নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

কুমিল্লায় পবিত্র কোরআন শরিফ অবমাননার অভিযোগ তুলে শুরু হওয়া সাম্প্রদায়িক উত্তেজনা দেশের বিভিন্ন স্থানে ছড়িয়ে দেওয়ার যে তৎপরতা, তার পেছনে রাজনৈতিক উদ্দেশ্য দেখছেন তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী হাছান মাহমুদ।
সচিবালয়ে আজ বৃহস্পতিবার এক তাৎক্ষণিক ব্রিফিংয়ে তিনি বলেন, ‘এর পেছনে রাজনৈতিক উদ্দেশ্য আছে। শেখ হাসিনাকে রাজনৈতিকভাবে মোকাবিলা করতে ব্যর্থ হয়ে একটি মহল সব সময় গুজব রটানোর কাজে লিপ্ত। তারা গুজব রটিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবহার করে দেশের সম্প্রীতি ও শান্তি বিনষ্টের অপকর্মে সব সময় লিপ্ত।’
তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘পদ্মা সেতুর পিলার স্থাপনের কাজ শুরুর পর গুজব রটিয়ে দেওয়া হয় পদ্মা সেতুতে নরবলি দিতে হবে। এ জন্য সারা দেশে ছেলেধরার গুজব ছড়িয়ে দেওয়া হলো। অনেকগুলো নিরীহ মানুষ হত্যাকাণ্ডের স্বীকার হলো। এটি করা করেছে? যারা বলেছিল পদ্মা সেতু এই সরকার করতে পারবে না, এই সরকারের আমলে কখনো পদ্মা সেতু হবে না। যারা পদ্মা সেতুর বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করেছিল, বিশ্ব ব্যাংককে সেই ষড়যন্ত্রের সঙ্গে যুক্ত করেছিল। পরে বিশ্ব ব্যাংক লজ্জাজনকভাবে কানাডার আদালতে হেরে গিয়ে প্রমাণিত হয়েছে সব অভিযোগ অসত্য। সেই একই মহল এই গুজব ছড়িয়েছে। সেই একই মহল আজ সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্ট করার জন্য এই অপকর্ম করেছে।’
গত বুধবার ভোরে কুমিল্লা নগরীর নানুয়াদীঘির উত্তর পাড় থেকে রেজাউল করিম নামে এক পথচারী জরুরি সেবার ৯৯৯-এ ফোন করে কোরআন শরিফ অবমাননার অভিযোগ করেন। এ নিয়ে উত্তেজনার সৃষ্টি হয়। পরে কুমিল্লার সিটি মেয়র মনিরুল হক সাক্কু, জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ কামরুল হাসান, পুলিশ সুপার ফারুক আহম্মেদ ঘটনাস্থলে এসে পূজা উদ্যাপন কমিটি, মুসলিম ধর্মীয় নেতাসহ স্থানীয়দের নিয়ে বৈঠক করেন। এরপর এলাকায় পুলিশ মোতায়েন করা হয়।
কুমিল্লার ঘটনা যারাই ঘটাক না কেন, তাদের খুঁজে বের করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দেওয়া হবে বলে জানান হাছান মাহমুদ। তিনি বলেন, ‘যারা গুজব ছড়ানোর চিন্তা করছেন ও করেছেন, সবাইকে চিহ্নিত করা হবে। সবাইকে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিতে আমরা বদ্ধপরিকর। ভবিষ্যতে কেউ যদি এ নিয়ে গুজব ছড়ায় বা অন্য গুজব ছড়ায়, তাদেরও চিহ্নিত করা হবে। আমি হিন্দু সম্প্রদায়ের সমস্ত জনগণকে অনুরোধ জানাব, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আছে। আপনারা নির্বিঘ্নে, নির্ভয়ে পূজা উৎসব পালন করুন। সরকার, জনগণ আপনাদের পাশে আছে। দুষ্কৃতকারীদের নিবৃত্ত করতে আমরা বদ্ধপরিকর। কোনো গুজবে কান দেবেন না, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে নানা ধরনের গুজব ছড়ানো হয়, বিভ্রান্ত হবেন না।’
তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে বাংলাদেশে যে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি স্থাপিত হয়েছে, সেটি অনেক দেশের জন্য উদাহরণ। হিন্দু, মুসলিম, বৌদ্ধ, খ্রিষ্টান—সবার রক্তস্রোতের বিনিময়ে এই দেশ রচিত হয়েছে। একটি অসাম্প্রদায়িক দেশ রচনা করার জন্য বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে বাংলাদেশ রচিত হয়েছে। কিন্তু একটি মহল, যারা এই দেশ রচনার বিরুদ্ধাচরণ করেছিল, তারা দেশের উন্নয়ন-অগ্রগতির বিরুদ্ধে। এরা সব সময় ষড়যন্ত্র করছে। তারা বাংলাদেশে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি থাকুক, তা চায় না। সে জন্য নানা সময়ে নানা ধরনের গুজব রটনা করেছে। ছোটখাটো ঘটনা ঘটিয়ে সেটি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বিকৃতভাবে উপস্থাপন করে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্টের অপচেষ্টা করা হয়েছে। গত কয়েক বছরের এ ধরনের ঘটনা বিশ্লেষণ করে দেখা যায়, এগুলোর পেছনে হীন উদ্দেশ্য ছিল, সরকার সেগুলো কঠোর হস্তে দমন করেছে।’
হাছান মাহমুদ বলেন, `কুমিল্লার নানুয়াদীঘির পাড়ে হিন্দু-মুসলিম সবাই যুগ যুগ ধরে শান্তিপূর্ণভাবে বসবাস করছে। সেখানে রাতের বেলা মন্দির বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল, কোনো মানুষ ছিল না, লাইটও বন্ধ ছিল। সেই পরিস্থিতিতে কে বা কারা এ ঘটনা ঘটিয়েছে, পুলিশ তদন্ত করছে। আমি নিশ্চিত, কারা ঘটিয়েছে সেটি খুব শিগগির বের হবে।' তিনি বলেন, ‘এটি যারা করেছে, তাদের আবার সেখানকার পুরোহিত যখন বললেন এটি সরিয়ে ফেলুন, তারা সেটি না করে পুলিশে খবর দিয়েছে, সাম্প্রদায়িক উত্তেজনা তৈরির চেষ্টা করেছে। সেটি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে দিয়ে সারা দেশে সাম্প্রদায়িক উসকানি দেওয়ারও চেষ্টা করেছে, উসকানি দিয়েছে। এতে প্রমাণিত হয়, একটি মহল, যারা সব সময় এই দুষ্কর্মের সঙ্গে যুক্ত, তারা এ ঘটনা ঘটিয়েছে। পুলিশের তদন্তে, অনেকগুলো সংস্থা তদন্ত করছে, তদন্তে তা বেরিয়ে আসবে।’
নাসিরনগরে সাম্প্রদায়িক হামলার সঙ্গে জড়িত কয়েকজন ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেয়েছেন। এ বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করলে তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘অভিযুক্ত হলেই যে ঘটনা সত্য, সেটি বলা যায় না।’

কুমিল্লায় পবিত্র কোরআন শরিফ অবমাননার অভিযোগ তুলে শুরু হওয়া সাম্প্রদায়িক উত্তেজনা দেশের বিভিন্ন স্থানে ছড়িয়ে দেওয়ার যে তৎপরতা, তার পেছনে রাজনৈতিক উদ্দেশ্য দেখছেন তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী হাছান মাহমুদ।
সচিবালয়ে আজ বৃহস্পতিবার এক তাৎক্ষণিক ব্রিফিংয়ে তিনি বলেন, ‘এর পেছনে রাজনৈতিক উদ্দেশ্য আছে। শেখ হাসিনাকে রাজনৈতিকভাবে মোকাবিলা করতে ব্যর্থ হয়ে একটি মহল সব সময় গুজব রটানোর কাজে লিপ্ত। তারা গুজব রটিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবহার করে দেশের সম্প্রীতি ও শান্তি বিনষ্টের অপকর্মে সব সময় লিপ্ত।’
তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘পদ্মা সেতুর পিলার স্থাপনের কাজ শুরুর পর গুজব রটিয়ে দেওয়া হয় পদ্মা সেতুতে নরবলি দিতে হবে। এ জন্য সারা দেশে ছেলেধরার গুজব ছড়িয়ে দেওয়া হলো। অনেকগুলো নিরীহ মানুষ হত্যাকাণ্ডের স্বীকার হলো। এটি করা করেছে? যারা বলেছিল পদ্মা সেতু এই সরকার করতে পারবে না, এই সরকারের আমলে কখনো পদ্মা সেতু হবে না। যারা পদ্মা সেতুর বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করেছিল, বিশ্ব ব্যাংককে সেই ষড়যন্ত্রের সঙ্গে যুক্ত করেছিল। পরে বিশ্ব ব্যাংক লজ্জাজনকভাবে কানাডার আদালতে হেরে গিয়ে প্রমাণিত হয়েছে সব অভিযোগ অসত্য। সেই একই মহল এই গুজব ছড়িয়েছে। সেই একই মহল আজ সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্ট করার জন্য এই অপকর্ম করেছে।’
গত বুধবার ভোরে কুমিল্লা নগরীর নানুয়াদীঘির উত্তর পাড় থেকে রেজাউল করিম নামে এক পথচারী জরুরি সেবার ৯৯৯-এ ফোন করে কোরআন শরিফ অবমাননার অভিযোগ করেন। এ নিয়ে উত্তেজনার সৃষ্টি হয়। পরে কুমিল্লার সিটি মেয়র মনিরুল হক সাক্কু, জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ কামরুল হাসান, পুলিশ সুপার ফারুক আহম্মেদ ঘটনাস্থলে এসে পূজা উদ্যাপন কমিটি, মুসলিম ধর্মীয় নেতাসহ স্থানীয়দের নিয়ে বৈঠক করেন। এরপর এলাকায় পুলিশ মোতায়েন করা হয়।
কুমিল্লার ঘটনা যারাই ঘটাক না কেন, তাদের খুঁজে বের করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দেওয়া হবে বলে জানান হাছান মাহমুদ। তিনি বলেন, ‘যারা গুজব ছড়ানোর চিন্তা করছেন ও করেছেন, সবাইকে চিহ্নিত করা হবে। সবাইকে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিতে আমরা বদ্ধপরিকর। ভবিষ্যতে কেউ যদি এ নিয়ে গুজব ছড়ায় বা অন্য গুজব ছড়ায়, তাদেরও চিহ্নিত করা হবে। আমি হিন্দু সম্প্রদায়ের সমস্ত জনগণকে অনুরোধ জানাব, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আছে। আপনারা নির্বিঘ্নে, নির্ভয়ে পূজা উৎসব পালন করুন। সরকার, জনগণ আপনাদের পাশে আছে। দুষ্কৃতকারীদের নিবৃত্ত করতে আমরা বদ্ধপরিকর। কোনো গুজবে কান দেবেন না, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে নানা ধরনের গুজব ছড়ানো হয়, বিভ্রান্ত হবেন না।’
তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে বাংলাদেশে যে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি স্থাপিত হয়েছে, সেটি অনেক দেশের জন্য উদাহরণ। হিন্দু, মুসলিম, বৌদ্ধ, খ্রিষ্টান—সবার রক্তস্রোতের বিনিময়ে এই দেশ রচিত হয়েছে। একটি অসাম্প্রদায়িক দেশ রচনা করার জন্য বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে বাংলাদেশ রচিত হয়েছে। কিন্তু একটি মহল, যারা এই দেশ রচনার বিরুদ্ধাচরণ করেছিল, তারা দেশের উন্নয়ন-অগ্রগতির বিরুদ্ধে। এরা সব সময় ষড়যন্ত্র করছে। তারা বাংলাদেশে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি থাকুক, তা চায় না। সে জন্য নানা সময়ে নানা ধরনের গুজব রটনা করেছে। ছোটখাটো ঘটনা ঘটিয়ে সেটি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বিকৃতভাবে উপস্থাপন করে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্টের অপচেষ্টা করা হয়েছে। গত কয়েক বছরের এ ধরনের ঘটনা বিশ্লেষণ করে দেখা যায়, এগুলোর পেছনে হীন উদ্দেশ্য ছিল, সরকার সেগুলো কঠোর হস্তে দমন করেছে।’
হাছান মাহমুদ বলেন, `কুমিল্লার নানুয়াদীঘির পাড়ে হিন্দু-মুসলিম সবাই যুগ যুগ ধরে শান্তিপূর্ণভাবে বসবাস করছে। সেখানে রাতের বেলা মন্দির বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল, কোনো মানুষ ছিল না, লাইটও বন্ধ ছিল। সেই পরিস্থিতিতে কে বা কারা এ ঘটনা ঘটিয়েছে, পুলিশ তদন্ত করছে। আমি নিশ্চিত, কারা ঘটিয়েছে সেটি খুব শিগগির বের হবে।' তিনি বলেন, ‘এটি যারা করেছে, তাদের আবার সেখানকার পুরোহিত যখন বললেন এটি সরিয়ে ফেলুন, তারা সেটি না করে পুলিশে খবর দিয়েছে, সাম্প্রদায়িক উত্তেজনা তৈরির চেষ্টা করেছে। সেটি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে দিয়ে সারা দেশে সাম্প্রদায়িক উসকানি দেওয়ারও চেষ্টা করেছে, উসকানি দিয়েছে। এতে প্রমাণিত হয়, একটি মহল, যারা সব সময় এই দুষ্কর্মের সঙ্গে যুক্ত, তারা এ ঘটনা ঘটিয়েছে। পুলিশের তদন্তে, অনেকগুলো সংস্থা তদন্ত করছে, তদন্তে তা বেরিয়ে আসবে।’
নাসিরনগরে সাম্প্রদায়িক হামলার সঙ্গে জড়িত কয়েকজন ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেয়েছেন। এ বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করলে তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘অভিযুক্ত হলেই যে ঘটনা সত্য, সেটি বলা যায় না।’
নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

কুমিল্লায় পবিত্র কোরআন শরিফ অবমাননার অভিযোগ তুলে শুরু হওয়া সাম্প্রদায়িক উত্তেজনা দেশের বিভিন্ন স্থানে ছড়িয়ে দেওয়ার যে তৎপরতা, তার পেছনে রাজনৈতিক উদ্দেশ্য দেখছেন তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী হাছান মাহমুদ।
সচিবালয়ে আজ বৃহস্পতিবার এক তাৎক্ষণিক ব্রিফিংয়ে তিনি বলেন, ‘এর পেছনে রাজনৈতিক উদ্দেশ্য আছে। শেখ হাসিনাকে রাজনৈতিকভাবে মোকাবিলা করতে ব্যর্থ হয়ে একটি মহল সব সময় গুজব রটানোর কাজে লিপ্ত। তারা গুজব রটিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবহার করে দেশের সম্প্রীতি ও শান্তি বিনষ্টের অপকর্মে সব সময় লিপ্ত।’
তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘পদ্মা সেতুর পিলার স্থাপনের কাজ শুরুর পর গুজব রটিয়ে দেওয়া হয় পদ্মা সেতুতে নরবলি দিতে হবে। এ জন্য সারা দেশে ছেলেধরার গুজব ছড়িয়ে দেওয়া হলো। অনেকগুলো নিরীহ মানুষ হত্যাকাণ্ডের স্বীকার হলো। এটি করা করেছে? যারা বলেছিল পদ্মা সেতু এই সরকার করতে পারবে না, এই সরকারের আমলে কখনো পদ্মা সেতু হবে না। যারা পদ্মা সেতুর বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করেছিল, বিশ্ব ব্যাংককে সেই ষড়যন্ত্রের সঙ্গে যুক্ত করেছিল। পরে বিশ্ব ব্যাংক লজ্জাজনকভাবে কানাডার আদালতে হেরে গিয়ে প্রমাণিত হয়েছে সব অভিযোগ অসত্য। সেই একই মহল এই গুজব ছড়িয়েছে। সেই একই মহল আজ সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্ট করার জন্য এই অপকর্ম করেছে।’
গত বুধবার ভোরে কুমিল্লা নগরীর নানুয়াদীঘির উত্তর পাড় থেকে রেজাউল করিম নামে এক পথচারী জরুরি সেবার ৯৯৯-এ ফোন করে কোরআন শরিফ অবমাননার অভিযোগ করেন। এ নিয়ে উত্তেজনার সৃষ্টি হয়। পরে কুমিল্লার সিটি মেয়র মনিরুল হক সাক্কু, জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ কামরুল হাসান, পুলিশ সুপার ফারুক আহম্মেদ ঘটনাস্থলে এসে পূজা উদ্যাপন কমিটি, মুসলিম ধর্মীয় নেতাসহ স্থানীয়দের নিয়ে বৈঠক করেন। এরপর এলাকায় পুলিশ মোতায়েন করা হয়।
কুমিল্লার ঘটনা যারাই ঘটাক না কেন, তাদের খুঁজে বের করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দেওয়া হবে বলে জানান হাছান মাহমুদ। তিনি বলেন, ‘যারা গুজব ছড়ানোর চিন্তা করছেন ও করেছেন, সবাইকে চিহ্নিত করা হবে। সবাইকে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিতে আমরা বদ্ধপরিকর। ভবিষ্যতে কেউ যদি এ নিয়ে গুজব ছড়ায় বা অন্য গুজব ছড়ায়, তাদেরও চিহ্নিত করা হবে। আমি হিন্দু সম্প্রদায়ের সমস্ত জনগণকে অনুরোধ জানাব, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আছে। আপনারা নির্বিঘ্নে, নির্ভয়ে পূজা উৎসব পালন করুন। সরকার, জনগণ আপনাদের পাশে আছে। দুষ্কৃতকারীদের নিবৃত্ত করতে আমরা বদ্ধপরিকর। কোনো গুজবে কান দেবেন না, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে নানা ধরনের গুজব ছড়ানো হয়, বিভ্রান্ত হবেন না।’
তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে বাংলাদেশে যে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি স্থাপিত হয়েছে, সেটি অনেক দেশের জন্য উদাহরণ। হিন্দু, মুসলিম, বৌদ্ধ, খ্রিষ্টান—সবার রক্তস্রোতের বিনিময়ে এই দেশ রচিত হয়েছে। একটি অসাম্প্রদায়িক দেশ রচনা করার জন্য বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে বাংলাদেশ রচিত হয়েছে। কিন্তু একটি মহল, যারা এই দেশ রচনার বিরুদ্ধাচরণ করেছিল, তারা দেশের উন্নয়ন-অগ্রগতির বিরুদ্ধে। এরা সব সময় ষড়যন্ত্র করছে। তারা বাংলাদেশে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি থাকুক, তা চায় না। সে জন্য নানা সময়ে নানা ধরনের গুজব রটনা করেছে। ছোটখাটো ঘটনা ঘটিয়ে সেটি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বিকৃতভাবে উপস্থাপন করে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্টের অপচেষ্টা করা হয়েছে। গত কয়েক বছরের এ ধরনের ঘটনা বিশ্লেষণ করে দেখা যায়, এগুলোর পেছনে হীন উদ্দেশ্য ছিল, সরকার সেগুলো কঠোর হস্তে দমন করেছে।’
হাছান মাহমুদ বলেন, `কুমিল্লার নানুয়াদীঘির পাড়ে হিন্দু-মুসলিম সবাই যুগ যুগ ধরে শান্তিপূর্ণভাবে বসবাস করছে। সেখানে রাতের বেলা মন্দির বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল, কোনো মানুষ ছিল না, লাইটও বন্ধ ছিল। সেই পরিস্থিতিতে কে বা কারা এ ঘটনা ঘটিয়েছে, পুলিশ তদন্ত করছে। আমি নিশ্চিত, কারা ঘটিয়েছে সেটি খুব শিগগির বের হবে।' তিনি বলেন, ‘এটি যারা করেছে, তাদের আবার সেখানকার পুরোহিত যখন বললেন এটি সরিয়ে ফেলুন, তারা সেটি না করে পুলিশে খবর দিয়েছে, সাম্প্রদায়িক উত্তেজনা তৈরির চেষ্টা করেছে। সেটি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে দিয়ে সারা দেশে সাম্প্রদায়িক উসকানি দেওয়ারও চেষ্টা করেছে, উসকানি দিয়েছে। এতে প্রমাণিত হয়, একটি মহল, যারা সব সময় এই দুষ্কর্মের সঙ্গে যুক্ত, তারা এ ঘটনা ঘটিয়েছে। পুলিশের তদন্তে, অনেকগুলো সংস্থা তদন্ত করছে, তদন্তে তা বেরিয়ে আসবে।’
নাসিরনগরে সাম্প্রদায়িক হামলার সঙ্গে জড়িত কয়েকজন ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেয়েছেন। এ বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করলে তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘অভিযুক্ত হলেই যে ঘটনা সত্য, সেটি বলা যায় না।’

কুমিল্লায় পবিত্র কোরআন শরিফ অবমাননার অভিযোগ তুলে শুরু হওয়া সাম্প্রদায়িক উত্তেজনা দেশের বিভিন্ন স্থানে ছড়িয়ে দেওয়ার যে তৎপরতা, তার পেছনে রাজনৈতিক উদ্দেশ্য দেখছেন তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী হাছান মাহমুদ।
সচিবালয়ে আজ বৃহস্পতিবার এক তাৎক্ষণিক ব্রিফিংয়ে তিনি বলেন, ‘এর পেছনে রাজনৈতিক উদ্দেশ্য আছে। শেখ হাসিনাকে রাজনৈতিকভাবে মোকাবিলা করতে ব্যর্থ হয়ে একটি মহল সব সময় গুজব রটানোর কাজে লিপ্ত। তারা গুজব রটিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবহার করে দেশের সম্প্রীতি ও শান্তি বিনষ্টের অপকর্মে সব সময় লিপ্ত।’
তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘পদ্মা সেতুর পিলার স্থাপনের কাজ শুরুর পর গুজব রটিয়ে দেওয়া হয় পদ্মা সেতুতে নরবলি দিতে হবে। এ জন্য সারা দেশে ছেলেধরার গুজব ছড়িয়ে দেওয়া হলো। অনেকগুলো নিরীহ মানুষ হত্যাকাণ্ডের স্বীকার হলো। এটি করা করেছে? যারা বলেছিল পদ্মা সেতু এই সরকার করতে পারবে না, এই সরকারের আমলে কখনো পদ্মা সেতু হবে না। যারা পদ্মা সেতুর বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করেছিল, বিশ্ব ব্যাংককে সেই ষড়যন্ত্রের সঙ্গে যুক্ত করেছিল। পরে বিশ্ব ব্যাংক লজ্জাজনকভাবে কানাডার আদালতে হেরে গিয়ে প্রমাণিত হয়েছে সব অভিযোগ অসত্য। সেই একই মহল এই গুজব ছড়িয়েছে। সেই একই মহল আজ সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্ট করার জন্য এই অপকর্ম করেছে।’
গত বুধবার ভোরে কুমিল্লা নগরীর নানুয়াদীঘির উত্তর পাড় থেকে রেজাউল করিম নামে এক পথচারী জরুরি সেবার ৯৯৯-এ ফোন করে কোরআন শরিফ অবমাননার অভিযোগ করেন। এ নিয়ে উত্তেজনার সৃষ্টি হয়। পরে কুমিল্লার সিটি মেয়র মনিরুল হক সাক্কু, জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ কামরুল হাসান, পুলিশ সুপার ফারুক আহম্মেদ ঘটনাস্থলে এসে পূজা উদ্যাপন কমিটি, মুসলিম ধর্মীয় নেতাসহ স্থানীয়দের নিয়ে বৈঠক করেন। এরপর এলাকায় পুলিশ মোতায়েন করা হয়।
কুমিল্লার ঘটনা যারাই ঘটাক না কেন, তাদের খুঁজে বের করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দেওয়া হবে বলে জানান হাছান মাহমুদ। তিনি বলেন, ‘যারা গুজব ছড়ানোর চিন্তা করছেন ও করেছেন, সবাইকে চিহ্নিত করা হবে। সবাইকে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিতে আমরা বদ্ধপরিকর। ভবিষ্যতে কেউ যদি এ নিয়ে গুজব ছড়ায় বা অন্য গুজব ছড়ায়, তাদেরও চিহ্নিত করা হবে। আমি হিন্দু সম্প্রদায়ের সমস্ত জনগণকে অনুরোধ জানাব, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আছে। আপনারা নির্বিঘ্নে, নির্ভয়ে পূজা উৎসব পালন করুন। সরকার, জনগণ আপনাদের পাশে আছে। দুষ্কৃতকারীদের নিবৃত্ত করতে আমরা বদ্ধপরিকর। কোনো গুজবে কান দেবেন না, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে নানা ধরনের গুজব ছড়ানো হয়, বিভ্রান্ত হবেন না।’
তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে বাংলাদেশে যে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি স্থাপিত হয়েছে, সেটি অনেক দেশের জন্য উদাহরণ। হিন্দু, মুসলিম, বৌদ্ধ, খ্রিষ্টান—সবার রক্তস্রোতের বিনিময়ে এই দেশ রচিত হয়েছে। একটি অসাম্প্রদায়িক দেশ রচনা করার জন্য বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে বাংলাদেশ রচিত হয়েছে। কিন্তু একটি মহল, যারা এই দেশ রচনার বিরুদ্ধাচরণ করেছিল, তারা দেশের উন্নয়ন-অগ্রগতির বিরুদ্ধে। এরা সব সময় ষড়যন্ত্র করছে। তারা বাংলাদেশে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি থাকুক, তা চায় না। সে জন্য নানা সময়ে নানা ধরনের গুজব রটনা করেছে। ছোটখাটো ঘটনা ঘটিয়ে সেটি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বিকৃতভাবে উপস্থাপন করে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্টের অপচেষ্টা করা হয়েছে। গত কয়েক বছরের এ ধরনের ঘটনা বিশ্লেষণ করে দেখা যায়, এগুলোর পেছনে হীন উদ্দেশ্য ছিল, সরকার সেগুলো কঠোর হস্তে দমন করেছে।’
হাছান মাহমুদ বলেন, `কুমিল্লার নানুয়াদীঘির পাড়ে হিন্দু-মুসলিম সবাই যুগ যুগ ধরে শান্তিপূর্ণভাবে বসবাস করছে। সেখানে রাতের বেলা মন্দির বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল, কোনো মানুষ ছিল না, লাইটও বন্ধ ছিল। সেই পরিস্থিতিতে কে বা কারা এ ঘটনা ঘটিয়েছে, পুলিশ তদন্ত করছে। আমি নিশ্চিত, কারা ঘটিয়েছে সেটি খুব শিগগির বের হবে।' তিনি বলেন, ‘এটি যারা করেছে, তাদের আবার সেখানকার পুরোহিত যখন বললেন এটি সরিয়ে ফেলুন, তারা সেটি না করে পুলিশে খবর দিয়েছে, সাম্প্রদায়িক উত্তেজনা তৈরির চেষ্টা করেছে। সেটি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে দিয়ে সারা দেশে সাম্প্রদায়িক উসকানি দেওয়ারও চেষ্টা করেছে, উসকানি দিয়েছে। এতে প্রমাণিত হয়, একটি মহল, যারা সব সময় এই দুষ্কর্মের সঙ্গে যুক্ত, তারা এ ঘটনা ঘটিয়েছে। পুলিশের তদন্তে, অনেকগুলো সংস্থা তদন্ত করছে, তদন্তে তা বেরিয়ে আসবে।’
নাসিরনগরে সাম্প্রদায়িক হামলার সঙ্গে জড়িত কয়েকজন ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেয়েছেন। এ বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করলে তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘অভিযুক্ত হলেই যে ঘটনা সত্য, সেটি বলা যায় না।’

কমিশনের এক সদস্য বলেন, প্রধান উপদেষ্টা তো কমিশনেরও সভাপতি। আমরা একটি সুপারিশ তৈরি করছি। সেখানে তো তাঁরও মতামত থাকবে। সে জন্য আজকে কমিশন সভাপতির সভাপতিত্বে বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে।
৪৪ মিনিট আগে
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের মাধ্যমে নির্বাচিত সরকারের কাছে দায়িত্ব হস্তান্তর করা পর্যন্ত উপদেষ্টা পরিষদ দায়িত্ব পালন করে যাবে এবং তাদের বৈঠকও নিয়মিত অনুষ্ঠিত হবে বলে জানিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার। আজ সোমবার প্রধান উপদেষ্টার দপ্তর থেকে এক বিবৃতিতে সরকারের দায়িত্ব পালনের মেয়াদ স্পষ্ট করা হয়।
১ ঘণ্টা আগে
আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে মোট ৪২ হাজার ৭৬১টি ভোটকেন্দ্র নির্ধারণ করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। এসব কেন্দ্রে মোট ভোটকক্ষের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২ লাখ ৪৪ হাজার ৬৪৯ টি। এর মধ্যে পুরুষদের জন্য ১ লাখ ১৫ হাজার ৩৭টি এবং নারীদের জন্য ১ লাখ ২৯ হাজার ৬০২টি কক্ষ।
১ ঘণ্টা আগে
রাজনৈতিক দল ও বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে কয়েক দফা বৈঠকের পর জুলাই সনদ বাস্তবায়নের উপায় নিয়ে সুপারিশ প্রায় চূড়ান্ত করেছে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন। গণভোটের পর সংবিধান সংস্কার পরিষদে বাস্তবায়ন আদেশ পাস হয়ে গেলে আগামী সংসদেই সংখ্যানুপাতিক প্রতিনিধিত্বের (পিআর) ভিত্তিতে উচ্চকক্ষ গঠনের সুপারিশ থাকতে পারে বলে একাধিক সূত্
১১ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

প্রধান উপদেষ্টা ও জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সভাপতি ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে বৈঠক করবেন কমিশনের সদস্যরা। আজ সোমবার বিকেল ৪টায় রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে বলে জানা গেছে।
কমিশন সূত্র জানায়, প্রধান উপদেষ্টা ও কমিশন সভাপতির সঙ্গে জুলাই জাতীয় সনদ বাস্তবায়নের উপায় নিয়ে তৈরি করা সুপারিশের ড্রাফটের বিষয়ে আলোচনা হবে এই বৈঠকে। সভাপতির মতামতের ভিত্তিতে সুপারিশের খসড়ায় সংযোজন-বিয়োজন হতে পারে। সে ক্ষেত্রে জুলাই সনদ বাস্তবায়নের উপায়ের পূর্ণাঙ্গ সুপারিশ তৈরি করে পরে সরকারের কাছে জমা দেবে। অন্যদিকে খসড়ায় নতুন করে সংশোধনী না থাকলে আজই সেটি সরকারের কাছে জমা দেওয়া হবে।
কমিশনের এক সদস্য বলেন, ‘প্রধান উপদেষ্টা তো কমিশনেরও সভাপতি। আমরা একটি সুপারিশ তৈরি করছি। সেখানে তো তাঁরও মতামত থাকবে। সে জন্য আজকে কমিশন সভাপতির সভাপতিত্বে বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে।’
কমিশন সূত্র জানায়, সনদ বাস্তবায়নে কমিশন সুপারিশের যে রূপরেখা ঠিক করেছে, তাতে প্রথমে একটি আদেশ জারি করা হবে। গণ-অভ্যুত্থানকে ভিত্তি ধরে প্রথমে ‘জুলাই জাতীয় সনদ (সংবিধান সংস্কার) বাস্তবায়ন আদেশ’ নামে এই আদেশ জারি করা হবে। তার অধীনে জারি হবে গণভোট-বিষয়ক একটি অধ্যাদেশ। এর ভিত্তিতেই হবে গণভোট। একটি নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত (২৭০ দিন বা প্রথম ৯ মাস) আগামী সংসদ কাজ করবে সংবিধান সংস্কার পরিষদ হিসেবে। এ সময়ের মধ্যেই সংবিধান-সংক্রান্ত সংস্কার প্রস্তাবগুলো সংসদে অনুমোদন করা হবে। বাস্তবায়নের পুরো প্রক্রিয়া জুলাই সনদ বাস্তবায়ন আদেশে উল্লেখ থাকবে।
আদেশ জারির পর এর কিছু অংশ তাৎক্ষণিক এবং কিছু কিছু বিষয় পরবর্তীকালে কার্যকর হবে। আদেশের কোন ধারা কবে কার্যকর হবে তা উল্লেখ থাকবে।
জুলাই সনদের ৮৪টি সংস্কার প্রস্তাব আদেশের পরিশিষ্টে উল্লেখ থাকবে। তবে সেখানে কোনো দলের ভিন্নমতের বিষয় উল্লেখ থাকবে না। শুধু কমিশনের ৮৪টি প্রস্তাব অথবা সিদ্ধান্তের উল্লেখ থাকবে।

প্রধান উপদেষ্টা ও জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সভাপতি ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে বৈঠক করবেন কমিশনের সদস্যরা। আজ সোমবার বিকেল ৪টায় রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে বলে জানা গেছে।
কমিশন সূত্র জানায়, প্রধান উপদেষ্টা ও কমিশন সভাপতির সঙ্গে জুলাই জাতীয় সনদ বাস্তবায়নের উপায় নিয়ে তৈরি করা সুপারিশের ড্রাফটের বিষয়ে আলোচনা হবে এই বৈঠকে। সভাপতির মতামতের ভিত্তিতে সুপারিশের খসড়ায় সংযোজন-বিয়োজন হতে পারে। সে ক্ষেত্রে জুলাই সনদ বাস্তবায়নের উপায়ের পূর্ণাঙ্গ সুপারিশ তৈরি করে পরে সরকারের কাছে জমা দেবে। অন্যদিকে খসড়ায় নতুন করে সংশোধনী না থাকলে আজই সেটি সরকারের কাছে জমা দেওয়া হবে।
কমিশনের এক সদস্য বলেন, ‘প্রধান উপদেষ্টা তো কমিশনেরও সভাপতি। আমরা একটি সুপারিশ তৈরি করছি। সেখানে তো তাঁরও মতামত থাকবে। সে জন্য আজকে কমিশন সভাপতির সভাপতিত্বে বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে।’
কমিশন সূত্র জানায়, সনদ বাস্তবায়নে কমিশন সুপারিশের যে রূপরেখা ঠিক করেছে, তাতে প্রথমে একটি আদেশ জারি করা হবে। গণ-অভ্যুত্থানকে ভিত্তি ধরে প্রথমে ‘জুলাই জাতীয় সনদ (সংবিধান সংস্কার) বাস্তবায়ন আদেশ’ নামে এই আদেশ জারি করা হবে। তার অধীনে জারি হবে গণভোট-বিষয়ক একটি অধ্যাদেশ। এর ভিত্তিতেই হবে গণভোট। একটি নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত (২৭০ দিন বা প্রথম ৯ মাস) আগামী সংসদ কাজ করবে সংবিধান সংস্কার পরিষদ হিসেবে। এ সময়ের মধ্যেই সংবিধান-সংক্রান্ত সংস্কার প্রস্তাবগুলো সংসদে অনুমোদন করা হবে। বাস্তবায়নের পুরো প্রক্রিয়া জুলাই সনদ বাস্তবায়ন আদেশে উল্লেখ থাকবে।
আদেশ জারির পর এর কিছু অংশ তাৎক্ষণিক এবং কিছু কিছু বিষয় পরবর্তীকালে কার্যকর হবে। আদেশের কোন ধারা কবে কার্যকর হবে তা উল্লেখ থাকবে।
জুলাই সনদের ৮৪টি সংস্কার প্রস্তাব আদেশের পরিশিষ্টে উল্লেখ থাকবে। তবে সেখানে কোনো দলের ভিন্নমতের বিষয় উল্লেখ থাকবে না। শুধু কমিশনের ৮৪টি প্রস্তাব অথবা সিদ্ধান্তের উল্লেখ থাকবে।

কুমিল্লায় পবিত্র কোরআন শরিফ অবমাননার অভিযোগ তুলে শুরু হওয়া সাম্প্রদায়িক উত্তেজনা দেশের বিভিন্ন স্থানে ছড়িয়ে দেওয়ার যে তৎপরতা, তার পেছনে রাজনৈতিক উদ্দেশ্য দেখছেন তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী হাছান মাহমুদ।
১৪ অক্টোবর ২০২১
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের মাধ্যমে নির্বাচিত সরকারের কাছে দায়িত্ব হস্তান্তর করা পর্যন্ত উপদেষ্টা পরিষদ দায়িত্ব পালন করে যাবে এবং তাদের বৈঠকও নিয়মিত অনুষ্ঠিত হবে বলে জানিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার। আজ সোমবার প্রধান উপদেষ্টার দপ্তর থেকে এক বিবৃতিতে সরকারের দায়িত্ব পালনের মেয়াদ স্পষ্ট করা হয়।
১ ঘণ্টা আগে
আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে মোট ৪২ হাজার ৭৬১টি ভোটকেন্দ্র নির্ধারণ করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। এসব কেন্দ্রে মোট ভোটকক্ষের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২ লাখ ৪৪ হাজার ৬৪৯ টি। এর মধ্যে পুরুষদের জন্য ১ লাখ ১৫ হাজার ৩৭টি এবং নারীদের জন্য ১ লাখ ২৯ হাজার ৬০২টি কক্ষ।
১ ঘণ্টা আগে
রাজনৈতিক দল ও বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে কয়েক দফা বৈঠকের পর জুলাই সনদ বাস্তবায়নের উপায় নিয়ে সুপারিশ প্রায় চূড়ান্ত করেছে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন। গণভোটের পর সংবিধান সংস্কার পরিষদে বাস্তবায়ন আদেশ পাস হয়ে গেলে আগামী সংসদেই সংখ্যানুপাতিক প্রতিনিধিত্বের (পিআর) ভিত্তিতে উচ্চকক্ষ গঠনের সুপারিশ থাকতে পারে বলে একাধিক সূত্
১১ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের মাধ্যমে নির্বাচিত সরকারের কাছে দায়িত্ব হস্তান্তর করা পর্যন্ত উপদেষ্টা পরিষদ দায়িত্ব পালন করে যাবে এবং তাদের বৈঠকও নিয়মিত অনুষ্ঠিত হবে বলে জানিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার। আজ সোমবার প্রধান উপদেষ্টার দপ্তর থেকে এক বিবৃতিতে সরকারের দায়িত্ব পালনের মেয়াদ স্পষ্ট করা হয়।
গতকাল রোববার অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা পরিষদের সভা নভেম্বরেই শেষ হয়ে যাবে—বলে তথ্য উপদেষ্টা মাহফুজ আলমের মন্তব্য নিয়ে ‘বিভ্রান্তি সৃষ্টি হওয়ায়’ সরকার এই বিবৃতি দিয়েছে।
বিবৃতিতে বলা হয়, ‘গতকাল ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির মিট দ্য রিপোর্টার্স অনুষ্ঠানে দেওয়া তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা জনাব মাহফুজ আলম উপদেষ্টা পরিষদের কার্যক্রম নিয়ে কিছু মন্তব্য করেছেন যা গণমাধ্যমে প্রকাশিত হবার পর কিছুটা বিভ্রান্তি সৃষ্টি করেছে।’
এতে আরও বলা হয়, ‘বস্তুত, সরকারের গৃহীত সংস্কার ও নীতিমালা প্রণয়নের কাজ নভেম্বরের মধ্যে শেষ করতে হবে এটা সঠিক নয়, বরং সংস্কার কার্যক্রম পূর্ণোদ্যমে চলমান থাকবে। এ ছাড়া, উপদেষ্টা পরিষদ নির্বাচিত সরকারের কাছে দায়িত্ব হস্তান্তর না করা পর্যন্ত নিয়মিত দায়িত্ব পালন করে যাবে এবং উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকও নিয়মিত অনুষ্ঠিত হবে।’
এর আগে, গতকাল তথ্য উপদেষ্টা ডিআরইউতে বলেছিলেন, ‘সংস্কার কমিশন থেকে ২৩টি আশু বাস্তবায়নযোগ্য প্রস্তাব তোলা হয়েছে। মন্ত্রণালয় পর্যালোচনা করে ১৩টি প্রস্তাব বাস্তবায়ন করছে। নভেম্বরে কেবিনেট ক্লোজ হয়ে যাবে, যা করার আগামী মাসের মধ্যে করতে চাই।’

ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের মাধ্যমে নির্বাচিত সরকারের কাছে দায়িত্ব হস্তান্তর করা পর্যন্ত উপদেষ্টা পরিষদ দায়িত্ব পালন করে যাবে এবং তাদের বৈঠকও নিয়মিত অনুষ্ঠিত হবে বলে জানিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার। আজ সোমবার প্রধান উপদেষ্টার দপ্তর থেকে এক বিবৃতিতে সরকারের দায়িত্ব পালনের মেয়াদ স্পষ্ট করা হয়।
গতকাল রোববার অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা পরিষদের সভা নভেম্বরেই শেষ হয়ে যাবে—বলে তথ্য উপদেষ্টা মাহফুজ আলমের মন্তব্য নিয়ে ‘বিভ্রান্তি সৃষ্টি হওয়ায়’ সরকার এই বিবৃতি দিয়েছে।
বিবৃতিতে বলা হয়, ‘গতকাল ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির মিট দ্য রিপোর্টার্স অনুষ্ঠানে দেওয়া তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা জনাব মাহফুজ আলম উপদেষ্টা পরিষদের কার্যক্রম নিয়ে কিছু মন্তব্য করেছেন যা গণমাধ্যমে প্রকাশিত হবার পর কিছুটা বিভ্রান্তি সৃষ্টি করেছে।’
এতে আরও বলা হয়, ‘বস্তুত, সরকারের গৃহীত সংস্কার ও নীতিমালা প্রণয়নের কাজ নভেম্বরের মধ্যে শেষ করতে হবে এটা সঠিক নয়, বরং সংস্কার কার্যক্রম পূর্ণোদ্যমে চলমান থাকবে। এ ছাড়া, উপদেষ্টা পরিষদ নির্বাচিত সরকারের কাছে দায়িত্ব হস্তান্তর না করা পর্যন্ত নিয়মিত দায়িত্ব পালন করে যাবে এবং উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকও নিয়মিত অনুষ্ঠিত হবে।’
এর আগে, গতকাল তথ্য উপদেষ্টা ডিআরইউতে বলেছিলেন, ‘সংস্কার কমিশন থেকে ২৩টি আশু বাস্তবায়নযোগ্য প্রস্তাব তোলা হয়েছে। মন্ত্রণালয় পর্যালোচনা করে ১৩টি প্রস্তাব বাস্তবায়ন করছে। নভেম্বরে কেবিনেট ক্লোজ হয়ে যাবে, যা করার আগামী মাসের মধ্যে করতে চাই।’

কুমিল্লায় পবিত্র কোরআন শরিফ অবমাননার অভিযোগ তুলে শুরু হওয়া সাম্প্রদায়িক উত্তেজনা দেশের বিভিন্ন স্থানে ছড়িয়ে দেওয়ার যে তৎপরতা, তার পেছনে রাজনৈতিক উদ্দেশ্য দেখছেন তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী হাছান মাহমুদ।
১৪ অক্টোবর ২০২১
কমিশনের এক সদস্য বলেন, প্রধান উপদেষ্টা তো কমিশনেরও সভাপতি। আমরা একটি সুপারিশ তৈরি করছি। সেখানে তো তাঁরও মতামত থাকবে। সে জন্য আজকে কমিশন সভাপতির সভাপতিত্বে বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে।
৪৪ মিনিট আগে
আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে মোট ৪২ হাজার ৭৬১টি ভোটকেন্দ্র নির্ধারণ করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। এসব কেন্দ্রে মোট ভোটকক্ষের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২ লাখ ৪৪ হাজার ৬৪৯ টি। এর মধ্যে পুরুষদের জন্য ১ লাখ ১৫ হাজার ৩৭টি এবং নারীদের জন্য ১ লাখ ২৯ হাজার ৬০২টি কক্ষ।
১ ঘণ্টা আগে
রাজনৈতিক দল ও বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে কয়েক দফা বৈঠকের পর জুলাই সনদ বাস্তবায়নের উপায় নিয়ে সুপারিশ প্রায় চূড়ান্ত করেছে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন। গণভোটের পর সংবিধান সংস্কার পরিষদে বাস্তবায়ন আদেশ পাস হয়ে গেলে আগামী সংসদেই সংখ্যানুপাতিক প্রতিনিধিত্বের (পিআর) ভিত্তিতে উচ্চকক্ষ গঠনের সুপারিশ থাকতে পারে বলে একাধিক সূত্
১১ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে মোট ৪২ হাজার ৭৬১টি ভোটকেন্দ্র নির্ধারণ করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। এসব কেন্দ্রে মোট ভোটকক্ষের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২ লাখ ৪৪ হাজার ৬৪৯ টি। এর মধ্যে পুরুষদের জন্য ১ লাখ ১৫ হাজার ৩৭টি এবং নারীদের জন্য ১ লাখ ২৯ হাজার ৬০২টি কক্ষ।
আজ সোমবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনে সাংবাদিকদের এসব তথ্য জানান নির্বাচন কমিশনের (ইসি) সিনিয়র সচিব আখতার আহমেদ।
সচিব আরও জানান, অস্থায়ী ভোটকেন্দ্রের সংখ্যা প্রাথমিকভাবে ১৪টি এবং প্রায় ১২ হাজার অস্থায়ী ভোটকক্ষ থাকবে।

আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে মোট ৪২ হাজার ৭৬১টি ভোটকেন্দ্র নির্ধারণ করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। এসব কেন্দ্রে মোট ভোটকক্ষের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২ লাখ ৪৪ হাজার ৬৪৯ টি। এর মধ্যে পুরুষদের জন্য ১ লাখ ১৫ হাজার ৩৭টি এবং নারীদের জন্য ১ লাখ ২৯ হাজার ৬০২টি কক্ষ।
আজ সোমবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনে সাংবাদিকদের এসব তথ্য জানান নির্বাচন কমিশনের (ইসি) সিনিয়র সচিব আখতার আহমেদ।
সচিব আরও জানান, অস্থায়ী ভোটকেন্দ্রের সংখ্যা প্রাথমিকভাবে ১৪টি এবং প্রায় ১২ হাজার অস্থায়ী ভোটকক্ষ থাকবে।

কুমিল্লায় পবিত্র কোরআন শরিফ অবমাননার অভিযোগ তুলে শুরু হওয়া সাম্প্রদায়িক উত্তেজনা দেশের বিভিন্ন স্থানে ছড়িয়ে দেওয়ার যে তৎপরতা, তার পেছনে রাজনৈতিক উদ্দেশ্য দেখছেন তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী হাছান মাহমুদ।
১৪ অক্টোবর ২০২১
কমিশনের এক সদস্য বলেন, প্রধান উপদেষ্টা তো কমিশনেরও সভাপতি। আমরা একটি সুপারিশ তৈরি করছি। সেখানে তো তাঁরও মতামত থাকবে। সে জন্য আজকে কমিশন সভাপতির সভাপতিত্বে বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে।
৪৪ মিনিট আগে
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের মাধ্যমে নির্বাচিত সরকারের কাছে দায়িত্ব হস্তান্তর করা পর্যন্ত উপদেষ্টা পরিষদ দায়িত্ব পালন করে যাবে এবং তাদের বৈঠকও নিয়মিত অনুষ্ঠিত হবে বলে জানিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার। আজ সোমবার প্রধান উপদেষ্টার দপ্তর থেকে এক বিবৃতিতে সরকারের দায়িত্ব পালনের মেয়াদ স্পষ্ট করা হয়।
১ ঘণ্টা আগে
রাজনৈতিক দল ও বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে কয়েক দফা বৈঠকের পর জুলাই সনদ বাস্তবায়নের উপায় নিয়ে সুপারিশ প্রায় চূড়ান্ত করেছে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন। গণভোটের পর সংবিধান সংস্কার পরিষদে বাস্তবায়ন আদেশ পাস হয়ে গেলে আগামী সংসদেই সংখ্যানুপাতিক প্রতিনিধিত্বের (পিআর) ভিত্তিতে উচ্চকক্ষ গঠনের সুপারিশ থাকতে পারে বলে একাধিক সূত্
১১ ঘণ্টা আগেতানিম আহমেদ, ঢাকা

রাজনৈতিক দল ও বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে কয়েক দফা বৈঠকের পর জুলাই সনদ বাস্তবায়নের উপায় নিয়ে সুপারিশ প্রায় চূড়ান্ত করেছে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন। গণভোটের পর সংবিধান সংস্কার পরিষদে বাস্তবায়ন আদেশ পাস হয়ে গেলে আগামী সংসদেই সংখ্যানুপাতিক প্রতিনিধিত্বের (পিআর) ভিত্তিতে উচ্চকক্ষ গঠনের সুপারিশ থাকতে পারে বলে একাধিক সূত্রে জানা গেছে। নতুন সংসদ নির্ধারিত ২৭০ দিনের মধ্যে সংস্কার বাস্তবায়ন না করলে কী হবে, সে বিষয়েও একটি বিকল্প ভাবা হচ্ছে।
সনদ বাস্তবায়নের উপায় নিয়ে সুপারিশের খসড়া তৈরির কাজ গতকাল রোববার সন্ধ্যা পর্যন্ত ৯০ শতাংশ শেষ হয়েছে বলে কমিশন সূত্রে জানা গেছে। প্রস্তাবিত সময়ের মধ্যে নতুন সংসদ সংস্কার বাস্তবায়ন না করলে করণীয় কী হবে, তা গতকাল রাত বা আজ (সোমবার) সকালের মধ্যে চূড়ান্ত করা হবে। আজ সকালে কমিশনের আবার বৈঠকের মাধ্যমে সুপারিশ চূড়ান্ত করে দুপুরে প্রধান উপদেষ্টার কাছে জমা দেওয়ার পরিকল্পনা আছে।
সনদ বাস্তবায়নে কমিশন সুপারিশের যে রূপরেখা ঠিক করেছে, তাতে প্রথমে গণ-অভ্যুত্থানকে ভিত্তি ধরে প্রথমে ‘জুলাই সনদ বাস্তবায়ন (সংবিধান সংস্কার) আদেশ’ নামে একটি আদেশ জারি করা হবে। তার অধীনে অধ্যাদেশ জারির মাধ্যমে করা হবে গণভোট। একটি নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত (২৭০ দিন বা প্রথম ৯ মাস) আগামী সংসদ কাজ করবে সংবিধান সংস্কার পরিষদ হিসেবে। এ সময়ের মধ্যেই সংবিধান-সংক্রান্ত সংস্কার প্রস্তাবগুলো সংসদে অনুমোদন করা হবে।
কমিশন সূত্র জানায়, বাস্তবায়নের এই পুরো প্রক্রিয়া জুলাই সনদ বাস্তবায়ন আদেশে উল্লেখ থাকবে। আদেশ জারির পর এর কিছু অংশ তাৎক্ষণিকভাবে এবং কিছু কিছু বিষয় পরবর্তী সময়ে কার্যকর হবে। আদেশের কোন ধারা কবে কার্যকর হবে, তা উল্লেখ থাকবে। জুলাই সনদের সর্বসম্মত ৮৪টি সংস্কার প্রস্তাব আদেশের পরিশিষ্টে উল্লেখ থাকবে। সেখানে কোনো দলের ভিন্নমতের উল্লেখ থাকবে না।
জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহসভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ গতকাল সন্ধ্যায় বলেন, ‘আমরা সনদ বাস্তবায়নের সুপারিশ প্রায় চূড়ান্ত করেছি। কমিশন আশা করছে, আগামীকালের (আজ সোমবার) মধ্যে সুপারিশ প্রধান উপদেষ্টার কাছে জমা দেওয়া সম্ভব হবে।’
দ্বিকক্ষের সংসদ নিয়ে অধিকাংশ রাজনৈতিক দল একমত হলেও গঠনপ্রক্রিয়া নিয়ে দ্বিমত আছে। বিএনপিসহ সমমনা কয়েকটি দল নিম্নকক্ষের আসনের অনুপাতে উচ্চকক্ষের আসন বণ্টনের পক্ষে। অন্যদিকে জামায়াত, এনসিপিসহ সংলাপে অংশ নেওয়া বেশির ভাগ দল পিআর ভোটের ভিত্তিতে উচ্চকক্ষের দাবি জানিয়েছে। আবার জামায়াত, ইসলামী আন্দোলনসহ ইসলামপন্থী কয়েকটি দল উভয় কক্ষেই পিআরের ভিত্তিতে ভোট চেয়েছে। একাধিক সূত্র বলছে, বিএনপি পিআরে উচ্চকক্ষ মানলে নিম্নকক্ষের পিআরের দাবি থেকে দলগুলো সরে যাবে। বিষয়টি আদেশে আলাদা করে রাখার পক্ষে মত দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা।
বৈঠক সূত্র জানায়, গণভোটে যদি সনদ বেশি ‘হ্যাঁ’ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়, তাহলে আগামী সংসদে সংখ্যানুপাতিক প্রতিনিধিত্বের (পিআর) ভিত্তিতে উচ্চকক্ষ গঠন বাধ্যতামূলক হবে। সে ক্ষেত্রে বিষয়টি আদেশে আলাদা করে লেখা থাকবে। সংবিধান সংস্কার পরিষদেও সংস্কার প্রস্তাব পাস হলে এর পরের ১৫ দিনের মধ্যে দলগুলো তাদের উচ্চকক্ষের প্রার্থী তালিকা প্রকাশ করবে।
আগামী সংসদ ২৭০ দিনের মধ্যে সনদ বাস্তবায়ন না করলে কী হবে, সে বিষয়ে কমিশন নানা বিকল্প নিয়ে আলোচনা করেছে। গতকাল বিশেষজ্ঞরা মত দিয়েছেন, গণভোটে সংস্কার প্রস্তাবগুলো পাস হলে আগামী সংসদে সেগুলো বাস্তবায়ন করা বাধ্যতামূলক হবে। কমিশন এটিকেই গুরুত্ব দিচ্ছে। এর বাইরে কোনো নিশ্চয়তা বিধান করা যায় কি না, তা-ও কমিশনের বিবেচনায় আছে।
সংসদ বাস্তবায়ন না করলে কী হবে, এমন প্রশ্নের জবাবে এক বিশেষজ্ঞ বলেন, ‘জুলাই সনদ যেহেতু রাজনৈতিক দলিল, তাই নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিরা নির্ধারিত সময়ের মধ্যেই বাস্তবায়ন করবেন বলে আমরা বিশ্বাস করি। রাজনীতিকদের ওপর আমাদের আস্থা ও বিশ্বাস রাখতে হবে।’
কমিশনের পক্ষ থেকে আদেশের সঙ্গে বিকল্প একটি প্রস্তাব দেওয়া হতে পারে বলে সূত্রে জানা গেছে। কমিশন সরকারকে গণভোট নিয়ে একটি আইন তৈরি করতে বলার কথা ভেবেছে। এতে সনদের সংবিধান-সংক্রান্ত প্রস্তাবগুলো থাকবে। সে ক্ষেত্রে সব প্রস্তাবের সমন্বয়ে একটি আইন বানাতে হবে। গণভোটে এটা উঠবে। সমন্বিত আইনটি পাস হয়ে গেলে ২৭০ দিনের মধ্যে সংবিধান পরিষদ পুরো বাস্তবায়ন না করতে পারলেও আইনটি সংবিধানে স্বয়ংক্রিয়ভাবে যুক্ত হয়ে যাবে। তবে কমিশনের এই প্রস্তাবে বিশেষজ্ঞদের সায় নেই বলে জানা গেছে।
এক বিশেষজ্ঞ বলেন, ‘কমিশনের বিকল্প প্রস্তাবে বিষয়টি থাকবে। তবে আইনগত ও রাজনৈতিকভাবে গ্রহণযোগ্য না হওয়ায় আমরা এটা সমর্থন করিনি।’
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, এখন পর্যন্ত ‘জুলাই সনদ বাস্তবায়ন আদেশ অনুমোদন করেন কি না’ এবং ‘সংস্কার প্রস্তাবের বাস্তবায়ন চান কি না’—গণভোটে এ রকম প্রশ্ন রাখার কথা বিবেচনা করছে ঐকমত্য কমিশন। গণভোটে ‘হ্যাঁ’ জয়ী হলে ঐকমত্য কমিশন যেভাবে সংস্কার প্রস্তাব তৈরি করেছে, সেভাবেই বাস্তবায়িত হবে। এখানে কোনো দলের ভিন্নমত গুরুত্ব পাবে না।
গণভোটের বিষয়ে রাজনৈতিক ঐকমত্য থাকলেও গণভোট কবে হবে, এর ভিত্তি কী হবে, ভিন্নমত থাকা প্রস্তাবগুলোর বাস্তবায়ন কীভাবে হবে, এসব ক্ষেত্রে বিএনপি, জামায়াত ও এনসিপির মধ্যে মতবিরোধ আছে। ঐকমত্য কমিশন সূত্র জানায়, গণভোটের দিন-তারিখ কবে হবে এবং জুলাই সনদ বাস্তবায়ন আদেশ রাষ্ট্রপতি, নাকি অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা জারি করবেন, সে সিদ্ধান্ত নেওয়ার ভার সরকারের ওপর ছেড়ে দেওয়া হবে।
জাতীয় ঐকমত্য কমিশন গতকাল তাদের সংসদ ভবনের কার্যালয় থেকে বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে ভার্চুয়াল সভা করে। বিশেষজ্ঞদের মধ্যে যুক্ত হন সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি এম এ মতিন, সুপ্রিম কোর্টের জ্যেষ্ঠ আইনজীবী ড. শরিফ ভূইয়া, ব্যারিস্টার তানিম হোসেইন শাওন। আলোচনায় কমিশনের পক্ষে অংশ নেন সহসভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ, সদস্য ড. বদিউল আলম মজুমদার, বিচারপতি মো. এমদাদুল হক, ড. ইফতেখারুজ্জামান, সফর রাজ হোসেন ও ড. মোহাম্মদ আইয়ুব মিয়া। জাতীয় ঐকমত্য গঠনপ্রক্রিয়ায় যুক্ত প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী মনির হায়দারও সভায় উপস্থিত ছিলেন।

রাজনৈতিক দল ও বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে কয়েক দফা বৈঠকের পর জুলাই সনদ বাস্তবায়নের উপায় নিয়ে সুপারিশ প্রায় চূড়ান্ত করেছে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন। গণভোটের পর সংবিধান সংস্কার পরিষদে বাস্তবায়ন আদেশ পাস হয়ে গেলে আগামী সংসদেই সংখ্যানুপাতিক প্রতিনিধিত্বের (পিআর) ভিত্তিতে উচ্চকক্ষ গঠনের সুপারিশ থাকতে পারে বলে একাধিক সূত্রে জানা গেছে। নতুন সংসদ নির্ধারিত ২৭০ দিনের মধ্যে সংস্কার বাস্তবায়ন না করলে কী হবে, সে বিষয়েও একটি বিকল্প ভাবা হচ্ছে।
সনদ বাস্তবায়নের উপায় নিয়ে সুপারিশের খসড়া তৈরির কাজ গতকাল রোববার সন্ধ্যা পর্যন্ত ৯০ শতাংশ শেষ হয়েছে বলে কমিশন সূত্রে জানা গেছে। প্রস্তাবিত সময়ের মধ্যে নতুন সংসদ সংস্কার বাস্তবায়ন না করলে করণীয় কী হবে, তা গতকাল রাত বা আজ (সোমবার) সকালের মধ্যে চূড়ান্ত করা হবে। আজ সকালে কমিশনের আবার বৈঠকের মাধ্যমে সুপারিশ চূড়ান্ত করে দুপুরে প্রধান উপদেষ্টার কাছে জমা দেওয়ার পরিকল্পনা আছে।
সনদ বাস্তবায়নে কমিশন সুপারিশের যে রূপরেখা ঠিক করেছে, তাতে প্রথমে গণ-অভ্যুত্থানকে ভিত্তি ধরে প্রথমে ‘জুলাই সনদ বাস্তবায়ন (সংবিধান সংস্কার) আদেশ’ নামে একটি আদেশ জারি করা হবে। তার অধীনে অধ্যাদেশ জারির মাধ্যমে করা হবে গণভোট। একটি নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত (২৭০ দিন বা প্রথম ৯ মাস) আগামী সংসদ কাজ করবে সংবিধান সংস্কার পরিষদ হিসেবে। এ সময়ের মধ্যেই সংবিধান-সংক্রান্ত সংস্কার প্রস্তাবগুলো সংসদে অনুমোদন করা হবে।
কমিশন সূত্র জানায়, বাস্তবায়নের এই পুরো প্রক্রিয়া জুলাই সনদ বাস্তবায়ন আদেশে উল্লেখ থাকবে। আদেশ জারির পর এর কিছু অংশ তাৎক্ষণিকভাবে এবং কিছু কিছু বিষয় পরবর্তী সময়ে কার্যকর হবে। আদেশের কোন ধারা কবে কার্যকর হবে, তা উল্লেখ থাকবে। জুলাই সনদের সর্বসম্মত ৮৪টি সংস্কার প্রস্তাব আদেশের পরিশিষ্টে উল্লেখ থাকবে। সেখানে কোনো দলের ভিন্নমতের উল্লেখ থাকবে না।
জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহসভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ গতকাল সন্ধ্যায় বলেন, ‘আমরা সনদ বাস্তবায়নের সুপারিশ প্রায় চূড়ান্ত করেছি। কমিশন আশা করছে, আগামীকালের (আজ সোমবার) মধ্যে সুপারিশ প্রধান উপদেষ্টার কাছে জমা দেওয়া সম্ভব হবে।’
দ্বিকক্ষের সংসদ নিয়ে অধিকাংশ রাজনৈতিক দল একমত হলেও গঠনপ্রক্রিয়া নিয়ে দ্বিমত আছে। বিএনপিসহ সমমনা কয়েকটি দল নিম্নকক্ষের আসনের অনুপাতে উচ্চকক্ষের আসন বণ্টনের পক্ষে। অন্যদিকে জামায়াত, এনসিপিসহ সংলাপে অংশ নেওয়া বেশির ভাগ দল পিআর ভোটের ভিত্তিতে উচ্চকক্ষের দাবি জানিয়েছে। আবার জামায়াত, ইসলামী আন্দোলনসহ ইসলামপন্থী কয়েকটি দল উভয় কক্ষেই পিআরের ভিত্তিতে ভোট চেয়েছে। একাধিক সূত্র বলছে, বিএনপি পিআরে উচ্চকক্ষ মানলে নিম্নকক্ষের পিআরের দাবি থেকে দলগুলো সরে যাবে। বিষয়টি আদেশে আলাদা করে রাখার পক্ষে মত দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা।
বৈঠক সূত্র জানায়, গণভোটে যদি সনদ বেশি ‘হ্যাঁ’ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়, তাহলে আগামী সংসদে সংখ্যানুপাতিক প্রতিনিধিত্বের (পিআর) ভিত্তিতে উচ্চকক্ষ গঠন বাধ্যতামূলক হবে। সে ক্ষেত্রে বিষয়টি আদেশে আলাদা করে লেখা থাকবে। সংবিধান সংস্কার পরিষদেও সংস্কার প্রস্তাব পাস হলে এর পরের ১৫ দিনের মধ্যে দলগুলো তাদের উচ্চকক্ষের প্রার্থী তালিকা প্রকাশ করবে।
আগামী সংসদ ২৭০ দিনের মধ্যে সনদ বাস্তবায়ন না করলে কী হবে, সে বিষয়ে কমিশন নানা বিকল্প নিয়ে আলোচনা করেছে। গতকাল বিশেষজ্ঞরা মত দিয়েছেন, গণভোটে সংস্কার প্রস্তাবগুলো পাস হলে আগামী সংসদে সেগুলো বাস্তবায়ন করা বাধ্যতামূলক হবে। কমিশন এটিকেই গুরুত্ব দিচ্ছে। এর বাইরে কোনো নিশ্চয়তা বিধান করা যায় কি না, তা-ও কমিশনের বিবেচনায় আছে।
সংসদ বাস্তবায়ন না করলে কী হবে, এমন প্রশ্নের জবাবে এক বিশেষজ্ঞ বলেন, ‘জুলাই সনদ যেহেতু রাজনৈতিক দলিল, তাই নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিরা নির্ধারিত সময়ের মধ্যেই বাস্তবায়ন করবেন বলে আমরা বিশ্বাস করি। রাজনীতিকদের ওপর আমাদের আস্থা ও বিশ্বাস রাখতে হবে।’
কমিশনের পক্ষ থেকে আদেশের সঙ্গে বিকল্প একটি প্রস্তাব দেওয়া হতে পারে বলে সূত্রে জানা গেছে। কমিশন সরকারকে গণভোট নিয়ে একটি আইন তৈরি করতে বলার কথা ভেবেছে। এতে সনদের সংবিধান-সংক্রান্ত প্রস্তাবগুলো থাকবে। সে ক্ষেত্রে সব প্রস্তাবের সমন্বয়ে একটি আইন বানাতে হবে। গণভোটে এটা উঠবে। সমন্বিত আইনটি পাস হয়ে গেলে ২৭০ দিনের মধ্যে সংবিধান পরিষদ পুরো বাস্তবায়ন না করতে পারলেও আইনটি সংবিধানে স্বয়ংক্রিয়ভাবে যুক্ত হয়ে যাবে। তবে কমিশনের এই প্রস্তাবে বিশেষজ্ঞদের সায় নেই বলে জানা গেছে।
এক বিশেষজ্ঞ বলেন, ‘কমিশনের বিকল্প প্রস্তাবে বিষয়টি থাকবে। তবে আইনগত ও রাজনৈতিকভাবে গ্রহণযোগ্য না হওয়ায় আমরা এটা সমর্থন করিনি।’
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, এখন পর্যন্ত ‘জুলাই সনদ বাস্তবায়ন আদেশ অনুমোদন করেন কি না’ এবং ‘সংস্কার প্রস্তাবের বাস্তবায়ন চান কি না’—গণভোটে এ রকম প্রশ্ন রাখার কথা বিবেচনা করছে ঐকমত্য কমিশন। গণভোটে ‘হ্যাঁ’ জয়ী হলে ঐকমত্য কমিশন যেভাবে সংস্কার প্রস্তাব তৈরি করেছে, সেভাবেই বাস্তবায়িত হবে। এখানে কোনো দলের ভিন্নমত গুরুত্ব পাবে না।
গণভোটের বিষয়ে রাজনৈতিক ঐকমত্য থাকলেও গণভোট কবে হবে, এর ভিত্তি কী হবে, ভিন্নমত থাকা প্রস্তাবগুলোর বাস্তবায়ন কীভাবে হবে, এসব ক্ষেত্রে বিএনপি, জামায়াত ও এনসিপির মধ্যে মতবিরোধ আছে। ঐকমত্য কমিশন সূত্র জানায়, গণভোটের দিন-তারিখ কবে হবে এবং জুলাই সনদ বাস্তবায়ন আদেশ রাষ্ট্রপতি, নাকি অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা জারি করবেন, সে সিদ্ধান্ত নেওয়ার ভার সরকারের ওপর ছেড়ে দেওয়া হবে।
জাতীয় ঐকমত্য কমিশন গতকাল তাদের সংসদ ভবনের কার্যালয় থেকে বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে ভার্চুয়াল সভা করে। বিশেষজ্ঞদের মধ্যে যুক্ত হন সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি এম এ মতিন, সুপ্রিম কোর্টের জ্যেষ্ঠ আইনজীবী ড. শরিফ ভূইয়া, ব্যারিস্টার তানিম হোসেইন শাওন। আলোচনায় কমিশনের পক্ষে অংশ নেন সহসভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ, সদস্য ড. বদিউল আলম মজুমদার, বিচারপতি মো. এমদাদুল হক, ড. ইফতেখারুজ্জামান, সফর রাজ হোসেন ও ড. মোহাম্মদ আইয়ুব মিয়া। জাতীয় ঐকমত্য গঠনপ্রক্রিয়ায় যুক্ত প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী মনির হায়দারও সভায় উপস্থিত ছিলেন।

কুমিল্লায় পবিত্র কোরআন শরিফ অবমাননার অভিযোগ তুলে শুরু হওয়া সাম্প্রদায়িক উত্তেজনা দেশের বিভিন্ন স্থানে ছড়িয়ে দেওয়ার যে তৎপরতা, তার পেছনে রাজনৈতিক উদ্দেশ্য দেখছেন তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী হাছান মাহমুদ।
১৪ অক্টোবর ২০২১
কমিশনের এক সদস্য বলেন, প্রধান উপদেষ্টা তো কমিশনেরও সভাপতি। আমরা একটি সুপারিশ তৈরি করছি। সেখানে তো তাঁরও মতামত থাকবে। সে জন্য আজকে কমিশন সভাপতির সভাপতিত্বে বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে।
৪৪ মিনিট আগে
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের মাধ্যমে নির্বাচিত সরকারের কাছে দায়িত্ব হস্তান্তর করা পর্যন্ত উপদেষ্টা পরিষদ দায়িত্ব পালন করে যাবে এবং তাদের বৈঠকও নিয়মিত অনুষ্ঠিত হবে বলে জানিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার। আজ সোমবার প্রধান উপদেষ্টার দপ্তর থেকে এক বিবৃতিতে সরকারের দায়িত্ব পালনের মেয়াদ স্পষ্ট করা হয়।
১ ঘণ্টা আগে
আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে মোট ৪২ হাজার ৭৬১টি ভোটকেন্দ্র নির্ধারণ করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। এসব কেন্দ্রে মোট ভোটকক্ষের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২ লাখ ৪৪ হাজার ৬৪৯ টি। এর মধ্যে পুরুষদের জন্য ১ লাখ ১৫ হাজার ৩৭টি এবং নারীদের জন্য ১ লাখ ২৯ হাজার ৬০২টি কক্ষ।
১ ঘণ্টা আগে