নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
অধ্যাদেশের মাধ্যমে আইনে সংশোধনী এনে গুম ও নির্যাতনের ঘটনায় মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলার আসামি সেনা কর্মকর্তাদের বিচার সেনা আইনেই করার দাবি জানিয়েছেন সেনাবাহিনীর একদল সাবেক কর্মকর্তা। আজ মঙ্গলবার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে ‘এক্স-ফোর্সেস অ্যাসোসিয়েশনের’ ব্যানারে সংবাদ সম্মেলন থেকে এ দাবি জানানো হয়।
অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক সাইফুল্লাহ খাঁন সাইফ বলেন, ভবিষ্যতে (এই বিচার) যেন কোনো ধরনের চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন না হয় এবং এই যে অপরাধীরা, এই অপরাধীরা যাতে পার না পায়, সেজন্যই সেনা আইনের মাধ্যমে বিচার হওয়া উচিত। তাহলে এই অপরাধীরা সর্বোচ্চ শাস্তি পাবে। তা নাহলে ভবিষ্যতে অভিযুক্তরা কোনো ধরনের চ্যালেঞ্জ করে বসলে পার পেয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা আছে।
তিনি বলেন, সেনা আইনে বিচারে এখন পর্যন্ত কোনো অফিসার বিরোধিতা করতে পারেনি। সেনাবাহিনীর উপর এদেশের জনগণের এখনো সম্পূর্ণ আস্থা আছে এবং ভবিষ্যতে আস্থা থাকবে।
গুমের বিচার সেনা আইনে সম্ভব কি— এই প্রশ্নের জবাবে সাইফ বলেন, ‘সেনা আইনে গুম বলে কোনো শব্দ নেই। কিন্তু কোনো অপরাধ যদি আইনে না থাকে, সেটার বিচার কীভাবে করা যায় সেটি বলা আছে। দ্বিতীয়ত সেনা আইন কোরআন না বাইবেল নয়, যে সেটা সংশোধন করা যাবে না। একটি অধ্যাদেশের মাধ্যমে যদি আইসিটি অ্যাক্ট সংশোধন করা যায়, তাহলে প্রয়োজনে সেনা আইনও সংশোধন কর যায়।’
এক্ষেত্রে আর্জেন্টিনা, চিলি, মেক্সিকো ও তুরস্কের ডিকটেটরদের বিচার সেনা আইন সংশোধনীর মাধ্যমে করার উদাহরণ তুলে ধরেন তিনি।
আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে সেনা কর্মকর্তাদের বিচার হলে সমস্যা কোথায়– এমন প্রশ্নের জবাবে সাইফ বলেন, ‘সংবিধানের আর্টিকেল ৫২ অনুযায়ী আইন পরিবর্তন করার একমাত্র অথরিটি হচ্ছে সংসদ। আমাদের সংসদ যদি না থাকে তাইলে স্পেশাল অর্ডারে করতে পারে যেটা এখন করছে। এটাতে কোনো অসুবিধা নাই। কিন্তু পরবর্তী সরকার যদি আসে এবং ওখানে সংসদে যদি ওরা আইনটা অ্যাপ্রুভ না করে তখন এই যে অপরাধীরা পার পেয়ে যাবে।’
তিনি বলেন, এমনভাবে বিচার করা উচিত, যাতে কোনো ধরনের প্রশ্ন তোলা না যায়। আইসিটি (আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল) আইন ও সেনা আইন— দুটোই সংবিধান স্বীকৃত। এখানে (আইসিটি আইন) সংবিধানের অনেকগুলো আর্টিকেলের সঙ্গে সাংঘর্ষিক।
অবসরপ্রাপ্ত এই লেফটেন্যান্ট বলেন, ‘যে ধরনের গুম-খুন হয়েছে বাংলাদেশের ইতিহাসে, সে যদি আমার আপন ভাইও হয়, আমি তার ফাঁসি চাইব এবং সেটা জনসম্মুখে চাইব। কিন্তু আমরা এই বিচার করতে গিয়ে ভবিষ্যতে যাতে কোনো ধরনের কোনো প্রশ্ন না ওঠে, সেদিকে খেয়াল রাখা উচিত।’
‘আর কোনো সেনা সদস্যকে গ্রেপ্তারের পরিকল্পনা নেই’– সরকারের পক্ষ থেকে এমন বক্তব্যের সমালোচনা করে সাইফ বলেন, ‘তাহলে যাদেরকে এখন একিউজ করা হয়েছে বা গ্রেপ্তারের আওতায় আনা হয়েছে, সেটা কি পরিকল্পিতভাবে হয়েছে? যখন কোনো একটা বিষয় তদন্ত করতে যাব, আরেকজন ক্রিমিনাল বের হবে। তাই এখানে ফুল স্টপ দেওয়া যাবে না।’
আওয়ামী লীগের শাসনামলে বিরোধী মতের লোকদের গুম ও নির্যাতনের ঘটনায় মানবতাবিরোধী অপরাধের তিন মামলায় প্রসিকিউশনের দেওয়া আনুষ্ঠানিক অভিযোগ আমলে নিয়ে গত বুধবার আসামিদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল।
এরপর শনিবার সেনা সদরের এক সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, ট্রাইব্যুনালের তিন মামলায় সেনাবাহিনীর সাবেক ও বর্তমান যেসব কর্মকর্তার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়েছে, তাদের মধ্যে বর্তমানে চাকরিরত ১৪ ও এলপিআরে থাকা একজনকে সেনা হেফাজতে নেওয়া হয়েছে। ওই তথ্য জানানোর পরদিন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক প্রজ্ঞাপনে ঢাকা সেনানিবাসের একটি ভবনকে সাময়িকভাবে কারাগার হিসেবে ঘোষণা করা হয়।
আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে সেনা সদস্যদের বিচার ও তাদের হেফাজতে নেওয়ার বিষয়ে নানা আলোচনার মধ্যে এক্স-ফোর্সেস অ্যাসোসিয়েশন তাদের মতামত তুলে ধরল।
অধ্যাদেশের মাধ্যমে আইনে সংশোধনী এনে গুম ও নির্যাতনের ঘটনায় মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলার আসামি সেনা কর্মকর্তাদের বিচার সেনা আইনেই করার দাবি জানিয়েছেন সেনাবাহিনীর একদল সাবেক কর্মকর্তা। আজ মঙ্গলবার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে ‘এক্স-ফোর্সেস অ্যাসোসিয়েশনের’ ব্যানারে সংবাদ সম্মেলন থেকে এ দাবি জানানো হয়।
অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক সাইফুল্লাহ খাঁন সাইফ বলেন, ভবিষ্যতে (এই বিচার) যেন কোনো ধরনের চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন না হয় এবং এই যে অপরাধীরা, এই অপরাধীরা যাতে পার না পায়, সেজন্যই সেনা আইনের মাধ্যমে বিচার হওয়া উচিত। তাহলে এই অপরাধীরা সর্বোচ্চ শাস্তি পাবে। তা নাহলে ভবিষ্যতে অভিযুক্তরা কোনো ধরনের চ্যালেঞ্জ করে বসলে পার পেয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা আছে।
তিনি বলেন, সেনা আইনে বিচারে এখন পর্যন্ত কোনো অফিসার বিরোধিতা করতে পারেনি। সেনাবাহিনীর উপর এদেশের জনগণের এখনো সম্পূর্ণ আস্থা আছে এবং ভবিষ্যতে আস্থা থাকবে।
গুমের বিচার সেনা আইনে সম্ভব কি— এই প্রশ্নের জবাবে সাইফ বলেন, ‘সেনা আইনে গুম বলে কোনো শব্দ নেই। কিন্তু কোনো অপরাধ যদি আইনে না থাকে, সেটার বিচার কীভাবে করা যায় সেটি বলা আছে। দ্বিতীয়ত সেনা আইন কোরআন না বাইবেল নয়, যে সেটা সংশোধন করা যাবে না। একটি অধ্যাদেশের মাধ্যমে যদি আইসিটি অ্যাক্ট সংশোধন করা যায়, তাহলে প্রয়োজনে সেনা আইনও সংশোধন কর যায়।’
এক্ষেত্রে আর্জেন্টিনা, চিলি, মেক্সিকো ও তুরস্কের ডিকটেটরদের বিচার সেনা আইন সংশোধনীর মাধ্যমে করার উদাহরণ তুলে ধরেন তিনি।
আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে সেনা কর্মকর্তাদের বিচার হলে সমস্যা কোথায়– এমন প্রশ্নের জবাবে সাইফ বলেন, ‘সংবিধানের আর্টিকেল ৫২ অনুযায়ী আইন পরিবর্তন করার একমাত্র অথরিটি হচ্ছে সংসদ। আমাদের সংসদ যদি না থাকে তাইলে স্পেশাল অর্ডারে করতে পারে যেটা এখন করছে। এটাতে কোনো অসুবিধা নাই। কিন্তু পরবর্তী সরকার যদি আসে এবং ওখানে সংসদে যদি ওরা আইনটা অ্যাপ্রুভ না করে তখন এই যে অপরাধীরা পার পেয়ে যাবে।’
