সাইফুল মাসুম, ঢাকা

অনিয়ম ও লুটপাটের অভিযোগ আর দাপ্তরিক অস্থিরতার মধ্যেই কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের (ডিএই) আলোচিত কৃষি যান্ত্রিকীকরণ প্রকল্পের মেয়াদ বাড়ানোর সিদ্ধান্ত হয়েছে। দুর্নীতির তদন্তসহ অসমাপ্ত কাজ শেষ করার জন্য পাঁচ শর্তে এক বছর মেয়াদ বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে কৃষি মন্ত্রণালয়। তবে সার্বিক পরিস্থিতির বিবেচনায় এর সুফল পাওয়া নিয়ে সংশ্লিষ্টদের মধ্যে সংশয় রয়েছে।
দুর্নীতি-অনিয়মে জড়িত থাকায় এরই মধ্যে কৃষি যান্ত্রিকীকরণ প্রকল্পের সাবেক প্রকল্প পরিচালকসহ (পিডি) আট কর্মকর্তাকে বহিষ্কার করা হয়েছে। প্রকল্পসংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, রাজধানীর ফার্মগেট এলাকার খামারবাড়িতে প্রকল্প দপ্তরের অফিস কক্ষ দখলসহ নানা অস্থিরতা চলছে। এ প্রকল্পের অনিয়ম নিয়ে এখনো দুর্নীতি দমন কমিশনসহ (দুদক) রাষ্ট্রীয় একাধিক সংস্থা তদন্ত করছে। এমন প্রেক্ষাপটে প্রকল্পের মেয়াদ বাড়ানো হচ্ছে।
আধুনিক যন্ত্র ব্যবহারের মাধ্যমে দক্ষতা তথা উৎপাদনশীলতা বাড়ানোর উদ্দেশ্যে ‘সমন্বিত ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে কৃষি যান্ত্রিকীকরণ’ প্রকল্প হাতে নিয়েছিল বিগত সরকার। ২০২০ সালের জুলাই থেকে ২০২৫ সালের জুন পর্যন্ত পাঁচ বছরমেয়াদি এ প্রকল্পের ব্যয় ধরা হয় প্রায় ৩ হাজার কোটি টাকা। প্রকল্পে উন্নয়ন সহায়তার (ভর্তুকি) মাধ্যমে কৃষকদের ১২ ধরনের ৫১ হাজার ৩০০টি কৃষিযন্ত্র দেওয়ার কথা। মাঠপর্যায়ের তথ্য থেকে জানা গেছে, বহু প্রকৃত কৃষক এ ভর্তুকির সুবিধা পাননি। টাকা জমা দিয়ে যন্ত্রের অপেক্ষায় বসে থাকার নজির যেমন রয়েছে, তেমনি আছে কৃষির বাইরের লোককে যন্ত্র দেওয়ার ঘটনাও।
কৃষকদের সঙ্গে কথা বলে এবং খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, অসাধু কৃষি কর্মকর্তা, যন্ত্র সরবরাহকারী বিভিন্ন কোম্পানি এবং জেলা-উপজেলা পর্যায়ের দালালদের চক্র প্রকল্পের মোটা অঙ্কের ভর্তুকির সুবিধায় ভাগ বসিয়েছে। একই যন্ত্র কয়েকবার বিক্রি করে বারবার ভর্তুকি নেওয়ার অভিযোগের সত্যতাও মিলেছে এ প্রকল্পে।
কৃষি মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুসারে, দুর্নীতিসহ বিভিন্ন অভিযোগে তিনবার প্রকল্প পরিচালক (পিডি) বদল হয়েছে। গত ফেব্রুয়ারিতে প্রকল্পটিতে নিয়োগ পেয়েছেন চতুর্থ পিডি মঞ্জুর-উল-আলম। অনিয়মের অপরাধে বরখাস্ত হতে পারেন প্রকল্পসংশ্লিষ্ট আরও অন্তত ৫০ জন কর্মকর্তা।
২০২৪-২৫ অর্থবছরের বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচি অনুসারে প্রকল্পে বরাদ্দ ধরা হয়েছিল ৫০৮ কোটি টাকা। গত ডিসেম্বর পর্যন্ত ৬ মাসে ব্যয় হয়েছে মাত্র ৫৩ কোটি টাকা। অর্থাৎ অর্থবছরের অর্ধেক চলে গেলেও আর্থিক অগ্রগতি মাত্র ১০ শতাংশ। আগামী জুন পর্যন্ত অর্থবছরের বাকি ৬ মাসের জন্য কিছু অর্থ রেখে প্রায় ৪০০ কোটি টাকা মন্ত্রণালয়ে ফেরত পাঠানো হয়। তবে সম্প্রতি কৃষি মন্ত্রণালয়ের এক সভায় আরেক বছর মেয়াদ বাড়িয়ে প্রকল্পের অবশিষ্ট টাকা ব্যয়ের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। সভায় প্রকল্পে দুর্নীতির তদন্তসহ পাঁচটি শর্ত বেঁধে দিয়েছে মন্ত্রণালয়। শর্তের মধ্যে রয়েছে কৃষি যন্ত্রপাতি বিতরণের উপজেলাওয়ারি সর্বশেষ পূর্ণাঙ্গ তথ্য (যন্ত্রের নাম, চেসিস নম্বর, কৃষকের নাম ও মোবাইল নম্বর) জরুরি ভিত্তিতে দাখিল করতে হবে। প্রকল্পের সার্বিক কার্যক্রমের অনিয়ম তদন্ত করে বিতরণ করা যন্ত্রপাতি শনাক্তকরণ এবং কৃষক পর্যায়ে এসবের ব্যবহার নিশ্চিত করার লক্ষ্যে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে হবে।
সংকট-বিড়ম্বিত প্রকল্পটির মেয়াদ বাড়ানোর সিদ্ধান্তের বিষয়ে জানতে চাইলে কৃষিসচিব ড. মোহাম্মদ এমদাদ উল্লাহ মিয়ান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘ভালো উদ্দেশ্যেই কৃষি যান্ত্রিকীকরণ প্রকল্প হাতে নেওয়া হয়েছিল। তবে অনিয়ম ও অব্যবস্থাপনার কারণে কিছু অসুবিধা হয়েছে। কৃষিতে যান্ত্রিকীকরণের গুরুত্ব রয়েছে। তাই আমরা প্রকল্পের মেয়াদ আরও এক বছর বাড়িয়েছি।’
অফিসছাড়া পাঁচ কর্মকর্তা
প্রকল্পটিতে প্রথম থেকেই অনিয়ম-দুর্নীতির দাগ ছিল। গত বছর গণ-অভ্যুত্থানে সরকার বদলের পর আসে নতুন ধরনের বিপত্তি। শুরু হয় কর্মকর্তাদের মধ্যে অস্থিরতা। বিএনপিপন্থী পরিচয়ে কয়েকজন কর্মকর্তা তৎকালীন পিডি মোহাম্মদ সফিউজ্জামানসহ প্রকল্পের অন্য কর্মকর্তাদের অফিস ছেড়ে যেতে হুমকি-ধমকি দেন কয়েকবার। হুমকি দেওয়া কর্মকর্তাদের নেতৃত্বে ছিলেন বর্তমান পিডি মঞ্জুর-উল-আলম।
প্রকল্পের তৎকালীন পিডি ও দুই ডিপিডিকে (উপপ্রকল্প পরিচালক) একটি হত্যা মামলাসহ দুটি ‘রাজনৈতিক মামলায়’ আসামি করা হয়েছে। খামারবাড়িতে এই তিন কর্মকর্তার ছবিসহ ‘স্বৈরাচারের দোসর’ লেখাসম্বলিত ব্যানার টাঙানো হয়েছে। গত ১৬ ফেব্রুয়ারি নতুন পিডি মঞ্জুর-উল-আলম দায়িত্ব নেওয়ার পর দুই ডিপিডিসহ পাঁচ কর্মকর্তাকে অফিস ছাড়তে বাধ্য করা হয়। তিন কর্মকর্তার অভিযোগ, তাঁদের কাছ থেকে কক্ষের চাবি নিয়ে অফিস ত্যাগ করার নির্দেশ দেন নতুন পিডি। কক্ষের সামনে থেকে তাঁদের নামফলক খুলে ফেলা হয়। অফিস ছাড়তে বাধ্য হওয়া কর্মকর্তারা হচ্ছেন ডিপিডি শফিকুল ইসলাম শেখ, ডিপিডি আলতাফুন নাহার, জ্যেষ্ঠ মনিটরিং অ্যান্ড ইভ্যালুয়েশন অফিসার মুহাম্মদ কুরবান আলী এবং মনিটরিং অ্যান্ড ইভ্যালুয়েশন অফিসার আফছার আহমেদ রাজিন ও জুলফিকার আলী ভুট্টো। দুই ডিপিডির কক্ষে নতুন দুজনকে বসানো হয়েছে। তবে অফিস ছাড়তে বাধ্য করা ৫ কর্মকর্তাকে নিয়ম অনুসারে অন্য কোথাও বদলি বা পদায়নও করা হয়নি। অভিযোগ রয়েছে, নতুন পিডি নিয়োগ পেয়েছেন আলোচিত এক ছাত্র সমন্বয়কের তদবিরে। এসব বিষয়ে বক্তব্য জানতে পিডি মঞ্জুর-উল-আলমকে তিন দিন ধরে হোয়াটসঅ্যাপ, টেলিফোন ও মোবাইল ফোনে বেশ কয়েকবার কল করলে এবং খুদে বার্তা পাঠালেও তাঁর সাড়া মেলেনি।
এদিকে প্রকল্পের দপ্তর থেকে কর্মকর্তাদের ‘অফিসছাড়া করার’ বিষয়ে তিন কর্মদিবসের মধ্যে জবাব চেয়ে পিডি মঞ্জুর-উল-আলমকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হয়েছে অধিদপ্তর থেকে।
সার্বিক বিষয়ে জানতে চাইলে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক (ডিজি) মো. ছাইফুল আলম আজকের পত্রিকা'কে বলেন, ‘নোটিশ দেওয়ার পাশাপাশি পিডিকে মৌখিকভাবেও জিজ্ঞেস করেছি। নোটিশের জবাব পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেব। আর আমরা এক বছর মেয়াদ বাড়িয়ে প্রকল্পটির সার্বিক কার্যক্রমে শৃঙ্খলা আনার চেষ্টা করছি।’
আরও খবর পড়ুন:

অনিয়ম ও লুটপাটের অভিযোগ আর দাপ্তরিক অস্থিরতার মধ্যেই কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের (ডিএই) আলোচিত কৃষি যান্ত্রিকীকরণ প্রকল্পের মেয়াদ বাড়ানোর সিদ্ধান্ত হয়েছে। দুর্নীতির তদন্তসহ অসমাপ্ত কাজ শেষ করার জন্য পাঁচ শর্তে এক বছর মেয়াদ বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে কৃষি মন্ত্রণালয়। তবে সার্বিক পরিস্থিতির বিবেচনায় এর সুফল পাওয়া নিয়ে সংশ্লিষ্টদের মধ্যে সংশয় রয়েছে।
দুর্নীতি-অনিয়মে জড়িত থাকায় এরই মধ্যে কৃষি যান্ত্রিকীকরণ প্রকল্পের সাবেক প্রকল্প পরিচালকসহ (পিডি) আট কর্মকর্তাকে বহিষ্কার করা হয়েছে। প্রকল্পসংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, রাজধানীর ফার্মগেট এলাকার খামারবাড়িতে প্রকল্প দপ্তরের অফিস কক্ষ দখলসহ নানা অস্থিরতা চলছে। এ প্রকল্পের অনিয়ম নিয়ে এখনো দুর্নীতি দমন কমিশনসহ (দুদক) রাষ্ট্রীয় একাধিক সংস্থা তদন্ত করছে। এমন প্রেক্ষাপটে প্রকল্পের মেয়াদ বাড়ানো হচ্ছে।
আধুনিক যন্ত্র ব্যবহারের মাধ্যমে দক্ষতা তথা উৎপাদনশীলতা বাড়ানোর উদ্দেশ্যে ‘সমন্বিত ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে কৃষি যান্ত্রিকীকরণ’ প্রকল্প হাতে নিয়েছিল বিগত সরকার। ২০২০ সালের জুলাই থেকে ২০২৫ সালের জুন পর্যন্ত পাঁচ বছরমেয়াদি এ প্রকল্পের ব্যয় ধরা হয় প্রায় ৩ হাজার কোটি টাকা। প্রকল্পে উন্নয়ন সহায়তার (ভর্তুকি) মাধ্যমে কৃষকদের ১২ ধরনের ৫১ হাজার ৩০০টি কৃষিযন্ত্র দেওয়ার কথা। মাঠপর্যায়ের তথ্য থেকে জানা গেছে, বহু প্রকৃত কৃষক এ ভর্তুকির সুবিধা পাননি। টাকা জমা দিয়ে যন্ত্রের অপেক্ষায় বসে থাকার নজির যেমন রয়েছে, তেমনি আছে কৃষির বাইরের লোককে যন্ত্র দেওয়ার ঘটনাও।
কৃষকদের সঙ্গে কথা বলে এবং খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, অসাধু কৃষি কর্মকর্তা, যন্ত্র সরবরাহকারী বিভিন্ন কোম্পানি এবং জেলা-উপজেলা পর্যায়ের দালালদের চক্র প্রকল্পের মোটা অঙ্কের ভর্তুকির সুবিধায় ভাগ বসিয়েছে। একই যন্ত্র কয়েকবার বিক্রি করে বারবার ভর্তুকি নেওয়ার অভিযোগের সত্যতাও মিলেছে এ প্রকল্পে।
কৃষি মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুসারে, দুর্নীতিসহ বিভিন্ন অভিযোগে তিনবার প্রকল্প পরিচালক (পিডি) বদল হয়েছে। গত ফেব্রুয়ারিতে প্রকল্পটিতে নিয়োগ পেয়েছেন চতুর্থ পিডি মঞ্জুর-উল-আলম। অনিয়মের অপরাধে বরখাস্ত হতে পারেন প্রকল্পসংশ্লিষ্ট আরও অন্তত ৫০ জন কর্মকর্তা।
২০২৪-২৫ অর্থবছরের বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচি অনুসারে প্রকল্পে বরাদ্দ ধরা হয়েছিল ৫০৮ কোটি টাকা। গত ডিসেম্বর পর্যন্ত ৬ মাসে ব্যয় হয়েছে মাত্র ৫৩ কোটি টাকা। অর্থাৎ অর্থবছরের অর্ধেক চলে গেলেও আর্থিক অগ্রগতি মাত্র ১০ শতাংশ। আগামী জুন পর্যন্ত অর্থবছরের বাকি ৬ মাসের জন্য কিছু অর্থ রেখে প্রায় ৪০০ কোটি টাকা মন্ত্রণালয়ে ফেরত পাঠানো হয়। তবে সম্প্রতি কৃষি মন্ত্রণালয়ের এক সভায় আরেক বছর মেয়াদ বাড়িয়ে প্রকল্পের অবশিষ্ট টাকা ব্যয়ের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। সভায় প্রকল্পে দুর্নীতির তদন্তসহ পাঁচটি শর্ত বেঁধে দিয়েছে মন্ত্রণালয়। শর্তের মধ্যে রয়েছে কৃষি যন্ত্রপাতি বিতরণের উপজেলাওয়ারি সর্বশেষ পূর্ণাঙ্গ তথ্য (যন্ত্রের নাম, চেসিস নম্বর, কৃষকের নাম ও মোবাইল নম্বর) জরুরি ভিত্তিতে দাখিল করতে হবে। প্রকল্পের সার্বিক কার্যক্রমের অনিয়ম তদন্ত করে বিতরণ করা যন্ত্রপাতি শনাক্তকরণ এবং কৃষক পর্যায়ে এসবের ব্যবহার নিশ্চিত করার লক্ষ্যে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে হবে।
সংকট-বিড়ম্বিত প্রকল্পটির মেয়াদ বাড়ানোর সিদ্ধান্তের বিষয়ে জানতে চাইলে কৃষিসচিব ড. মোহাম্মদ এমদাদ উল্লাহ মিয়ান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘ভালো উদ্দেশ্যেই কৃষি যান্ত্রিকীকরণ প্রকল্প হাতে নেওয়া হয়েছিল। তবে অনিয়ম ও অব্যবস্থাপনার কারণে কিছু অসুবিধা হয়েছে। কৃষিতে যান্ত্রিকীকরণের গুরুত্ব রয়েছে। তাই আমরা প্রকল্পের মেয়াদ আরও এক বছর বাড়িয়েছি।’
অফিসছাড়া পাঁচ কর্মকর্তা
প্রকল্পটিতে প্রথম থেকেই অনিয়ম-দুর্নীতির দাগ ছিল। গত বছর গণ-অভ্যুত্থানে সরকার বদলের পর আসে নতুন ধরনের বিপত্তি। শুরু হয় কর্মকর্তাদের মধ্যে অস্থিরতা। বিএনপিপন্থী পরিচয়ে কয়েকজন কর্মকর্তা তৎকালীন পিডি মোহাম্মদ সফিউজ্জামানসহ প্রকল্পের অন্য কর্মকর্তাদের অফিস ছেড়ে যেতে হুমকি-ধমকি দেন কয়েকবার। হুমকি দেওয়া কর্মকর্তাদের নেতৃত্বে ছিলেন বর্তমান পিডি মঞ্জুর-উল-আলম।
প্রকল্পের তৎকালীন পিডি ও দুই ডিপিডিকে (উপপ্রকল্প পরিচালক) একটি হত্যা মামলাসহ দুটি ‘রাজনৈতিক মামলায়’ আসামি করা হয়েছে। খামারবাড়িতে এই তিন কর্মকর্তার ছবিসহ ‘স্বৈরাচারের দোসর’ লেখাসম্বলিত ব্যানার টাঙানো হয়েছে। গত ১৬ ফেব্রুয়ারি নতুন পিডি মঞ্জুর-উল-আলম দায়িত্ব নেওয়ার পর দুই ডিপিডিসহ পাঁচ কর্মকর্তাকে অফিস ছাড়তে বাধ্য করা হয়। তিন কর্মকর্তার অভিযোগ, তাঁদের কাছ থেকে কক্ষের চাবি নিয়ে অফিস ত্যাগ করার নির্দেশ দেন নতুন পিডি। কক্ষের সামনে থেকে তাঁদের নামফলক খুলে ফেলা হয়। অফিস ছাড়তে বাধ্য হওয়া কর্মকর্তারা হচ্ছেন ডিপিডি শফিকুল ইসলাম শেখ, ডিপিডি আলতাফুন নাহার, জ্যেষ্ঠ মনিটরিং অ্যান্ড ইভ্যালুয়েশন অফিসার মুহাম্মদ কুরবান আলী এবং মনিটরিং অ্যান্ড ইভ্যালুয়েশন অফিসার আফছার আহমেদ রাজিন ও জুলফিকার আলী ভুট্টো। দুই ডিপিডির কক্ষে নতুন দুজনকে বসানো হয়েছে। তবে অফিস ছাড়তে বাধ্য করা ৫ কর্মকর্তাকে নিয়ম অনুসারে অন্য কোথাও বদলি বা পদায়নও করা হয়নি। অভিযোগ রয়েছে, নতুন পিডি নিয়োগ পেয়েছেন আলোচিত এক ছাত্র সমন্বয়কের তদবিরে। এসব বিষয়ে বক্তব্য জানতে পিডি মঞ্জুর-উল-আলমকে তিন দিন ধরে হোয়াটসঅ্যাপ, টেলিফোন ও মোবাইল ফোনে বেশ কয়েকবার কল করলে এবং খুদে বার্তা পাঠালেও তাঁর সাড়া মেলেনি।
এদিকে প্রকল্পের দপ্তর থেকে কর্মকর্তাদের ‘অফিসছাড়া করার’ বিষয়ে তিন কর্মদিবসের মধ্যে জবাব চেয়ে পিডি মঞ্জুর-উল-আলমকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হয়েছে অধিদপ্তর থেকে।
সার্বিক বিষয়ে জানতে চাইলে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক (ডিজি) মো. ছাইফুল আলম আজকের পত্রিকা'কে বলেন, ‘নোটিশ দেওয়ার পাশাপাশি পিডিকে মৌখিকভাবেও জিজ্ঞেস করেছি। নোটিশের জবাব পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেব। আর আমরা এক বছর মেয়াদ বাড়িয়ে প্রকল্পটির সার্বিক কার্যক্রমে শৃঙ্খলা আনার চেষ্টা করছি।’
আরও খবর পড়ুন:
সাইফুল মাসুম, ঢাকা

অনিয়ম ও লুটপাটের অভিযোগ আর দাপ্তরিক অস্থিরতার মধ্যেই কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের (ডিএই) আলোচিত কৃষি যান্ত্রিকীকরণ প্রকল্পের মেয়াদ বাড়ানোর সিদ্ধান্ত হয়েছে। দুর্নীতির তদন্তসহ অসমাপ্ত কাজ শেষ করার জন্য পাঁচ শর্তে এক বছর মেয়াদ বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে কৃষি মন্ত্রণালয়। তবে সার্বিক পরিস্থিতির বিবেচনায় এর সুফল পাওয়া নিয়ে সংশ্লিষ্টদের মধ্যে সংশয় রয়েছে।
দুর্নীতি-অনিয়মে জড়িত থাকায় এরই মধ্যে কৃষি যান্ত্রিকীকরণ প্রকল্পের সাবেক প্রকল্প পরিচালকসহ (পিডি) আট কর্মকর্তাকে বহিষ্কার করা হয়েছে। প্রকল্পসংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, রাজধানীর ফার্মগেট এলাকার খামারবাড়িতে প্রকল্প দপ্তরের অফিস কক্ষ দখলসহ নানা অস্থিরতা চলছে। এ প্রকল্পের অনিয়ম নিয়ে এখনো দুর্নীতি দমন কমিশনসহ (দুদক) রাষ্ট্রীয় একাধিক সংস্থা তদন্ত করছে। এমন প্রেক্ষাপটে প্রকল্পের মেয়াদ বাড়ানো হচ্ছে।
আধুনিক যন্ত্র ব্যবহারের মাধ্যমে দক্ষতা তথা উৎপাদনশীলতা বাড়ানোর উদ্দেশ্যে ‘সমন্বিত ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে কৃষি যান্ত্রিকীকরণ’ প্রকল্প হাতে নিয়েছিল বিগত সরকার। ২০২০ সালের জুলাই থেকে ২০২৫ সালের জুন পর্যন্ত পাঁচ বছরমেয়াদি এ প্রকল্পের ব্যয় ধরা হয় প্রায় ৩ হাজার কোটি টাকা। প্রকল্পে উন্নয়ন সহায়তার (ভর্তুকি) মাধ্যমে কৃষকদের ১২ ধরনের ৫১ হাজার ৩০০টি কৃষিযন্ত্র দেওয়ার কথা। মাঠপর্যায়ের তথ্য থেকে জানা গেছে, বহু প্রকৃত কৃষক এ ভর্তুকির সুবিধা পাননি। টাকা জমা দিয়ে যন্ত্রের অপেক্ষায় বসে থাকার নজির যেমন রয়েছে, তেমনি আছে কৃষির বাইরের লোককে যন্ত্র দেওয়ার ঘটনাও।
কৃষকদের সঙ্গে কথা বলে এবং খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, অসাধু কৃষি কর্মকর্তা, যন্ত্র সরবরাহকারী বিভিন্ন কোম্পানি এবং জেলা-উপজেলা পর্যায়ের দালালদের চক্র প্রকল্পের মোটা অঙ্কের ভর্তুকির সুবিধায় ভাগ বসিয়েছে। একই যন্ত্র কয়েকবার বিক্রি করে বারবার ভর্তুকি নেওয়ার অভিযোগের সত্যতাও মিলেছে এ প্রকল্পে।
কৃষি মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুসারে, দুর্নীতিসহ বিভিন্ন অভিযোগে তিনবার প্রকল্প পরিচালক (পিডি) বদল হয়েছে। গত ফেব্রুয়ারিতে প্রকল্পটিতে নিয়োগ পেয়েছেন চতুর্থ পিডি মঞ্জুর-উল-আলম। অনিয়মের অপরাধে বরখাস্ত হতে পারেন প্রকল্পসংশ্লিষ্ট আরও অন্তত ৫০ জন কর্মকর্তা।
২০২৪-২৫ অর্থবছরের বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচি অনুসারে প্রকল্পে বরাদ্দ ধরা হয়েছিল ৫০৮ কোটি টাকা। গত ডিসেম্বর পর্যন্ত ৬ মাসে ব্যয় হয়েছে মাত্র ৫৩ কোটি টাকা। অর্থাৎ অর্থবছরের অর্ধেক চলে গেলেও আর্থিক অগ্রগতি মাত্র ১০ শতাংশ। আগামী জুন পর্যন্ত অর্থবছরের বাকি ৬ মাসের জন্য কিছু অর্থ রেখে প্রায় ৪০০ কোটি টাকা মন্ত্রণালয়ে ফেরত পাঠানো হয়। তবে সম্প্রতি কৃষি মন্ত্রণালয়ের এক সভায় আরেক বছর মেয়াদ বাড়িয়ে প্রকল্পের অবশিষ্ট টাকা ব্যয়ের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। সভায় প্রকল্পে দুর্নীতির তদন্তসহ পাঁচটি শর্ত বেঁধে দিয়েছে মন্ত্রণালয়। শর্তের মধ্যে রয়েছে কৃষি যন্ত্রপাতি বিতরণের উপজেলাওয়ারি সর্বশেষ পূর্ণাঙ্গ তথ্য (যন্ত্রের নাম, চেসিস নম্বর, কৃষকের নাম ও মোবাইল নম্বর) জরুরি ভিত্তিতে দাখিল করতে হবে। প্রকল্পের সার্বিক কার্যক্রমের অনিয়ম তদন্ত করে বিতরণ করা যন্ত্রপাতি শনাক্তকরণ এবং কৃষক পর্যায়ে এসবের ব্যবহার নিশ্চিত করার লক্ষ্যে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে হবে।
সংকট-বিড়ম্বিত প্রকল্পটির মেয়াদ বাড়ানোর সিদ্ধান্তের বিষয়ে জানতে চাইলে কৃষিসচিব ড. মোহাম্মদ এমদাদ উল্লাহ মিয়ান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘ভালো উদ্দেশ্যেই কৃষি যান্ত্রিকীকরণ প্রকল্প হাতে নেওয়া হয়েছিল। তবে অনিয়ম ও অব্যবস্থাপনার কারণে কিছু অসুবিধা হয়েছে। কৃষিতে যান্ত্রিকীকরণের গুরুত্ব রয়েছে। তাই আমরা প্রকল্পের মেয়াদ আরও এক বছর বাড়িয়েছি।’
অফিসছাড়া পাঁচ কর্মকর্তা
প্রকল্পটিতে প্রথম থেকেই অনিয়ম-দুর্নীতির দাগ ছিল। গত বছর গণ-অভ্যুত্থানে সরকার বদলের পর আসে নতুন ধরনের বিপত্তি। শুরু হয় কর্মকর্তাদের মধ্যে অস্থিরতা। বিএনপিপন্থী পরিচয়ে কয়েকজন কর্মকর্তা তৎকালীন পিডি মোহাম্মদ সফিউজ্জামানসহ প্রকল্পের অন্য কর্মকর্তাদের অফিস ছেড়ে যেতে হুমকি-ধমকি দেন কয়েকবার। হুমকি দেওয়া কর্মকর্তাদের নেতৃত্বে ছিলেন বর্তমান পিডি মঞ্জুর-উল-আলম।
প্রকল্পের তৎকালীন পিডি ও দুই ডিপিডিকে (উপপ্রকল্প পরিচালক) একটি হত্যা মামলাসহ দুটি ‘রাজনৈতিক মামলায়’ আসামি করা হয়েছে। খামারবাড়িতে এই তিন কর্মকর্তার ছবিসহ ‘স্বৈরাচারের দোসর’ লেখাসম্বলিত ব্যানার টাঙানো হয়েছে। গত ১৬ ফেব্রুয়ারি নতুন পিডি মঞ্জুর-উল-আলম দায়িত্ব নেওয়ার পর দুই ডিপিডিসহ পাঁচ কর্মকর্তাকে অফিস ছাড়তে বাধ্য করা হয়। তিন কর্মকর্তার অভিযোগ, তাঁদের কাছ থেকে কক্ষের চাবি নিয়ে অফিস ত্যাগ করার নির্দেশ দেন নতুন পিডি। কক্ষের সামনে থেকে তাঁদের নামফলক খুলে ফেলা হয়। অফিস ছাড়তে বাধ্য হওয়া কর্মকর্তারা হচ্ছেন ডিপিডি শফিকুল ইসলাম শেখ, ডিপিডি আলতাফুন নাহার, জ্যেষ্ঠ মনিটরিং অ্যান্ড ইভ্যালুয়েশন অফিসার মুহাম্মদ কুরবান আলী এবং মনিটরিং অ্যান্ড ইভ্যালুয়েশন অফিসার আফছার আহমেদ রাজিন ও জুলফিকার আলী ভুট্টো। দুই ডিপিডির কক্ষে নতুন দুজনকে বসানো হয়েছে। তবে অফিস ছাড়তে বাধ্য করা ৫ কর্মকর্তাকে নিয়ম অনুসারে অন্য কোথাও বদলি বা পদায়নও করা হয়নি। অভিযোগ রয়েছে, নতুন পিডি নিয়োগ পেয়েছেন আলোচিত এক ছাত্র সমন্বয়কের তদবিরে। এসব বিষয়ে বক্তব্য জানতে পিডি মঞ্জুর-উল-আলমকে তিন দিন ধরে হোয়াটসঅ্যাপ, টেলিফোন ও মোবাইল ফোনে বেশ কয়েকবার কল করলে এবং খুদে বার্তা পাঠালেও তাঁর সাড়া মেলেনি।
এদিকে প্রকল্পের দপ্তর থেকে কর্মকর্তাদের ‘অফিসছাড়া করার’ বিষয়ে তিন কর্মদিবসের মধ্যে জবাব চেয়ে পিডি মঞ্জুর-উল-আলমকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হয়েছে অধিদপ্তর থেকে।
সার্বিক বিষয়ে জানতে চাইলে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক (ডিজি) মো. ছাইফুল আলম আজকের পত্রিকা'কে বলেন, ‘নোটিশ দেওয়ার পাশাপাশি পিডিকে মৌখিকভাবেও জিজ্ঞেস করেছি। নোটিশের জবাব পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেব। আর আমরা এক বছর মেয়াদ বাড়িয়ে প্রকল্পটির সার্বিক কার্যক্রমে শৃঙ্খলা আনার চেষ্টা করছি।’
আরও খবর পড়ুন:

অনিয়ম ও লুটপাটের অভিযোগ আর দাপ্তরিক অস্থিরতার মধ্যেই কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের (ডিএই) আলোচিত কৃষি যান্ত্রিকীকরণ প্রকল্পের মেয়াদ বাড়ানোর সিদ্ধান্ত হয়েছে। দুর্নীতির তদন্তসহ অসমাপ্ত কাজ শেষ করার জন্য পাঁচ শর্তে এক বছর মেয়াদ বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে কৃষি মন্ত্রণালয়। তবে সার্বিক পরিস্থিতির বিবেচনায় এর সুফল পাওয়া নিয়ে সংশ্লিষ্টদের মধ্যে সংশয় রয়েছে।
দুর্নীতি-অনিয়মে জড়িত থাকায় এরই মধ্যে কৃষি যান্ত্রিকীকরণ প্রকল্পের সাবেক প্রকল্প পরিচালকসহ (পিডি) আট কর্মকর্তাকে বহিষ্কার করা হয়েছে। প্রকল্পসংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, রাজধানীর ফার্মগেট এলাকার খামারবাড়িতে প্রকল্প দপ্তরের অফিস কক্ষ দখলসহ নানা অস্থিরতা চলছে। এ প্রকল্পের অনিয়ম নিয়ে এখনো দুর্নীতি দমন কমিশনসহ (দুদক) রাষ্ট্রীয় একাধিক সংস্থা তদন্ত করছে। এমন প্রেক্ষাপটে প্রকল্পের মেয়াদ বাড়ানো হচ্ছে।
আধুনিক যন্ত্র ব্যবহারের মাধ্যমে দক্ষতা তথা উৎপাদনশীলতা বাড়ানোর উদ্দেশ্যে ‘সমন্বিত ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে কৃষি যান্ত্রিকীকরণ’ প্রকল্প হাতে নিয়েছিল বিগত সরকার। ২০২০ সালের জুলাই থেকে ২০২৫ সালের জুন পর্যন্ত পাঁচ বছরমেয়াদি এ প্রকল্পের ব্যয় ধরা হয় প্রায় ৩ হাজার কোটি টাকা। প্রকল্পে উন্নয়ন সহায়তার (ভর্তুকি) মাধ্যমে কৃষকদের ১২ ধরনের ৫১ হাজার ৩০০টি কৃষিযন্ত্র দেওয়ার কথা। মাঠপর্যায়ের তথ্য থেকে জানা গেছে, বহু প্রকৃত কৃষক এ ভর্তুকির সুবিধা পাননি। টাকা জমা দিয়ে যন্ত্রের অপেক্ষায় বসে থাকার নজির যেমন রয়েছে, তেমনি আছে কৃষির বাইরের লোককে যন্ত্র দেওয়ার ঘটনাও।
কৃষকদের সঙ্গে কথা বলে এবং খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, অসাধু কৃষি কর্মকর্তা, যন্ত্র সরবরাহকারী বিভিন্ন কোম্পানি এবং জেলা-উপজেলা পর্যায়ের দালালদের চক্র প্রকল্পের মোটা অঙ্কের ভর্তুকির সুবিধায় ভাগ বসিয়েছে। একই যন্ত্র কয়েকবার বিক্রি করে বারবার ভর্তুকি নেওয়ার অভিযোগের সত্যতাও মিলেছে এ প্রকল্পে।
কৃষি মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুসারে, দুর্নীতিসহ বিভিন্ন অভিযোগে তিনবার প্রকল্প পরিচালক (পিডি) বদল হয়েছে। গত ফেব্রুয়ারিতে প্রকল্পটিতে নিয়োগ পেয়েছেন চতুর্থ পিডি মঞ্জুর-উল-আলম। অনিয়মের অপরাধে বরখাস্ত হতে পারেন প্রকল্পসংশ্লিষ্ট আরও অন্তত ৫০ জন কর্মকর্তা।
২০২৪-২৫ অর্থবছরের বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচি অনুসারে প্রকল্পে বরাদ্দ ধরা হয়েছিল ৫০৮ কোটি টাকা। গত ডিসেম্বর পর্যন্ত ৬ মাসে ব্যয় হয়েছে মাত্র ৫৩ কোটি টাকা। অর্থাৎ অর্থবছরের অর্ধেক চলে গেলেও আর্থিক অগ্রগতি মাত্র ১০ শতাংশ। আগামী জুন পর্যন্ত অর্থবছরের বাকি ৬ মাসের জন্য কিছু অর্থ রেখে প্রায় ৪০০ কোটি টাকা মন্ত্রণালয়ে ফেরত পাঠানো হয়। তবে সম্প্রতি কৃষি মন্ত্রণালয়ের এক সভায় আরেক বছর মেয়াদ বাড়িয়ে প্রকল্পের অবশিষ্ট টাকা ব্যয়ের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। সভায় প্রকল্পে দুর্নীতির তদন্তসহ পাঁচটি শর্ত বেঁধে দিয়েছে মন্ত্রণালয়। শর্তের মধ্যে রয়েছে কৃষি যন্ত্রপাতি বিতরণের উপজেলাওয়ারি সর্বশেষ পূর্ণাঙ্গ তথ্য (যন্ত্রের নাম, চেসিস নম্বর, কৃষকের নাম ও মোবাইল নম্বর) জরুরি ভিত্তিতে দাখিল করতে হবে। প্রকল্পের সার্বিক কার্যক্রমের অনিয়ম তদন্ত করে বিতরণ করা যন্ত্রপাতি শনাক্তকরণ এবং কৃষক পর্যায়ে এসবের ব্যবহার নিশ্চিত করার লক্ষ্যে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে হবে।
সংকট-বিড়ম্বিত প্রকল্পটির মেয়াদ বাড়ানোর সিদ্ধান্তের বিষয়ে জানতে চাইলে কৃষিসচিব ড. মোহাম্মদ এমদাদ উল্লাহ মিয়ান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘ভালো উদ্দেশ্যেই কৃষি যান্ত্রিকীকরণ প্রকল্প হাতে নেওয়া হয়েছিল। তবে অনিয়ম ও অব্যবস্থাপনার কারণে কিছু অসুবিধা হয়েছে। কৃষিতে যান্ত্রিকীকরণের গুরুত্ব রয়েছে। তাই আমরা প্রকল্পের মেয়াদ আরও এক বছর বাড়িয়েছি।’
অফিসছাড়া পাঁচ কর্মকর্তা
প্রকল্পটিতে প্রথম থেকেই অনিয়ম-দুর্নীতির দাগ ছিল। গত বছর গণ-অভ্যুত্থানে সরকার বদলের পর আসে নতুন ধরনের বিপত্তি। শুরু হয় কর্মকর্তাদের মধ্যে অস্থিরতা। বিএনপিপন্থী পরিচয়ে কয়েকজন কর্মকর্তা তৎকালীন পিডি মোহাম্মদ সফিউজ্জামানসহ প্রকল্পের অন্য কর্মকর্তাদের অফিস ছেড়ে যেতে হুমকি-ধমকি দেন কয়েকবার। হুমকি দেওয়া কর্মকর্তাদের নেতৃত্বে ছিলেন বর্তমান পিডি মঞ্জুর-উল-আলম।
প্রকল্পের তৎকালীন পিডি ও দুই ডিপিডিকে (উপপ্রকল্প পরিচালক) একটি হত্যা মামলাসহ দুটি ‘রাজনৈতিক মামলায়’ আসামি করা হয়েছে। খামারবাড়িতে এই তিন কর্মকর্তার ছবিসহ ‘স্বৈরাচারের দোসর’ লেখাসম্বলিত ব্যানার টাঙানো হয়েছে। গত ১৬ ফেব্রুয়ারি নতুন পিডি মঞ্জুর-উল-আলম দায়িত্ব নেওয়ার পর দুই ডিপিডিসহ পাঁচ কর্মকর্তাকে অফিস ছাড়তে বাধ্য করা হয়। তিন কর্মকর্তার অভিযোগ, তাঁদের কাছ থেকে কক্ষের চাবি নিয়ে অফিস ত্যাগ করার নির্দেশ দেন নতুন পিডি। কক্ষের সামনে থেকে তাঁদের নামফলক খুলে ফেলা হয়। অফিস ছাড়তে বাধ্য হওয়া কর্মকর্তারা হচ্ছেন ডিপিডি শফিকুল ইসলাম শেখ, ডিপিডি আলতাফুন নাহার, জ্যেষ্ঠ মনিটরিং অ্যান্ড ইভ্যালুয়েশন অফিসার মুহাম্মদ কুরবান আলী এবং মনিটরিং অ্যান্ড ইভ্যালুয়েশন অফিসার আফছার আহমেদ রাজিন ও জুলফিকার আলী ভুট্টো। দুই ডিপিডির কক্ষে নতুন দুজনকে বসানো হয়েছে। তবে অফিস ছাড়তে বাধ্য করা ৫ কর্মকর্তাকে নিয়ম অনুসারে অন্য কোথাও বদলি বা পদায়নও করা হয়নি। অভিযোগ রয়েছে, নতুন পিডি নিয়োগ পেয়েছেন আলোচিত এক ছাত্র সমন্বয়কের তদবিরে। এসব বিষয়ে বক্তব্য জানতে পিডি মঞ্জুর-উল-আলমকে তিন দিন ধরে হোয়াটসঅ্যাপ, টেলিফোন ও মোবাইল ফোনে বেশ কয়েকবার কল করলে এবং খুদে বার্তা পাঠালেও তাঁর সাড়া মেলেনি।
এদিকে প্রকল্পের দপ্তর থেকে কর্মকর্তাদের ‘অফিসছাড়া করার’ বিষয়ে তিন কর্মদিবসের মধ্যে জবাব চেয়ে পিডি মঞ্জুর-উল-আলমকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হয়েছে অধিদপ্তর থেকে।
সার্বিক বিষয়ে জানতে চাইলে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক (ডিজি) মো. ছাইফুল আলম আজকের পত্রিকা'কে বলেন, ‘নোটিশ দেওয়ার পাশাপাশি পিডিকে মৌখিকভাবেও জিজ্ঞেস করেছি। নোটিশের জবাব পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেব। আর আমরা এক বছর মেয়াদ বাড়িয়ে প্রকল্পটির সার্বিক কার্যক্রমে শৃঙ্খলা আনার চেষ্টা করছি।’
আরও খবর পড়ুন:

বিচারকদের উদ্দেশে তিনি বলেন, গুমের বিচার বাস্তবায়নে বিচারকদের সাহসী ও ন্যায্য ভূমিকা রাখা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। বিচার বিভাগের নিরপেক্ষতা ও দৃঢ় অবস্থানই একদিন বাংলাদেশ থেকে গুমের সংস্কৃতি নির্মূল করবে।
২ ঘণ্টা আগে
বাংলাদেশে যুক্তরাষ্ট্রের পরবর্তী রাষ্ট্রদূত হিসেবে মনোনীত ব্রেন্ট ক্রিস্টেনসেন বলেছেন, নিয়োগ পেলে চীনা কর্মকাণ্ড থেকে উদ্ভূত ঝুঁকিগুলো স্পষ্টভাবে তুলে ধরতে তিনি বাংলাদেশ সরকার ও সামরিক বাহিনীর সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করবেন। গত বৃহস্পতিবার (২৩ অক্টোবর) যুক্তরাষ্ট্র সিনেটের পররাষ্ট্রবিষয়ক কমিটিতে তাঁর
৩ ঘণ্টা আগে
বিমানবন্দরের ভয়াবহ আগুন লাগার কারণ ও দায়ীদের খুঁজে বের করতে চারটি দেশ থেকে বিশেষজ্ঞ আনা হবে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী।
১০ ঘণ্টা আগে
কিশোরগঞ্জের অষ্টগ্রাম ও চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়ায় খেলা করার সময় পানিতে পড়ে ছয় শিশুর মর্মান্তিক মৃত্যু হয়েছে। আজ শুক্রবার অষ্টগ্রাম উপজেলার দেওঘর ইউনিয়ন ও রাঙ্গুনিয়ার পারুয়া ইউনিয়নে ঘটনা দুটি ঘটে। এতে ওইসব এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে।
১ দিন আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল বলেছেন, গুম হত্যার চেয়েও নিকৃষ্টতম অপরাধ। গুম প্রতিরোধে শুধু আইনগত সংস্কার নয়, প্রয়োজন প্রাতিষ্ঠানিক সংস্কারও।
আজ শনিবার রাজধানীর গুলশানে হোটেল আমারিতে অনুষ্ঠিত ‘Ensuring Justice: The Role of the Judiciary in Addressing Enforced Disappearances’ শীর্ষক দিনব্যাপী কর্মশালার উদ্বোধনী পর্বে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। গুম-সংক্রান্ত কমিশন অব ইনকোয়ারির উদ্যোগে এবং ঢাকায় জাতিসংঘের মানবাধিকার-বিষয়ক হাইকমিশনারের কার্যালয়ের সহযোগিতায় এই কর্মশালার আয়োজন করা হয়।
কর্মশালায় আসিফ নজরুল বলেন, ‘অনেক প্রাণ ও ত্যাগের বিনিময়ে আমরা আজ একটি পরিবর্তিত পরিবেশে অবস্থান করছি। এই পরিবর্তন স্থায়ী করতে হলে গুমের বিচার নিশ্চিত করা অপরিহার্য।’
বিচারকদের উদ্দেশে তিনি বলেন, গুমের বিচার বাস্তবায়নে বিচারকদের সাহসী ও ন্যায্য ভূমিকা রাখা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। বিচার বিভাগের নিরপেক্ষতা ও দৃঢ় অবস্থানই একদিন বাংলাদেশ থেকে গুমের সংস্কৃতি নির্মূল করবে।
কর্মশালায় মূল প্রবন্ধ উপস্থাপনকালে কমিশনের সভাপতি বিচারপতি মইনুল ইসলাম চৌধুরী বলেন, রায় লেখা একটি সৃজনশীল শিল্প। তাই বিচারকেরা হলেন সৃজনশীল শিল্পী। তাঁদের শিল্পকর্মই তাঁদের রায়।
তিনি বলেন, গুম প্রতিরোধে বিচার বিভাগ, আইনপ্রয়োগকারী সংস্থা ও মানবাধিকার কাঠামোর মধ্যে সমন্বিত সহযোগিতা অপরিহার্য। আন্তর্জাতিক মানবাধিকার আইন, সাক্ষ্য-প্রমাণ বিশ্লেষণ ও আধুনিক প্রযুক্তির যথাযথ প্রয়োগের মাধ্যমে বিচার বিভাগ ও তদন্ত সংস্থার সক্ষমতা বৃদ্ধি গুমের বিচার নিশ্চিতের মূল চাবিকাঠি।
কমিশনের সদস্য বিচারপতি মো. ফরিদ আহমেদ শিবলী বলেন, গুম-সংক্রান্ত মামলাগুলোর কার্যকর তদন্ত ও বিচার নিশ্চিত করতে প্রাতিষ্ঠানিক সংস্কার এখন সময়ের দাবি। কমিশন এরই মধ্যে বিদ্যমান আইনি কাঠামো পর্যালোচনা করে গুম-সংক্রান্ত মামলার দ্রুত নিষ্পত্তি, সাক্ষী সুরক্ষা ও ভুক্তভোগী পরিবারের আইনি সহায়তা নিশ্চিত করতে প্রয়োজনীয় আইন সংশোধনের প্রস্তাব প্রস্তুত করছে।
কর্মশালায় আরও বক্তব্য দেন আইন ও বিচার বিভাগের সচিব লিয়াকত আলী মোল্লা এবং ঢাকায় জাতিসংঘের আবাসিক সমন্বয়কারীর কার্যালয়ের জ্যেষ্ঠ মানবাধিকার-বিষয়ক উপদেষ্টা হুমা খান।

আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল বলেছেন, গুম হত্যার চেয়েও নিকৃষ্টতম অপরাধ। গুম প্রতিরোধে শুধু আইনগত সংস্কার নয়, প্রয়োজন প্রাতিষ্ঠানিক সংস্কারও।
আজ শনিবার রাজধানীর গুলশানে হোটেল আমারিতে অনুষ্ঠিত ‘Ensuring Justice: The Role of the Judiciary in Addressing Enforced Disappearances’ শীর্ষক দিনব্যাপী কর্মশালার উদ্বোধনী পর্বে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। গুম-সংক্রান্ত কমিশন অব ইনকোয়ারির উদ্যোগে এবং ঢাকায় জাতিসংঘের মানবাধিকার-বিষয়ক হাইকমিশনারের কার্যালয়ের সহযোগিতায় এই কর্মশালার আয়োজন করা হয়।
কর্মশালায় আসিফ নজরুল বলেন, ‘অনেক প্রাণ ও ত্যাগের বিনিময়ে আমরা আজ একটি পরিবর্তিত পরিবেশে অবস্থান করছি। এই পরিবর্তন স্থায়ী করতে হলে গুমের বিচার নিশ্চিত করা অপরিহার্য।’
বিচারকদের উদ্দেশে তিনি বলেন, গুমের বিচার বাস্তবায়নে বিচারকদের সাহসী ও ন্যায্য ভূমিকা রাখা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। বিচার বিভাগের নিরপেক্ষতা ও দৃঢ় অবস্থানই একদিন বাংলাদেশ থেকে গুমের সংস্কৃতি নির্মূল করবে।
কর্মশালায় মূল প্রবন্ধ উপস্থাপনকালে কমিশনের সভাপতি বিচারপতি মইনুল ইসলাম চৌধুরী বলেন, রায় লেখা একটি সৃজনশীল শিল্প। তাই বিচারকেরা হলেন সৃজনশীল শিল্পী। তাঁদের শিল্পকর্মই তাঁদের রায়।
তিনি বলেন, গুম প্রতিরোধে বিচার বিভাগ, আইনপ্রয়োগকারী সংস্থা ও মানবাধিকার কাঠামোর মধ্যে সমন্বিত সহযোগিতা অপরিহার্য। আন্তর্জাতিক মানবাধিকার আইন, সাক্ষ্য-প্রমাণ বিশ্লেষণ ও আধুনিক প্রযুক্তির যথাযথ প্রয়োগের মাধ্যমে বিচার বিভাগ ও তদন্ত সংস্থার সক্ষমতা বৃদ্ধি গুমের বিচার নিশ্চিতের মূল চাবিকাঠি।
কমিশনের সদস্য বিচারপতি মো. ফরিদ আহমেদ শিবলী বলেন, গুম-সংক্রান্ত মামলাগুলোর কার্যকর তদন্ত ও বিচার নিশ্চিত করতে প্রাতিষ্ঠানিক সংস্কার এখন সময়ের দাবি। কমিশন এরই মধ্যে বিদ্যমান আইনি কাঠামো পর্যালোচনা করে গুম-সংক্রান্ত মামলার দ্রুত নিষ্পত্তি, সাক্ষী সুরক্ষা ও ভুক্তভোগী পরিবারের আইনি সহায়তা নিশ্চিত করতে প্রয়োজনীয় আইন সংশোধনের প্রস্তাব প্রস্তুত করছে।
কর্মশালায় আরও বক্তব্য দেন আইন ও বিচার বিভাগের সচিব লিয়াকত আলী মোল্লা এবং ঢাকায় জাতিসংঘের আবাসিক সমন্বয়কারীর কার্যালয়ের জ্যেষ্ঠ মানবাধিকার-বিষয়ক উপদেষ্টা হুমা খান।

অনিয়ম ও লুটপাটের অভিযোগ আর দাপ্তরিক অস্থিরতার মধ্যেই কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের (ডিএই) আলোচিত কৃষি যান্ত্রিকীকরণ প্রকল্পের মেয়াদ বাড়ানোর সিদ্ধান্ত হয়েছে। দুর্নীতির তদন্তসহ অসমাপ্ত কাজ শেষ করার জন্য পাঁচ শর্তে এক বছর মেয়াদ বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে কৃষি...
০৬ এপ্রিল ২০২৫
বাংলাদেশে যুক্তরাষ্ট্রের পরবর্তী রাষ্ট্রদূত হিসেবে মনোনীত ব্রেন্ট ক্রিস্টেনসেন বলেছেন, নিয়োগ পেলে চীনা কর্মকাণ্ড থেকে উদ্ভূত ঝুঁকিগুলো স্পষ্টভাবে তুলে ধরতে তিনি বাংলাদেশ সরকার ও সামরিক বাহিনীর সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করবেন। গত বৃহস্পতিবার (২৩ অক্টোবর) যুক্তরাষ্ট্র সিনেটের পররাষ্ট্রবিষয়ক কমিটিতে তাঁর
৩ ঘণ্টা আগে
বিমানবন্দরের ভয়াবহ আগুন লাগার কারণ ও দায়ীদের খুঁজে বের করতে চারটি দেশ থেকে বিশেষজ্ঞ আনা হবে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী।
১০ ঘণ্টা আগে
কিশোরগঞ্জের অষ্টগ্রাম ও চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়ায় খেলা করার সময় পানিতে পড়ে ছয় শিশুর মর্মান্তিক মৃত্যু হয়েছে। আজ শুক্রবার অষ্টগ্রাম উপজেলার দেওঘর ইউনিয়ন ও রাঙ্গুনিয়ার পারুয়া ইউনিয়নে ঘটনা দুটি ঘটে। এতে ওইসব এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে।
১ দিন আগেসিনেটে শুনানিতে ট্রাম্প–মনোনীত রাষ্ট্রদূত
আজকের পত্রিকা ডেস্ক

বাংলাদেশে যুক্তরাষ্ট্রের পরবর্তী রাষ্ট্রদূত হিসেবে মনোনীত ব্রেন্ট ক্রিস্টেনসেন বলেছেন, নিয়োগ পেলে চীনা কর্মকাণ্ড থেকে উদ্ভূত ঝুঁকিগুলো স্পষ্টভাবে তুলে ধরতে তিনি বাংলাদেশ সরকার ও সামরিক বাহিনীর সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করবেন। গত বৃহস্পতিবার (২৩ অক্টোবর) যুক্তরাষ্ট্র সিনেটের পররাষ্ট্রবিষয়ক কমিটিতে তাঁর মনোনয়ন নিয়ে শুনানিতে প্রশ্নোত্তর পর্বে একথা বলেন ক্রিস্টেনসেন।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের মমোনীত এই কূটনীতিক বলেন, রাষ্ট্রদূত হিসেবে নিয়োগ পেলে তিনি বাংলাদেশ সরকার ও সামরিক বাহিনীর কাছে সামরিক সহযোগিতা, সামুদ্রিক কর্মকাণ্ড এবং গুরুত্বপূর্ণ অবকাঠামোতে সম্পৃক্ততাসহ চীনা কর্মকাণ্ডের ঝুঁকি সুস্পষ্টভাবে তুলে ধরবনে। পাশাপাশি সামরিক সহযোগিতার ক্ষেত্রে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে অংশীদারত্ব ঘনিষ্ঠ করার জন্য কাজ করারও প্রতিশ্রুতি দেন ক্রিস্টেনসেন।
গত ২ সেপ্টেম্বর মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ব্রেন্ট ক্রিস্টেনসেনকে বাংলাদেশের পরবর্তী রাষ্ট্রদূত হিসেবে মনোনয়ন দেন। সিনেট কমিটির অনুমোদনের পরই তাঁর নিয়োগ চূড়ান্ত হবে। এই মনোনয়ন নিয়ে শুনানিতে চার রাষ্ট্রদূত প্রার্থী লিখিত বিবৃতি তুলে ধরেন। পরে তাঁরা সিনেট সদস্যদের প্রশ্নের জবাব দেন।
বাংলাদেশের সঙ্গে চীনের ক্রমবর্ধমান সম্পর্ক নিয়ে উদ্বেগ তুলে ধরে নেব্রাস্কার রিপাবলিকান সিনেটর জন পিটার রিকেটস শুনানিতে বলেন, ‘আমরা এখন চীনা কমিউনিস্ট পার্টির ক্রমবর্ধমান প্রভাবের মুখে। বাংলাদেশ ও চীনের সামরিক সহযোগিতা দ্রুত বাড়ছে। যুদ্ধজাহাজ ও সাবমেরিন রাখার জন্য সম্প্রতি বাংলাদেশের একটি কৌশলগত সাবমেরিন ঘাঁটি আধুনিকায়ন করেছে চীন। বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকার চীনের তৈরি ২০টি জে-১০ যুদ্ধবিমান কেনার পরিকল্পনা অনুমোদন করেছে বলে খবর পাওয়া গেছে। পাশাপাশি নতুন সারফেস-টু-এয়ার মিসাইল ও দূরপাল্লার রাডার কেনার বিষয়েও সিদ্ধান্ত হয়েছে।’
মার্কিন রাষ্ট্রদূত নিয়োগ পেলে চীনা সামরিক সরঞ্জামের ওপর বাংলাদেশের নির্ভরশীলতা কমাতে বাংলাদেশের সামরিক ও রাজনৈতিক নেতৃত্বের সঙ্গে ক্রিস্টেনসেন কীভাবে কাজ করবেন, তা জানতে চান সিনেটর রিকেটস।

জবাবে ব্রেন্ট ক্রিস্টেনসেন বলেন, ‘দক্ষিণ এশিয়ায় চীনের প্রভাব নিয়ে আপনাদের মতো উদ্বেগ আমারও। রাষ্ট্রদূত নিয়োগ আমি বাংলাদেশ সরকার ও সামরিক বাহিনীর সঙ্গে যুক্ত থেকে চীনের কার্যক্রমের ঝুঁকি ব্যাখ্যা করব। পাশাপাশি যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে গভীর অংশীদারিত্বের সম্ভাবনা তুলে ধরব, যা দুই দেশের সামরিক সম্পর্ককে আরও মজবুত করবে।’
এ সময় সিনেটর রিকেটস বলেন, ‘এই শুনানির আগের দিনই সিনেট পররাষ্ট্র কমিটি সর্বসম্মতভাবে ‘থিংক টোয়াইস অ্যাক্ট’ পাস করেছে। এই আইন যুক্তরাষ্ট্রকে পূর্ণাঙ্গ কৌশল নিতে বাধ্য করবে, যাতে বাংলাদেশসহ অন্যান্য দেশকে চীনা অস্ত্র কেনা থেকে বিরত রাখা যায়। আমরা আশা করি, আপনিও এই আইনের সহায়তা নিয়ে কাজ করবেন। তাহলে অস্ত্র বিক্রির মাধ্যমে চীনের ক্রমবর্ধমান প্রভাব বিস্তার প্রতিরোধ সম্ভব হবে।’
তাঁর এই মন্তব্যের সূত্র ধরে ব্রেন্ট ক্রিস্টেনসেন বলেন, ‘সামরিক অংশীদারিত্বের মাধ্যমে যুক্তরাষ্ট্রের উচ্চমূল্যের সামরিক সরঞ্জামের বিকল্প হিসেবে মিত্রদেশগুলোর তৈরি সাশ্রয়ী প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা সম্পর্কে আমরা বাংলাদেশকে জানাতে পারি। পাশাপাশি যৌথ সামরিক মহড়ার মাধ্যমে বাংলাদেশের প্ল্যাটফর্মগুলোকে অন্যান্য মিত্র বাহিনীর সঙ্গে আরও সমন্বিত ও কার্যকর করতে পারি।’
শুনানির শুরুতে লিখিত বিবৃতিতে ব্রেন্ট ক্রিস্টেনসেন বলেন, ‘বাংলাদেশ এখন এক সন্ধিক্ষণে দাঁড়িয়ে আছে। ২০২৪ সালের আগস্টে শিক্ষার্থীদের নেতৃত্বে যে গণআন্দোলন হয়েছিল, তা ১৫ বছর ধরে ক্ষমতায় থাকা সরকারকে পতন ঘটায়। আগামী বছর বাংলাদেশের জনগণ ভোটে যাবে, যা দেশের সাম্প্রতিক ইতিহাসে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ নির্বাচন। যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক ও উজ্জ্বল ভবিষ্যতের যাত্রায় পাশে থাকবে।”
তিনি আরও বলেন, ‘বিশ্বের অষ্টম জনবহুল দেশ হিসেবে বাংলাদেশ অনেক সময় তাঁর প্রাপ্য মনোযোগ পায় না, বড় প্রতিবেশীদের আড়ালে গুরুত্ব হারিয়ে যায়। যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রসেবায় আমার দুই দশকের অভিজ্ঞতা, যার মধ্যে ঢাকার কর্মকালও রয়েছে। তাই, আমি বাংলাদেশের কৌশলগত গুরুত্ব ও যুক্তরাষ্ট্রের স্বার্থ সম্পর্কে গভীরভাবে অবগত। ভারত মহাসাগরীয় অঞ্চলে অবস্থান বাংলাদেশকে উন্মুক্ত, নিরাপদ ও সমৃদ্ধ ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলে গুরুত্বপূর্ণ অংশীদার করে তুলেছে।’

বাংলাদেশে যুক্তরাষ্ট্রের পরবর্তী রাষ্ট্রদূত হিসেবে মনোনীত ব্রেন্ট ক্রিস্টেনসেন বলেছেন, নিয়োগ পেলে চীনা কর্মকাণ্ড থেকে উদ্ভূত ঝুঁকিগুলো স্পষ্টভাবে তুলে ধরতে তিনি বাংলাদেশ সরকার ও সামরিক বাহিনীর সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করবেন। গত বৃহস্পতিবার (২৩ অক্টোবর) যুক্তরাষ্ট্র সিনেটের পররাষ্ট্রবিষয়ক কমিটিতে তাঁর মনোনয়ন নিয়ে শুনানিতে প্রশ্নোত্তর পর্বে একথা বলেন ক্রিস্টেনসেন।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের মমোনীত এই কূটনীতিক বলেন, রাষ্ট্রদূত হিসেবে নিয়োগ পেলে তিনি বাংলাদেশ সরকার ও সামরিক বাহিনীর কাছে সামরিক সহযোগিতা, সামুদ্রিক কর্মকাণ্ড এবং গুরুত্বপূর্ণ অবকাঠামোতে সম্পৃক্ততাসহ চীনা কর্মকাণ্ডের ঝুঁকি সুস্পষ্টভাবে তুলে ধরবনে। পাশাপাশি সামরিক সহযোগিতার ক্ষেত্রে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে অংশীদারত্ব ঘনিষ্ঠ করার জন্য কাজ করারও প্রতিশ্রুতি দেন ক্রিস্টেনসেন।
গত ২ সেপ্টেম্বর মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ব্রেন্ট ক্রিস্টেনসেনকে বাংলাদেশের পরবর্তী রাষ্ট্রদূত হিসেবে মনোনয়ন দেন। সিনেট কমিটির অনুমোদনের পরই তাঁর নিয়োগ চূড়ান্ত হবে। এই মনোনয়ন নিয়ে শুনানিতে চার রাষ্ট্রদূত প্রার্থী লিখিত বিবৃতি তুলে ধরেন। পরে তাঁরা সিনেট সদস্যদের প্রশ্নের জবাব দেন।
বাংলাদেশের সঙ্গে চীনের ক্রমবর্ধমান সম্পর্ক নিয়ে উদ্বেগ তুলে ধরে নেব্রাস্কার রিপাবলিকান সিনেটর জন পিটার রিকেটস শুনানিতে বলেন, ‘আমরা এখন চীনা কমিউনিস্ট পার্টির ক্রমবর্ধমান প্রভাবের মুখে। বাংলাদেশ ও চীনের সামরিক সহযোগিতা দ্রুত বাড়ছে। যুদ্ধজাহাজ ও সাবমেরিন রাখার জন্য সম্প্রতি বাংলাদেশের একটি কৌশলগত সাবমেরিন ঘাঁটি আধুনিকায়ন করেছে চীন। বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকার চীনের তৈরি ২০টি জে-১০ যুদ্ধবিমান কেনার পরিকল্পনা অনুমোদন করেছে বলে খবর পাওয়া গেছে। পাশাপাশি নতুন সারফেস-টু-এয়ার মিসাইল ও দূরপাল্লার রাডার কেনার বিষয়েও সিদ্ধান্ত হয়েছে।’
মার্কিন রাষ্ট্রদূত নিয়োগ পেলে চীনা সামরিক সরঞ্জামের ওপর বাংলাদেশের নির্ভরশীলতা কমাতে বাংলাদেশের সামরিক ও রাজনৈতিক নেতৃত্বের সঙ্গে ক্রিস্টেনসেন কীভাবে কাজ করবেন, তা জানতে চান সিনেটর রিকেটস।

জবাবে ব্রেন্ট ক্রিস্টেনসেন বলেন, ‘দক্ষিণ এশিয়ায় চীনের প্রভাব নিয়ে আপনাদের মতো উদ্বেগ আমারও। রাষ্ট্রদূত নিয়োগ আমি বাংলাদেশ সরকার ও সামরিক বাহিনীর সঙ্গে যুক্ত থেকে চীনের কার্যক্রমের ঝুঁকি ব্যাখ্যা করব। পাশাপাশি যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে গভীর অংশীদারিত্বের সম্ভাবনা তুলে ধরব, যা দুই দেশের সামরিক সম্পর্ককে আরও মজবুত করবে।’
এ সময় সিনেটর রিকেটস বলেন, ‘এই শুনানির আগের দিনই সিনেট পররাষ্ট্র কমিটি সর্বসম্মতভাবে ‘থিংক টোয়াইস অ্যাক্ট’ পাস করেছে। এই আইন যুক্তরাষ্ট্রকে পূর্ণাঙ্গ কৌশল নিতে বাধ্য করবে, যাতে বাংলাদেশসহ অন্যান্য দেশকে চীনা অস্ত্র কেনা থেকে বিরত রাখা যায়। আমরা আশা করি, আপনিও এই আইনের সহায়তা নিয়ে কাজ করবেন। তাহলে অস্ত্র বিক্রির মাধ্যমে চীনের ক্রমবর্ধমান প্রভাব বিস্তার প্রতিরোধ সম্ভব হবে।’
তাঁর এই মন্তব্যের সূত্র ধরে ব্রেন্ট ক্রিস্টেনসেন বলেন, ‘সামরিক অংশীদারিত্বের মাধ্যমে যুক্তরাষ্ট্রের উচ্চমূল্যের সামরিক সরঞ্জামের বিকল্প হিসেবে মিত্রদেশগুলোর তৈরি সাশ্রয়ী প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা সম্পর্কে আমরা বাংলাদেশকে জানাতে পারি। পাশাপাশি যৌথ সামরিক মহড়ার মাধ্যমে বাংলাদেশের প্ল্যাটফর্মগুলোকে অন্যান্য মিত্র বাহিনীর সঙ্গে আরও সমন্বিত ও কার্যকর করতে পারি।’
শুনানির শুরুতে লিখিত বিবৃতিতে ব্রেন্ট ক্রিস্টেনসেন বলেন, ‘বাংলাদেশ এখন এক সন্ধিক্ষণে দাঁড়িয়ে আছে। ২০২৪ সালের আগস্টে শিক্ষার্থীদের নেতৃত্বে যে গণআন্দোলন হয়েছিল, তা ১৫ বছর ধরে ক্ষমতায় থাকা সরকারকে পতন ঘটায়। আগামী বছর বাংলাদেশের জনগণ ভোটে যাবে, যা দেশের সাম্প্রতিক ইতিহাসে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ নির্বাচন। যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক ও উজ্জ্বল ভবিষ্যতের যাত্রায় পাশে থাকবে।”
তিনি আরও বলেন, ‘বিশ্বের অষ্টম জনবহুল দেশ হিসেবে বাংলাদেশ অনেক সময় তাঁর প্রাপ্য মনোযোগ পায় না, বড় প্রতিবেশীদের আড়ালে গুরুত্ব হারিয়ে যায়। যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রসেবায় আমার দুই দশকের অভিজ্ঞতা, যার মধ্যে ঢাকার কর্মকালও রয়েছে। তাই, আমি বাংলাদেশের কৌশলগত গুরুত্ব ও যুক্তরাষ্ট্রের স্বার্থ সম্পর্কে গভীরভাবে অবগত। ভারত মহাসাগরীয় অঞ্চলে অবস্থান বাংলাদেশকে উন্মুক্ত, নিরাপদ ও সমৃদ্ধ ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলে গুরুত্বপূর্ণ অংশীদার করে তুলেছে।’

অনিয়ম ও লুটপাটের অভিযোগ আর দাপ্তরিক অস্থিরতার মধ্যেই কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের (ডিএই) আলোচিত কৃষি যান্ত্রিকীকরণ প্রকল্পের মেয়াদ বাড়ানোর সিদ্ধান্ত হয়েছে। দুর্নীতির তদন্তসহ অসমাপ্ত কাজ শেষ করার জন্য পাঁচ শর্তে এক বছর মেয়াদ বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে কৃষি...
০৬ এপ্রিল ২০২৫
বিচারকদের উদ্দেশে তিনি বলেন, গুমের বিচার বাস্তবায়নে বিচারকদের সাহসী ও ন্যায্য ভূমিকা রাখা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। বিচার বিভাগের নিরপেক্ষতা ও দৃঢ় অবস্থানই একদিন বাংলাদেশ থেকে গুমের সংস্কৃতি নির্মূল করবে।
২ ঘণ্টা আগে
বিমানবন্দরের ভয়াবহ আগুন লাগার কারণ ও দায়ীদের খুঁজে বের করতে চারটি দেশ থেকে বিশেষজ্ঞ আনা হবে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী।
১০ ঘণ্টা আগে
কিশোরগঞ্জের অষ্টগ্রাম ও চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়ায় খেলা করার সময় পানিতে পড়ে ছয় শিশুর মর্মান্তিক মৃত্যু হয়েছে। আজ শুক্রবার অষ্টগ্রাম উপজেলার দেওঘর ইউনিয়ন ও রাঙ্গুনিয়ার পারুয়া ইউনিয়নে ঘটনা দুটি ঘটে। এতে ওইসব এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে।
১ দিন আগেউত্তরা-বিমানবন্দর (ঢাকা) প্রতিনিধি

বিমানবন্দরের ভয়াবহ আগুন লাগার কারণ ও দায়ীদের খুঁজে বের করতে চারটি দেশ থেকে বিশেষজ্ঞ আনা হবে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী।
আজ শনিবার (২৫ অক্টোবর) দুপুরে বিমানবন্দরে অগ্নিকাণ্ডের ক্ষতিগ্রস্ত কার্গো ভিলেজ ও ই-গেট পরিদর্শন শেষে বিমানবন্দরের অ্যারাইভাল গেটে সাংবাদিকদের তিনি এই তথ্য জানান।
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, ‘অব্যবস্থাপনার বিষয়টি তদন্তের জন্য আমরা চারটি দেশকে ইনভাইট করেছি। ইংল্যান্ড, অস্ট্রেলিয়া, চীন ও তুরস্ককে আসতে বলেছি। তাদের স্পেশালিস্ট আমরা আনতে চাচ্ছি। তারা তদন্ত করে কারণটা কী এবং কে দায়ী বের করবে।’
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, ‘বিমানবন্দরের ভেতরে চারটি ইউনিট আছে। চারটি ইউনিটই কাজ করছে। আমরা আশা করছিলাম তাড়াতাড়ি কন্ট্রোলে আসবে। কন্ট্রোলে আসতে একটু সময় লাগছে। যেহেতু বিভিন্ন পারিপার্শ্বিক অবস্থা চিন্তা করতে হয়। যেহেতু দাহ্য পদার্থ খুব বেশি ছিল। অনেক সময় বাতাস থাকলে নেভাতে সময় লাগে।’
কার্গো ভিলেজে বিশেষায়িত ফায়ার সার্ভিস ইউনিট কেন ছিল না—এই প্রশ্নের জবাবে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, ‘আগুন নেভানোর জন্য বিমানে যে ইউনিট থাকে, সেটা কার্গো ভিলেজেও কাজ করতে পারে। এটিতে কোনো অসুবিধা নাই।’
জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী আরও বলেন, ‘আগুন নেভাতে কেউ ফেল করেনি। কিন্তু সময় লাগছে। ফেল করলে সব জ্বলে যেত। ওই দিন রাত ৯টার সময় বিমানবন্দর চালু করে দিয়েছে।’
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, ‘বিমানবন্দর অথরিটির চারটি ফায়ার সার্ভিস ইউনিট আছে। সেগুলো ৩০ সেকেন্ডের ভেতরে চলে আসছিল। ফায়ার সার্ভিসের যে ইউনিটগুলো আছে, তার একটি দিয়াবাড়ির মেট্রোরেলের ওখানে, আরেকটি কুর্মিটোলায়। সেগুলো ২০ মিনিটের ভেতরে চলে আসছে।’
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা আরও বলেন, ‘যেখানে আগুন ধরেছে, সেখানে কেমিক্যাল ও গার্মেন্টস ম্যাটেরিয়াল ছিল। দাহ্য পদার্থ খুব বেশি ছিল। যার কারণে আগুনটা ছড়িয়ে গেছে তাড়াতাড়ি। কন্ট্রোল করতে সময় নিয়েছে।’
১৮ অক্টোবর বেলা আড়াইটার দিকে বিমানবন্দরের ৮ নম্বর গেট-সংলগ্ন আমদানি কার্গো ভিলেজে আগুন লাগে। ফায়ার সার্ভিসের ১৩টি স্টেশনের ৩৭টি ইউনিটের চেষ্টায় রাতে আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। কিন্তু পুরোপুরি নির্বাপণ হয় ২৬ ঘণ্টা পর ১৯ অক্টোবর বিকেল ৫টার দিকে।
আরও খবর পড়ুন:

বিমানবন্দরের ভয়াবহ আগুন লাগার কারণ ও দায়ীদের খুঁজে বের করতে চারটি দেশ থেকে বিশেষজ্ঞ আনা হবে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী।
আজ শনিবার (২৫ অক্টোবর) দুপুরে বিমানবন্দরে অগ্নিকাণ্ডের ক্ষতিগ্রস্ত কার্গো ভিলেজ ও ই-গেট পরিদর্শন শেষে বিমানবন্দরের অ্যারাইভাল গেটে সাংবাদিকদের তিনি এই তথ্য জানান।
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, ‘অব্যবস্থাপনার বিষয়টি তদন্তের জন্য আমরা চারটি দেশকে ইনভাইট করেছি। ইংল্যান্ড, অস্ট্রেলিয়া, চীন ও তুরস্ককে আসতে বলেছি। তাদের স্পেশালিস্ট আমরা আনতে চাচ্ছি। তারা তদন্ত করে কারণটা কী এবং কে দায়ী বের করবে।’
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, ‘বিমানবন্দরের ভেতরে চারটি ইউনিট আছে। চারটি ইউনিটই কাজ করছে। আমরা আশা করছিলাম তাড়াতাড়ি কন্ট্রোলে আসবে। কন্ট্রোলে আসতে একটু সময় লাগছে। যেহেতু বিভিন্ন পারিপার্শ্বিক অবস্থা চিন্তা করতে হয়। যেহেতু দাহ্য পদার্থ খুব বেশি ছিল। অনেক সময় বাতাস থাকলে নেভাতে সময় লাগে।’
কার্গো ভিলেজে বিশেষায়িত ফায়ার সার্ভিস ইউনিট কেন ছিল না—এই প্রশ্নের জবাবে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, ‘আগুন নেভানোর জন্য বিমানে যে ইউনিট থাকে, সেটা কার্গো ভিলেজেও কাজ করতে পারে। এটিতে কোনো অসুবিধা নাই।’
জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী আরও বলেন, ‘আগুন নেভাতে কেউ ফেল করেনি। কিন্তু সময় লাগছে। ফেল করলে সব জ্বলে যেত। ওই দিন রাত ৯টার সময় বিমানবন্দর চালু করে দিয়েছে।’
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, ‘বিমানবন্দর অথরিটির চারটি ফায়ার সার্ভিস ইউনিট আছে। সেগুলো ৩০ সেকেন্ডের ভেতরে চলে আসছিল। ফায়ার সার্ভিসের যে ইউনিটগুলো আছে, তার একটি দিয়াবাড়ির মেট্রোরেলের ওখানে, আরেকটি কুর্মিটোলায়। সেগুলো ২০ মিনিটের ভেতরে চলে আসছে।’
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা আরও বলেন, ‘যেখানে আগুন ধরেছে, সেখানে কেমিক্যাল ও গার্মেন্টস ম্যাটেরিয়াল ছিল। দাহ্য পদার্থ খুব বেশি ছিল। যার কারণে আগুনটা ছড়িয়ে গেছে তাড়াতাড়ি। কন্ট্রোল করতে সময় নিয়েছে।’
১৮ অক্টোবর বেলা আড়াইটার দিকে বিমানবন্দরের ৮ নম্বর গেট-সংলগ্ন আমদানি কার্গো ভিলেজে আগুন লাগে। ফায়ার সার্ভিসের ১৩টি স্টেশনের ৩৭টি ইউনিটের চেষ্টায় রাতে আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। কিন্তু পুরোপুরি নির্বাপণ হয় ২৬ ঘণ্টা পর ১৯ অক্টোবর বিকেল ৫টার দিকে।
আরও খবর পড়ুন:

