জুলাই জাতীয় সনদ বাস্তবায়ন
নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

ঐকমত্য কমিশনের প্রণীত জুলাই সনদে সংবিধানবিষয়ক ৩০টি গুরুত্বপূর্ণ সংস্কার প্রস্তাবে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে ঐকমত্য তৈরি হয়েছে। কিছু প্রস্তাবে সামান্য ভিন্নমত রয়েছে। প্রস্তাবগুলোর ক্ষেত্রে মতভিন্নতা খুব গভীর নয় বলে মনে করে অন্তর্বর্তী সরকার। কেউ সংস্কার সংবিধানে করতে চেয়েছে, কেউ আইনের মাধ্যমে করতে চেয়েছে। কিন্তু সংস্কারের প্রয়োজনীয়তা, নীতি ও লক্ষ্য নিয়ে কারও মধ্যে মতভেদ নেই।
এসব বিবেচনায় রেখে ও রাজনৈতিক দলগুলো কর্তৃক স্বাক্ষরিত জুলাই সনদকে মূল দলিল হিসেবে ধরে নিয়ে অন্তর্বর্তী সরকার আজ বৃহস্পতিবার উপদেষ্টামণ্ডলীর সভায় জুলাই জাতীয় সনদ (সংবিধান সংস্কার) বাস্তবায়ন আদেশ, ২০২৫ অনুমোদন করেছে। এরই মধ্যে রাষ্ট্রপতির স্বাক্ষর শেষে গেজেট জারি করা হয়েছে।
জুলাই সনদ বাস্তবায়নের লক্ষ্যে এই আদেশে সরকার গুরুত্বপূর্ণ কিছু বিধান নিয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে সনদের সংবিধানবিষয়ক সংস্কার প্রস্তাবের ওপর গণভোট অনুষ্ঠান এবং পরে সংবিধান সংস্কার পরিষদ গঠনের সিদ্ধান্ত।
আজ বেলা আড়াইটার দিকে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, ‘আমরা সব বিষয় বিবেচনা করে সিদ্ধান্ত নিয়েছি যে, আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনের দিনই গণভোটের আয়োজন করা হবে। অর্থাৎ জাতীয় নির্বাচনের মতো গণভোটও ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধে একই দিনে অনুষ্ঠিত হবে। এতে সংস্কারের লক্ষ্য কোনোভাবে বাধাগ্রস্ত হবে না। নির্বাচন আরও উৎসবমুখর ও সাশ্রয়ী হবে। গণভোট অনুষ্ঠানের লক্ষ্যে উপযুক্ত সময়ে প্রয়োজনীয় আইন প্রণয়ন করা হবে।’
এ দাবি ছিল বিএনপির। জামায়াতে ইসলামী ও অন্যান্য ইসলামি দলের দাবি ছিল, সংসদ নির্বাচনের আগে গণভোট দিতে হবে। এই দাবিতে তারা লাগাতার কর্মসূচি পালন করে যাচ্ছে। তবে এ ক্ষেত্রে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) অবস্থান শিথিল। তারা বলেছে, গণভোট সংসদ নির্বাচনের দিন বা আগে অনুষ্ঠান নিয়ে তাদের কোনো আপত্তি নেই।
জুলাই সনদের আলোকে গণভোটের ব্যালটে উপস্থাপনীয় প্রশ্নও নির্ধারণ করেছে সরকার। প্রশ্নটি হবে এ রকম:
‘আপনি কি জুলাই জাতীয় সনদ (সংবিধান সংস্কার) বাস্তবায়ন আদেশ, ২০২৫ এবং জুলাই জাতীয় সনদে লিপিবদ্ধ সংবিধান সংস্কার-সম্পর্কিত নিম্নলিখিত প্রস্তাবগুলোর প্রতি আপনার সম্মতি জ্ঞাপন করছেন?’
ক) নির্বাচনকালে তত্ত্বাবধায়ক সরকার, নির্বাচন কমিশন ও অন্যান্য সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠান জুলাই সনদে বর্ণিত প্রক্রিয়ার আলোকে গঠন করা হবে।
খ) আগামী সংসদ হবে দুই কক্ষবিশিষ্ট। জাতীয় সংসদ নির্বাচনে দলগুলোর প্রাপ্ত ভোটের অনুপাতে ১০০ জন সদস্যবিশিষ্ট একটি উচ্চকক্ষ গঠিত হবে এবং সংবিধান সংশোধন করতে হলে উচ্চকক্ষের সংখ্যাগরিষ্ঠ সদস্যের অনুমোদন দরকার হবে।
গ) সংসদে নারীর প্রতিনিধি বৃদ্ধি, বিরোধী দল থেকে ডেপুটি স্পিকার ও সংসদীয় কমিটির সভাপতি নির্বাচন, প্রধানমন্ত্রীর মেয়াদ সীমিতকরণ, রাষ্ট্রপতির ক্ষমতা বৃদ্ধি, মৌলিক অধিকার সম্প্রসারণ, বিচার বিভাগের স্বাধীনতা, স্থানীয় সরকারসহ বিভিন্ন বিষয়ে যে ৩০টি প্রস্তাবে জুলাই জাতীয় সনদে রাজনৈতিক দলগুলোর ঐকমত্য হয়েছে, সেগুলো বাস্তবায়নে আগামী নির্বাচনে বিজয়ী দলগুলো বাধ্য থাকবে।
ঘ) জুলাই সনদে বর্ণিত অন্যান্য সংস্কার রাজনৈতিক দলগুলোর প্রতিশ্রুতি অনুসারে বাস্তবায়ন করা হবে।
গণভোটের দিন এই চার বিষয়ের ওপর একটিমাত্র প্রশ্নে আপনাকে ‘হ্যাঁ’ বা ‘না’ ভোট দিয়ে নাগরিকদের মতামত জানাতে হবে।
গণভোটে সংখ্যাগরিষ্ঠ ভোট ‘হ্যাঁ’ সূচক হলে আগামী সংসদ নির্বাচনে নির্বাচিত প্রতিনিধি নিয়ে একটি সংবিধান সংস্কার পরিষদ গঠিত হবে। এই প্রতিনিধিরা একই সঙ্গে জাতীয় সংসদের সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন। পরিষদ তার প্রথম অধিবেশন শুরুর তারিখ থেকে ১৮০ কার্যদিবসের মধ্যে সংবিধান সংস্কার করবে। সংবিধান সংস্কার সম্পন্ন হওয়ার পর ৩০ কার্যদিবসের মধ্যে সংসদ নির্বাচনে প্রাপ্ত ভোটের সংখ্যানুপাতে উচ্চকক্ষ গঠন করা হবে। এর মেয়াদ হবে নিম্নকক্ষের শেষ কার্যদিবস পর্যন্ত।
তবে এর আগে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের জুলাই সনদ বাস্তবায়ন সুপারিশে বলা হয়েছিল, প্রথম অধিবেশন শুরুর তারিখ থেকে ২৭০ কার্যদিবসের মধ্যে সংবিধান সংস্কার করার বাধ্যবাধকতা বেঁধে দেওয়া হয়েছিল। বলা হয়েছিল, এ সময়ের মধ্যে সংস্কার সম্পন্ন না হলে স্বয়ংক্রিয়ভাবে সংস্কার প্রস্তাবগুলো সংবিধানে যুক্ত হবে। তবে চূড়ান্ত প্রস্তাবে সেই বাধ্যবাধকতা থাকছে না।
নির্বাচনকালীন তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধান বাছাইয়ের ক্ষেত্রে বিএনপির নোট অব ডিসেন্ট (আপত্তি) রয়েছে। বাছাইপ্রক্রিয়ার চূড়ান্ত ধাপে ঐকমত্য কমিশন ‘র্যাংকড চয়েস’ পদ্ধতির কথা বলেছে। তবে বিএনপি এ পর্যায়ে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধান বাছাইয়ের দায়িত্ব সংসদকে দেওয়ার পক্ষে। যদিও অন্যান্য দল ‘র্যাংকড চয়েস’ পদ্ধতির পক্ষে। অবশেষে বিষয়টিতে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত না দিয়ে অন্তর্বর্তী সরকার গণভোটে দিয়েছে।
এ ছাড়া উচ্চকক্ষে ভোটের অনুপাতে দলগুলোর প্রতিনিধি পাঠানোর বিষয়ে বিএনপি ছাড়া প্রায় সব দলেরই ঐকমত্য ছিল। সে ব্যাপারে অন্তর্বর্তী সরকার চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত না দিয়ে প্রস্তাবটি গণভোটে দেওয়া হয়েছে।
আজ ভাষণে প্রধান উপদেষ্টা আরও বলেন, জুলাই সনদ বাস্তবায়নের অঙ্গীকারনামা অনুসারে সংবিধানে জুলাই জাতীয় সনদ অন্তর্ভুক্ত করার ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এটিও আজকে অনুমোদিত আদেশে উল্লেখ করা হয়েছে।

ঐকমত্য কমিশনের প্রণীত জুলাই সনদে সংবিধানবিষয়ক ৩০টি গুরুত্বপূর্ণ সংস্কার প্রস্তাবে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে ঐকমত্য তৈরি হয়েছে। কিছু প্রস্তাবে সামান্য ভিন্নমত রয়েছে। প্রস্তাবগুলোর ক্ষেত্রে মতভিন্নতা খুব গভীর নয় বলে মনে করে অন্তর্বর্তী সরকার। কেউ সংস্কার সংবিধানে করতে চেয়েছে, কেউ আইনের মাধ্যমে করতে চেয়েছে। কিন্তু সংস্কারের প্রয়োজনীয়তা, নীতি ও লক্ষ্য নিয়ে কারও মধ্যে মতভেদ নেই।
এসব বিবেচনায় রেখে ও রাজনৈতিক দলগুলো কর্তৃক স্বাক্ষরিত জুলাই সনদকে মূল দলিল হিসেবে ধরে নিয়ে অন্তর্বর্তী সরকার আজ বৃহস্পতিবার উপদেষ্টামণ্ডলীর সভায় জুলাই জাতীয় সনদ (সংবিধান সংস্কার) বাস্তবায়ন আদেশ, ২০২৫ অনুমোদন করেছে। এরই মধ্যে রাষ্ট্রপতির স্বাক্ষর শেষে গেজেট জারি করা হয়েছে।
জুলাই সনদ বাস্তবায়নের লক্ষ্যে এই আদেশে সরকার গুরুত্বপূর্ণ কিছু বিধান নিয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে সনদের সংবিধানবিষয়ক সংস্কার প্রস্তাবের ওপর গণভোট অনুষ্ঠান এবং পরে সংবিধান সংস্কার পরিষদ গঠনের সিদ্ধান্ত।
আজ বেলা আড়াইটার দিকে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, ‘আমরা সব বিষয় বিবেচনা করে সিদ্ধান্ত নিয়েছি যে, আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনের দিনই গণভোটের আয়োজন করা হবে। অর্থাৎ জাতীয় নির্বাচনের মতো গণভোটও ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধে একই দিনে অনুষ্ঠিত হবে। এতে সংস্কারের লক্ষ্য কোনোভাবে বাধাগ্রস্ত হবে না। নির্বাচন আরও উৎসবমুখর ও সাশ্রয়ী হবে। গণভোট অনুষ্ঠানের লক্ষ্যে উপযুক্ত সময়ে প্রয়োজনীয় আইন প্রণয়ন করা হবে।’
এ দাবি ছিল বিএনপির। জামায়াতে ইসলামী ও অন্যান্য ইসলামি দলের দাবি ছিল, সংসদ নির্বাচনের আগে গণভোট দিতে হবে। এই দাবিতে তারা লাগাতার কর্মসূচি পালন করে যাচ্ছে। তবে এ ক্ষেত্রে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) অবস্থান শিথিল। তারা বলেছে, গণভোট সংসদ নির্বাচনের দিন বা আগে অনুষ্ঠান নিয়ে তাদের কোনো আপত্তি নেই।
জুলাই সনদের আলোকে গণভোটের ব্যালটে উপস্থাপনীয় প্রশ্নও নির্ধারণ করেছে সরকার। প্রশ্নটি হবে এ রকম:
‘আপনি কি জুলাই জাতীয় সনদ (সংবিধান সংস্কার) বাস্তবায়ন আদেশ, ২০২৫ এবং জুলাই জাতীয় সনদে লিপিবদ্ধ সংবিধান সংস্কার-সম্পর্কিত নিম্নলিখিত প্রস্তাবগুলোর প্রতি আপনার সম্মতি জ্ঞাপন করছেন?’
ক) নির্বাচনকালে তত্ত্বাবধায়ক সরকার, নির্বাচন কমিশন ও অন্যান্য সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠান জুলাই সনদে বর্ণিত প্রক্রিয়ার আলোকে গঠন করা হবে।
খ) আগামী সংসদ হবে দুই কক্ষবিশিষ্ট। জাতীয় সংসদ নির্বাচনে দলগুলোর প্রাপ্ত ভোটের অনুপাতে ১০০ জন সদস্যবিশিষ্ট একটি উচ্চকক্ষ গঠিত হবে এবং সংবিধান সংশোধন করতে হলে উচ্চকক্ষের সংখ্যাগরিষ্ঠ সদস্যের অনুমোদন দরকার হবে।
গ) সংসদে নারীর প্রতিনিধি বৃদ্ধি, বিরোধী দল থেকে ডেপুটি স্পিকার ও সংসদীয় কমিটির সভাপতি নির্বাচন, প্রধানমন্ত্রীর মেয়াদ সীমিতকরণ, রাষ্ট্রপতির ক্ষমতা বৃদ্ধি, মৌলিক অধিকার সম্প্রসারণ, বিচার বিভাগের স্বাধীনতা, স্থানীয় সরকারসহ বিভিন্ন বিষয়ে যে ৩০টি প্রস্তাবে জুলাই জাতীয় সনদে রাজনৈতিক দলগুলোর ঐকমত্য হয়েছে, সেগুলো বাস্তবায়নে আগামী নির্বাচনে বিজয়ী দলগুলো বাধ্য থাকবে।
ঘ) জুলাই সনদে বর্ণিত অন্যান্য সংস্কার রাজনৈতিক দলগুলোর প্রতিশ্রুতি অনুসারে বাস্তবায়ন করা হবে।
গণভোটের দিন এই চার বিষয়ের ওপর একটিমাত্র প্রশ্নে আপনাকে ‘হ্যাঁ’ বা ‘না’ ভোট দিয়ে নাগরিকদের মতামত জানাতে হবে।
গণভোটে সংখ্যাগরিষ্ঠ ভোট ‘হ্যাঁ’ সূচক হলে আগামী সংসদ নির্বাচনে নির্বাচিত প্রতিনিধি নিয়ে একটি সংবিধান সংস্কার পরিষদ গঠিত হবে। এই প্রতিনিধিরা একই সঙ্গে জাতীয় সংসদের সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন। পরিষদ তার প্রথম অধিবেশন শুরুর তারিখ থেকে ১৮০ কার্যদিবসের মধ্যে সংবিধান সংস্কার করবে। সংবিধান সংস্কার সম্পন্ন হওয়ার পর ৩০ কার্যদিবসের মধ্যে সংসদ নির্বাচনে প্রাপ্ত ভোটের সংখ্যানুপাতে উচ্চকক্ষ গঠন করা হবে। এর মেয়াদ হবে নিম্নকক্ষের শেষ কার্যদিবস পর্যন্ত।
তবে এর আগে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের জুলাই সনদ বাস্তবায়ন সুপারিশে বলা হয়েছিল, প্রথম অধিবেশন শুরুর তারিখ থেকে ২৭০ কার্যদিবসের মধ্যে সংবিধান সংস্কার করার বাধ্যবাধকতা বেঁধে দেওয়া হয়েছিল। বলা হয়েছিল, এ সময়ের মধ্যে সংস্কার সম্পন্ন না হলে স্বয়ংক্রিয়ভাবে সংস্কার প্রস্তাবগুলো সংবিধানে যুক্ত হবে। তবে চূড়ান্ত প্রস্তাবে সেই বাধ্যবাধকতা থাকছে না।
নির্বাচনকালীন তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধান বাছাইয়ের ক্ষেত্রে বিএনপির নোট অব ডিসেন্ট (আপত্তি) রয়েছে। বাছাইপ্রক্রিয়ার চূড়ান্ত ধাপে ঐকমত্য কমিশন ‘র্যাংকড চয়েস’ পদ্ধতির কথা বলেছে। তবে বিএনপি এ পর্যায়ে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধান বাছাইয়ের দায়িত্ব সংসদকে দেওয়ার পক্ষে। যদিও অন্যান্য দল ‘র্যাংকড চয়েস’ পদ্ধতির পক্ষে। অবশেষে বিষয়টিতে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত না দিয়ে অন্তর্বর্তী সরকার গণভোটে দিয়েছে।
এ ছাড়া উচ্চকক্ষে ভোটের অনুপাতে দলগুলোর প্রতিনিধি পাঠানোর বিষয়ে বিএনপি ছাড়া প্রায় সব দলেরই ঐকমত্য ছিল। সে ব্যাপারে অন্তর্বর্তী সরকার চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত না দিয়ে প্রস্তাবটি গণভোটে দেওয়া হয়েছে।
আজ ভাষণে প্রধান উপদেষ্টা আরও বলেন, জুলাই সনদ বাস্তবায়নের অঙ্গীকারনামা অনুসারে সংবিধানে জুলাই জাতীয় সনদ অন্তর্ভুক্ত করার ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এটিও আজকে অনুমোদিত আদেশে উল্লেখ করা হয়েছে।
জুলাই জাতীয় সনদ বাস্তবায়ন
নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

ঐকমত্য কমিশনের প্রণীত জুলাই সনদে সংবিধানবিষয়ক ৩০টি গুরুত্বপূর্ণ সংস্কার প্রস্তাবে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে ঐকমত্য তৈরি হয়েছে। কিছু প্রস্তাবে সামান্য ভিন্নমত রয়েছে। প্রস্তাবগুলোর ক্ষেত্রে মতভিন্নতা খুব গভীর নয় বলে মনে করে অন্তর্বর্তী সরকার। কেউ সংস্কার সংবিধানে করতে চেয়েছে, কেউ আইনের মাধ্যমে করতে চেয়েছে। কিন্তু সংস্কারের প্রয়োজনীয়তা, নীতি ও লক্ষ্য নিয়ে কারও মধ্যে মতভেদ নেই।
এসব বিবেচনায় রেখে ও রাজনৈতিক দলগুলো কর্তৃক স্বাক্ষরিত জুলাই সনদকে মূল দলিল হিসেবে ধরে নিয়ে অন্তর্বর্তী সরকার আজ বৃহস্পতিবার উপদেষ্টামণ্ডলীর সভায় জুলাই জাতীয় সনদ (সংবিধান সংস্কার) বাস্তবায়ন আদেশ, ২০২৫ অনুমোদন করেছে। এরই মধ্যে রাষ্ট্রপতির স্বাক্ষর শেষে গেজেট জারি করা হয়েছে।
জুলাই সনদ বাস্তবায়নের লক্ষ্যে এই আদেশে সরকার গুরুত্বপূর্ণ কিছু বিধান নিয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে সনদের সংবিধানবিষয়ক সংস্কার প্রস্তাবের ওপর গণভোট অনুষ্ঠান এবং পরে সংবিধান সংস্কার পরিষদ গঠনের সিদ্ধান্ত।
আজ বেলা আড়াইটার দিকে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, ‘আমরা সব বিষয় বিবেচনা করে সিদ্ধান্ত নিয়েছি যে, আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনের দিনই গণভোটের আয়োজন করা হবে। অর্থাৎ জাতীয় নির্বাচনের মতো গণভোটও ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধে একই দিনে অনুষ্ঠিত হবে। এতে সংস্কারের লক্ষ্য কোনোভাবে বাধাগ্রস্ত হবে না। নির্বাচন আরও উৎসবমুখর ও সাশ্রয়ী হবে। গণভোট অনুষ্ঠানের লক্ষ্যে উপযুক্ত সময়ে প্রয়োজনীয় আইন প্রণয়ন করা হবে।’
এ দাবি ছিল বিএনপির। জামায়াতে ইসলামী ও অন্যান্য ইসলামি দলের দাবি ছিল, সংসদ নির্বাচনের আগে গণভোট দিতে হবে। এই দাবিতে তারা লাগাতার কর্মসূচি পালন করে যাচ্ছে। তবে এ ক্ষেত্রে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) অবস্থান শিথিল। তারা বলেছে, গণভোট সংসদ নির্বাচনের দিন বা আগে অনুষ্ঠান নিয়ে তাদের কোনো আপত্তি নেই।
জুলাই সনদের আলোকে গণভোটের ব্যালটে উপস্থাপনীয় প্রশ্নও নির্ধারণ করেছে সরকার। প্রশ্নটি হবে এ রকম:
‘আপনি কি জুলাই জাতীয় সনদ (সংবিধান সংস্কার) বাস্তবায়ন আদেশ, ২০২৫ এবং জুলাই জাতীয় সনদে লিপিবদ্ধ সংবিধান সংস্কার-সম্পর্কিত নিম্নলিখিত প্রস্তাবগুলোর প্রতি আপনার সম্মতি জ্ঞাপন করছেন?’
ক) নির্বাচনকালে তত্ত্বাবধায়ক সরকার, নির্বাচন কমিশন ও অন্যান্য সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠান জুলাই সনদে বর্ণিত প্রক্রিয়ার আলোকে গঠন করা হবে।
খ) আগামী সংসদ হবে দুই কক্ষবিশিষ্ট। জাতীয় সংসদ নির্বাচনে দলগুলোর প্রাপ্ত ভোটের অনুপাতে ১০০ জন সদস্যবিশিষ্ট একটি উচ্চকক্ষ গঠিত হবে এবং সংবিধান সংশোধন করতে হলে উচ্চকক্ষের সংখ্যাগরিষ্ঠ সদস্যের অনুমোদন দরকার হবে।
গ) সংসদে নারীর প্রতিনিধি বৃদ্ধি, বিরোধী দল থেকে ডেপুটি স্পিকার ও সংসদীয় কমিটির সভাপতি নির্বাচন, প্রধানমন্ত্রীর মেয়াদ সীমিতকরণ, রাষ্ট্রপতির ক্ষমতা বৃদ্ধি, মৌলিক অধিকার সম্প্রসারণ, বিচার বিভাগের স্বাধীনতা, স্থানীয় সরকারসহ বিভিন্ন বিষয়ে যে ৩০টি প্রস্তাবে জুলাই জাতীয় সনদে রাজনৈতিক দলগুলোর ঐকমত্য হয়েছে, সেগুলো বাস্তবায়নে আগামী নির্বাচনে বিজয়ী দলগুলো বাধ্য থাকবে।
ঘ) জুলাই সনদে বর্ণিত অন্যান্য সংস্কার রাজনৈতিক দলগুলোর প্রতিশ্রুতি অনুসারে বাস্তবায়ন করা হবে।
গণভোটের দিন এই চার বিষয়ের ওপর একটিমাত্র প্রশ্নে আপনাকে ‘হ্যাঁ’ বা ‘না’ ভোট দিয়ে নাগরিকদের মতামত জানাতে হবে।
গণভোটে সংখ্যাগরিষ্ঠ ভোট ‘হ্যাঁ’ সূচক হলে আগামী সংসদ নির্বাচনে নির্বাচিত প্রতিনিধি নিয়ে একটি সংবিধান সংস্কার পরিষদ গঠিত হবে। এই প্রতিনিধিরা একই সঙ্গে জাতীয় সংসদের সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন। পরিষদ তার প্রথম অধিবেশন শুরুর তারিখ থেকে ১৮০ কার্যদিবসের মধ্যে সংবিধান সংস্কার করবে। সংবিধান সংস্কার সম্পন্ন হওয়ার পর ৩০ কার্যদিবসের মধ্যে সংসদ নির্বাচনে প্রাপ্ত ভোটের সংখ্যানুপাতে উচ্চকক্ষ গঠন করা হবে। এর মেয়াদ হবে নিম্নকক্ষের শেষ কার্যদিবস পর্যন্ত।
তবে এর আগে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের জুলাই সনদ বাস্তবায়ন সুপারিশে বলা হয়েছিল, প্রথম অধিবেশন শুরুর তারিখ থেকে ২৭০ কার্যদিবসের মধ্যে সংবিধান সংস্কার করার বাধ্যবাধকতা বেঁধে দেওয়া হয়েছিল। বলা হয়েছিল, এ সময়ের মধ্যে সংস্কার সম্পন্ন না হলে স্বয়ংক্রিয়ভাবে সংস্কার প্রস্তাবগুলো সংবিধানে যুক্ত হবে। তবে চূড়ান্ত প্রস্তাবে সেই বাধ্যবাধকতা থাকছে না।
নির্বাচনকালীন তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধান বাছাইয়ের ক্ষেত্রে বিএনপির নোট অব ডিসেন্ট (আপত্তি) রয়েছে। বাছাইপ্রক্রিয়ার চূড়ান্ত ধাপে ঐকমত্য কমিশন ‘র্যাংকড চয়েস’ পদ্ধতির কথা বলেছে। তবে বিএনপি এ পর্যায়ে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধান বাছাইয়ের দায়িত্ব সংসদকে দেওয়ার পক্ষে। যদিও অন্যান্য দল ‘র্যাংকড চয়েস’ পদ্ধতির পক্ষে। অবশেষে বিষয়টিতে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত না দিয়ে অন্তর্বর্তী সরকার গণভোটে দিয়েছে।
এ ছাড়া উচ্চকক্ষে ভোটের অনুপাতে দলগুলোর প্রতিনিধি পাঠানোর বিষয়ে বিএনপি ছাড়া প্রায় সব দলেরই ঐকমত্য ছিল। সে ব্যাপারে অন্তর্বর্তী সরকার চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত না দিয়ে প্রস্তাবটি গণভোটে দেওয়া হয়েছে।
আজ ভাষণে প্রধান উপদেষ্টা আরও বলেন, জুলাই সনদ বাস্তবায়নের অঙ্গীকারনামা অনুসারে সংবিধানে জুলাই জাতীয় সনদ অন্তর্ভুক্ত করার ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এটিও আজকে অনুমোদিত আদেশে উল্লেখ করা হয়েছে।

ঐকমত্য কমিশনের প্রণীত জুলাই সনদে সংবিধানবিষয়ক ৩০টি গুরুত্বপূর্ণ সংস্কার প্রস্তাবে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে ঐকমত্য তৈরি হয়েছে। কিছু প্রস্তাবে সামান্য ভিন্নমত রয়েছে। প্রস্তাবগুলোর ক্ষেত্রে মতভিন্নতা খুব গভীর নয় বলে মনে করে অন্তর্বর্তী সরকার। কেউ সংস্কার সংবিধানে করতে চেয়েছে, কেউ আইনের মাধ্যমে করতে চেয়েছে। কিন্তু সংস্কারের প্রয়োজনীয়তা, নীতি ও লক্ষ্য নিয়ে কারও মধ্যে মতভেদ নেই।
এসব বিবেচনায় রেখে ও রাজনৈতিক দলগুলো কর্তৃক স্বাক্ষরিত জুলাই সনদকে মূল দলিল হিসেবে ধরে নিয়ে অন্তর্বর্তী সরকার আজ বৃহস্পতিবার উপদেষ্টামণ্ডলীর সভায় জুলাই জাতীয় সনদ (সংবিধান সংস্কার) বাস্তবায়ন আদেশ, ২০২৫ অনুমোদন করেছে। এরই মধ্যে রাষ্ট্রপতির স্বাক্ষর শেষে গেজেট জারি করা হয়েছে।
জুলাই সনদ বাস্তবায়নের লক্ষ্যে এই আদেশে সরকার গুরুত্বপূর্ণ কিছু বিধান নিয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে সনদের সংবিধানবিষয়ক সংস্কার প্রস্তাবের ওপর গণভোট অনুষ্ঠান এবং পরে সংবিধান সংস্কার পরিষদ গঠনের সিদ্ধান্ত।
আজ বেলা আড়াইটার দিকে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, ‘আমরা সব বিষয় বিবেচনা করে সিদ্ধান্ত নিয়েছি যে, আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনের দিনই গণভোটের আয়োজন করা হবে। অর্থাৎ জাতীয় নির্বাচনের মতো গণভোটও ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধে একই দিনে অনুষ্ঠিত হবে। এতে সংস্কারের লক্ষ্য কোনোভাবে বাধাগ্রস্ত হবে না। নির্বাচন আরও উৎসবমুখর ও সাশ্রয়ী হবে। গণভোট অনুষ্ঠানের লক্ষ্যে উপযুক্ত সময়ে প্রয়োজনীয় আইন প্রণয়ন করা হবে।’
এ দাবি ছিল বিএনপির। জামায়াতে ইসলামী ও অন্যান্য ইসলামি দলের দাবি ছিল, সংসদ নির্বাচনের আগে গণভোট দিতে হবে। এই দাবিতে তারা লাগাতার কর্মসূচি পালন করে যাচ্ছে। তবে এ ক্ষেত্রে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) অবস্থান শিথিল। তারা বলেছে, গণভোট সংসদ নির্বাচনের দিন বা আগে অনুষ্ঠান নিয়ে তাদের কোনো আপত্তি নেই।
জুলাই সনদের আলোকে গণভোটের ব্যালটে উপস্থাপনীয় প্রশ্নও নির্ধারণ করেছে সরকার। প্রশ্নটি হবে এ রকম:
‘আপনি কি জুলাই জাতীয় সনদ (সংবিধান সংস্কার) বাস্তবায়ন আদেশ, ২০২৫ এবং জুলাই জাতীয় সনদে লিপিবদ্ধ সংবিধান সংস্কার-সম্পর্কিত নিম্নলিখিত প্রস্তাবগুলোর প্রতি আপনার সম্মতি জ্ঞাপন করছেন?’
ক) নির্বাচনকালে তত্ত্বাবধায়ক সরকার, নির্বাচন কমিশন ও অন্যান্য সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠান জুলাই সনদে বর্ণিত প্রক্রিয়ার আলোকে গঠন করা হবে।
খ) আগামী সংসদ হবে দুই কক্ষবিশিষ্ট। জাতীয় সংসদ নির্বাচনে দলগুলোর প্রাপ্ত ভোটের অনুপাতে ১০০ জন সদস্যবিশিষ্ট একটি উচ্চকক্ষ গঠিত হবে এবং সংবিধান সংশোধন করতে হলে উচ্চকক্ষের সংখ্যাগরিষ্ঠ সদস্যের অনুমোদন দরকার হবে।
গ) সংসদে নারীর প্রতিনিধি বৃদ্ধি, বিরোধী দল থেকে ডেপুটি স্পিকার ও সংসদীয় কমিটির সভাপতি নির্বাচন, প্রধানমন্ত্রীর মেয়াদ সীমিতকরণ, রাষ্ট্রপতির ক্ষমতা বৃদ্ধি, মৌলিক অধিকার সম্প্রসারণ, বিচার বিভাগের স্বাধীনতা, স্থানীয় সরকারসহ বিভিন্ন বিষয়ে যে ৩০টি প্রস্তাবে জুলাই জাতীয় সনদে রাজনৈতিক দলগুলোর ঐকমত্য হয়েছে, সেগুলো বাস্তবায়নে আগামী নির্বাচনে বিজয়ী দলগুলো বাধ্য থাকবে।
ঘ) জুলাই সনদে বর্ণিত অন্যান্য সংস্কার রাজনৈতিক দলগুলোর প্রতিশ্রুতি অনুসারে বাস্তবায়ন করা হবে।
গণভোটের দিন এই চার বিষয়ের ওপর একটিমাত্র প্রশ্নে আপনাকে ‘হ্যাঁ’ বা ‘না’ ভোট দিয়ে নাগরিকদের মতামত জানাতে হবে।
গণভোটে সংখ্যাগরিষ্ঠ ভোট ‘হ্যাঁ’ সূচক হলে আগামী সংসদ নির্বাচনে নির্বাচিত প্রতিনিধি নিয়ে একটি সংবিধান সংস্কার পরিষদ গঠিত হবে। এই প্রতিনিধিরা একই সঙ্গে জাতীয় সংসদের সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন। পরিষদ তার প্রথম অধিবেশন শুরুর তারিখ থেকে ১৮০ কার্যদিবসের মধ্যে সংবিধান সংস্কার করবে। সংবিধান সংস্কার সম্পন্ন হওয়ার পর ৩০ কার্যদিবসের মধ্যে সংসদ নির্বাচনে প্রাপ্ত ভোটের সংখ্যানুপাতে উচ্চকক্ষ গঠন করা হবে। এর মেয়াদ হবে নিম্নকক্ষের শেষ কার্যদিবস পর্যন্ত।
তবে এর আগে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের জুলাই সনদ বাস্তবায়ন সুপারিশে বলা হয়েছিল, প্রথম অধিবেশন শুরুর তারিখ থেকে ২৭০ কার্যদিবসের মধ্যে সংবিধান সংস্কার করার বাধ্যবাধকতা বেঁধে দেওয়া হয়েছিল। বলা হয়েছিল, এ সময়ের মধ্যে সংস্কার সম্পন্ন না হলে স্বয়ংক্রিয়ভাবে সংস্কার প্রস্তাবগুলো সংবিধানে যুক্ত হবে। তবে চূড়ান্ত প্রস্তাবে সেই বাধ্যবাধকতা থাকছে না।
নির্বাচনকালীন তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধান বাছাইয়ের ক্ষেত্রে বিএনপির নোট অব ডিসেন্ট (আপত্তি) রয়েছে। বাছাইপ্রক্রিয়ার চূড়ান্ত ধাপে ঐকমত্য কমিশন ‘র্যাংকড চয়েস’ পদ্ধতির কথা বলেছে। তবে বিএনপি এ পর্যায়ে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধান বাছাইয়ের দায়িত্ব সংসদকে দেওয়ার পক্ষে। যদিও অন্যান্য দল ‘র্যাংকড চয়েস’ পদ্ধতির পক্ষে। অবশেষে বিষয়টিতে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত না দিয়ে অন্তর্বর্তী সরকার গণভোটে দিয়েছে।
এ ছাড়া উচ্চকক্ষে ভোটের অনুপাতে দলগুলোর প্রতিনিধি পাঠানোর বিষয়ে বিএনপি ছাড়া প্রায় সব দলেরই ঐকমত্য ছিল। সে ব্যাপারে অন্তর্বর্তী সরকার চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত না দিয়ে প্রস্তাবটি গণভোটে দেওয়া হয়েছে।
আজ ভাষণে প্রধান উপদেষ্টা আরও বলেন, জুলাই সনদ বাস্তবায়নের অঙ্গীকারনামা অনুসারে সংবিধানে জুলাই জাতীয় সনদ অন্তর্ভুক্ত করার ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এটিও আজকে অনুমোদিত আদেশে উল্লেখ করা হয়েছে।

জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সাবেক সহসভাপতি আলী রীয়াজকে উপদেষ্টার পদমর্যাদায় নিজের বিশেষ সহকারী হিসেবে নিয়োগ দিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা। আজ বৃহস্পতিবার (১৩ নভেম্বর) মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি হয়েছে।
৪ মিনিট আগে
যাত্রী পরিবহন সেবাকে প্রযুক্তিনির্ভর করে আরও সহজতর ও জনবান্ধব করার লক্ষ্যে রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন করপোরেশন (বিআরটিসি) পাইলটিং ভিত্তিতে তিনটি রুটে ই-টিকিট সেবা কার্যক্রম শুরু করতে যাচ্ছে। ই-টিকিট সেবা প্রদান করবে সহজ ডটকম।
৯ মিনিট আগে
দেশের বিমান পরিবহন ও ট্রাভেল ব্যবসায় স্বচ্ছতা, সুশাসন ও জবাবদিহি নিশ্চিত করতে দুটি গুরুত্বপূর্ণ অধ্যাদেশের খসড়া চূড়ান্ত অনুমোদন দিয়েছে উপদেষ্টা পরিষদ। আজ বৃহস্পতিবার (১৩ নভেম্বর) অনুষ্ঠিত উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে ‘বেসামরিক বিমান চলাচল (সংশোধন) অধ্যাদেশ, ২০২৫’ এবং ‘বাংলাদেশ ট্রাভেল এজেন্সি (নিবন্ধন ও ন
১১ মিনিট আগে
ঢাকার মহানগর দায়রা জজ ও সিনিয়র বিশেষ জজ আদালতের বিচারক মো. সাব্বির ফয়েজ আজ বৃহস্পতিবার এ নির্দেশ দেন বলে নিশ্চিত করেছেন দুদকের উপপরিচালক (জনসংযোগ) আকতারুল ইসলাম।
১ ঘণ্টা আগেবিশেষ প্রতিনিধি, ঢাকা

জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সাবেক সহসভাপতি আলী রীয়াজকে উপদেষ্টার পদমর্যাদায় নিজের বিশেষ সহকারী হিসেবে নিয়োগ দিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা।
আজ বৃহস্পতিবার (১৩ নভেম্বর) মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি হয়েছে।
রাষ্ট্রপতির আদেশক্রমে মন্ত্রিপরিষদ সচিব ড. শেখ আব্দুর রশীদের স্বাক্ষরিত প্রজ্ঞাপন বলা হয়েছে, ‘গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের মাননীয় প্রধান উপদেষ্টা আজ ২৮ কার্তিক ১৪৩২/ ১৩ নভেম্বর ২০২৫ তারিখে অধ্যাপক আলী রীয়াজ-কে প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী হিসেবে নিয়োগদান করেছেন।’
প্রজ্ঞাপন আরও বলা হয়েছে,‘বিশেষ সহকারী পদে অধিষ্ঠিত থাকাকালীন তিনি উপদেষ্টার পদমর্যাদা, বেতন-ভাতাদি ও আনুষঙ্গিক সুযোগ-সুবিধা প্রাপ্য হবেন।’

জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সাবেক সহসভাপতি আলী রীয়াজকে উপদেষ্টার পদমর্যাদায় নিজের বিশেষ সহকারী হিসেবে নিয়োগ দিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা।
আজ বৃহস্পতিবার (১৩ নভেম্বর) মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি হয়েছে।
রাষ্ট্রপতির আদেশক্রমে মন্ত্রিপরিষদ সচিব ড. শেখ আব্দুর রশীদের স্বাক্ষরিত প্রজ্ঞাপন বলা হয়েছে, ‘গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের মাননীয় প্রধান উপদেষ্টা আজ ২৮ কার্তিক ১৪৩২/ ১৩ নভেম্বর ২০২৫ তারিখে অধ্যাপক আলী রীয়াজ-কে প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী হিসেবে নিয়োগদান করেছেন।’
প্রজ্ঞাপন আরও বলা হয়েছে,‘বিশেষ সহকারী পদে অধিষ্ঠিত থাকাকালীন তিনি উপদেষ্টার পদমর্যাদা, বেতন-ভাতাদি ও আনুষঙ্গিক সুযোগ-সুবিধা প্রাপ্য হবেন।’

ঐকমত্য কমিশনের প্রণীত জুলাই সনদে সংবিধানবিষয়ক ৩০টি গুরুত্বপূর্ণ সংস্কার প্রস্তাবে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে ঐকমত্য তৈরি হয়েছে। কিছু প্রস্তাবে সামান্য ভিন্নমত রয়েছে। প্রস্তাবগুলোর ক্ষেত্রে মতভিন্নতা খুব গভীর নয় বলে মনে করে অন্তর্বর্তী সরকার। কেউ সংস্কার সংবিধানে করতে চেয়েছে, কেউ আইনের মাধ্যমে করতে চেয়ে
৩ ঘণ্টা আগে
যাত্রী পরিবহন সেবাকে প্রযুক্তিনির্ভর করে আরও সহজতর ও জনবান্ধব করার লক্ষ্যে রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন করপোরেশন (বিআরটিসি) পাইলটিং ভিত্তিতে তিনটি রুটে ই-টিকিট সেবা কার্যক্রম শুরু করতে যাচ্ছে। ই-টিকিট সেবা প্রদান করবে সহজ ডটকম।
৯ মিনিট আগে
দেশের বিমান পরিবহন ও ট্রাভেল ব্যবসায় স্বচ্ছতা, সুশাসন ও জবাবদিহি নিশ্চিত করতে দুটি গুরুত্বপূর্ণ অধ্যাদেশের খসড়া চূড়ান্ত অনুমোদন দিয়েছে উপদেষ্টা পরিষদ। আজ বৃহস্পতিবার (১৩ নভেম্বর) অনুষ্ঠিত উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে ‘বেসামরিক বিমান চলাচল (সংশোধন) অধ্যাদেশ, ২০২৫’ এবং ‘বাংলাদেশ ট্রাভেল এজেন্সি (নিবন্ধন ও ন
১১ মিনিট আগে
ঢাকার মহানগর দায়রা জজ ও সিনিয়র বিশেষ জজ আদালতের বিচারক মো. সাব্বির ফয়েজ আজ বৃহস্পতিবার এ নির্দেশ দেন বলে নিশ্চিত করেছেন দুদকের উপপরিচালক (জনসংযোগ) আকতারুল ইসলাম।
১ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

যাত্রী পরিবহন সেবাকে প্রযুক্তিনির্ভর করে আরও সহজতর ও জনবান্ধব করার লক্ষ্যে রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন করপোরেশন (বিআরটিসি) পাইলটিং ভিত্তিতে তিনটি রুটে ই-টিকিট সেবা কার্যক্রম শুরু করতে যাচ্ছে। ই-টিকিট সেবা প্রদান করবে সহজ ডটকম।
আজ বৃহস্পতিবার (১৩ নভেম্বর) সকাল সাড়ে ১০টায় রাজধানীর মতিঝিলে বিআরটিসির প্রধান কার্যালয়ের সভাকক্ষে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে বিআরটিসি ও সহজ ডটকমের মধ্যে ই-টিকিট সেবা প্রদানবিষয়ক সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) স্বাক্ষরিত হয়েছে।
অনুষ্ঠানে বিআরটিসির পক্ষে মতিঝিল আন্তর্জাতিক বাস ডিপোর ইউনিট প্রধান মো. আব্দুল লতিফ, বরিশাল বাস ডিপোর ইউনিট প্রধান মো. জুলফিকার আলী এবং সহজ ডটকমের পক্ষে প্রতিষ্ঠানটির পরিচালক (টিকিটস) শাকিল জোয়াদ রহিম সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর করেন।
চুক্তি অনুযায়ী, ঢাকা-বরিশাল-ঢাকা, ঢাকা-দাউদকান্দি-ঢাকা এবং ঢাকা-আড়াইহাজার-ঢাকা রুটগুলোতে চলাচলকারী বিআরটিসি বাসে পাইলটিং ভিত্তিতে ই-টিকিটিং সেবা প্রদান করবে সহজ ডটকম। যাত্রী সাধারণের জন্য ওয়েব পোর্টাল, মোবাইল অ্যাপস, কল সেন্টার এবং অন্যান্য মাধ্যমে ই-টিকিট সেবা প্রদান করবে প্রতিষ্ঠানটি।
অনলাইন টিকিটিংয়ের ক্ষেত্রে অনলাইন চার্জ হিসেবে টিকিটপ্রতি ২০ টাকা গ্রাহকদের থেকে নেবে সহজ ডটকম। তা ছাড়া চলমান নিয়ম অনুযায়ী, পেমেন্ট গেটওয়ের সার্ভিস চার্জও গ্রাহক প্রদান করবে।
অনুষ্ঠানে বিআরটিসি চেয়ারম্যান আব্দুল লতিফ মোল্লা বলেন, ‘পাইলটিং হিসেবে তিনটি রুটে ই-টিকিট সেবা কার্যক্রম শুরু করা হলেও ইতিবাচক সাড়া পেলে পর্যায়ক্রমে বিআরটিসির সব রুটে সম্প্রসারণ করা হবে। সহজ ডটকম দীর্ঘদিন ধরে বাংলাদেশ রেলওয়ের সঙ্গে ই-টিকিটিংয়ের কাজ করছে। এ বিষয়ে তারা অভিজ্ঞ। আমাদের বিআরটিসির যাত্রীরাও প্রযুক্তিনির্ভর এই সেবার মাধ্যমে উপকৃত হবেন এবং বিআরটিসি দেশের পরিবহন খাতে রোল মডেল হিসেবে ভূমিকা পালন করবে।’
বিআরটিসি চেয়ারম্যান আব্দুল লতিফ মোল্লার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন পরিচালক প্রশাসন ও অপারেশন মো. রাহেনুল ইসলাম, পরিচালক কারিগরি কর্নেল কাজী আইয়ুব আলী, করপোরেশনের বিভিন্ন বিভাগের জিএম, প্রধান কার্যালয়ের কর্মকর্তা এবং সহজ ডটকমের কর্মকর্তারা।

যাত্রী পরিবহন সেবাকে প্রযুক্তিনির্ভর করে আরও সহজতর ও জনবান্ধব করার লক্ষ্যে রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন করপোরেশন (বিআরটিসি) পাইলটিং ভিত্তিতে তিনটি রুটে ই-টিকিট সেবা কার্যক্রম শুরু করতে যাচ্ছে। ই-টিকিট সেবা প্রদান করবে সহজ ডটকম।
আজ বৃহস্পতিবার (১৩ নভেম্বর) সকাল সাড়ে ১০টায় রাজধানীর মতিঝিলে বিআরটিসির প্রধান কার্যালয়ের সভাকক্ষে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে বিআরটিসি ও সহজ ডটকমের মধ্যে ই-টিকিট সেবা প্রদানবিষয়ক সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) স্বাক্ষরিত হয়েছে।
অনুষ্ঠানে বিআরটিসির পক্ষে মতিঝিল আন্তর্জাতিক বাস ডিপোর ইউনিট প্রধান মো. আব্দুল লতিফ, বরিশাল বাস ডিপোর ইউনিট প্রধান মো. জুলফিকার আলী এবং সহজ ডটকমের পক্ষে প্রতিষ্ঠানটির পরিচালক (টিকিটস) শাকিল জোয়াদ রহিম সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর করেন।
চুক্তি অনুযায়ী, ঢাকা-বরিশাল-ঢাকা, ঢাকা-দাউদকান্দি-ঢাকা এবং ঢাকা-আড়াইহাজার-ঢাকা রুটগুলোতে চলাচলকারী বিআরটিসি বাসে পাইলটিং ভিত্তিতে ই-টিকিটিং সেবা প্রদান করবে সহজ ডটকম। যাত্রী সাধারণের জন্য ওয়েব পোর্টাল, মোবাইল অ্যাপস, কল সেন্টার এবং অন্যান্য মাধ্যমে ই-টিকিট সেবা প্রদান করবে প্রতিষ্ঠানটি।
অনলাইন টিকিটিংয়ের ক্ষেত্রে অনলাইন চার্জ হিসেবে টিকিটপ্রতি ২০ টাকা গ্রাহকদের থেকে নেবে সহজ ডটকম। তা ছাড়া চলমান নিয়ম অনুযায়ী, পেমেন্ট গেটওয়ের সার্ভিস চার্জও গ্রাহক প্রদান করবে।
অনুষ্ঠানে বিআরটিসি চেয়ারম্যান আব্দুল লতিফ মোল্লা বলেন, ‘পাইলটিং হিসেবে তিনটি রুটে ই-টিকিট সেবা কার্যক্রম শুরু করা হলেও ইতিবাচক সাড়া পেলে পর্যায়ক্রমে বিআরটিসির সব রুটে সম্প্রসারণ করা হবে। সহজ ডটকম দীর্ঘদিন ধরে বাংলাদেশ রেলওয়ের সঙ্গে ই-টিকিটিংয়ের কাজ করছে। এ বিষয়ে তারা অভিজ্ঞ। আমাদের বিআরটিসির যাত্রীরাও প্রযুক্তিনির্ভর এই সেবার মাধ্যমে উপকৃত হবেন এবং বিআরটিসি দেশের পরিবহন খাতে রোল মডেল হিসেবে ভূমিকা পালন করবে।’
বিআরটিসি চেয়ারম্যান আব্দুল লতিফ মোল্লার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন পরিচালক প্রশাসন ও অপারেশন মো. রাহেনুল ইসলাম, পরিচালক কারিগরি কর্নেল কাজী আইয়ুব আলী, করপোরেশনের বিভিন্ন বিভাগের জিএম, প্রধান কার্যালয়ের কর্মকর্তা এবং সহজ ডটকমের কর্মকর্তারা।

ঐকমত্য কমিশনের প্রণীত জুলাই সনদে সংবিধানবিষয়ক ৩০টি গুরুত্বপূর্ণ সংস্কার প্রস্তাবে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে ঐকমত্য তৈরি হয়েছে। কিছু প্রস্তাবে সামান্য ভিন্নমত রয়েছে। প্রস্তাবগুলোর ক্ষেত্রে মতভিন্নতা খুব গভীর নয় বলে মনে করে অন্তর্বর্তী সরকার। কেউ সংস্কার সংবিধানে করতে চেয়েছে, কেউ আইনের মাধ্যমে করতে চেয়ে
৩ ঘণ্টা আগে
জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সাবেক সহসভাপতি আলী রীয়াজকে উপদেষ্টার পদমর্যাদায় নিজের বিশেষ সহকারী হিসেবে নিয়োগ দিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা। আজ বৃহস্পতিবার (১৩ নভেম্বর) মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি হয়েছে।
৪ মিনিট আগে
দেশের বিমান পরিবহন ও ট্রাভেল ব্যবসায় স্বচ্ছতা, সুশাসন ও জবাবদিহি নিশ্চিত করতে দুটি গুরুত্বপূর্ণ অধ্যাদেশের খসড়া চূড়ান্ত অনুমোদন দিয়েছে উপদেষ্টা পরিষদ। আজ বৃহস্পতিবার (১৩ নভেম্বর) অনুষ্ঠিত উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে ‘বেসামরিক বিমান চলাচল (সংশোধন) অধ্যাদেশ, ২০২৫’ এবং ‘বাংলাদেশ ট্রাভেল এজেন্সি (নিবন্ধন ও ন
১১ মিনিট আগে
ঢাকার মহানগর দায়রা জজ ও সিনিয়র বিশেষ জজ আদালতের বিচারক মো. সাব্বির ফয়েজ আজ বৃহস্পতিবার এ নির্দেশ দেন বলে নিশ্চিত করেছেন দুদকের উপপরিচালক (জনসংযোগ) আকতারুল ইসলাম।
১ ঘণ্টা আগেবিশেষ প্রতিনিধি, ঢাকা

দেশের বিমান পরিবহন ও ট্রাভেল ব্যবসায় স্বচ্ছতা, সুশাসন ও জবাবদিহি নিশ্চিত করতে দুটি গুরুত্বপূর্ণ অধ্যাদেশের খসড়া চূড়ান্ত অনুমোদন দিয়েছে উপদেষ্টা পরিষদ। আজ বৃহস্পতিবার (১৩ নভেম্বর) অনুষ্ঠিত উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে ‘বেসামরিক বিমান চলাচল (সংশোধন) অধ্যাদেশ, ২০২৫’ ও ‘বাংলাদেশ ট্রাভেল এজেন্সি (নিবন্ধন ও নিয়ন্ত্রণ) (সংশোধন) অধ্যাদেশ, ২০২৫’-এর খসড়া অনুমোদন দেওয়া হয়।
গুরুত্বপূর্ণ দুই অধ্যাদেশের সংশোধন নিয়ে সংবাদ সম্মেলন করেন বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীন। আজ বৃহস্পতিবার বেলা ৩টায় মন্ত্রণালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, দেশের আকাশপথে যাত্রীদের ৮০ শতাংশের বেশি অভিবাসী কর্মী। নতুন দুটি অধ্যাদেশ কার্যকর হলে এই বিশাল যাত্রীগোষ্ঠীসহ সাধারণ যাত্রীদের সেবা হবে আরও আধুনিক, নিরাপদ ও যাত্রীবান্ধব।
বেসামরিক বিমান চলাচল (সংশোধন) অধ্যাদেশ, ২০২৫
২০১৭ সালের আইন সংশোধন করে এই অধ্যাদেশে বেশ কিছু যুগোপযোগী পরিবর্তন আনা হয়েছে। প্রথমবারের মতো আইনের দীর্ঘ শিরোনাম ও প্রস্তাবনায় ‘যাত্রীসেবা নিশ্চিতকরণ’ শব্দগুচ্ছ যুক্ত করে যাত্রীদের নিরাপত্তা, সুবিধা ও অধিকার রক্ষায় আইনি বাধ্যবাধকতা সৃষ্টি করা হয়েছে।
বিদেশি এয়ারলাইনসের জন্য সাধারণ বিক্রয় প্রতিনিধি (জিএসএ) নিয়োগকে ঐচ্ছিক করা হয়েছে, যা আন্তর্জাতিক মানদণ্ডের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ। একই সঙ্গে দেশীয় এয়ার অপারেটরদেরও জিএসএ নিয়োগে সুযোগ রাখা হয়েছে।
টিকিট বিতরণে স্বচ্ছতা আনতে গ্লোবাল ডিস্ট্রিবিউশন সিস্টেম (জিডিএস), নিউ ডিস্ট্রিবিউশন ক্যাপাবিলিটি (এনডিসি) এবং এপিআই-ভিত্তিক ডিজিটাল ডিস্ট্রিবিউশন চ্যানেল নিবন্ধন বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। এতে টিকিট ব্লকিং, কৃত্রিম সংকট বা অতিরিক্ত মূল্যবৃদ্ধি রোধ হবে।
এ ছাড়া প্রথমবারের মতো এয়ার অপারেটরদের ট্যারিফ দাখিল ও মনিটরিংয়ের বিধান যুক্ত করা হয়েছে। পরিবেশবান্ধব নীতির আওতায় কার্বন নিঃসরণ কমানো, সাসটেইনেশন অ্যাভিয়েশন ফুয়েল (এসএএফ) ব্যবহার ও টেকসই নীতিমালা প্রণয়নের ক্ষমতা যুক্ত হয়েছে।
অধ্যাদেশে সরকারকে একটি ‘বেসামরিক বিমান চলাচল অর্থনৈতিক কমিশন’ গঠনের ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে, যা বিমানবন্দরের ফি, চার্জ, রয়্যালটি ও ভাড়ার হার নির্ধারণে অর্থনৈতিক স্বচ্ছতা নিশ্চিত করবে। এ ছাড়া সাইবার সুরক্ষা ও প্রযুক্তিগত উন্নয়নে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই), ব্লকচেইন ও ডিজিটাল সিস্টেমের ব্যবহারে উৎসাহিত করা হয়েছে।
অন্যদিকে বাংলাদেশ ট্রাভেল এজেন্সি (নিবন্ধন ও নিয়ন্ত্রণ) (সংশোধন) অধ্যাদেশ, ২০২৫-এ ট্রাভেল ব্যবসায় অবৈধ অর্থ লেনদেন, মানি লন্ডারিং, টিকিট মজুতদারি, প্রতারণা ও রাজস্ব ফাঁকি রোধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
নতুন অধ্যাদেশে নিবন্ধন সনদ বাতিল বা স্থগিতের ১১টি নতুন কারণ যুক্ত করা হয়েছে। এগুলোর মধ্যে রয়েছে—অবৈধ টিকিট বিক্রয়, অতিরিক্ত ভাড়া আদায়, অননুমোদিত লেনদেন, কৃত্রিম সংকট সৃষ্টি, তৃতীয় কোনো দেশ থেকে টিকিট ক্রয়-বিক্রয়, গ্রুপ বুকিংয়ের পর যাত্রীর তথ্য পরিবর্তন ইত্যাদি।
এসব কর্মকাণ্ডকে দণ্ডনীয় অপরাধ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। অপরাধের মাত্রা অনুযায়ী সর্বোচ্চ ১০ লাখ টাকা পর্যন্ত অর্থদণ্ড এবং এক বছর পর্যন্ত কারাদণ্ডের বিধান রাখা হয়েছে।
এ ছাড়া সরকার প্রমাণসাপেক্ষে কোনো ট্রাভেল এজেন্সির নিবন্ধন সাময়িক স্থগিত করতে পারবে। প্রতারণা বা আর্থিক আত্মসাতের ঘটনায় নিয়ন্ত্রণকারী কর্তৃপক্ষ সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির ওপর ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা আরোপের ক্ষমতাও পাবে।
বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, দুটি অধ্যাদেশ বাস্তবায়িত হলে বিমান পরিবহন ও ট্রাভেল ব্যবসায় শৃঙ্খলা, আর্থিক স্বচ্ছতা ও জবাবদিহি প্রতিষ্ঠিত হবে। পাশাপাশি অভিবাসী কর্মী ও সাধারণ যাত্রীদের অধিকার সুরক্ষিত হবে এবং টিকিটের ন্যায্যমূল্য নিশ্চিত করা সম্ভব হবে।

দেশের বিমান পরিবহন ও ট্রাভেল ব্যবসায় স্বচ্ছতা, সুশাসন ও জবাবদিহি নিশ্চিত করতে দুটি গুরুত্বপূর্ণ অধ্যাদেশের খসড়া চূড়ান্ত অনুমোদন দিয়েছে উপদেষ্টা পরিষদ। আজ বৃহস্পতিবার (১৩ নভেম্বর) অনুষ্ঠিত উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে ‘বেসামরিক বিমান চলাচল (সংশোধন) অধ্যাদেশ, ২০২৫’ ও ‘বাংলাদেশ ট্রাভেল এজেন্সি (নিবন্ধন ও নিয়ন্ত্রণ) (সংশোধন) অধ্যাদেশ, ২০২৫’-এর খসড়া অনুমোদন দেওয়া হয়।
গুরুত্বপূর্ণ দুই অধ্যাদেশের সংশোধন নিয়ে সংবাদ সম্মেলন করেন বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীন। আজ বৃহস্পতিবার বেলা ৩টায় মন্ত্রণালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, দেশের আকাশপথে যাত্রীদের ৮০ শতাংশের বেশি অভিবাসী কর্মী। নতুন দুটি অধ্যাদেশ কার্যকর হলে এই বিশাল যাত্রীগোষ্ঠীসহ সাধারণ যাত্রীদের সেবা হবে আরও আধুনিক, নিরাপদ ও যাত্রীবান্ধব।
বেসামরিক বিমান চলাচল (সংশোধন) অধ্যাদেশ, ২০২৫
২০১৭ সালের আইন সংশোধন করে এই অধ্যাদেশে বেশ কিছু যুগোপযোগী পরিবর্তন আনা হয়েছে। প্রথমবারের মতো আইনের দীর্ঘ শিরোনাম ও প্রস্তাবনায় ‘যাত্রীসেবা নিশ্চিতকরণ’ শব্দগুচ্ছ যুক্ত করে যাত্রীদের নিরাপত্তা, সুবিধা ও অধিকার রক্ষায় আইনি বাধ্যবাধকতা সৃষ্টি করা হয়েছে।
বিদেশি এয়ারলাইনসের জন্য সাধারণ বিক্রয় প্রতিনিধি (জিএসএ) নিয়োগকে ঐচ্ছিক করা হয়েছে, যা আন্তর্জাতিক মানদণ্ডের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ। একই সঙ্গে দেশীয় এয়ার অপারেটরদেরও জিএসএ নিয়োগে সুযোগ রাখা হয়েছে।
টিকিট বিতরণে স্বচ্ছতা আনতে গ্লোবাল ডিস্ট্রিবিউশন সিস্টেম (জিডিএস), নিউ ডিস্ট্রিবিউশন ক্যাপাবিলিটি (এনডিসি) এবং এপিআই-ভিত্তিক ডিজিটাল ডিস্ট্রিবিউশন চ্যানেল নিবন্ধন বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। এতে টিকিট ব্লকিং, কৃত্রিম সংকট বা অতিরিক্ত মূল্যবৃদ্ধি রোধ হবে।
এ ছাড়া প্রথমবারের মতো এয়ার অপারেটরদের ট্যারিফ দাখিল ও মনিটরিংয়ের বিধান যুক্ত করা হয়েছে। পরিবেশবান্ধব নীতির আওতায় কার্বন নিঃসরণ কমানো, সাসটেইনেশন অ্যাভিয়েশন ফুয়েল (এসএএফ) ব্যবহার ও টেকসই নীতিমালা প্রণয়নের ক্ষমতা যুক্ত হয়েছে।
অধ্যাদেশে সরকারকে একটি ‘বেসামরিক বিমান চলাচল অর্থনৈতিক কমিশন’ গঠনের ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে, যা বিমানবন্দরের ফি, চার্জ, রয়্যালটি ও ভাড়ার হার নির্ধারণে অর্থনৈতিক স্বচ্ছতা নিশ্চিত করবে। এ ছাড়া সাইবার সুরক্ষা ও প্রযুক্তিগত উন্নয়নে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই), ব্লকচেইন ও ডিজিটাল সিস্টেমের ব্যবহারে উৎসাহিত করা হয়েছে।
অন্যদিকে বাংলাদেশ ট্রাভেল এজেন্সি (নিবন্ধন ও নিয়ন্ত্রণ) (সংশোধন) অধ্যাদেশ, ২০২৫-এ ট্রাভেল ব্যবসায় অবৈধ অর্থ লেনদেন, মানি লন্ডারিং, টিকিট মজুতদারি, প্রতারণা ও রাজস্ব ফাঁকি রোধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
নতুন অধ্যাদেশে নিবন্ধন সনদ বাতিল বা স্থগিতের ১১টি নতুন কারণ যুক্ত করা হয়েছে। এগুলোর মধ্যে রয়েছে—অবৈধ টিকিট বিক্রয়, অতিরিক্ত ভাড়া আদায়, অননুমোদিত লেনদেন, কৃত্রিম সংকট সৃষ্টি, তৃতীয় কোনো দেশ থেকে টিকিট ক্রয়-বিক্রয়, গ্রুপ বুকিংয়ের পর যাত্রীর তথ্য পরিবর্তন ইত্যাদি।
এসব কর্মকাণ্ডকে দণ্ডনীয় অপরাধ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। অপরাধের মাত্রা অনুযায়ী সর্বোচ্চ ১০ লাখ টাকা পর্যন্ত অর্থদণ্ড এবং এক বছর পর্যন্ত কারাদণ্ডের বিধান রাখা হয়েছে।
এ ছাড়া সরকার প্রমাণসাপেক্ষে কোনো ট্রাভেল এজেন্সির নিবন্ধন সাময়িক স্থগিত করতে পারবে। প্রতারণা বা আর্থিক আত্মসাতের ঘটনায় নিয়ন্ত্রণকারী কর্তৃপক্ষ সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির ওপর ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা আরোপের ক্ষমতাও পাবে।
বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, দুটি অধ্যাদেশ বাস্তবায়িত হলে বিমান পরিবহন ও ট্রাভেল ব্যবসায় শৃঙ্খলা, আর্থিক স্বচ্ছতা ও জবাবদিহি প্রতিষ্ঠিত হবে। পাশাপাশি অভিবাসী কর্মী ও সাধারণ যাত্রীদের অধিকার সুরক্ষিত হবে এবং টিকিটের ন্যায্যমূল্য নিশ্চিত করা সম্ভব হবে।

ঐকমত্য কমিশনের প্রণীত জুলাই সনদে সংবিধানবিষয়ক ৩০টি গুরুত্বপূর্ণ সংস্কার প্রস্তাবে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে ঐকমত্য তৈরি হয়েছে। কিছু প্রস্তাবে সামান্য ভিন্নমত রয়েছে। প্রস্তাবগুলোর ক্ষেত্রে মতভিন্নতা খুব গভীর নয় বলে মনে করে অন্তর্বর্তী সরকার। কেউ সংস্কার সংবিধানে করতে চেয়েছে, কেউ আইনের মাধ্যমে করতে চেয়ে
৩ ঘণ্টা আগে
জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সাবেক সহসভাপতি আলী রীয়াজকে উপদেষ্টার পদমর্যাদায় নিজের বিশেষ সহকারী হিসেবে নিয়োগ দিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা। আজ বৃহস্পতিবার (১৩ নভেম্বর) মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি হয়েছে।
৪ মিনিট আগে
যাত্রী পরিবহন সেবাকে প্রযুক্তিনির্ভর করে আরও সহজতর ও জনবান্ধব করার লক্ষ্যে রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন করপোরেশন (বিআরটিসি) পাইলটিং ভিত্তিতে তিনটি রুটে ই-টিকিট সেবা কার্যক্রম শুরু করতে যাচ্ছে। ই-টিকিট সেবা প্রদান করবে সহজ ডটকম।
৯ মিনিট আগে
ঢাকার মহানগর দায়রা জজ ও সিনিয়র বিশেষ জজ আদালতের বিচারক মো. সাব্বির ফয়েজ আজ বৃহস্পতিবার এ নির্দেশ দেন বলে নিশ্চিত করেছেন দুদকের উপপরিচালক (জনসংযোগ) আকতারুল ইসলাম।
১ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

সাংবাদিক ও ইউনিমেড ইউনিহেলথ ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেডের পরিচালক সুভাষ চন্দ্র সিংহ রায় ও তাঁর স্ত্রী সংরক্ষিত মহিলা আসনের সাবেক সংসদ সদস্য মমতা হেনা লাভলীর ৯টি ব্যাংক হিসাব অবরুদ্ধের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
ঢাকার মহানগর দায়রা জজ ও সিনিয়র বিশেষ জজ আদালতের বিচারক মো. সাব্বির ফয়েজ আজ বৃহস্পতিবার এ নির্দেশ দেন বলে নিশ্চিত করেছেন দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) উপপরিচালক (জনসংযোগ) আকতারুল ইসলাম।
সুভাষ চন্দ্র সিংহ ও তাঁর স্ত্রীর ব্যাংক হিসাব অবরুদ্ধ চেয়ে আবেদন করেন দুর্নীতির অভিযোগে চলমান অনুসন্ধান কর্মকর্তা ও দুদকের সহকারী পরিচালক বিলকিস আক্তার।
এ প্রেক্ষাপটে সুভাষ চন্দ্র সিংহের চারটি ব্যাংক হিসাবে থাকা ১২ লাখ ১১ হাজার ১১২ টাকা ও মমতা হেনা লাভলীর পাঁচটি ব্যাংক হিসাবে থাকা ৩০ লাখ ৬২ হাজার ৫৯০ টাকা অবরুদ্ধের নির্দেশ দেওয়া হয়।
দুদকের আবেদনে বলা হয়, সুভাষ সিংহ ও তাঁর স্ত্রীর বিরুদ্ধে বিধিবহির্ভূতভাবে অর্থ উপার্জন করে সে অর্থ নিজ ও স্বার্থসংশ্লিষ্টদের নামে পরিচালিত ব্যাংক হিসাবে আনয়নপূর্বক বৈধতা প্রদানের চেষ্টা ও বিদেশে টাকা পাচারের মাধ্যমে মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ আইনে অপরাধের অভিযোগ অনুসন্ধান চলছে। বিশ্বস্ত সূত্রে জানা গেছে, তাঁরা তাঁদের ব্যাংক হিসাবে থাকা অর্থ অন্যত্র হস্তান্তর বা স্থানান্তরের চেষ্টা করছেন। এ কারণে এসব হিসাব অবরুদ্ধের নির্দেশ দেওয়া আবশ্যক।
এর আগে গত ২০ অক্টোবর এই দুজনের বিদেশ গমনে নিষেধাজ্ঞা জারি করেন একই আদালত।

সাংবাদিক ও ইউনিমেড ইউনিহেলথ ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেডের পরিচালক সুভাষ চন্দ্র সিংহ রায় ও তাঁর স্ত্রী সংরক্ষিত মহিলা আসনের সাবেক সংসদ সদস্য মমতা হেনা লাভলীর ৯টি ব্যাংক হিসাব অবরুদ্ধের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
ঢাকার মহানগর দায়রা জজ ও সিনিয়র বিশেষ জজ আদালতের বিচারক মো. সাব্বির ফয়েজ আজ বৃহস্পতিবার এ নির্দেশ দেন বলে নিশ্চিত করেছেন দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) উপপরিচালক (জনসংযোগ) আকতারুল ইসলাম।
সুভাষ চন্দ্র সিংহ ও তাঁর স্ত্রীর ব্যাংক হিসাব অবরুদ্ধ চেয়ে আবেদন করেন দুর্নীতির অভিযোগে চলমান অনুসন্ধান কর্মকর্তা ও দুদকের সহকারী পরিচালক বিলকিস আক্তার।
এ প্রেক্ষাপটে সুভাষ চন্দ্র সিংহের চারটি ব্যাংক হিসাবে থাকা ১২ লাখ ১১ হাজার ১১২ টাকা ও মমতা হেনা লাভলীর পাঁচটি ব্যাংক হিসাবে থাকা ৩০ লাখ ৬২ হাজার ৫৯০ টাকা অবরুদ্ধের নির্দেশ দেওয়া হয়।
দুদকের আবেদনে বলা হয়, সুভাষ সিংহ ও তাঁর স্ত্রীর বিরুদ্ধে বিধিবহির্ভূতভাবে অর্থ উপার্জন করে সে অর্থ নিজ ও স্বার্থসংশ্লিষ্টদের নামে পরিচালিত ব্যাংক হিসাবে আনয়নপূর্বক বৈধতা প্রদানের চেষ্টা ও বিদেশে টাকা পাচারের মাধ্যমে মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ আইনে অপরাধের অভিযোগ অনুসন্ধান চলছে। বিশ্বস্ত সূত্রে জানা গেছে, তাঁরা তাঁদের ব্যাংক হিসাবে থাকা অর্থ অন্যত্র হস্তান্তর বা স্থানান্তরের চেষ্টা করছেন। এ কারণে এসব হিসাব অবরুদ্ধের নির্দেশ দেওয়া আবশ্যক।
এর আগে গত ২০ অক্টোবর এই দুজনের বিদেশ গমনে নিষেধাজ্ঞা জারি করেন একই আদালত।

ঐকমত্য কমিশনের প্রণীত জুলাই সনদে সংবিধানবিষয়ক ৩০টি গুরুত্বপূর্ণ সংস্কার প্রস্তাবে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে ঐকমত্য তৈরি হয়েছে। কিছু প্রস্তাবে সামান্য ভিন্নমত রয়েছে। প্রস্তাবগুলোর ক্ষেত্রে মতভিন্নতা খুব গভীর নয় বলে মনে করে অন্তর্বর্তী সরকার। কেউ সংস্কার সংবিধানে করতে চেয়েছে, কেউ আইনের মাধ্যমে করতে চেয়ে
৩ ঘণ্টা আগে
জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সাবেক সহসভাপতি আলী রীয়াজকে উপদেষ্টার পদমর্যাদায় নিজের বিশেষ সহকারী হিসেবে নিয়োগ দিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা। আজ বৃহস্পতিবার (১৩ নভেম্বর) মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি হয়েছে।
৪ মিনিট আগে
যাত্রী পরিবহন সেবাকে প্রযুক্তিনির্ভর করে আরও সহজতর ও জনবান্ধব করার লক্ষ্যে রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন করপোরেশন (বিআরটিসি) পাইলটিং ভিত্তিতে তিনটি রুটে ই-টিকিট সেবা কার্যক্রম শুরু করতে যাচ্ছে। ই-টিকিট সেবা প্রদান করবে সহজ ডটকম।
৯ মিনিট আগে
দেশের বিমান পরিবহন ও ট্রাভেল ব্যবসায় স্বচ্ছতা, সুশাসন ও জবাবদিহি নিশ্চিত করতে দুটি গুরুত্বপূর্ণ অধ্যাদেশের খসড়া চূড়ান্ত অনুমোদন দিয়েছে উপদেষ্টা পরিষদ। আজ বৃহস্পতিবার (১৩ নভেম্বর) অনুষ্ঠিত উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে ‘বেসামরিক বিমান চলাচল (সংশোধন) অধ্যাদেশ, ২০২৫’ এবং ‘বাংলাদেশ ট্রাভেল এজেন্সি (নিবন্ধন ও ন
১১ মিনিট আগে