আজকের পত্রিকা ডেস্ক

চলতি বছরের আগস্ট ও সেপ্টেম্বরে ভয়াবহ বন্যা দেখা দেয় দেশের মধ্য-পূর্বাঞ্চলে। তিন সপ্তাহের বেশি সময় ধরে চলা বন্যায় ফেনী, লক্ষ্মীপুর, কুমিল্লা, নোয়াখালীসহ চট্টগ্রাম বিভাগের অন্তত ১০টি জেলা ক্ষতিগ্রস্ত হয়। সে সময় ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের সংখ্যা দাঁড়ায় ১০ লাখের বেশি। এর আগে-পরে সিলেট অঞ্চলে একাধিক দফায় বন্যা হয়। সবশেষ পাহাড়ি ঢলে ক্ষতিগ্রস্ত হয় ময়মনসিংহ বিভাগের তিন জেলা। বছরজুড়ে এসব বন্যায় অসুস্থতাসহ শারীরিক বিভিন্ন জটিলতার শিকার হয়েছে প্রায় আড়াই লাখ মানুষ। মৃত্যু হয়েছে ১২৭ জনের।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর বলছে, চলতি বছরের শুরু থেকে গত ২৬ অক্টোবর পর্যন্ত সারা দেশে বন্যার কারণে ২ লাখ ৪৬ হাজার মানুষ বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হয়েছে অথবা শারীরিক জটিলতায় পড়েছে। বন্যায় কত মানুষ অসুস্থ হয়েছে, বিভিন্নভাবে আঘাতপ্রাপ্ত হয়েছে এবং মারা গেছে, তার একটি হিসাবও রয়েছে অধিদপ্তরের কাছে।
অধিদপ্তরের সেই তথ্য অনুসারে, চলতি বছর বন্যার কারণে ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হয়েছিল ৪০ হাজারের বেশি মানুষ। তাদের মধ্যে ৬ জন মারা গেছে। শ্বাসতন্ত্রের সংক্রমণে ভুগেছে ৪ হাজার ৭০০ জন।
১ হাজার ৪০০ মানুষকে সাপে কামড়েছে। তাদের মধ্যে মৃত্যু হয়েছে ৪ জনের। ৬০ হাজার মানুষের চর্মরোগে আক্রান্ত হয়েছে। চোখের প্রদাহে ভুগেছে ২ হাজারের বেশি মানুষ। আঘাতপ্রাপ্ত ১ হাজার ৭৭৫ জনের মধ্যে ৩ জন মারা গেছে। বিভিন্নভাবে দুর্ঘটনার শিকার হওয়া ১ লাখ ৩৬ হাজার জনের মধ্যে ২১ জন মারা গেছে। বজ্রপাত ও পানিতে ডুবে মারা গেছে যথাক্রমে ৭ জন ও ৮৬ জন।
অধিদপ্তরের ম্যানেজমেন্ট ইনফরমেশন সিস্টেম (এমআইএস) শাখার কর্মকর্তারা আজকের পত্রিকাকে জানিয়েছেন, বন্যায় স্বাভাবিকভাবে পানিবাহিত রোগসহ বিভিন্ন ধরনের সংক্রমণ বাড়ে। একই সঙ্গে পানিতে পড়ে, বজ্রপাত এবং সাপে দংশনের ঘটনায় মানুষ আহত ও মারা যায়। স্বাস্থ্যসেবা স্বাভাবিক রাখতে বন্যার সময় উপদ্রুত এলাকায় জরুরি মেডিকেল টিম পাঠানো হয়। চলতি বছরের বন্যাকবলিত এলাকায় প্রায় ৬ হাজার মেডিকেল টিম কাজ করেছে। তবে স্বাস্থ্যসেবা প্রতিষ্ঠান প্লাবিত হলে চিকিৎসাসেবা দেওয়া কঠিন হয়ে পড়ে।
সরকারের ওই হিসাব অনুযায়ী, বছরজুড়ে সবচেয়ে বেশি ভুক্তভোগী চট্টগ্রাম বিভাগের বাসিন্দারা। এই বিভাগের ১০ লাখের বেশি পরিবারের ৫৫ লাখ মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। আর ১ লাখ ৮৮ হাজার বাসিন্দা বিভিন্ন রোগাক্রান্ত ও শারীরিক জটিলতায় পড়েছে। তাদের মধ্যে ৭৭ জনের মৃত্যু হয়েছে। এই বিভাগের জেলাগুলোর মধ্যে কুমিল্লায় এসব জটিলতায় পড়েছিল ১ লাখ ৩৩ হাজার বাসিন্দা। মারা গেছে ২২ জন। বিভাগের অন্যান্য জেলার মধ্যে ফেনীতে ২৬ হাজার, নোয়াখালীতে ১১ হাজার, লক্ষ্মীপুরে ১৬ হাজার মানুষ ভুক্তভোগী হয়েছে। মারা গেছে যথাক্রমে ১৭ জন, ১৮ জন ও ৩ জন। ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ৭১৪ জন অসুস্থ হয়, মারা যায় ৯ জন। চট্টগ্রামে অসুস্থ হয়েছে ৩১৩ জন, মারা গেছে ৫ জন। কক্সবাজারে অসুস্থ হয়েছে ১৫৬ জন, মারা গেছে ৩ জন।
বন্যার কারণে সিলেট বিভাগের ৫৪ হাজার মানুষ স্বাস্থ্য জটিলতায় পড়েছে। মৌলভীবাজার ও সিলেটে ১০ জন করে ২০ জনের মৃত্যু হয়েছে। এই দুই জেলায় বন্যাকে কেন্দ্র করে অসুস্থ মানুষের সংখ্যা যথাক্রমে ২৩ হাজার ও ২০ হাজার। ময়মনসিংহে ১ হাজারের কিছু বেশি মানুষের স্বাস্থ্য পরিস্থিতির তথ্য দিয়েছে অধিদপ্তর। বিভাগটিতে ১৬ জন মারা গেছে। রংপুরে ১ হাজার ২ জন আক্রান্ত। মৃত্যু হয়েছে ১৪ জনের। খুলনা ও বরিশাল বিভাগের কোনো মানুষ আক্রান্ত হয়নি। তবে ঢাকা বিভাগে শতাধিক মানুষ বন্যায় স্বাস্থ্য জটিলতায় পড়েছে।
জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা বলছেন, দেশের যেসব অঞ্চল বন্যায় প্লাবিত হয়, সেসব অঞ্চলের স্বাস্থ্যসেবা প্রতিষ্ঠানগুলো কার্যত অচল হয়ে পড়ে। চলতি বছরেও এমনটি দেখা গেছে। এতে ব্যাহত হয় চিকিৎসাসেবা। একই সঙ্গে রাখা যায় না প্রকৃত হিসাব। বাংলাদেশের তৃণমূলের স্বাস্থ্যসেবা প্রতিষ্ঠানগুলো; বিশেষ করে প্রাথমিক ও মাধ্যমিক পর্যায়ের হাসপাতালের অবকাঠামোগত ত্রুটি রয়েছে। এ হাসপাতালগুলো যখন নির্মাণ করা হয়, তখন মানবসৃষ্ট বা প্রাকৃতিক দুর্যোগের বিষয় বিবেচনায় আনা হয়নি।
গত আগস্টে ফেনী, লক্ষ্মীপুর, কুমিল্লাসহ ওই অঞ্চলের ১১ জেলা বন্যায় প্লাবিত হয়। সে সময় চট্টগ্রাম বিভাগের ৫৪২টি স্বাস্থ্যসেবা প্রতিষ্ঠান প্লাবিত হওয়ার তথ্য দেয় স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। এগুলোর মধ্যে রয়েছে জেলা সদর হাসপাতাল, উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স, ইউনিয়ন উপস্বাস্থ্যকেন্দ্র এবং কমিউনিটি ক্লিনিক। তবে ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ কেন্দ্র পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তরের আওতাধীন হওয়ায় এগুলোর হিসাব জানাতে পারেনি স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।
পাবলিক হেলথ অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের প্রেসিডেন্ট (ইলেক্ট) অধ্যাপক আবু জামিল ফয়সাল আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘বাংলাদেশের স্বাস্থ্যসেবা প্রতিষ্ঠানগুলো দুর্যোগের জন্য প্রস্তুত নয়। আর চলতি বছরে ফেনী ও কুমিল্লায় যে বন্যা হয়েছে, তার জন্য প্রস্তুতির সময় ছিল না। তবে বন্যা হলেই স্বাস্থ্যসেবা প্রতিষ্ঠানগুলো প্লাবিত ও ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এর অর্থ অবকাঠামো নির্মাণের সময় দুর্যোগের বিষয়টি বিবেচনা করা হয়নি। একই সঙ্গে বন্যার সময় স্বাস্থ্যসেবা বলতে শুধু পানি বিশুদ্ধকরণ ট্যাবলেট এবং খাওয়ার স্যালাইন নয়, বিষয়টি সংশ্লিষ্ট অনেক কর্তাব্যক্তিই মানতে চান না। দুর্যোগের সময় স্বাস্থ্যসেবা ও অবকাঠামোর বিষয়ে যথাযথ পরিকল্পনা এবং সে অনুযায়ী কার্যক্রমের অভাব রয়েছে।’
দুর্যোগ প্রতিরোধ ও প্রস্তুতি ভালো হলে প্রাণহানি, অসুস্থতা ও আর্থিক ক্ষতি কমে যায় উল্লেখ করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের দুর্যোগবিজ্ঞান ও ব্যবস্থাপনা বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক ড. মো. জিল্লুর রহমান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আগের তুলনায় বন্যায় অসুস্থতা কমেছে; তবে এখনো বহু দুর্বলতা রয়ে গেছে। ড্রেনেজ সিস্টেম (বর্জ্য ব্যবস্থাপনা) ভালো নয়। ফলে মারাত্মক স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি হয়। দুর্যোগে দ্রুত সাড়া দেওয়ার বিষয়টি এখনো দেখা যায়নি। এর পেছনে মানুষের সচেতনতার অভাব এবং কর্তৃপক্ষের ব্যবস্থাপনার ঘাটতি দায়ী। আশ্রয়কেন্দ্রগুলো যথাযথ উপযোগী করে তোলা জরুরি।’
বন্যার সময় সম্ভাব্য রোগের বিষয় বিবেচনা করে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর প্রস্তুতি নেয় বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পরিচালক (রোগ নিয়ন্ত্রণ) ডা. শেখ দাউদ আদনান।

চলতি বছরের আগস্ট ও সেপ্টেম্বরে ভয়াবহ বন্যা দেখা দেয় দেশের মধ্য-পূর্বাঞ্চলে। তিন সপ্তাহের বেশি সময় ধরে চলা বন্যায় ফেনী, লক্ষ্মীপুর, কুমিল্লা, নোয়াখালীসহ চট্টগ্রাম বিভাগের অন্তত ১০টি জেলা ক্ষতিগ্রস্ত হয়। সে সময় ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের সংখ্যা দাঁড়ায় ১০ লাখের বেশি। এর আগে-পরে সিলেট অঞ্চলে একাধিক দফায় বন্যা হয়। সবশেষ পাহাড়ি ঢলে ক্ষতিগ্রস্ত হয় ময়মনসিংহ বিভাগের তিন জেলা। বছরজুড়ে এসব বন্যায় অসুস্থতাসহ শারীরিক বিভিন্ন জটিলতার শিকার হয়েছে প্রায় আড়াই লাখ মানুষ। মৃত্যু হয়েছে ১২৭ জনের।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর বলছে, চলতি বছরের শুরু থেকে গত ২৬ অক্টোবর পর্যন্ত সারা দেশে বন্যার কারণে ২ লাখ ৪৬ হাজার মানুষ বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হয়েছে অথবা শারীরিক জটিলতায় পড়েছে। বন্যায় কত মানুষ অসুস্থ হয়েছে, বিভিন্নভাবে আঘাতপ্রাপ্ত হয়েছে এবং মারা গেছে, তার একটি হিসাবও রয়েছে অধিদপ্তরের কাছে।
অধিদপ্তরের সেই তথ্য অনুসারে, চলতি বছর বন্যার কারণে ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হয়েছিল ৪০ হাজারের বেশি মানুষ। তাদের মধ্যে ৬ জন মারা গেছে। শ্বাসতন্ত্রের সংক্রমণে ভুগেছে ৪ হাজার ৭০০ জন।
১ হাজার ৪০০ মানুষকে সাপে কামড়েছে। তাদের মধ্যে মৃত্যু হয়েছে ৪ জনের। ৬০ হাজার মানুষের চর্মরোগে আক্রান্ত হয়েছে। চোখের প্রদাহে ভুগেছে ২ হাজারের বেশি মানুষ। আঘাতপ্রাপ্ত ১ হাজার ৭৭৫ জনের মধ্যে ৩ জন মারা গেছে। বিভিন্নভাবে দুর্ঘটনার শিকার হওয়া ১ লাখ ৩৬ হাজার জনের মধ্যে ২১ জন মারা গেছে। বজ্রপাত ও পানিতে ডুবে মারা গেছে যথাক্রমে ৭ জন ও ৮৬ জন।
অধিদপ্তরের ম্যানেজমেন্ট ইনফরমেশন সিস্টেম (এমআইএস) শাখার কর্মকর্তারা আজকের পত্রিকাকে জানিয়েছেন, বন্যায় স্বাভাবিকভাবে পানিবাহিত রোগসহ বিভিন্ন ধরনের সংক্রমণ বাড়ে। একই সঙ্গে পানিতে পড়ে, বজ্রপাত এবং সাপে দংশনের ঘটনায় মানুষ আহত ও মারা যায়। স্বাস্থ্যসেবা স্বাভাবিক রাখতে বন্যার সময় উপদ্রুত এলাকায় জরুরি মেডিকেল টিম পাঠানো হয়। চলতি বছরের বন্যাকবলিত এলাকায় প্রায় ৬ হাজার মেডিকেল টিম কাজ করেছে। তবে স্বাস্থ্যসেবা প্রতিষ্ঠান প্লাবিত হলে চিকিৎসাসেবা দেওয়া কঠিন হয়ে পড়ে।
সরকারের ওই হিসাব অনুযায়ী, বছরজুড়ে সবচেয়ে বেশি ভুক্তভোগী চট্টগ্রাম বিভাগের বাসিন্দারা। এই বিভাগের ১০ লাখের বেশি পরিবারের ৫৫ লাখ মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। আর ১ লাখ ৮৮ হাজার বাসিন্দা বিভিন্ন রোগাক্রান্ত ও শারীরিক জটিলতায় পড়েছে। তাদের মধ্যে ৭৭ জনের মৃত্যু হয়েছে। এই বিভাগের জেলাগুলোর মধ্যে কুমিল্লায় এসব জটিলতায় পড়েছিল ১ লাখ ৩৩ হাজার বাসিন্দা। মারা গেছে ২২ জন। বিভাগের অন্যান্য জেলার মধ্যে ফেনীতে ২৬ হাজার, নোয়াখালীতে ১১ হাজার, লক্ষ্মীপুরে ১৬ হাজার মানুষ ভুক্তভোগী হয়েছে। মারা গেছে যথাক্রমে ১৭ জন, ১৮ জন ও ৩ জন। ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ৭১৪ জন অসুস্থ হয়, মারা যায় ৯ জন। চট্টগ্রামে অসুস্থ হয়েছে ৩১৩ জন, মারা গেছে ৫ জন। কক্সবাজারে অসুস্থ হয়েছে ১৫৬ জন, মারা গেছে ৩ জন।
বন্যার কারণে সিলেট বিভাগের ৫৪ হাজার মানুষ স্বাস্থ্য জটিলতায় পড়েছে। মৌলভীবাজার ও সিলেটে ১০ জন করে ২০ জনের মৃত্যু হয়েছে। এই দুই জেলায় বন্যাকে কেন্দ্র করে অসুস্থ মানুষের সংখ্যা যথাক্রমে ২৩ হাজার ও ২০ হাজার। ময়মনসিংহে ১ হাজারের কিছু বেশি মানুষের স্বাস্থ্য পরিস্থিতির তথ্য দিয়েছে অধিদপ্তর। বিভাগটিতে ১৬ জন মারা গেছে। রংপুরে ১ হাজার ২ জন আক্রান্ত। মৃত্যু হয়েছে ১৪ জনের। খুলনা ও বরিশাল বিভাগের কোনো মানুষ আক্রান্ত হয়নি। তবে ঢাকা বিভাগে শতাধিক মানুষ বন্যায় স্বাস্থ্য জটিলতায় পড়েছে।
জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা বলছেন, দেশের যেসব অঞ্চল বন্যায় প্লাবিত হয়, সেসব অঞ্চলের স্বাস্থ্যসেবা প্রতিষ্ঠানগুলো কার্যত অচল হয়ে পড়ে। চলতি বছরেও এমনটি দেখা গেছে। এতে ব্যাহত হয় চিকিৎসাসেবা। একই সঙ্গে রাখা যায় না প্রকৃত হিসাব। বাংলাদেশের তৃণমূলের স্বাস্থ্যসেবা প্রতিষ্ঠানগুলো; বিশেষ করে প্রাথমিক ও মাধ্যমিক পর্যায়ের হাসপাতালের অবকাঠামোগত ত্রুটি রয়েছে। এ হাসপাতালগুলো যখন নির্মাণ করা হয়, তখন মানবসৃষ্ট বা প্রাকৃতিক দুর্যোগের বিষয় বিবেচনায় আনা হয়নি।
গত আগস্টে ফেনী, লক্ষ্মীপুর, কুমিল্লাসহ ওই অঞ্চলের ১১ জেলা বন্যায় প্লাবিত হয়। সে সময় চট্টগ্রাম বিভাগের ৫৪২টি স্বাস্থ্যসেবা প্রতিষ্ঠান প্লাবিত হওয়ার তথ্য দেয় স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। এগুলোর মধ্যে রয়েছে জেলা সদর হাসপাতাল, উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স, ইউনিয়ন উপস্বাস্থ্যকেন্দ্র এবং কমিউনিটি ক্লিনিক। তবে ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ কেন্দ্র পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তরের আওতাধীন হওয়ায় এগুলোর হিসাব জানাতে পারেনি স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।
পাবলিক হেলথ অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের প্রেসিডেন্ট (ইলেক্ট) অধ্যাপক আবু জামিল ফয়সাল আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘বাংলাদেশের স্বাস্থ্যসেবা প্রতিষ্ঠানগুলো দুর্যোগের জন্য প্রস্তুত নয়। আর চলতি বছরে ফেনী ও কুমিল্লায় যে বন্যা হয়েছে, তার জন্য প্রস্তুতির সময় ছিল না। তবে বন্যা হলেই স্বাস্থ্যসেবা প্রতিষ্ঠানগুলো প্লাবিত ও ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এর অর্থ অবকাঠামো নির্মাণের সময় দুর্যোগের বিষয়টি বিবেচনা করা হয়নি। একই সঙ্গে বন্যার সময় স্বাস্থ্যসেবা বলতে শুধু পানি বিশুদ্ধকরণ ট্যাবলেট এবং খাওয়ার স্যালাইন নয়, বিষয়টি সংশ্লিষ্ট অনেক কর্তাব্যক্তিই মানতে চান না। দুর্যোগের সময় স্বাস্থ্যসেবা ও অবকাঠামোর বিষয়ে যথাযথ পরিকল্পনা এবং সে অনুযায়ী কার্যক্রমের অভাব রয়েছে।’
দুর্যোগ প্রতিরোধ ও প্রস্তুতি ভালো হলে প্রাণহানি, অসুস্থতা ও আর্থিক ক্ষতি কমে যায় উল্লেখ করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের দুর্যোগবিজ্ঞান ও ব্যবস্থাপনা বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক ড. মো. জিল্লুর রহমান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আগের তুলনায় বন্যায় অসুস্থতা কমেছে; তবে এখনো বহু দুর্বলতা রয়ে গেছে। ড্রেনেজ সিস্টেম (বর্জ্য ব্যবস্থাপনা) ভালো নয়। ফলে মারাত্মক স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি হয়। দুর্যোগে দ্রুত সাড়া দেওয়ার বিষয়টি এখনো দেখা যায়নি। এর পেছনে মানুষের সচেতনতার অভাব এবং কর্তৃপক্ষের ব্যবস্থাপনার ঘাটতি দায়ী। আশ্রয়কেন্দ্রগুলো যথাযথ উপযোগী করে তোলা জরুরি।’
বন্যার সময় সম্ভাব্য রোগের বিষয় বিবেচনা করে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর প্রস্তুতি নেয় বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পরিচালক (রোগ নিয়ন্ত্রণ) ডা. শেখ দাউদ আদনান।
আজকের পত্রিকা ডেস্ক

চলতি বছরের আগস্ট ও সেপ্টেম্বরে ভয়াবহ বন্যা দেখা দেয় দেশের মধ্য-পূর্বাঞ্চলে। তিন সপ্তাহের বেশি সময় ধরে চলা বন্যায় ফেনী, লক্ষ্মীপুর, কুমিল্লা, নোয়াখালীসহ চট্টগ্রাম বিভাগের অন্তত ১০টি জেলা ক্ষতিগ্রস্ত হয়। সে সময় ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের সংখ্যা দাঁড়ায় ১০ লাখের বেশি। এর আগে-পরে সিলেট অঞ্চলে একাধিক দফায় বন্যা হয়। সবশেষ পাহাড়ি ঢলে ক্ষতিগ্রস্ত হয় ময়মনসিংহ বিভাগের তিন জেলা। বছরজুড়ে এসব বন্যায় অসুস্থতাসহ শারীরিক বিভিন্ন জটিলতার শিকার হয়েছে প্রায় আড়াই লাখ মানুষ। মৃত্যু হয়েছে ১২৭ জনের।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর বলছে, চলতি বছরের শুরু থেকে গত ২৬ অক্টোবর পর্যন্ত সারা দেশে বন্যার কারণে ২ লাখ ৪৬ হাজার মানুষ বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হয়েছে অথবা শারীরিক জটিলতায় পড়েছে। বন্যায় কত মানুষ অসুস্থ হয়েছে, বিভিন্নভাবে আঘাতপ্রাপ্ত হয়েছে এবং মারা গেছে, তার একটি হিসাবও রয়েছে অধিদপ্তরের কাছে।
অধিদপ্তরের সেই তথ্য অনুসারে, চলতি বছর বন্যার কারণে ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হয়েছিল ৪০ হাজারের বেশি মানুষ। তাদের মধ্যে ৬ জন মারা গেছে। শ্বাসতন্ত্রের সংক্রমণে ভুগেছে ৪ হাজার ৭০০ জন।
১ হাজার ৪০০ মানুষকে সাপে কামড়েছে। তাদের মধ্যে মৃত্যু হয়েছে ৪ জনের। ৬০ হাজার মানুষের চর্মরোগে আক্রান্ত হয়েছে। চোখের প্রদাহে ভুগেছে ২ হাজারের বেশি মানুষ। আঘাতপ্রাপ্ত ১ হাজার ৭৭৫ জনের মধ্যে ৩ জন মারা গেছে। বিভিন্নভাবে দুর্ঘটনার শিকার হওয়া ১ লাখ ৩৬ হাজার জনের মধ্যে ২১ জন মারা গেছে। বজ্রপাত ও পানিতে ডুবে মারা গেছে যথাক্রমে ৭ জন ও ৮৬ জন।
অধিদপ্তরের ম্যানেজমেন্ট ইনফরমেশন সিস্টেম (এমআইএস) শাখার কর্মকর্তারা আজকের পত্রিকাকে জানিয়েছেন, বন্যায় স্বাভাবিকভাবে পানিবাহিত রোগসহ বিভিন্ন ধরনের সংক্রমণ বাড়ে। একই সঙ্গে পানিতে পড়ে, বজ্রপাত এবং সাপে দংশনের ঘটনায় মানুষ আহত ও মারা যায়। স্বাস্থ্যসেবা স্বাভাবিক রাখতে বন্যার সময় উপদ্রুত এলাকায় জরুরি মেডিকেল টিম পাঠানো হয়। চলতি বছরের বন্যাকবলিত এলাকায় প্রায় ৬ হাজার মেডিকেল টিম কাজ করেছে। তবে স্বাস্থ্যসেবা প্রতিষ্ঠান প্লাবিত হলে চিকিৎসাসেবা দেওয়া কঠিন হয়ে পড়ে।
সরকারের ওই হিসাব অনুযায়ী, বছরজুড়ে সবচেয়ে বেশি ভুক্তভোগী চট্টগ্রাম বিভাগের বাসিন্দারা। এই বিভাগের ১০ লাখের বেশি পরিবারের ৫৫ লাখ মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। আর ১ লাখ ৮৮ হাজার বাসিন্দা বিভিন্ন রোগাক্রান্ত ও শারীরিক জটিলতায় পড়েছে। তাদের মধ্যে ৭৭ জনের মৃত্যু হয়েছে। এই বিভাগের জেলাগুলোর মধ্যে কুমিল্লায় এসব জটিলতায় পড়েছিল ১ লাখ ৩৩ হাজার বাসিন্দা। মারা গেছে ২২ জন। বিভাগের অন্যান্য জেলার মধ্যে ফেনীতে ২৬ হাজার, নোয়াখালীতে ১১ হাজার, লক্ষ্মীপুরে ১৬ হাজার মানুষ ভুক্তভোগী হয়েছে। মারা গেছে যথাক্রমে ১৭ জন, ১৮ জন ও ৩ জন। ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ৭১৪ জন অসুস্থ হয়, মারা যায় ৯ জন। চট্টগ্রামে অসুস্থ হয়েছে ৩১৩ জন, মারা গেছে ৫ জন। কক্সবাজারে অসুস্থ হয়েছে ১৫৬ জন, মারা গেছে ৩ জন।
বন্যার কারণে সিলেট বিভাগের ৫৪ হাজার মানুষ স্বাস্থ্য জটিলতায় পড়েছে। মৌলভীবাজার ও সিলেটে ১০ জন করে ২০ জনের মৃত্যু হয়েছে। এই দুই জেলায় বন্যাকে কেন্দ্র করে অসুস্থ মানুষের সংখ্যা যথাক্রমে ২৩ হাজার ও ২০ হাজার। ময়মনসিংহে ১ হাজারের কিছু বেশি মানুষের স্বাস্থ্য পরিস্থিতির তথ্য দিয়েছে অধিদপ্তর। বিভাগটিতে ১৬ জন মারা গেছে। রংপুরে ১ হাজার ২ জন আক্রান্ত। মৃত্যু হয়েছে ১৪ জনের। খুলনা ও বরিশাল বিভাগের কোনো মানুষ আক্রান্ত হয়নি। তবে ঢাকা বিভাগে শতাধিক মানুষ বন্যায় স্বাস্থ্য জটিলতায় পড়েছে।
জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা বলছেন, দেশের যেসব অঞ্চল বন্যায় প্লাবিত হয়, সেসব অঞ্চলের স্বাস্থ্যসেবা প্রতিষ্ঠানগুলো কার্যত অচল হয়ে পড়ে। চলতি বছরেও এমনটি দেখা গেছে। এতে ব্যাহত হয় চিকিৎসাসেবা। একই সঙ্গে রাখা যায় না প্রকৃত হিসাব। বাংলাদেশের তৃণমূলের স্বাস্থ্যসেবা প্রতিষ্ঠানগুলো; বিশেষ করে প্রাথমিক ও মাধ্যমিক পর্যায়ের হাসপাতালের অবকাঠামোগত ত্রুটি রয়েছে। এ হাসপাতালগুলো যখন নির্মাণ করা হয়, তখন মানবসৃষ্ট বা প্রাকৃতিক দুর্যোগের বিষয় বিবেচনায় আনা হয়নি।
গত আগস্টে ফেনী, লক্ষ্মীপুর, কুমিল্লাসহ ওই অঞ্চলের ১১ জেলা বন্যায় প্লাবিত হয়। সে সময় চট্টগ্রাম বিভাগের ৫৪২টি স্বাস্থ্যসেবা প্রতিষ্ঠান প্লাবিত হওয়ার তথ্য দেয় স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। এগুলোর মধ্যে রয়েছে জেলা সদর হাসপাতাল, উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স, ইউনিয়ন উপস্বাস্থ্যকেন্দ্র এবং কমিউনিটি ক্লিনিক। তবে ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ কেন্দ্র পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তরের আওতাধীন হওয়ায় এগুলোর হিসাব জানাতে পারেনি স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।
পাবলিক হেলথ অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের প্রেসিডেন্ট (ইলেক্ট) অধ্যাপক আবু জামিল ফয়সাল আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘বাংলাদেশের স্বাস্থ্যসেবা প্রতিষ্ঠানগুলো দুর্যোগের জন্য প্রস্তুত নয়। আর চলতি বছরে ফেনী ও কুমিল্লায় যে বন্যা হয়েছে, তার জন্য প্রস্তুতির সময় ছিল না। তবে বন্যা হলেই স্বাস্থ্যসেবা প্রতিষ্ঠানগুলো প্লাবিত ও ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এর অর্থ অবকাঠামো নির্মাণের সময় দুর্যোগের বিষয়টি বিবেচনা করা হয়নি। একই সঙ্গে বন্যার সময় স্বাস্থ্যসেবা বলতে শুধু পানি বিশুদ্ধকরণ ট্যাবলেট এবং খাওয়ার স্যালাইন নয়, বিষয়টি সংশ্লিষ্ট অনেক কর্তাব্যক্তিই মানতে চান না। দুর্যোগের সময় স্বাস্থ্যসেবা ও অবকাঠামোর বিষয়ে যথাযথ পরিকল্পনা এবং সে অনুযায়ী কার্যক্রমের অভাব রয়েছে।’
দুর্যোগ প্রতিরোধ ও প্রস্তুতি ভালো হলে প্রাণহানি, অসুস্থতা ও আর্থিক ক্ষতি কমে যায় উল্লেখ করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের দুর্যোগবিজ্ঞান ও ব্যবস্থাপনা বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক ড. মো. জিল্লুর রহমান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আগের তুলনায় বন্যায় অসুস্থতা কমেছে; তবে এখনো বহু দুর্বলতা রয়ে গেছে। ড্রেনেজ সিস্টেম (বর্জ্য ব্যবস্থাপনা) ভালো নয়। ফলে মারাত্মক স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি হয়। দুর্যোগে দ্রুত সাড়া দেওয়ার বিষয়টি এখনো দেখা যায়নি। এর পেছনে মানুষের সচেতনতার অভাব এবং কর্তৃপক্ষের ব্যবস্থাপনার ঘাটতি দায়ী। আশ্রয়কেন্দ্রগুলো যথাযথ উপযোগী করে তোলা জরুরি।’
বন্যার সময় সম্ভাব্য রোগের বিষয় বিবেচনা করে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর প্রস্তুতি নেয় বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পরিচালক (রোগ নিয়ন্ত্রণ) ডা. শেখ দাউদ আদনান।

চলতি বছরের আগস্ট ও সেপ্টেম্বরে ভয়াবহ বন্যা দেখা দেয় দেশের মধ্য-পূর্বাঞ্চলে। তিন সপ্তাহের বেশি সময় ধরে চলা বন্যায় ফেনী, লক্ষ্মীপুর, কুমিল্লা, নোয়াখালীসহ চট্টগ্রাম বিভাগের অন্তত ১০টি জেলা ক্ষতিগ্রস্ত হয়। সে সময় ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের সংখ্যা দাঁড়ায় ১০ লাখের বেশি। এর আগে-পরে সিলেট অঞ্চলে একাধিক দফায় বন্যা হয়। সবশেষ পাহাড়ি ঢলে ক্ষতিগ্রস্ত হয় ময়মনসিংহ বিভাগের তিন জেলা। বছরজুড়ে এসব বন্যায় অসুস্থতাসহ শারীরিক বিভিন্ন জটিলতার শিকার হয়েছে প্রায় আড়াই লাখ মানুষ। মৃত্যু হয়েছে ১২৭ জনের।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর বলছে, চলতি বছরের শুরু থেকে গত ২৬ অক্টোবর পর্যন্ত সারা দেশে বন্যার কারণে ২ লাখ ৪৬ হাজার মানুষ বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হয়েছে অথবা শারীরিক জটিলতায় পড়েছে। বন্যায় কত মানুষ অসুস্থ হয়েছে, বিভিন্নভাবে আঘাতপ্রাপ্ত হয়েছে এবং মারা গেছে, তার একটি হিসাবও রয়েছে অধিদপ্তরের কাছে।
অধিদপ্তরের সেই তথ্য অনুসারে, চলতি বছর বন্যার কারণে ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হয়েছিল ৪০ হাজারের বেশি মানুষ। তাদের মধ্যে ৬ জন মারা গেছে। শ্বাসতন্ত্রের সংক্রমণে ভুগেছে ৪ হাজার ৭০০ জন।
১ হাজার ৪০০ মানুষকে সাপে কামড়েছে। তাদের মধ্যে মৃত্যু হয়েছে ৪ জনের। ৬০ হাজার মানুষের চর্মরোগে আক্রান্ত হয়েছে। চোখের প্রদাহে ভুগেছে ২ হাজারের বেশি মানুষ। আঘাতপ্রাপ্ত ১ হাজার ৭৭৫ জনের মধ্যে ৩ জন মারা গেছে। বিভিন্নভাবে দুর্ঘটনার শিকার হওয়া ১ লাখ ৩৬ হাজার জনের মধ্যে ২১ জন মারা গেছে। বজ্রপাত ও পানিতে ডুবে মারা গেছে যথাক্রমে ৭ জন ও ৮৬ জন।
অধিদপ্তরের ম্যানেজমেন্ট ইনফরমেশন সিস্টেম (এমআইএস) শাখার কর্মকর্তারা আজকের পত্রিকাকে জানিয়েছেন, বন্যায় স্বাভাবিকভাবে পানিবাহিত রোগসহ বিভিন্ন ধরনের সংক্রমণ বাড়ে। একই সঙ্গে পানিতে পড়ে, বজ্রপাত এবং সাপে দংশনের ঘটনায় মানুষ আহত ও মারা যায়। স্বাস্থ্যসেবা স্বাভাবিক রাখতে বন্যার সময় উপদ্রুত এলাকায় জরুরি মেডিকেল টিম পাঠানো হয়। চলতি বছরের বন্যাকবলিত এলাকায় প্রায় ৬ হাজার মেডিকেল টিম কাজ করেছে। তবে স্বাস্থ্যসেবা প্রতিষ্ঠান প্লাবিত হলে চিকিৎসাসেবা দেওয়া কঠিন হয়ে পড়ে।
সরকারের ওই হিসাব অনুযায়ী, বছরজুড়ে সবচেয়ে বেশি ভুক্তভোগী চট্টগ্রাম বিভাগের বাসিন্দারা। এই বিভাগের ১০ লাখের বেশি পরিবারের ৫৫ লাখ মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। আর ১ লাখ ৮৮ হাজার বাসিন্দা বিভিন্ন রোগাক্রান্ত ও শারীরিক জটিলতায় পড়েছে। তাদের মধ্যে ৭৭ জনের মৃত্যু হয়েছে। এই বিভাগের জেলাগুলোর মধ্যে কুমিল্লায় এসব জটিলতায় পড়েছিল ১ লাখ ৩৩ হাজার বাসিন্দা। মারা গেছে ২২ জন। বিভাগের অন্যান্য জেলার মধ্যে ফেনীতে ২৬ হাজার, নোয়াখালীতে ১১ হাজার, লক্ষ্মীপুরে ১৬ হাজার মানুষ ভুক্তভোগী হয়েছে। মারা গেছে যথাক্রমে ১৭ জন, ১৮ জন ও ৩ জন। ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ৭১৪ জন অসুস্থ হয়, মারা যায় ৯ জন। চট্টগ্রামে অসুস্থ হয়েছে ৩১৩ জন, মারা গেছে ৫ জন। কক্সবাজারে অসুস্থ হয়েছে ১৫৬ জন, মারা গেছে ৩ জন।
বন্যার কারণে সিলেট বিভাগের ৫৪ হাজার মানুষ স্বাস্থ্য জটিলতায় পড়েছে। মৌলভীবাজার ও সিলেটে ১০ জন করে ২০ জনের মৃত্যু হয়েছে। এই দুই জেলায় বন্যাকে কেন্দ্র করে অসুস্থ মানুষের সংখ্যা যথাক্রমে ২৩ হাজার ও ২০ হাজার। ময়মনসিংহে ১ হাজারের কিছু বেশি মানুষের স্বাস্থ্য পরিস্থিতির তথ্য দিয়েছে অধিদপ্তর। বিভাগটিতে ১৬ জন মারা গেছে। রংপুরে ১ হাজার ২ জন আক্রান্ত। মৃত্যু হয়েছে ১৪ জনের। খুলনা ও বরিশাল বিভাগের কোনো মানুষ আক্রান্ত হয়নি। তবে ঢাকা বিভাগে শতাধিক মানুষ বন্যায় স্বাস্থ্য জটিলতায় পড়েছে।
জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা বলছেন, দেশের যেসব অঞ্চল বন্যায় প্লাবিত হয়, সেসব অঞ্চলের স্বাস্থ্যসেবা প্রতিষ্ঠানগুলো কার্যত অচল হয়ে পড়ে। চলতি বছরেও এমনটি দেখা গেছে। এতে ব্যাহত হয় চিকিৎসাসেবা। একই সঙ্গে রাখা যায় না প্রকৃত হিসাব। বাংলাদেশের তৃণমূলের স্বাস্থ্যসেবা প্রতিষ্ঠানগুলো; বিশেষ করে প্রাথমিক ও মাধ্যমিক পর্যায়ের হাসপাতালের অবকাঠামোগত ত্রুটি রয়েছে। এ হাসপাতালগুলো যখন নির্মাণ করা হয়, তখন মানবসৃষ্ট বা প্রাকৃতিক দুর্যোগের বিষয় বিবেচনায় আনা হয়নি।
গত আগস্টে ফেনী, লক্ষ্মীপুর, কুমিল্লাসহ ওই অঞ্চলের ১১ জেলা বন্যায় প্লাবিত হয়। সে সময় চট্টগ্রাম বিভাগের ৫৪২টি স্বাস্থ্যসেবা প্রতিষ্ঠান প্লাবিত হওয়ার তথ্য দেয় স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। এগুলোর মধ্যে রয়েছে জেলা সদর হাসপাতাল, উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স, ইউনিয়ন উপস্বাস্থ্যকেন্দ্র এবং কমিউনিটি ক্লিনিক। তবে ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ কেন্দ্র পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তরের আওতাধীন হওয়ায় এগুলোর হিসাব জানাতে পারেনি স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।
পাবলিক হেলথ অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের প্রেসিডেন্ট (ইলেক্ট) অধ্যাপক আবু জামিল ফয়সাল আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘বাংলাদেশের স্বাস্থ্যসেবা প্রতিষ্ঠানগুলো দুর্যোগের জন্য প্রস্তুত নয়। আর চলতি বছরে ফেনী ও কুমিল্লায় যে বন্যা হয়েছে, তার জন্য প্রস্তুতির সময় ছিল না। তবে বন্যা হলেই স্বাস্থ্যসেবা প্রতিষ্ঠানগুলো প্লাবিত ও ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এর অর্থ অবকাঠামো নির্মাণের সময় দুর্যোগের বিষয়টি বিবেচনা করা হয়নি। একই সঙ্গে বন্যার সময় স্বাস্থ্যসেবা বলতে শুধু পানি বিশুদ্ধকরণ ট্যাবলেট এবং খাওয়ার স্যালাইন নয়, বিষয়টি সংশ্লিষ্ট অনেক কর্তাব্যক্তিই মানতে চান না। দুর্যোগের সময় স্বাস্থ্যসেবা ও অবকাঠামোর বিষয়ে যথাযথ পরিকল্পনা এবং সে অনুযায়ী কার্যক্রমের অভাব রয়েছে।’
দুর্যোগ প্রতিরোধ ও প্রস্তুতি ভালো হলে প্রাণহানি, অসুস্থতা ও আর্থিক ক্ষতি কমে যায় উল্লেখ করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের দুর্যোগবিজ্ঞান ও ব্যবস্থাপনা বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক ড. মো. জিল্লুর রহমান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আগের তুলনায় বন্যায় অসুস্থতা কমেছে; তবে এখনো বহু দুর্বলতা রয়ে গেছে। ড্রেনেজ সিস্টেম (বর্জ্য ব্যবস্থাপনা) ভালো নয়। ফলে মারাত্মক স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি হয়। দুর্যোগে দ্রুত সাড়া দেওয়ার বিষয়টি এখনো দেখা যায়নি। এর পেছনে মানুষের সচেতনতার অভাব এবং কর্তৃপক্ষের ব্যবস্থাপনার ঘাটতি দায়ী। আশ্রয়কেন্দ্রগুলো যথাযথ উপযোগী করে তোলা জরুরি।’
বন্যার সময় সম্ভাব্য রোগের বিষয় বিবেচনা করে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর প্রস্তুতি নেয় বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পরিচালক (রোগ নিয়ন্ত্রণ) ডা. শেখ দাউদ আদনান।

কিশোরগঞ্জের অষ্টগ্রাম ও চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়ায় খেলা করার সময় পানিতে পড়ে ছয় শিশুর মর্মান্তিক মৃত্যু হয়েছে। আজ শুক্রবার অষ্টগ্রাম উপজেলার দেওঘর ইউনিয়ন ও রাঙ্গুনিয়ার পারুয়া ইউনিয়নে ঘটনা দুটি ঘটে। এতে ওইসব এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে।
১৫ ঘণ্টা আগে
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্য থেকে আজ বেলা ৩টার দিকে ‘চাকরিপ্রত্যাশী প্রতিবন্ধী গ্র্যাজুয়েট পরিষদ’-এর ব্যানারে পদযাত্রা শুরু করেন আন্দোলনকারীরা। শাহবাগ থানার সামনে পৌঁছালে পুলিশ ব্যারিকেড দিয়ে তা আটকে দেয়। এ সময় পুলিশের সঙ্গে আন্দোলনকারীদের ধস্তাধস্তি হয়। একপর্যায়ে পুলিশ তাঁদের সড়ক থেকে....
১৭ ঘণ্টা আগে
কক্সবাজার অভ্যন্তরীণ বিমানবন্দরকে আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর হিসেবে ঘোষণা করে জারি করা প্রজ্ঞাপন স্থগিত করেছে সরকার। ফলে আপাতত কক্সবাজার থেকে আন্তর্জাতিক ফ্লাইট পরিচালনা শুরু হচ্ছে না।
১৯ ঘণ্টা আগে
আজ শুক্রবার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, বাংলাদেশ দৃঢ়ভাবে পুনর্ব্যক্ত করছে যে, পূর্ব জেরুজালেমসহ দখল করা ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডের কোনো অংশে ইসরায়েলের কোনো সার্বভৌমত্ব নেই।
২০ ঘণ্টা আগেঅষ্টগ্রাম (কিশোরগঞ্জ) ও রাঙ্গুনিয়া (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি

কিশোরগঞ্জের অষ্টগ্রাম ও চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়ায় খেলা করার সময় পানিতে পড়ে ছয় শিশুর মর্মান্তিক মৃত্যু হয়েছে। আজ শুক্রবার অষ্টগ্রাম উপজেলার দেওঘর ইউনিয়ন ও রাঙ্গুনিয়ার পারুয়া ইউনিয়নে ঘটনা দুটি ঘটে। এতে ওইসব এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে।
আজ বিকেলে অষ্টগ্রাম উপজেলার দেওঘর ইউনিয়নের পশ্চিম আলীনগর এলাকায় বাড়িসংলগ্ন বিলের পাশে খেলা করছিল মিশকাত (৫), মাহিন (৬) ও সাত্তার তানিল মিয়া (৫)। হঠাৎ সবার অজান্তে তিন শিশু বিলে পড়ে ডুবে যায়।
খোঁজাখুঁজির একপর্যায়ে বিল থেকে মিশকাত ও মাহিনকে উদ্ধার করা হয়। পরে অষ্টগ্রাম উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে দায়িত্বরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। সন্ধ্যা ৭টার দিকে খবর পেয়ে অষ্টগ্রাম ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা গিয়ে ঘটনাস্থল থেকে অপর শিশু তানিলের মরদেহ উদ্ধার করে।
এ বিষয়ে মাহিনের চাচা মোবারক হোসেন বলেন, প্রতিদিনের মতো তিন শিশু খেলাধুলা করছিল। কিন্তু কখন যে বিলের পানিতে ডুবে গেল, কেউ বোঝেনি। পরে তাদের দেখতে না পেয়ে খোঁজাখুঁজি করে পানিতে প্রথমে দুজন, পরে অন্যজনকে পাওয়া যায়।
এ বিষয়ে দেওঘর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান মো. আক্তার হোসেন বলেন, দুঃখজনক খবর, একই বাড়ির তিনটা শিশুর মৃত্যুতে এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে।
অপর দিকে রাঙ্গুনিয়া উপজেলার পারুয়া ইউনিয়নে একই দিন বিকেলে উত্তর পারুয়া গ্রামের একটি পুকুরে পড়ে মারা যায় তিন শিশু। তারা হলো সুমাইয়া আক্তার (৫), হাবীবা আক্তার (৬) ও জান্নাত আক্তার (৫)।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, বিকেলে খেলার ছলে তারা তিনজনই বাড়ির পাশে পুকুরে যায়। কিছুক্ষণ পর না পেয়ে পরিবারের লোকজন খোঁজাখুঁজি শুরু করে। পরে পুকুরে ভাসমান অবস্থায় তাদের মরদেহ উদ্ধার করে স্থানীয় স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
এ বিষয়ে পারুয়া ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান একতেহার হোসেন বলেন, ‘তিনটি নিষ্পাপ শিশুর এমন মৃত্যুর ঘটনা আমাদের সবাইকে স্তব্ধ করে দিয়েছে। পুরো এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে।’

কিশোরগঞ্জের অষ্টগ্রাম ও চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়ায় খেলা করার সময় পানিতে পড়ে ছয় শিশুর মর্মান্তিক মৃত্যু হয়েছে। আজ শুক্রবার অষ্টগ্রাম উপজেলার দেওঘর ইউনিয়ন ও রাঙ্গুনিয়ার পারুয়া ইউনিয়নে ঘটনা দুটি ঘটে। এতে ওইসব এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে।
আজ বিকেলে অষ্টগ্রাম উপজেলার দেওঘর ইউনিয়নের পশ্চিম আলীনগর এলাকায় বাড়িসংলগ্ন বিলের পাশে খেলা করছিল মিশকাত (৫), মাহিন (৬) ও সাত্তার তানিল মিয়া (৫)। হঠাৎ সবার অজান্তে তিন শিশু বিলে পড়ে ডুবে যায়।
খোঁজাখুঁজির একপর্যায়ে বিল থেকে মিশকাত ও মাহিনকে উদ্ধার করা হয়। পরে অষ্টগ্রাম উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে দায়িত্বরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। সন্ধ্যা ৭টার দিকে খবর পেয়ে অষ্টগ্রাম ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা গিয়ে ঘটনাস্থল থেকে অপর শিশু তানিলের মরদেহ উদ্ধার করে।
এ বিষয়ে মাহিনের চাচা মোবারক হোসেন বলেন, প্রতিদিনের মতো তিন শিশু খেলাধুলা করছিল। কিন্তু কখন যে বিলের পানিতে ডুবে গেল, কেউ বোঝেনি। পরে তাদের দেখতে না পেয়ে খোঁজাখুঁজি করে পানিতে প্রথমে দুজন, পরে অন্যজনকে পাওয়া যায়।
এ বিষয়ে দেওঘর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান মো. আক্তার হোসেন বলেন, দুঃখজনক খবর, একই বাড়ির তিনটা শিশুর মৃত্যুতে এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে।
অপর দিকে রাঙ্গুনিয়া উপজেলার পারুয়া ইউনিয়নে একই দিন বিকেলে উত্তর পারুয়া গ্রামের একটি পুকুরে পড়ে মারা যায় তিন শিশু। তারা হলো সুমাইয়া আক্তার (৫), হাবীবা আক্তার (৬) ও জান্নাত আক্তার (৫)।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, বিকেলে খেলার ছলে তারা তিনজনই বাড়ির পাশে পুকুরে যায়। কিছুক্ষণ পর না পেয়ে পরিবারের লোকজন খোঁজাখুঁজি শুরু করে। পরে পুকুরে ভাসমান অবস্থায় তাদের মরদেহ উদ্ধার করে স্থানীয় স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
এ বিষয়ে পারুয়া ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান একতেহার হোসেন বলেন, ‘তিনটি নিষ্পাপ শিশুর এমন মৃত্যুর ঘটনা আমাদের সবাইকে স্তব্ধ করে দিয়েছে। পুরো এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে।’

চলতি বছরের আগস্ট ও সেপ্টেম্বরে ভয়াবহ বন্যা দেখা দেয় দেশের মধ্য-পূর্বাঞ্চলে। তিন সপ্তাহের বেশি সময় ধরে চলা বন্যায় ফেনী, লক্ষ্মীপুর, কুমিল্লা, নোয়াখালীসহ চট্টগ্রাম বিভাগের অন্তত ১০টি জেলা ক্ষতিগ্রস্ত হয়। সে সময় ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের সংখ্যা দাঁড়ায় ১০ লাখের বেশি। এর আগে-পরে সিলেট অঞ্চলে একাধিক দফায় বন্যা
২৯ অক্টোবর ২০২৪
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্য থেকে আজ বেলা ৩টার দিকে ‘চাকরিপ্রত্যাশী প্রতিবন্ধী গ্র্যাজুয়েট পরিষদ’-এর ব্যানারে পদযাত্রা শুরু করেন আন্দোলনকারীরা। শাহবাগ থানার সামনে পৌঁছালে পুলিশ ব্যারিকেড দিয়ে তা আটকে দেয়। এ সময় পুলিশের সঙ্গে আন্দোলনকারীদের ধস্তাধস্তি হয়। একপর্যায়ে পুলিশ তাঁদের সড়ক থেকে....
১৭ ঘণ্টা আগে
কক্সবাজার অভ্যন্তরীণ বিমানবন্দরকে আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর হিসেবে ঘোষণা করে জারি করা প্রজ্ঞাপন স্থগিত করেছে সরকার। ফলে আপাতত কক্সবাজার থেকে আন্তর্জাতিক ফ্লাইট পরিচালনা শুরু হচ্ছে না।
১৯ ঘণ্টা আগে
আজ শুক্রবার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, বাংলাদেশ দৃঢ়ভাবে পুনর্ব্যক্ত করছে যে, পূর্ব জেরুজালেমসহ দখল করা ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডের কোনো অংশে ইসরায়েলের কোনো সার্বভৌমত্ব নেই।
২০ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা বাড়ানো, বিশেষ নিয়োগব্যবস্থা, স্বতন্ত্র কোটা সংরক্ষণসহ পাঁচ দফা দাবিতে আজ শুক্রবার আবারও যমুনা অভিমুখে পদযাত্রা করেছেন চাকরিপ্রত্যাশী প্রতিবন্ধী গ্র্যাজুয়েটরা। তবে গতকাল বৃহস্পতিবারের মতো আজও তাঁদের পদযাত্রা শাহবাগ থানার সামনে পুলিশের বাধার মুখে পড়ে।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্য থেকে আজ বেলা ৩টার দিকে ‘চাকরিপ্রত্যাশী প্রতিবন্ধী গ্র্যাজুয়েট পরিষদ’-এর ব্যানারে পদযাত্রা শুরু করেন আন্দোলনকারীরা। শাহবাগ থানার সামনে পৌঁছালে পুলিশ ব্যারিকেড দিয়ে তা আটকে দেয়। এ সময় পুলিশের সঙ্গে আন্দোলনকারীদের ধস্তাধস্তি হয়। একপর্যায়ে পুলিশ তাঁদের সড়ক থেকে সরিয়ে দেয়।
এর আগে গতকাল দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে রাজু ভাস্কর্য থেকে যমুনা অভিমুখে থালাবাটি নিয়ে ভুখা মিছিল করেন প্রতিবন্ধী গ্র্যাজুয়েটরা। শাহবাগ থানার সামনে মিছিলটি পুলিশ আটকে দিলে সেখানেই বিক্ষোভ করেন তাঁরা। একপর্যায়ে সেখান থেকে তাঁদের সরিয়ে দেওয়া হয়।
গত রোববার থেকে পাঁচ দফা দাবিতে আন্দোলন করা চাকরিপ্রত্যাশী প্রতিবন্ধীদের ভাষ্য, শিক্ষিত, যোগ্য ও কর্মক্ষম যুব প্রতিবন্ধীরা দীর্ঘদিন ধরে কর্মসংস্থান থেকে বঞ্চিত। ২০১৮ সাল থেকে ধারাবাহিকভাবে ন্যায্য অধিকারের দাবি জানিয়ে আসছেন তাঁরা। তবে এখনো কর্মসংস্থানে অন্তর্ভুক্তি ও প্রতিবন্ধী কোটা যথাযথভাবে বাস্তবায়ন করা হয়নি।
চাকরিপ্রত্যাশী প্রতিবন্ধী গ্র্যাজুয়েট পরিষদের সদস্যসচিব আলিফ হোসেন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘পাঁচ দফা দাবিতে গত রোববার শাহবাগে অবস্থান করে যমুনা অভিমুখে পদযাত্রা করা হয়। সেদিন পুলিশ আমাদের আটকে দেয়। এরপর সমাজকল্যাণ উপদেষ্টার সঙ্গে সাক্ষাৎ করে আমাদের দাবি জানানো হয়। তাঁর কাছ থেকে কোনো সমাধান না পেয়ে আমরা বেশ কয়েকবার যমুনা অভিমুখে পদযাত্রা করি, কিন্তু পুলিশ আমাদের ব্যারিকেড দিয়ে আটকে রাখে।’
আলিফ হোসেন আরও বলেন, ‘আজও শাহবাগ থানার সামনে আমাদের পদযাত্রা আটকে দেওয়া হয় এবং বেশ কয়েকজনকে পুলিশ মারধরও করেছে।’
এ বিষয়ে শাহবাগ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ খালিদ মনসুর বলেন, প্রধান উপদেষ্টার বাসভবন এলাকায় সভা-সমাবেশ করা নিষেধ। তাই চাকরিপ্রত্যাশী প্রতিবন্ধীরা দাবিদাওয়া নিয়ে যমুনা অভিমুখে পদযাত্রা করায় তাঁদের আটকে দেওয়া হয়েছে।
চাকরিপ্রত্যাশী প্রতিবন্ধীদের দাবিগুলোর মধ্যে রয়েছে—
১. প্রতিবন্ধিতার ধরন অনুযায়ী বেকার, শিক্ষিত প্রতিবন্ধীদের জন্য প্রধান উপদেষ্টার নির্বাহী আদেশে বিশেষ নিয়োগ দিতে হবে।
২. প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণিতে ২ শতাংশ এবং তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণিতে ৫ শতাংশ স্বতন্ত্র প্রতিবন্ধী কোটা সংরক্ষণ ও বাস্তবায়ন করতে হবে।
৩. দৃষ্টি বা শারীরিক প্রতিবন্ধীরা নিজেদের পছন্দমতো শ্রুতিলেখক (বিকল্প সহকারী) মনোনয়নের স্বাধীনতা পাবেন—এমনভাবে নীতিমালা হালনাগাদ করতে হবে।
৪. সমাজসেবা অধিদপ্তর এবং সংশ্লিষ্ট শিক্ষা ও প্রশিক্ষণ প্রতিষ্ঠানে দৃষ্টিপ্রতিবন্ধীদের জন্য নির্দিষ্ট পদসংখ্যায় নিশ্চিত নিয়োগ দিতে হবে।
৫. প্রতিবন্ধী প্রার্থীদের সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা ৩৫ বছরে উন্নীত করতে হবে। সাধারণ প্রার্থীদের ক্ষেত্রে ৩৫ হলে তা ৩৭ বছর করতে হবে।

সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা বাড়ানো, বিশেষ নিয়োগব্যবস্থা, স্বতন্ত্র কোটা সংরক্ষণসহ পাঁচ দফা দাবিতে আজ শুক্রবার আবারও যমুনা অভিমুখে পদযাত্রা করেছেন চাকরিপ্রত্যাশী প্রতিবন্ধী গ্র্যাজুয়েটরা। তবে গতকাল বৃহস্পতিবারের মতো আজও তাঁদের পদযাত্রা শাহবাগ থানার সামনে পুলিশের বাধার মুখে পড়ে।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্য থেকে আজ বেলা ৩টার দিকে ‘চাকরিপ্রত্যাশী প্রতিবন্ধী গ্র্যাজুয়েট পরিষদ’-এর ব্যানারে পদযাত্রা শুরু করেন আন্দোলনকারীরা। শাহবাগ থানার সামনে পৌঁছালে পুলিশ ব্যারিকেড দিয়ে তা আটকে দেয়। এ সময় পুলিশের সঙ্গে আন্দোলনকারীদের ধস্তাধস্তি হয়। একপর্যায়ে পুলিশ তাঁদের সড়ক থেকে সরিয়ে দেয়।
এর আগে গতকাল দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে রাজু ভাস্কর্য থেকে যমুনা অভিমুখে থালাবাটি নিয়ে ভুখা মিছিল করেন প্রতিবন্ধী গ্র্যাজুয়েটরা। শাহবাগ থানার সামনে মিছিলটি পুলিশ আটকে দিলে সেখানেই বিক্ষোভ করেন তাঁরা। একপর্যায়ে সেখান থেকে তাঁদের সরিয়ে দেওয়া হয়।
গত রোববার থেকে পাঁচ দফা দাবিতে আন্দোলন করা চাকরিপ্রত্যাশী প্রতিবন্ধীদের ভাষ্য, শিক্ষিত, যোগ্য ও কর্মক্ষম যুব প্রতিবন্ধীরা দীর্ঘদিন ধরে কর্মসংস্থান থেকে বঞ্চিত। ২০১৮ সাল থেকে ধারাবাহিকভাবে ন্যায্য অধিকারের দাবি জানিয়ে আসছেন তাঁরা। তবে এখনো কর্মসংস্থানে অন্তর্ভুক্তি ও প্রতিবন্ধী কোটা যথাযথভাবে বাস্তবায়ন করা হয়নি।
চাকরিপ্রত্যাশী প্রতিবন্ধী গ্র্যাজুয়েট পরিষদের সদস্যসচিব আলিফ হোসেন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘পাঁচ দফা দাবিতে গত রোববার শাহবাগে অবস্থান করে যমুনা অভিমুখে পদযাত্রা করা হয়। সেদিন পুলিশ আমাদের আটকে দেয়। এরপর সমাজকল্যাণ উপদেষ্টার সঙ্গে সাক্ষাৎ করে আমাদের দাবি জানানো হয়। তাঁর কাছ থেকে কোনো সমাধান না পেয়ে আমরা বেশ কয়েকবার যমুনা অভিমুখে পদযাত্রা করি, কিন্তু পুলিশ আমাদের ব্যারিকেড দিয়ে আটকে রাখে।’
আলিফ হোসেন আরও বলেন, ‘আজও শাহবাগ থানার সামনে আমাদের পদযাত্রা আটকে দেওয়া হয় এবং বেশ কয়েকজনকে পুলিশ মারধরও করেছে।’
এ বিষয়ে শাহবাগ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ খালিদ মনসুর বলেন, প্রধান উপদেষ্টার বাসভবন এলাকায় সভা-সমাবেশ করা নিষেধ। তাই চাকরিপ্রত্যাশী প্রতিবন্ধীরা দাবিদাওয়া নিয়ে যমুনা অভিমুখে পদযাত্রা করায় তাঁদের আটকে দেওয়া হয়েছে।
চাকরিপ্রত্যাশী প্রতিবন্ধীদের দাবিগুলোর মধ্যে রয়েছে—
১. প্রতিবন্ধিতার ধরন অনুযায়ী বেকার, শিক্ষিত প্রতিবন্ধীদের জন্য প্রধান উপদেষ্টার নির্বাহী আদেশে বিশেষ নিয়োগ দিতে হবে।
২. প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণিতে ২ শতাংশ এবং তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণিতে ৫ শতাংশ স্বতন্ত্র প্রতিবন্ধী কোটা সংরক্ষণ ও বাস্তবায়ন করতে হবে।
৩. দৃষ্টি বা শারীরিক প্রতিবন্ধীরা নিজেদের পছন্দমতো শ্রুতিলেখক (বিকল্প সহকারী) মনোনয়নের স্বাধীনতা পাবেন—এমনভাবে নীতিমালা হালনাগাদ করতে হবে।
৪. সমাজসেবা অধিদপ্তর এবং সংশ্লিষ্ট শিক্ষা ও প্রশিক্ষণ প্রতিষ্ঠানে দৃষ্টিপ্রতিবন্ধীদের জন্য নির্দিষ্ট পদসংখ্যায় নিশ্চিত নিয়োগ দিতে হবে।
৫. প্রতিবন্ধী প্রার্থীদের সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা ৩৫ বছরে উন্নীত করতে হবে। সাধারণ প্রার্থীদের ক্ষেত্রে ৩৫ হলে তা ৩৭ বছর করতে হবে।

চলতি বছরের আগস্ট ও সেপ্টেম্বরে ভয়াবহ বন্যা দেখা দেয় দেশের মধ্য-পূর্বাঞ্চলে। তিন সপ্তাহের বেশি সময় ধরে চলা বন্যায় ফেনী, লক্ষ্মীপুর, কুমিল্লা, নোয়াখালীসহ চট্টগ্রাম বিভাগের অন্তত ১০টি জেলা ক্ষতিগ্রস্ত হয়। সে সময় ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের সংখ্যা দাঁড়ায় ১০ লাখের বেশি। এর আগে-পরে সিলেট অঞ্চলে একাধিক দফায় বন্যা
২৯ অক্টোবর ২০২৪
কিশোরগঞ্জের অষ্টগ্রাম ও চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়ায় খেলা করার সময় পানিতে পড়ে ছয় শিশুর মর্মান্তিক মৃত্যু হয়েছে। আজ শুক্রবার অষ্টগ্রাম উপজেলার দেওঘর ইউনিয়ন ও রাঙ্গুনিয়ার পারুয়া ইউনিয়নে ঘটনা দুটি ঘটে। এতে ওইসব এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে।
১৫ ঘণ্টা আগে
কক্সবাজার অভ্যন্তরীণ বিমানবন্দরকে আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর হিসেবে ঘোষণা করে জারি করা প্রজ্ঞাপন স্থগিত করেছে সরকার। ফলে আপাতত কক্সবাজার থেকে আন্তর্জাতিক ফ্লাইট পরিচালনা শুরু হচ্ছে না।
১৯ ঘণ্টা আগে
আজ শুক্রবার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, বাংলাদেশ দৃঢ়ভাবে পুনর্ব্যক্ত করছে যে, পূর্ব জেরুজালেমসহ দখল করা ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডের কোনো অংশে ইসরায়েলের কোনো সার্বভৌমত্ব নেই।
২০ ঘণ্টা আগেবিশেষ প্রতিনিধি, ঢাকা

কক্সবাজার অভ্যন্তরীণ বিমানবন্দরকে আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর হিসেবে ঘোষণা করে জারি করা প্রজ্ঞাপন স্থগিত করেছে সরকার। ফলে আপাতত কক্সবাজার থেকে আন্তর্জাতিক ফ্লাইট পরিচালনা শুরু হচ্ছে না।
আজ শুক্রবার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কক্সবাজার বিমানবন্দরের আন্তর্জাতিক বিমান উড্ডয়ন কমিটির সভাপতি ও বিমানবন্দর পরিচালক এয়ার কমোডর মো. নুর-ই-আজম।
বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ (বেবিচক) সূত্রে জানা গেছে, সরকারের পক্ষ থেকে বিমানবন্দরটিকে আন্তর্জাতিক ঘোষণা করার প্রজ্ঞাপন স্থগিত করা হয়েছে। পরবর্তী নির্দেশ না আসা পর্যন্ত আগের মতোই অভ্যন্তরীণ ফ্লাইট পরিচালনা চলবে।
প্রসঙ্গত, সম্প্রতি বেসামরিক বিমান চলাচল ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে কক্সবাজার বিমানবন্দরকে আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর হিসেবে ঘোষণা করে একটি প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছিল। এর মাধ্যমে কক্সবাজারে আন্তর্জাতিক ফ্লাইট চালুর প্রাথমিক প্রস্তুতি শুরু হয়।
বিমানবন্দরসংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, অবকাঠামোগত ও প্রশাসনিক কিছু প্রস্তুতি সম্পূর্ণ না হওয়ায় সরকার এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
উল্লেখ্য, দেশের অন্যতম জনপ্রিয় পর্যটন নগরী কক্সবাজারে আন্তর্জাতিক ফ্লাইট চালুর উদ্যোগ পর্যটন খাতে নতুন সম্ভাবনার দ্বার খুলে দেবে বলে আশা করা হচ্ছিল। বিশেষ করে, থাইল্যান্ড, মালয়েশিয়া, সিঙ্গাপুর ও ভারতের সঙ্গে সরাসরি আকাশপথে সংযোগের পরিকল্পনাও ছিল সরকারের।

কক্সবাজার অভ্যন্তরীণ বিমানবন্দরকে আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর হিসেবে ঘোষণা করে জারি করা প্রজ্ঞাপন স্থগিত করেছে সরকার। ফলে আপাতত কক্সবাজার থেকে আন্তর্জাতিক ফ্লাইট পরিচালনা শুরু হচ্ছে না।
আজ শুক্রবার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কক্সবাজার বিমানবন্দরের আন্তর্জাতিক বিমান উড্ডয়ন কমিটির সভাপতি ও বিমানবন্দর পরিচালক এয়ার কমোডর মো. নুর-ই-আজম।
বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ (বেবিচক) সূত্রে জানা গেছে, সরকারের পক্ষ থেকে বিমানবন্দরটিকে আন্তর্জাতিক ঘোষণা করার প্রজ্ঞাপন স্থগিত করা হয়েছে। পরবর্তী নির্দেশ না আসা পর্যন্ত আগের মতোই অভ্যন্তরীণ ফ্লাইট পরিচালনা চলবে।
প্রসঙ্গত, সম্প্রতি বেসামরিক বিমান চলাচল ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে কক্সবাজার বিমানবন্দরকে আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর হিসেবে ঘোষণা করে একটি প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছিল। এর মাধ্যমে কক্সবাজারে আন্তর্জাতিক ফ্লাইট চালুর প্রাথমিক প্রস্তুতি শুরু হয়।
বিমানবন্দরসংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, অবকাঠামোগত ও প্রশাসনিক কিছু প্রস্তুতি সম্পূর্ণ না হওয়ায় সরকার এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
উল্লেখ্য, দেশের অন্যতম জনপ্রিয় পর্যটন নগরী কক্সবাজারে আন্তর্জাতিক ফ্লাইট চালুর উদ্যোগ পর্যটন খাতে নতুন সম্ভাবনার দ্বার খুলে দেবে বলে আশা করা হচ্ছিল। বিশেষ করে, থাইল্যান্ড, মালয়েশিয়া, সিঙ্গাপুর ও ভারতের সঙ্গে সরাসরি আকাশপথে সংযোগের পরিকল্পনাও ছিল সরকারের।

চলতি বছরের আগস্ট ও সেপ্টেম্বরে ভয়াবহ বন্যা দেখা দেয় দেশের মধ্য-পূর্বাঞ্চলে। তিন সপ্তাহের বেশি সময় ধরে চলা বন্যায় ফেনী, লক্ষ্মীপুর, কুমিল্লা, নোয়াখালীসহ চট্টগ্রাম বিভাগের অন্তত ১০টি জেলা ক্ষতিগ্রস্ত হয়। সে সময় ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের সংখ্যা দাঁড়ায় ১০ লাখের বেশি। এর আগে-পরে সিলেট অঞ্চলে একাধিক দফায় বন্যা
২৯ অক্টোবর ২০২৪
কিশোরগঞ্জের অষ্টগ্রাম ও চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়ায় খেলা করার সময় পানিতে পড়ে ছয় শিশুর মর্মান্তিক মৃত্যু হয়েছে। আজ শুক্রবার অষ্টগ্রাম উপজেলার দেওঘর ইউনিয়ন ও রাঙ্গুনিয়ার পারুয়া ইউনিয়নে ঘটনা দুটি ঘটে। এতে ওইসব এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে।
১৫ ঘণ্টা আগে
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্য থেকে আজ বেলা ৩টার দিকে ‘চাকরিপ্রত্যাশী প্রতিবন্ধী গ্র্যাজুয়েট পরিষদ’-এর ব্যানারে পদযাত্রা শুরু করেন আন্দোলনকারীরা। শাহবাগ থানার সামনে পৌঁছালে পুলিশ ব্যারিকেড দিয়ে তা আটকে দেয়। এ সময় পুলিশের সঙ্গে আন্দোলনকারীদের ধস্তাধস্তি হয়। একপর্যায়ে পুলিশ তাঁদের সড়ক থেকে....
১৭ ঘণ্টা আগে
আজ শুক্রবার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, বাংলাদেশ দৃঢ়ভাবে পুনর্ব্যক্ত করছে যে, পূর্ব জেরুজালেমসহ দখল করা ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডের কোনো অংশে ইসরায়েলের কোনো সার্বভৌমত্ব নেই।
২০ ঘণ্টা আগেবাসস, ঢাকা

ফিলিস্তিনের পশ্চিম তীরকে ইসরায়েলের সঙ্গে যুক্ত করতে সম্প্রতি খসড়া আইন অনুমোদন দিয়েছে দেশটির পার্লামেন্ট নেসেট।
তথাকথিত ‘ইসরায়েলি সার্বভৌমত্ব’ আরোপের নামে এই আইনের তীব্র নিন্দা জানিয়েছে বাংলাদেশ।
আজ শুক্রবার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, বাংলাদেশ দৃঢ়ভাবে পুনর্ব্যক্ত করছে যে, পূর্ব জেরুজালেমসহ দখল করা ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডের কোনো অংশে ইসরায়েলের কোনো সার্বভৌমত্ব নেই।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, ইসরায়েল পশ্চিম তীরে অবৈধ বসতি সম্প্রসারণের মাধ্যমে বেআইনি দখলদারি চালিয়ে যাচ্ছে, যা আন্তর্জাতিক আইন, জাতিসংঘ সনদ ও নিরাপত্তা পরিষদের প্রস্তাব, বিশেষ করে রেজল্যুশন ২৩৩৪-এর স্পষ্ট লঙ্ঘন।
২২ অক্টোবর আন্তর্জাতিক বিচার আদালতের (আইসিজে) দেওয়া অ্যাডভাইজরি ওপিনিয়ন বা পরামর্শমূলক মতামতকে স্বাগত জানিয়েছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
ওই মতামতে আন্তর্জাতিক মানবিক আইনের অধীনে ইসরায়েলের বাধ্যবাধকতাগুলো তুলে ধরা হয়েছে। এতে বলা হয়েছে, সাধারণ জনগণকে, ক্ষুধাকে যুদ্ধাস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করা নিষিদ্ধ।
বিবৃতিতে ফিলিস্তিনি জনগণের অবিচ্ছেদ্য অধিকার, তাদের আত্মনিয়ন্ত্রণের অধিকার এবং ১৯৬৭ সালের আগের সীমানার ভিত্তিতে পূর্ব জেরুজালেমকে রাজধানী করে একটি স্বাধীন ও সার্বভৌম ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার পক্ষে সমর্থন পুনর্ব্যক্ত করেছে বাংলাদেশ।

ফিলিস্তিনের পশ্চিম তীরকে ইসরায়েলের সঙ্গে যুক্ত করতে সম্প্রতি খসড়া আইন অনুমোদন দিয়েছে দেশটির পার্লামেন্ট নেসেট।
তথাকথিত ‘ইসরায়েলি সার্বভৌমত্ব’ আরোপের নামে এই আইনের তীব্র নিন্দা জানিয়েছে বাংলাদেশ।
আজ শুক্রবার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, বাংলাদেশ দৃঢ়ভাবে পুনর্ব্যক্ত করছে যে, পূর্ব জেরুজালেমসহ দখল করা ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডের কোনো অংশে ইসরায়েলের কোনো সার্বভৌমত্ব নেই।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, ইসরায়েল পশ্চিম তীরে অবৈধ বসতি সম্প্রসারণের মাধ্যমে বেআইনি দখলদারি চালিয়ে যাচ্ছে, যা আন্তর্জাতিক আইন, জাতিসংঘ সনদ ও নিরাপত্তা পরিষদের প্রস্তাব, বিশেষ করে রেজল্যুশন ২৩৩৪-এর স্পষ্ট লঙ্ঘন।
২২ অক্টোবর আন্তর্জাতিক বিচার আদালতের (আইসিজে) দেওয়া অ্যাডভাইজরি ওপিনিয়ন বা পরামর্শমূলক মতামতকে স্বাগত জানিয়েছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
ওই মতামতে আন্তর্জাতিক মানবিক আইনের অধীনে ইসরায়েলের বাধ্যবাধকতাগুলো তুলে ধরা হয়েছে। এতে বলা হয়েছে, সাধারণ জনগণকে, ক্ষুধাকে যুদ্ধাস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করা নিষিদ্ধ।
বিবৃতিতে ফিলিস্তিনি জনগণের অবিচ্ছেদ্য অধিকার, তাদের আত্মনিয়ন্ত্রণের অধিকার এবং ১৯৬৭ সালের আগের সীমানার ভিত্তিতে পূর্ব জেরুজালেমকে রাজধানী করে একটি স্বাধীন ও সার্বভৌম ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার পক্ষে সমর্থন পুনর্ব্যক্ত করেছে বাংলাদেশ।

চলতি বছরের আগস্ট ও সেপ্টেম্বরে ভয়াবহ বন্যা দেখা দেয় দেশের মধ্য-পূর্বাঞ্চলে। তিন সপ্তাহের বেশি সময় ধরে চলা বন্যায় ফেনী, লক্ষ্মীপুর, কুমিল্লা, নোয়াখালীসহ চট্টগ্রাম বিভাগের অন্তত ১০টি জেলা ক্ষতিগ্রস্ত হয়। সে সময় ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের সংখ্যা দাঁড়ায় ১০ লাখের বেশি। এর আগে-পরে সিলেট অঞ্চলে একাধিক দফায় বন্যা
২৯ অক্টোবর ২০২৪
কিশোরগঞ্জের অষ্টগ্রাম ও চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়ায় খেলা করার সময় পানিতে পড়ে ছয় শিশুর মর্মান্তিক মৃত্যু হয়েছে। আজ শুক্রবার অষ্টগ্রাম উপজেলার দেওঘর ইউনিয়ন ও রাঙ্গুনিয়ার পারুয়া ইউনিয়নে ঘটনা দুটি ঘটে। এতে ওইসব এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে।
১৫ ঘণ্টা আগে
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্য থেকে আজ বেলা ৩টার দিকে ‘চাকরিপ্রত্যাশী প্রতিবন্ধী গ্র্যাজুয়েট পরিষদ’-এর ব্যানারে পদযাত্রা শুরু করেন আন্দোলনকারীরা। শাহবাগ থানার সামনে পৌঁছালে পুলিশ ব্যারিকেড দিয়ে তা আটকে দেয়। এ সময় পুলিশের সঙ্গে আন্দোলনকারীদের ধস্তাধস্তি হয়। একপর্যায়ে পুলিশ তাঁদের সড়ক থেকে....
১৭ ঘণ্টা আগে
কক্সবাজার অভ্যন্তরীণ বিমানবন্দরকে আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর হিসেবে ঘোষণা করে জারি করা প্রজ্ঞাপন স্থগিত করেছে সরকার। ফলে আপাতত কক্সবাজার থেকে আন্তর্জাতিক ফ্লাইট পরিচালনা শুরু হচ্ছে না।
১৯ ঘণ্টা আগে