সাইফুল মাসুম, ঢাকা
অনিয়ম ও লুটপাটের অভিযোগ আর দাপ্তরিক অস্থিরতার মধ্যেই কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের (ডিএই) আলোচিত কৃষি যান্ত্রিকীকরণ প্রকল্পের মেয়াদ বাড়ানোর সিদ্ধান্ত হয়েছে। দুর্নীতির তদন্তসহ অসমাপ্ত কাজ শেষ করার জন্য পাঁচ শর্তে এক বছর মেয়াদ বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে কৃষি মন্ত্রণালয়। তবে সার্বিক পরিস্থিতির বিবেচনায় এর সুফল পাওয়া নিয়ে সংশ্লিষ্টদের মধ্যে সংশয় রয়েছে।
দুর্নীতি-অনিয়মে জড়িত থাকায় এরই মধ্যে কৃষি যান্ত্রিকীকরণ প্রকল্পের সাবেক প্রকল্প পরিচালকসহ (পিডি) আট কর্মকর্তাকে বহিষ্কার করা হয়েছে। প্রকল্পসংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, রাজধানীর ফার্মগেট এলাকার খামারবাড়িতে প্রকল্প দপ্তরের অফিস কক্ষ দখলসহ নানা অস্থিরতা চলছে। এ প্রকল্পের অনিয়ম নিয়ে এখনো দুর্নীতি দমন কমিশনসহ (দুদক) রাষ্ট্রীয় একাধিক সংস্থা তদন্ত করছে। এমন প্রেক্ষাপটে প্রকল্পের মেয়াদ বাড়ানো হচ্ছে।
আধুনিক যন্ত্র ব্যবহারের মাধ্যমে দক্ষতা তথা উৎপাদনশীলতা বাড়ানোর উদ্দেশ্যে ‘সমন্বিত ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে কৃষি যান্ত্রিকীকরণ’ প্রকল্প হাতে নিয়েছিল বিগত সরকার। ২০২০ সালের জুলাই থেকে ২০২৫ সালের জুন পর্যন্ত পাঁচ বছরমেয়াদি এ প্রকল্পের ব্যয় ধরা হয় প্রায় ৩ হাজার কোটি টাকা। প্রকল্পে উন্নয়ন সহায়তার (ভর্তুকি) মাধ্যমে কৃষকদের ১২ ধরনের ৫১ হাজার ৩০০টি কৃষিযন্ত্র দেওয়ার কথা। মাঠপর্যায়ের তথ্য থেকে জানা গেছে, বহু প্রকৃত কৃষক এ ভর্তুকির সুবিধা পাননি। টাকা জমা দিয়ে যন্ত্রের অপেক্ষায় বসে থাকার নজির যেমন রয়েছে, তেমনি আছে কৃষির বাইরের লোককে যন্ত্র দেওয়ার ঘটনাও।
কৃষকদের সঙ্গে কথা বলে এবং খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, অসাধু কৃষি কর্মকর্তা, যন্ত্র সরবরাহকারী বিভিন্ন কোম্পানি এবং জেলা-উপজেলা পর্যায়ের দালালদের চক্র প্রকল্পের মোটা অঙ্কের ভর্তুকির সুবিধায় ভাগ বসিয়েছে। একই যন্ত্র কয়েকবার বিক্রি করে বারবার ভর্তুকি নেওয়ার অভিযোগের সত্যতাও মিলেছে এ প্রকল্পে।
কৃষি মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুসারে, দুর্নীতিসহ বিভিন্ন অভিযোগে তিনবার প্রকল্প পরিচালক (পিডি) বদল হয়েছে। গত ফেব্রুয়ারিতে প্রকল্পটিতে নিয়োগ পেয়েছেন চতুর্থ পিডি মঞ্জুর-উল-আলম। অনিয়মের অপরাধে বরখাস্ত হতে পারেন প্রকল্পসংশ্লিষ্ট আরও অন্তত ৫০ জন কর্মকর্তা।
২০২৪-২৫ অর্থবছরের বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচি অনুসারে প্রকল্পে বরাদ্দ ধরা হয়েছিল ৫০৮ কোটি টাকা। গত ডিসেম্বর পর্যন্ত ৬ মাসে ব্যয় হয়েছে মাত্র ৫৩ কোটি টাকা। অর্থাৎ অর্থবছরের অর্ধেক চলে গেলেও আর্থিক অগ্রগতি মাত্র ১০ শতাংশ। আগামী জুন পর্যন্ত অর্থবছরের বাকি ৬ মাসের জন্য কিছু অর্থ রেখে প্রায় ৪০০ কোটি টাকা মন্ত্রণালয়ে ফেরত পাঠানো হয়। তবে সম্প্রতি কৃষি মন্ত্রণালয়ের এক সভায় আরেক বছর মেয়াদ বাড়িয়ে প্রকল্পের অবশিষ্ট টাকা ব্যয়ের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। সভায় প্রকল্পে দুর্নীতির তদন্তসহ পাঁচটি শর্ত বেঁধে দিয়েছে মন্ত্রণালয়। শর্তের মধ্যে রয়েছে কৃষি যন্ত্রপাতি বিতরণের উপজেলাওয়ারি সর্বশেষ পূর্ণাঙ্গ তথ্য (যন্ত্রের নাম, চেসিস নম্বর, কৃষকের নাম ও মোবাইল নম্বর) জরুরি ভিত্তিতে দাখিল করতে হবে। প্রকল্পের সার্বিক কার্যক্রমের অনিয়ম তদন্ত করে বিতরণ করা যন্ত্রপাতি শনাক্তকরণ এবং কৃষক পর্যায়ে এসবের ব্যবহার নিশ্চিত করার লক্ষ্যে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে হবে।
সংকট-বিড়ম্বিত প্রকল্পটির মেয়াদ বাড়ানোর সিদ্ধান্তের বিষয়ে জানতে চাইলে কৃষিসচিব ড. মোহাম্মদ এমদাদ উল্লাহ মিয়ান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘ভালো উদ্দেশ্যেই কৃষি যান্ত্রিকীকরণ প্রকল্প হাতে নেওয়া হয়েছিল। তবে অনিয়ম ও অব্যবস্থাপনার কারণে কিছু অসুবিধা হয়েছে। কৃষিতে যান্ত্রিকীকরণের গুরুত্ব রয়েছে। তাই আমরা প্রকল্পের মেয়াদ আরও এক বছর বাড়িয়েছি।’
অফিসছাড়া পাঁচ কর্মকর্তা
প্রকল্পটিতে প্রথম থেকেই অনিয়ম-দুর্নীতির দাগ ছিল। গত বছর গণ-অভ্যুত্থানে সরকার বদলের পর আসে নতুন ধরনের বিপত্তি। শুরু হয় কর্মকর্তাদের মধ্যে অস্থিরতা। বিএনপিপন্থী পরিচয়ে কয়েকজন কর্মকর্তা তৎকালীন পিডি মোহাম্মদ সফিউজ্জামানসহ প্রকল্পের অন্য কর্মকর্তাদের অফিস ছেড়ে যেতে হুমকি-ধমকি দেন কয়েকবার। হুমকি দেওয়া কর্মকর্তাদের নেতৃত্বে ছিলেন বর্তমান পিডি মঞ্জুর-উল-আলম।
প্রকল্পের তৎকালীন পিডি ও দুই ডিপিডিকে (উপপ্রকল্প পরিচালক) একটি হত্যা মামলাসহ দুটি ‘রাজনৈতিক মামলায়’ আসামি করা হয়েছে। খামারবাড়িতে এই তিন কর্মকর্তার ছবিসহ ‘স্বৈরাচারের দোসর’ লেখাসম্বলিত ব্যানার টাঙানো হয়েছে। গত ১৬ ফেব্রুয়ারি নতুন পিডি মঞ্জুর-উল-আলম দায়িত্ব নেওয়ার পর দুই ডিপিডিসহ পাঁচ কর্মকর্তাকে অফিস ছাড়তে বাধ্য করা হয়। তিন কর্মকর্তার অভিযোগ, তাঁদের কাছ থেকে কক্ষের চাবি নিয়ে অফিস ত্যাগ করার নির্দেশ দেন নতুন পিডি। কক্ষের সামনে থেকে তাঁদের নামফলক খুলে ফেলা হয়। অফিস ছাড়তে বাধ্য হওয়া কর্মকর্তারা হচ্ছেন ডিপিডি শফিকুল ইসলাম শেখ, ডিপিডি আলতাফুন নাহার, জ্যেষ্ঠ মনিটরিং অ্যান্ড ইভ্যালুয়েশন অফিসার মুহাম্মদ কুরবান আলী এবং মনিটরিং অ্যান্ড ইভ্যালুয়েশন অফিসার আফছার আহমেদ রাজিন ও জুলফিকার আলী ভুট্টো। দুই ডিপিডির কক্ষে নতুন দুজনকে বসানো হয়েছে। তবে অফিস ছাড়তে বাধ্য করা ৫ কর্মকর্তাকে নিয়ম অনুসারে অন্য কোথাও বদলি বা পদায়নও করা হয়নি। অভিযোগ রয়েছে, নতুন পিডি নিয়োগ পেয়েছেন আলোচিত এক ছাত্র সমন্বয়কের তদবিরে। এসব বিষয়ে বক্তব্য জানতে পিডি মঞ্জুর-উল-আলমকে তিন দিন ধরে হোয়াটসঅ্যাপ, টেলিফোন ও মোবাইল ফোনে বেশ কয়েকবার কল করলে এবং খুদে বার্তা পাঠালেও তাঁর সাড়া মেলেনি।
এদিকে প্রকল্পের দপ্তর থেকে কর্মকর্তাদের ‘অফিসছাড়া করার’ বিষয়ে তিন কর্মদিবসের মধ্যে জবাব চেয়ে পিডি মঞ্জুর-উল-আলমকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হয়েছে অধিদপ্তর থেকে।
সার্বিক বিষয়ে জানতে চাইলে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক (ডিজি) মো. ছাইফুল আলম আজকের পত্রিকা'কে বলেন, ‘নোটিশ দেওয়ার পাশাপাশি পিডিকে মৌখিকভাবেও জিজ্ঞেস করেছি। নোটিশের জবাব পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেব। আর আমরা এক বছর মেয়াদ বাড়িয়ে প্রকল্পটির সার্বিক কার্যক্রমে শৃঙ্খলা আনার চেষ্টা করছি।’
আরও খবর পড়ুন:
অনিয়ম ও লুটপাটের অভিযোগ আর দাপ্তরিক অস্থিরতার মধ্যেই কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের (ডিএই) আলোচিত কৃষি যান্ত্রিকীকরণ প্রকল্পের মেয়াদ বাড়ানোর সিদ্ধান্ত হয়েছে। দুর্নীতির তদন্তসহ অসমাপ্ত কাজ শেষ করার জন্য পাঁচ শর্তে এক বছর মেয়াদ বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে কৃষি মন্ত্রণালয়। তবে সার্বিক পরিস্থিতির বিবেচনায় এর সুফল পাওয়া নিয়ে সংশ্লিষ্টদের মধ্যে সংশয় রয়েছে।
দুর্নীতি-অনিয়মে জড়িত থাকায় এরই মধ্যে কৃষি যান্ত্রিকীকরণ প্রকল্পের সাবেক প্রকল্প পরিচালকসহ (পিডি) আট কর্মকর্তাকে বহিষ্কার করা হয়েছে। প্রকল্পসংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, রাজধানীর ফার্মগেট এলাকার খামারবাড়িতে প্রকল্প দপ্তরের অফিস কক্ষ দখলসহ নানা অস্থিরতা চলছে। এ প্রকল্পের অনিয়ম নিয়ে এখনো দুর্নীতি দমন কমিশনসহ (দুদক) রাষ্ট্রীয় একাধিক সংস্থা তদন্ত করছে। এমন প্রেক্ষাপটে প্রকল্পের মেয়াদ বাড়ানো হচ্ছে।
আধুনিক যন্ত্র ব্যবহারের মাধ্যমে দক্ষতা তথা উৎপাদনশীলতা বাড়ানোর উদ্দেশ্যে ‘সমন্বিত ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে কৃষি যান্ত্রিকীকরণ’ প্রকল্প হাতে নিয়েছিল বিগত সরকার। ২০২০ সালের জুলাই থেকে ২০২৫ সালের জুন পর্যন্ত পাঁচ বছরমেয়াদি এ প্রকল্পের ব্যয় ধরা হয় প্রায় ৩ হাজার কোটি টাকা। প্রকল্পে উন্নয়ন সহায়তার (ভর্তুকি) মাধ্যমে কৃষকদের ১২ ধরনের ৫১ হাজার ৩০০টি কৃষিযন্ত্র দেওয়ার কথা। মাঠপর্যায়ের তথ্য থেকে জানা গেছে, বহু প্রকৃত কৃষক এ ভর্তুকির সুবিধা পাননি। টাকা জমা দিয়ে যন্ত্রের অপেক্ষায় বসে থাকার নজির যেমন রয়েছে, তেমনি আছে কৃষির বাইরের লোককে যন্ত্র দেওয়ার ঘটনাও।
কৃষকদের সঙ্গে কথা বলে এবং খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, অসাধু কৃষি কর্মকর্তা, যন্ত্র সরবরাহকারী বিভিন্ন কোম্পানি এবং জেলা-উপজেলা পর্যায়ের দালালদের চক্র প্রকল্পের মোটা অঙ্কের ভর্তুকির সুবিধায় ভাগ বসিয়েছে। একই যন্ত্র কয়েকবার বিক্রি করে বারবার ভর্তুকি নেওয়ার অভিযোগের সত্যতাও মিলেছে এ প্রকল্পে।
কৃষি মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুসারে, দুর্নীতিসহ বিভিন্ন অভিযোগে তিনবার প্রকল্প পরিচালক (পিডি) বদল হয়েছে। গত ফেব্রুয়ারিতে প্রকল্পটিতে নিয়োগ পেয়েছেন চতুর্থ পিডি মঞ্জুর-উল-আলম। অনিয়মের অপরাধে বরখাস্ত হতে পারেন প্রকল্পসংশ্লিষ্ট আরও অন্তত ৫০ জন কর্মকর্তা।
২০২৪-২৫ অর্থবছরের বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচি অনুসারে প্রকল্পে বরাদ্দ ধরা হয়েছিল ৫০৮ কোটি টাকা। গত ডিসেম্বর পর্যন্ত ৬ মাসে ব্যয় হয়েছে মাত্র ৫৩ কোটি টাকা। অর্থাৎ অর্থবছরের অর্ধেক চলে গেলেও আর্থিক অগ্রগতি মাত্র ১০ শতাংশ। আগামী জুন পর্যন্ত অর্থবছরের বাকি ৬ মাসের জন্য কিছু অর্থ রেখে প্রায় ৪০০ কোটি টাকা মন্ত্রণালয়ে ফেরত পাঠানো হয়। তবে সম্প্রতি কৃষি মন্ত্রণালয়ের এক সভায় আরেক বছর মেয়াদ বাড়িয়ে প্রকল্পের অবশিষ্ট টাকা ব্যয়ের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। সভায় প্রকল্পে দুর্নীতির তদন্তসহ পাঁচটি শর্ত বেঁধে দিয়েছে মন্ত্রণালয়। শর্তের মধ্যে রয়েছে কৃষি যন্ত্রপাতি বিতরণের উপজেলাওয়ারি সর্বশেষ পূর্ণাঙ্গ তথ্য (যন্ত্রের নাম, চেসিস নম্বর, কৃষকের নাম ও মোবাইল নম্বর) জরুরি ভিত্তিতে দাখিল করতে হবে। প্রকল্পের সার্বিক কার্যক্রমের অনিয়ম তদন্ত করে বিতরণ করা যন্ত্রপাতি শনাক্তকরণ এবং কৃষক পর্যায়ে এসবের ব্যবহার নিশ্চিত করার লক্ষ্যে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে হবে।
সংকট-বিড়ম্বিত প্রকল্পটির মেয়াদ বাড়ানোর সিদ্ধান্তের বিষয়ে জানতে চাইলে কৃষিসচিব ড. মোহাম্মদ এমদাদ উল্লাহ মিয়ান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘ভালো উদ্দেশ্যেই কৃষি যান্ত্রিকীকরণ প্রকল্প হাতে নেওয়া হয়েছিল। তবে অনিয়ম ও অব্যবস্থাপনার কারণে কিছু অসুবিধা হয়েছে। কৃষিতে যান্ত্রিকীকরণের গুরুত্ব রয়েছে। তাই আমরা প্রকল্পের মেয়াদ আরও এক বছর বাড়িয়েছি।’
অফিসছাড়া পাঁচ কর্মকর্তা
প্রকল্পটিতে প্রথম থেকেই অনিয়ম-দুর্নীতির দাগ ছিল। গত বছর গণ-অভ্যুত্থানে সরকার বদলের পর আসে নতুন ধরনের বিপত্তি। শুরু হয় কর্মকর্তাদের মধ্যে অস্থিরতা। বিএনপিপন্থী পরিচয়ে কয়েকজন কর্মকর্তা তৎকালীন পিডি মোহাম্মদ সফিউজ্জামানসহ প্রকল্পের অন্য কর্মকর্তাদের অফিস ছেড়ে যেতে হুমকি-ধমকি দেন কয়েকবার। হুমকি দেওয়া কর্মকর্তাদের নেতৃত্বে ছিলেন বর্তমান পিডি মঞ্জুর-উল-আলম।
প্রকল্পের তৎকালীন পিডি ও দুই ডিপিডিকে (উপপ্রকল্প পরিচালক) একটি হত্যা মামলাসহ দুটি ‘রাজনৈতিক মামলায়’ আসামি করা হয়েছে। খামারবাড়িতে এই তিন কর্মকর্তার ছবিসহ ‘স্বৈরাচারের দোসর’ লেখাসম্বলিত ব্যানার টাঙানো হয়েছে। গত ১৬ ফেব্রুয়ারি নতুন পিডি মঞ্জুর-উল-আলম দায়িত্ব নেওয়ার পর দুই ডিপিডিসহ পাঁচ কর্মকর্তাকে অফিস ছাড়তে বাধ্য করা হয়। তিন কর্মকর্তার অভিযোগ, তাঁদের কাছ থেকে কক্ষের চাবি নিয়ে অফিস ত্যাগ করার নির্দেশ দেন নতুন পিডি। কক্ষের সামনে থেকে তাঁদের নামফলক খুলে ফেলা হয়। অফিস ছাড়তে বাধ্য হওয়া কর্মকর্তারা হচ্ছেন ডিপিডি শফিকুল ইসলাম শেখ, ডিপিডি আলতাফুন নাহার, জ্যেষ্ঠ মনিটরিং অ্যান্ড ইভ্যালুয়েশন অফিসার মুহাম্মদ কুরবান আলী এবং মনিটরিং অ্যান্ড ইভ্যালুয়েশন অফিসার আফছার আহমেদ রাজিন ও জুলফিকার আলী ভুট্টো। দুই ডিপিডির কক্ষে নতুন দুজনকে বসানো হয়েছে। তবে অফিস ছাড়তে বাধ্য করা ৫ কর্মকর্তাকে নিয়ম অনুসারে অন্য কোথাও বদলি বা পদায়নও করা হয়নি। অভিযোগ রয়েছে, নতুন পিডি নিয়োগ পেয়েছেন আলোচিত এক ছাত্র সমন্বয়কের তদবিরে। এসব বিষয়ে বক্তব্য জানতে পিডি মঞ্জুর-উল-আলমকে তিন দিন ধরে হোয়াটসঅ্যাপ, টেলিফোন ও মোবাইল ফোনে বেশ কয়েকবার কল করলে এবং খুদে বার্তা পাঠালেও তাঁর সাড়া মেলেনি।
এদিকে প্রকল্পের দপ্তর থেকে কর্মকর্তাদের ‘অফিসছাড়া করার’ বিষয়ে তিন কর্মদিবসের মধ্যে জবাব চেয়ে পিডি মঞ্জুর-উল-আলমকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হয়েছে অধিদপ্তর থেকে।
সার্বিক বিষয়ে জানতে চাইলে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক (ডিজি) মো. ছাইফুল আলম আজকের পত্রিকা'কে বলেন, ‘নোটিশ দেওয়ার পাশাপাশি পিডিকে মৌখিকভাবেও জিজ্ঞেস করেছি। নোটিশের জবাব পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেব। আর আমরা এক বছর মেয়াদ বাড়িয়ে প্রকল্পটির সার্বিক কার্যক্রমে শৃঙ্খলা আনার চেষ্টা করছি।’
আরও খবর পড়ুন:
বিদেশে ভালো কাজের লোভ দেখিয়ে বাংলাদেশের তরুণদের এবার ইউক্রেনের বিরুদ্ধে যুদ্ধে রাশিয়ার ভাড়াটে যোদ্ধা বানাচ্ছে মানব পাচারকারীরা। জনপ্রতি মোটা অঙ্কের টাকা নিয়ে তাঁদের সৌদি আরবসহ বিভিন্ন দেশ হয়ে নেওয়া হচ্ছে রাশিয়ায়। সেখানে জোর করে চুক্তিনামায় সই করিয়ে যোদ্ধা হিসেবে পাঠানো হচ্ছে যুদ্ধে। এ পর্যন্ত অন্তত
৫ ঘণ্টা আগেসব নিয়মকানুন মেনে বৈধভাবেই কর্মী ভিসায় মালয়েশিয়ায় গিয়েছিলেন নাজমুল ইসলাম। কিন্তু গিয়ে দেখেন নিয়োগকর্তা যে কাজের জন্য তাঁকে নিয়ে যান, সে রকম কোনো কাজই তাঁর কাছে নেই, মিলছে না কোনো বেতনও। ফলে বাধ্য হয়ে কুয়ালালামপুরে অন্য একজনের অধীনে নির্মাণ খাতে কাজ করছেন এই কর্মী। মালয়েশিয়ার আইনে এটি অবৈধ।
৬ ঘণ্টা আগেযুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশি পণ্যের ওপর আরোপিত বাড়তি ৩৭ শতাংশ শুল্কভার লাঘবে বহুমুখী পদক্ষেপ নিচ্ছে অন্তর্বর্তী সরকার। এর অংশ হিসেবে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে চিঠি দেবেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। গতকাল রোববার অর্থ মন্ত্রণালয়ের সম্মেলনকক্ষে অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদের সভাপতিত
৯ ঘণ্টা আগেমিয়ানমারে সাম্প্রতিক বিধ্বংসী ভূমিকম্পের পর বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনীর নেতৃত্বে পরিচালিত উদ্ধার, চিকিৎসা ও ত্রাণ সহায়তা কার্যক্রম টানা দ্বিতীয় সপ্তাহে প্রবেশ করেছে। দুর্গতদের পাশে দাঁড়াতে বাংলাদেশ সরকারের উদ্যোগে পাঠানো এই বিশেষ দল উদ্ধার ও চিকিৎসা কার্যক্রমে নিবেদিতভাবে অংশগ্রহণ করছে...
১২ ঘণ্টা আগে