Ajker Patrika

মার্কিন ভিসা নিষেধাজ্ঞা কার্যকর শুরু, এর আওতায় পড়বেন যাঁরা

আপডেট : ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ২১: ১৬
মার্কিন ভিসা নিষেধাজ্ঞা কার্যকর শুরু, এর আওতায় পড়বেন যাঁরা

প্রায় চার মাসে আগে ঘোষিত ভিসা নীতি কার্যকর করার প্রক্রিয়া শুরু করেছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। আজ শুক্রবার যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তরের এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক নির্বাচন প্রক্রিয়াকে ক্ষুণ্ন করার জন্য দায়ী বা জড়িত বাংলাদেশি ব্যক্তিদের ওপর ভিসা বিধিনিষেধ প্রয়োগের পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে।

বিবৃতি অনুযায়ী, এই ভিসা নিষেধাজ্ঞা বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক নির্বাচন প্রক্রিয়াকে বাধাগ্রস্ত করার জন্য দায়ী বা জড়িত যেকোনো ব্যক্তির ক্ষেত্রে প্রযোজ্য। অন্য অনেকের সঙ্গে বাংলাদেশের বর্তমান বা সাবেক কর্মকর্তা-কর্মচারী, সরকারের সমর্থক এবং বিরোধীদলীয় সদস্যরা এর অন্তর্ভুক্ত। এ ধরনের ব্যক্তিদের পরিবারের সদস্যরাও এর অন্তর্ভুক্ত থাকবেন। 

এর আগে গত মে মাসে ঘোষিত ভিসা নীতিতে বলা হয়, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক নির্বাচন প্রক্রিয়াকে ক্ষুণ্ন করার জন্য কোনো ব্যক্তিকে দায়ী বা জড়িত মনে করলে ওই ব্যক্তির ভিসা প্রদান সীমিত করবে। এর মধ্যে বর্তমান ও সাবেক বাংলাদেশি কর্মকর্তা, সরকার সমর্থক ও বিরোধী রাজনৈতিক দলের সদস্য এবং আইন প্রয়োগকারী, বিচার বিভাগ এবং নিরাপত্তা কর্মকর্তারা অন্তর্ভুক্ত থাকবেন।

ওই সময় ঘোষণায় আরও বলা হয়, গণতান্ত্রিক নির্বাচন প্রক্রিয়াকে দুর্বল করে এমন কাজের মধ্যে রয়েছে— ভোট কারচুপি, ভোটারদের ভয় দেখানো, সহিংসতা, লোকজনকে তাদের সংগঠনের স্বাধীনতা এবং শান্তিপূর্ণ সমাবেশের অধিকার প্রয়োগ থেকে বিরত রাখা এবং রাজনৈতিক দল, ভোটার, সুশীল সমাজকে পরিকল্পিতভাবে প্রতিরোধ করা বা গণমাধ্যমে তাদের মতামত প্রচারে বাধা প্রদান করা।

আজকের বিবৃতি অনুযায়ী, মার্কিন ভিসা নিষেধাজ্ঞার আওতায় যাঁরা পড়বেন তাঁরা হলেন—আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য এবং ক্ষমতাসীন ও বিরোধী দলের সদস্যরা। এই ব্যক্তিদের পাশাপাশি তাঁদের পরিবারের সদস্যরাও যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশের ক্ষেত্রে বাধার মুখে পড়বেন। 

সেই সঙ্গে বাংলাদেশে গণতান্ত্রিক নির্বাচন প্রক্রিয়ায় বাধা দেওয়ার ক্ষেত্রে দায়ী এবং নির্দেশ পালনকারীরাও ভবিষ্যতে এ নিষেধাজ্ঞার আওতায় পড়বেন।

এর মধ্যে পড়বেন—বাংলাদেশ সরকারের বর্তমান ও সাবেক কর্মকর্তা, ক্ষমতাসীন ও বিরোধী দলের সদস্য, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য, বিচার বিভাগ এবং নিরাপত্তা বিভাগের সদস্যরাও।

উল্লেখ্য, জাতীয় নির্বাচনকে সামনে রেখে বাংলাদেশি নাগরিকদের জন্য গত মে মাসে নতুন ভিসা নীতি ঘোষণা করে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তর। এতে বলা হয়—অবাধ, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠানে বাংলাদেশের লক্ষ্যকে সমর্থন করার জন্য অভিবাসন ও জাতীয়তা আইনের ধারা ২১২ (এ)(৩)(সি)(থ্রিসি)-এর অধীনে এই নতুন ভিসা নীতি ঘোষণা করা হলো।

এই নীতির অধীনে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক নির্বাচন প্রক্রিয়াকে ক্ষুণ্ন করার জন্য কোনো ব্যক্তিকে দায়ী বা জড়িত মনে করলে ওই ব্যক্তির ভিসা প্রদান সীমিত করবে। এর মধ্যে বর্তমান ও সাবেক বাংলাদেশি কর্মকর্তা, সরকার সমর্থক ও বিরোধী রাজনৈতিক দলের সদস্য এবং আইন প্রয়োগকারী, বিচার বিভাগ এবং নিরাপত্তা কর্মকর্তারা অন্তর্ভুক্ত থাকবেন।

ঘোষণায় আরও বলা হয়েছে, গণতান্ত্রিক নির্বাচন প্রক্রিয়াকে দুর্বল করে এমন কাজের মধ্যে রয়েছে—     ভোট কারচুপি, ভোটারদের ভয় দেখানো, সহিংসতা, লোকজনকে তাদের সংগঠনের স্বাধীনতা ও শান্তিপূর্ণ সমাবেশের অধিকার প্রয়োগ থেকে বিরত রাখা এবং রাজনৈতিক দল, ভোটার, সুশীল সমাজকে পরিকল্পিতভাবে প্রতিরোধ করা বা গণমাধ্যমে তাদের মতামত প্রচারে বাধা প্রদান করা।

গত ৩ মে বাংলাদেশ সরকারকে এই সিদ্ধান্তের কথা জানানো হয়েছে বলেও মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেনের বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়।

আরও পড়ুন— 

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

ডিএনসিসির পদ ছাড়লেন এস্তোনিয়ার নাগরিক আমিনুল ইসলাম

ট্রান্সশিপমেন্ট বাতিল নিয়ে ভারতের সঙ্গে উত্তেজনা, চ্যালেঞ্জের মুখে বাংলাদেশ

এনআইডির নাম ও জন্মতারিখ সংশোধনের দায়িত্বে জেলা নির্বাচন কর্মকর্তারা

কাশ্মীরে পর্যটকদের ওপর অতর্কিত গুলি, নিহত ২৬

পদত্যাগ করব না, আলোচনা করে সমাধান করব: কুয়েট উপাচার্য

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত