অনলাইন ডেস্ক
নির্বাচন কমিশনের কোনো ভুল হলে সংবাদ না করে কমিশনকে অবহিত করার অনুরোধ জানিয়েছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দীন। আজ রোববার রাজধানীর আগারগাঁওয়ের নির্বাচনী প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটে (ইটিআই) ভোটার তালিকা হালনাগাদ কর্মসূচি উপলক্ষে ‘প্রশিক্ষকদের প্রশিক্ষণ’ অনুষ্ঠানের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এ আহ্বান জানান তিনি।
প্রধান নির্বাচন কমিশনার বলেন, ‘কেউ ভুলের ঊর্ধ্বে নয়। আমাদের কোনো ভুল হলে নিউজ না করে আমাদের জানাবেন। আমরা তা ঠিক করে নেব। নিউজ করে সবাইকে জানানোর কী দরকার। নিউজ হলে অনেকে সে বিষয়ে প্রশ্ন করবে। আমরা সেসব প্রশ্নের উত্তর দেব নাকি কাজ করব?’
সিইসি এ এম এম নাসির উদ্দীন বলেন, ‘সুষ্ঠু, অবাধ ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন আয়োজনই বর্তমান ইসির মূল লক্ষ্য। ভোটারদের বঞ্চনা ঘোচাতে চাই। আমাদের কমিটমেন্ট হচ্ছে—একটা ফ্রি, ফেয়ার, ক্রেডিবল ইলেকশন জাতিকে উপহার দেওয়া। যেটা এত দিন জাতি বঞ্চিত হয়েছে। আমি প্রায়ই বলি—আমাদের যারা বঞ্চিত কর্মকর্তারা জনপ্রশাসনে যাচ্ছে, আন্দোলন করছে, তাদের বঞ্চনার তথ্য তুলে ধরছে। দেশের ১৮ কোটি বঞ্চিত মানুষ কোথায় যাবে?’
সিইসি নাসির উদ্দিন বলেন, ‘ভোটের অধিকার থেকে বঞ্চিত ১৮ কোটি মানুষ। তাঁরা আসবে আমাদের কাছে, তাঁদের এ বঞ্চনার দুঃখ বলার জন্য আমরা আছি। আমরা দায়িত্ব নিয়েছি—ইনশা আল্লাহ তাঁদের বঞ্চনা যেন ঘোচাতে পারি। তাঁরা যে বঞ্চিত হয়েছে, সে ভোটার অধিকার থেকে বঞ্চিত হয়েছে, সেটা ঘোচাতে চাই। বঞ্চনার কষ্ট দূর করতে চাই। আমাদের কমিটমেন্টে অটল আছি। সবার সহযোগিতা চাই।’
এ সময় ২০ জানুয়ারি থেকে বাড়ি বাড়ি গিয়ে নতুন ভোটার তথ্য সংগ্রহের এ কাজে সবার সহযোগিতা চান প্রধান নির্বাচন কমিশনার। ধাপে ধাপে প্রশিক্ষকদের প্রশিক্ষণ দেওয়ার পর ধাপে ধাপে পৌনে এক লাখ লোকবল এ কর্মসূচির আওতায় আনা হবে।
প্রধান নির্বাচন কমিশনার বলেন, ‘ক্রিটিক্যাল টাইমে নতুন সরকার ক্ষমতা নিয়েছে। বিশেষ পরিস্থিতিতে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার দায়িত্ব নিয়েছে, আমরাও ক্রান্তিকালীন সময়ের একটা নির্বাচন কমিশন। দেশবাসীর প্রত্যাশা সরকারের কাছেও বেশি, আমাদের কাছেও বেশি। ১৫টি সংস্কার কমিশন হয়েছে। ... অতীতকে বদলে বর্তমান বিদ্যমান চাহিদার সঙ্গে খাপ খায় এমন সংস্কার হয়, পুনর্গঠিত হয়। সংস্কার প্রতিবেদন অনুযায়ী আইনকানুনে বিভিন্ন জায়গায় হাত দিতে হবে। সে লক্ষ্যে কাজ করছি। পুরোনো মনমানসিকতা থেকে বেরিয়ে আসতে হবে।’
‘সব সংস্কারের বড় সংস্কার নিজের আত্মাকে সংস্কার করা’ মন্তব্য করে এ এম এম নাসির উদ্দীন বলেন, ‘মন-মগজ সংস্কার না হলে আখেরে ভালো কিছু বয়ে আনবে না। আমাদের মন মানসিকতায় সংস্কার আনতে হবে।’