অনিয়ম ও লুটপাটের অভিযোগ আর দাপ্তরিক অস্থিরতার মধ্যেই কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের (ডিএই) আলোচিত কৃষি যান্ত্রিকীকরণ প্রকল্পের মেয়াদ বাড়ানোর সিদ্ধান্ত হয়েছে। দুর্নীতির তদন্তসহ অসমাপ্ত কাজ শেষ করার জন্য পাঁচ শর্তে এক বছর মেয়াদ বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে কৃষি...
০৬ এপ্রিল ২০২৫
বিচারকদের উদ্দেশে তিনি বলেন, গুমের বিচার বাস্তবায়নে বিচারকদের সাহসী ও ন্যায্য ভূমিকা রাখা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। বিচার বিভাগের নিরপেক্ষতা ও দৃঢ় অবস্থানই একদিন বাংলাদেশ থেকে গুমের সংস্কৃতি নির্মূল করবে।
২ ঘণ্টা আগে
বাংলাদেশে যুক্তরাষ্ট্রের পরবর্তী রাষ্ট্রদূত হিসেবে মনোনীত ব্রেন্ট ক্রিস্টেনসেন বলেছেন, নিয়োগ পেলে চীনা কর্মকাণ্ড থেকে উদ্ভূত ঝুঁকিগুলো স্পষ্টভাবে তুলে ধরতে তিনি বাংলাদেশ সরকার ও সামরিক বাহিনীর সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করবেন। গত বৃহস্পতিবার (২৩ অক্টোবর) যুক্তরাষ্ট্র সিনেটের পররাষ্ট্রবিষয়ক কমিটিতে তাঁর
৩ ঘণ্টা আগে
কিশোরগঞ্জের অষ্টগ্রাম ও চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়ায় খেলা করার সময় পানিতে পড়ে ছয় শিশুর মর্মান্তিক মৃত্যু হয়েছে। আজ শুক্রবার অষ্টগ্রাম উপজেলার দেওঘর ইউনিয়ন ও রাঙ্গুনিয়ার পারুয়া ইউনিয়নে ঘটনা দুটি ঘটে। এতে ওইসব এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে।
১ দিন আগেঅষ্টগ্রাম (কিশোরগঞ্জ) ও রাঙ্গুনিয়া (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি

কিশোরগঞ্জের অষ্টগ্রাম ও চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়ায় খেলা করার সময় পানিতে পড়ে ছয় শিশুর মর্মান্তিক মৃত্যু হয়েছে। আজ শুক্রবার অষ্টগ্রাম উপজেলার দেওঘর ইউনিয়ন ও রাঙ্গুনিয়ার পারুয়া ইউনিয়নে ঘটনা দুটি ঘটে। এতে ওইসব এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে।
আজ বিকেলে অষ্টগ্রাম উপজেলার দেওঘর ইউনিয়নের পশ্চিম আলীনগর এলাকায় বাড়িসংলগ্ন বিলের পাশে খেলা করছিল মিশকাত (৫), মাহিন (৬) ও সাত্তার তানিল মিয়া (৫)। হঠাৎ সবার অজান্তে তিন শিশু বিলে পড়ে ডুবে যায়।
খোঁজাখুঁজির একপর্যায়ে বিল থেকে মিশকাত ও মাহিনকে উদ্ধার করা হয়। পরে অষ্টগ্রাম উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে দায়িত্বরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। সন্ধ্যা ৭টার দিকে খবর পেয়ে অষ্টগ্রাম ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা গিয়ে ঘটনাস্থল থেকে অপর শিশু তানিলের মরদেহ উদ্ধার করে।
এ বিষয়ে মাহিনের চাচা মোবারক হোসেন বলেন, প্রতিদিনের মতো তিন শিশু খেলাধুলা করছিল। কিন্তু কখন যে বিলের পানিতে ডুবে গেল, কেউ বোঝেনি। পরে তাদের দেখতে না পেয়ে খোঁজাখুঁজি করে পানিতে প্রথমে দুজন, পরে অন্যজনকে পাওয়া যায়।
এ বিষয়ে দেওঘর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান মো. আক্তার হোসেন বলেন, দুঃখজনক খবর, একই বাড়ির তিনটা শিশুর মৃত্যুতে এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে।
অপর দিকে রাঙ্গুনিয়া উপজেলার পারুয়া ইউনিয়নে একই দিন বিকেলে উত্তর পারুয়া গ্রামের একটি পুকুরে পড়ে মারা যায় তিন শিশু। তারা হলো সুমাইয়া আক্তার (৫), হাবীবা আক্তার (৬) ও জান্নাত আক্তার (৫)।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, বিকেলে খেলার ছলে তারা তিনজনই বাড়ির পাশে পুকুরে যায়। কিছুক্ষণ পর না পেয়ে পরিবারের লোকজন খোঁজাখুঁজি শুরু করে। পরে পুকুরে ভাসমান অবস্থায় তাদের মরদেহ উদ্ধার করে স্থানীয় স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
এ বিষয়ে পারুয়া ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান একতেহার হোসেন বলেন, ‘তিনটি নিষ্পাপ শিশুর এমন মৃত্যুর ঘটনা আমাদের সবাইকে স্তব্ধ করে দিয়েছে। পুরো এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে।’

কিশোরগঞ্জের অষ্টগ্রাম ও চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়ায় খেলা করার সময় পানিতে পড়ে ছয় শিশুর মর্মান্তিক মৃত্যু হয়েছে। আজ শুক্রবার অষ্টগ্রাম উপজেলার দেওঘর ইউনিয়ন ও রাঙ্গুনিয়ার পারুয়া ইউনিয়নে ঘটনা দুটি ঘটে। এতে ওইসব এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে।
আজ বিকেলে অষ্টগ্রাম উপজেলার দেওঘর ইউনিয়নের পশ্চিম আলীনগর এলাকায় বাড়িসংলগ্ন বিলের পাশে খেলা করছিল মিশকাত (৫), মাহিন (৬) ও সাত্তার তানিল মিয়া (৫)। হঠাৎ সবার অজান্তে তিন শিশু বিলে পড়ে ডুবে যায়।
খোঁজাখুঁজির একপর্যায়ে বিল থেকে মিশকাত ও মাহিনকে উদ্ধার করা হয়। পরে অষ্টগ্রাম উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে দায়িত্বরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। সন্ধ্যা ৭টার দিকে খবর পেয়ে অষ্টগ্রাম ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা গিয়ে ঘটনাস্থল থেকে অপর শিশু তানিলের মরদেহ উদ্ধার করে।
এ বিষয়ে মাহিনের চাচা মোবারক হোসেন বলেন, প্রতিদিনের মতো তিন শিশু খেলাধুলা করছিল। কিন্তু কখন যে বিলের পানিতে ডুবে গেল, কেউ বোঝেনি। পরে তাদের দেখতে না পেয়ে খোঁজাখুঁজি করে পানিতে প্রথমে দুজন, পরে অন্যজনকে পাওয়া যায়।
এ বিষয়ে দেওঘর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান মো. আক্তার হোসেন বলেন, দুঃখজনক খবর, একই বাড়ির তিনটা শিশুর মৃত্যুতে এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে।
অপর দিকে রাঙ্গুনিয়া উপজেলার পারুয়া ইউনিয়নে একই দিন বিকেলে উত্তর পারুয়া গ্রামের একটি পুকুরে পড়ে মারা যায় তিন শিশু। তারা হলো সুমাইয়া আক্তার (৫), হাবীবা আক্তার (৬) ও জান্নাত আক্তার (৫)।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, বিকেলে খেলার ছলে তারা তিনজনই বাড়ির পাশে পুকুরে যায়। কিছুক্ষণ পর না পেয়ে পরিবারের লোকজন খোঁজাখুঁজি শুরু করে। পরে পুকুরে ভাসমান অবস্থায় তাদের মরদেহ উদ্ধার করে স্থানীয় স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
এ বিষয়ে পারুয়া ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান একতেহার হোসেন বলেন, ‘তিনটি নিষ্পাপ শিশুর এমন মৃত্যুর ঘটনা আমাদের সবাইকে স্তব্ধ করে দিয়েছে। পুরো এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে।’

অনিয়ম ও লুটপাটের অভিযোগ আর দাপ্তরিক অস্থিরতার মধ্যেই কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের (ডিএই) আলোচিত কৃষি যান্ত্রিকীকরণ প্রকল্পের মেয়াদ বাড়ানোর সিদ্ধান্ত হয়েছে। দুর্নীতির তদন্তসহ অসমাপ্ত কাজ শেষ করার জন্য পাঁচ শর্তে এক বছর মেয়াদ বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে কৃষি...
০৬ এপ্রিল ২০২৫
বিচারকদের উদ্দেশে তিনি বলেন, গুমের বিচার বাস্তবায়নে বিচারকদের সাহসী ও ন্যায্য ভূমিকা রাখা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। বিচার বিভাগের নিরপেক্ষতা ও দৃঢ় অবস্থানই একদিন বাংলাদেশ থেকে গুমের সংস্কৃতি নির্মূল করবে।
২ ঘণ্টা আগে
বাংলাদেশে যুক্তরাষ্ট্রের পরবর্তী রাষ্ট্রদূত হিসেবে মনোনীত ব্রেন্ট ক্রিস্টেনসেন বলেছেন, নিয়োগ পেলে চীনা কর্মকাণ্ড থেকে উদ্ভূত ঝুঁকিগুলো স্পষ্টভাবে তুলে ধরতে তিনি বাংলাদেশ সরকার ও সামরিক বাহিনীর সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করবেন। গত বৃহস্পতিবার (২৩ অক্টোবর) যুক্তরাষ্ট্র সিনেটের পররাষ্ট্রবিষয়ক কমিটিতে তাঁর
৩ ঘণ্টা আগে
বিমানবন্দরের ভয়াবহ আগুন লাগার কারণ ও দায়ীদের খুঁজে বের করতে চারটি দেশ থেকে বিশেষজ্ঞ আনা হবে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী।
১০ ঘণ্টা আগে