তিনি বলেন, এমনভাবে বিচার করা উচিত, যাতে কোনো ধরনের প্রশ্ন তোলা না যায়। আইসিটি (আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল) আইন ও সেনা আইন— দুটোই সংবিধান স্বীকৃত। এখানে (আইসিটি আইন) সংবিধানের অনেকগুলো আর্টিকেলের সঙ্গে সাংঘর্ষিক।
অবসরপ্রাপ্ত এই লেফটেন্যান্ট বলেন, ‘যে ধরনের গুম-খুন হয়েছে বাংলাদেশের ইতিহাসে, সে যদি আমার আপন ভাইও হয়, আমি তার ফাঁসি চাইব এবং সেটা জনসম্মুখে চাইব। কিন্তু আমরা এই বিচার করতে গিয়ে ভবিষ্যতে যাতে কোনো ধরনের কোনো প্রশ্ন না ওঠে, সেদিকে খেয়াল রাখা উচিত।’
‘আর কোনো সেনা সদস্যকে গ্রেপ্তারের পরিকল্পনা নেই’– সরকারের পক্ষ থেকে এমন বক্তব্যের সমালোচনা করে সাইফ বলেন, ‘তাহলে যাদেরকে এখন একিউজ করা হয়েছে বা গ্রেপ্তারের আওতায় আনা হয়েছে, সেটা কি পরিকল্পিতভাবে হয়েছে? যখন কোনো একটা বিষয় তদন্ত করতে যাব, আরেকজন ক্রিমিনাল বের হবে। তাই এখানে ফুল স্টপ দেওয়া যাবে না।’
আওয়ামী লীগের শাসনামলে বিরোধী মতের লোকদের গুম ও নির্যাতনের ঘটনায় মানবতাবিরোধী অপরাধের তিন মামলায় প্রসিকিউশনের দেওয়া আনুষ্ঠানিক অভিযোগ আমলে নিয়ে গত বুধবার আসামিদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল।
এরপর শনিবার সেনা সদরের এক সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, ট্রাইব্যুনালের তিন মামলায় সেনাবাহিনীর সাবেক ও বর্তমান যেসব কর্মকর্তার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়েছে, তাদের মধ্যে বর্তমানে চাকরিরত ১৪ ও এলপিআরে থাকা একজনকে সেনা হেফাজতে নেওয়া হয়েছে। ওই তথ্য জানানোর পরদিন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক প্রজ্ঞাপনে ঢাকা সেনানিবাসের একটি ভবনকে সাময়িকভাবে কারাগার হিসেবে ঘোষণা করা হয়।
আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে সেনা সদস্যদের বিচার ও তাদের হেফাজতে নেওয়ার বিষয়ে নানা আলোচনার মধ্যে এক্স-ফোর্সেস অ্যাসোসিয়েশন তাদের মতামত তুলে ধরল।
জুলাই জাতীয় সনদের চূড়ান্ত ভাষ্য রাজনৈতিক দলগুলোর কাছে পাঠানো হয়েছে। ১৭ অক্টোবর দলগুলো এই সনদে স্বাক্ষর করবে। জাতীয় সংসদ ভবনে জুলাই জাতীয় সনদ স্বাক্ষর অনুষ্ঠানের জন্য জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের পক্ষ থেকে আমন্ত্রণের চিঠিও পাঠানো হয়েছে।
৫ মিনিট আগেইফতেখারুজ্জামান বলেন, অন্য অভিযুক্তরা যদি বেসামরিক কর্তৃপক্ষের নিয়ন্ত্রণাধীন কারা হেফাজতে থাকতে পারে, তাহলে সেনা কর্মকর্তাদের জন্য আলাদা ‘সাব-জেল’ ঘোষণার যৌক্তিকতা কী? এভাবে বিশেষ শ্রেণিকে বিশেষ সুবিধা দেওয়া ন্যায়বিচারের পরিপন্থী এবং সরকারের এই বৈষম্যমূলক আচরণ আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের বিচারপ
২ ঘণ্টা আগেম্যাজিস্ট্রেট আদালতে বিচার্য মামলা দ্রুত নিষ্পত্তি করতে দেশের সব জেলায় পৃথক বিচারিক ম্যাজিস্ট্রেট আদালত গঠনের নির্দেশনা দিয়েছেন সুপ্রিম কোর্ট প্রশাসন।
২ ঘণ্টা আগেরাষ্ট্রদ্রোহ মামলায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ হাসিনাসহ ২৮৬ জনকে অভিযুক্ত করে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)। প্রতিবেদনে সিআইডি জানিয়েছে, দেশ ও বিদেশ থেকে পরিচালিত একটি অনলাইন নেটওয়ার্ক ‘জয় বাংলা ব্রিগেড’-এর মাধ্যমে রাষ্ট্রবিরোধী পরিকল্পনা নেওয়া হয়ে
২ ঘণ্টা আগে