ভাঙ্গা-বরিশাল মহাসড়ক
তৌফিকুল ইসলাম, ঢাকা
ফরিদপুরের ভাঙ্গা থেকে বরিশাল পর্যন্ত চার লেনের মহাসড়ক নির্মাণ আটকে আছে জমি অধিগ্রহণ শেষ না হওয়ায়। ২০১৮ সালে জমি অধিগ্রহণ প্রকল্প নেওয়া হলেও গত সাত বছরেও শেষ হয়নি সেই কাজ। ফলে মহাসড়ক নির্মাণকাজ শুরুর সময় নিয়ে তৈরি হয়েছে সংশয়।
ভাঙ্গা-রবিশাল চার লেন মহাসড়কের জন্য জমি অধিগ্রহণ ২০২৩ সালে শেষ করার কথা ছিল। পরে ২০২৪ সালের জুন পর্যন্ত মেয়াদ বাড়ানো হলেও কাজ শেষ হয়নি। এবার জমি অধিগ্রহণ কাজের মেয়াদ আরও দুই বছর বাড়িয়ে ২০২৬ সালের জুন পর্যন্ত করার প্রস্তাব করা হয়। জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভায় গত ৭ মে মেয়াদ বাড়ানোর বিষয়টি অনুমোদন হয়েছে বলে সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তরের (সওজ) সূত্র জানিয়েছে।
জানতে চাইলে সওজের বরিশাল বিভাগের অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী ও প্রকল্প পরিচালক মো. রেজাউল করিম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘জমি অধিগ্রহণ কাজের মেয়াদ ২০২৬ সালের জুন পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে। আমরা চেষ্টা করছি জমি অধিগ্রহণের কাজ সময়ের মধ্যে দ্রুত শেষ করার। পাশাপাশি মহাসড়ক নির্মাণকাজের জন্য দাতা সংস্থাও খোঁজা হচ্ছে। যদি পাওয়া যায়, তাহলে নির্মাণকাজ এগিয়ে নেওয়া যাবে। তবে মহাসড়ক নির্মাণে ব্যয় কেমন হবে, সেটা এখনই বলা যাচ্ছে না।’
ভাঙ্গা-বরিশাল-কুয়াকাটা মহাসড়ক চার লেন করার দাবি বরিশালবাসীর দীর্ঘদিনের। এই দাবিতে দক্ষিণাঞ্চলে আন্দোলন হচ্ছে। এই মহাসড়কের কাজ দ্রুত শেষ করার দাবিতে সম্প্রতি বিভিন্ন পেশাজীবী, রাজনৈতিক ও সামাজিক সংগঠনের অংশগ্রহণে বরিশাল ও ঢাকায় মানববন্ধন হয়েছে।
প্রকল্প সূত্র বলেছে, প্রকল্প শুরুর পর করোনা মহামারির সময়ে কোনো কাজ হয়নি। বিদেশি পরামর্শক দিয়ে শুরুতে একটি অ্যালাইনমেন্ট করে নেওয়া হয়েছিল। কিন্তু ওই অ্যালাইনমেন্ট ধরে মাঠপর্যায়ে জমি অধিগ্রহণের কাজ শুরু করতে গেলে তাতে গরমিল দেখা দেয়। পরে সওজ নিজে নতুন অ্যালাইনমেন্ট তৈরি করে। এসব কারণে প্রকল্পের কাজ পিছিয়ে গেছে।
এশীয় উন্নয়ন ব্যাংকের (এডিবি) সহায়তায় ২১১ কিলোমিটার ঢাকা-বরিশাল-কুয়াকাটা জাতীয় মহাসড়ক ছয় লেনে উন্নীত করার লক্ষ্যে একটি সম্ভাব্যতা সমীক্ষা হয়। ২০১৮ সালে ভূমি অধিগ্রহণ প্রকল্পে ১ হাজার ৮৬৭ কোটি টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়। এই টাকা দিচ্ছে বাংলাদেশ সরকার।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ভাঙ্গা-বরিশাল মহাসড়কটি যাবে ফরিদপুর, মাদারীপুর হয়ে বরিশালে। এই মহাসড়ক নির্মাণে তিন জেলায় ১৫২ একর জমি অধিগ্রহণ করতে হবে। এর মধ্যে বরিশাল অংশে ৫১ একর, মাদারীপুর অংশে ৩১ একর এবং ফরিদপুর অংশে ৭০ একর জমি অধিগ্রহণ করতে হবে। তবে এই সাত বছরে প্রকল্প কর্তৃপক্ষ বরিশালে ২৬ একর এবং মাদারীপুরে ১২ একর জমি বুঝে পেয়েছে। বরিশালে ২৫ একর এবং মাদারীপুরে ১৯ একর জমির অধিগ্রহণ প্রক্রিয়াধীন। ফরিদপুরে কোনো জমি বুঝে পাননি প্রকল্পসংশ্লিষ্টরা।
প্রকল্পের কর্মকর্তারা জানান, প্রকল্পে ভূমি অধিগ্রহণ (এলএ) কেস আছে মোট ১৫টি। পাঁচটি এলএ কেসের মাধ্যমে জমি বুঝে পাওয়া গেছে। বাকি ১০টির যৌথ সার্ভে রিপোর্ট জমার পর্যায়ে রয়েছে। জমি অধিগ্রহণ কাজের মোট অগ্রগতি হয়েছে ৪০ শতাংশ। সওজ ও জেলা প্রশাসক (ডিসি) কার্যালয়ে জনবল কম থাকায় জমি অধিগ্রহণের কাজ বাধাগ্রস্ত হয়। কাজের গতি কম।
পদ্মা সেতু চালুর পর ভাঙ্গা-বরিশাল-কুয়াকাটা মহাসড়ক ছয় লেনে উন্নীত করার কথা বলা হয়েছিল। তবে পদ্মা সেতু চালুর তিন বছর পেরিয়ে গেলেও জমি অধিগ্রহণের কাজ শেষ না হওয়ায় আটকে আছে প্রকল্পের কাজ। এদিকে মহাসড়কে কয়েক গুণ বৈধ, অবৈধ যানবাহন বাড়ায় যানজট ও দুর্ঘটনা বাড়ছে। তবে প্রকল্পসংশ্লিষ্টরা বলছেন, আপাতত এই মহাসড়ক চার লেন করার চিন্তা করা হচ্ছে এবং বরিশাল পর্যন্ত জমি অধিগ্রহণ করা হবে। অর্থাৎ পটুয়াখালী-কুয়াকাটা মহাসড়ক এর সঙ্গে হচ্ছে না।
যোগাযোগ বিশেষজ্ঞ ও বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) পুরকৌশল বিভাগের অধ্যাপক মো. হাদিউজ্জামান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমাদের দেশে জমি অধিগ্রহণ প্রক্রিয়া একটি জটিল কাজ। বেশির ভাগ প্রকল্পই বাধাগ্রস্ত হচ্ছে জমি অধিগ্রহণ জটিলতায়। এটিকে সহজ করতে জমি অধিগ্রহণের কাজ ডিসি অফিসের ঘাড়ে না দিয়ে প্রকল্প কর্তৃপক্ষকেই দিতে হবে, তাহলে কাজটি দ্রুত হবে। এ ছাড়া প্রকল্পের কাজের আমলাতান্ত্রিক জটিলতা কমিয়ে আনতে হবে। পদ্মা সেতু হওয়ার পর দক্ষিণাঞ্চলে যানবাহন বাড়লেও মহাসড়কের প্রশস্ততা বাড়েনি।’
আরও খবর পড়ুন:
ফরিদপুরের ভাঙ্গা থেকে বরিশাল পর্যন্ত চার লেনের মহাসড়ক নির্মাণ আটকে আছে জমি অধিগ্রহণ শেষ না হওয়ায়। ২০১৮ সালে জমি অধিগ্রহণ প্রকল্প নেওয়া হলেও গত সাত বছরেও শেষ হয়নি সেই কাজ। ফলে মহাসড়ক নির্মাণকাজ শুরুর সময় নিয়ে তৈরি হয়েছে সংশয়।
ভাঙ্গা-রবিশাল চার লেন মহাসড়কের জন্য জমি অধিগ্রহণ ২০২৩ সালে শেষ করার কথা ছিল। পরে ২০২৪ সালের জুন পর্যন্ত মেয়াদ বাড়ানো হলেও কাজ শেষ হয়নি। এবার জমি অধিগ্রহণ কাজের মেয়াদ আরও দুই বছর বাড়িয়ে ২০২৬ সালের জুন পর্যন্ত করার প্রস্তাব করা হয়। জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভায় গত ৭ মে মেয়াদ বাড়ানোর বিষয়টি অনুমোদন হয়েছে বলে সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তরের (সওজ) সূত্র জানিয়েছে।
জানতে চাইলে সওজের বরিশাল বিভাগের অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী ও প্রকল্প পরিচালক মো. রেজাউল করিম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘জমি অধিগ্রহণ কাজের মেয়াদ ২০২৬ সালের জুন পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে। আমরা চেষ্টা করছি জমি অধিগ্রহণের কাজ সময়ের মধ্যে দ্রুত শেষ করার। পাশাপাশি মহাসড়ক নির্মাণকাজের জন্য দাতা সংস্থাও খোঁজা হচ্ছে। যদি পাওয়া যায়, তাহলে নির্মাণকাজ এগিয়ে নেওয়া যাবে। তবে মহাসড়ক নির্মাণে ব্যয় কেমন হবে, সেটা এখনই বলা যাচ্ছে না।’
ভাঙ্গা-বরিশাল-কুয়াকাটা মহাসড়ক চার লেন করার দাবি বরিশালবাসীর দীর্ঘদিনের। এই দাবিতে দক্ষিণাঞ্চলে আন্দোলন হচ্ছে। এই মহাসড়কের কাজ দ্রুত শেষ করার দাবিতে সম্প্রতি বিভিন্ন পেশাজীবী, রাজনৈতিক ও সামাজিক সংগঠনের অংশগ্রহণে বরিশাল ও ঢাকায় মানববন্ধন হয়েছে।
প্রকল্প সূত্র বলেছে, প্রকল্প শুরুর পর করোনা মহামারির সময়ে কোনো কাজ হয়নি। বিদেশি পরামর্শক দিয়ে শুরুতে একটি অ্যালাইনমেন্ট করে নেওয়া হয়েছিল। কিন্তু ওই অ্যালাইনমেন্ট ধরে মাঠপর্যায়ে জমি অধিগ্রহণের কাজ শুরু করতে গেলে তাতে গরমিল দেখা দেয়। পরে সওজ নিজে নতুন অ্যালাইনমেন্ট তৈরি করে। এসব কারণে প্রকল্পের কাজ পিছিয়ে গেছে।
এশীয় উন্নয়ন ব্যাংকের (এডিবি) সহায়তায় ২১১ কিলোমিটার ঢাকা-বরিশাল-কুয়াকাটা জাতীয় মহাসড়ক ছয় লেনে উন্নীত করার লক্ষ্যে একটি সম্ভাব্যতা সমীক্ষা হয়। ২০১৮ সালে ভূমি অধিগ্রহণ প্রকল্পে ১ হাজার ৮৬৭ কোটি টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়। এই টাকা দিচ্ছে বাংলাদেশ সরকার।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ভাঙ্গা-বরিশাল মহাসড়কটি যাবে ফরিদপুর, মাদারীপুর হয়ে বরিশালে। এই মহাসড়ক নির্মাণে তিন জেলায় ১৫২ একর জমি অধিগ্রহণ করতে হবে। এর মধ্যে বরিশাল অংশে ৫১ একর, মাদারীপুর অংশে ৩১ একর এবং ফরিদপুর অংশে ৭০ একর জমি অধিগ্রহণ করতে হবে। তবে এই সাত বছরে প্রকল্প কর্তৃপক্ষ বরিশালে ২৬ একর এবং মাদারীপুরে ১২ একর জমি বুঝে পেয়েছে। বরিশালে ২৫ একর এবং মাদারীপুরে ১৯ একর জমির অধিগ্রহণ প্রক্রিয়াধীন। ফরিদপুরে কোনো জমি বুঝে পাননি প্রকল্পসংশ্লিষ্টরা।
প্রকল্পের কর্মকর্তারা জানান, প্রকল্পে ভূমি অধিগ্রহণ (এলএ) কেস আছে মোট ১৫টি। পাঁচটি এলএ কেসের মাধ্যমে জমি বুঝে পাওয়া গেছে। বাকি ১০টির যৌথ সার্ভে রিপোর্ট জমার পর্যায়ে রয়েছে। জমি অধিগ্রহণ কাজের মোট অগ্রগতি হয়েছে ৪০ শতাংশ। সওজ ও জেলা প্রশাসক (ডিসি) কার্যালয়ে জনবল কম থাকায় জমি অধিগ্রহণের কাজ বাধাগ্রস্ত হয়। কাজের গতি কম।
পদ্মা সেতু চালুর পর ভাঙ্গা-বরিশাল-কুয়াকাটা মহাসড়ক ছয় লেনে উন্নীত করার কথা বলা হয়েছিল। তবে পদ্মা সেতু চালুর তিন বছর পেরিয়ে গেলেও জমি অধিগ্রহণের কাজ শেষ না হওয়ায় আটকে আছে প্রকল্পের কাজ। এদিকে মহাসড়কে কয়েক গুণ বৈধ, অবৈধ যানবাহন বাড়ায় যানজট ও দুর্ঘটনা বাড়ছে। তবে প্রকল্পসংশ্লিষ্টরা বলছেন, আপাতত এই মহাসড়ক চার লেন করার চিন্তা করা হচ্ছে এবং বরিশাল পর্যন্ত জমি অধিগ্রহণ করা হবে। অর্থাৎ পটুয়াখালী-কুয়াকাটা মহাসড়ক এর সঙ্গে হচ্ছে না।
যোগাযোগ বিশেষজ্ঞ ও বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) পুরকৌশল বিভাগের অধ্যাপক মো. হাদিউজ্জামান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমাদের দেশে জমি অধিগ্রহণ প্রক্রিয়া একটি জটিল কাজ। বেশির ভাগ প্রকল্পই বাধাগ্রস্ত হচ্ছে জমি অধিগ্রহণ জটিলতায়। এটিকে সহজ করতে জমি অধিগ্রহণের কাজ ডিসি অফিসের ঘাড়ে না দিয়ে প্রকল্প কর্তৃপক্ষকেই দিতে হবে, তাহলে কাজটি দ্রুত হবে। এ ছাড়া প্রকল্পের কাজের আমলাতান্ত্রিক জটিলতা কমিয়ে আনতে হবে। পদ্মা সেতু হওয়ার পর দক্ষিণাঞ্চলে যানবাহন বাড়লেও মহাসড়কের প্রশস্ততা বাড়েনি।’
আরও খবর পড়ুন:
বিভিন্ন পর্যায়ের ২৬৫ জন বিচারককে বদলি করা হয়েছে। আজ সোমবার আইন মন্ত্রণালয় থেকে পৃথক প্রজ্ঞাপনে এসব তথ্য জানানো হয়। বদলি হওয়া বিচারকদের মধ্যে সহকারী ও সিনিয়র সহকারী জজ পদমর্যাদার ১৬২ জন, জেলা ও দায়রা জজ ৩০ জন, অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ ৩৮ জন ও যুগ্ম জেলা ও দায়রা জজ ২৩ জন।
২ ঘণ্টা আগেগাজীপুরের কাপাসিয়ায় অবস্থিত সরকারি শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ ডিগ্রি কলেজের নাম পরিবর্তন করা হয়েছে। এ নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ব্যাপক সমালোচনা হচ্ছে। এর মধ্যে অন্তর্বর্তী সরকারের সংস্কৃতি উপদেষ্টা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী জানালেন, কলেজ নাম পরিবর্তন হচ্ছে না। এ বিষয়ে এরই মধ্যে শিক্ষা উপদেষ্টা পদক্ষেপ নিয়েছে
৬ ঘণ্টা আগেধর্ম মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, চলতি বছর বাংলাদেশ থেকে হজে গিয়েছেন ব্যবস্থাপনা সদস্যসহ ৮৭ হাজার ১৫৭ জন যাত্রী। এদের মধ্যে হজযাত্রী রয়েছেন ৮৬ হাজার ৯৪৬ জন। এ বছর আজ সোমবার পর্যন্ত হজে ১৭ জন বাংলাদেশি হাজির মৃত্যু হয়েছে। এদের মধ্যে পুরুষ ১৬ জন এবং নারী একজন।
৬ ঘণ্টা আগেরাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের দ্বিতীয় ধাপের সংলাপ শুরু হয়েছে আজ সোমবার। রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে দ্বিতীয় ধাপের সংলাপের উদ্বোধন করেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। সেখানে তিনি বলেন, সংলাপের আলোচনার বিষয়বস্তুগুলোর মধ্যে অনেকগুলো বিষয়ে ‘সবাই ঐকমত্যের কাছাকাছি’।
৭ ঘণ্টা আগে