মো. হুমায়ূন কবীর, ঢাকা
ফিঙ্গারপ্রিন্ট বা আঙুলের ছাপ না মিললে জাতীয় পরিচয়পত্রের (এনআইডি) সেবা পেতে ব্যাপক ভোগান্তি পোহাতে হয়। এ পরিস্থিতিতে নাগরিকেরা নির্বাচন কমিশনের (ইসি) দ্বারস্থ হচ্ছেন। কেউ কেউ ইসিতে নতুন করে ফিঙ্গারপ্রিন্ট দিয়ে এই সমস্যার সমাধান করছেন। যাঁদের ফিঙ্গারপ্রিন্ট কোনোভাবেই আর নেওয়া যাচ্ছে না, তাঁদের ইসি থেকে প্রত্যয়নপত্র বা এনওসি দেওয়া হয়। যা দেখিয়ে তাঁরা কাঙ্ক্ষিত সেবা নিতে পারেন।
জানা যায়, ফিঙ্গারপ্রিন্ট দিয়ে দেশবাসী মোবাইল ফোনের সিম কেনা, পাসপোর্ট ও ড্রাইভিং লাইসেন্স করা ও বিদেশে যাতায়াত করতে পারেন। কিন্তু ইসির সার্ভারে ফিঙ্গারপ্রিন্ট আপলোড না হওয়ায় অনেককে সমস্যায় পড়তে হচ্ছে। এ ছাড়া বয়স বৃদ্ধি, রোগাক্রান্ত হওয়া ও হাত দিয়ে ভারী কাজ করেন—এমন পেশার লোকেরা ফিঙ্গারপ্রিন্ট না মেলার সংকটের মুখোমুখি হচ্ছেন।
ইসির কর্মকর্তা সূত্রে জানা গেছে, ফিঙ্গারপ্রিন্ট সমস্যা নিয়ে প্রতিদিন কেউ না কেউ ইসিতে আসছেন। এদের বেশির ভাগ বয়স্ক। তবে এ সংকটে পড়া তরুণের সংখ্যাও কম নয়।
সম্প্রতি আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনে এই প্রতিবেদকের সঙ্গে কথা হয় প্রত্যয়নপত্র নিতে গুলশান এলাকা থেকে আসা বিলকিস আরার সঙ্গে। ষাটোর্ধ্ব বিলকিস আরা আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘মোবাইল ফোনের সিম কিনতে গেলে দোকানি বলেন, হাতের আঙুলের ছাপ মিলছে না। তারপর অনেক প্রক্রিয়া। নির্বাচন কমিশনে এসে আবার আঙুলের ছাপ দেওয়ার চেষ্টা করেছি। কিন্তু মেশিনে ছাপ নেয়নি। তাই প্রত্যয়নপত্র নিতে এসেছি। যেহেতু আঙুলের ছাপ পাওয়া যাচ্ছে না। তাই এটি দিয়েই এখন কাজ করতে হবে।’
সম্প্রতি একই ধরনের সেবা নিতে ইসিতে আসেন ফরিদপুরের আশিকুজ্জামান (৩৭)। তিনিও মোবাইল ফোনের সিম কিনতে গিয়ে জানতে পারেন তাঁর আঙুলের ছাপ কাজ করছে না। পরে তিনি নির্বাচন কমিশনে যোগাযোগ করে নতুন করে আঙুলের ছাপ দেন। পুনরায় আঙুলের ছাপ দিতে বেগ পেতে হয়েছে জানিয়ে আশিকুজ্জামান বলেন, হাত ধুয়ে, স্যানিটাইজ করে প্রায় ৩০ মিনিট সময় লেগেছে পুনরায় আঙুলের ছাপ দিতে।
সম্প্রতি ইসি থেকে প্রত্যয়নপত্র নেন প্রায় ৮৫ বছর বয়সী হামিদা নুর চৌধুরী। ইসি থেকে তাঁকে দেওয়া প্রত্যয়নপত্রে উল্লেখ করা হয়েছে, চর্মরোগ ও বয়স বৃদ্ধিজনিত কারণে আঙুলের ছাপ নিম্নমানের। তাই একাধিকবার চেষ্টা করেও তাঁর আঙুলের ছাপ আপডেট করা সম্ভব হয়নি। ডেটাবেইসে সংশ্লিষ্ট ভোটারের এনআইডি নম্বরটি সঠিক এবং সচল রয়েছে।
ইসির সংশ্লিষ্ট সূত্র জানান, পুনরায় ফিঙ্গারপ্রিন্ট না নিতে পারায় ইসি থেকে চলতি বছরের ৩১ আগস্ট পর্যন্ত কমবেশি ৮০০ জনকে প্রত্যয়নপত্র দেওয়া হয়েছে। নির্বাচন কমিশনের বৈধ ও সঠিকতা যাচাইকরণ শাখা থেকে এ প্রত্যয়নপত্র দেওয়া হয়। এই সময়ে আগারগাঁও নির্বাচন ভবনে এসে ফিঙ্গারপ্রিন্ট ও চোখের আইরিশের প্রতিচ্ছবি দিয়েছেন কমবেশি ১১ হাজার ৭০০ জন।
আঙুলের ছাপ না মেলার কারণে অনেকের সেবা না পাওয়ার বিষয়ে জানতে চাইলে জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন অনুবিভাগের মহাপরিচালক এ এস এম হুমায়ুন কবীর আজকের পত্রিকা'কে বলেন, কারও আঙুলের ছাপ না মিললে তাঁকে পুনরায় তা দিতে হবে। কোনো কারণে যদি তাঁর আঙুলের ছাপ না নেওয়া যায়, তখন তাঁকে প্রত্যয়নপত্র দেওয়া হয়। যাতে তিনি এ-সংক্রান্ত সেবা থেকে বঞ্চিত না হন।
আরও খবর পড়ুন:
ফিঙ্গারপ্রিন্ট বা আঙুলের ছাপ না মিললে জাতীয় পরিচয়পত্রের (এনআইডি) সেবা পেতে ব্যাপক ভোগান্তি পোহাতে হয়। এ পরিস্থিতিতে নাগরিকেরা নির্বাচন কমিশনের (ইসি) দ্বারস্থ হচ্ছেন। কেউ কেউ ইসিতে নতুন করে ফিঙ্গারপ্রিন্ট দিয়ে এই সমস্যার সমাধান করছেন। যাঁদের ফিঙ্গারপ্রিন্ট কোনোভাবেই আর নেওয়া যাচ্ছে না, তাঁদের ইসি থেকে প্রত্যয়নপত্র বা এনওসি দেওয়া হয়। যা দেখিয়ে তাঁরা কাঙ্ক্ষিত সেবা নিতে পারেন।
জানা যায়, ফিঙ্গারপ্রিন্ট দিয়ে দেশবাসী মোবাইল ফোনের সিম কেনা, পাসপোর্ট ও ড্রাইভিং লাইসেন্স করা ও বিদেশে যাতায়াত করতে পারেন। কিন্তু ইসির সার্ভারে ফিঙ্গারপ্রিন্ট আপলোড না হওয়ায় অনেককে সমস্যায় পড়তে হচ্ছে। এ ছাড়া বয়স বৃদ্ধি, রোগাক্রান্ত হওয়া ও হাত দিয়ে ভারী কাজ করেন—এমন পেশার লোকেরা ফিঙ্গারপ্রিন্ট না মেলার সংকটের মুখোমুখি হচ্ছেন।
ইসির কর্মকর্তা সূত্রে জানা গেছে, ফিঙ্গারপ্রিন্ট সমস্যা নিয়ে প্রতিদিন কেউ না কেউ ইসিতে আসছেন। এদের বেশির ভাগ বয়স্ক। তবে এ সংকটে পড়া তরুণের সংখ্যাও কম নয়।
সম্প্রতি আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনে এই প্রতিবেদকের সঙ্গে কথা হয় প্রত্যয়নপত্র নিতে গুলশান এলাকা থেকে আসা বিলকিস আরার সঙ্গে। ষাটোর্ধ্ব বিলকিস আরা আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘মোবাইল ফোনের সিম কিনতে গেলে দোকানি বলেন, হাতের আঙুলের ছাপ মিলছে না। তারপর অনেক প্রক্রিয়া। নির্বাচন কমিশনে এসে আবার আঙুলের ছাপ দেওয়ার চেষ্টা করেছি। কিন্তু মেশিনে ছাপ নেয়নি। তাই প্রত্যয়নপত্র নিতে এসেছি। যেহেতু আঙুলের ছাপ পাওয়া যাচ্ছে না। তাই এটি দিয়েই এখন কাজ করতে হবে।’
সম্প্রতি একই ধরনের সেবা নিতে ইসিতে আসেন ফরিদপুরের আশিকুজ্জামান (৩৭)। তিনিও মোবাইল ফোনের সিম কিনতে গিয়ে জানতে পারেন তাঁর আঙুলের ছাপ কাজ করছে না। পরে তিনি নির্বাচন কমিশনে যোগাযোগ করে নতুন করে আঙুলের ছাপ দেন। পুনরায় আঙুলের ছাপ দিতে বেগ পেতে হয়েছে জানিয়ে আশিকুজ্জামান বলেন, হাত ধুয়ে, স্যানিটাইজ করে প্রায় ৩০ মিনিট সময় লেগেছে পুনরায় আঙুলের ছাপ দিতে।
সম্প্রতি ইসি থেকে প্রত্যয়নপত্র নেন প্রায় ৮৫ বছর বয়সী হামিদা নুর চৌধুরী। ইসি থেকে তাঁকে দেওয়া প্রত্যয়নপত্রে উল্লেখ করা হয়েছে, চর্মরোগ ও বয়স বৃদ্ধিজনিত কারণে আঙুলের ছাপ নিম্নমানের। তাই একাধিকবার চেষ্টা করেও তাঁর আঙুলের ছাপ আপডেট করা সম্ভব হয়নি। ডেটাবেইসে সংশ্লিষ্ট ভোটারের এনআইডি নম্বরটি সঠিক এবং সচল রয়েছে।
ইসির সংশ্লিষ্ট সূত্র জানান, পুনরায় ফিঙ্গারপ্রিন্ট না নিতে পারায় ইসি থেকে চলতি বছরের ৩১ আগস্ট পর্যন্ত কমবেশি ৮০০ জনকে প্রত্যয়নপত্র দেওয়া হয়েছে। নির্বাচন কমিশনের বৈধ ও সঠিকতা যাচাইকরণ শাখা থেকে এ প্রত্যয়নপত্র দেওয়া হয়। এই সময়ে আগারগাঁও নির্বাচন ভবনে এসে ফিঙ্গারপ্রিন্ট ও চোখের আইরিশের প্রতিচ্ছবি দিয়েছেন কমবেশি ১১ হাজার ৭০০ জন।
আঙুলের ছাপ না মেলার কারণে অনেকের সেবা না পাওয়ার বিষয়ে জানতে চাইলে জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন অনুবিভাগের মহাপরিচালক এ এস এম হুমায়ুন কবীর আজকের পত্রিকা'কে বলেন, কারও আঙুলের ছাপ না মিললে তাঁকে পুনরায় তা দিতে হবে। কোনো কারণে যদি তাঁর আঙুলের ছাপ না নেওয়া যায়, তখন তাঁকে প্রত্যয়নপত্র দেওয়া হয়। যাতে তিনি এ-সংক্রান্ত সেবা থেকে বঞ্চিত না হন।
আরও খবর পড়ুন:
‘জুলাই জাতীয় সনদ ২০২৫’ স্বাক্ষরকে বাংলাদেশের রাজনৈতিক ঐক্য ও শাসনব্যবস্থা সংস্কারের পথে এক বিশাল অগ্রগতি হিসেবে অভিহিত করেছেন বাংলাদেশে নিযুক্ত ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) রাষ্ট্রদূত মাইকেল মিলার। তিনি মন্তব্য করেছেন, এই সনদ ২০২৬ সালের সাধারণ নির্বাচনের প্রস্তুতির প্রক্রিয়াকে আরও এক ধাপ এগিয়ে দিয়েছে।
২ ঘণ্টা আগেদীর্ঘ সাত মাসের আলোচনায় কোথাও মতৈক্য এসেছে, আবার কোথাও থেকে গেছে মতানৈক্য। এসব মত-দ্বিমত, দোলাচলের মধ্যেই তৈরি হয় জুলাই জাতীয় সনদ। রাজনৈতিক দলগুলোর মতপার্থক্যের কারণে সনদে স্বাক্ষর সম্ভব হবে কি না, তা নিয়ে অনিশ্চয়তা ছিল শেষ দিন পর্যন্ত।
১৪ ঘণ্টা আগেজাতীয় ঐকমত্যের বহুল প্রতীক্ষিত ‘জুলাই সনদ’ স্বাক্ষর সম্পন্ন হয়েছে। আজ শুক্রবার বিকেল ৫টার দিকে জাতীয় সংসদের এলডি হলে এ স্বাক্ষর অনুষ্ঠিত হয়।
১৭ ঘণ্টা আগেসিপিবি-বাসদসহ চারটি বামপন্থী দলের আপত্তির পর জুলাই জাতীয় সনদ–২০২৫-এ পরিবর্তন আনা হয়েছে। এর ফলে সংবিধান থেকে স্বাধীনতার ঘোষণাপত্র বাদ পড়ছে না। স্বাক্ষর শেষে রাজনৈতিক দল ও আমন্ত্রিত অতিথিদের দেওয়া জুলাই সনদে বিষয়টি উল্লেখ করেছে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন।
১৭ ঘণ্টা আগে