Ajker Patrika

পদ্মা সেতুর দুর্নীতি ষড়যন্ত্র মামলার পুনঃতদন্ত করবে দুদক

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
আপডেট : ০১ জানুয়ারি ২০২৫, ০৩: ৪৪
Thumbnail image

পদ্মা বহুমুখী সেতু প্রকল্পে দুর্নীতির ষড়যন্ত্রের অভিযোগে করা মামলাটি পুনরায় তদন্ত করবে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। মামলাটির অধিকতর তদন্ত করার এই সিদ্ধান্ত গতকাল মঙ্গলবার সাংবাদিকদের জানিয়েছেন দুদকের মহাপরিচালক আক্তার হোসেন।

রাজধানীর বনানী থানায় ২০১২ সালে করা এই মামলার চূড়ান্ত প্রতিবেদন ২০১৪ সালে আদালতে দেওয়া হয়েছিল। মামলায় যাঁদের বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়েছিল, তাঁরা হলেন সেতু বিভাগের সাবেক সচিব মো. মোশাররফ হোসেন ভূঁইয়া, সাবেক তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী (নদীশাসন) কাজী মো. ফেরদাউস, সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তরের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. রিয়াজ আহমেদ জাবের, উপব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ মোস্তফা, ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড প্ল্যানিং কনসালট্যান্ট (ইপিসি) লিমিটেডের পরিচালক মোহাম্মদ ইসমাইল, এসএনসি লাভালিন ইন্টারন্যাশনালের সাবেক পরিচালক রমেশ শাহ ও সাবেক সহসভাপতি কেভিন ওয়ালেস।

সেগুনবাগিচায় দুদকের প্রধান কার্যালয়ে সংস্থার মহাপরিচালক গতকাল সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে বলেন, তখন গুরুত্বপূর্ণ অনেক নথি ও তথ্যপ্রমাণ না পাওয়ায় আদালতে চূড়ান্ত প্রতিবেদন দেওয়া হয়েছিল। পদ্মা সেতুর অনিয়ম নিয়ে সম্প্রতি কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য দুদকের কাছে এসেছে। এ কারণে মামলাটি পুনঃ তদন্তের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। তিনি বলেন, একে অপরকে আর্থিকভাবে লাভবান করার অসৎ উদ্দেশ্যে ঘুষ লেনদেনের মাধ্যমে পদ্মা সেতু প্রকল্পের নির্মাণকাজে প্রকল্পের নির্মাণ তদারকি পরামর্শক নিয়োগসংক্রান্ত দরপত্রের অন্যতম দরদাতাকে কার্যাদেশ পাইয়ে দেওয়ার ব্যবস্থা করেছিলেন অভিযুক্ত ব্যক্তিরা।

দুদকের সূত্র জানায়, ২০১২ সালের ১৭ ডিসেম্বর দণ্ডবিধির ১৬১ ধারাসহ ১৯৪৭ সালের দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনের ৫(২) ধারায় অপরাধ সংঘটনের ষড়যন্ত্রের অভিযোগে দণ্ডবিধির ১২০(বি) ধারায় বনানী থানায় মামলাটি করা হয়। পরে তদন্ত শেষে ২০১৪ সালের ১৭ সেপ্টেম্বর আদালতে চূড়ান্ত প্রতিবেদন (এফআরটি) দাখিল করা হয়।

পদ্মা সেতু নির্মাণে ২০১১ সালে বিশ্বব্যাংকের সঙ্গে বাংলাদেশের ১২০ কোটি মার্কিন ডলারের ঋণচুক্তি হয়। একই সময়ে জাইকার সঙ্গে সরকারের ৪১ কোটি ৫০ লাখ ডলারের এবং এডিবির সঙ্গে ৬১ কোটি ৫০ লাখ ডলারের ঋণচুক্তি হয়। ২০১১ সালের ১০ অক্টোবরে দুর্নীতির ষড়যন্ত্রের অভিযোগ এনে পদ্মা সেতু প্রকল্পে অর্থায়ন স্থগিত করে বিশ্বব্যাংক।

২০১২ সালের ২৯ জুন সেতুর পরামর্শক প্রতিষ্ঠান হিসেবে দরপত্রে অংশ নেওয়া এসএনসি-লাভালিনের সঙ্গে বাংলাদেশি কর্মকর্তাদের দুর্নীতির ষড়যন্ত্রের অভিযোগ এনে বিশ্বব্যাংক ঋণচুক্তিটি বাতিল করে। পরে অন্য দাতা সংস্থাগুলোও ঋণচুক্তি বাতিল করে। পরে ওই বছরই জাতীয় সংসদে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মা সেতু নির্মাণের ঘোষণা দেন। সেতুটি ২০২২ সালের ২৫ জুন উদ্বোধন করা হয়।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত