নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
জাতীয় নগর নীতি-২০২৫-এর খসড়া তৈরি করেছে স্থানীয় সরকার বিভাগ। এই খসড়ায় গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে জলবায়ু অভিযোজন, টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা এবং সমসাময়িক চাহিদা-সংক্রান্ত বিষয়গুলোকে। আজ মঙ্গলবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ে বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে (বিআইসিসি) খসড়া জাতীয় নগর নীতি-২০২৫ নিয়ে অংশীজন কর্মশালায় বক্তারা এসব কথা জানান।
জাতিসংঘ উন্নয়ন কর্মসূচির (ইউএনডিপি) সহায়তায় স্থানীয় সরকার বিভাগ এই কর্মশালার আয়োজন করে।
কর্মশালায় স্বাগত বক্তব্য দেন স্থানীয় সরকার বিভাগের অতিরিক্ত সচিব এ এইচ এম কামরুজ্জামান। তিনি বলেন, খসড়া জাতীয় নগর নীতি-২০২৫ বাংলাদেশের উন্নয়নের জন্য একটি মাইলফলক। ২০০৪ সালে এই উদ্যোগ গ্রহণের পর থেকে সংশ্লিষ্ট সরকারি এবং পেশাজীবী সংস্থার বিশেষজ্ঞ প্রতিনিধিবৃন্দের পরামর্শে বিভিন্ন সময়ে সংশোধিত হয়েছে। এরই পরিপ্রেক্ষিতে ২০১৫ সালে জাতীয় নগর নীতি চূড়ান্তকরণের জন্য মন্ত্রিসভায় পাঠানো হয় এবং মন্ত্রিসভার মতামতের ভিত্তিতে পরিমার্জন ও সংযোজন করে জাতীয় নগর নীতি-২০১৬ খসড়া করা হলেও কাঙ্ক্ষিত অগ্রগতি হয়নি। পরবর্তীকালে ২০২৩ সালে ইউএনডিপির সহায়তায় নতুন কমিটি গঠনের পর চারটি সভা অনুষ্ঠিত হয় এবং সভার মতামত, সাম্প্রতিক জাতীয় পরিকল্পনা ও অগ্রাধিকারসমূহ এবং আন্তর্জাতিক নীতি, কাঠামো ও অগ্রাধিকার বিশ্লেষণ করে খসড়া জাতীয় নগর নীতি ২০২৫ সমৃদ্ধ করা হয়েছে।
কর্মশালায় আলোচকেরা বলেন, বাংলাদেশ আয়তনের দিক থেকে ছোট হলেও জনসংখ্যার তালিকায় বিশ্বের অষ্টম স্থানে রয়েছে। বাংলাদেশের নগর ও গ্রামীণ এলাকার ভৌত অবকাঠামো, বাড়িঘরসহ সামগ্রিক ল্যান্ডস্কেপ দ্রুত পরিবর্তিত হচ্ছে। শুধু বড় শহর নয়, এমনকি ছোট পৌর এলাকা, উপজেলা সদর কিংবা গ্রামীণ এলাকাতেও যত্রতত্র পাকা বাড়িঘর-অবকাঠামো গড়ে উঠছে। ক্রমবর্ধমান জনসংখ্যার চাপ, প্রতিনিয়ত অপরিকল্পিতভাবে বাড়িঘর ও বসতি এলাকা সম্প্রসারিত হচ্ছে। যেখানে সেখানে শিল্প কলকারখানা স্থাপন অথবা রাস্তাঘাট নির্মাণের মধ্য দিয়ে প্রতিনিয়ত ভূমির প্রকৃতি ও শ্রেণিগত পরিবর্তন হচ্ছে। যার ফলে বছরে বছরে মূল্যবান কৃষি ভূমি, জলাশয়, বনভূমি, পাহাড়সহ প্রাকৃতিক সংবেদনশীল এলাকা হারাচ্ছে। তাই পরিকল্পিত ও অন্তর্ভুক্তিমূলক নগর এলাকা গড়ে তুলতে একটি জাতীয় নগরায়ণ নীতি প্রয়োজন। অন্যদিকে জলবায়ু পরিবর্তন, কাজের অভাব ও গ্রামীণ এলাকায় নানা ধরনের সীমাবদ্ধতার কারণে শহরমুখী জনস্রোত দেখা যাচ্ছে। কিন্তু এই শহরমুখী মানুষকে গ্রহণ করার জন্য নগরগুলো সক্ষম নয়। দেশে যে প্রক্রিয়া নগরায়ণ চলছে সেখানে মান সম্পন্ন শিক্ষা, স্বাস্থ্যসেবা, যোগাযোগ, পানি সরবরাহ, ড্রেনেজ, পয়োনিষ্কাশন, বর্জ্য ব্যবস্থাপনা, খেলাধুলা, কমিউনিটি স্পেস ইত্যাদির মতো গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ের ঘাটতি বা অনুপস্থিতি থেকে যাচ্ছে।
অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড, শিক্ষা, স্বাস্থ্যসেবা বিকেন্দ্রীকরণ করতে সারা দেশকে নিয়ে পরিকল্পনা প্রণয়ন এবং সময়মতো তার যথাযথ বাস্তবায়ন অত্যন্ত জরুরি। একটি সমন্বিত জাতীয় স্থানিক পরিকল্পনার মাধ্যমে আমাদের জাতীয়, আঞ্চলিক ও স্থানীয়-তিনটি স্তরেই পরস্পরের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে পরিকল্পনা গ্রহণ করতে হবে এবং সময় মতো তার বাস্তবায়ন করতে হবে। তাই সকল বিবেচনায় দেশে পরিকল্পিত নগরায়ণের জন্য একটি আধুনিক ও সময়োপযোগী নগর নীতিমালা প্রয়োজন।
কর্মশালায় সভাপতিত্ব করেন স্থানীয় সরকার বিভাগের সচিব নিজাম উদ্দিন। তিনি বলেন, খসড়া জাতীয় নগর নীতি নিয়ে বিগত বছরগুলোতে বিভিন্ন পর্যায়ে গবেষণা, ও আলোচনার মাধ্যমে এটি হালনাগাদ করা হয়েছে ৷ আজকের কর্মশালার উদ্দেশ্য হলো সবার মূল্যবান মতামত গ্রহণ করা, যা এই নগর নীতিকে আরও সমৃদ্ধ ও অন্তর্ভুক্তিমূলক করতে সহায়তা করবে।
কর্মশালায় খসড়া নগর নীতির ওপর বক্তব্য উপস্থাপন করেন বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) অধ্যাপক মোহাম্মদ শাকিল আখতার। বিশেষ অতিথি ছিলেন বাংলাদেশে ইউএনডিপির আবাসিক প্রতিনিধি স্টেফান লিলার, এশিয়ান ডেভেলপমেন্ট ব্যাংকের কান্ট্রি ডিরেক্টর হো ইউন জুং এবং ব্রিটিশ হাই কমিশনের ডেপুটি হাইকমিশনার জেমস গোল্ডম্যান।
জাতীয় নগর নীতি-২০২৫-এর খসড়া তৈরি করেছে স্থানীয় সরকার বিভাগ। এই খসড়ায় গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে জলবায়ু অভিযোজন, টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা এবং সমসাময়িক চাহিদা-সংক্রান্ত বিষয়গুলোকে। আজ মঙ্গলবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ে বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে (বিআইসিসি) খসড়া জাতীয় নগর নীতি-২০২৫ নিয়ে অংশীজন কর্মশালায় বক্তারা এসব কথা জানান।
জাতিসংঘ উন্নয়ন কর্মসূচির (ইউএনডিপি) সহায়তায় স্থানীয় সরকার বিভাগ এই কর্মশালার আয়োজন করে।
কর্মশালায় স্বাগত বক্তব্য দেন স্থানীয় সরকার বিভাগের অতিরিক্ত সচিব এ এইচ এম কামরুজ্জামান। তিনি বলেন, খসড়া জাতীয় নগর নীতি-২০২৫ বাংলাদেশের উন্নয়নের জন্য একটি মাইলফলক। ২০০৪ সালে এই উদ্যোগ গ্রহণের পর থেকে সংশ্লিষ্ট সরকারি এবং পেশাজীবী সংস্থার বিশেষজ্ঞ প্রতিনিধিবৃন্দের পরামর্শে বিভিন্ন সময়ে সংশোধিত হয়েছে। এরই পরিপ্রেক্ষিতে ২০১৫ সালে জাতীয় নগর নীতি চূড়ান্তকরণের জন্য মন্ত্রিসভায় পাঠানো হয় এবং মন্ত্রিসভার মতামতের ভিত্তিতে পরিমার্জন ও সংযোজন করে জাতীয় নগর নীতি-২০১৬ খসড়া করা হলেও কাঙ্ক্ষিত অগ্রগতি হয়নি। পরবর্তীকালে ২০২৩ সালে ইউএনডিপির সহায়তায় নতুন কমিটি গঠনের পর চারটি সভা অনুষ্ঠিত হয় এবং সভার মতামত, সাম্প্রতিক জাতীয় পরিকল্পনা ও অগ্রাধিকারসমূহ এবং আন্তর্জাতিক নীতি, কাঠামো ও অগ্রাধিকার বিশ্লেষণ করে খসড়া জাতীয় নগর নীতি ২০২৫ সমৃদ্ধ করা হয়েছে।
কর্মশালায় আলোচকেরা বলেন, বাংলাদেশ আয়তনের দিক থেকে ছোট হলেও জনসংখ্যার তালিকায় বিশ্বের অষ্টম স্থানে রয়েছে। বাংলাদেশের নগর ও গ্রামীণ এলাকার ভৌত অবকাঠামো, বাড়িঘরসহ সামগ্রিক ল্যান্ডস্কেপ দ্রুত পরিবর্তিত হচ্ছে। শুধু বড় শহর নয়, এমনকি ছোট পৌর এলাকা, উপজেলা সদর কিংবা গ্রামীণ এলাকাতেও যত্রতত্র পাকা বাড়িঘর-অবকাঠামো গড়ে উঠছে। ক্রমবর্ধমান জনসংখ্যার চাপ, প্রতিনিয়ত অপরিকল্পিতভাবে বাড়িঘর ও বসতি এলাকা সম্প্রসারিত হচ্ছে। যেখানে সেখানে শিল্প কলকারখানা স্থাপন অথবা রাস্তাঘাট নির্মাণের মধ্য দিয়ে প্রতিনিয়ত ভূমির প্রকৃতি ও শ্রেণিগত পরিবর্তন হচ্ছে। যার ফলে বছরে বছরে মূল্যবান কৃষি ভূমি, জলাশয়, বনভূমি, পাহাড়সহ প্রাকৃতিক সংবেদনশীল এলাকা হারাচ্ছে। তাই পরিকল্পিত ও অন্তর্ভুক্তিমূলক নগর এলাকা গড়ে তুলতে একটি জাতীয় নগরায়ণ নীতি প্রয়োজন। অন্যদিকে জলবায়ু পরিবর্তন, কাজের অভাব ও গ্রামীণ এলাকায় নানা ধরনের সীমাবদ্ধতার কারণে শহরমুখী জনস্রোত দেখা যাচ্ছে। কিন্তু এই শহরমুখী মানুষকে গ্রহণ করার জন্য নগরগুলো সক্ষম নয়। দেশে যে প্রক্রিয়া নগরায়ণ চলছে সেখানে মান সম্পন্ন শিক্ষা, স্বাস্থ্যসেবা, যোগাযোগ, পানি সরবরাহ, ড্রেনেজ, পয়োনিষ্কাশন, বর্জ্য ব্যবস্থাপনা, খেলাধুলা, কমিউনিটি স্পেস ইত্যাদির মতো গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ের ঘাটতি বা অনুপস্থিতি থেকে যাচ্ছে।
অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড, শিক্ষা, স্বাস্থ্যসেবা বিকেন্দ্রীকরণ করতে সারা দেশকে নিয়ে পরিকল্পনা প্রণয়ন এবং সময়মতো তার যথাযথ বাস্তবায়ন অত্যন্ত জরুরি। একটি সমন্বিত জাতীয় স্থানিক পরিকল্পনার মাধ্যমে আমাদের জাতীয়, আঞ্চলিক ও স্থানীয়-তিনটি স্তরেই পরস্পরের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে পরিকল্পনা গ্রহণ করতে হবে এবং সময় মতো তার বাস্তবায়ন করতে হবে। তাই সকল বিবেচনায় দেশে পরিকল্পিত নগরায়ণের জন্য একটি আধুনিক ও সময়োপযোগী নগর নীতিমালা প্রয়োজন।
কর্মশালায় সভাপতিত্ব করেন স্থানীয় সরকার বিভাগের সচিব নিজাম উদ্দিন। তিনি বলেন, খসড়া জাতীয় নগর নীতি নিয়ে বিগত বছরগুলোতে বিভিন্ন পর্যায়ে গবেষণা, ও আলোচনার মাধ্যমে এটি হালনাগাদ করা হয়েছে ৷ আজকের কর্মশালার উদ্দেশ্য হলো সবার মূল্যবান মতামত গ্রহণ করা, যা এই নগর নীতিকে আরও সমৃদ্ধ ও অন্তর্ভুক্তিমূলক করতে সহায়তা করবে।
কর্মশালায় খসড়া নগর নীতির ওপর বক্তব্য উপস্থাপন করেন বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) অধ্যাপক মোহাম্মদ শাকিল আখতার। বিশেষ অতিথি ছিলেন বাংলাদেশে ইউএনডিপির আবাসিক প্রতিনিধি স্টেফান লিলার, এশিয়ান ডেভেলপমেন্ট ব্যাংকের কান্ট্রি ডিরেক্টর হো ইউন জুং এবং ব্রিটিশ হাই কমিশনের ডেপুটি হাইকমিশনার জেমস গোল্ডম্যান।
মজুরি বৈষম্য দূরীকরণ, চাকরির সুরক্ষা নিশ্চিত ও নিজেদের অধিকার আদায় করতে শুধু সংস্কার কমিশনের সুপারিশ যথেষ্ট নয়, বরং আন্দোলন–সংগ্রামও চালিয়ে যেতে হবে—এমনটাই বলেছেন খোদ সরকারের শ্রম সংস্কার কমিশনের প্রধান সৈয়দ সুলতান উদ্দিন আহম্মদ।
১ ঘণ্টা আগেচাকরিচ্যুত পুলিশ সদস্যরা চাকরি পুনর্বহালের দাবিতে পরপর দুই দিন সড়ক অবরোধ করেছেন। এরপর আজ বৃহস্পতিবার তাঁরা স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার সঙ্গে সচিবালয়ে দেখা করেছেন। পুলিশ সদর দপ্তর বলছে, বিগত সরকারের আমলে বিভিন্ন কারণে চাকরিচ্যুত এসব পুলিশ সদস্যের আবেদনগুলো পর্যালোচনা করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এ জন্য ডিআইজি পদ
১ ঘণ্টা আগেবাংলাদেশের সাধারণ নারী কর্মীদের আপাতত মালয়েশিয়া না যেতে অনুরোধ করা হয়েছে। দেশটির রাজধানী কুয়ালালামপুরে অবস্থিত বাংলাদেশ হাইকমিশন আজ শুক্রবার এক বিজ্ঞপ্তিতে এ অনুরোধ জানায়।
২ ঘণ্টা আগেচলতি মাস (ফেব্রুয়ারি) জুড়ে আওয়ামী লীগ হরতাল-অবরোধসহ যে কর্মসূচি দিয়েছে তাতে শঙ্কার কোনো কারণ দেখছেন না ঢাকা মহানগর পুলিশের কমিশনার শেখ মো. সাজ্জাত আলী। ডিএমপি কমিশনার বলেছেন, ‘এটা বিশ্ব মিডিয়ার যুগ। এক মিনিটের ভেতরে এই ঢাকা শহরের খবর ব্রাজিল চলে যাচ্ছে। এমনকি যদি টাওয়ার থাকে, ব্রাজিলের আমাজন...
২ ঘণ্টা আগে