Ajker Patrika

বাংলাদেশের ওপর নতুন নিষেধাজ্ঞা আসছে কিনা— যা বলল মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর

অনলাইন ডেস্ক
আপডেট : ১৪ ডিসেম্বর ২০২৩, ১৫: ২১
Thumbnail image

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তরের নিয়মিত প্রেস ব্রিফিংয়ে আবারও উঠে এল বাংলাদেশের প্রসঙ্গ। আগামী ৭ জানুয়ারি অনুষ্ঠেয় দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে নতুন নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হবে কি না তা জানতে চান এক সাংবাদিক। এছাড়া কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা প্রযুক্তি ব্যবহার করে বাংলাদেশ সরকার বিরোধী দল ও যুক্তরাষ্ট্রের বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালাচ্ছে দাবি করে ফিন্যান্সিয়াল টাইমসের প্রতিবেদনের প্রসঙ্গও উত্থাপন করা হয়। 

স্থানীয় সময় গতকাল বুধবার মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র ম্যাথিউ মিলারকে জিজ্ঞেস করা হয়, ৭ জানুয়ারির নির্বাচনের আগে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে নতুন করে নিষেধাজ্ঞা আরোপের কোনো খবর আছে কিনা। 

জবাবে তিনি বলেন, নতুন কোনো নিষেধাজ্ঞার খবর তার কাছে নেই। তাছাড়া আরোপ করার আগে নিষেধাজ্ঞার বিষয় প্রকাশ না করা যুক্তরাষ্ট্রের দীর্ঘদিনের চর্চা। 

ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম ফিন্যান্সিয়াল টাইমস একটি অনুসন্ধানী প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। সেখানে দাবি করা হয়, বাংলাদেশে আসন্ন ‘ডামি’ নির্বাচন সামনে রেখে শেখ হাসিনার সরকার যুক্তরাষ্ট্র ও বাংলাদেশের বিরোধী দলগুলোর বিরুদ্ধে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) ব্যবহার করে ভুয়া খবর ও ভুয়া ভিডিওসহ সুপরিকল্পিত প্রোপাগান্ডা বা প্রচারণা চালাচ্ছে। এ বিষয়ে প্রতিক্রিয়া জানতে চাওয়া হয়।

জবাবে পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র ম্যাথিউ মিলার বলেন, ‘বাংলাদেশের নির্বাচনী প্রচারণায় ডিপ ফেক প্রযুক্তির ব্যবহারের উদ্বেগজনক খবর আমাদের নজরে এসেছে। গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়াকে নিয়ন্ত্রণ ও প্রভাবিত করতে বিশ্বজুড়ে এআই ব্যবহারের উদ্বেগজনক প্রবণতার অংশ এটি।’

অপর এক প্রশ্নে মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্রের কাছে জানতে চাওয়া হয়, বাংলাদেশে মৌলিক অধিকার রক্ষায় একযোগে কাজ করতে বিশ্ব সম্প্রদায়কে আহ্বান জানিয়েছে ছয়টি আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থা। অন্যদিকে বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও তাঁর পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী দাবি করছেন, তাঁরা যুক্তরাষ্ট্রকেও ‘ম্যানেজ’ করতে পারবেন। সরকার গঠনের পর যুক্তরাষ্ট্র সরকারকে সমর্থন করবে বলে উল্লেখ করেন তিনি (পররাষ্ট্রমন্ত্রী)। সে বিষয়ে আপনার প্রতিক্রিয়া কী?

জবাবে ম্যাথিউ মিলার বলেন, ‘হাজার হাজার বিরোধীদলীয় নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার ও কারাগারে নির্যাতনের প্রতিবেদনে আমরা গভীরভাবে উদ্বিগ্ন। আমরা সব পক্ষকে সংযম প্রদর্শন ও সহিংসতা এড়াতে আহ্বান জানাই। আমরা বাংলাদেশ সরকারকে এমন পরিস্থিতি তৈরি করতে সব অংশীদারের সঙ্গে কাজ করার আহ্বান জানাই, যাতে সবাই সহিংসতা বা প্রতিশোধের ভয় ছাড়াই প্রাক-নির্বাচন এবং নির্বাচনী পরিবেশে অবাধে অংশগ্রহণ করতে পারে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত