Ajker Patrika

বেসরকারি হাসপাতালেও করা যাবে অ্যান্টিজেন টেস্ট

নিজস্ব প্রতিবেদক
আপডেট : ২১ জুন ২০২১, ২১: ২৯
Thumbnail image

ঢাকা: করোনা সংক্রমণ বাড়ায় দেশে আরটি–পিসিআরের পাশাপাশি সরকারি হাসপাতালগুলোতে বাড়ানো হয়েছে অ্যান্টিজেন পরীক্ষার সংখ্যা। বিশেষ করে সীমান্ত এলাকাগুলোতে অধিক সংখ্যক করোনা রোগী শনাক্তে এটির ব্যবহার কয়েকগুণ বাড়ানো হয়েছে। সংক্রমণ মাত্রা ঊর্ধ্বমুখী থাকায় সামগ্রিক পরিস্থিতি বিবেচনায় এবার বেসরকারি হাসপাতালেও অ্যান্টিজেন পরীক্ষার অনুমতি দিচ্ছে সরকার। এরই মধ্যে পরীক্ষার দাম নির্ধারণ করে দিয়ে এ সংক্রান্ত একটি চিঠি স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ে পাঠিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।

গত বছর জুলাই–আগস্টের দিকে সংক্রমণ পরিস্থিতি ভয়াবহ আকার ধারণ করে। আরটি–পিসিআর ল্যাবগুলোতে পরীক্ষায় অধিক সময় লাগায় জটিলতা দেখা দেয়। সে জন্য রোগীদের সুবিধার কথা চিন্তা করে ওই বছরের ১৭ সেপ্টেম্বর সরকারি হাসপাতালগুলোতে অ্যান্টিজেন পরীক্ষার অনুমতি দেয় সরকার। তবে আনুষ্ঠানিকভাবে এই পদ্ধতির ব্যবহার শুরু হয় ডিসেম্বর। প্রাথমিকভাবে দেশের ১০টি নির্ধারিত হাসপাতালে এই পরীক্ষার জন্য কিট পাঠানো হয়েছিল।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তর বলছে, সীমান্তে করোনা পরিস্থিতি ক্রমেই অবনতি হওয়ায় আগের তুলনায় নমুনা পরীক্ষা বাড়ানো হয়েছে। বিশেষ করে কম সময়ে অধিক রোগী শনাক্তে আরটি–পিসিআরের তুলনায় অ্যান্টিজেন পরীক্ষায় গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে। তাই কেন্দ্র ও সেবার পরিধি বাড়ানোর লক্ষ্যে সরকারি হাসপাতালের পাশাপাশি বেসরকারি হাসপাতালেও অ্যান্টিজেন পরীক্ষার অনুমতি দিতে যাচ্ছে সরকার।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্যমতে, দেশে বর্তমানে সরকারি–বেসরকারি মিলে ৫৩৮টি পরীক্ষাগারে নমুনা পরীক্ষা হচ্ছে। এর মধ্যে ৩৫৬টিই র‍্যাপিড অ্যান্টিজেন। যার সবগুলোই সরকারি হাসপাতালে।

জানা গেছে গত ১ জুন বেসরকারি হাসপাতালে অ্যান্টিজেন পরীক্ষার অনুমতি চেয়ে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ে চিঠি পাঠিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। বর্তমানে দেশের ৭৬টি বেসরকারি ল্যাবে আরটি–পিসিআর ও জিন এক্সপার্টে নমুনা পরীক্ষা করা হচ্ছে। যেখানে কেন্দ্রে গিয়ে করলে সাড়ে ৩ হাজার টাকা ও বাড়িতে করালে সাড়ে ৪ হাজার টাকা দিতে হয়। অ্যান্টিজেন পরীক্ষায় সময় ও খরচ কম হওয়ায় সরকারিতে বিনা মূল্যে করা হয়। চিঠিতে বেসরকারিতে দাম নির্ধারণ করা হয়েছে ৫০০ টাকা। তবে সার্ভিস চার্জসহ অতিরিক্ত ২০০ টাকা পর্যন্ত নিতে পারবে হাসপাতালগুলো।

বিষয়টি নিয়ে যোগাযোগ করা হলে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পরিচালক (হাসপাতাল ও ক্লিনিক শাখা) ফরিদ হোসেন মিয়া আজকের পত্রিকাকে বলেন, সংক্রমণ পরিস্থিতি বিবেচনা করে আমরা বেসরকারিভাবে অ্যান্টিজেন পরীক্ষার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। মন্ত্রণালয়ে চিঠি পাঠানো হয়েছে। তবে এখনো সাড়া পাওয়া যায়নি।

যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় রোগ নিয়ন্ত্রণ ও প্রতিরোধ সংস্থার (সিডিসি) তথ্যমতে, অ্যান্টিজেন টেস্ট মূলত শ্বাসযন্ত্রের সংক্রমণের ক্ষেত্রে, বিশেষ করে ইনফ্লুয়েঞ্জা ভাইরাস এবং শ্বাসযন্ত্রের অন্যান্য ভাইরাস শনাক্তের জন্য ব্যবহার করা হয়। করোনা পরীক্ষায় ফল দেওয়ার ক্ষেত্রে এটি ৮০ শতাংশ কার্যকর বলে ধরে নেওয়া হয়।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত