Ajker Patrika

বাবার মতোই ৫০ বছর পর মুগ্ধ করলেন ছেলে আশীষ

প্রতিনিধি, নিউইয়র্ক
Thumbnail image

ঠিক ৫০ বছর আগে ১৯৭১ সালে নিউইয়র্কে আয়োজিত কনসার্ট ফর বাংলাদেশ-এ সরোদ বাজিয়েছিলেন ওস্তাদ আলী আকবর খান। আর সেই দিনের স্মরণে নিউইয়র্কে আয়োজিত অনুষ্ঠানে সরোদ বাজিয়ে সবার অন্তর ছুঁয়ে গেলেন ছেলে ওস্তাদ আশীষ খান।

অনুষ্ঠানের একেবারে গ্র্যামি অ্যাওয়ার্ডের জন্য মনোনীত শিল্পী ওস্তাদ আশীষ খানের মনোমুগ্ধকর সরোদবাদনের সঙ্গে সেতারে ছিলেন মোর্শেদ খান অপু এবং তবলায় তপন মোদক। তাঁদের সুর-মূর্ছনায় মুগ্ধ, অভিভূত দর্শক।

মুগ্ধকর রেশ এতটাই যে মিলনায়তনভর্তি দর্শক তখন দাঁড়িয়ে গেছেন। তালি যেন থামছেই না। সেই সঙ্গে কারও কারও চোখে পানি। কেউ কেউ চিৎকার করে বলছেন, ‘অসাধারণ’। ‘একটি দেশের জন্য গান’ নামে প্রামাণ্যচিত্রের উদ্বোধনী প্রদর্শনী শেষে এমনটাই ছিল দর্শকদের প্রতিক্রিয়া।

আর এমনিভাবে ভালোবাসার বৃষ্টিতে ভিজল মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে অসামান্য একটি উদ্যোগকে ঘিরে নির্মিত প্রামাণ্যচিত্রটি। দ্য কনসার্ট ফর বাংলাদেশকে ঘিরে প্রামাণ্যচিত্রটি নির্মাণ করেছেন শামীম আল আমিন। যার ইংরেজি নাম ‘সংস ফর এ কান্ট্রি’।

নিউইয়র্কের জ্যাকসন হাইটসের জুইশ সেন্টারে গত শনিবার সন্ধ্যায় এই প্রামাণ্যচিত্রটির উদ্বোধনী প্রদর্শনী হয়। দ্য কনসার্ট ফর বাংলাদেশ-এর ৫০ বছর উপলক্ষে এই বিশেষ অনুষ্ঠানটির আয়োজন করা হয়। ফ্রেন্ডস অব ফ্রিডম নামে সংগঠনের আয়োজনে এই অনুষ্ঠানে নিউইয়র্ক ছাড়াও যুক্তরাষ্ট্রের অন্যান্য অঙ্গরাজ্য থেকে অতিথিরা অংশ নেন। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন নিউইয়র্কে বাংলাদেশের কনসাল জেনারেল সাদিয়া ফয়জুননেসা।

অনুষ্ঠানটি উৎসর্গ করা হয় কনসার্ট ফর বাংলাদেশ-এর অন্যতম দুই উদ্যোক্তা জর্জ হ্যারিসন ও পণ্ডিত রবিশঙ্করের নামে। বিশেষ সম্মাননা জানানো হয় কনসার্টে অংশ নেওয়া কিংবদন্তি সরোদশিল্পী ওস্তাদ আলী আকবর খানকে। সেখানে উপস্থিত হয়ে বাবার পক্ষে সম্মাননা গ্রহণ করেন তাঁর বড় ছেলে ওস্তাদ আশীষ খান। এ ছাড়া বিশেষ সম্মাননা দেওয়া হয় ‘মুক্তির গান’ চলচ্চিত্রের চিত্রগ্রাহক লিয়ার লেভিনকে। কনসার্টের প্রত্যক্ষদর্শী লিন্ডা এন্তোনুচি স্মৃতিচারণা করেন।  

অনুষ্ঠানে লিয়ার লেভিন বলেন, ‘আমি সেদিন নিজের ভেতরের অনুভূতি থেকে, দায়িত্ব পালনের জন্য ছুটে গিয়েছিলাম বাংলাদেশে। আমি বিশ্ববাসীকে জানাতে চেয়েছিলাম বাংলাদেশে কী নির্মমতা চলছে!’

ওস্তাদ আশীষ খান বলেন, ‘বাবার পক্ষে আরও একটি সম্মান গ্রহণ করলাম। বাবা সেদিন যা করেছিলেন, তার জন্য গর্ববোধ করি।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত