Ajker Patrika

আবারও কর্মবিরতিতে যাচ্ছেন সরকারি প্রাথমিক শিক্ষকেরা

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
ফাইল ছবি
ফাইল ছবি

বেতনবৈষম্য দূর করে এন্ট্রি লেভেলে গ্রেড উন্নত করা, পদোন্নতিসহ ছয় দফা দাবি বাস্তবায়নে আগামী ৫ মে থেকে আবারও কর্মবিরতিতে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষকেরা। প্রাথমিকের সহকারী শিক্ষকদের বিভিন্ন সংগঠনের সমন্বয়ে গঠিত মোর্চা ‘প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক সংগঠন ঐক্য পরিষদের’ ব্যানারে এই কর্মসূচি নেওয়া হয়েছে।

আজ শনিবার মোর্চাভুক্ত সংগঠন বাংলাদেশ প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক সমাজের সভাপতি মো. আনিসুর রহমান এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

আনিসুর রহমান জানান, ঘোষিত কর্মসূচি অনুযায়ী আগামী ৫ মে থেকে শিক্ষকেরা পর্যায়ক্রমে কর্মবিরতি পালন করবেন। ৫ থেকে ১৫ মে পর্যন্ত প্রতিদিন এক ঘণ্টা, ১৬ থেকে ২০ মে পর্যন্ত দুই ঘণ্টা এবং ২১ থেকে ২৫ মে পর্যন্ত অর্ধদিবস কর্মবিরতি পালন করা হবে। দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত ২৬ মে থেকে লাগাতার পূর্ণদিবস কর্মবিরতি পালন করবেন শিক্ষকেরা।

কর্মবিরতি কর্মসূচির কারণ ব্যাখ্যা করে মো. আনিসুর রহমান বলেন, প্রাথমিক ও উপানুষ্ঠানিক শিক্ষা সংস্কারে গঠিত পরামর্শক কমিটি শিক্ষকদের বেতন এন্ট্রি লেভেলে ১২তম গ্রেডে নির্ধারণ এবং চার বছর পর পদোন্নতি দিয়ে ১১তম গ্রেড দেওয়ার সুপারিশ করেছে। কিন্তু শিক্ষকেরা এন্ট্রি পদেই সহকারী শিক্ষকদের জন্য ১১তম গ্রেডে বেতন চান। এ ছাড়া উচ্চতর গ্রেড পাওয়ার জটিলতা নিরসন ও প্রধান শিক্ষকের শতভাগ পদে সহকারী শিক্ষকদের পদোন্নতির দাবিতে তাঁরা এই কর্মসূচি ঘোষণা করেছেন। বর্তমানে সহকারী শিক্ষকেরা ১৩তম গ্রেডে ও প্রধান শিক্ষকেরা ১১তম গ্রেডে বেতন পাচ্ছেন।

উল্লেখ্য, অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব নেওয়ার পর গত অক্টোবরে প্রাথমিক ও উপানুষ্ঠানিক শিক্ষা সংস্কারে পরামর্শক কমিটি গঠন করা হয়েছিল। ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের ইমেরিটাস অধ্যাপক মনজুর আহমেদকে এর আহ্বায়ক করা হয়। এই কমিটি গত ১০ ফেব্রুয়ারি তাদের সুপারিশ প্রতিবেদন জমা দেয়।

কমিটির সুপারিশে সহকারী শিক্ষক পদ বিলুপ্ত করে এন্ট্রি লেভেলের শিক্ষক পদ ১২তম গ্রেডে বেতন দেওয়ার কথা বলা হয়েছে। প্রধান শিক্ষকদের বেতন ১০ম গ্রেডে দেওয়া এবং পদোন্নতির মাধ্যমে প্রধান শিক্ষক পদে নিয়োগের সুপারিশ করা হয়েছে।

প্রতিবেদন জমা দেওয়ার পর এক প্রেস ব্রিফিংয়ে কমিটির আহ্বায়ক অধ্যাপক মনজুর আহমেদ বলেছিলেন, বর্তমান পরিস্থিতি বিবেচনায় শিক্ষকদের স্বতন্ত্র মর্যাদা ও উচ্চতর বেতন কাঠামো প্রতিষ্ঠিত না হওয়া পর্যন্ত কমিটির অন্তর্বর্তী সুপারিশ হলো, শিক্ষক পদে প্রবেশ ১২তম গ্রেডে, দুই বছর পর স্থায়ীকরণ এবং আরও দুই বছর পর ১১তম গ্রেডে সিনিয়র শিক্ষক হিসেবে পদোন্নতি। প্রধান শিক্ষকের ক্ষেত্রে সরকারের রিভিউ আবেদন প্রত্যাহার, প্রধান শিক্ষকের জন্য ১০ম গ্রেড নির্ধারণ ও সব প্রধান শিক্ষক পদোন্নতির মাধ্যমে নিয়োগের সুপারিশ করা হয়েছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত