Ajker Patrika

শাটডাউন কর্মসূচিতে অচল এনবিআর, ফটকে অবস্থান কর্মকর্তা-কর্মচারীদের

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
আপডেট : ২৯ জুন ২০২৫, ১৫: ১১
ফটকের সামনে রাস্তায় বসে পড়েছেন এনবিআর কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। ছবি: আজকের পত্রিকা
ফটকের সামনে রাস্তায় বসে পড়েছেন এনবিআর কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। ছবি: আজকের পত্রিকা

জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের ঘোষিত শাটডাউন কর্মসূচি পালিত হচ্ছে। আগের দিনের মতো আজ রোববারও শাটডাউন কর্মসূচির ফলে দেশের সব শুল্ক-কর কার্যালয়ে কোনো কাজ হচ্ছে না।

সকাল সাড়ে ১০টার দিকে আগারগাঁওয়ের রাজস্ব ভবনের সামনে জড়ো হন আন্দোলনকারীরা। ফটকের সামনে রাস্তায় বসে পড়েন তাঁরা। তবে গতকালের তুলনায় কম উপস্থিতি দেখা গেছে। আগের দিন কড়াকড়ি থাকলেও আজ প্রধান ফটকে প্রবেশেও শিথিলতা দেখা গেছে। পরিচয়পত্র দেখিয়ে কর্মকর্তারা ভবনে প্রবেশ করতে পারছেন।

গতকাল সংবাদ সম্মেলনে কমপ্লিট শাটডাউন ও মার্চ টু এনবিআর কর্মসূচি ঘোষণা করে এনবিআর কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সম্মিলিত প্ল্যাটফর্ম এনবিআর সংস্কার ঐক্য পরিষদ।

এনবিআরের কর্মকর্তারা বলছেন, বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে ঢাকা ও দেশের বিভিন্ন প্রান্তের কর্মকর্তারা আন্দোলনে যোগ দেবেন। গতকালও বিভিন্ন শুল্ক-কর কার্যালয় থেকে মার্চ টু এনবিআর কর্মসূচি পালিত হয়েছে। ফলে চট্টগ্রাম বন্দর, বেনাপোল বন্দর, ঢাকা কাস্টম হাউসসহ দেশের সব কাস্টম হাউস ও শুল্ক স্টেশনে কাজ হয়নি। ফলে এসব স্টেশন থেকে শুল্ক-কর আদায় কার্যত বন্ধ হয়ে যায়।

ফটকের সামনে রাস্তায় বসে পড়েছেন এনবিআর কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। ছবি: আজকের পত্রিকা
ফটকের সামনে রাস্তায় বসে পড়েছেন এনবিআর কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। ছবি: আজকের পত্রিকা

অংশীজনদের সঙ্গে আলোচনা না করেই ১২ মে মধ্যরাতে এনবিআর দুই ভাগ করে রাজস্ব ব্যবস্থাপনা ও রাজস্ব নীতি নামে দুটি স্বতন্ত্র বিভাগ করে অধ্যাদেশ জারি করে সরকার। সেটি বাতিলের দাবিতে কলমবিরতিসহ নানা কর্মসূচি দিয়ে আন্দোলনে নামেন এনবিআরের কর্মীরা। আন্দোলনের মধ্যে ২২ মে অর্থ মন্ত্রণালয়ের এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, অধ্যাদেশ বাস্তবায়নে এনবিআর কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সঙ্গে আলোচনা করা হবে।

পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর অবস্থান। ছবি: আজকের পত্রিকা
পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর অবস্থান। ছবি: আজকের পত্রিকা

এরপর কাজে যোগ দিলেও রাজস্ব খাতের সংস্কারে এনবিআর কর্মকর্তাদের উপেক্ষা ও অসহযোগিতা করার অভিযোগে আন্দোলনকারীরা চেয়ারম্যানের অপসারণের দাবিতে অটল থাকেন এবং সংস্থার কার্যালয়ে তাঁকে ‘অবাঞ্ছিত’ ঘোষণা করেন। পরে সেনাবাহিনী পাহারায় এনবিআর চেয়ারম্যান দপ্তরে আসা-যাওয়া করেন। এ ছাড়াও আন্দোলন দমাতে কর্মকর্তাদের হঠাৎ করে বদলির অভিযোগও আনা হয় এনবিআর চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে। আন্দোলনকারী ব্যক্তিরা সরকারের সঙ্গে আলোচনায় আগ্রহী। তাঁদের শর্ত হলো, আলোচনার আগে এনবিআর চেয়ারম্যানকে অপসারণ করতে হবে।

এদিকে র‍্যাব, পুলিশ, কোস্টগার্ড, বিজিবি ও আনসার সদস্যরা গতকালের মতো আজকেও পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে অবস্থান নিয়েছেন। তবে তাঁদের সংখ্যা কম।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত