নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
শেষ হয়ে যাচ্ছে ২০২৪ সাল। এই বছরজুড়ে সারা দেশ রাজনৈতিক সহিংসতায় নিহত হয়েছেন ১ হাজার ১৮০ জন। আর আহতের সংখ্যা ৩৭ হাজার ৫১ জন। আজ মঙ্গলবার জাতীয় প্রেসক্লাবে মানবাধিকার সংগঠন হিউম্যান রাইটস সাপোর্ট সোসাইটি (এইচআরএসএস) এই তথ্য তুলে ধরে।
জাতীয় প্রেসক্লাবের জহুর হোসেন চৌধুরী মিলনায়তনে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এইচআরএসএস জানায়, বাংলাদেশের ১২টি জাতীয় গণমাধ্যমে প্রকাশিত সংবাদ এবং এইচআরএসএস—এর সংগৃহীত তথ্যের ভিত্তিতে এই প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়, ২০২৪ সালে রাজনৈতিক সহিংসতায় নিহত হয়েছেন অন্তত ১ হাজার ১৮০ জন এবং আহত হয়েছেন ৩৭ হাজার ৫১ জন। এর মধ্যে শুধু জুলাই-আগস্টের আন্দোলনে নিহত হয়েছেন ১ হাজার ১৩ জন এবং আহত হয়েছেন ৩০ হাজারের বেশি মানুষ। এ ছাড়া, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের সময় সহিংসতায় নিহত হয়েছেন ৪৩ জন, যাদের অধিকাংশই ছিলেন ক্ষমতাসীন দলের নেতা-কর্মী।
গুম ও বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড
প্রতিবেদন আরও বলা হয়, ২০২৪ সালে অন্তত ১৬ জন গুমের শিকার হয়েছেন। তাদের মধ্যে ৯ জনকে পরে গ্রেপ্তার দেখানো হলেও একজনের খোঁজ মেলেনি। বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ডের শিকার হয়েছেন ২৫ জন। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর নির্যাতন ও গুলিতে এ সংখ্যা উদ্বেগজনকভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে।
সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের ওপর সহিংসতা
প্রতিবেদন অনুযায়ী, ২০২৪ সালে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের ওপর ১১২টি হামলার ঘটনা ঘটেছে। এতে ৫ জন নিহত এবং ৮৩ জন আহত হয়েছেন। এ ছাড়া, ২৮টি মন্দির, ৩১টি প্রতিমা, ২৮৪টি বসতবাড়ি এবং ২৪০টি দোকানে ভাঙচুর ও লুটপাটের ঘটনা ঘটেছে।
সাংবাদিকদের প্রতি সহিংসতা
প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, ২০২৪ সালে পেশাগত দায়িত্ব পালনকালে সাংবাদিকদের ওপর ৩০৮টি হামলার ঘটনা ঘটেছে। এতে ১০ জন সাংবাদিক নিহত এবং ৭২৬ জন নির্যাতন ও হয়রানির শিকার হয়েছেন। আহত হয়েছেন ৪৫৯ জন, লাঞ্ছনার শিকার ৫৯ জন, গ্রেপ্তার ১৯ জন এবং ১৩৪ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে।
নারী ও শিশুর প্রতি সহিংসতা
এ বছরে ১ হাজার ৪৯৮ জন নারী ও শিশু নির্যাতনের শিকার হয়েছেন। এর মধ্যে ধর্ষণের শিকার হয়েছেন ৫৫৭ জন, যার অর্ধেকের বেশি শিশু। যৌতুকের জন্য নির্যাতনে ৪৮ জন নারী প্রাণ হারিয়েছেন। একই সময়ে শিশু নির্যাতনের শিকার হয়েছেন ৪ হাজার ৩০০ জন, যাদের মধ্যে ৬৬২ জন প্রাণ হারিয়েছেন—বলে জানানো হয় প্রতিবেদনে।
নির্বাচনী সহিংসতা ও গ্রেপ্তার
প্রতিবেদনে আরও দেখা যায়, নির্বাচনী সহিংসতায় আহত হয়েছেন ২ হাজার ৫৩৮ জন এবং প্রায় ৭৫২টি ঘটনায় ৪৩ জন নিহত হয়েছেন। একই সঙ্গে ১ হাজার ৩৮৩টি মামলায় ৬৬ হাজার মানুষের বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়েছে।
আরএইচএসএস—এর নির্বাহী পরিচালক ইজাজুল ইসলাম বলেন, ‘জুলাই আগস্টের গণঅভ্যুত্থানে বিপুলসংখ্যক মানুষ আহত ও নিহত হয়েছেন। মাত্র দুই মাসে যেভাবে মানবাধিকার লঙ্ঘন হয়েছে, আমাদের ৫৩ বছরের ইতিহাসে এমন ঘটনা আর নেই। এ সময় এমন কোনো মানবাধিকার লঙ্ঘনের বিষয় নেই যা ঘটেনি।’
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য উপস্থাপন করেন এইচআরএসএসের প্রোগ্রাম অফিসার সাইফুল ইসলাম। এ ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন—এইচআরএসএস-এর জয়েন্ট সেক্রেটারি অ্যাড. মনিরুজ্জামান, ডকুমেন্টেশন অফিসার জবা ইয়াসমিন প্রমুখ।
শেষ হয়ে যাচ্ছে ২০২৪ সাল। এই বছরজুড়ে সারা দেশ রাজনৈতিক সহিংসতায় নিহত হয়েছেন ১ হাজার ১৮০ জন। আর আহতের সংখ্যা ৩৭ হাজার ৫১ জন। আজ মঙ্গলবার জাতীয় প্রেসক্লাবে মানবাধিকার সংগঠন হিউম্যান রাইটস সাপোর্ট সোসাইটি (এইচআরএসএস) এই তথ্য তুলে ধরে।
জাতীয় প্রেসক্লাবের জহুর হোসেন চৌধুরী মিলনায়তনে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এইচআরএসএস জানায়, বাংলাদেশের ১২টি জাতীয় গণমাধ্যমে প্রকাশিত সংবাদ এবং এইচআরএসএস—এর সংগৃহীত তথ্যের ভিত্তিতে এই প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়, ২০২৪ সালে রাজনৈতিক সহিংসতায় নিহত হয়েছেন অন্তত ১ হাজার ১৮০ জন এবং আহত হয়েছেন ৩৭ হাজার ৫১ জন। এর মধ্যে শুধু জুলাই-আগস্টের আন্দোলনে নিহত হয়েছেন ১ হাজার ১৩ জন এবং আহত হয়েছেন ৩০ হাজারের বেশি মানুষ। এ ছাড়া, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের সময় সহিংসতায় নিহত হয়েছেন ৪৩ জন, যাদের অধিকাংশই ছিলেন ক্ষমতাসীন দলের নেতা-কর্মী।
গুম ও বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড
প্রতিবেদন আরও বলা হয়, ২০২৪ সালে অন্তত ১৬ জন গুমের শিকার হয়েছেন। তাদের মধ্যে ৯ জনকে পরে গ্রেপ্তার দেখানো হলেও একজনের খোঁজ মেলেনি। বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ডের শিকার হয়েছেন ২৫ জন। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর নির্যাতন ও গুলিতে এ সংখ্যা উদ্বেগজনকভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে।
সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের ওপর সহিংসতা
প্রতিবেদন অনুযায়ী, ২০২৪ সালে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের ওপর ১১২টি হামলার ঘটনা ঘটেছে। এতে ৫ জন নিহত এবং ৮৩ জন আহত হয়েছেন। এ ছাড়া, ২৮টি মন্দির, ৩১টি প্রতিমা, ২৮৪টি বসতবাড়ি এবং ২৪০টি দোকানে ভাঙচুর ও লুটপাটের ঘটনা ঘটেছে।
সাংবাদিকদের প্রতি সহিংসতা
প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, ২০২৪ সালে পেশাগত দায়িত্ব পালনকালে সাংবাদিকদের ওপর ৩০৮টি হামলার ঘটনা ঘটেছে। এতে ১০ জন সাংবাদিক নিহত এবং ৭২৬ জন নির্যাতন ও হয়রানির শিকার হয়েছেন। আহত হয়েছেন ৪৫৯ জন, লাঞ্ছনার শিকার ৫৯ জন, গ্রেপ্তার ১৯ জন এবং ১৩৪ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে।
নারী ও শিশুর প্রতি সহিংসতা
এ বছরে ১ হাজার ৪৯৮ জন নারী ও শিশু নির্যাতনের শিকার হয়েছেন। এর মধ্যে ধর্ষণের শিকার হয়েছেন ৫৫৭ জন, যার অর্ধেকের বেশি শিশু। যৌতুকের জন্য নির্যাতনে ৪৮ জন নারী প্রাণ হারিয়েছেন। একই সময়ে শিশু নির্যাতনের শিকার হয়েছেন ৪ হাজার ৩০০ জন, যাদের মধ্যে ৬৬২ জন প্রাণ হারিয়েছেন—বলে জানানো হয় প্রতিবেদনে।
নির্বাচনী সহিংসতা ও গ্রেপ্তার
প্রতিবেদনে আরও দেখা যায়, নির্বাচনী সহিংসতায় আহত হয়েছেন ২ হাজার ৫৩৮ জন এবং প্রায় ৭৫২টি ঘটনায় ৪৩ জন নিহত হয়েছেন। একই সঙ্গে ১ হাজার ৩৮৩টি মামলায় ৬৬ হাজার মানুষের বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়েছে।
আরএইচএসএস—এর নির্বাহী পরিচালক ইজাজুল ইসলাম বলেন, ‘জুলাই আগস্টের গণঅভ্যুত্থানে বিপুলসংখ্যক মানুষ আহত ও নিহত হয়েছেন। মাত্র দুই মাসে যেভাবে মানবাধিকার লঙ্ঘন হয়েছে, আমাদের ৫৩ বছরের ইতিহাসে এমন ঘটনা আর নেই। এ সময় এমন কোনো মানবাধিকার লঙ্ঘনের বিষয় নেই যা ঘটেনি।’
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য উপস্থাপন করেন এইচআরএসএসের প্রোগ্রাম অফিসার সাইফুল ইসলাম। এ ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন—এইচআরএসএস-এর জয়েন্ট সেক্রেটারি অ্যাড. মনিরুজ্জামান, ডকুমেন্টেশন অফিসার জবা ইয়াসমিন প্রমুখ।
জ্বালানি তেলের দাম লিটারে এক টাকা বেড়েছে। ১ ফেব্রুয়ারি থেকে নতুন এই দাম কার্যকর হবে বলে জানিয়েছে জ্বালানি বিভাগ। বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, ভোক্তা পর্যায়ে প্রতি লিটার ১ টাকা বেড়ে ১০৫ টাকা, কেরোসিন ১০৪ টাকা থেকে ১০৫ টাকা এবং অকটেন ১২৬ টাকা ও পেট্রল ১২২ টাকায় পুনর্নির্ধারণ করা হয়েছে...
২ ঘণ্টা আগেঅন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং জানিয়েছে, বাংলাদেশের সেনাবাহিনীকে নিয়ে আনন্দবাজার পত্রিকায় প্রকাশিত সংবাদ মিথ্যা ও ভিত্তিহীন। প্রতিবেদনের বাস্তবতার সঙ্গে কোনো সম্পর্ক নেই; এটি শুধুই একটি বলিউডি রোমান্টিক কমেডি। আজ শুক্রবার প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং ফ্যাক্টস ফেসবুকে তাদের ভেরিফায়েড..
২ ঘণ্টা আগেমজুরি বৈষম্য দূরীকরণ, চাকরির সুরক্ষা নিশ্চিত ও নিজেদের অধিকার আদায় করতে শুধু সংস্কার কমিশনের সুপারিশ যথেষ্ট নয়, বরং আন্দোলন–সংগ্রামও চালিয়ে যেতে হবে—এমনটাই বলেছেন খোদ সরকারের শ্রম সংস্কার কমিশনের প্রধান সৈয়দ সুলতান উদ্দিন আহম্মদ।
৪ ঘণ্টা আগেচাকরিচ্যুত পুলিশ সদস্যরা চাকরি পুনর্বহালের দাবিতে পরপর দুই দিন সড়ক অবরোধ করেছেন। এরপর আজ বৃহস্পতিবার তাঁরা স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার সঙ্গে সচিবালয়ে দেখা করেছেন। পুলিশ সদর দপ্তর বলছে, বিগত সরকারের আমলে বিভিন্ন কারণে চাকরিচ্যুত এসব পুলিশ সদস্যের আবেদনগুলো পর্যালোচনা করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এ জন্য ডিআইজি পদ
৪ ঘণ্টা আগে