বাংলাদেশের পার্বত্য চট্টগ্রামে চলমান ঘটনাবলির পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকার সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্কের অবনমন চায় ভারতীয় চাকমারা। একই সঙ্গে নিউইয়র্কে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান ড. ইউনূসের সঙ্গে সাক্ষাৎ না করতে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে অনুরোধ করেছেন তাঁরা। এ বিষয়ে দেশটির চাকমা নেতারা মোদিকে স্মারকলিপিও দিয়েছেন। ভারতীয় সংবাদমাধ্যম টাইমস অব ইন্ডিয়ার প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
মোদির কাছে পেশ করা স্মারকলিপিতে ভারতীয় চাকমা সম্প্রদায়ের নেতারা বলেন, পার্বত্য চট্টগ্রাম আদিবাসীদের ওপর বাংলাদেশ সেনাবাহিনী এবং সমতল থেকে যাওয়া অবৈধভাবে বসতি স্থাপনকারীরা সংগঠিতভাবে হামলা চালাচ্ছে। স্মারকলিপিতে তাঁরা বলেন, ‘খাগড়াছড়িতে অন্তত ৯জন নিরীহ আদিবাসীকে গুলি করে হত্যা করা হয়েছে এবং ডজন ডজন আহত হয়েছে এবং দীঘিনালা সদরে শতাধিক বাড়ি ও দোকান পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে।’ তবে এ তথ্য তাঁরা কোথা থেকে পেয়েছেন সে বিষয়ে কোনো তথ্য দেননি।
স্মারকলিপিতে স্বাক্ষর করেন ভারতের চাকমা উন্নয়ন ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা সুহাস চাকমা, মিজোরামের বিধায়ক এবং চাকমা স্বায়ত্তশাসিত জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা রাশিক মোহন চাকমা, মিজোরামের সাবেক মন্ত্রী ও ভারতের জাতীয় তফসিলি উপজাতি কমিশনের সদস্য নিরুপম চাকমা, ত্রিপুরা উপজাতি এলাকা স্বায়ত্তশাসিত জেলা পরিষদের সদস্য বিমল চাকমা; মানবতা সুরক্ষা ফোরামের সভাপতি এবং ত্রিপুরা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক গৌতম চাকমা, চাকমা হাজং রাইটস অ্যালায়েন্সের আহ্বায়ক প্রীতিময় চাকমা ও অল আসাম চাকমা সোসাইটির সভাপতি আশুতোষ চাকমা।
বাংলাদেশি সংবাদমাধ্যম প্রথম আলোর বরাত দিয়ে স্মারকলিপিতে বলা হয়, সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকারের পতনের পর গত ৫ থেকে ২০ আগস্ট পর্যন্ত সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের অন্তত ১ হাজার ৯০টি বাড়ি, ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান ও উপাসনালয়ে হামলা হয়েছে। নেতারা বলেন, পাহাড়ি জনগণের গণতান্ত্রিক পরিসরের ক্রমবর্ধমান ব্যবহার প্রতিহত করতে এবং পার্বত্য চট্টগ্রাম থেকে পাহাড়ি জনগোষ্ঠীকে তাড়ানোর লক্ষ্যে এ হামলা চালানো হচ্ছে।
স্মারকলিপিতে নেতারা দাবি করেন, ১৯৭৯ থেকে ১৯৮৩ সাল পর্যন্ত সাবেক প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান পাহাড়ি অঞ্চলে বাংলাদেশি বাঙালিদের বাসস্থানের ব্যবস্থা করেন, যেন সেখানে বাঙালি জনসংখ্যা বৃদ্ধি পায়। এই মুহূর্তে পাহাড়ে উপজাতি ও বাঙালির সংখ্যা প্রায় সমান। তাঁরা আরও দাবি করেছেন, পূর্বে চট্টগ্রামের পাহাড়ি অঞ্চলের জনসংখ্যার ৯৮ দশমিক ৫ শতাংশ অমুসলিম হলেও বেঙ্গল বাউন্ডারি কমিশন ১৯৪৭ সালে দেশভাগের সময় এই অঞ্চলকে পাকিস্তানের অন্তর্ভুক্ত করে, যা ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধের পর বাংলাদেশের অংশ হয়।
আরও খবর পড়ুন:
বাংলাদেশের পার্বত্য চট্টগ্রামে চলমান ঘটনাবলির পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকার সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্কের অবনমন চায় ভারতীয় চাকমারা। একই সঙ্গে নিউইয়র্কে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান ড. ইউনূসের সঙ্গে সাক্ষাৎ না করতে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে অনুরোধ করেছেন তাঁরা। এ বিষয়ে দেশটির চাকমা নেতারা মোদিকে স্মারকলিপিও দিয়েছেন। ভারতীয় সংবাদমাধ্যম টাইমস অব ইন্ডিয়ার প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
মোদির কাছে পেশ করা স্মারকলিপিতে ভারতীয় চাকমা সম্প্রদায়ের নেতারা বলেন, পার্বত্য চট্টগ্রাম আদিবাসীদের ওপর বাংলাদেশ সেনাবাহিনী এবং সমতল থেকে যাওয়া অবৈধভাবে বসতি স্থাপনকারীরা সংগঠিতভাবে হামলা চালাচ্ছে। স্মারকলিপিতে তাঁরা বলেন, ‘খাগড়াছড়িতে অন্তত ৯জন নিরীহ আদিবাসীকে গুলি করে হত্যা করা হয়েছে এবং ডজন ডজন আহত হয়েছে এবং দীঘিনালা সদরে শতাধিক বাড়ি ও দোকান পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে।’ তবে এ তথ্য তাঁরা কোথা থেকে পেয়েছেন সে বিষয়ে কোনো তথ্য দেননি।
স্মারকলিপিতে স্বাক্ষর করেন ভারতের চাকমা উন্নয়ন ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা সুহাস চাকমা, মিজোরামের বিধায়ক এবং চাকমা স্বায়ত্তশাসিত জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা রাশিক মোহন চাকমা, মিজোরামের সাবেক মন্ত্রী ও ভারতের জাতীয় তফসিলি উপজাতি কমিশনের সদস্য নিরুপম চাকমা, ত্রিপুরা উপজাতি এলাকা স্বায়ত্তশাসিত জেলা পরিষদের সদস্য বিমল চাকমা; মানবতা সুরক্ষা ফোরামের সভাপতি এবং ত্রিপুরা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক গৌতম চাকমা, চাকমা হাজং রাইটস অ্যালায়েন্সের আহ্বায়ক প্রীতিময় চাকমা ও অল আসাম চাকমা সোসাইটির সভাপতি আশুতোষ চাকমা।
বাংলাদেশি সংবাদমাধ্যম প্রথম আলোর বরাত দিয়ে স্মারকলিপিতে বলা হয়, সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকারের পতনের পর গত ৫ থেকে ২০ আগস্ট পর্যন্ত সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের অন্তত ১ হাজার ৯০টি বাড়ি, ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান ও উপাসনালয়ে হামলা হয়েছে। নেতারা বলেন, পাহাড়ি জনগণের গণতান্ত্রিক পরিসরের ক্রমবর্ধমান ব্যবহার প্রতিহত করতে এবং পার্বত্য চট্টগ্রাম থেকে পাহাড়ি জনগোষ্ঠীকে তাড়ানোর লক্ষ্যে এ হামলা চালানো হচ্ছে।
স্মারকলিপিতে নেতারা দাবি করেন, ১৯৭৯ থেকে ১৯৮৩ সাল পর্যন্ত সাবেক প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান পাহাড়ি অঞ্চলে বাংলাদেশি বাঙালিদের বাসস্থানের ব্যবস্থা করেন, যেন সেখানে বাঙালি জনসংখ্যা বৃদ্ধি পায়। এই মুহূর্তে পাহাড়ে উপজাতি ও বাঙালির সংখ্যা প্রায় সমান। তাঁরা আরও দাবি করেছেন, পূর্বে চট্টগ্রামের পাহাড়ি অঞ্চলের জনসংখ্যার ৯৮ দশমিক ৫ শতাংশ অমুসলিম হলেও বেঙ্গল বাউন্ডারি কমিশন ১৯৪৭ সালে দেশভাগের সময় এই অঞ্চলকে পাকিস্তানের অন্তর্ভুক্ত করে, যা ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধের পর বাংলাদেশের অংশ হয়।
আরও খবর পড়ুন:
প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস চারটি রাজনৈতিক দলের নেতাদের সঙ্গে বৈঠকে বসেছেন। আজ মঙ্গলবার (২২ জুলাই) রাত ৯টার দিকে প্রধান উপদেষ্টার বাসভবন যমুনায় এই বৈঠক শুরু হয়। আজ রাত সোয়া ৯টার দিকে প্রেস উইং থেকে পাঠানো বিবৃতিতে এ তথ্য জানানো হয়।
২৪ মিনিট আগেরাজধানীর উত্তরায় মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজে বাংলাদেশ বিমানবাহিনীর যুদ্ধবিমান বিধ্বস্ত হওয়ার ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য অর্থসহায়তা চেয়ে প্রধান উপদেষ্টার ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজ থেকে একটি পোস্ট দেওয়া হয়। সেটিকে ঘিরে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সমালোচনার ঝড় উঠলে আজ মঙ্গলবার দুপুরে পোস্টটি সরিয়ে ফেলা হয়
১ ঘণ্টা আগেরাজধানীর উত্তরার দিয়াবাড়ি এলাকায় বাংলাদেশ বিমানবাহিনীর একটি প্রশিক্ষণ যুদ্ধবিমান বিধ্বস্ত হওয়ার পর উদ্ধার কার্যক্রম পরিচালনার সময় উৎসুক জনতার ভিড়ে বারবার বিঘ্ন ঘটে। এতে আহত ব্যক্তিদের দ্রুত হাসপাতালে পাঠাতে সমস্যা হয়। উদ্ধারকাজে অনভিপ্রেত পরিস্থিতি সৃষ্টিকারীদের শনাক্ত করে প্রশাসনিক
১ ঘণ্টা আগেশিক্ষার্থীদের প্রতি মমত্ববোধ ও দায়িত্ববোধের অসাধারণ উদাহরণ তৈরি করে গেলেন মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজের সাহসী শিক্ষক মাহরীন চৌধুরী। গতকাল সোমবার (২১ জুলাই) বিমানবাহিনীর প্রশিক্ষণ যুদ্ধবিমানটি তাঁর প্রতিষ্ঠানে বিধ্বস্ত হয়, তখনো তিনি অক্ষত ও সুস্থ ছিলেন। কিন্তু বিপদের মুখেই তিনি ঝাঁপিয়ে পড়েছিলেন
৩ ঘণ্টা আগে