Ajker Patrika

‘সরকারি চাকরিজীবীদের ৯০ শতাংশ দুর্নীতিতে জড়িত, কারও বাড়ি, কারও সোনার দোকান’ 

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
আপডেট : ২৯ জুন ২০২৪, ২১: ৪১
Thumbnail image

সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ৯০ শতাংশ দুর্নীতিতে জড়িত বলে দাবি করেছেন জাতীয় পার্টির সংসদ সদস্য হাফিজ উদ্দিন আহম্মেদ। তিনি বলেছেন, ‘কাস্টমসে যাঁরা চাকরি করেন, তাঁদের প্রত্যেকের ঢাকা শহরে দুইটা-তিনটা বাড়ি। বন বিভাগে যাঁরা চাকরি করেন তাঁদের দুইটা-তিনটা করে সোনার দোকান। প্রধানমন্ত্রী যদি পদক্ষেপ নেন তাহলে দুর্নীতি রোধ করতে পারব। না হলে যে হারে লাগামহীনভাবে বড় বড় কর্মকর্তা-কর্মচারীরা দুর্নীতি করছেন, আমরা কী করব? আমরা অসহায়। অনেক সরকারি কর্মকর্তা আছেন তাঁরা অসহায়। কারণ, এখানে ৯০ শতাংশ লোকই ওইদিকে (দুর্নীতি), ১০-১৫ শতাংশ লোক ভালো থেকে কী করবে?’ 

আজ শনিবার জাতীয় সংসদের অর্থবিলের ওপর সংশোধনীর আলোচনায় অংশ নিয়ে এসব কথা বলেন হাফিজ উদ্দিন আহম্মেদ। 

নির্বাচনের সময় হলফনামা দিতে হয় বলে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘নির্বাচনের সময় আমার কী সম্পদ আছে, তা হলফনামায় দিয়ে থাকি। তারপর পাঁচ বছর পরে নির্বাচনে আবার হলফনামা দিই। সেখানে সম্পত্তি কত বাড়ল, এক শ গুণ না পাঁচ শ গুণ বাড়ল তা পত্রিকায় নিউজ হয়। আমাদের আমলানামা চলে আসে।’ 

হাফিজ উদ্দিন আহম্মেদ বলেন, ‘কিন্তু সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারী যাঁরা প্রথমে চাকরিতে ঢোকেন, তাহলে তাঁরা যদি হলফনামা দিতেন, তারপর পাঁচ বছর-দশ বছর হলফনামা দিতে এবং তাঁদের আলোচনা-সমালোচনা হতো, তাহলে দুর্নীতির চাবিটা বন্ধ হতো। না হলে বন্ধ হবে না।’ 

তিনি বলেন, ‘সরকার অনেক প্রশংসা পেয়েছে। কিন্তু শুধু দুর্নীতি বন্ধ করতে পারলে সোনার অক্ষরে যেভাবে ইতিহাসে বঙ্গবন্ধুর নাম রয়েছে, প্রধানমন্ত্রীর নামও সেভাবে লেখা থাকবে। পদক্ষেপ নিলে দুর্নীতি রোধ সম্ভব হবে। এমপি সাহেবদের যেভাবে আমলনামা আছে, প্রত্যেক সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের আমলনামা তৈরি করা হয়, তাহলে মনে হয় দুর্নীতি রোধ করা যাবে।’

এমপিদের নির্বাচনী এলাকায় কোনো কার্যালয় নেই বলে উল্লেখ করে জাতীয় পার্টির সংসদ সদস্য হাফিজ উদ্দিন আহম্মেদ বলেন, ‘আমার বাড়ি যে উপজেলায় সেখানে বাড়িকে অফিস হিসেবে ব্যবহার করি। কিন্তু আরেক উপজেলায় বসার জায়গাও নেই। ইউএনও সাহেবের পাশে টেবিল নিয়ে বসতে হয়। এ জন্য প্রতিটি নির্বাচনী এলাকায় এমপিদের জন্য অফিস করে দেওয়ার অনুরোধ করছি।’ 

হাফিজ উদ্দিন বলেন, নির্বাচনী এলাকায় অনেক সালিস-বিচার করতে হয়। অনেক সমস্যার সমাধান দিতে হয়। এলজিডিসহ বিভিন্ন বিভাগের সঙ্গে বসতে হয়। সে জন্য অফিস থাকলে ভালো হয়।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত