আজকের পত্রিকা ডেস্ক
ময়মনসিংহ অঞ্চলে বন্যা পরিস্থিতির অবনতি হচ্ছে দিন দিন। গতকাল মঙ্গলবার ভোর থেকে সকাল ৮টা পর্যন্ত টানা বৃষ্টি হওয়ায় ময়মনসিংহের হালুয়াঘাট, ধোবাউড়া ও ফুলপুর উপজেলার বন্যা পরিস্থিতির আরও অবনতি হয়েছে। এ ছাড়া নেত্রকোনার সদর ও বারহাট্টা উপজেলার ৪-৫টি ইউনিয়নের ১০-১২টি গ্রাম নতুন করে প্লাবিত হয়েছে। অনেক ঘরবাড়িতে পানি প্রবেশ করেছে। তবে পানি কমেছে শেরপুরে।
কয়েক ঘণ্টার টানা বৃষ্টিতে ময়মনসিংহের হালুয়াঘাট, ধোবাউড়া ও ফুলপুর উপজেলায় অন্তত ২৫টি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। টানা পাঁচ দিনের পানিতে ভোগান্তি বেড়েছে মানুষের। পানিবন্দী হয়ে আছে দুই লক্ষাধিক মানুষ। জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা মো. সানোয়ার হোসেন বলেন, গতকাল ভোর থেকে বৃষ্টি হওয়ায় বন্যা পরিস্থিতির কিছুটা অবনতি হয়েছে। কংস ও নিতাই নদের পানি কিছুটা বৃদ্ধি পেয়েছে।
অন্তত ২৫টি গ্রাম নতুন করে প্লাবিত হয়েছে। তিনি আরও বলেন, হালুয়াঘাট, ধোবাউড়া ও ফুলপুর উপজেলার বন্যাকবলিত এলাকার প্রাথমিক ও মাধ্যমিক বিদ্যালয়গুলোকে আশ্রয়কেন্দ্র হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে। আশ্রয়কেন্দ্রগুলোতে নারী, শিশুসহ কয়েক শ মানুষ উঠেছে। তাদের শুকনা খাবার ও বিশুদ্ধ পানির ব্যবস্থা করা হয়েছে।
ফুলপুরের পরিস্থিতি তুলে ধরে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) এ বি এম আরিফুল ইসলাম বলেন, সকালের কয়েক ঘণ্টার বৃষ্টিতে নতুন করে উপজেলার বালিয়া ইউনিয়নসহ চারটি ইউনিয়ন প্লাবিত হয়েছে। এতে নতুন করে আক্রান্ত হয়েছে ১৬টি গ্রাম।
নেত্রকোনার দুর্গাপুরে ঢলের পানিতে ডুবে রুসমত খান (৬০) নামের এক ব্যক্তি মারা গেছেন। গত সোমবার দুপুরে উপজেলার গাঁওকান্দিয়া ইউনিয়নের শ্রীপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। গতকাল সড়কের পাশে তাঁকে দাফন করা হয়েছে। এই জেলার সদর ও বারহাট্টা উপজেলার ৪ থেকে ৫টি ইউনিয়নের ১০-১২টি গ্রাম নতুন করে প্লাবিত হয়েছে।
পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) নির্বাহী প্রকৌশলী সারোয়ার জাহান জানান, বৃষ্টি ও ঢলের পানিতে জেলায় ২২ হাজার ৬৪১ হেক্টর জমির আমন ধান পানিতে তলিয়ে গেছে। ১৭৭ হেক্টর জমির শীতকালীন সবজি নষ্ট হয়েছে বলে জানায় কৃষি বিভাগ। ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ আরও বাড়তে পারে বলে জানান তিনি।
সরেজমিন ঘুরে সদর উপজেলার বাইশধার গ্রামে গিয়ে দেখা যায়, বাড়ির উঠানের ওপর দিয়ে যাচ্ছে ঢলের পানির স্রোত। গরু-বাছুর নিয়ে এক ঘরে বসবাস করছে কয়েকটি পরিবার। বাইশধার গ্রামের সিরাজুল ইসলাম ফকির বলেন, ‘৫ একর জমির আমন ধান পানিতে তলিয়ে সব শেষ। রান্নাঘর পানির নিচে, গতকাল থেকে খাওয়াদাওয়া বন্ধ। গোয়ালে পানি, গরু-বাছুর নিয়ে বিপদে আছি। এখন পর্যন্ত আমাদের কেউ খবর নেয়নি।’
গত দুদিন শেরপুরে ভারী বৃষ্টি না হওয়ায় এবং প্রধান নদ-নদীর পানি কমতে শুরু করায় জেলার সার্বিক বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি হয়েছে। তবে এখনো পানিবন্দী রয়েছে নিম্নাঞ্চলের অনেক পরিবার। দুর্ভোগে রয়েছেন পানিবন্দী এলাকার বাসিন্দারা। এ ছাড়া সোমবার নকলায় রাহিম (৫) ও নালিতাবাড়ীতে জিমি আক্তার (৮) নামের দুই শিশুর মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে জেলার নালিতাবাড়ী, ঝিনাইগাতী ও নকলা উপজেলায় গত ৫ দিনে বন্যার পানিতে মৃত্যুর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১১ জনে।
চলতি বন্যায় কৃষি খাতে অন্তত ৫০০ কোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। আর মৎস্য খাতে ক্ষতি হয়েছে প্রায় ১০০ কোটি টাকা। কৃষি বিভাগ ও মৎস্য বিভাগের তথ্যমতে, বন্যায় জেলার ৪৭ হাজার হেক্টর আবাদি জমির আমন ধান ঢলের পানিতে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এ ছাড়া ১ হাজার হেক্টর জমির সবজির আবাদ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। মাছের ঘের তলিয়ে গেছে ৬ হাজার ৭১টি। এতে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ সরকারি হিসাবে প্রায় ৭১ কোটি হলেও তা ১০০ কোটি টাকা ছাড়িয়ে যাবে বলে জানিয়েছেন ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তিরা। সব মিলিয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন জেলার অন্তত পৌনে দুই লাখ কৃষক।
এদিকে পানি নেমে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে প্লাবিত অধিকাংশ এলাকার ঘরবাড়ির বিধ্বস্ত রূপ ভেসে উঠছে। পানি কমলেও বন্যাদুর্গত এলাকায় সাধারণ মানুষের দুর্ভোগ বেড়েছে। এলাকাগুলোর বেশির ভাগ সড়ক ভেঙে গেছে। দুর্গত এলাকাগুলোতে দেখা দিয়েছে খাবার ও সুপেয় পানির সংকট।
ময়মনসিংহ অঞ্চলে বন্যা পরিস্থিতির অবনতি হচ্ছে দিন দিন। গতকাল মঙ্গলবার ভোর থেকে সকাল ৮টা পর্যন্ত টানা বৃষ্টি হওয়ায় ময়মনসিংহের হালুয়াঘাট, ধোবাউড়া ও ফুলপুর উপজেলার বন্যা পরিস্থিতির আরও অবনতি হয়েছে। এ ছাড়া নেত্রকোনার সদর ও বারহাট্টা উপজেলার ৪-৫টি ইউনিয়নের ১০-১২টি গ্রাম নতুন করে প্লাবিত হয়েছে। অনেক ঘরবাড়িতে পানি প্রবেশ করেছে। তবে পানি কমেছে শেরপুরে।
কয়েক ঘণ্টার টানা বৃষ্টিতে ময়মনসিংহের হালুয়াঘাট, ধোবাউড়া ও ফুলপুর উপজেলায় অন্তত ২৫টি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। টানা পাঁচ দিনের পানিতে ভোগান্তি বেড়েছে মানুষের। পানিবন্দী হয়ে আছে দুই লক্ষাধিক মানুষ। জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা মো. সানোয়ার হোসেন বলেন, গতকাল ভোর থেকে বৃষ্টি হওয়ায় বন্যা পরিস্থিতির কিছুটা অবনতি হয়েছে। কংস ও নিতাই নদের পানি কিছুটা বৃদ্ধি পেয়েছে।
অন্তত ২৫টি গ্রাম নতুন করে প্লাবিত হয়েছে। তিনি আরও বলেন, হালুয়াঘাট, ধোবাউড়া ও ফুলপুর উপজেলার বন্যাকবলিত এলাকার প্রাথমিক ও মাধ্যমিক বিদ্যালয়গুলোকে আশ্রয়কেন্দ্র হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে। আশ্রয়কেন্দ্রগুলোতে নারী, শিশুসহ কয়েক শ মানুষ উঠেছে। তাদের শুকনা খাবার ও বিশুদ্ধ পানির ব্যবস্থা করা হয়েছে।
ফুলপুরের পরিস্থিতি তুলে ধরে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) এ বি এম আরিফুল ইসলাম বলেন, সকালের কয়েক ঘণ্টার বৃষ্টিতে নতুন করে উপজেলার বালিয়া ইউনিয়নসহ চারটি ইউনিয়ন প্লাবিত হয়েছে। এতে নতুন করে আক্রান্ত হয়েছে ১৬টি গ্রাম।
নেত্রকোনার দুর্গাপুরে ঢলের পানিতে ডুবে রুসমত খান (৬০) নামের এক ব্যক্তি মারা গেছেন। গত সোমবার দুপুরে উপজেলার গাঁওকান্দিয়া ইউনিয়নের শ্রীপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। গতকাল সড়কের পাশে তাঁকে দাফন করা হয়েছে। এই জেলার সদর ও বারহাট্টা উপজেলার ৪ থেকে ৫টি ইউনিয়নের ১০-১২টি গ্রাম নতুন করে প্লাবিত হয়েছে।
পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) নির্বাহী প্রকৌশলী সারোয়ার জাহান জানান, বৃষ্টি ও ঢলের পানিতে জেলায় ২২ হাজার ৬৪১ হেক্টর জমির আমন ধান পানিতে তলিয়ে গেছে। ১৭৭ হেক্টর জমির শীতকালীন সবজি নষ্ট হয়েছে বলে জানায় কৃষি বিভাগ। ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ আরও বাড়তে পারে বলে জানান তিনি।
সরেজমিন ঘুরে সদর উপজেলার বাইশধার গ্রামে গিয়ে দেখা যায়, বাড়ির উঠানের ওপর দিয়ে যাচ্ছে ঢলের পানির স্রোত। গরু-বাছুর নিয়ে এক ঘরে বসবাস করছে কয়েকটি পরিবার। বাইশধার গ্রামের সিরাজুল ইসলাম ফকির বলেন, ‘৫ একর জমির আমন ধান পানিতে তলিয়ে সব শেষ। রান্নাঘর পানির নিচে, গতকাল থেকে খাওয়াদাওয়া বন্ধ। গোয়ালে পানি, গরু-বাছুর নিয়ে বিপদে আছি। এখন পর্যন্ত আমাদের কেউ খবর নেয়নি।’
গত দুদিন শেরপুরে ভারী বৃষ্টি না হওয়ায় এবং প্রধান নদ-নদীর পানি কমতে শুরু করায় জেলার সার্বিক বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি হয়েছে। তবে এখনো পানিবন্দী রয়েছে নিম্নাঞ্চলের অনেক পরিবার। দুর্ভোগে রয়েছেন পানিবন্দী এলাকার বাসিন্দারা। এ ছাড়া সোমবার নকলায় রাহিম (৫) ও নালিতাবাড়ীতে জিমি আক্তার (৮) নামের দুই শিশুর মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে জেলার নালিতাবাড়ী, ঝিনাইগাতী ও নকলা উপজেলায় গত ৫ দিনে বন্যার পানিতে মৃত্যুর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১১ জনে।
চলতি বন্যায় কৃষি খাতে অন্তত ৫০০ কোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। আর মৎস্য খাতে ক্ষতি হয়েছে প্রায় ১০০ কোটি টাকা। কৃষি বিভাগ ও মৎস্য বিভাগের তথ্যমতে, বন্যায় জেলার ৪৭ হাজার হেক্টর আবাদি জমির আমন ধান ঢলের পানিতে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এ ছাড়া ১ হাজার হেক্টর জমির সবজির আবাদ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। মাছের ঘের তলিয়ে গেছে ৬ হাজার ৭১টি। এতে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ সরকারি হিসাবে প্রায় ৭১ কোটি হলেও তা ১০০ কোটি টাকা ছাড়িয়ে যাবে বলে জানিয়েছেন ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তিরা। সব মিলিয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন জেলার অন্তত পৌনে দুই লাখ কৃষক।
এদিকে পানি নেমে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে প্লাবিত অধিকাংশ এলাকার ঘরবাড়ির বিধ্বস্ত রূপ ভেসে উঠছে। পানি কমলেও বন্যাদুর্গত এলাকায় সাধারণ মানুষের দুর্ভোগ বেড়েছে। এলাকাগুলোর বেশির ভাগ সড়ক ভেঙে গেছে। দুর্গত এলাকাগুলোতে দেখা দিয়েছে খাবার ও সুপেয় পানির সংকট।
বিএনপি, জাতীয় পার্টি, জামায়াতসহ ২৯টি নিবন্ধিত রাজনৈতিক দল নির্ধারিত সময়ে ২০২৪ পঞ্জিকা বছরের আয় ও ব্যয়ের হিসাব নির্বাচন কমিশনে (ইসি) জমা দিয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার ইসির জনসংযোগ পরিচালক মো. শরিফুল আলম এ তথ্য জানান।
১ ঘণ্টা আগেসরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের জন্য বরাদ্দ হওয়া খালি বাসা ১০ দিনের মধ্যে ‘দখল’ নিতে হবে। এই অনুরোধ জানিয়ে আজ বৃহস্পতিবার (৩১ জুলাই) গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয় থেকে একটি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়েছে।
২ ঘণ্টা আগেআইনসভার উভয় কক্ষের (জাতীয় সংসদ ও উচকক্ষ) সদস্যদের গোপন ভোটে সংখ্যাগরিষ্ঠতার ভিত্তিতে রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের বিষয়ে রাজনৈতিক দলগুলো একমত হয়েছে। আজ বুধবার ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের দ্বিতীয় ধাপের ২৩তম দিনের সংলাপে দুপুরের বিরতির পরে আলোচনার জন্য উপস্থাপন করলে এ
২ ঘণ্টা আগেপ্রতিবেদনে বলা হয়, চলতি মাসে ফেনী, কক্সবাজার, দিনাজপুর, চাঁপাইনবাবগঞ্জ, সিলেট, সুনামগঞ্জ, সাতক্ষীরা, কুড়িগ্রাম, ঝিনাইদহ, মেহেরপুর, মৌলভীবাজার, শেরপুর, হবিগঞ্জ, খাগড়াছড়ি, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, পঞ্চগড়, ঠাকুরগাঁও, জামালপুর ও লালমনিরহাট জেলার বিভিন্ন সীমান্তবর্তী এলাকা দিয়ে ধাপে ধাপে অন্তত ১ হাজার ৫৬২ জনকে
৩ ঘণ্টা আগে