১৯৯৬ সালের তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলের সংস্কারকাজের অনেক কিছুই বাস্তবায়ন না হওয়ার বিষয়টিও তুলে ধরেন সিইসি। তিনি বলেন, ‘এবারের তো আমাদের চারদিকে যে চিন্তাভাবনা দেখছি, যে প্রেসার, রিফর্মস মানে রিফর্মস প্রপোজাল নয়। এগ্রিড প্রপোজালগুলো বাস্তবায়নের জন্য সরকারের তরফ থেকে দেখতে পাচ্ছি। সরকার চাচ্ছে, যেগুলোকে ঐকমত্য হবে সেগুলো মোটামুটিভাবে অধিকাংশ বাস্তবায়ন করা যায় সে জন্য কাজ করছে। আমাদের এখানেও নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কার কমিশন রয়েছে। তারা যে সুপারিশ দেবে তাতেও আমাদের বিধিবিধান আইন-কানুনে পরিবর্তন আনতে হবে।’
আরও পড়ুন:
নির্বাচন কমিশনের কোনো ভুল হলে সংবাদ না করে কমিশনকে অবহিত করার অনুরোধ জানিয়েছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দীন। আজ রোববার রাজধানীর আগারগাঁওয়ের নির্বাচনী প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটে (ইটিআই) ভোটার তালিকা হালনাগাদ কর্মসূচি উপলক্ষে ‘প্রশিক্ষকদের প্রশিক্ষণ’ অনুষ্ঠানের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এ আহ্বান জানান তিনি।
প্রধান নির্বাচন কমিশনার বলেন, ‘কেউ ভুলের ঊর্ধ্বে নয়। আমাদের কোনো ভুল হলে নিউজ না করে আমাদের জানাবেন। আমরা তা ঠিক করে নেব। নিউজ করে সবাইকে জানানোর কী দরকার। নিউজ হলে অনেকে সে বিষয়ে প্রশ্ন করবে। আমরা সেসব প্রশ্নের উত্তর দেব নাকি কাজ করব?’
সিইসি এ এম এম নাসির উদ্দীন বলেন, ‘সুষ্ঠু, অবাধ ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন আয়োজনই বর্তমান ইসির মূল লক্ষ্য। ভোটারদের বঞ্চনা ঘোচাতে চাই। আমাদের কমিটমেন্ট হচ্ছে—একটা ফ্রি, ফেয়ার, ক্রেডিবল ইলেকশন জাতিকে উপহার দেওয়া। যেটা এত দিন জাতি বঞ্চিত হয়েছে। আমি প্রায়ই বলি—আমাদের যারা বঞ্চিত কর্মকর্তারা জনপ্রশাসনে যাচ্ছে, আন্দোলন করছে, তাদের বঞ্চনার তথ্য তুলে ধরছে। দেশের ১৮ কোটি বঞ্চিত মানুষ কোথায় যাবে?’
সিইসি নাসির উদ্দিন বলেন, ‘ভোটের অধিকার থেকে বঞ্চিত ১৮ কোটি মানুষ। তাঁরা আসবে আমাদের কাছে, তাঁদের এ বঞ্চনার দুঃখ বলার জন্য আমরা আছি। আমরা দায়িত্ব নিয়েছি—ইনশা আল্লাহ তাঁদের বঞ্চনা যেন ঘোচাতে পারি। তাঁরা যে বঞ্চিত হয়েছে, সে ভোটার অধিকার থেকে বঞ্চিত হয়েছে, সেটা ঘোচাতে চাই। বঞ্চনার কষ্ট দূর করতে চাই। আমাদের কমিটমেন্টে অটল আছি। সবার সহযোগিতা চাই।’
এ সময় ২০ জানুয়ারি থেকে বাড়ি বাড়ি গিয়ে নতুন ভোটার তথ্য সংগ্রহের এ কাজে সবার সহযোগিতা চান প্রধান নির্বাচন কমিশনার। ধাপে ধাপে প্রশিক্ষকদের প্রশিক্ষণ দেওয়ার পর ধাপে ধাপে পৌনে এক লাখ লোকবল এ কর্মসূচির আওতায় আনা হবে।
প্রধান নির্বাচন কমিশনার বলেন, ‘ক্রিটিক্যাল টাইমে নতুন সরকার ক্ষমতা নিয়েছে। বিশেষ পরিস্থিতিতে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার দায়িত্ব নিয়েছে, আমরাও ক্রান্তিকালীন সময়ের একটা নির্বাচন কমিশন। দেশবাসীর প্রত্যাশা সরকারের কাছেও বেশি, আমাদের কাছেও বেশি। ১৫টি সংস্কার কমিশন হয়েছে। ... অতীতকে বদলে বর্তমান বিদ্যমান চাহিদার সঙ্গে খাপ খায় এমন সংস্কার হয়, পুনর্গঠিত হয়। সংস্কার প্রতিবেদন অনুযায়ী আইনকানুনে বিভিন্ন জায়গায় হাত দিতে হবে। সে লক্ষ্যে কাজ করছি। পুরোনো মনমানসিকতা থেকে বেরিয়ে আসতে হবে।’
‘সব সংস্কারের বড় সংস্কার নিজের আত্মাকে সংস্কার করা’ মন্তব্য করে এ এম এম নাসির উদ্দীন বলেন, ‘মন-মগজ সংস্কার না হলে আখেরে ভালো কিছু বয়ে আনবে না। আমাদের মন মানসিকতায় সংস্কার আনতে হবে।’
১৯৯৬ সালের তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলের সংস্কারকাজের অনেক কিছুই বাস্তবায়ন না হওয়ার বিষয়টিও তুলে ধরেন সিইসি। তিনি বলেন, ‘এবারের তো আমাদের চারদিকে যে চিন্তাভাবনা দেখছি, যে প্রেসার, রিফর্মস মানে রিফর্মস প্রপোজাল নয়। এগ্রিড প্রপোজালগুলো বাস্তবায়নের জন্য সরকারের তরফ থেকে দেখতে পাচ্ছি। সরকার চাচ্ছে, যেগুলোকে ঐকমত্য হবে সেগুলো মোটামুটিভাবে অধিকাংশ বাস্তবায়ন করা যায় সে জন্য কাজ করছে। আমাদের এখানেও নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কার কমিশন রয়েছে। তারা যে সুপারিশ দেবে তাতেও আমাদের বিধিবিধান আইন-কানুনে পরিবর্তন আনতে হবে।’
আরও পড়ুন:
ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগের আমলে দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অর্ধেকের বেশি সংসদ সদস্য (এমপি) নির্বাচিত হয়েছিলেন বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় বা বিনা ভোটে। ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারি ভোট গ্রহণের আগেই তাঁদের বিজয় নিশ্চিত করেছিল আওয়ামী লীগের ক্ষমতায় বহাল থাকা। বিনা ভোটে এমপি হওয়ার সুযোগ আর রাখতে চায় না বর্তমান...
৮ ঘণ্টা আগেদেশের থানাগুলোতে ৫ মাস ধরে প্রতি মাসে ১ হাজার ৮০০-এর বেশি নারী ও শিশু নির্যাতনের মামলা হয়েছে। সেই হিসাবে দিনে ৬০টি এবং প্রতি ২৪ মিনিটে একটি মামলা হয়েছে। নারী ও শিশু নির্যাতনের অনেক ঘটনায়ই মামলা হয় না—এই বাস্তবতা বিবেচনায় নিলে অপরাধের প্রকৃত মাত্রা সম্পর্কে কিছুটা ধারণা পাওয়া যায়।
৯ ঘণ্টা আগেগোপালগঞ্জে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) কর্মসূচি ঘিরে হতাহতের ঘটনায় নিন্দা এবং সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ তদন্তের দাবি জানিয়ে বিবৃতি দিয়েছেন শিক্ষক, আইনজীবী, মানবাধিকারকর্মীসহ ২১ বিশিষ্ট নাগরিক। আজ শনিবার (১৯ জুলাই) গণমাধ্যমে এই বিবৃতি পাঠানো হয়।
১৩ ঘণ্টা আগেসম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে একটি পোস্টে দাবি করা হয়েছে, বাংলাদেশ সেনাবাহিনী একটি রাজনৈতিক দলকে তাদের কর্মসূচির জন্য বাস সরবরাহ করেছে। বিষয়টি সম্পূর্ণ মিথ্যা, বিভ্রান্তিকর ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বলে মন্তব্য করেছে আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর)।
১৫ ঘণ্টা আগে