Ajker Patrika

আ.লীগ নেতা-কর্মীদের গ্রেপ্তারে ‘থানা কোটা’, পুলিশের মাঠ পর্যায়ে অসন্তোষ

শাহরিয়ার হাসান, ঢাকা
আপডেট : ০৮ অক্টোবর ২০২৪, ১৩: ১৪
আ.লীগ নেতা-কর্মীদের গ্রেপ্তারে ‘থানা কোটা’, পুলিশের মাঠ পর্যায়ে অসন্তোষ

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে গুলি করে মানুষ হত্যার অভিযোগে করা মামলাগুলোয় ব্যাপক ধরপাকড় শুরু করেছে পুলিশ। প্রথমে এসব মামলায় আওয়ামী লীগ সরকারের মন্ত্রী, সংসদ সদস্য (এমপি) ও প্রভাবশালী নেতা-কর্মীদের গ্রেপ্তার করা হলেও এখন তৃণমূল পর্যায়ে নেতা-কর্মী ও সমর্থকদেরও ধরা হচ্ছে। পুলিশ সদর দপ্তর থেকে দেওয়া।

এক বার্তার পর মামলার এজাহারভুক্ত আসামিসহ অজ্ঞাতনামাদের ধরতে এ তৎপরতা শুরু হয়েছে। গত পাঁচ দিনে ৪ হাজার ৯০০ জনকে গ্রেপ্তার করেছে র‍্যাব ও পুলিশ।

পুলিশ সদর দপ্তর থেকে বার্তা যাওয়ার পর জেলা পুলিশ সুপার (এসপি) থানাগুলোকে একধরনের ‘গ্রেপ্তার কোটা’ বেঁধে দিয়েছেন বলে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানিয়েছেন। কোটা অনুযায়ী, প্রতিদিন মামলার ডজনখানেক আসামিকে ধরতে বলা হয়েছে।

তবে আসামি গ্রেপ্তারে এমন কোটা বেঁধে দেওয়ার সিদ্ধান্তে পুলিশের মাঠপর্যায়ে অসন্তোষ দেখা দিয়েছে। মাঠের পুলিশ সদস্যরা বলছেন, পুলিশকে এবারও রাজনৈতিকভাবে ব্যবহার করা হলে সরকার বদলের পর তাঁদের আবার ঝুঁকিতে পড়তে হবে।

রাজশাহী রেঞ্জের একটি থানায় কর্মরত এক উপপরিদর্শক (এসআই) আজকের পত্রিকাকে বলেন, জেলা থেকে তাঁদের থানায় গ্রেপ্তারে কোটা বেঁধে দেওয়া হয়েছে। প্রতিদিন ১০-১৫ জন করে স্থানীয় নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার দেখাতে বলা হয়েছে। প্রতিদিনই গ্রেপ্তারের সেই হালনাগাদ তথ্য জেলায় পৌঁছে দিতে বলা হয়েছে।

ওই থানারই ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বলেন, পুলিশ হিসেবে আসামি গ্রেপ্তার করতে কোনো সমস্যা নেই। তবে যে কেউ খেয়ালখুশিমতো মামলা করলে, সেই মামলায় যাকে-তাকে গ্রেপ্তার করতে গেলে সাধারণ মানুষের ক্ষোভের মুখে পড়তে হয়। তা ছাড়া পুলিশের অধস্তন সদস্যরা এমন আদেশের বিপরীতে প্রতিবাদ করেন। তাঁরা বলেন, এমন ঝুঁকি তাঁরা আর নিতে পারবেন না, যে কারণে পরবর্তী সময়ে তাঁদের জীবন চলে যায়।

জানতে চাইলে পুলিশ সদর দপ্তরের ডিআইজি (অপারেশন) মো. রেজাউল করিম গত শনিবার আজকের পত্রিকাকে বলেন, পুলিশ সদর দপ্তর থেকে এসপিদের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। মামলার তথ্য যাচাই-বাছাই করে ঘটনার সঙ্গে যাঁদের সম্পৃক্ততা পাওয়া যাবে, তাঁদের গ্রেপ্তার করতে হবে। নির্দেশনা অনুযায়ী মাঠপর্যায়ের থানা-পুলিশ কাজ শুরু করেছে।

পুলিশ সূত্র জানায়, ১ থেকে ৫ অক্টোবর পর্যন্ত পাঁচ দিনে সারা দেশে ৪ হাজার ৯০০ জনকে গ্রেপ্তারও করা হয়েছে। এর মধ্যে র‍্যাব আটক করে থানায় হস্তান্তর করেছে ২৯৭ জনকে, বাকিদের পুলিশ গ্রেপ্তার করেছে।

সদর দপ্তরের তথ্য বিশ্লেষণে দেখা যায়, আট মহানগর, নয় রেঞ্জ আর র‍্যাবের অভিযানে ১ অক্টোবর সারা দেশে গ্রেপ্তার হয় ৫৮৮ জন। এরপর ২ অক্টোবর ৭০৮, ৩ অক্টোবর ১ হাজার ২৫৯, ৪ অক্টোবর ১ হাজার ২১৮ এবং ৫ অক্টোবর ১ হাজার ১২৭ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়। এই পাঁচ দিনে সবচেয়ে বেশি গ্রেপ্তার করা হয় চট্টগ্রাম রেঞ্জে ৮৯৯ জনকে। এ ছাড়া ঢাকা রেঞ্জে ৬৬৮, রাজশাহী রেঞ্জে ৬২৪ এবং ঢাকা মহানগর পুলিশে (ডিএমপি) ৫৪৯ জন গ্রেপ্তার হয়েছেন।

সারা দেশের গ্রেপ্তারের তালিকায় গত পাঁচ দিনের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ পর্যায়ে রয়েছে ঢাকা রেঞ্জ। কিন্তু এ বিষয়ে ঢাকা রেঞ্জের পদস্থ কেউ মন্তব্য করতে না চাইলেও গ্রেপ্তারের গতির কথা স্বীকার করেছেন এই রেঞ্জের অধীন নারায়ণগঞ্জ জেলার এসপি প্রত্যুষ কুমার মজুমদার। আজকের পত্রিকাকে তিনি বলেন, গ্রেপ্তার অভিযান গতিশীল হয়েছে। ১ তারিখ বলে কথা নয়, পুলিশ যেহেতু আগের চেয়ে সক্রিয় হয়েছে, তাই গ্রেপ্তারও বেড়েছে।

এদিকে গ্রেপ্তার নিয়ে পুলিশ সদর দপ্তরের বার্তা অবশ্য আওয়ামী লীগের বিভিন্ন স্তরে পৌঁছে গেছে। গ্রেপ্তার এড়াতে এলাকা ছাড়তে শুরু করেছেন নেতা-কর্মীরা। দলের পক্ষ থেকেও বার্তা দিয়ে সবাইকে সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে। আগামী দুই-এক মাস এই অভিযান চলবে বলেও ওই বার্তায় বলা হয়েছে।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক আওয়ামী লীগের দায়িত্বশীল এক নেতা বলেন, জেলায় জেলায় দলের নেতা-কর্মী এমনকি সমর্থকেরাও বাড়িতে থাকতে পারছেন না। খোঁজ পেলেই পুলিশ অভিযান চালিয়ে গ্রেপ্তার করছে। কখনো নতুন মামলা, আবার কখনো পুরোনো মামলা দেওয়া হচ্ছে।

গ্রেপ্তার-প্রক্রিয়া সম্পর্কে খোঁজ নিয়ে দেখা যায়, ২ অক্টোবর রাতে টেকনাফ পৌর আওয়ামী লীগের ৫ নম্বর ওয়ার্ডের সাধারণ সম্পাদক ওবায়েদউল্লাহ ও স্থানীয় আওয়ামী লীগের কর্মী মাসুম মোল্লাকে বাসা থেকে ডেকে নেয় টেকনাফ মডেল থানা-পুলিশ। সারা রাত আটকে রেখে পরদিন সকালে পুরোনো এক মামলায় অজ্ঞাতনামা আসামি দেখিয়ে আদালত পাঠানো হয় তাঁদের। এই গ্রেপ্তারের পর থেকে টেকনাফ আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা এলাকা ছেড়ে চলে গেছেন।

আওয়ামী লীগের এক সাংগঠনিক সম্পাদক আজকের পত্রিকাকে বলেন, দেশের বিদ্যমান নৈরাজ্যকর পরিস্থিতির উন্নতি না করে বর্তমান সরকার আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মী-সমর্থকদের গণগ্রেপ্তার করছে। আমাদের মনে হচ্ছে, তাঁরা নিজেদের অস্তিত্ব-আতঙ্কে ভুগছেন, কারণ মানুষের সাময়িক আবেগকে পুঁজি করে তাঁরা ক্ষমতায় এসেছেন। এগুলো করে দেশে একটি ভীতিকর পরিস্থিতি সৃষ্টি করা হয়েছে। আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের গণগ্রেপ্তার করে দেশের গণতান্ত্রিক রাজনৈতিক দলগুলোকে প্রচ্ছন্ন হুমকি দিচ্ছে বলে মনে করেন এই নেতা।

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মাধ্যমে গত ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা সরকারের পতন হয়। ওই দিনই শেখ হাসিনা দেশ ছাড়েন, আর আত্মগোপনে চলে যান তাঁর দলের নেতারা। সরকার পতনের পর শেখ হাসিনাসহ সারা দেশে আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের নামে কয়েক শ মামলা করা হয়, যেগুলোর বেশির ভাগই হত্যা মামলা। মামলাগুলো বিশ্লেষণ করে দেখা যায়, প্রতিটি মামলায় এজাহারে থাকা ২০০-৩০০ নামের আসামির পাশাপাশি আরও ৭০০-৮০০ অজ্ঞাতনামা আসামি করা হয়। এসব মামলায় এখন পর্যন্ত আওয়ামী লীগের দুই ডজনেরও বেশি মন্ত্রী, সংসদ সদস্য, উপদেষ্টা ও শীর্ষপর্যায়ের নেতাকে গ্রেপ্তার করা হয়। আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের অভিযোগ, প্রথমে মন্ত্রী, এমপি, আমলা গ্রেপ্তার হলেও ধীরে ধীরে তা গণগ্রেপ্তারে রূপ নিয়েছে। থানা, এমনকি ইউনিয়ন পর্যায়ে আওয়ামী লীগের যে কাউকে গ্রেপ্তার করে অজ্ঞাতনামা আসামি হিসেবে আদালতে পাঠানো হচ্ছে।

পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক মুহাম্মদ নুরুল হুদা আজকের পত্রিকাকে বলেন, মামলায় নাম থাকলে গ্রেপ্তার করতে তো পুলিশের কোনো সমস্যা থাকার কথা নয়। তবে মামলাটা কোন প্রক্রিয়ায় হচ্ছে, আসামি কারা হচ্ছে, সবকিছু লক্ষ রাখার বিষয়। আর পুলিশ সদস্যের অসন্তোষের বিষয়ে তিনি বলেন, পুলিশকে আসলে রাজনৈতিকভাবে ব্যবহারের সুযোগ নেই। পুলিশ চলবে পুলিশের আইনে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

জামায়াতে যোগ দিলেন বিএনপি থেকে পাঁচবার বহিষ্কৃত আখতারুজ্জামান

প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে বৈঠকে বিএনপি, জামায়াত ও এনসিপি

আজকের রাশিফল: চায়ের বিল না দেওয়া বন্ধুদের সাহায্য করুন, সন্ধ্যার দিকে ভালো খবর

ব্রিটেনে নাগরিকত্ব হারানোর ঝুঁকিতে কোটি মুসলিম, বেশির ভাগই বাংলাদেশ-ভারত-পাকিস্তানের

মা-বাবাকে নির্যাতন, ছেলেকে কোমর পর্যন্ত মাটিতে পুঁতে রাখল প্রতিবেশীরা

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

মানবাধিকার কমিশন অধ্যাদেশ আমলাতন্ত্রের হাতে জিম্মি: টিআইবি

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
ছবি: সংগৃহীত
ছবি: সংগৃহীত

জাতীয় মানবাধিকার কমিশন অধ্যাদেশ ২০২৫-এ ষড়যন্ত্রমূলক পরিবর্তনের মাধ্যমে কমিশন গঠনের প্রক্রিয়াকে আমলাতন্ত্রের করায়ত্ত করায় গভীর উদ্বেগ ও হতাশা প্রকাশ করেছে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি)। আজ শনিবার (১৩ ডিসেম্বর) এক বিবৃতিতে এ উদ্বেগ জানিয়েছে টিআইবি।

টিআইবি বলছে, বহুল প্রত্যাশিত সংস্কার প্রক্রিয়াকে কীভাবে আমলাতান্ত্রিক অনমনীয়তা ও অন্তর্ঘাতের মাধ্যমে জিম্মি করা হচ্ছে, অধ্যাদেশ প্রণয়নের প্রক্রিয়াই তার প্রমাণ। অংশীজনদের অন্ধকারে রেখে বাছাই কমিটিতে মন্ত্রিপরিষদ সচিবকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে, যা মূলত কমিশন গঠনে সরকারি নিয়ন্ত্রণ বজায় রাখার কর্তৃত্ববাদী চর্চারই বহিঃপ্রকাশ।

সরকারি প্রভাবের বাইরে থেকে স্বাধীন ও কার্যকর কমিশন গঠনের সম্ভাবনা পুরোপুরি নস্যাৎ হয়ে গেছে। এটিকে সংস্কারবিরোধী আমলাতান্ত্রিক স্বার্থান্বেষী চক্রের কাছে সরকারের আত্মসমর্পণের বিব্রতকর দৃষ্টান্ত বলে মন্তব্য করেছে সংস্থাটি।

বিবৃতিতে টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান বলেন, ৯ নভেম্বর ২০২৫ জাতীয় মানবাধিকার কমিশন অধ্যাদেশ গেজেট আকারে প্রকাশের পর কিছু দুর্বলতা থাকা সত্ত্বেও অংশীজনেরা আশাবাদী ছিলেন। তাদের প্রত্যাশা ছিল, আমলাতান্ত্রিক নিয়ন্ত্রণ থেকে বেরিয়ে আন্তর্জাতিক মানদণ্ড ও জন-আকাঙ্ক্ষার সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ একটি কমিশন গঠনের সুযোগ সৃষ্টি হবে।

ড. ইফতেখারুজ্জামান বলেন, কিন্তু মাত্র এক মাসের মধ্যেই সেই সম্ভাবনার ভিত্তি হিসেবে বিবেচিত ৮ ডিসেম্বর গঠিত বাছাই কমিটিকে সরকারি নিয়ন্ত্রণের হাতিয়ারে পরিণত করা হয়েছে। বাছাই কমিটিতে এ ধরনের পরিবর্তন কোনো বিচ্ছিন্ন ঘটনা নয়; বরং অতীতে মানবাধিকার কমিশনসহ বিভিন্ন সাংবিধানিক ও সংবিধিবদ্ধ প্রতিষ্ঠানের অকার্যকারিতার পেছনে যে সরকারি প্রভাব কাজ করেছে, সেই একই প্রক্রিয়া অব্যাহত রাখার ষড়যন্ত্রের অংশ।

বাছাই কমিটির ওপর এ আমলাতান্ত্রিক জবরদখল ও সরকারের তা মেনে নেওয়াকে চরম হতাশাজনক আখ্যা দিয়ে ড. ইফতেখারুজ্জামান বলেন, অধ্যাদেশে নিষ্ঠুর, অমানবিক ও লাঞ্ছনাকর আচরণ প্রতিরোধে জাতীয় প্রতিরোধ ব্যবস্থা বিভাগ গঠনের মতো প্রশংসনীয় বিধান সংযোজন করা হলেও, শুধু বাছাই কমিটিতে মন্ত্রিপরিষদ সচিবের অন্তর্ভুক্তিই কমিশনের স্বাধীনতা, নিরপেক্ষতা ও কার্যকারিতা ধ্বংস করার জন্য যথেষ্ট।

এ ছাড়া কমিশনের আদেশ প্রতিপালনে ব্যর্থ হলে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে কমিশনকে অবহিত করার বাধ্যবাধকতার পরিবর্তে ‘অবহিত করা যাইবে’–এ ধরনের শব্দচয়ন যুক্ত করাসহ আরও কিছু বিধান সংযোজনের মাধ্যমে অধ্যাদেশটির ইতিবাচক সম্ভাবনাগুলো কার্যত পদদলিত করা হয়েছে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।

অবিলম্বে আমলাতান্ত্রিক অন্তর্ঘাতমূলক সংস্কারবিরোধী চক্রের কাছে আত্মসমর্পণের অবস্থান থেকে সরে এসে অধ্যাদেশটির ওপর আরোপিত বিতর্কিত বিধান প্রত্যাহারের আহ্বান জানিয়েছে টিআইবি। বাছাই কমিটিতে মন্ত্রিপরিষদ সচিবকে অন্তর্ভুক্ত করার সিদ্ধান্ত বাতিল করে জাতীয় মানবাধিকার কমিশন অধ্যাদেশ নতুন করে ঢেলে সাজানোর জন্য সরকারের প্রতি দাবি জানিয়েছে সংস্থাটি।

উল্লেখ্য, জাতীয় মানবাধিকার কমিশন গঠনের লক্ষ্যে জারি করা ৬২ নম্বর অধ্যাদেশে (৯ নভেম্বর ২০২৫) বাছাই কমিটিতে কোনো আমলাতান্ত্রিক প্রতিনিধি ছিল না। এটি কমিশনের অকার্যকারিতা নিয়ে দীর্ঘদিনের অভিজ্ঞতা সম্পর্কে সরকার ও অংশীজনদের সম্মিলিত স্বীকৃতিরই প্রতিফলন ছিল। তবে পরবর্তীকালে ৮ ডিসেম্বর গেজেটে প্রকাশিত সংশোধিত ৭৪ নম্বর অধ্যাদেশে, প্রণয়ন প্রক্রিয়ার সঙ্গে সম্পৃক্ত অংশীজনদের অজ্ঞাতসারে একতরফাভাবে মন্ত্রিপরিষদ সচিবকে অন্তর্ভুক্ত করে আমলাতান্ত্রিক আধিপত্য নিশ্চিত করা হয়।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

জামায়াতে যোগ দিলেন বিএনপি থেকে পাঁচবার বহিষ্কৃত আখতারুজ্জামান

প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে বৈঠকে বিএনপি, জামায়াত ও এনসিপি

আজকের রাশিফল: চায়ের বিল না দেওয়া বন্ধুদের সাহায্য করুন, সন্ধ্যার দিকে ভালো খবর

ব্রিটেনে নাগরিকত্ব হারানোর ঝুঁকিতে কোটি মুসলিম, বেশির ভাগই বাংলাদেশ-ভারত-পাকিস্তানের

মা-বাবাকে নির্যাতন, ছেলেকে কোমর পর্যন্ত মাটিতে পুঁতে রাখল প্রতিবেশীরা

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

মনোনয়নপত্র দাখিলের সময় প্রার্থীদের যা যা মানতে হবে

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
ছবি: সংগৃহীত
ছবি: সংগৃহীত

ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে মনোনয়নপত্র দাখিল, বাছাই, জামানত ও প্রার্থিতা প্রত্যাহার-সংক্রান্ত বিস্তারিত পদ্ধতি জানিয়ে পরিপত্র-২ জারি করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।

পরিপত্রে নির্বাচনে অংশ নেওয়া প্রার্থীদের মনোনয়নপত্র দাখিলের সময় কী কী অনুসরণ করতে হবে, তা বলা হয়েছে।

মনোনয়নপত্র দাখিলের বিষয়ে বলা হয়েছে, যোগ্য প্রার্থীরা রিটার্নিং কর্মকর্তা বা সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে সরাসরি মনোনয়নপত্র দাখিল করতে পারবেন। প্রার্থী ছাড়াও তাঁর প্রস্তাবকারী বা সমর্থনকারী তা দাখিল করতে পারবেন।

নির্ধারিত তারিখের মধ্যে বা তার আগে যেকোনো দিন সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত মনোনয়নপত্র দাখিল করা যাবে। দাখিলের শেষ দিন ২৯ ডিসেম্বর বিকেল ৫টার পর কোনো মনোনয়নপত্র গ্রহণ করা হবে না।

মনোনয়নপত্র গ্রহণের বিষয়ে পরিপত্রে বলা হয়, মনোনয়নপত্র গ্রহণের সময় ক্রমিক নম্বর দিতে হবে (রিটার্নিং অফিসারের কার্যালয়ের ক্ষেত্রে ‘রিঅ-’ এবং সহকারী রিটার্নিং অফিসারের কার্যালয়ের ক্ষেত্রে ‘সরিঅ-’ দিয়ে নম্বর দেওয়া যেতে পারে)। দাখিলকারীকে তাৎক্ষণিকভাবে প্রাপ্তি স্বীকার রসিদ এবং মনোনয়নপত্র বাছাইয়ের তারিখ, সময় ও স্থান উল্লেখসহ নোটিশ দিতে হবে।

পরিপত্র অনুযায়ী, প্রার্থীকে জামানত বাবদ ৫০ হাজার টাকা নগদ, ব্যাংক ড্রাফট, পে-অর্ডার বা ট্রেজারি চালানের মাধ্যমে ইসির অনুকূলে মনোনয়নপত্র দাখিলের সময় জমা দিতে হবে। কোনো প্রার্থীর অনুকূলে একাধিক মনোনয়নপত্র দাখিল হলেও শুধু একটি জামানত দিতে হবে। অন্যান্য মনোনয়নপত্রের সঙ্গে মূল চালানের সত্যায়িত অনুলিপি সংযুক্ত করতে হবে। জামানতের অর্থ বাংলাদেশ ব্যাংক বা যেকোনো ব্যাংক/সরকারি ট্রেজারিতে ১০৯০৩০২১০১৪৪৩-৮১১৩৫০১ কোডে জমা দিতে হবে।

প্রস্তাবকারী বা সমর্থনকারীর যোগ্যতার বিষয়ে পরিপত্রে বলা হয়, প্রস্তাবকারী বা সমর্থনকারীকে অবশ্যই সংশ্লিষ্ট নির্বাচনী এলাকার ভোটার হতে হবে এবং অন্য কোনো মনোনয়নপত্রে প্রস্তাবক বা সমর্থক হিসেবে স্বাক্ষরদান করেননি, এমন ব্যক্তি হতে হবে।

রাজনৈতিক দলের প্রার্থী মনোনয়ন ও প্রার্থিতা প্রত্যাহারের বিষয়ে পরিপত্রে উল্লেখ করা হয়, রাজনৈতিক দলের প্রার্থীর ক্ষেত্রে দলের সভাপতি বা সাধারণ সম্পাদক বা সমপর্যায়ের পদাধিকারী কর্তৃক স্বাক্ষরিত প্রত্যয়নপত্র মনোনয়নপত্র দাখিলের সময়ই জমা দিতে হবে।

কোনো নিবন্ধিত রাজনৈতিক দল একটি এলাকায় একাধিক প্রার্থীকে মনোনয়ন দিলে দলের সভাপতি/সাধারণ সম্পাদক স্বাক্ষরিত লিখিত পত্রের মাধ্যমে ২০ জানুয়ারি বিকেল ৫টার মধ্যে চূড়ান্ত প্রার্থীর নাম রিটার্নিং অফিসারকে জানাতে হবে। সে ক্ষেত্রে অন্যান্য মনোনীত প্রার্থীর প্রার্থিতা স্থগিত বলে গণ্য হবে।

যেকোনো বৈধ মনোনীত প্রার্থী লিখিত ও স্বাক্ষরিত নোটিশের মাধ্যমে নির্ধারিত সময়সীমার মধ্যে বা তার আগে নিজে বা লিখিত ক্ষমতাপ্রাপ্ত প্রতিনিধির মাধ্যমে রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে প্রার্থিতা প্রত্যাহারের আবেদন করতে পারবেন। একবার লিখিত নোটিশ দেওয়া হলে বা দল কর্তৃক চূড়ান্ত মনোনয়ন দেওয়া হলে তা বাতিল করা যাবে না।

বাছাই প্রক্রিয়ার বিষয়ে পরিপত্রে বলা হয়, বাছাইয়ের সময় প্রার্থী, তাঁদের নির্বাচনী এজেন্ট, প্রস্তাবকারী ও সমর্থনকারী এবং প্রার্থী কর্তৃক ক্ষমতাপ্রাপ্ত অন্য কোনো ব্যক্তি উপস্থিত থাকতে পারবেন।

এ ক্ষেত্রে ছোটখাটো ত্রুটির জন্য মনোনয়নপত্র বাতিল করা যাবে না। যদি কোনো ত্রুটি তাৎক্ষণিকভাবে সংশোধন সম্ভব হয়, তবে দাখিলকারীর দ্বারা তা সংশোধন করিয়ে নিতে হবে। তবে হলফনামার কোনো তথ্য পরিবর্তন বা সংশোধন করা যাবে না।

এ ছাড়া প্রার্থীর নামসহ অন্যান্য তথ্য ভোটার তালিকার তথ্যের সঙ্গে হুবহু না মিললেও মনোনয়নপত্র বাতিল করা যাবে না। সে ক্ষেত্রে এসএসসি পাসের সার্টিফিকেট বা স্বীকৃত কোনো পরিচয়পত্র দেখে তথ্য যাচাই করে নিশ্চিত হতে হবে।

আপিল ও নিষ্পত্তির ক্ষেত্রে মনোনয়নপত্র গ্রহণ বা বাতিলের সিদ্ধান্তে সংক্ষুব্ধ প্রার্থী, ব্যাংক বা আর্থিক প্রতিষ্ঠান আগামী ৫ থেকে ১১ জানুয়ারি বিকেল ৫টার মধ্যে নির্বাচন কমিশনে আপিল করতে পারবেন। নির্বাচন কমিশন ১২ জানুয়ারি থেকে ১৮ জানুয়ারির মধ্যে আপিল নিষ্পত্তি করবেন।

এদিকে পরিপত্রে সাপ্তাহিক ও সরকারি ছুটির দিনে অফিস খোলা রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

এতে বলা হয়, নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পর উল্লিখিত সময়সূচি অনুসারে কার্যক্রম গ্রহণের লক্ষ্যে বিশেষ করে মনোনয়নপত্র বাছাইয়ের বিরুদ্ধে আপিল গ্রহণের দিনসমূহ ও প্রতীক বরাদ্দসহ গুরুত্বপূর্ণ দিনে রিটার্নিং কর্মকর্তা ও সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তার অফিস, আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তার অফিস, সিনিয়র জেলা/জেলা নির্বাচন অফিসারের অফিস ও উপজেলা/থানা নির্বাচন অফিসারের অফিস সাপ্তাহিক ও সরকারি ছুটির দিনে সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত খোলা রেখে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা-কর্মচারীদের উপস্থিতি নিশ্চিত করতে হবে।

তা ছাড়া মনোনয়নপত্র দাখিল ও বাছাই এবং বাছাই বা গ্রহণের বিরুদ্ধে নির্বাচন কমিশনে দায়েরকৃত আপিল নিষ্পত্তি, প্রার্থিতা প্রত্যাহার, প্রতীক বরাদ্দ ও এ-সংক্রান্ত কার্যক্রম সম্পন্ন না হওয়া পর্যন্ত এবং নির্বাচন সংশ্লিষ্ট অন্যান্য কার্যক্রম গ্রহণের সুবিধার্থে সাপ্তাহিক ও সরকারি ছুটির দিনে উল্লিখিত অফিসসমূহ খোলা রাখা এবং প্রয়োজনে অফিস সময়ের পরেও অফিস খোলা রাখার বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।

তবে বিশেষভাবে উল্লেখ্য যে, মনোনয়নপত্র দাখিলের জন্য নির্ধারিত শেষ দিন এবং প্রার্থিতা প্রত্যাহারের জন্য নির্ধারিত শেষ দিন বিকেল ৫টার পর কোনো মনোনয়নপত্র দাখিল বা গ্রহণ করা যাবে না অথবা কোনো প্রার্থী প্রার্থিতা প্রত্যাহার করতে পারবেন না।

ঋণখেলাপি যাচাইয়ের বিষয়ে পরিপত্রে বলা হয়, মনোনয়নপত্র দাখিলকারীদের ঋণখেলাপি-সংক্রান্ত তথ্য যাচাইয়ের জন্য নির্ধারিত ছকে প্রয়োজনীয় তথ্য বাংলাদেশ ব্যাংকের ক্রেডিট ইনফরমেশন ব্যুরোয় (সিআইবি) পাঠাতে হবে। এ ছাড়া রাজনৈতিক দল কর্তৃক অঙ্গীকারনামা মনোনয়নপত্রের সঙ্গে দাখিল করতে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

জামায়াতে যোগ দিলেন বিএনপি থেকে পাঁচবার বহিষ্কৃত আখতারুজ্জামান

প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে বৈঠকে বিএনপি, জামায়াত ও এনসিপি

আজকের রাশিফল: চায়ের বিল না দেওয়া বন্ধুদের সাহায্য করুন, সন্ধ্যার দিকে ভালো খবর

ব্রিটেনে নাগরিকত্ব হারানোর ঝুঁকিতে কোটি মুসলিম, বেশির ভাগই বাংলাদেশ-ভারত-পাকিস্তানের

মা-বাবাকে নির্যাতন, ছেলেকে কোমর পর্যন্ত মাটিতে পুঁতে রাখল প্রতিবেশীরা

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

ঋণ নয়, ক্ষতিপূরণ চাই—জলবায়ু সমাবেশে ধনী দেশগুলোকে বক্তারা

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
রাজধানীর শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে শনিবার আয়োজিত সম্মেলন। ছবি: আজকের পত্রিকা
রাজধানীর শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে শনিবার আয়োজিত সম্মেলন। ছবি: আজকের পত্রিকা

জলবায়ু পরিবর্তনের জন্য দায়ী ধনী দেশগুলোর জবাবদিহি, ক্ষতিপূরণ ও ন্যায্যতা নিশ্চিতের দাবি জানিয়েছেন পরিবেশ বিশেষজ্ঞরা। তাঁরা বলেছেন, ঋণ নয়, অনুদান ও ক্ষতিপূরণের মাধ্যমেই জলবায়ু ঝুঁকিতে থাকা দেশগুলোর পাশে দাঁড়াতে হবে ধনী দেশগুলোকে।

রাজধানীতে শুরু হওয়া তৃতীয় জলবায়ু ন্যায্যতা সমাবেশ-২০২৫-এ বক্তারা এ আহ্বান জানান। আজ শনিবার রাজধানীর শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে দুই দিনব্যাপী এই সমাবেশের উদ্বোধন করা হয়।

নাগরিক প্ল্যাটফর্ম ধরিত্রী রক্ষায় আমরার (ধরা) আয়োজনে অনুষ্ঠিত এই সমাবেশে সরকারি প্রতিনিধি, আন্তর্জাতিক জলবায়ু আন্দোলনের কর্মী, গবেষক ও জলবায়ু-ক্ষতিগ্রস্ত জনগোষ্ঠীর প্রতিনিধিসহ প্রায় দুই হাজার মানুষ অংশ নেন।

উদ্বোধনী অধিবেশনে সভাপতিত্ব করেন আয়োজক কমিটির আহ্বায়ক ড. মুজিবুর রহমান হাওলাদার। সঞ্চালনা করেন ধরার সদস্যসচিব শরীফ জামিল। স্বাগত বক্তব্য দেন বাংলাদেশ আদিবাসী ফোরামের সাধারণ সম্পাদক সঞ্জীব দ্রং।

বক্তারা বলেন, জলবায়ু অর্থায়ন নিয়ে ধনী দেশগুলোর গড়িমসির কারণে বিশ্বের সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ দেশগুলোর কোটি কোটি মানুষ অস্তিত্ব সংকটে পড়ছে। বৈশ্বিক প্রতিশ্রুতি ও বাস্তব পদক্ষেপের মধ্যকার ব্যবধান ক্রমেই বাড়ছে বলে তাঁরা উদ্বেগ প্রকাশ করেন।

সমাবেশের উদ্বোধনকালে সমাজকল্যাণ এবং নারী ও শিশুবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা শারমিন এস মুরশিদ বলেন, বৈশ্বিক কার্বন নিঃসরণে বাংলাদেশের দায় খুবই কম হলেও দেশটি জলবায়ু পরিবর্তনের অন্যতম বড় ভুক্তভোগী।

তিনি বলেন, ‘আমরা ধনী দেশগুলোর কাছে ঋণী নই, বরং তারা আমাদের কাছে ঋণী। জলবায়ু ন্যায্যতা এখন জবাবদিহি ও কার্যকর পদক্ষেপের প্রশ্ন।’

প্রধান অতিথির বক্তব্যে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ফরিদা আখতার বলেন, ‘জলবায়ু পরিবর্তনকে কেবল প্রযুক্তিগত বা অর্থনৈতিক সমস্যা হিসেবে দেখার সুযোগ নেই। জলবায়ু ন্যায্যতা মানে ন্যায়, টিকে থাকা এবং জবাবদিহি।’

জীবাশ্ম জ্বালানির ওপর নির্ভরতা অব্যাহত রাখার সমালোচনা করে তিনি বলেন, প্যারিস জলবায়ু চুক্তিসহ বিভিন্ন বৈশ্বিক প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়নে এখনো বড় ঘাটতি রয়ে গেছে। গ্লোবাল নর্থ প্রায়ই ন্যায়বিচারের বদলে ঋণ চাপিয়ে দেয়।

ধরার সদস্যসচিব শরীফ জামিল বলেন, ‘জলবায়ু ন্যায্যতা বাংলাদেশের জন্য কেবল একটি দাবির বিষয় নয়, এটি দেশের টিকে থাকার প্রশ্ন। আমরা যদি নিজেদের ঘর থেকে ন্যায্যতা নিশ্চিত করতে না পারি, তাহলে বৈশ্বিক পর্যায়ে ন্যায্যতার দাবি প্রতিষ্ঠা করা কঠিন হবে।’

অনুষ্ঠানে আন্তর্জাতিক প্রতিনিধিরাও ধনী দেশগুলোর জলবায়ু অর্থায়ন নীতির সমালোচনা করেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

জামায়াতে যোগ দিলেন বিএনপি থেকে পাঁচবার বহিষ্কৃত আখতারুজ্জামান

প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে বৈঠকে বিএনপি, জামায়াত ও এনসিপি

আজকের রাশিফল: চায়ের বিল না দেওয়া বন্ধুদের সাহায্য করুন, সন্ধ্যার দিকে ভালো খবর

ব্রিটেনে নাগরিকত্ব হারানোর ঝুঁকিতে কোটি মুসলিম, বেশির ভাগই বাংলাদেশ-ভারত-পাকিস্তানের

মা-বাবাকে নির্যাতন, ছেলেকে কোমর পর্যন্ত মাটিতে পুঁতে রাখল প্রতিবেশীরা

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

অপারেশন ডেভিল হান্ট ফেইজ-২ অবিলম্বে চালু হবে: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

বিশেষ প্রতিনিধি, ঢাকা
আপডেট : ১৩ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৭: ০০
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী। ছবি: সংগৃহীত
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী। ছবি: সংগৃহীত

জাতীয় নির্বাচনে শান্তিপূর্ণ পরিবেশ নিশ্চিতকরণ, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ ও ফ্যাসিস্ট টেররিস্টদের দমনের উদ্দেশ্যে অবিলম্বে ‘অপারেশন ডেভিল হান্ট ফেইজ-২’ চালু করা হবে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী।

আজ শনিবার (১৩ ডিসেম্বর) দুপুরে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বাংলাদেশ সচিবালয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সম্মেলনকক্ষে আইনশৃঙ্খলা-সংক্রান্ত কোর কমিটির সভা শেষে সাংবাদিকদের ব্রিফিংকালে এ কথা জানান।

উপদেষ্টা বলেন, লুট হওয়া ও অবৈধ অস্ত্র উদ্ধারে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর অভিযান চলমান রয়েছে। এটিকে আরও জোরদার ও বেগবান করার জন্য এবং ফ্যাসিস্ট টেররিস্টদের দমনের উদ্দেশ্যে কোর কমিটি ‘অপারেশন ডেভিল হান্ট ফেইজ-২’ অবিলম্বে চালু করার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে।

স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা আরও বলেন, আগ্নেয়াস্ত্রের লাইসেন্স ইস্যুর ক্ষেত্রে এত দিন শুধু সামরিক ও বেসামরিক কর্মচারীদের অনুকূলে ইস্যু করা হতো। তিনি বলেন, এখন জাতীয় নির্বাচনের প্রার্থীদের মধ্যে যাঁরা আগ্নেয়াস্ত্রের লাইসেন্স চাইবেন, তাঁদেরও লাইসেন্স ইস্যু করা হবে।

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান দেশে ফিরলে তাঁর নিরাপত্তায় কী ধরনের পদক্ষেপ নেওয়া হবে—এ-সংক্রান্ত সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে উপদেষ্টা বলেন, সরকার তারেক রহমানের নিরাপত্তায় সব ধরনের প্রস্তুতি গ্রহণ করেছে এবং তাঁর সর্বোচ্চ নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হবে।

ব্রিফিংয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়-সংক্রান্ত প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী মো. খোদা বখস চৌধুরী, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব নাসিমুল গনি, আইজিপি বাহারুল আলম প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

জামায়াতে যোগ দিলেন বিএনপি থেকে পাঁচবার বহিষ্কৃত আখতারুজ্জামান

প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে বৈঠকে বিএনপি, জামায়াত ও এনসিপি

আজকের রাশিফল: চায়ের বিল না দেওয়া বন্ধুদের সাহায্য করুন, সন্ধ্যার দিকে ভালো খবর

ব্রিটেনে নাগরিকত্ব হারানোর ঝুঁকিতে কোটি মুসলিম, বেশির ভাগই বাংলাদেশ-ভারত-পাকিস্তানের

মা-বাবাকে নির্যাতন, ছেলেকে কোমর পর্যন্ত মাটিতে পুঁতে রাখল প্রতিবেশীরা

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত