সাইফুল মাসুম, ঢাকা

রাষ্ট্রীয় উড়োজাহাজ সংস্থা বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের কাছে বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের (বেবিচক) বকেয়া প্রতি মাসেই বাড়ছে। বেবিচক জানিয়েছে, বিমানের বকেয়ার পরিমাণ ৮ হাজার ৮০ কোটি টাকার বেশি। এর মধ্যে মূল বিল ৯৮৮ কোটি ৩৯ লাখ ৩৩ হাজার ২১৭ টাকা, ভ্যাট ও আয়কর ৪৩০ কোটি ৫২ লাখ টাকা এবং সারচার্জ ৬ হাজার ৬৬১ কোটি টাকার বেশি। বিমান সারচার্জ মওকুফ চেয়ে বেশ কয়েকবার আবেদন করেছে। এর পরিপ্রেক্ষিতে সম্প্রতি বিমানের সারচার্জসহ পুঞ্জীভূত বকেয়া মওকুফ করতে বেবিচককে নির্দেশ দিয়েছে বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়। কিন্তু বেবিচকের তাতে সায় নেই। এ বিষয়ে নিজেদের অভিমত জানিয়ে বেবিচকের চেয়ারম্যান সম্প্রতি চিঠি দিয়েছেন মন্ত্রণালয়ে। বেবিচকের অভিযোগ, দেনা পরিশোধে বিমান অনেক বছর ধরেই গড়িমসি করছে।
মন্ত্রণালয়ের বিমান অধিশাখার উপসচিব মোহাম্মদ আব্দুল আউয়ালের সই করা নির্দেশনায় পুঞ্জীভূত বকেয়ার ওপর সারচার্জ (প্রতি মাসে ৬ শতাংশ হারে) মওকুফ করতেও বলা হয়। বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনায় বিমানের দেনার পরিমাণ উল্লেখ করা হয়েছে ৪ হাজার ৭৪৪ কোটি টাকা।
বিমানের সারচার্জ মওকুফের বিষয়ে মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনার পর তা নিয়ে আপত্তি জানিয়েছে বেবিচক। বেবিচক বিমানের সারচার্জ মওকুফ করতে পারবে না বলে জানিয়েছেন সংস্থাটির চেয়ারম্যান এয়ার ভাইস মার্শাল মফিদুর রহমান। তিনি আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমাদের সীমাবদ্ধতা বিমান ও পর্যটন মন্ত্রণালয়কে জানিয়েছি। আমরা বিমানের বকেয়া মওকুফ করতে পারব না, এটা অর্থ মন্ত্রণালয় পারবে। এ ছাড়া বেবিচকের চলমান অনেকগুলো প্রকল্পে অর্থসংকট রয়েছে। কিছুদিন পর বিদেশি ঋণের টাকাও পরিশোধ করতে হবে। এমন পরিস্থিতিতে আমরা বকেয়া মওকুফ করতে পারি না।’
বেবিচকের অর্থ বিভাগের এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, বেবিচককে প্রতিবছর অনাদায়ি অর্থের ওপর ২৫ শতাংশ হারে সরকারি কোষাগারে আয়কর পরিশোধ করতে হচ্ছে। ফলে, বিমানের বিপুল বকেয়ার কারণে একদিকে যেমন পাওনা রাজস্ব আদায় থেকে বেবিচক বঞ্চিত হচ্ছে। অপরদিকে অনাদায়ি অর্থের ওপর সরকারি কোষাগারে আয়কর পরিশোধের মাধ্যমে বেবিচক আর্থিকভাবে আরও ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।
১ নভেম্বর মন্ত্রণালয়ে পাঠানো চিঠিতে সারচার্জ মওকুফের বিষয়ে আপত্তি জানানোর কারণ ব্যাখ্যা করেছেন বেবিচক চেয়ারম্যান। চিঠিতে বলা হয়েছে, ‘বর্তমানে বৈদেশিক ঋণ, সরকারি ঋণ ও অনুদানসহ নিজস্ব অর্থায়নে বেবিচক বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ মেগা প্রকল্প বাস্তবায়নে কাজ করছে। উন্নয়ন প্রকল্পের ঋণের ডিএসএল পরিশোধ, নিজস্ব অর্থায়নে বাস্তবায়নাধীন উন্নয়ন প্রকল্পের অর্থ সংস্থানসহ জনবলের বেতন-ভাতা, প্রশাসনিক ব্যয় নির্বাহ, সরকারি কোষাগারে এনটিআর (কর ব্যতীত রাজস্ব) ও আয়কর পরিশোধের জন্য নিরবচ্ছিন্ন অর্থ প্রবাহ ঠিক রাখতে সারচার্জসহ বিমানের বকেয়া মওকুফ করা সমীচীন হবে না।’
হিসাবেও গরমিল
বেবিচকের চিঠিতে আরও বলা হয়, ১৫ সেপ্টেম্বর বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনস এক চিঠিতে ক্রমপুঞ্জীভূত বকেয়ার পরিমাণ ৪ হাজার ৭৪৪ কোটি ৭৪ লাখ টাকা উল্লেখ করেছে, যা সঠিক নয়। ৩০ জুন ২০২২ পর্যন্ত বিমানের কাছে বেবিচকের বকেয়ার পরিমাণ ৮ হাজার ৮০ কোটি ৮৭ লাখ টাকা।
মূল বকেয়া দিতে আগ্রহী বিমান
বেবিচকের মূল বকেয়া দিতে বিমান সব সময় আগ্রহী বলে জানিয়েছেন বিমানের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) মো. যাহিদ হোসেন। তিনি আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘বেবিচকের মূল বকেয়া দিতে আমরা সব সময় আগ্রহী ছিলাম। তবে সারচার্জ বিষয়ে আমাদের আপত্তি রয়েছে। তাই সারচার্জ মওকুফের জন্য বেশ কয়েকবার আবেদন জানিয়েছি।’ যাহিদ হোসেন আরও বলেন, ‘শুনেছি সারচার্জ মওকুফের বিষয়ে মন্ত্রণালয় নির্দেশ দিয়েছে, তবে অফিশিয়ালি কোনো চিঠি পাইনি।’
এর আগে ১৫ সেপ্টেম্বর বিমানের এমডি যাহিদ হোসেন মন্ত্রণালয়ে পাঠানো এক চিঠিতে লেখেন, ‘বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ এবং বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনস রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠান। বিমান দেশের জনগণের স্বার্থ বিবেচনা করে ব্যবসা পরিচালনা করে। এ অবস্থায় বেবিচক কর্তৃক দাবিকৃত পুঞ্জীভূত বকেয়ার ওপর সারচার্জ (প্রতি মাসে ৬ শতাংশ হারে) মওকুফ করে জাতীয় পতাকাবাহী বিমানকে আর্থিক কার্যক্রমে আরও গতিশীলতা করতে সহযোগিতা প্রয়োজন।’
আগেও সারচার্জ মওকুফ
জানা যায়, ১৯৭২ সালে যাত্রা করা বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনস সব সময় বকেয়ার ভার বয়েই চলেছে। বেবিচকের তথ্যমতে, ২০০৭ সালে বিমানের মূল বকেয়া ৫৭৩ কোটি টাকা সরকারের অন্য সেক্টরের সঙ্গে সমন্বয় করা হয়। আর সারচার্জ ১ হাজার ২১৬ কোটি টাকা মওকুফ করে দেওয়া হয়। ২০০৭ সালের পর থেকে বকেয়া জমছে।
বিমান ছাড় পেলে প্রাইভেট এয়ারলাইনসেরও পাওয়া উচিত
এ বিষয়ে বিমানের পরিচালনা পর্ষদের সাবেক সদস্য ও এভিয়েশন বিশেষজ্ঞ কাজী ওয়াহিদুল আলম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘সিভিল এভিয়েশন আর মন্ত্রণালয় দুই রকম সিদ্ধান্ত নিলে তো বোঝা মুশকিল। সিভিল এভিয়েশন বিমান মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন।’ এই এভিয়েশন বিশেষজ্ঞ আরও বলেন, ‘এক দেশে দুই রকম নিয়ম হতে পারে না; বিমানের জন্য এক রকম, প্রাইভেট এয়ারলাইনসের জন্য আরেক রকম। বিমানের যদি সারচার্জ মওকুফ করা হয়, অন্য প্রাইভেট এয়ারলাইনসেরও একই সুযোগ পাওয়া উচিত। এ ছাড়া বছরে ৭২ শতাংশ সারচার্জ পৃথিবীর কোথাও নেই। এটাকে কমিয়ে গ্রহণযোগ্য পর্যায়ে আনা হোক।’

রাষ্ট্রীয় উড়োজাহাজ সংস্থা বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের কাছে বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের (বেবিচক) বকেয়া প্রতি মাসেই বাড়ছে। বেবিচক জানিয়েছে, বিমানের বকেয়ার পরিমাণ ৮ হাজার ৮০ কোটি টাকার বেশি। এর মধ্যে মূল বিল ৯৮৮ কোটি ৩৯ লাখ ৩৩ হাজার ২১৭ টাকা, ভ্যাট ও আয়কর ৪৩০ কোটি ৫২ লাখ টাকা এবং সারচার্জ ৬ হাজার ৬৬১ কোটি টাকার বেশি। বিমান সারচার্জ মওকুফ চেয়ে বেশ কয়েকবার আবেদন করেছে। এর পরিপ্রেক্ষিতে সম্প্রতি বিমানের সারচার্জসহ পুঞ্জীভূত বকেয়া মওকুফ করতে বেবিচককে নির্দেশ দিয়েছে বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়। কিন্তু বেবিচকের তাতে সায় নেই। এ বিষয়ে নিজেদের অভিমত জানিয়ে বেবিচকের চেয়ারম্যান সম্প্রতি চিঠি দিয়েছেন মন্ত্রণালয়ে। বেবিচকের অভিযোগ, দেনা পরিশোধে বিমান অনেক বছর ধরেই গড়িমসি করছে।
মন্ত্রণালয়ের বিমান অধিশাখার উপসচিব মোহাম্মদ আব্দুল আউয়ালের সই করা নির্দেশনায় পুঞ্জীভূত বকেয়ার ওপর সারচার্জ (প্রতি মাসে ৬ শতাংশ হারে) মওকুফ করতেও বলা হয়। বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনায় বিমানের দেনার পরিমাণ উল্লেখ করা হয়েছে ৪ হাজার ৭৪৪ কোটি টাকা।
বিমানের সারচার্জ মওকুফের বিষয়ে মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনার পর তা নিয়ে আপত্তি জানিয়েছে বেবিচক। বেবিচক বিমানের সারচার্জ মওকুফ করতে পারবে না বলে জানিয়েছেন সংস্থাটির চেয়ারম্যান এয়ার ভাইস মার্শাল মফিদুর রহমান। তিনি আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমাদের সীমাবদ্ধতা বিমান ও পর্যটন মন্ত্রণালয়কে জানিয়েছি। আমরা বিমানের বকেয়া মওকুফ করতে পারব না, এটা অর্থ মন্ত্রণালয় পারবে। এ ছাড়া বেবিচকের চলমান অনেকগুলো প্রকল্পে অর্থসংকট রয়েছে। কিছুদিন পর বিদেশি ঋণের টাকাও পরিশোধ করতে হবে। এমন পরিস্থিতিতে আমরা বকেয়া মওকুফ করতে পারি না।’
বেবিচকের অর্থ বিভাগের এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, বেবিচককে প্রতিবছর অনাদায়ি অর্থের ওপর ২৫ শতাংশ হারে সরকারি কোষাগারে আয়কর পরিশোধ করতে হচ্ছে। ফলে, বিমানের বিপুল বকেয়ার কারণে একদিকে যেমন পাওনা রাজস্ব আদায় থেকে বেবিচক বঞ্চিত হচ্ছে। অপরদিকে অনাদায়ি অর্থের ওপর সরকারি কোষাগারে আয়কর পরিশোধের মাধ্যমে বেবিচক আর্থিকভাবে আরও ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।
১ নভেম্বর মন্ত্রণালয়ে পাঠানো চিঠিতে সারচার্জ মওকুফের বিষয়ে আপত্তি জানানোর কারণ ব্যাখ্যা করেছেন বেবিচক চেয়ারম্যান। চিঠিতে বলা হয়েছে, ‘বর্তমানে বৈদেশিক ঋণ, সরকারি ঋণ ও অনুদানসহ নিজস্ব অর্থায়নে বেবিচক বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ মেগা প্রকল্প বাস্তবায়নে কাজ করছে। উন্নয়ন প্রকল্পের ঋণের ডিএসএল পরিশোধ, নিজস্ব অর্থায়নে বাস্তবায়নাধীন উন্নয়ন প্রকল্পের অর্থ সংস্থানসহ জনবলের বেতন-ভাতা, প্রশাসনিক ব্যয় নির্বাহ, সরকারি কোষাগারে এনটিআর (কর ব্যতীত রাজস্ব) ও আয়কর পরিশোধের জন্য নিরবচ্ছিন্ন অর্থ প্রবাহ ঠিক রাখতে সারচার্জসহ বিমানের বকেয়া মওকুফ করা সমীচীন হবে না।’
হিসাবেও গরমিল
বেবিচকের চিঠিতে আরও বলা হয়, ১৫ সেপ্টেম্বর বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনস এক চিঠিতে ক্রমপুঞ্জীভূত বকেয়ার পরিমাণ ৪ হাজার ৭৪৪ কোটি ৭৪ লাখ টাকা উল্লেখ করেছে, যা সঠিক নয়। ৩০ জুন ২০২২ পর্যন্ত বিমানের কাছে বেবিচকের বকেয়ার পরিমাণ ৮ হাজার ৮০ কোটি ৮৭ লাখ টাকা।
মূল বকেয়া দিতে আগ্রহী বিমান
বেবিচকের মূল বকেয়া দিতে বিমান সব সময় আগ্রহী বলে জানিয়েছেন বিমানের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) মো. যাহিদ হোসেন। তিনি আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘বেবিচকের মূল বকেয়া দিতে আমরা সব সময় আগ্রহী ছিলাম। তবে সারচার্জ বিষয়ে আমাদের আপত্তি রয়েছে। তাই সারচার্জ মওকুফের জন্য বেশ কয়েকবার আবেদন জানিয়েছি।’ যাহিদ হোসেন আরও বলেন, ‘শুনেছি সারচার্জ মওকুফের বিষয়ে মন্ত্রণালয় নির্দেশ দিয়েছে, তবে অফিশিয়ালি কোনো চিঠি পাইনি।’
এর আগে ১৫ সেপ্টেম্বর বিমানের এমডি যাহিদ হোসেন মন্ত্রণালয়ে পাঠানো এক চিঠিতে লেখেন, ‘বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ এবং বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনস রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠান। বিমান দেশের জনগণের স্বার্থ বিবেচনা করে ব্যবসা পরিচালনা করে। এ অবস্থায় বেবিচক কর্তৃক দাবিকৃত পুঞ্জীভূত বকেয়ার ওপর সারচার্জ (প্রতি মাসে ৬ শতাংশ হারে) মওকুফ করে জাতীয় পতাকাবাহী বিমানকে আর্থিক কার্যক্রমে আরও গতিশীলতা করতে সহযোগিতা প্রয়োজন।’
আগেও সারচার্জ মওকুফ
জানা যায়, ১৯৭২ সালে যাত্রা করা বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনস সব সময় বকেয়ার ভার বয়েই চলেছে। বেবিচকের তথ্যমতে, ২০০৭ সালে বিমানের মূল বকেয়া ৫৭৩ কোটি টাকা সরকারের অন্য সেক্টরের সঙ্গে সমন্বয় করা হয়। আর সারচার্জ ১ হাজার ২১৬ কোটি টাকা মওকুফ করে দেওয়া হয়। ২০০৭ সালের পর থেকে বকেয়া জমছে।
বিমান ছাড় পেলে প্রাইভেট এয়ারলাইনসেরও পাওয়া উচিত
এ বিষয়ে বিমানের পরিচালনা পর্ষদের সাবেক সদস্য ও এভিয়েশন বিশেষজ্ঞ কাজী ওয়াহিদুল আলম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘সিভিল এভিয়েশন আর মন্ত্রণালয় দুই রকম সিদ্ধান্ত নিলে তো বোঝা মুশকিল। সিভিল এভিয়েশন বিমান মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন।’ এই এভিয়েশন বিশেষজ্ঞ আরও বলেন, ‘এক দেশে দুই রকম নিয়ম হতে পারে না; বিমানের জন্য এক রকম, প্রাইভেট এয়ারলাইনসের জন্য আরেক রকম। বিমানের যদি সারচার্জ মওকুফ করা হয়, অন্য প্রাইভেট এয়ারলাইনসেরও একই সুযোগ পাওয়া উচিত। এ ছাড়া বছরে ৭২ শতাংশ সারচার্জ পৃথিবীর কোথাও নেই। এটাকে কমিয়ে গ্রহণযোগ্য পর্যায়ে আনা হোক।’
সাইফুল মাসুম, ঢাকা

রাষ্ট্রীয় উড়োজাহাজ সংস্থা বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের কাছে বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের (বেবিচক) বকেয়া প্রতি মাসেই বাড়ছে। বেবিচক জানিয়েছে, বিমানের বকেয়ার পরিমাণ ৮ হাজার ৮০ কোটি টাকার বেশি। এর মধ্যে মূল বিল ৯৮৮ কোটি ৩৯ লাখ ৩৩ হাজার ২১৭ টাকা, ভ্যাট ও আয়কর ৪৩০ কোটি ৫২ লাখ টাকা এবং সারচার্জ ৬ হাজার ৬৬১ কোটি টাকার বেশি। বিমান সারচার্জ মওকুফ চেয়ে বেশ কয়েকবার আবেদন করেছে। এর পরিপ্রেক্ষিতে সম্প্রতি বিমানের সারচার্জসহ পুঞ্জীভূত বকেয়া মওকুফ করতে বেবিচককে নির্দেশ দিয়েছে বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়। কিন্তু বেবিচকের তাতে সায় নেই। এ বিষয়ে নিজেদের অভিমত জানিয়ে বেবিচকের চেয়ারম্যান সম্প্রতি চিঠি দিয়েছেন মন্ত্রণালয়ে। বেবিচকের অভিযোগ, দেনা পরিশোধে বিমান অনেক বছর ধরেই গড়িমসি করছে।
মন্ত্রণালয়ের বিমান অধিশাখার উপসচিব মোহাম্মদ আব্দুল আউয়ালের সই করা নির্দেশনায় পুঞ্জীভূত বকেয়ার ওপর সারচার্জ (প্রতি মাসে ৬ শতাংশ হারে) মওকুফ করতেও বলা হয়। বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনায় বিমানের দেনার পরিমাণ উল্লেখ করা হয়েছে ৪ হাজার ৭৪৪ কোটি টাকা।
বিমানের সারচার্জ মওকুফের বিষয়ে মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনার পর তা নিয়ে আপত্তি জানিয়েছে বেবিচক। বেবিচক বিমানের সারচার্জ মওকুফ করতে পারবে না বলে জানিয়েছেন সংস্থাটির চেয়ারম্যান এয়ার ভাইস মার্শাল মফিদুর রহমান। তিনি আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমাদের সীমাবদ্ধতা বিমান ও পর্যটন মন্ত্রণালয়কে জানিয়েছি। আমরা বিমানের বকেয়া মওকুফ করতে পারব না, এটা অর্থ মন্ত্রণালয় পারবে। এ ছাড়া বেবিচকের চলমান অনেকগুলো প্রকল্পে অর্থসংকট রয়েছে। কিছুদিন পর বিদেশি ঋণের টাকাও পরিশোধ করতে হবে। এমন পরিস্থিতিতে আমরা বকেয়া মওকুফ করতে পারি না।’
বেবিচকের অর্থ বিভাগের এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, বেবিচককে প্রতিবছর অনাদায়ি অর্থের ওপর ২৫ শতাংশ হারে সরকারি কোষাগারে আয়কর পরিশোধ করতে হচ্ছে। ফলে, বিমানের বিপুল বকেয়ার কারণে একদিকে যেমন পাওনা রাজস্ব আদায় থেকে বেবিচক বঞ্চিত হচ্ছে। অপরদিকে অনাদায়ি অর্থের ওপর সরকারি কোষাগারে আয়কর পরিশোধের মাধ্যমে বেবিচক আর্থিকভাবে আরও ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।
১ নভেম্বর মন্ত্রণালয়ে পাঠানো চিঠিতে সারচার্জ মওকুফের বিষয়ে আপত্তি জানানোর কারণ ব্যাখ্যা করেছেন বেবিচক চেয়ারম্যান। চিঠিতে বলা হয়েছে, ‘বর্তমানে বৈদেশিক ঋণ, সরকারি ঋণ ও অনুদানসহ নিজস্ব অর্থায়নে বেবিচক বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ মেগা প্রকল্প বাস্তবায়নে কাজ করছে। উন্নয়ন প্রকল্পের ঋণের ডিএসএল পরিশোধ, নিজস্ব অর্থায়নে বাস্তবায়নাধীন উন্নয়ন প্রকল্পের অর্থ সংস্থানসহ জনবলের বেতন-ভাতা, প্রশাসনিক ব্যয় নির্বাহ, সরকারি কোষাগারে এনটিআর (কর ব্যতীত রাজস্ব) ও আয়কর পরিশোধের জন্য নিরবচ্ছিন্ন অর্থ প্রবাহ ঠিক রাখতে সারচার্জসহ বিমানের বকেয়া মওকুফ করা সমীচীন হবে না।’
হিসাবেও গরমিল
বেবিচকের চিঠিতে আরও বলা হয়, ১৫ সেপ্টেম্বর বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনস এক চিঠিতে ক্রমপুঞ্জীভূত বকেয়ার পরিমাণ ৪ হাজার ৭৪৪ কোটি ৭৪ লাখ টাকা উল্লেখ করেছে, যা সঠিক নয়। ৩০ জুন ২০২২ পর্যন্ত বিমানের কাছে বেবিচকের বকেয়ার পরিমাণ ৮ হাজার ৮০ কোটি ৮৭ লাখ টাকা।
মূল বকেয়া দিতে আগ্রহী বিমান
বেবিচকের মূল বকেয়া দিতে বিমান সব সময় আগ্রহী বলে জানিয়েছেন বিমানের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) মো. যাহিদ হোসেন। তিনি আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘বেবিচকের মূল বকেয়া দিতে আমরা সব সময় আগ্রহী ছিলাম। তবে সারচার্জ বিষয়ে আমাদের আপত্তি রয়েছে। তাই সারচার্জ মওকুফের জন্য বেশ কয়েকবার আবেদন জানিয়েছি।’ যাহিদ হোসেন আরও বলেন, ‘শুনেছি সারচার্জ মওকুফের বিষয়ে মন্ত্রণালয় নির্দেশ দিয়েছে, তবে অফিশিয়ালি কোনো চিঠি পাইনি।’
এর আগে ১৫ সেপ্টেম্বর বিমানের এমডি যাহিদ হোসেন মন্ত্রণালয়ে পাঠানো এক চিঠিতে লেখেন, ‘বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ এবং বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনস রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠান। বিমান দেশের জনগণের স্বার্থ বিবেচনা করে ব্যবসা পরিচালনা করে। এ অবস্থায় বেবিচক কর্তৃক দাবিকৃত পুঞ্জীভূত বকেয়ার ওপর সারচার্জ (প্রতি মাসে ৬ শতাংশ হারে) মওকুফ করে জাতীয় পতাকাবাহী বিমানকে আর্থিক কার্যক্রমে আরও গতিশীলতা করতে সহযোগিতা প্রয়োজন।’
আগেও সারচার্জ মওকুফ
জানা যায়, ১৯৭২ সালে যাত্রা করা বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনস সব সময় বকেয়ার ভার বয়েই চলেছে। বেবিচকের তথ্যমতে, ২০০৭ সালে বিমানের মূল বকেয়া ৫৭৩ কোটি টাকা সরকারের অন্য সেক্টরের সঙ্গে সমন্বয় করা হয়। আর সারচার্জ ১ হাজার ২১৬ কোটি টাকা মওকুফ করে দেওয়া হয়। ২০০৭ সালের পর থেকে বকেয়া জমছে।
বিমান ছাড় পেলে প্রাইভেট এয়ারলাইনসেরও পাওয়া উচিত
এ বিষয়ে বিমানের পরিচালনা পর্ষদের সাবেক সদস্য ও এভিয়েশন বিশেষজ্ঞ কাজী ওয়াহিদুল আলম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘সিভিল এভিয়েশন আর মন্ত্রণালয় দুই রকম সিদ্ধান্ত নিলে তো বোঝা মুশকিল। সিভিল এভিয়েশন বিমান মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন।’ এই এভিয়েশন বিশেষজ্ঞ আরও বলেন, ‘এক দেশে দুই রকম নিয়ম হতে পারে না; বিমানের জন্য এক রকম, প্রাইভেট এয়ারলাইনসের জন্য আরেক রকম। বিমানের যদি সারচার্জ মওকুফ করা হয়, অন্য প্রাইভেট এয়ারলাইনসেরও একই সুযোগ পাওয়া উচিত। এ ছাড়া বছরে ৭২ শতাংশ সারচার্জ পৃথিবীর কোথাও নেই। এটাকে কমিয়ে গ্রহণযোগ্য পর্যায়ে আনা হোক।’

রাষ্ট্রীয় উড়োজাহাজ সংস্থা বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের কাছে বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের (বেবিচক) বকেয়া প্রতি মাসেই বাড়ছে। বেবিচক জানিয়েছে, বিমানের বকেয়ার পরিমাণ ৮ হাজার ৮০ কোটি টাকার বেশি। এর মধ্যে মূল বিল ৯৮৮ কোটি ৩৯ লাখ ৩৩ হাজার ২১৭ টাকা, ভ্যাট ও আয়কর ৪৩০ কোটি ৫২ লাখ টাকা এবং সারচার্জ ৬ হাজার ৬৬১ কোটি টাকার বেশি। বিমান সারচার্জ মওকুফ চেয়ে বেশ কয়েকবার আবেদন করেছে। এর পরিপ্রেক্ষিতে সম্প্রতি বিমানের সারচার্জসহ পুঞ্জীভূত বকেয়া মওকুফ করতে বেবিচককে নির্দেশ দিয়েছে বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়। কিন্তু বেবিচকের তাতে সায় নেই। এ বিষয়ে নিজেদের অভিমত জানিয়ে বেবিচকের চেয়ারম্যান সম্প্রতি চিঠি দিয়েছেন মন্ত্রণালয়ে। বেবিচকের অভিযোগ, দেনা পরিশোধে বিমান অনেক বছর ধরেই গড়িমসি করছে।
মন্ত্রণালয়ের বিমান অধিশাখার উপসচিব মোহাম্মদ আব্দুল আউয়ালের সই করা নির্দেশনায় পুঞ্জীভূত বকেয়ার ওপর সারচার্জ (প্রতি মাসে ৬ শতাংশ হারে) মওকুফ করতেও বলা হয়। বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনায় বিমানের দেনার পরিমাণ উল্লেখ করা হয়েছে ৪ হাজার ৭৪৪ কোটি টাকা।
বিমানের সারচার্জ মওকুফের বিষয়ে মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনার পর তা নিয়ে আপত্তি জানিয়েছে বেবিচক। বেবিচক বিমানের সারচার্জ মওকুফ করতে পারবে না বলে জানিয়েছেন সংস্থাটির চেয়ারম্যান এয়ার ভাইস মার্শাল মফিদুর রহমান। তিনি আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমাদের সীমাবদ্ধতা বিমান ও পর্যটন মন্ত্রণালয়কে জানিয়েছি। আমরা বিমানের বকেয়া মওকুফ করতে পারব না, এটা অর্থ মন্ত্রণালয় পারবে। এ ছাড়া বেবিচকের চলমান অনেকগুলো প্রকল্পে অর্থসংকট রয়েছে। কিছুদিন পর বিদেশি ঋণের টাকাও পরিশোধ করতে হবে। এমন পরিস্থিতিতে আমরা বকেয়া মওকুফ করতে পারি না।’
বেবিচকের অর্থ বিভাগের এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, বেবিচককে প্রতিবছর অনাদায়ি অর্থের ওপর ২৫ শতাংশ হারে সরকারি কোষাগারে আয়কর পরিশোধ করতে হচ্ছে। ফলে, বিমানের বিপুল বকেয়ার কারণে একদিকে যেমন পাওনা রাজস্ব আদায় থেকে বেবিচক বঞ্চিত হচ্ছে। অপরদিকে অনাদায়ি অর্থের ওপর সরকারি কোষাগারে আয়কর পরিশোধের মাধ্যমে বেবিচক আর্থিকভাবে আরও ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।
১ নভেম্বর মন্ত্রণালয়ে পাঠানো চিঠিতে সারচার্জ মওকুফের বিষয়ে আপত্তি জানানোর কারণ ব্যাখ্যা করেছেন বেবিচক চেয়ারম্যান। চিঠিতে বলা হয়েছে, ‘বর্তমানে বৈদেশিক ঋণ, সরকারি ঋণ ও অনুদানসহ নিজস্ব অর্থায়নে বেবিচক বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ মেগা প্রকল্প বাস্তবায়নে কাজ করছে। উন্নয়ন প্রকল্পের ঋণের ডিএসএল পরিশোধ, নিজস্ব অর্থায়নে বাস্তবায়নাধীন উন্নয়ন প্রকল্পের অর্থ সংস্থানসহ জনবলের বেতন-ভাতা, প্রশাসনিক ব্যয় নির্বাহ, সরকারি কোষাগারে এনটিআর (কর ব্যতীত রাজস্ব) ও আয়কর পরিশোধের জন্য নিরবচ্ছিন্ন অর্থ প্রবাহ ঠিক রাখতে সারচার্জসহ বিমানের বকেয়া মওকুফ করা সমীচীন হবে না।’
হিসাবেও গরমিল
বেবিচকের চিঠিতে আরও বলা হয়, ১৫ সেপ্টেম্বর বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনস এক চিঠিতে ক্রমপুঞ্জীভূত বকেয়ার পরিমাণ ৪ হাজার ৭৪৪ কোটি ৭৪ লাখ টাকা উল্লেখ করেছে, যা সঠিক নয়। ৩০ জুন ২০২২ পর্যন্ত বিমানের কাছে বেবিচকের বকেয়ার পরিমাণ ৮ হাজার ৮০ কোটি ৮৭ লাখ টাকা।
মূল বকেয়া দিতে আগ্রহী বিমান
বেবিচকের মূল বকেয়া দিতে বিমান সব সময় আগ্রহী বলে জানিয়েছেন বিমানের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) মো. যাহিদ হোসেন। তিনি আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘বেবিচকের মূল বকেয়া দিতে আমরা সব সময় আগ্রহী ছিলাম। তবে সারচার্জ বিষয়ে আমাদের আপত্তি রয়েছে। তাই সারচার্জ মওকুফের জন্য বেশ কয়েকবার আবেদন জানিয়েছি।’ যাহিদ হোসেন আরও বলেন, ‘শুনেছি সারচার্জ মওকুফের বিষয়ে মন্ত্রণালয় নির্দেশ দিয়েছে, তবে অফিশিয়ালি কোনো চিঠি পাইনি।’
এর আগে ১৫ সেপ্টেম্বর বিমানের এমডি যাহিদ হোসেন মন্ত্রণালয়ে পাঠানো এক চিঠিতে লেখেন, ‘বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ এবং বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনস রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠান। বিমান দেশের জনগণের স্বার্থ বিবেচনা করে ব্যবসা পরিচালনা করে। এ অবস্থায় বেবিচক কর্তৃক দাবিকৃত পুঞ্জীভূত বকেয়ার ওপর সারচার্জ (প্রতি মাসে ৬ শতাংশ হারে) মওকুফ করে জাতীয় পতাকাবাহী বিমানকে আর্থিক কার্যক্রমে আরও গতিশীলতা করতে সহযোগিতা প্রয়োজন।’
আগেও সারচার্জ মওকুফ
জানা যায়, ১৯৭২ সালে যাত্রা করা বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনস সব সময় বকেয়ার ভার বয়েই চলেছে। বেবিচকের তথ্যমতে, ২০০৭ সালে বিমানের মূল বকেয়া ৫৭৩ কোটি টাকা সরকারের অন্য সেক্টরের সঙ্গে সমন্বয় করা হয়। আর সারচার্জ ১ হাজার ২১৬ কোটি টাকা মওকুফ করে দেওয়া হয়। ২০০৭ সালের পর থেকে বকেয়া জমছে।
বিমান ছাড় পেলে প্রাইভেট এয়ারলাইনসেরও পাওয়া উচিত
এ বিষয়ে বিমানের পরিচালনা পর্ষদের সাবেক সদস্য ও এভিয়েশন বিশেষজ্ঞ কাজী ওয়াহিদুল আলম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘সিভিল এভিয়েশন আর মন্ত্রণালয় দুই রকম সিদ্ধান্ত নিলে তো বোঝা মুশকিল। সিভিল এভিয়েশন বিমান মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন।’ এই এভিয়েশন বিশেষজ্ঞ আরও বলেন, ‘এক দেশে দুই রকম নিয়ম হতে পারে না; বিমানের জন্য এক রকম, প্রাইভেট এয়ারলাইনসের জন্য আরেক রকম। বিমানের যদি সারচার্জ মওকুফ করা হয়, অন্য প্রাইভেট এয়ারলাইনসেরও একই সুযোগ পাওয়া উচিত। এ ছাড়া বছরে ৭২ শতাংশ সারচার্জ পৃথিবীর কোথাও নেই। এটাকে কমিয়ে গ্রহণযোগ্য পর্যায়ে আনা হোক।’

ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে সরকার গ্রাহকপ্রতি মোবাইল সিম কার্ডের সংখ্যা কমিয়ে আনার কথা ভাবছে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী। আজ রোববার দুপুরে আইনশৃঙ্খলাসংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটির বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান তিনি। বৈঠকে ত্রয়োদশ
১ ঘণ্টা আগে
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সুষ্ঠু, অংশগ্রহণমূলক ও নিরপেক্ষভাবে আয়োজনের লক্ষ্যে সরকারের শীর্ষ কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময় করবে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। এ মতবিনিময় ও প্রস্তুতিমূলক সভা ৩০ অক্টোবর (বৃহস্পতিবার) বেলা ৩টায় আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনের সম্মেলনকক্ষে অনুষ্ঠিত হবে।
২ ঘণ্টা আগে
সাক্ষাৎকালে তাঁরা বাংলাদেশ ও পাকিস্তানের দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক, বাণিজ্য ও বিনিয়োগের ক্রমবর্ধমান গুরুত্ব এবং প্রতিরক্ষা সহযোগিতাসহ বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা করেন।
২ ঘণ্টা আগে
উপদেষ্টা বলেন, ‘আমাদের মন্ত্রণালয়ে সংস্কার কমিশনের প্রস্তাব আছে। মোট ২৩টি প্রস্তাব ছিল আশু করণীয়, যেটা এই সরকারের যে সময়সীমা, এর মধ্যে করা সম্ভব। মন্ত্রণালয়ের আমলা ও কর্মকর্তারা পর্যালোচনা করে ১৩টি প্রস্তাব বাস্তবায়নের উদ্যোগ নিয়েছেন। খুব শীঘ্রই আপনারা দেখতে পাবেন।’
৩ ঘণ্টা আগেআইনশৃঙ্খলাসংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটির বৈঠক
নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে সরকার গ্রাহকপ্রতি মোবাইল সিম কার্ডের সংখ্যা কমিয়ে আনার কথা ভাবছে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী। আজ রোববার দুপুরে আইনশৃঙ্খলাসংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটির বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান তিনি। বৈঠকে ত্রয়োদশ সংসদ নির্বাচনের প্রস্তুতি, দেশের বর্তমান আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতিসহ বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা হয়।
বৈঠকের পর স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা সাংবাদিকদের বলেন, বর্তমান নিয়ম অনুযায়ী একজন গ্রাহক তাঁর জাতীয় পরিচয়পত্রের (এনআইডি) বিপরীতে সর্বোচ্চ ১৫টি মোবাইল সিম নিবন্ধন করতে পারেন। ৩০ অক্টোবরের পর একটি এনআইডির বিপরীতে সিম নিবন্ধনের সংখ্যা ১০টিতে নামিয়ে আনা হবে। জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে গ্রাহকপ্রতি সিমের সংখ্যা আরও কমিয়ে আনার চেষ্টা করা হবে।
উপদেষ্টা বলেন, কোনো ঘটনা ঘটার পর দেখা যায়, সিমটি সেই ব্যক্তির নামে নিবন্ধন করা নয়। একজনের নামের সিম কার্ড অন্যজন ব্যবহার করে অপরাধ করে। এতে প্রকৃত দোষী ব্যক্তি অনেক সময় ধরাছোঁয়ার বাইরে থাকে। এ জন্য নির্বাচনের আগে ব্যক্তিপর্যায়ে নিবন্ধন করা সিম কার্ড কমিয়ে আনা হবে।
নির্বাচনে ‘লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড’ নিয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেন, রাজনৈতিক দলগুলোর পক্ষ থেকে এ বিষয়ে কোনো আপত্তি আসেনি। বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারের আমলে লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড আগেও ছিল, বর্তমানেও আছে এবং ভবিষ্যতেও থাকবে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীগুলোতে নিয়োগ ও পদায়নের ক্ষেত্রে কোনো পক্ষপাতিত্ব করা হয়নি। কারও বিরুদ্ধে কোনো ধরনের অভিযোগ পাওয়া গেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। স্বচ্ছতার সঙ্গে নিয়োগ ও পদায়ন করা হয়েছে। সুষ্ঠু নির্বাচনের সব প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে। তিনি নির্বাচন সুষ্ঠু ও ভালোভাবে সম্পন্ন হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
আইনশৃঙ্খলাসংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটির এ বৈঠকে ত্রয়োদশ সংসদ নির্বাচনের আগে দেশের বর্তমান আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতিসহ বিভিন্ন বিষয় উঠেছে। দেশব্যাপী চুরি, ছিনতাই, চাঁদাবাজি, দখলবাজি ও সংঘবদ্ধ দুষ্কৃতকারীদের কর্মকাণ্ড রোধ, জুলাই হত্যাকাণ্ডের মামলার রেকর্ড, তদন্ত অগ্রগতি, দেশে অস্থিরতা সৃষ্টিকারী উসকানিমূলক সাইবার প্রচারণার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা, নারী ও শিশু নির্যাতন এবং ধর্ষণের বিরুদ্ধে আইনগত ও সামাজিক প্রতিরোধ গড়ে তোলা নিয়ে বৈঠকে আলোচনা হয়।
এ ছাড়া মাদকের অপব্যবহার রোধ, শীর্ষ সন্ত্রাসীদের জামিনপরবর্তী সন্ত্রাসী কার্যক্রম ও প্রতিরোধ, নিষিদ্ধঘোষিত সংগঠনগুলোর অপতৎপরতা রোধ, পোশাক কারখানা–ওষুধশিল্পসহ বিভিন্ন শিল্পপ্রতিষ্ঠানে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির তৎপরতা রোধ, অস্ত্র জমা ও অবৈধ অস্ত্র উদ্ধারে অভিযান, সীমান্ত ও পার্বত্যাঞ্চল পরিস্থিতি, রোহিঙ্গা ক্যাম্পের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি এবং মা ইলিশ সংরক্ষণ নিয়েও আলোচনা হয়।
ব্রিফিংয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব নাসিমুল গনি, পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) বাহারুল আলম, বিজিবির মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মোহাম্মদ আশরাফুজ্জামান সিদ্দিকী, বাংলাদেশ আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর মহাপরিচালক মেজর জেনারেল আবদুল মোতালেব সাজ্জাদ মাহমুদ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে সরকার গ্রাহকপ্রতি মোবাইল সিম কার্ডের সংখ্যা কমিয়ে আনার কথা ভাবছে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী। আজ রোববার দুপুরে আইনশৃঙ্খলাসংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটির বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান তিনি। বৈঠকে ত্রয়োদশ সংসদ নির্বাচনের প্রস্তুতি, দেশের বর্তমান আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতিসহ বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা হয়।
বৈঠকের পর স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা সাংবাদিকদের বলেন, বর্তমান নিয়ম অনুযায়ী একজন গ্রাহক তাঁর জাতীয় পরিচয়পত্রের (এনআইডি) বিপরীতে সর্বোচ্চ ১৫টি মোবাইল সিম নিবন্ধন করতে পারেন। ৩০ অক্টোবরের পর একটি এনআইডির বিপরীতে সিম নিবন্ধনের সংখ্যা ১০টিতে নামিয়ে আনা হবে। জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে গ্রাহকপ্রতি সিমের সংখ্যা আরও কমিয়ে আনার চেষ্টা করা হবে।
উপদেষ্টা বলেন, কোনো ঘটনা ঘটার পর দেখা যায়, সিমটি সেই ব্যক্তির নামে নিবন্ধন করা নয়। একজনের নামের সিম কার্ড অন্যজন ব্যবহার করে অপরাধ করে। এতে প্রকৃত দোষী ব্যক্তি অনেক সময় ধরাছোঁয়ার বাইরে থাকে। এ জন্য নির্বাচনের আগে ব্যক্তিপর্যায়ে নিবন্ধন করা সিম কার্ড কমিয়ে আনা হবে।
নির্বাচনে ‘লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড’ নিয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেন, রাজনৈতিক দলগুলোর পক্ষ থেকে এ বিষয়ে কোনো আপত্তি আসেনি। বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারের আমলে লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড আগেও ছিল, বর্তমানেও আছে এবং ভবিষ্যতেও থাকবে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীগুলোতে নিয়োগ ও পদায়নের ক্ষেত্রে কোনো পক্ষপাতিত্ব করা হয়নি। কারও বিরুদ্ধে কোনো ধরনের অভিযোগ পাওয়া গেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। স্বচ্ছতার সঙ্গে নিয়োগ ও পদায়ন করা হয়েছে। সুষ্ঠু নির্বাচনের সব প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে। তিনি নির্বাচন সুষ্ঠু ও ভালোভাবে সম্পন্ন হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
আইনশৃঙ্খলাসংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটির এ বৈঠকে ত্রয়োদশ সংসদ নির্বাচনের আগে দেশের বর্তমান আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতিসহ বিভিন্ন বিষয় উঠেছে। দেশব্যাপী চুরি, ছিনতাই, চাঁদাবাজি, দখলবাজি ও সংঘবদ্ধ দুষ্কৃতকারীদের কর্মকাণ্ড রোধ, জুলাই হত্যাকাণ্ডের মামলার রেকর্ড, তদন্ত অগ্রগতি, দেশে অস্থিরতা সৃষ্টিকারী উসকানিমূলক সাইবার প্রচারণার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা, নারী ও শিশু নির্যাতন এবং ধর্ষণের বিরুদ্ধে আইনগত ও সামাজিক প্রতিরোধ গড়ে তোলা নিয়ে বৈঠকে আলোচনা হয়।
এ ছাড়া মাদকের অপব্যবহার রোধ, শীর্ষ সন্ত্রাসীদের জামিনপরবর্তী সন্ত্রাসী কার্যক্রম ও প্রতিরোধ, নিষিদ্ধঘোষিত সংগঠনগুলোর অপতৎপরতা রোধ, পোশাক কারখানা–ওষুধশিল্পসহ বিভিন্ন শিল্পপ্রতিষ্ঠানে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির তৎপরতা রোধ, অস্ত্র জমা ও অবৈধ অস্ত্র উদ্ধারে অভিযান, সীমান্ত ও পার্বত্যাঞ্চল পরিস্থিতি, রোহিঙ্গা ক্যাম্পের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি এবং মা ইলিশ সংরক্ষণ নিয়েও আলোচনা হয়।
ব্রিফিংয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব নাসিমুল গনি, পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) বাহারুল আলম, বিজিবির মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মোহাম্মদ আশরাফুজ্জামান সিদ্দিকী, বাংলাদেশ আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর মহাপরিচালক মেজর জেনারেল আবদুল মোতালেব সাজ্জাদ মাহমুদ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

রাষ্ট্রীয় উড়োজাহাজ সংস্থা বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের কাছে বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের (বেবিচক) বকেয়া প্রতি মাসেই বাড়ছে। বেবিচক জানিয়েছে, বিমানের বকেয়ার পরিমাণ ৮ হাজার ৮০ কোটি টাকার বেশি। এর মধ্যে মূল বিল ৯৮৮ কোটি ৩৯ লাখ ৩৩ হাজার ২১৭ টাকা,
১০ নভেম্বর ২০২২
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সুষ্ঠু, অংশগ্রহণমূলক ও নিরপেক্ষভাবে আয়োজনের লক্ষ্যে সরকারের শীর্ষ কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময় করবে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। এ মতবিনিময় ও প্রস্তুতিমূলক সভা ৩০ অক্টোবর (বৃহস্পতিবার) বেলা ৩টায় আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনের সম্মেলনকক্ষে অনুষ্ঠিত হবে।
২ ঘণ্টা আগে
সাক্ষাৎকালে তাঁরা বাংলাদেশ ও পাকিস্তানের দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক, বাণিজ্য ও বিনিয়োগের ক্রমবর্ধমান গুরুত্ব এবং প্রতিরক্ষা সহযোগিতাসহ বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা করেন।
২ ঘণ্টা আগে
উপদেষ্টা বলেন, ‘আমাদের মন্ত্রণালয়ে সংস্কার কমিশনের প্রস্তাব আছে। মোট ২৩টি প্রস্তাব ছিল আশু করণীয়, যেটা এই সরকারের যে সময়সীমা, এর মধ্যে করা সম্ভব। মন্ত্রণালয়ের আমলা ও কর্মকর্তারা পর্যালোচনা করে ১৩টি প্রস্তাব বাস্তবায়নের উদ্যোগ নিয়েছেন। খুব শীঘ্রই আপনারা দেখতে পাবেন।’
৩ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সুষ্ঠু, অংশগ্রহণমূলক ও নিরপেক্ষভাবে আয়োজনের লক্ষ্যে সরকারের শীর্ষ কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময় করবে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। এ মতবিনিময় ও প্রস্তুতিমূলক সভা ৩০ অক্টোবর (বৃহস্পতিবার) বেলা ৩টায় আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনের সম্মেলনকক্ষে অনুষ্ঠিত হবে।
আজ রোববার সরকারের শীর্ষ কর্মকর্তাদের কাছে পাঠানো সভার চিঠি থেকে জানা যায়, আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের প্রস্তুতি কার্যক্রমের অংশ হিসেবে সভাটি অনুষ্ঠিত হবে। সভায় সভাপতিত্ব করবেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দিন। সভায় অন্যান্য নির্বাচন কমিশনার উপস্থিত থাকবেন।
চিঠিতে বলা হয়, আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অবাধ, অংশগ্রহণমূলক ও সুষ্ঠুভাবে অনুষ্ঠানের লক্ষ্যে নির্বাচনের প্রস্তুতিমূলক কার্যক্রমের অংশ হিসেবে বিভিন্ন মন্ত্রণালয়/বিভাগ/কর্তৃপক্ষের সঙ্গে মতবিনিময় ও প্রাক-প্রস্তুতিমূলক সভা অনুষ্ঠিত হবে।
ইসির চিঠি অনুযায়ী, অন্তত ৩১ জন জ্যেষ্ঠ সরকারি কর্মকর্তাকে সভায় অংশগ্রহণের জন্য আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। আমন্ত্রিত কর্মকর্তাদের মধ্যে রয়েছেন—মন্ত্রিপরিষদসচিব; স্বরাষ্ট্র, জনপ্রশাসন, নৌপরিবহন, প্রবাসীকল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব; পররাষ্ট্র, মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ (সমন্বয় ও সংস্কার), অর্থ বিভাগ, আইন ও বিচার বিভাগ, স্বাস্থ্যশিক্ষা ও পরিবারকল্যাণ বিভাগ, আইন ও বিচার বিভাগ, তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়, স্থানীয় সরকার বিভাগ, আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগ, বিদ্যুৎ বিভাগ, কৃষি মন্ত্রণালয়, শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগ এবং প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়, কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগ, ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগ, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগ, সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের সচিবেরা। এর পাশাপাশি জাতীয় সংসদ সচিবালয়ের সচিবকেও বৈঠকে উপস্থিত থাকতে বলা হয়েছে।
চিঠিতে বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নরকে তাঁর প্রতিনিধি হিসেবে ক্রেডিট ইনফরমেশন ব্যুরোর নির্বাহী পরিচালক বা উপযুক্ত কোনো কর্মকর্তাকে সভায় পাঠানোর অনুরোধ করা হয়েছে।
এ ছাড়া ডাক অধিদপ্তর, চলচ্চিত্র ও প্রকাশনা অধিদপ্তর, বাংলাদেশ টেলিভিশন, বাংলাদেশ বেতারের মহাপরিচালক, বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান, স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি) ও শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরের প্রধান প্রকৌশলী এবং কারা মহাপরিদর্শক (আইজি প্রিজনস), ঢাকাকেও সভায় আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে।
এর আগে ২০ অক্টোবর ইসি আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও গোয়েন্দা সংস্থার প্রতিনিধিদের সঙ্গে এক মতবিনিময় সভা করেছে।
কমিশন গত ২৮ সেপ্টেম্বর থেকে বিভিন্ন অংশীজনের সঙ্গে ধারাবাহিক সংলাপ শুরু করে। এর অংশ হিসেবে ২৮ সেপ্টেম্বর নাগরিক সমাজের প্রতিনিধিদের সঙ্গে মতবিনিময় অনুষ্ঠিত হয় এবং একই দিন শিক্ষকদের সঙ্গেও আলোচনা করে ইসি। সংসদ নির্বাচনের আগে রাজনৈতিক দলসহ অন্যান্য সংশ্লিষ্ট পক্ষের সঙ্গেও আরও সংলাপ আয়োজনের পরিকল্পনা নিয়েছে কমিশন।

ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সুষ্ঠু, অংশগ্রহণমূলক ও নিরপেক্ষভাবে আয়োজনের লক্ষ্যে সরকারের শীর্ষ কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময় করবে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। এ মতবিনিময় ও প্রস্তুতিমূলক সভা ৩০ অক্টোবর (বৃহস্পতিবার) বেলা ৩টায় আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনের সম্মেলনকক্ষে অনুষ্ঠিত হবে।
আজ রোববার সরকারের শীর্ষ কর্মকর্তাদের কাছে পাঠানো সভার চিঠি থেকে জানা যায়, আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের প্রস্তুতি কার্যক্রমের অংশ হিসেবে সভাটি অনুষ্ঠিত হবে। সভায় সভাপতিত্ব করবেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দিন। সভায় অন্যান্য নির্বাচন কমিশনার উপস্থিত থাকবেন।
চিঠিতে বলা হয়, আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অবাধ, অংশগ্রহণমূলক ও সুষ্ঠুভাবে অনুষ্ঠানের লক্ষ্যে নির্বাচনের প্রস্তুতিমূলক কার্যক্রমের অংশ হিসেবে বিভিন্ন মন্ত্রণালয়/বিভাগ/কর্তৃপক্ষের সঙ্গে মতবিনিময় ও প্রাক-প্রস্তুতিমূলক সভা অনুষ্ঠিত হবে।
ইসির চিঠি অনুযায়ী, অন্তত ৩১ জন জ্যেষ্ঠ সরকারি কর্মকর্তাকে সভায় অংশগ্রহণের জন্য আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। আমন্ত্রিত কর্মকর্তাদের মধ্যে রয়েছেন—মন্ত্রিপরিষদসচিব; স্বরাষ্ট্র, জনপ্রশাসন, নৌপরিবহন, প্রবাসীকল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব; পররাষ্ট্র, মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ (সমন্বয় ও সংস্কার), অর্থ বিভাগ, আইন ও বিচার বিভাগ, স্বাস্থ্যশিক্ষা ও পরিবারকল্যাণ বিভাগ, আইন ও বিচার বিভাগ, তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়, স্থানীয় সরকার বিভাগ, আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগ, বিদ্যুৎ বিভাগ, কৃষি মন্ত্রণালয়, শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগ এবং প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়, কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগ, ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগ, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগ, সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের সচিবেরা। এর পাশাপাশি জাতীয় সংসদ সচিবালয়ের সচিবকেও বৈঠকে উপস্থিত থাকতে বলা হয়েছে।
চিঠিতে বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নরকে তাঁর প্রতিনিধি হিসেবে ক্রেডিট ইনফরমেশন ব্যুরোর নির্বাহী পরিচালক বা উপযুক্ত কোনো কর্মকর্তাকে সভায় পাঠানোর অনুরোধ করা হয়েছে।
এ ছাড়া ডাক অধিদপ্তর, চলচ্চিত্র ও প্রকাশনা অধিদপ্তর, বাংলাদেশ টেলিভিশন, বাংলাদেশ বেতারের মহাপরিচালক, বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান, স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি) ও শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরের প্রধান প্রকৌশলী এবং কারা মহাপরিদর্শক (আইজি প্রিজনস), ঢাকাকেও সভায় আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে।
এর আগে ২০ অক্টোবর ইসি আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও গোয়েন্দা সংস্থার প্রতিনিধিদের সঙ্গে এক মতবিনিময় সভা করেছে।
কমিশন গত ২৮ সেপ্টেম্বর থেকে বিভিন্ন অংশীজনের সঙ্গে ধারাবাহিক সংলাপ শুরু করে। এর অংশ হিসেবে ২৮ সেপ্টেম্বর নাগরিক সমাজের প্রতিনিধিদের সঙ্গে মতবিনিময় অনুষ্ঠিত হয় এবং একই দিন শিক্ষকদের সঙ্গেও আলোচনা করে ইসি। সংসদ নির্বাচনের আগে রাজনৈতিক দলসহ অন্যান্য সংশ্লিষ্ট পক্ষের সঙ্গেও আরও সংলাপ আয়োজনের পরিকল্পনা নিয়েছে কমিশন।

রাষ্ট্রীয় উড়োজাহাজ সংস্থা বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের কাছে বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের (বেবিচক) বকেয়া প্রতি মাসেই বাড়ছে। বেবিচক জানিয়েছে, বিমানের বকেয়ার পরিমাণ ৮ হাজার ৮০ কোটি টাকার বেশি। এর মধ্যে মূল বিল ৯৮৮ কোটি ৩৯ লাখ ৩৩ হাজার ২১৭ টাকা,
১০ নভেম্বর ২০২২
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে সরকার গ্রাহকপ্রতি মোবাইল সিম কার্ডের সংখ্যা কমিয়ে আনার কথা ভাবছে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী। আজ রোববার দুপুরে আইনশৃঙ্খলাসংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটির বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান তিনি। বৈঠকে ত্রয়োদশ
১ ঘণ্টা আগে
সাক্ষাৎকালে তাঁরা বাংলাদেশ ও পাকিস্তানের দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক, বাণিজ্য ও বিনিয়োগের ক্রমবর্ধমান গুরুত্ব এবং প্রতিরক্ষা সহযোগিতাসহ বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা করেন।
২ ঘণ্টা আগে
উপদেষ্টা বলেন, ‘আমাদের মন্ত্রণালয়ে সংস্কার কমিশনের প্রস্তাব আছে। মোট ২৩টি প্রস্তাব ছিল আশু করণীয়, যেটা এই সরকারের যে সময়সীমা, এর মধ্যে করা সম্ভব। মন্ত্রণালয়ের আমলা ও কর্মকর্তারা পর্যালোচনা করে ১৩টি প্রস্তাব বাস্তবায়নের উদ্যোগ নিয়েছেন। খুব শীঘ্রই আপনারা দেখতে পাবেন।’
৩ ঘণ্টা আগেবাসস, ঢাকা

পাকিস্তানের যৌথ বাহিনীর চেয়ারম্যান (সিজেসিসি) জেনারেল সাহির শামশাদ মির্জা গতকাল শনিবার রাতে রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেছেন।
সাক্ষাৎকালে তাঁরা বাংলাদেশ ও পাকিস্তানের দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক, বাণিজ্য ও বিনিয়োগের ক্রমবর্ধমান গুরুত্ব এবং প্রতিরক্ষা সহযোগিতাসহ বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা করেন।
দুই দেশের ঐতিহাসিক, সাংস্কৃতিক ও জনগণের পারস্পরিক সম্পর্কের ওপর গুরুত্বারোপ করে জেনারেল মির্জা পাকিস্তানের পক্ষ থেকে নানা খাতে সহযোগিতা আরও জোরদার করার আগ্রহ প্রকাশ করেন।
পাকিস্তানের যৌথ বাহিনীর চেয়ারম্যান বলেন, বাংলাদেশ ও পাকিস্তানের মধ্যে বাণিজ্য, যোগাযোগ ও বিনিয়োগ বৃদ্ধির বিপুল সম্ভাবনা রয়েছে।
‘আমাদের দুই দেশ একে অপরকে সহায়তা করব’—বলেন জেনারেল মির্জা।
তিনি জানান, করাচি ও চট্টগ্রামের মধ্যে দুইমুখী নৌপথ এরই মধ্যে চালু হয়েছে এবং অদূর ভবিষ্যতে ঢাকা-করাচি আকাশ পথও চালু হবে।
দুই পক্ষ মধ্যপ্রাচ্য ও ইউরোপে উত্তেজনা প্রশমনের প্রয়োজনীয়তার ওপর গুরুত্বারোপ করেন। পাশাপাশি ভুয়া তথ্য এবং সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের অপব্যবহারের মাধ্যমে শান্তি ও স্থিতিশীলতা নষ্ট করার প্রবণতার চ্যালেঞ্জ নিয়েও মতবিনিময় হয়।
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ভুয়া খবর ও বিভ্রান্তিকর তথ্য এখন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। এটি বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির জন্য ব্যবহার করা হচ্ছে। এই বিপদের বিরুদ্ধে বৈশ্বিকভাবে ঐক্যবদ্ধ প্রচেষ্টা প্রয়োজন।
সাক্ষাৎকালে জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা ড. খলিলুর রহমান, জ্যেষ্ঠ সচিব ও এসডিজিবিষয়ক মুখ্য সমন্বয়ক লামিয়া মোরশেদ এবং বাংলাদেশে নিযুক্ত পাকিস্তানের হাইকমিশনার ইমরান হায়দার উপস্থিত ছিলেন।

পাকিস্তানের যৌথ বাহিনীর চেয়ারম্যান (সিজেসিসি) জেনারেল সাহির শামশাদ মির্জা গতকাল শনিবার রাতে রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেছেন।
সাক্ষাৎকালে তাঁরা বাংলাদেশ ও পাকিস্তানের দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক, বাণিজ্য ও বিনিয়োগের ক্রমবর্ধমান গুরুত্ব এবং প্রতিরক্ষা সহযোগিতাসহ বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা করেন।
দুই দেশের ঐতিহাসিক, সাংস্কৃতিক ও জনগণের পারস্পরিক সম্পর্কের ওপর গুরুত্বারোপ করে জেনারেল মির্জা পাকিস্তানের পক্ষ থেকে নানা খাতে সহযোগিতা আরও জোরদার করার আগ্রহ প্রকাশ করেন।
পাকিস্তানের যৌথ বাহিনীর চেয়ারম্যান বলেন, বাংলাদেশ ও পাকিস্তানের মধ্যে বাণিজ্য, যোগাযোগ ও বিনিয়োগ বৃদ্ধির বিপুল সম্ভাবনা রয়েছে।
‘আমাদের দুই দেশ একে অপরকে সহায়তা করব’—বলেন জেনারেল মির্জা।
তিনি জানান, করাচি ও চট্টগ্রামের মধ্যে দুইমুখী নৌপথ এরই মধ্যে চালু হয়েছে এবং অদূর ভবিষ্যতে ঢাকা-করাচি আকাশ পথও চালু হবে।
দুই পক্ষ মধ্যপ্রাচ্য ও ইউরোপে উত্তেজনা প্রশমনের প্রয়োজনীয়তার ওপর গুরুত্বারোপ করেন। পাশাপাশি ভুয়া তথ্য এবং সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের অপব্যবহারের মাধ্যমে শান্তি ও স্থিতিশীলতা নষ্ট করার প্রবণতার চ্যালেঞ্জ নিয়েও মতবিনিময় হয়।
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ভুয়া খবর ও বিভ্রান্তিকর তথ্য এখন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। এটি বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির জন্য ব্যবহার করা হচ্ছে। এই বিপদের বিরুদ্ধে বৈশ্বিকভাবে ঐক্যবদ্ধ প্রচেষ্টা প্রয়োজন।
সাক্ষাৎকালে জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা ড. খলিলুর রহমান, জ্যেষ্ঠ সচিব ও এসডিজিবিষয়ক মুখ্য সমন্বয়ক লামিয়া মোরশেদ এবং বাংলাদেশে নিযুক্ত পাকিস্তানের হাইকমিশনার ইমরান হায়দার উপস্থিত ছিলেন।

রাষ্ট্রীয় উড়োজাহাজ সংস্থা বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের কাছে বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের (বেবিচক) বকেয়া প্রতি মাসেই বাড়ছে। বেবিচক জানিয়েছে, বিমানের বকেয়ার পরিমাণ ৮ হাজার ৮০ কোটি টাকার বেশি। এর মধ্যে মূল বিল ৯৮৮ কোটি ৩৯ লাখ ৩৩ হাজার ২১৭ টাকা,
১০ নভেম্বর ২০২২
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে সরকার গ্রাহকপ্রতি মোবাইল সিম কার্ডের সংখ্যা কমিয়ে আনার কথা ভাবছে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী। আজ রোববার দুপুরে আইনশৃঙ্খলাসংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটির বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান তিনি। বৈঠকে ত্রয়োদশ
১ ঘণ্টা আগে
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সুষ্ঠু, অংশগ্রহণমূলক ও নিরপেক্ষভাবে আয়োজনের লক্ষ্যে সরকারের শীর্ষ কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময় করবে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। এ মতবিনিময় ও প্রস্তুতিমূলক সভা ৩০ অক্টোবর (বৃহস্পতিবার) বেলা ৩টায় আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনের সম্মেলনকক্ষে অনুষ্ঠিত হবে।
২ ঘণ্টা আগে
উপদেষ্টা বলেন, ‘আমাদের মন্ত্রণালয়ে সংস্কার কমিশনের প্রস্তাব আছে। মোট ২৩টি প্রস্তাব ছিল আশু করণীয়, যেটা এই সরকারের যে সময়সীমা, এর মধ্যে করা সম্ভব। মন্ত্রণালয়ের আমলা ও কর্মকর্তারা পর্যালোচনা করে ১৩টি প্রস্তাব বাস্তবায়নের উদ্যোগ নিয়েছেন। খুব শীঘ্রই আপনারা দেখতে পাবেন।’
৩ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

গণমাধ্যম সংস্কার কমিশনের আশু করণীয় ২৩টি প্রস্তাবের মধ্যে ১৩টি আগামী নভেম্বরের মধ্যে বাস্তবায়নের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মাহফুজ আলম। তিনি বলেছেন, ‘সাংবাদিকদের ন্যূনতম বেতন যাতে অন্তত নবম গ্রেডের কাছাকাছি হয়, সেই ব্যবস্থা করা হচ্ছে। আমি গণমাধ্যমের সক্ষমতা বাড়াতে পত্রিকার প্রচারসংখ্যা কমিয়ে বিজ্ঞাপনের হার বাড়িয়ে দেওয়ার পক্ষে।’
আজ রোববার বিকেলে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির (ডিআরইউ) শফিকুল কবির মিলনায়তনে আয়োজিত মিট দ্য রিপোর্টার্স অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
উপদেষ্টা বলেন, ‘আমাদের মন্ত্রণালয়ে সংস্কার কমিশনের প্রস্তাব আছে। মোট ২৩টি প্রস্তাব ছিল আশু করণীয়, যেটা এই সরকারের যে সময়সীমা, এর মধ্যে করা সম্ভব। মন্ত্রণালয়ের আমলা ও কর্মকর্তারা পর্যালোচনা করে ১৩টি প্রস্তাব বাস্তবায়নের উদ্যোগ নিয়েছেন। খুব শীঘ্রই আপনারা দেখতে পাবেন।’
তিনি বলেন, ‘এগুলো খুব বড় কিছু, এ রকম না। কিন্তু আমাদের সময়সীমা আগে ছিল তিন মাস, এখন আছে এক মাস। এই জিনিসগুলো কেবিনেটেই করতে হবে অথবা নীতিমালা প্রণয়ন করতে হবে। যেগুলো নভেম্বরের পরে আর করতে পারব না। কারণ, নভেম্বরে কেবিনেট মিটিং ক্লোজ হয়ে যাবে। এরপরে নির্বাচন কমিশন দায়িত্ব নেবে। আইন প্রণয়নের যে জায়গাগুলো আছে, সেগুলো আগামী মাসের মধ্যে সমাধান করতে চাই। আর যেগুলো আমাদের মন্ত্রণালয় থেকে নির্দেশনার মাধ্যমে করা সম্ভব, সেগুলো আমরা করে ফেলব।’
সাংবাদিকদের ন্যূনতম বেতন প্রসঙ্গে তথ্য উপদেষ্টা বলেন, ‘অন্তত নবম গ্রেডের কাছাকাছি যেন বেতন হয়, সেই ব্যবস্থা করা হচ্ছে। আমি গণমাধ্যমের সক্ষমতা বাড়াতে প্রচারসংখ্যা কমিয়ে বিজ্ঞাপনের হার বাড়িয়ে দেওয়ার পক্ষে। কিন্তু প্রচারসংখ্যার সঠিক তথ্যটা আসতে হবে। স্থানীয় পত্রিকার প্রচারসংখ্যা, ইংরেজি পত্রিকার প্রচারসংখ্যা কমিয়ে দেব। কেন আমরা এগুলো করব? আমরা সাংবাদিকদের একটা বেসিক সেলারি প্রস্তাব করে যেতে চাই। যারা সুবিধা দিতে পারবে না, তারা এসব সুবিধা পাবে না।’
নবম ওয়েজ বোর্ড নিয়ে নোয়াব (নিউজপেপার ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ) ও পত্রিকার মালিকদের সঙ্গে গত এক বছরে তিনবার বসে চেষ্টা করেছেন জানিয়ে উপদেষ্টা বলেন, কিন্তু শেষ পর্যন্ত হয়নি। মালিকেরা রাজি না হলে বিজ্ঞাপনের হার কমিয়ে দেব। যারা প্রতিযোগিতায় মাঠে থাকতে পারবে না, তারা চলে যাবে। অনলাইন প্ল্যাটফর্মগুলোকেও একটা নীতিমালার অধীনে নিয়ে আসা হবে।
মাহফুজ আলম বলেন, ‘ওয়ান হাউস, ওয়ান মিডিয়া পলিসি, সাংবাদিক সুরক্ষা আইন অচিরেই কেবিনেটে তুলতে পারব। অনলাইন পোর্টালের জন্য নীতিমালা করে রেখে যাব। যেসব পত্রিকা ছাপা হয় না, ওদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেব।’
বেসরকারি টেলিভিশন নিয়ে কোনো আইন নেই—স্মরণ করিয়ে দিয়ে তিনি বলেন, টিভির লাইসেন্স দেওয়া হয়েছে আওয়ামী লীগ-সংশ্লিষ্ট গ্রুপ অব কোম্পানির মালিকদের। তাঁরা এখনো এগুলোর মালিক হিসেবে আছে। বিদেশে বসে বসে লাভের হিসাব গুনছে।
এ সময় প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম বলেন, ‘একটা বেসিক সেলারি যাতে সব সাংবাদিক পায়, সে ব্যবস্থা করতে হবে। ভালো জার্নালিজম যাতে করা হয়, সে ব্যবস্থাও করতে হবে।’
অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন প্রধান উপদেষ্টার জ্যেষ্ঠ সহকারী প্রেস সচিব ফয়েজ আহম্মদ, ডিআরইউ সভাপতি আবু সালেহ আকন, সাধারণ সম্পাদক মাইনুল হাসান সোহেল প্রমুখ।

গণমাধ্যম সংস্কার কমিশনের আশু করণীয় ২৩টি প্রস্তাবের মধ্যে ১৩টি আগামী নভেম্বরের মধ্যে বাস্তবায়নের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মাহফুজ আলম। তিনি বলেছেন, ‘সাংবাদিকদের ন্যূনতম বেতন যাতে অন্তত নবম গ্রেডের কাছাকাছি হয়, সেই ব্যবস্থা করা হচ্ছে। আমি গণমাধ্যমের সক্ষমতা বাড়াতে পত্রিকার প্রচারসংখ্যা কমিয়ে বিজ্ঞাপনের হার বাড়িয়ে দেওয়ার পক্ষে।’
আজ রোববার বিকেলে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির (ডিআরইউ) শফিকুল কবির মিলনায়তনে আয়োজিত মিট দ্য রিপোর্টার্স অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
উপদেষ্টা বলেন, ‘আমাদের মন্ত্রণালয়ে সংস্কার কমিশনের প্রস্তাব আছে। মোট ২৩টি প্রস্তাব ছিল আশু করণীয়, যেটা এই সরকারের যে সময়সীমা, এর মধ্যে করা সম্ভব। মন্ত্রণালয়ের আমলা ও কর্মকর্তারা পর্যালোচনা করে ১৩টি প্রস্তাব বাস্তবায়নের উদ্যোগ নিয়েছেন। খুব শীঘ্রই আপনারা দেখতে পাবেন।’
তিনি বলেন, ‘এগুলো খুব বড় কিছু, এ রকম না। কিন্তু আমাদের সময়সীমা আগে ছিল তিন মাস, এখন আছে এক মাস। এই জিনিসগুলো কেবিনেটেই করতে হবে অথবা নীতিমালা প্রণয়ন করতে হবে। যেগুলো নভেম্বরের পরে আর করতে পারব না। কারণ, নভেম্বরে কেবিনেট মিটিং ক্লোজ হয়ে যাবে। এরপরে নির্বাচন কমিশন দায়িত্ব নেবে। আইন প্রণয়নের যে জায়গাগুলো আছে, সেগুলো আগামী মাসের মধ্যে সমাধান করতে চাই। আর যেগুলো আমাদের মন্ত্রণালয় থেকে নির্দেশনার মাধ্যমে করা সম্ভব, সেগুলো আমরা করে ফেলব।’
সাংবাদিকদের ন্যূনতম বেতন প্রসঙ্গে তথ্য উপদেষ্টা বলেন, ‘অন্তত নবম গ্রেডের কাছাকাছি যেন বেতন হয়, সেই ব্যবস্থা করা হচ্ছে। আমি গণমাধ্যমের সক্ষমতা বাড়াতে প্রচারসংখ্যা কমিয়ে বিজ্ঞাপনের হার বাড়িয়ে দেওয়ার পক্ষে। কিন্তু প্রচারসংখ্যার সঠিক তথ্যটা আসতে হবে। স্থানীয় পত্রিকার প্রচারসংখ্যা, ইংরেজি পত্রিকার প্রচারসংখ্যা কমিয়ে দেব। কেন আমরা এগুলো করব? আমরা সাংবাদিকদের একটা বেসিক সেলারি প্রস্তাব করে যেতে চাই। যারা সুবিধা দিতে পারবে না, তারা এসব সুবিধা পাবে না।’
নবম ওয়েজ বোর্ড নিয়ে নোয়াব (নিউজপেপার ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ) ও পত্রিকার মালিকদের সঙ্গে গত এক বছরে তিনবার বসে চেষ্টা করেছেন জানিয়ে উপদেষ্টা বলেন, কিন্তু শেষ পর্যন্ত হয়নি। মালিকেরা রাজি না হলে বিজ্ঞাপনের হার কমিয়ে দেব। যারা প্রতিযোগিতায় মাঠে থাকতে পারবে না, তারা চলে যাবে। অনলাইন প্ল্যাটফর্মগুলোকেও একটা নীতিমালার অধীনে নিয়ে আসা হবে।
মাহফুজ আলম বলেন, ‘ওয়ান হাউস, ওয়ান মিডিয়া পলিসি, সাংবাদিক সুরক্ষা আইন অচিরেই কেবিনেটে তুলতে পারব। অনলাইন পোর্টালের জন্য নীতিমালা করে রেখে যাব। যেসব পত্রিকা ছাপা হয় না, ওদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেব।’
বেসরকারি টেলিভিশন নিয়ে কোনো আইন নেই—স্মরণ করিয়ে দিয়ে তিনি বলেন, টিভির লাইসেন্স দেওয়া হয়েছে আওয়ামী লীগ-সংশ্লিষ্ট গ্রুপ অব কোম্পানির মালিকদের। তাঁরা এখনো এগুলোর মালিক হিসেবে আছে। বিদেশে বসে বসে লাভের হিসাব গুনছে।
এ সময় প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম বলেন, ‘একটা বেসিক সেলারি যাতে সব সাংবাদিক পায়, সে ব্যবস্থা করতে হবে। ভালো জার্নালিজম যাতে করা হয়, সে ব্যবস্থাও করতে হবে।’
অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন প্রধান উপদেষ্টার জ্যেষ্ঠ সহকারী প্রেস সচিব ফয়েজ আহম্মদ, ডিআরইউ সভাপতি আবু সালেহ আকন, সাধারণ সম্পাদক মাইনুল হাসান সোহেল প্রমুখ।

রাষ্ট্রীয় উড়োজাহাজ সংস্থা বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের কাছে বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের (বেবিচক) বকেয়া প্রতি মাসেই বাড়ছে। বেবিচক জানিয়েছে, বিমানের বকেয়ার পরিমাণ ৮ হাজার ৮০ কোটি টাকার বেশি। এর মধ্যে মূল বিল ৯৮৮ কোটি ৩৯ লাখ ৩৩ হাজার ২১৭ টাকা,
১০ নভেম্বর ২০২২
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে সরকার গ্রাহকপ্রতি মোবাইল সিম কার্ডের সংখ্যা কমিয়ে আনার কথা ভাবছে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী। আজ রোববার দুপুরে আইনশৃঙ্খলাসংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটির বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান তিনি। বৈঠকে ত্রয়োদশ
১ ঘণ্টা আগে
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সুষ্ঠু, অংশগ্রহণমূলক ও নিরপেক্ষভাবে আয়োজনের লক্ষ্যে সরকারের শীর্ষ কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময় করবে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। এ মতবিনিময় ও প্রস্তুতিমূলক সভা ৩০ অক্টোবর (বৃহস্পতিবার) বেলা ৩টায় আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনের সম্মেলনকক্ষে অনুষ্ঠিত হবে।
২ ঘণ্টা আগে
সাক্ষাৎকালে তাঁরা বাংলাদেশ ও পাকিস্তানের দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক, বাণিজ্য ও বিনিয়োগের ক্রমবর্ধমান গুরুত্ব এবং প্রতিরক্ষা সহযোগিতাসহ বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা করেন।
২ ঘণ্টা আগে