘণ্টা বসে থাকতে হয়েছে। এবারের অভিজ্ঞতা খুবই তিক্ত। কবে এই দুর্ভোগের অবসান হবে?’ এ বিষয়ে সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তরের এক কর্মকর্তা নাম না প্রকাশ করার শর্তে আজকের পত্রিকাকে বলেন, ৭ জুলাই চন্দ্রাতেই প্রথম যানজট শুরু হয়। সেই জট নবীনগর সাভার পর্যন্ত গিয়ে ঠেকে। ঢাকার সব বাস এসে চন্দ্রার মোড়ে যাত্রী তোলে, যার কারণে সেখানে জট লাগে।
শ্যামলী এন আর ট্রাভেলসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক শুভঙ্কর ঘোষ রাকেশ বলেন, যানজটের কারণে ঢাকা থেকে বাস সময়মতো ছাড়তে পারেনি। এবারও মহাসড়কে ছোট গাড়ি চলেছে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর তৎপরতাও কম ছিল। ফলে মহাসড়কের অবস্থা খারাপ ছিল এবার।
রোড সেফটি ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক সাইদুর রহমান আজকের পত্রিকাকে বলেন, বিকল্প চিন্তা না করে হুট করে ঈদে মোটরসাইকেল বন্ধ করার সিদ্ধান্ত ঠিক হয়নি। এর ফলে সড়কে মানুষের দুর্ভোগ বেড়েছে।
সার্বিক বিষয়ে বুয়েটের অধ্যাপক ড. শামসুল হক আজকের পত্রিকাকে বলেন, যানজটের হটস্পট মোড়, হাটবাজার, টোল প্লাজা, ধীরগতির যানবাহন এসব নিয়ে সারা বছর কাজ করতে হবে। শুধু ঈদের সময় করলে সুফল আসবে না। বৈজ্ঞানিকভাবে সড়ক নির্মাণ না করে, ফোর লেন সিক্স লেন করা হচ্ছে। এতে সমস্যার সমাধান আসবে না। মহাসড়ক থেকে মোড়, হাটবাজার তুলে দিয়ে যান চলাচল নির্বিঘ্ন রাখতে হবে। টোল প্লাজাগুলো ডিজিটাল করতে হবে।

পদ্মার ওপর সেতু হয়েছে, দক্ষিণের মানুষের আর চিন্তা কিসের? যমুনায় সেতুর পরও ভোগাচ্ছিল সরু রাস্তা। সেটাও এখন চওড়া হয়েছে, উত্তরের মানুষ আর ভুগবে কেন? ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক তো অনেক আগে থেকেও প্রশস্ত। তবু সেখানে আটকে যাচ্ছে যান।
সেতু হওয়ায় এবং রাস্তার অবস্থা মোটামুটি ভালো থাকায় অনেকেই আশা করেছিলেন এবারের ঈদযাত্রায় শুধু স্বপ্নই বাড়ি যাবে, ভোগান্তি আর সঙ্গী হবে না। কিন্তু তা আর হলো না। ঈদের আগের দুই দিন হুট করে যেন থমকে গিয়েছিল বড় বড় মহাসড়ক। পথের ক্লান্তি নিয়ে ঈদের আগে বাড়ি ফিরেছে মানুষ। এখন তারা দুশ্চিন্তায় পড়েছে ফিরতি যাত্রা নিয়ে।
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, রাস্তাঘাট ভালো থাকলেও এবারের ভোগান্তি অব্যবস্থাপনার কারণে। প্রথমত, ঈদের আগে ছুটি কম ছিল। বৃহস্পতিবার অফিস করে পথে বেরিয়েছে মানুষ। শুক্র ও শনিবার সেই চাপ। হুট করে মহাসড়কে বন্ধ করে দেওয়া হলো মোটরসাইকেল। আগের ঈদেও ঘরমুখী মানুষের একটি বড় অংশ ফিরেছিল মোটরসাইকেলে। এবার সেটা সম্ভব হয়নি, তবে শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত আশায় ছিলেন অনেকে। সরকার হয়তো নিষেধাজ্ঞা তুলে নেবে। সে জন্য এই মানুষগুলো আগেভাগে বাস-ট্রেনের টিকিট কেটে রাখেননি। ফলে পরিবহন না পেয়ে ঢাকা শহরের ছোট বাস ভাড়া করে গন্তব্যে গেছে মানুষ। তাতে লক্কড়ঝক্কড় বাস যেখানে-সেখানে নষ্ট হয়েছে, যানজট তৈরি হয়েছে সড়কে। অনেক জায়গায় রাস্তার ওপর ছিল হাট। টোল প্লাজায় ধীরগতি। সব মিলিয়ে রাস্তা ঠিক থাকলেও ব্যবস্থাপনার অদক্ষতার কারণে ভুগেছে মানুষ।
সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরও বিষয়টি একার্থে স্বীকার করেছেন। গতকাল তিনি সচিবালয়ে সাংবাদিকদের বলেন, যানজট যেখানে হয়েছে সেটা ব্যবস্থাপনার কিছু ত্রুটির কারণে। সমন্বয়ের অভাব। হাইওয়ে পুলিশ, জেলা প্রশাসন সব পক্ষেরই দায় রয়েছে এবারের যানজটের পেছেন।
তবে সেটা আবার মানতে চান না পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের সচিব এ বি এম আমিন উল্লাহ নুরী। তিনি গতকাল আজকের পত্রিকাকে বলেন, সড়কের ব্যবস্থাপনায় কোনো ধরনের ঘাটতি ছিল না। কিন্তু বঙ্গবন্ধু সেতুতে এক দিনে ৪৩টা গাড়ি নষ্ট হয়েছে। সেটা নিয়ন্ত্রণের বাইরে। ঈদের সময় খারাপ গাড়ি সড়কে চলতে গিয়ে নষ্ট হয় এবং যানজট তৈরি হয়।
উত্তরের পথে ভোগান্তি বেশি
প্রতি ঈদে জট লাগে ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কে। কয়েক বছর ধরে এই রাস্তাটিতে কাজ করা হচ্ছে। দুই লেনের সড়ক এখন চার লেন হয়েছে। এত দিন রাস্তার কাজের কারণে জট লাগলেও এবার সেটি হবে না বলে আশা করেছিল এ পথের মানুষ। কিন্তু সেই আশা সত্যি হলো না। ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কে যানজট শুরু হয় গত বৃহস্পতিবার রাত থেকে। সেই জট চলতে থাকে ঈদের আগের দিন পর্যন্ত। একই অবস্থা ছিল ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কেও। এ পথে টোল প্লাজায় ধীরগতির কারণে ছিল যানজট। ঢাকা থেকে বের হওয়ার পথেও ছিল জট। যাত্রাপথের দুর্ভোগ ভোগান্তি সইতে না পেরে অনেক যাত্রী সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন।
ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কের দুর্ভোগ নিয়ে একজন লিখেছেন, ‘গত ৮ জুলাই রাত ১০টায় গাবতলী থেকে বাসে উঠেছিলাম। ভেবেছিলাম পরদিন সকাল ১০টা নাগাদ বাড়িতে পৌঁছাব। কিন্তু বাসেই ৩৫ ঘণ্টা বসে থাকতে হয়েছে। এবারের অভিজ্ঞতা খুবই তিক্ত। কবে এই দুর্ভোগের অবসান হবে?’ এ বিষয়ে সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তরের এক কর্মকর্তা নাম না প্রকাশ করার শর্তে আজকের পত্রিকাকে বলেন, ৭ জুলাই চন্দ্রাতেই প্রথম যানজট শুরু হয়। সেই জট নবীনগর সাভার পর্যন্ত গিয়ে ঠেকে। ঢাকার সব বাস এসে চন্দ্রার মোড়ে যাত্রী তোলে, যার কারণে সেখানে জট লাগে।
শ্যামলী এন আর ট্রাভেলসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক শুভঙ্কর ঘোষ রাকেশ বলেন, যানজটের কারণে ঢাকা থেকে বাস সময়মতো ছাড়তে পারেনি। এবারও মহাসড়কে ছোট গাড়ি চলেছে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর তৎপরতাও কম ছিল। ফলে মহাসড়কের অবস্থা খারাপ ছিল এবার।
রোড সেফটি ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক সাইদুর রহমান আজকের পত্রিকাকে বলেন, বিকল্প চিন্তা না করে হুট করে ঈদে মোটরসাইকেল বন্ধ করার সিদ্ধান্ত ঠিক হয়নি। এর ফলে সড়কে মানুষের দুর্ভোগ বেড়েছে।
সার্বিক বিষয়ে বুয়েটের অধ্যাপক ড. শামসুল হক আজকের পত্রিকাকে বলেন, যানজটের হটস্পট মোড়, হাটবাজার, টোল প্লাজা, ধীরগতির যানবাহন এসব নিয়ে সারা বছর কাজ করতে হবে। শুধু ঈদের সময় করলে সুফল আসবে না। বৈজ্ঞানিকভাবে সড়ক নির্মাণ না করে, ফোর লেন সিক্স লেন করা হচ্ছে। এতে সমস্যার সমাধান আসবে না। মহাসড়ক থেকে মোড়, হাটবাজার তুলে দিয়ে যান চলাচল নির্বিঘ্ন রাখতে হবে। টোল প্লাজাগুলো ডিজিটাল করতে হবে।
তৌফিকুল ইসলাম, ঢাকা

পদ্মার ওপর সেতু হয়েছে, দক্ষিণের মানুষের আর চিন্তা কিসের? যমুনায় সেতুর পরও ভোগাচ্ছিল সরু রাস্তা। সেটাও এখন চওড়া হয়েছে, উত্তরের মানুষ আর ভুগবে কেন? ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক তো অনেক আগে থেকেও প্রশস্ত। তবু সেখানে আটকে যাচ্ছে যান।
সেতু হওয়ায় এবং রাস্তার অবস্থা মোটামুটি ভালো থাকায় অনেকেই আশা করেছিলেন এবারের ঈদযাত্রায় শুধু স্বপ্নই বাড়ি যাবে, ভোগান্তি আর সঙ্গী হবে না। কিন্তু তা আর হলো না। ঈদের আগের দুই দিন হুট করে যেন থমকে গিয়েছিল বড় বড় মহাসড়ক। পথের ক্লান্তি নিয়ে ঈদের আগে বাড়ি ফিরেছে মানুষ। এখন তারা দুশ্চিন্তায় পড়েছে ফিরতি যাত্রা নিয়ে।
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, রাস্তাঘাট ভালো থাকলেও এবারের ভোগান্তি অব্যবস্থাপনার কারণে। প্রথমত, ঈদের আগে ছুটি কম ছিল। বৃহস্পতিবার অফিস করে পথে বেরিয়েছে মানুষ। শুক্র ও শনিবার সেই চাপ। হুট করে মহাসড়কে বন্ধ করে দেওয়া হলো মোটরসাইকেল। আগের ঈদেও ঘরমুখী মানুষের একটি বড় অংশ ফিরেছিল মোটরসাইকেলে। এবার সেটা সম্ভব হয়নি, তবে শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত আশায় ছিলেন অনেকে। সরকার হয়তো নিষেধাজ্ঞা তুলে নেবে। সে জন্য এই মানুষগুলো আগেভাগে বাস-ট্রেনের টিকিট কেটে রাখেননি। ফলে পরিবহন না পেয়ে ঢাকা শহরের ছোট বাস ভাড়া করে গন্তব্যে গেছে মানুষ। তাতে লক্কড়ঝক্কড় বাস যেখানে-সেখানে নষ্ট হয়েছে, যানজট তৈরি হয়েছে সড়কে। অনেক জায়গায় রাস্তার ওপর ছিল হাট। টোল প্লাজায় ধীরগতি। সব মিলিয়ে রাস্তা ঠিক থাকলেও ব্যবস্থাপনার অদক্ষতার কারণে ভুগেছে মানুষ।
সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরও বিষয়টি একার্থে স্বীকার করেছেন। গতকাল তিনি সচিবালয়ে সাংবাদিকদের বলেন, যানজট যেখানে হয়েছে সেটা ব্যবস্থাপনার কিছু ত্রুটির কারণে। সমন্বয়ের অভাব। হাইওয়ে পুলিশ, জেলা প্রশাসন সব পক্ষেরই দায় রয়েছে এবারের যানজটের পেছেন।
তবে সেটা আবার মানতে চান না পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের সচিব এ বি এম আমিন উল্লাহ নুরী। তিনি গতকাল আজকের পত্রিকাকে বলেন, সড়কের ব্যবস্থাপনায় কোনো ধরনের ঘাটতি ছিল না। কিন্তু বঙ্গবন্ধু সেতুতে এক দিনে ৪৩টা গাড়ি নষ্ট হয়েছে। সেটা নিয়ন্ত্রণের বাইরে। ঈদের সময় খারাপ গাড়ি সড়কে চলতে গিয়ে নষ্ট হয় এবং যানজট তৈরি হয়।
উত্তরের পথে ভোগান্তি বেশি
প্রতি ঈদে জট লাগে ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কে। কয়েক বছর ধরে এই রাস্তাটিতে কাজ করা হচ্ছে। দুই লেনের সড়ক এখন চার লেন হয়েছে। এত দিন রাস্তার কাজের কারণে জট লাগলেও এবার সেটি হবে না বলে আশা করেছিল এ পথের মানুষ। কিন্তু সেই আশা সত্যি হলো না। ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কে যানজট শুরু হয় গত বৃহস্পতিবার রাত থেকে। সেই জট চলতে থাকে ঈদের আগের দিন পর্যন্ত। একই অবস্থা ছিল ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কেও। এ পথে টোল প্লাজায় ধীরগতির কারণে ছিল যানজট। ঢাকা থেকে বের হওয়ার পথেও ছিল জট। যাত্রাপথের দুর্ভোগ ভোগান্তি সইতে না পেরে অনেক যাত্রী সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন।
ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কের দুর্ভোগ নিয়ে একজন লিখেছেন, ‘গত ৮ জুলাই রাত ১০টায় গাবতলী থেকে বাসে উঠেছিলাম। ভেবেছিলাম পরদিন সকাল ১০টা নাগাদ বাড়িতে পৌঁছাব। কিন্তু বাসেই ৩৫ ঘণ্টা বসে থাকতে হয়েছে। এবারের অভিজ্ঞতা খুবই তিক্ত। কবে এই দুর্ভোগের অবসান হবে?’ এ বিষয়ে সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তরের এক কর্মকর্তা নাম না প্রকাশ করার শর্তে আজকের পত্রিকাকে বলেন, ৭ জুলাই চন্দ্রাতেই প্রথম যানজট শুরু হয়। সেই জট নবীনগর সাভার পর্যন্ত গিয়ে ঠেকে। ঢাকার সব বাস এসে চন্দ্রার মোড়ে যাত্রী তোলে, যার কারণে সেখানে জট লাগে।
শ্যামলী এন আর ট্রাভেলসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক শুভঙ্কর ঘোষ রাকেশ বলেন, যানজটের কারণে ঢাকা থেকে বাস সময়মতো ছাড়তে পারেনি। এবারও মহাসড়কে ছোট গাড়ি চলেছে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর তৎপরতাও কম ছিল। ফলে মহাসড়কের অবস্থা খারাপ ছিল এবার।
রোড সেফটি ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক সাইদুর রহমান আজকের পত্রিকাকে বলেন, বিকল্প চিন্তা না করে হুট করে ঈদে মোটরসাইকেল বন্ধ করার সিদ্ধান্ত ঠিক হয়নি। এর ফলে সড়কে মানুষের দুর্ভোগ বেড়েছে।
সার্বিক বিষয়ে বুয়েটের অধ্যাপক ড. শামসুল হক আজকের পত্রিকাকে বলেন, যানজটের হটস্পট মোড়, হাটবাজার, টোল প্লাজা, ধীরগতির যানবাহন এসব নিয়ে সারা বছর কাজ করতে হবে। শুধু ঈদের সময় করলে সুফল আসবে না। বৈজ্ঞানিকভাবে সড়ক নির্মাণ না করে, ফোর লেন সিক্স লেন করা হচ্ছে। এতে সমস্যার সমাধান আসবে না। মহাসড়ক থেকে মোড়, হাটবাজার তুলে দিয়ে যান চলাচল নির্বিঘ্ন রাখতে হবে। টোল প্লাজাগুলো ডিজিটাল করতে হবে।

পদ্মার ওপর সেতু হয়েছে, দক্ষিণের মানুষের আর চিন্তা কিসের? যমুনায় সেতুর পরও ভোগাচ্ছিল সরু রাস্তা। সেটাও এখন চওড়া হয়েছে, উত্তরের মানুষ আর ভুগবে কেন? ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক তো অনেক আগে থেকেও প্রশস্ত। তবু সেখানে আটকে যাচ্ছে যান।
সেতু হওয়ায় এবং রাস্তার অবস্থা মোটামুটি ভালো থাকায় অনেকেই আশা করেছিলেন এবারের ঈদযাত্রায় শুধু স্বপ্নই বাড়ি যাবে, ভোগান্তি আর সঙ্গী হবে না। কিন্তু তা আর হলো না। ঈদের আগের দুই দিন হুট করে যেন থমকে গিয়েছিল বড় বড় মহাসড়ক। পথের ক্লান্তি নিয়ে ঈদের আগে বাড়ি ফিরেছে মানুষ। এখন তারা দুশ্চিন্তায় পড়েছে ফিরতি যাত্রা নিয়ে।
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, রাস্তাঘাট ভালো থাকলেও এবারের ভোগান্তি অব্যবস্থাপনার কারণে। প্রথমত, ঈদের আগে ছুটি কম ছিল। বৃহস্পতিবার অফিস করে পথে বেরিয়েছে মানুষ। শুক্র ও শনিবার সেই চাপ। হুট করে মহাসড়কে বন্ধ করে দেওয়া হলো মোটরসাইকেল। আগের ঈদেও ঘরমুখী মানুষের একটি বড় অংশ ফিরেছিল মোটরসাইকেলে। এবার সেটা সম্ভব হয়নি, তবে শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত আশায় ছিলেন অনেকে। সরকার হয়তো নিষেধাজ্ঞা তুলে নেবে। সে জন্য এই মানুষগুলো আগেভাগে বাস-ট্রেনের টিকিট কেটে রাখেননি। ফলে পরিবহন না পেয়ে ঢাকা শহরের ছোট বাস ভাড়া করে গন্তব্যে গেছে মানুষ। তাতে লক্কড়ঝক্কড় বাস যেখানে-সেখানে নষ্ট হয়েছে, যানজট তৈরি হয়েছে সড়কে। অনেক জায়গায় রাস্তার ওপর ছিল হাট। টোল প্লাজায় ধীরগতি। সব মিলিয়ে রাস্তা ঠিক থাকলেও ব্যবস্থাপনার অদক্ষতার কারণে ভুগেছে মানুষ।
সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরও বিষয়টি একার্থে স্বীকার করেছেন। গতকাল তিনি সচিবালয়ে সাংবাদিকদের বলেন, যানজট যেখানে হয়েছে সেটা ব্যবস্থাপনার কিছু ত্রুটির কারণে। সমন্বয়ের অভাব। হাইওয়ে পুলিশ, জেলা প্রশাসন সব পক্ষেরই দায় রয়েছে এবারের যানজটের পেছেন।
তবে সেটা আবার মানতে চান না পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের সচিব এ বি এম আমিন উল্লাহ নুরী। তিনি গতকাল আজকের পত্রিকাকে বলেন, সড়কের ব্যবস্থাপনায় কোনো ধরনের ঘাটতি ছিল না। কিন্তু বঙ্গবন্ধু সেতুতে এক দিনে ৪৩টা গাড়ি নষ্ট হয়েছে। সেটা নিয়ন্ত্রণের বাইরে। ঈদের সময় খারাপ গাড়ি সড়কে চলতে গিয়ে নষ্ট হয় এবং যানজট তৈরি হয়।
উত্তরের পথে ভোগান্তি বেশি
প্রতি ঈদে জট লাগে ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কে। কয়েক বছর ধরে এই রাস্তাটিতে কাজ করা হচ্ছে। দুই লেনের সড়ক এখন চার লেন হয়েছে। এত দিন রাস্তার কাজের কারণে জট লাগলেও এবার সেটি হবে না বলে আশা করেছিল এ পথের মানুষ। কিন্তু সেই আশা সত্যি হলো না। ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কে যানজট শুরু হয় গত বৃহস্পতিবার রাত থেকে। সেই জট চলতে থাকে ঈদের আগের দিন পর্যন্ত। একই অবস্থা ছিল ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কেও। এ পথে টোল প্লাজায় ধীরগতির কারণে ছিল যানজট। ঢাকা থেকে বের হওয়ার পথেও ছিল জট। যাত্রাপথের দুর্ভোগ ভোগান্তি সইতে না পেরে অনেক যাত্রী সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন।
ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কের দুর্ভোগ নিয়ে একজন লিখেছেন, ‘গত ৮ জুলাই রাত ১০টায় গাবতলী থেকে বাসে উঠেছিলাম। ভেবেছিলাম পরদিন সকাল ১০টা নাগাদ বাড়িতে পৌঁছাব। কিন্তু বাসেই ৩৫ ঘণ্টা বসে থাকতে হয়েছে। এবারের অভিজ্ঞতা খুবই তিক্ত। কবে এই দুর্ভোগের অবসান হবে?’ এ বিষয়ে সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তরের এক কর্মকর্তা নাম না প্রকাশ করার শর্তে আজকের পত্রিকাকে বলেন, ৭ জুলাই চন্দ্রাতেই প্রথম যানজট শুরু হয়। সেই জট নবীনগর সাভার পর্যন্ত গিয়ে ঠেকে। ঢাকার সব বাস এসে চন্দ্রার মোড়ে যাত্রী তোলে, যার কারণে সেখানে জট লাগে।
শ্যামলী এন আর ট্রাভেলসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক শুভঙ্কর ঘোষ রাকেশ বলেন, যানজটের কারণে ঢাকা থেকে বাস সময়মতো ছাড়তে পারেনি। এবারও মহাসড়কে ছোট গাড়ি চলেছে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর তৎপরতাও কম ছিল। ফলে মহাসড়কের অবস্থা খারাপ ছিল এবার।
রোড সেফটি ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক সাইদুর রহমান আজকের পত্রিকাকে বলেন, বিকল্প চিন্তা না করে হুট করে ঈদে মোটরসাইকেল বন্ধ করার সিদ্ধান্ত ঠিক হয়নি। এর ফলে সড়কে মানুষের দুর্ভোগ বেড়েছে।
সার্বিক বিষয়ে বুয়েটের অধ্যাপক ড. শামসুল হক আজকের পত্রিকাকে বলেন, যানজটের হটস্পট মোড়, হাটবাজার, টোল প্লাজা, ধীরগতির যানবাহন এসব নিয়ে সারা বছর কাজ করতে হবে। শুধু ঈদের সময় করলে সুফল আসবে না। বৈজ্ঞানিকভাবে সড়ক নির্মাণ না করে, ফোর লেন সিক্স লেন করা হচ্ছে। এতে সমস্যার সমাধান আসবে না। মহাসড়ক থেকে মোড়, হাটবাজার তুলে দিয়ে যান চলাচল নির্বিঘ্ন রাখতে হবে। টোল প্লাজাগুলো ডিজিটাল করতে হবে।

আগামী জাতীয় সংসদ নিয়মিত সংসদের পাশাপাশি সংবিধান সংস্কার পরিষদ হিসেবে ২৭০ দিনের (৯ মাস) মধ্যে জুলাই সনদের সংবিধানসংক্রান্ত বিষয়গুলো সংবিধানে যুক্ত করবে বলে মতৈক্য হয়েছে। তবে নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে তা সম্পন্ন করার বিষয়টি কীভাবে নিশ্চিত হবে, গতকাল শনিবার পর্যন্ত তার কিনারা করতে পারেনি...
১৬ মিনিট আগে
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ (আরপিও) সংশোধন, ২০২৫-এর খসড়া নীতিগত ও চূড়ান্ত অনুমোদন করেছে উপদেষ্টা পরিষদ। গত বৃহস্পতিবার সংশোধিত আরপিও প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের সভাপতিত্বে পরিষদে অনুমোদন দেওয়া হয়।
৪ ঘণ্টা আগে
বিচারকদের উদ্দেশে তিনি বলেন, গুমের বিচার বাস্তবায়নে বিচারকদের সাহসী ও ন্যায্য ভূমিকা রাখা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। বিচার বিভাগের নিরপেক্ষতা ও দৃঢ় অবস্থানই একদিন বাংলাদেশ থেকে গুমের সংস্কৃতি নির্মূল করবে।
৭ ঘণ্টা আগে
বাংলাদেশে যুক্তরাষ্ট্রের পরবর্তী রাষ্ট্রদূত হিসেবে মনোনীত ব্রেন্ট ক্রিস্টেনসেন বলেছেন, নিয়োগ পেলে চীনা কর্মকাণ্ড থেকে উদ্ভূত ঝুঁকিগুলো স্পষ্টভাবে তুলে ধরতে তিনি বাংলাদেশ সরকার ও সামরিক বাহিনীর সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করবেন। গত বৃহস্পতিবার (২৩ অক্টোবর) যুক্তরাষ্ট্র সিনেটের পররাষ্ট্রবিষয়ক কমিটিতে তাঁর
৭ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

আগামী জাতীয় সংসদ নিয়মিত সংসদের পাশাপাশি সংবিধান সংস্কার পরিষদ হিসেবে ২৭০ দিনের (৯ মাস) মধ্যে জুলাই সনদের সংবিধানসংক্রান্ত বিষয়গুলো সংবিধানে যুক্ত করবে বলে মতৈক্য হয়েছে। তবে নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে তা সম্পন্ন করার বিষয়টি কীভাবে নিশ্চিত হবে, গতকাল শনিবার পর্যন্ত তার কিনারা করতে পারেনি জাতীয় ঐকমত্য কমিশন। বৃহস্পতিবারের পর ঐকমত্য কমিশন গতকালও বিশেষজ্ঞদের নিয়ে বৈঠক করলেও কোনো সমাধান মেলেনি। এমন প্রেক্ষাপটে আজ রোববার কমিশন আবার নিজেরা বৈঠক করবে এবং প্রয়োজনে বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে আবার বসবে।
ঐকমত্য কমিশনের জাতীয় সংসদ ভবনের কার্যালয়ে গতকাল বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে বৈঠকটি বেলা দেড়টার পর শুরু হয়ে সন্ধ্যা ৬টার পরে শেষ হয়। প্রায় চার ঘণ্টার বৈঠকেও সংবিধান নিয়ে সময়সীমার মধ্যে কাজ শেষ করার উপায় বের হয়নি।
সূত্র জানায়, এখন পর্যন্ত জুলাই সনদ বাস্তবায়নে কমিশনের সিদ্ধান্ত হলো, গণ-অভ্যুত্থানকে ভিত্তি ধরে প্রথমে ‘জুলাই সনদ বাস্তবায়ন (সংবিধান সংস্কার) আদেশ’ নামে একটি আদেশ জারি করা হবে। তার অধীনে জারি হবে গণভোট-বিষয়ক একটি অধ্যাদেশ। এর ভিত্তিতেই হবে গণভোট। একটি নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত (২৭০ দিন বা প্রথম ৯ মাস) আগামী সংসদ কাজ করবে সংবিধান সংস্কার পরিষদ হিসেবে। এ সময়ের মধ্যেই সংবিধান-সংক্রান্ত সংস্কার প্রস্তাবগুলো সংসদে অনুমোদন করা হবে। প্রসঙ্গত, একই সময় এ পরিষদ নিয়মিত সংসদ হিসেবেও কাজ করবে। সাধারণ সংখ্যাগরিষ্ঠতায়ই সংবিধান সংস্কার হবে।
গতকালের আলোচনা বিষয়ে একজন বিশেষজ্ঞ বলেন, ‘সংসদ সদস্যরা ২৭০ দিনের মধ্যে বাস্তবায়ন না করলে সনদে থাকা বিষয়গুলো কী হবে—সেখানেই আটকে যাচ্ছে আলোচনা। কারণ আমরা তেমন সমাধান দিতে পারছি না। দেশে অতীতে এ-সংক্রান্ত কোনো উদাহরণ নেই। দেশের বাইরেও এ ধরনের উদাহরণ পাইনি।’
কোনো দল আগামী নির্বাচনে সরকার গঠনে প্রয়োজনীয় দুই-তৃতীয়াংশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা না পেলে সংবিধান সংস্কার কীভাবে হবে, এ প্রশ্নও আছে। বিষয়টি তখন মূলত নির্ভর করবে বেশি আসন পাওয়া কয়েকটি দলের সদিচ্ছার ওপর। কিন্তু কমিশন চাইছে এ অনিশ্চয়তার অবকাশ না রেখে এমন কোনো বিধান করা, যা সনদ বাস্তবায়নের নিশ্চয়তা দেবে।
গতকালের বৈঠকে বিশেষজ্ঞরা একাধিক মত দিয়ে বলেছেন, সেগুলো আইনগত ও রাজনৈতিকভাবে পুরোপুরি গ্রহণযোগ্য বলে মনে করেন না তাঁ। একটি মত হলো,নির্ধারিত সময়ে সংস্কার বাস্তবায়ন করা না হলে সংসদ বিলুপ্ত হয়ে যাবে। এটি আইনগতভাবে ঠিক হলেও রাজনৈতিকভাবে গ্রহণযোগ্য হবে না বলে বিশেষজ্ঞদের ধারণা। সংসদ এভাবে বিলুপ্ত হলে নতুন সংকট তৈরি হতে পারে বলে মনে করেন তাঁরা।
আরও যে কয়েকটি মত গতকাল এসেছে তার মধ্যে রয়েছে, প্রথমত, পরিষদে নির্ধারিত সময়ের মধ্যে সনদের বিষয়গুলো বাস্তবায়ন না হলে তা স্বয়ংক্রিয়ভাবে সংবিধানে যুক্ত হয়ে যাওয়া এবং দ্বিতীয়ত, আগে সংবিধান সংস্কার পরিষদ বৈঠকে বসে সনদের সংযুক্তি বাস্তবায়ন করবে এবং তারপর সংসদ বসবে। কিন্তু এগুলোও কার্যকর বা বাস্তবসম্মত মনে করেননি বিশেষজ্ঞদের সবাই।
একজন বিশেষজ্ঞ বলেন, সময়সীমার মধ্যে না সম্পন্ন করলে আপনা থেকেই সংবিধানে বিষয়গুলো যুক্ত হওয়ার ধারণা বাস্তবসম্মত না। কারণ বিলগুলোর খসড়া তৈরি করা নেই। এটা করা বিশেষজ্ঞদের কাজ না। সংসদে আলোচনা করে নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিরাই এ সিদ্ধান্ত নেবেন। তিনি আরও বলেন, সনদের একটি বিধান হচ্ছে, মৌলিক অধিকার সম্প্রসারণ করা হবে। কিন্তু কোন মৌলিক অধিকারটি সম্প্রসারণ করা হবে, তা বলা নেই। সংসদ সদস্যদের আলোচনা করে এ সিদ্ধান্ত নিতে হবে। ওই বিশেষজ্ঞ বলেন, ‘এসব কারণে আমরা সিদ্ধান্ত দিতে পারিনি। কমিশন জানিয়েছে, বিষয়টি নিয়ে তাঁরা বৈঠক করবেন, প্রয়োজনে আমাদের সহযোগিতা নেবেন।’
গতকালের বৈঠকে আগে সংবিধান সংস্কার পরিষদ বসে বিষয়গুলো বাস্তবায়ন করার যে প্রস্তাব আসে তার পক্ষে বলা হয়, এতে নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিরা দ্রুত সনদ বাস্তবায়নে কাজ করবেন। কারণ তাঁরা বিলম্ব না করে সংসদ সদস্য হিসেবে শপথ নিতে চাইবেন। একজন বিশেষজ্ঞ বলেন, প্রস্তাবটি নিয়ে আলোচনা হলেও বেশির ভাগের মত, এটিও বাস্তবসম্মত নয়। কারণ জনপ্রতিনিধিদের শপথের মাধ্যমে সংসদ গঠিত না হওয়া পর্যন্ত অন্তর্বর্তী সরকারকে দায়িত্বে থেকে যেতে হবে। এটা প্রধান উপদেষ্টাই মানবেন না।
এ অবস্থায় সমাধান কী হতে পারে, এমন প্রশ্নের জবাবে ওই বিশেষজ্ঞ বলেন, ‘আমরা আদৌ কোনো বাধ্যবাধকতা তৈরি করে দিতে পারব কি না, তা নিয়ে সন্দেহ আছে। কারণ এমন আইনি ও রাজনৈতিক গ্রহণযোগ্য সমাধান পাইনি। তাই বিষয়টি আমাদের সুপারিশে না-ও থাকতে পারে।’
সনদ-বিষয়ক আদেশের খুঁটিনাটি নিয়েও আলোচনা হয়েছে। গণভোটের দিনক্ষণ সরকারের ওপর ছেড়ে দেওয়ার বিষয়ে মত দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা।
কমিশন সূত্র জানায়, আজ সকালে নিজেরা বৈঠক করার পর প্রয়োজন হলে বিশেষজ্ঞদের সঙ্গেও আবার বৈঠক করা হবে। ৩১ অক্টোবরের মেয়াদের মধ্যেই সনদ বাস্তবায়নের উপায় নিয়ে সুপারিশ চূড়ান্ত করতে চায় কমিশন।
এনসিপির সঙ্গে বৈঠক
গতকাল বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে বসার আগে কমিশনের সদস্যরা জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) সঙ্গে বৈঠক করেন। ১৭ অক্টোবর জুলাই সনদের স্বাক্ষর অনুষ্ঠান হলেও দলটি সই করেনি। এনসিপি বলেছিল, বাস্তবায়নের আদেশের চূড়ান্ত খসড়া না দেখে তারা স্বাক্ষর করবে না।
কমিশনের সহসভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ বলেছেন, গতকালের বৈঠকে এনসিপির প্রতিনিধিরা ‘স্পষ্টভাবে’ জানিয়েছেন যে তাঁরা স্বাক্ষর করতে চান। তাঁরা কিছু প্রস্তাব দিয়েছেন, যা কমিশন আইনি বিশেষজ্ঞদের কাছে পাঠিয়েছে। এনসিপির প্রস্তাবে ইতিবাচক ও নেতিবাচক দুই দিকই আছে। সেই বিষয়গুলো বিবেচনা করে কমিশন এগোচ্ছে। মূল লক্ষ্য হচ্ছে, যেন সবাই স্বাক্ষরের দিকে আসে।
বিশেষজ্ঞ হিসেবে বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি এম এ মতিন, সুপ্রিম কোর্টের জ্যেষ্ঠ আইনজীবী ড. শরিফ ভূইয়া, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন অনুষদের ডিন মোহাম্মদ ইকরামুল হক, ব্যারিস্টার ইমরান সিদ্দিক ও ব্যারিস্টার তানিম হোসেইন শাওন।
আলোচনায় কমিশনের পক্ষে অংশ নেন সহসভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ, সদস্য ড. বদিউল আলম মজুমদার, বিচারপতি মো. এমদাদুল হক, ড. ইফতেখারুজ্জামান ও ড. মোহাম্মদ আইয়ুব মিয়া। প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী মনির হায়দারও এ সময় উপস্থিত ছিলেন।

আগামী জাতীয় সংসদ নিয়মিত সংসদের পাশাপাশি সংবিধান সংস্কার পরিষদ হিসেবে ২৭০ দিনের (৯ মাস) মধ্যে জুলাই সনদের সংবিধানসংক্রান্ত বিষয়গুলো সংবিধানে যুক্ত করবে বলে মতৈক্য হয়েছে। তবে নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে তা সম্পন্ন করার বিষয়টি কীভাবে নিশ্চিত হবে, গতকাল শনিবার পর্যন্ত তার কিনারা করতে পারেনি জাতীয় ঐকমত্য কমিশন। বৃহস্পতিবারের পর ঐকমত্য কমিশন গতকালও বিশেষজ্ঞদের নিয়ে বৈঠক করলেও কোনো সমাধান মেলেনি। এমন প্রেক্ষাপটে আজ রোববার কমিশন আবার নিজেরা বৈঠক করবে এবং প্রয়োজনে বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে আবার বসবে।
ঐকমত্য কমিশনের জাতীয় সংসদ ভবনের কার্যালয়ে গতকাল বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে বৈঠকটি বেলা দেড়টার পর শুরু হয়ে সন্ধ্যা ৬টার পরে শেষ হয়। প্রায় চার ঘণ্টার বৈঠকেও সংবিধান নিয়ে সময়সীমার মধ্যে কাজ শেষ করার উপায় বের হয়নি।
সূত্র জানায়, এখন পর্যন্ত জুলাই সনদ বাস্তবায়নে কমিশনের সিদ্ধান্ত হলো, গণ-অভ্যুত্থানকে ভিত্তি ধরে প্রথমে ‘জুলাই সনদ বাস্তবায়ন (সংবিধান সংস্কার) আদেশ’ নামে একটি আদেশ জারি করা হবে। তার অধীনে জারি হবে গণভোট-বিষয়ক একটি অধ্যাদেশ। এর ভিত্তিতেই হবে গণভোট। একটি নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত (২৭০ দিন বা প্রথম ৯ মাস) আগামী সংসদ কাজ করবে সংবিধান সংস্কার পরিষদ হিসেবে। এ সময়ের মধ্যেই সংবিধান-সংক্রান্ত সংস্কার প্রস্তাবগুলো সংসদে অনুমোদন করা হবে। প্রসঙ্গত, একই সময় এ পরিষদ নিয়মিত সংসদ হিসেবেও কাজ করবে। সাধারণ সংখ্যাগরিষ্ঠতায়ই সংবিধান সংস্কার হবে।
গতকালের আলোচনা বিষয়ে একজন বিশেষজ্ঞ বলেন, ‘সংসদ সদস্যরা ২৭০ দিনের মধ্যে বাস্তবায়ন না করলে সনদে থাকা বিষয়গুলো কী হবে—সেখানেই আটকে যাচ্ছে আলোচনা। কারণ আমরা তেমন সমাধান দিতে পারছি না। দেশে অতীতে এ-সংক্রান্ত কোনো উদাহরণ নেই। দেশের বাইরেও এ ধরনের উদাহরণ পাইনি।’
কোনো দল আগামী নির্বাচনে সরকার গঠনে প্রয়োজনীয় দুই-তৃতীয়াংশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা না পেলে সংবিধান সংস্কার কীভাবে হবে, এ প্রশ্নও আছে। বিষয়টি তখন মূলত নির্ভর করবে বেশি আসন পাওয়া কয়েকটি দলের সদিচ্ছার ওপর। কিন্তু কমিশন চাইছে এ অনিশ্চয়তার অবকাশ না রেখে এমন কোনো বিধান করা, যা সনদ বাস্তবায়নের নিশ্চয়তা দেবে।
গতকালের বৈঠকে বিশেষজ্ঞরা একাধিক মত দিয়ে বলেছেন, সেগুলো আইনগত ও রাজনৈতিকভাবে পুরোপুরি গ্রহণযোগ্য বলে মনে করেন না তাঁ। একটি মত হলো,নির্ধারিত সময়ে সংস্কার বাস্তবায়ন করা না হলে সংসদ বিলুপ্ত হয়ে যাবে। এটি আইনগতভাবে ঠিক হলেও রাজনৈতিকভাবে গ্রহণযোগ্য হবে না বলে বিশেষজ্ঞদের ধারণা। সংসদ এভাবে বিলুপ্ত হলে নতুন সংকট তৈরি হতে পারে বলে মনে করেন তাঁরা।
আরও যে কয়েকটি মত গতকাল এসেছে তার মধ্যে রয়েছে, প্রথমত, পরিষদে নির্ধারিত সময়ের মধ্যে সনদের বিষয়গুলো বাস্তবায়ন না হলে তা স্বয়ংক্রিয়ভাবে সংবিধানে যুক্ত হয়ে যাওয়া এবং দ্বিতীয়ত, আগে সংবিধান সংস্কার পরিষদ বৈঠকে বসে সনদের সংযুক্তি বাস্তবায়ন করবে এবং তারপর সংসদ বসবে। কিন্তু এগুলোও কার্যকর বা বাস্তবসম্মত মনে করেননি বিশেষজ্ঞদের সবাই।
একজন বিশেষজ্ঞ বলেন, সময়সীমার মধ্যে না সম্পন্ন করলে আপনা থেকেই সংবিধানে বিষয়গুলো যুক্ত হওয়ার ধারণা বাস্তবসম্মত না। কারণ বিলগুলোর খসড়া তৈরি করা নেই। এটা করা বিশেষজ্ঞদের কাজ না। সংসদে আলোচনা করে নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিরাই এ সিদ্ধান্ত নেবেন। তিনি আরও বলেন, সনদের একটি বিধান হচ্ছে, মৌলিক অধিকার সম্প্রসারণ করা হবে। কিন্তু কোন মৌলিক অধিকারটি সম্প্রসারণ করা হবে, তা বলা নেই। সংসদ সদস্যদের আলোচনা করে এ সিদ্ধান্ত নিতে হবে। ওই বিশেষজ্ঞ বলেন, ‘এসব কারণে আমরা সিদ্ধান্ত দিতে পারিনি। কমিশন জানিয়েছে, বিষয়টি নিয়ে তাঁরা বৈঠক করবেন, প্রয়োজনে আমাদের সহযোগিতা নেবেন।’
গতকালের বৈঠকে আগে সংবিধান সংস্কার পরিষদ বসে বিষয়গুলো বাস্তবায়ন করার যে প্রস্তাব আসে তার পক্ষে বলা হয়, এতে নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিরা দ্রুত সনদ বাস্তবায়নে কাজ করবেন। কারণ তাঁরা বিলম্ব না করে সংসদ সদস্য হিসেবে শপথ নিতে চাইবেন। একজন বিশেষজ্ঞ বলেন, প্রস্তাবটি নিয়ে আলোচনা হলেও বেশির ভাগের মত, এটিও বাস্তবসম্মত নয়। কারণ জনপ্রতিনিধিদের শপথের মাধ্যমে সংসদ গঠিত না হওয়া পর্যন্ত অন্তর্বর্তী সরকারকে দায়িত্বে থেকে যেতে হবে। এটা প্রধান উপদেষ্টাই মানবেন না।
এ অবস্থায় সমাধান কী হতে পারে, এমন প্রশ্নের জবাবে ওই বিশেষজ্ঞ বলেন, ‘আমরা আদৌ কোনো বাধ্যবাধকতা তৈরি করে দিতে পারব কি না, তা নিয়ে সন্দেহ আছে। কারণ এমন আইনি ও রাজনৈতিক গ্রহণযোগ্য সমাধান পাইনি। তাই বিষয়টি আমাদের সুপারিশে না-ও থাকতে পারে।’
সনদ-বিষয়ক আদেশের খুঁটিনাটি নিয়েও আলোচনা হয়েছে। গণভোটের দিনক্ষণ সরকারের ওপর ছেড়ে দেওয়ার বিষয়ে মত দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা।
কমিশন সূত্র জানায়, আজ সকালে নিজেরা বৈঠক করার পর প্রয়োজন হলে বিশেষজ্ঞদের সঙ্গেও আবার বৈঠক করা হবে। ৩১ অক্টোবরের মেয়াদের মধ্যেই সনদ বাস্তবায়নের উপায় নিয়ে সুপারিশ চূড়ান্ত করতে চায় কমিশন।
এনসিপির সঙ্গে বৈঠক
গতকাল বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে বসার আগে কমিশনের সদস্যরা জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) সঙ্গে বৈঠক করেন। ১৭ অক্টোবর জুলাই সনদের স্বাক্ষর অনুষ্ঠান হলেও দলটি সই করেনি। এনসিপি বলেছিল, বাস্তবায়নের আদেশের চূড়ান্ত খসড়া না দেখে তারা স্বাক্ষর করবে না।
কমিশনের সহসভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ বলেছেন, গতকালের বৈঠকে এনসিপির প্রতিনিধিরা ‘স্পষ্টভাবে’ জানিয়েছেন যে তাঁরা স্বাক্ষর করতে চান। তাঁরা কিছু প্রস্তাব দিয়েছেন, যা কমিশন আইনি বিশেষজ্ঞদের কাছে পাঠিয়েছে। এনসিপির প্রস্তাবে ইতিবাচক ও নেতিবাচক দুই দিকই আছে। সেই বিষয়গুলো বিবেচনা করে কমিশন এগোচ্ছে। মূল লক্ষ্য হচ্ছে, যেন সবাই স্বাক্ষরের দিকে আসে।
বিশেষজ্ঞ হিসেবে বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি এম এ মতিন, সুপ্রিম কোর্টের জ্যেষ্ঠ আইনজীবী ড. শরিফ ভূইয়া, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন অনুষদের ডিন মোহাম্মদ ইকরামুল হক, ব্যারিস্টার ইমরান সিদ্দিক ও ব্যারিস্টার তানিম হোসেইন শাওন।
আলোচনায় কমিশনের পক্ষে অংশ নেন সহসভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ, সদস্য ড. বদিউল আলম মজুমদার, বিচারপতি মো. এমদাদুল হক, ড. ইফতেখারুজ্জামান ও ড. মোহাম্মদ আইয়ুব মিয়া। প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী মনির হায়দারও এ সময় উপস্থিত ছিলেন।

পদ্মার ওপর সেতু হয়েছে, দক্ষিণের মানুষের আর চিন্তা কিসের? যমুনায় সেতুর পরও ভোগাচ্ছিল সরু রাস্তা। সেটাও এখন চওড়া হয়েছে, উত্তরের মানুষ আর ভুগবে কেন? ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক তো অনেক আগে থেকেও প্রশস্ত। তবু সেখানে আটকে যাচ্ছে যান...
১৩ জুলাই ২০২২
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ (আরপিও) সংশোধন, ২০২৫-এর খসড়া নীতিগত ও চূড়ান্ত অনুমোদন করেছে উপদেষ্টা পরিষদ। গত বৃহস্পতিবার সংশোধিত আরপিও প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের সভাপতিত্বে পরিষদে অনুমোদন দেওয়া হয়।
৪ ঘণ্টা আগে
বিচারকদের উদ্দেশে তিনি বলেন, গুমের বিচার বাস্তবায়নে বিচারকদের সাহসী ও ন্যায্য ভূমিকা রাখা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। বিচার বিভাগের নিরপেক্ষতা ও দৃঢ় অবস্থানই একদিন বাংলাদেশ থেকে গুমের সংস্কৃতি নির্মূল করবে।
৭ ঘণ্টা আগে
বাংলাদেশে যুক্তরাষ্ট্রের পরবর্তী রাষ্ট্রদূত হিসেবে মনোনীত ব্রেন্ট ক্রিস্টেনসেন বলেছেন, নিয়োগ পেলে চীনা কর্মকাণ্ড থেকে উদ্ভূত ঝুঁকিগুলো স্পষ্টভাবে তুলে ধরতে তিনি বাংলাদেশ সরকার ও সামরিক বাহিনীর সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করবেন। গত বৃহস্পতিবার (২৩ অক্টোবর) যুক্তরাষ্ট্র সিনেটের পররাষ্ট্রবিষয়ক কমিটিতে তাঁর
৭ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ (আরপিও) সংশোধন, ২০২৫-এর খসড়া নীতিগত ও চূড়ান্ত অনুমোদন করেছে উপদেষ্টা পরিষদ। গত বৃহস্পতিবার সংশোধিত আরপিও প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের সভাপতিত্বে পরিষদে অনুমোদন দেওয়া হয়। এতে বেশ কিছু বিষয়ে পরিবর্তন আনা হয়েছে, যুক্ত করা হয়েছে নতুন বিধান, আবার কিছু কিছু বিধান আরপিও থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে।
সেগুলোর মধ্যে রয়েছে—ইভিএম ব্যবহার বাতিল, ‘না ভোট’ পুনর্বহাল, প্রার্থীদের দেশি-বিদেশি আয় ও সম্পত্তির বিবরণ প্রকাশের বাধ্যবাধকতা এবং পলাতক আসামিদের নির্বাচনে অংশগ্রহণ নিষিদ্ধ করা।
সংশোধিত আরপিওর গুরুত্বপূর্ণ কিছু অংশ তুলে ধরা হলো:
আদালত কর্তৃক ফেরারি বা পলাতক আসামি নির্বাচনে অংশ নিতে না পারার বিধান যুক্ত করা হয়েছে।
কোনো আসনে একক প্রার্থী থাকলে তাঁকে না ভোটের সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে হবে। নির্বাচনে না ভোট বেশি হলে সেখানে পুনরায় তফসিল ঘোষণা করে নির্বাচন হবে। তবে দ্বিতীয়বারও একক প্রার্থী হলে সেই প্রার্থীর মনোনয়নপত্র বৈধ হলে তাঁকে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় বিজয়ী ঘোষণা করা হবে।
ভোট গণনার সময় সাংবাদিকদের উপস্থিত থাকার বিধানটিও যুক্ত করা হয়েছে। তবে ভোট গণনার শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত সেখানে থাকতে হবে।
আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সংজ্ঞায় সেনাবাহিনী, নৌবাহিনী, বিমানবাহিনী তথা প্রতিরক্ষা কর্ম বিভাগ অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। জেলাভিত্তিক নির্বাচন অফিসগুলোতে দায়িত্ব পালন করবেন জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা। প্রার্থীদের দেশি ও বিদেশি উৎস থেকে আয় ও সম্পত্তির বিবরণ হলফনামায় দিতে হবে, যা নির্বাচন কমিশনের ওয়েবসাইটে উন্মুক্তভাবে প্রকাশ করা হবে।
আগে দলগুলো জোটবদ্ধ হয়ে জোটের যেকোনো দলের প্রতীক ব্যবহার করতে পারত। সেটি সংশোধন করা হয়েছে। জোটভুক্ত হলেও প্রার্থীকে নিজ নিজ দলের প্রতীকে ভোট করার বিধান যুক্ত করা হয়েছে। ভোটের সময় অনেকে জোটভুক্ত হলে জনপ্রিয় বা বড় দলের মার্কায় ভোট করতেন। এখন আর সে সুযোগ থাকছে না।
প্রবাসী বাংলাদেশি, নির্বাচনী কাজে নিয়োজিত ব্যক্তিদের জন্য পোস্টাল ব্যালটে ভোটের বিধানটি আরপিওতে যুক্ত করা হয়েছে। এবার আইটি সাপোর্টেড পোস্টাল ভোটিং চালু করা হচ্ছে। সে ক্ষেত্রে প্রবাসী বাংলাদেশি ভোটারদের পাশাপাশি আইনি হেফাজতে থাকা, সরকারি কর্মকর্তা, ভোট গ্রহণ কর্মকর্তারা ভোট দিতে পারবেন।
প্রার্থীর জামানত বাড়ানো হয়েছে। আগে ২০ হাজার টাকা ছিল, তা বাড়িয়ে ৫০ হাজার করা হয়েছে। কোনো ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান কোনো রাজনৈতিক দলকে ৫০ হাজার টাকার বেশি অনুদান দিতে চাইলে ব্যাংকিং চ্যানেলের মাধ্যমে দেওয়ার বিধান করা হয়েছে। যিনি অনুদান দেবেন, তাঁর ট্যাক্স রিটার্নও দিতে হবে।
কাজী হাবিবুল আউয়াল কমিশন পুরো আসনের ভোট বন্ধ করার ক্ষমতা কমিয়েছিল। সংশোধিত আরপিওতে শুধু ভোটকেন্দ্র নয়, অনিয়ম হলে ইসি পুরো আসনের ভোট বন্ধ করতে পারবে, সেই ক্ষমতা ফিরিয়ে দেওয়া হয়েছে।
প্রার্থীর হলফনামায় আগে শুধু দেশের সম্পদের হিসাব দেওয়া হতো। সংশোধিত আরপিওতে শুধু দেশের নয়, বিদেশের আয়ের উৎস, সম্পত্তির বিবরণ দিতে হবে।
এ ছাড়া ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম)-সংক্রান্ত বিধানটি সংশোধিত আরপিও থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে।

ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ (আরপিও) সংশোধন, ২০২৫-এর খসড়া নীতিগত ও চূড়ান্ত অনুমোদন করেছে উপদেষ্টা পরিষদ। গত বৃহস্পতিবার সংশোধিত আরপিও প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের সভাপতিত্বে পরিষদে অনুমোদন দেওয়া হয়। এতে বেশ কিছু বিষয়ে পরিবর্তন আনা হয়েছে, যুক্ত করা হয়েছে নতুন বিধান, আবার কিছু কিছু বিধান আরপিও থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে।
সেগুলোর মধ্যে রয়েছে—ইভিএম ব্যবহার বাতিল, ‘না ভোট’ পুনর্বহাল, প্রার্থীদের দেশি-বিদেশি আয় ও সম্পত্তির বিবরণ প্রকাশের বাধ্যবাধকতা এবং পলাতক আসামিদের নির্বাচনে অংশগ্রহণ নিষিদ্ধ করা।
সংশোধিত আরপিওর গুরুত্বপূর্ণ কিছু অংশ তুলে ধরা হলো:
আদালত কর্তৃক ফেরারি বা পলাতক আসামি নির্বাচনে অংশ নিতে না পারার বিধান যুক্ত করা হয়েছে।
কোনো আসনে একক প্রার্থী থাকলে তাঁকে না ভোটের সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে হবে। নির্বাচনে না ভোট বেশি হলে সেখানে পুনরায় তফসিল ঘোষণা করে নির্বাচন হবে। তবে দ্বিতীয়বারও একক প্রার্থী হলে সেই প্রার্থীর মনোনয়নপত্র বৈধ হলে তাঁকে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় বিজয়ী ঘোষণা করা হবে।
ভোট গণনার সময় সাংবাদিকদের উপস্থিত থাকার বিধানটিও যুক্ত করা হয়েছে। তবে ভোট গণনার শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত সেখানে থাকতে হবে।
আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সংজ্ঞায় সেনাবাহিনী, নৌবাহিনী, বিমানবাহিনী তথা প্রতিরক্ষা কর্ম বিভাগ অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। জেলাভিত্তিক নির্বাচন অফিসগুলোতে দায়িত্ব পালন করবেন জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা। প্রার্থীদের দেশি ও বিদেশি উৎস থেকে আয় ও সম্পত্তির বিবরণ হলফনামায় দিতে হবে, যা নির্বাচন কমিশনের ওয়েবসাইটে উন্মুক্তভাবে প্রকাশ করা হবে।
আগে দলগুলো জোটবদ্ধ হয়ে জোটের যেকোনো দলের প্রতীক ব্যবহার করতে পারত। সেটি সংশোধন করা হয়েছে। জোটভুক্ত হলেও প্রার্থীকে নিজ নিজ দলের প্রতীকে ভোট করার বিধান যুক্ত করা হয়েছে। ভোটের সময় অনেকে জোটভুক্ত হলে জনপ্রিয় বা বড় দলের মার্কায় ভোট করতেন। এখন আর সে সুযোগ থাকছে না।
প্রবাসী বাংলাদেশি, নির্বাচনী কাজে নিয়োজিত ব্যক্তিদের জন্য পোস্টাল ব্যালটে ভোটের বিধানটি আরপিওতে যুক্ত করা হয়েছে। এবার আইটি সাপোর্টেড পোস্টাল ভোটিং চালু করা হচ্ছে। সে ক্ষেত্রে প্রবাসী বাংলাদেশি ভোটারদের পাশাপাশি আইনি হেফাজতে থাকা, সরকারি কর্মকর্তা, ভোট গ্রহণ কর্মকর্তারা ভোট দিতে পারবেন।
প্রার্থীর জামানত বাড়ানো হয়েছে। আগে ২০ হাজার টাকা ছিল, তা বাড়িয়ে ৫০ হাজার করা হয়েছে। কোনো ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান কোনো রাজনৈতিক দলকে ৫০ হাজার টাকার বেশি অনুদান দিতে চাইলে ব্যাংকিং চ্যানেলের মাধ্যমে দেওয়ার বিধান করা হয়েছে। যিনি অনুদান দেবেন, তাঁর ট্যাক্স রিটার্নও দিতে হবে।
কাজী হাবিবুল আউয়াল কমিশন পুরো আসনের ভোট বন্ধ করার ক্ষমতা কমিয়েছিল। সংশোধিত আরপিওতে শুধু ভোটকেন্দ্র নয়, অনিয়ম হলে ইসি পুরো আসনের ভোট বন্ধ করতে পারবে, সেই ক্ষমতা ফিরিয়ে দেওয়া হয়েছে।
প্রার্থীর হলফনামায় আগে শুধু দেশের সম্পদের হিসাব দেওয়া হতো। সংশোধিত আরপিওতে শুধু দেশের নয়, বিদেশের আয়ের উৎস, সম্পত্তির বিবরণ দিতে হবে।
এ ছাড়া ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম)-সংক্রান্ত বিধানটি সংশোধিত আরপিও থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে।

পদ্মার ওপর সেতু হয়েছে, দক্ষিণের মানুষের আর চিন্তা কিসের? যমুনায় সেতুর পরও ভোগাচ্ছিল সরু রাস্তা। সেটাও এখন চওড়া হয়েছে, উত্তরের মানুষ আর ভুগবে কেন? ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক তো অনেক আগে থেকেও প্রশস্ত। তবু সেখানে আটকে যাচ্ছে যান...
১৩ জুলাই ২০২২
আগামী জাতীয় সংসদ নিয়মিত সংসদের পাশাপাশি সংবিধান সংস্কার পরিষদ হিসেবে ২৭০ দিনের (৯ মাস) মধ্যে জুলাই সনদের সংবিধানসংক্রান্ত বিষয়গুলো সংবিধানে যুক্ত করবে বলে মতৈক্য হয়েছে। তবে নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে তা সম্পন্ন করার বিষয়টি কীভাবে নিশ্চিত হবে, গতকাল শনিবার পর্যন্ত তার কিনারা করতে পারেনি...
১৬ মিনিট আগে
বিচারকদের উদ্দেশে তিনি বলেন, গুমের বিচার বাস্তবায়নে বিচারকদের সাহসী ও ন্যায্য ভূমিকা রাখা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। বিচার বিভাগের নিরপেক্ষতা ও দৃঢ় অবস্থানই একদিন বাংলাদেশ থেকে গুমের সংস্কৃতি নির্মূল করবে।
৭ ঘণ্টা আগে
বাংলাদেশে যুক্তরাষ্ট্রের পরবর্তী রাষ্ট্রদূত হিসেবে মনোনীত ব্রেন্ট ক্রিস্টেনসেন বলেছেন, নিয়োগ পেলে চীনা কর্মকাণ্ড থেকে উদ্ভূত ঝুঁকিগুলো স্পষ্টভাবে তুলে ধরতে তিনি বাংলাদেশ সরকার ও সামরিক বাহিনীর সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করবেন। গত বৃহস্পতিবার (২৩ অক্টোবর) যুক্তরাষ্ট্র সিনেটের পররাষ্ট্রবিষয়ক কমিটিতে তাঁর
৭ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল বলেছেন, গুম হত্যার চেয়েও নিকৃষ্টতম অপরাধ। গুম প্রতিরোধে শুধু আইনগত সংস্কার নয়, প্রয়োজন প্রাতিষ্ঠানিক সংস্কারও।
আজ শনিবার রাজধানীর গুলশানে হোটেল আমারিতে অনুষ্ঠিত ‘Ensuring Justice: The Role of the Judiciary in Addressing Enforced Disappearances’ শীর্ষক দিনব্যাপী কর্মশালার উদ্বোধনী পর্বে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। গুম-সংক্রান্ত কমিশন অব ইনকোয়ারির উদ্যোগে এবং ঢাকায় জাতিসংঘের মানবাধিকার-বিষয়ক হাইকমিশনারের কার্যালয়ের সহযোগিতায় এই কর্মশালার আয়োজন করা হয়।
কর্মশালায় আসিফ নজরুল বলেন, ‘অনেক প্রাণ ও ত্যাগের বিনিময়ে আমরা আজ একটি পরিবর্তিত পরিবেশে অবস্থান করছি। এই পরিবর্তন স্থায়ী করতে হলে গুমের বিচার নিশ্চিত করা অপরিহার্য।’
বিচারকদের উদ্দেশে তিনি বলেন, গুমের বিচার বাস্তবায়নে বিচারকদের সাহসী ও ন্যায্য ভূমিকা রাখা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। বিচার বিভাগের নিরপেক্ষতা ও দৃঢ় অবস্থানই একদিন বাংলাদেশ থেকে গুমের সংস্কৃতি নির্মূল করবে।
কর্মশালায় মূল প্রবন্ধ উপস্থাপনকালে কমিশনের সভাপতি বিচারপতি মইনুল ইসলাম চৌধুরী বলেন, রায় লেখা একটি সৃজনশীল শিল্প। তাই বিচারকেরা হলেন সৃজনশীল শিল্পী। তাঁদের শিল্পকর্মই তাঁদের রায়।
তিনি বলেন, গুম প্রতিরোধে বিচার বিভাগ, আইনপ্রয়োগকারী সংস্থা ও মানবাধিকার কাঠামোর মধ্যে সমন্বিত সহযোগিতা অপরিহার্য। আন্তর্জাতিক মানবাধিকার আইন, সাক্ষ্য-প্রমাণ বিশ্লেষণ ও আধুনিক প্রযুক্তির যথাযথ প্রয়োগের মাধ্যমে বিচার বিভাগ ও তদন্ত সংস্থার সক্ষমতা বৃদ্ধি গুমের বিচার নিশ্চিতের মূল চাবিকাঠি।
কমিশনের সদস্য বিচারপতি মো. ফরিদ আহমেদ শিবলী বলেন, গুম-সংক্রান্ত মামলাগুলোর কার্যকর তদন্ত ও বিচার নিশ্চিত করতে প্রাতিষ্ঠানিক সংস্কার এখন সময়ের দাবি। কমিশন এরই মধ্যে বিদ্যমান আইনি কাঠামো পর্যালোচনা করে গুম-সংক্রান্ত মামলার দ্রুত নিষ্পত্তি, সাক্ষী সুরক্ষা ও ভুক্তভোগী পরিবারের আইনি সহায়তা নিশ্চিত করতে প্রয়োজনীয় আইন সংশোধনের প্রস্তাব প্রস্তুত করছে।
কর্মশালায় আরও বক্তব্য দেন আইন ও বিচার বিভাগের সচিব লিয়াকত আলী মোল্লা এবং ঢাকায় জাতিসংঘের আবাসিক সমন্বয়কারীর কার্যালয়ের জ্যেষ্ঠ মানবাধিকার-বিষয়ক উপদেষ্টা হুমা খান।

আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল বলেছেন, গুম হত্যার চেয়েও নিকৃষ্টতম অপরাধ। গুম প্রতিরোধে শুধু আইনগত সংস্কার নয়, প্রয়োজন প্রাতিষ্ঠানিক সংস্কারও।
আজ শনিবার রাজধানীর গুলশানে হোটেল আমারিতে অনুষ্ঠিত ‘Ensuring Justice: The Role of the Judiciary in Addressing Enforced Disappearances’ শীর্ষক দিনব্যাপী কর্মশালার উদ্বোধনী পর্বে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। গুম-সংক্রান্ত কমিশন অব ইনকোয়ারির উদ্যোগে এবং ঢাকায় জাতিসংঘের মানবাধিকার-বিষয়ক হাইকমিশনারের কার্যালয়ের সহযোগিতায় এই কর্মশালার আয়োজন করা হয়।
কর্মশালায় আসিফ নজরুল বলেন, ‘অনেক প্রাণ ও ত্যাগের বিনিময়ে আমরা আজ একটি পরিবর্তিত পরিবেশে অবস্থান করছি। এই পরিবর্তন স্থায়ী করতে হলে গুমের বিচার নিশ্চিত করা অপরিহার্য।’
বিচারকদের উদ্দেশে তিনি বলেন, গুমের বিচার বাস্তবায়নে বিচারকদের সাহসী ও ন্যায্য ভূমিকা রাখা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। বিচার বিভাগের নিরপেক্ষতা ও দৃঢ় অবস্থানই একদিন বাংলাদেশ থেকে গুমের সংস্কৃতি নির্মূল করবে।
কর্মশালায় মূল প্রবন্ধ উপস্থাপনকালে কমিশনের সভাপতি বিচারপতি মইনুল ইসলাম চৌধুরী বলেন, রায় লেখা একটি সৃজনশীল শিল্প। তাই বিচারকেরা হলেন সৃজনশীল শিল্পী। তাঁদের শিল্পকর্মই তাঁদের রায়।
তিনি বলেন, গুম প্রতিরোধে বিচার বিভাগ, আইনপ্রয়োগকারী সংস্থা ও মানবাধিকার কাঠামোর মধ্যে সমন্বিত সহযোগিতা অপরিহার্য। আন্তর্জাতিক মানবাধিকার আইন, সাক্ষ্য-প্রমাণ বিশ্লেষণ ও আধুনিক প্রযুক্তির যথাযথ প্রয়োগের মাধ্যমে বিচার বিভাগ ও তদন্ত সংস্থার সক্ষমতা বৃদ্ধি গুমের বিচার নিশ্চিতের মূল চাবিকাঠি।
কমিশনের সদস্য বিচারপতি মো. ফরিদ আহমেদ শিবলী বলেন, গুম-সংক্রান্ত মামলাগুলোর কার্যকর তদন্ত ও বিচার নিশ্চিত করতে প্রাতিষ্ঠানিক সংস্কার এখন সময়ের দাবি। কমিশন এরই মধ্যে বিদ্যমান আইনি কাঠামো পর্যালোচনা করে গুম-সংক্রান্ত মামলার দ্রুত নিষ্পত্তি, সাক্ষী সুরক্ষা ও ভুক্তভোগী পরিবারের আইনি সহায়তা নিশ্চিত করতে প্রয়োজনীয় আইন সংশোধনের প্রস্তাব প্রস্তুত করছে।
কর্মশালায় আরও বক্তব্য দেন আইন ও বিচার বিভাগের সচিব লিয়াকত আলী মোল্লা এবং ঢাকায় জাতিসংঘের আবাসিক সমন্বয়কারীর কার্যালয়ের জ্যেষ্ঠ মানবাধিকার-বিষয়ক উপদেষ্টা হুমা খান।

পদ্মার ওপর সেতু হয়েছে, দক্ষিণের মানুষের আর চিন্তা কিসের? যমুনায় সেতুর পরও ভোগাচ্ছিল সরু রাস্তা। সেটাও এখন চওড়া হয়েছে, উত্তরের মানুষ আর ভুগবে কেন? ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক তো অনেক আগে থেকেও প্রশস্ত। তবু সেখানে আটকে যাচ্ছে যান...
১৩ জুলাই ২০২২
আগামী জাতীয় সংসদ নিয়মিত সংসদের পাশাপাশি সংবিধান সংস্কার পরিষদ হিসেবে ২৭০ দিনের (৯ মাস) মধ্যে জুলাই সনদের সংবিধানসংক্রান্ত বিষয়গুলো সংবিধানে যুক্ত করবে বলে মতৈক্য হয়েছে। তবে নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে তা সম্পন্ন করার বিষয়টি কীভাবে নিশ্চিত হবে, গতকাল শনিবার পর্যন্ত তার কিনারা করতে পারেনি...
১৬ মিনিট আগে
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ (আরপিও) সংশোধন, ২০২৫-এর খসড়া নীতিগত ও চূড়ান্ত অনুমোদন করেছে উপদেষ্টা পরিষদ। গত বৃহস্পতিবার সংশোধিত আরপিও প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের সভাপতিত্বে পরিষদে অনুমোদন দেওয়া হয়।
৪ ঘণ্টা আগে
বাংলাদেশে যুক্তরাষ্ট্রের পরবর্তী রাষ্ট্রদূত হিসেবে মনোনীত ব্রেন্ট ক্রিস্টেনসেন বলেছেন, নিয়োগ পেলে চীনা কর্মকাণ্ড থেকে উদ্ভূত ঝুঁকিগুলো স্পষ্টভাবে তুলে ধরতে তিনি বাংলাদেশ সরকার ও সামরিক বাহিনীর সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করবেন। গত বৃহস্পতিবার (২৩ অক্টোবর) যুক্তরাষ্ট্র সিনেটের পররাষ্ট্রবিষয়ক কমিটিতে তাঁর
৭ ঘণ্টা আগেসিনেটে শুনানিতে ট্রাম্প–মনোনীত রাষ্ট্রদূত
আজকের পত্রিকা ডেস্ক

বাংলাদেশে যুক্তরাষ্ট্রের পরবর্তী রাষ্ট্রদূত হিসেবে মনোনীত ব্রেন্ট ক্রিস্টেনসেন বলেছেন, নিয়োগ পেলে চীনা কর্মকাণ্ড থেকে উদ্ভূত ঝুঁকিগুলো স্পষ্টভাবে তুলে ধরতে তিনি বাংলাদেশ সরকার ও সামরিক বাহিনীর সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করবেন। গত বৃহস্পতিবার (২৩ অক্টোবর) যুক্তরাষ্ট্র সিনেটের পররাষ্ট্রবিষয়ক কমিটিতে তাঁর মনোনয়ন নিয়ে শুনানিতে প্রশ্নোত্তর পর্বে একথা বলেন ক্রিস্টেনসেন।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের মমোনীত এই কূটনীতিক বলেন, রাষ্ট্রদূত হিসেবে নিয়োগ পেলে তিনি বাংলাদেশ সরকার ও সামরিক বাহিনীর কাছে সামরিক সহযোগিতা, সামুদ্রিক কর্মকাণ্ড এবং গুরুত্বপূর্ণ অবকাঠামোতে সম্পৃক্ততাসহ চীনা কর্মকাণ্ডের ঝুঁকি সুস্পষ্টভাবে তুলে ধরবনে। পাশাপাশি সামরিক সহযোগিতার ক্ষেত্রে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে অংশীদারত্ব ঘনিষ্ঠ করার জন্য কাজ করারও প্রতিশ্রুতি দেন ক্রিস্টেনসেন।
গত ২ সেপ্টেম্বর মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ব্রেন্ট ক্রিস্টেনসেনকে বাংলাদেশের পরবর্তী রাষ্ট্রদূত হিসেবে মনোনয়ন দেন। সিনেট কমিটির অনুমোদনের পরই তাঁর নিয়োগ চূড়ান্ত হবে। এই মনোনয়ন নিয়ে শুনানিতে চার রাষ্ট্রদূত প্রার্থী লিখিত বিবৃতি তুলে ধরেন। পরে তাঁরা সিনেট সদস্যদের প্রশ্নের জবাব দেন।
বাংলাদেশের সঙ্গে চীনের ক্রমবর্ধমান সম্পর্ক নিয়ে উদ্বেগ তুলে ধরে নেব্রাস্কার রিপাবলিকান সিনেটর জন পিটার রিকেটস শুনানিতে বলেন, ‘আমরা এখন চীনা কমিউনিস্ট পার্টির ক্রমবর্ধমান প্রভাবের মুখে। বাংলাদেশ ও চীনের সামরিক সহযোগিতা দ্রুত বাড়ছে। যুদ্ধজাহাজ ও সাবমেরিন রাখার জন্য সম্প্রতি বাংলাদেশের একটি কৌশলগত সাবমেরিন ঘাঁটি আধুনিকায়ন করেছে চীন। বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকার চীনের তৈরি ২০টি জে-১০ যুদ্ধবিমান কেনার পরিকল্পনা অনুমোদন করেছে বলে খবর পাওয়া গেছে। পাশাপাশি নতুন সারফেস-টু-এয়ার মিসাইল ও দূরপাল্লার রাডার কেনার বিষয়েও সিদ্ধান্ত হয়েছে।’
মার্কিন রাষ্ট্রদূত নিয়োগ পেলে চীনা সামরিক সরঞ্জামের ওপর বাংলাদেশের নির্ভরশীলতা কমাতে বাংলাদেশের সামরিক ও রাজনৈতিক নেতৃত্বের সঙ্গে ক্রিস্টেনসেন কীভাবে কাজ করবেন, তা জানতে চান সিনেটর রিকেটস।

জবাবে ব্রেন্ট ক্রিস্টেনসেন বলেন, ‘দক্ষিণ এশিয়ায় চীনের প্রভাব নিয়ে আপনাদের মতো উদ্বেগ আমারও। রাষ্ট্রদূত নিয়োগ আমি বাংলাদেশ সরকার ও সামরিক বাহিনীর সঙ্গে যুক্ত থেকে চীনের কার্যক্রমের ঝুঁকি ব্যাখ্যা করব। পাশাপাশি যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে গভীর অংশীদারিত্বের সম্ভাবনা তুলে ধরব, যা দুই দেশের সামরিক সম্পর্ককে আরও মজবুত করবে।’
এ সময় সিনেটর রিকেটস বলেন, ‘এই শুনানির আগের দিনই সিনেট পররাষ্ট্র কমিটি সর্বসম্মতভাবে ‘থিংক টোয়াইস অ্যাক্ট’ পাস করেছে। এই আইন যুক্তরাষ্ট্রকে পূর্ণাঙ্গ কৌশল নিতে বাধ্য করবে, যাতে বাংলাদেশসহ অন্যান্য দেশকে চীনা অস্ত্র কেনা থেকে বিরত রাখা যায়। আমরা আশা করি, আপনিও এই আইনের সহায়তা নিয়ে কাজ করবেন। তাহলে অস্ত্র বিক্রির মাধ্যমে চীনের ক্রমবর্ধমান প্রভাব বিস্তার প্রতিরোধ সম্ভব হবে।’
তাঁর এই মন্তব্যের সূত্র ধরে ব্রেন্ট ক্রিস্টেনসেন বলেন, ‘সামরিক অংশীদারিত্বের মাধ্যমে যুক্তরাষ্ট্রের উচ্চমূল্যের সামরিক সরঞ্জামের বিকল্প হিসেবে মিত্রদেশগুলোর তৈরি সাশ্রয়ী প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা সম্পর্কে আমরা বাংলাদেশকে জানাতে পারি। পাশাপাশি যৌথ সামরিক মহড়ার মাধ্যমে বাংলাদেশের প্ল্যাটফর্মগুলোকে অন্যান্য মিত্র বাহিনীর সঙ্গে আরও সমন্বিত ও কার্যকর করতে পারি।’
শুনানির শুরুতে লিখিত বিবৃতিতে ব্রেন্ট ক্রিস্টেনসেন বলেন, ‘বাংলাদেশ এখন এক সন্ধিক্ষণে দাঁড়িয়ে আছে। ২০২৪ সালের আগস্টে শিক্ষার্থীদের নেতৃত্বে যে গণআন্দোলন হয়েছিল, তা ১৫ বছর ধরে ক্ষমতায় থাকা সরকারকে পতন ঘটায়। আগামী বছর বাংলাদেশের জনগণ ভোটে যাবে, যা দেশের সাম্প্রতিক ইতিহাসে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ নির্বাচন। যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক ও উজ্জ্বল ভবিষ্যতের যাত্রায় পাশে থাকবে।”
তিনি আরও বলেন, ‘বিশ্বের অষ্টম জনবহুল দেশ হিসেবে বাংলাদেশ অনেক সময় তাঁর প্রাপ্য মনোযোগ পায় না, বড় প্রতিবেশীদের আড়ালে গুরুত্ব হারিয়ে যায়। যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রসেবায় আমার দুই দশকের অভিজ্ঞতা, যার মধ্যে ঢাকার কর্মকালও রয়েছে। তাই, আমি বাংলাদেশের কৌশলগত গুরুত্ব ও যুক্তরাষ্ট্রের স্বার্থ সম্পর্কে গভীরভাবে অবগত। ভারত মহাসাগরীয় অঞ্চলে অবস্থান বাংলাদেশকে উন্মুক্ত, নিরাপদ ও সমৃদ্ধ ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলে গুরুত্বপূর্ণ অংশীদার করে তুলেছে।’

বাংলাদেশে যুক্তরাষ্ট্রের পরবর্তী রাষ্ট্রদূত হিসেবে মনোনীত ব্রেন্ট ক্রিস্টেনসেন বলেছেন, নিয়োগ পেলে চীনা কর্মকাণ্ড থেকে উদ্ভূত ঝুঁকিগুলো স্পষ্টভাবে তুলে ধরতে তিনি বাংলাদেশ সরকার ও সামরিক বাহিনীর সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করবেন। গত বৃহস্পতিবার (২৩ অক্টোবর) যুক্তরাষ্ট্র সিনেটের পররাষ্ট্রবিষয়ক কমিটিতে তাঁর মনোনয়ন নিয়ে শুনানিতে প্রশ্নোত্তর পর্বে একথা বলেন ক্রিস্টেনসেন।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের মমোনীত এই কূটনীতিক বলেন, রাষ্ট্রদূত হিসেবে নিয়োগ পেলে তিনি বাংলাদেশ সরকার ও সামরিক বাহিনীর কাছে সামরিক সহযোগিতা, সামুদ্রিক কর্মকাণ্ড এবং গুরুত্বপূর্ণ অবকাঠামোতে সম্পৃক্ততাসহ চীনা কর্মকাণ্ডের ঝুঁকি সুস্পষ্টভাবে তুলে ধরবনে। পাশাপাশি সামরিক সহযোগিতার ক্ষেত্রে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে অংশীদারত্ব ঘনিষ্ঠ করার জন্য কাজ করারও প্রতিশ্রুতি দেন ক্রিস্টেনসেন।
গত ২ সেপ্টেম্বর মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ব্রেন্ট ক্রিস্টেনসেনকে বাংলাদেশের পরবর্তী রাষ্ট্রদূত হিসেবে মনোনয়ন দেন। সিনেট কমিটির অনুমোদনের পরই তাঁর নিয়োগ চূড়ান্ত হবে। এই মনোনয়ন নিয়ে শুনানিতে চার রাষ্ট্রদূত প্রার্থী লিখিত বিবৃতি তুলে ধরেন। পরে তাঁরা সিনেট সদস্যদের প্রশ্নের জবাব দেন।
বাংলাদেশের সঙ্গে চীনের ক্রমবর্ধমান সম্পর্ক নিয়ে উদ্বেগ তুলে ধরে নেব্রাস্কার রিপাবলিকান সিনেটর জন পিটার রিকেটস শুনানিতে বলেন, ‘আমরা এখন চীনা কমিউনিস্ট পার্টির ক্রমবর্ধমান প্রভাবের মুখে। বাংলাদেশ ও চীনের সামরিক সহযোগিতা দ্রুত বাড়ছে। যুদ্ধজাহাজ ও সাবমেরিন রাখার জন্য সম্প্রতি বাংলাদেশের একটি কৌশলগত সাবমেরিন ঘাঁটি আধুনিকায়ন করেছে চীন। বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকার চীনের তৈরি ২০টি জে-১০ যুদ্ধবিমান কেনার পরিকল্পনা অনুমোদন করেছে বলে খবর পাওয়া গেছে। পাশাপাশি নতুন সারফেস-টু-এয়ার মিসাইল ও দূরপাল্লার রাডার কেনার বিষয়েও সিদ্ধান্ত হয়েছে।’
মার্কিন রাষ্ট্রদূত নিয়োগ পেলে চীনা সামরিক সরঞ্জামের ওপর বাংলাদেশের নির্ভরশীলতা কমাতে বাংলাদেশের সামরিক ও রাজনৈতিক নেতৃত্বের সঙ্গে ক্রিস্টেনসেন কীভাবে কাজ করবেন, তা জানতে চান সিনেটর রিকেটস।

জবাবে ব্রেন্ট ক্রিস্টেনসেন বলেন, ‘দক্ষিণ এশিয়ায় চীনের প্রভাব নিয়ে আপনাদের মতো উদ্বেগ আমারও। রাষ্ট্রদূত নিয়োগ আমি বাংলাদেশ সরকার ও সামরিক বাহিনীর সঙ্গে যুক্ত থেকে চীনের কার্যক্রমের ঝুঁকি ব্যাখ্যা করব। পাশাপাশি যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে গভীর অংশীদারিত্বের সম্ভাবনা তুলে ধরব, যা দুই দেশের সামরিক সম্পর্ককে আরও মজবুত করবে।’
এ সময় সিনেটর রিকেটস বলেন, ‘এই শুনানির আগের দিনই সিনেট পররাষ্ট্র কমিটি সর্বসম্মতভাবে ‘থিংক টোয়াইস অ্যাক্ট’ পাস করেছে। এই আইন যুক্তরাষ্ট্রকে পূর্ণাঙ্গ কৌশল নিতে বাধ্য করবে, যাতে বাংলাদেশসহ অন্যান্য দেশকে চীনা অস্ত্র কেনা থেকে বিরত রাখা যায়। আমরা আশা করি, আপনিও এই আইনের সহায়তা নিয়ে কাজ করবেন। তাহলে অস্ত্র বিক্রির মাধ্যমে চীনের ক্রমবর্ধমান প্রভাব বিস্তার প্রতিরোধ সম্ভব হবে।’
তাঁর এই মন্তব্যের সূত্র ধরে ব্রেন্ট ক্রিস্টেনসেন বলেন, ‘সামরিক অংশীদারিত্বের মাধ্যমে যুক্তরাষ্ট্রের উচ্চমূল্যের সামরিক সরঞ্জামের বিকল্প হিসেবে মিত্রদেশগুলোর তৈরি সাশ্রয়ী প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা সম্পর্কে আমরা বাংলাদেশকে জানাতে পারি। পাশাপাশি যৌথ সামরিক মহড়ার মাধ্যমে বাংলাদেশের প্ল্যাটফর্মগুলোকে অন্যান্য মিত্র বাহিনীর সঙ্গে আরও সমন্বিত ও কার্যকর করতে পারি।’
শুনানির শুরুতে লিখিত বিবৃতিতে ব্রেন্ট ক্রিস্টেনসেন বলেন, ‘বাংলাদেশ এখন এক সন্ধিক্ষণে দাঁড়িয়ে আছে। ২০২৪ সালের আগস্টে শিক্ষার্থীদের নেতৃত্বে যে গণআন্দোলন হয়েছিল, তা ১৫ বছর ধরে ক্ষমতায় থাকা সরকারকে পতন ঘটায়। আগামী বছর বাংলাদেশের জনগণ ভোটে যাবে, যা দেশের সাম্প্রতিক ইতিহাসে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ নির্বাচন। যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক ও উজ্জ্বল ভবিষ্যতের যাত্রায় পাশে থাকবে।”
তিনি আরও বলেন, ‘বিশ্বের অষ্টম জনবহুল দেশ হিসেবে বাংলাদেশ অনেক সময় তাঁর প্রাপ্য মনোযোগ পায় না, বড় প্রতিবেশীদের আড়ালে গুরুত্ব হারিয়ে যায়। যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রসেবায় আমার দুই দশকের অভিজ্ঞতা, যার মধ্যে ঢাকার কর্মকালও রয়েছে। তাই, আমি বাংলাদেশের কৌশলগত গুরুত্ব ও যুক্তরাষ্ট্রের স্বার্থ সম্পর্কে গভীরভাবে অবগত। ভারত মহাসাগরীয় অঞ্চলে অবস্থান বাংলাদেশকে উন্মুক্ত, নিরাপদ ও সমৃদ্ধ ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলে গুরুত্বপূর্ণ অংশীদার করে তুলেছে।’

পদ্মার ওপর সেতু হয়েছে, দক্ষিণের মানুষের আর চিন্তা কিসের? যমুনায় সেতুর পরও ভোগাচ্ছিল সরু রাস্তা। সেটাও এখন চওড়া হয়েছে, উত্তরের মানুষ আর ভুগবে কেন? ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক তো অনেক আগে থেকেও প্রশস্ত। তবু সেখানে আটকে যাচ্ছে যান...
১৩ জুলাই ২০২২
আগামী জাতীয় সংসদ নিয়মিত সংসদের পাশাপাশি সংবিধান সংস্কার পরিষদ হিসেবে ২৭০ দিনের (৯ মাস) মধ্যে জুলাই সনদের সংবিধানসংক্রান্ত বিষয়গুলো সংবিধানে যুক্ত করবে বলে মতৈক্য হয়েছে। তবে নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে তা সম্পন্ন করার বিষয়টি কীভাবে নিশ্চিত হবে, গতকাল শনিবার পর্যন্ত তার কিনারা করতে পারেনি...
১৬ মিনিট আগে
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ (আরপিও) সংশোধন, ২০২৫-এর খসড়া নীতিগত ও চূড়ান্ত অনুমোদন করেছে উপদেষ্টা পরিষদ। গত বৃহস্পতিবার সংশোধিত আরপিও প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের সভাপতিত্বে পরিষদে অনুমোদন দেওয়া হয়।
৪ ঘণ্টা আগে
বিচারকদের উদ্দেশে তিনি বলেন, গুমের বিচার বাস্তবায়নে বিচারকদের সাহসী ও ন্যায্য ভূমিকা রাখা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। বিচার বিভাগের নিরপেক্ষতা ও দৃঢ় অবস্থানই একদিন বাংলাদেশ থেকে গুমের সংস্কৃতি নির্মূল করবে।
৭ ঘণ্টা আগে